আজ আসলেই আমার প্রলাপ শোনাব সবাইকে। কিচ্ছু লেখা আসছে না। ইচ্ছে করছে সব ছেড়েছুড়ে চলে যাই দেশে। কি হবে পড়ালেখা করে কি হবে নামের পাশে ডিগ্রী লাগিয়ে। সব কিছু ছেড়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাই , প্রতিদিন বাসায় ঝাড়ি শুনব বেকার ছেলে হয়ে, কেউ পাত্তা দিবে না ঘরের টুকটাক কাজ করে দিব বিনিময়ে একরাশ অবসর, আফসোস , পাশের বাড়ির ছেলের গাড়ি দেখে ঈর্ষা , রাস্তায় অপ্সরীদের দেখে বুকে চিনচিন ব্যাথা।
বিস্তারিত»সারমেয় পূরাণ
খাঁন বাহাদুর গণি সাহেব, বিশাল ভূ-সম্পত্তির মালিক, অগাধ প্রতিপত্তি। তার বাবার বাবা ইংরেজ দের জমানায় খাঁন বাহাদুর খেতাব পেয়েছিলেন, সেই থেকে বংশানূক্রমিক ভাবে তারা খাঁন বাহাদুর নামেই পরিচিত। দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মাঝেও এলাকায় গণি সাহেবের কথাই আইন। সালিশ-বিচার আচারে গণি সাহেবের কথাই চুড়ান্ত। নায়েব গোমস্তা পাইক এখনো তার বিঘার পর বিঘা জমি দেখাশোনা করে, বর্গাদারদের কাছ থেকে ধান-চাল আদায় করে। সবমিলিয়ে খাঁন সাহেবের এলাকাটা যেন মধ্যযুগের কোন থমকে থাকা প্রতিচ্ছবি।
বিস্তারিত»সালাউদ্দিন এবং অন্যরা
ধরা যাক কাজী সালাউদ্দিন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নন। তিনি সাধারণ সম্পাদক কিংবা সহ-সভাপতি। সভাপতি জাতীয় সংসদের …. আসনের সাংসদ এবং …. মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়ত। দেশের ফুটবল মাঠে দর্শক হয় না দেখে সালাউদ্দিনের মন খুব খারাপ। তার খেলোয়াড়ী জীবনে দেখেছেন আবাহনীর ম্যাচ মানে গ্যালারিভর্তি মানুষের উল্লাস, শুরুর বাঁশির আগে তার জুতার ফিতা বাঁধার একটা অভ্যাস ছিল, সেটা দেখেও দর্শকরা লাফাত। আর এখন!
বিস্তারিত»দার্জিলিং জমজমাট – শেষ পর্ব
পরদিন ভোর বেলায় উঠে সবাই গেলাম কাঞ্চনজঙ্গা’য় সূর্যোদয় দেখতে। ‘টাইগার হিল’ থেকে সবচেয়ে ভালো ভাবে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্গা’র চূড়া। মাইনাস ৪/৫ তাপমাত্রায় ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে টাইগার হিল যাওয়ায় সময় মনে হচ্ছিলো এবস্যালুটলি রঙ ডিসিশান। আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে একটা জীপ নিয়ে সবাই পৌছে গেলাম ‘টাইগার হিল’। আমাদের মতো আরো অনেক ট্যুরিস্ট অপেক্ষা করছে সেখানে। প্রচন্ড শীতে অনেকেই কাহিল। আগুন গরম চা খাচ্ছি একের পর এক,
বিস্তারিত»১৯৭১ এর দুটি ভিডিও
কিছুক্ষন আগে আমার শাবিপ্রবি এর এক বন্ধু সুশান্ত ইউটিউবের দুইটা লিঙ্ক পাঠাইলো। আমার বন্ধুর মতে আমেরিকা প্রবাসী জনৈক মাশুকুর এবিসি ও এনবিসি টিভির আর্কাইভ থেকে এই ভিডিওগুলো সংগ্রহ করেছেন। ভিডিও গুলো ইঊটিউবে গত ২০শে মার্চ পোস্ট করা হয়েছে। অনেকেই দেখে থাকতে পারেন। যারা দেখেন নি তাদের জন্য।
বিস্তারিত»সন্দেহ… সংশয়… Doubt !!
প্রেক্ষাপটঃ ব্রংস,আমেরিকা ১৯৬৪। চিন্তার স্বাধীনতা ও সামাজিক মুক্তির বিষয়গুলো তখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। পরিচালক জন প্যাট্রিক শ্যানলী তার পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী মঞ্চনাটক থেকে এই সিনেমার চিত্রনাট্য এডাপ্ট করেছেন। মূল থিমটা পুরোনো। একদিকে আছে প্রাচীন নিয়ম কানুন, পরম্পরা আর বিশ্বাসকে আকঁড়ে ধরে রাখা কট্টরপন্থী (গুরুকুলের অমিতাভ) আর অন্যদিকে আছে নতুন আচার আচরন,বিশ্বাস আর মুল্যবোধকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত উদারমনা আধুনিক ব্যাক্তিত্ব। (গানের মাস্টার ছ্যাঁকু শাহরুখ) Doubt সিনেমার কাহিনী্তে একজন নান তার এক সহযোগী পুরোহিতের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন।
বিস্তারিত»দার্জিলিং জমজমাট -০২
ষ্টেশন থেকে একটা টাটা-সুমো নিয়ে চলে এলাম দার্জিলিং চৌরাস্তায়। আসার পথটা এতো উঁচু-নিচু আর সরু সেটা দেখলে রীতিমতো ভয় লাগে। গাড়ি প্রতিটা বাঁক নেয়ার সময় মনে হচ্ছিলো এই বুঝি খাদে পড়ে যাবে। রাস্তাটা বিপজ্জনক বলেই একটু পর পরই সবার জন্যে সতর্কবাণী ছিলো দেখেশুনে গাড়ি চালাতে। একটা সতর্কবানী আমার এখনো মনে আছে- donate your blood in blood bank, not in the road। চৌরাস্তায় এসে পছন্দসই একটা হোটেল খুঁজে বের করে ফেললাম সবাই মিলে।
বিস্তারিত»স্বাধীনতা ঘোষণার আগের সেই নারকীয় রাত
[ডিসক্লেমারঃ এটি আমার লেখা নয়। পেয়েছি বিডিনিউজ২৪ এ। আমি লিঙ্ক দিব ভেবেছিলাম কিন্তু মনে হল এই লেখাটি থাকলে আমাদের সিসিবি সমৃদ্ধ হবে তাই পুরো লেখাটি তুলে দিলাম। লেখক এবং অনুবাদক এর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক]
অ্যান্থনি মাসক্যারেনহাস
রাত আটটার দিকে একটা রিকশা দ্রুতগতিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে থামলো। রিকশাঅলাটি তখন ক্লান্তিতে হাঁপাচ্ছে। তড়িঘড়ি করে লোকটা জানালো ঝাড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে রিকশা চালিয়ে এসেছে সে।
বিস্তারিত»স্টেরিওগ্রাম ১
আমাদের এখানে প্রতিবছর একইরকম ভাবে মনবুশো স্কলারশীপ নিয়ে কয়েকজন আসে। আমরা সবাই একই জায়গায় ভাষা শিখি একই রকম পথ পাড়ি দেই। এবং আমাদের মধ্যে প্রচুর ক্যাডেট। সেই হিসেবে এখানে আমাদের সবার মাঝে ক্যাডেট কলেজের মত একটা ট্রেন্ড চালু আছে। প্রতিবছর নতুনরা আসলে আমরা ওদের গিয়ে রিসিভ করি ওদের ভাল মন্দ দেখার চেষ্টা করতে গিয়ে অনেক সময় ওদের অনেক জ্বালাই। আমার এই পোষ্টের ব্যাপারটা সেটা নিয়ে না।
বিস্তারিত»দার্জিলিং জমজমাট – ০১
সেন্টমার্টিন থেকে চলে আসার পর মনটা কেমন অবসাদগ্রস্ত হয়ে ছিলো। এতো আনন্দ ফুর্তির হঠাৎ পরিসমাপ্তি খুবই বেদনাদায়ক। তাই চলে আসার পর থেকেই মনে মনে ফন্দি আঁটতে শুরু করি যে আবার কোথায় যাওয়া যায়। ভাবলাম সমুদ্রতো দেখা হলো, বাকি রইলো পর্বতশৃংগ। বাকি রইলো হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্গা। নামটা মনে হতেই এক অজানা রোমাঞ্চ অনুভব করলাম। যে করেই হউক হিমালয়কে কাছ থেকে একবার দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। অন্তত পশ্চিমে আসার আগে হিমালয় আমাক দেখতেই হবে।
বিস্তারিত»ঘড়ি
নিচের গান টা খেয়াল করুন;
ঘড়ি দেখতে যদি হয় বাসনা চইলা যাও গুরুর কাছে,
যেই ঘড়ি তৈয়ার করে ভাই লুকায় ঘড়ির ভেতরে,
মেকার যদি হইতাম আমি,ঘড়ির জুইল পাল্টাইতাম,
জ্ঞান নয়ন খুলিয়া যাইত,দেখতে পাইতাম চোখের সামনে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে।।
একটা চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া জনম ভইরা চলতে আছে।।
শুভ জন্মদিন, ভাইয়া
আমার ছোটভাই কনক। ওর পিচ্চি বেলার কথা এখনো আমার মনে আছে। আমি ওর অল্প বড় হলেও ওকে নিয়মিত গল্প শোনাতাম। কখনো গল্পের বই থেকে কখনো বানিয়ে বানিয়ে। সেও ছোট্টবেলা থেকে ও আমার সাথে সাথে থাকত। ৩ ভাইয়ের মাঝে আমরা দুজন থাকতাম সবসময় একসাথে। পিচ্চিটাকে নিয়ে চলত আমার সারাদিনের সকল কাজ। খেলাধূলার ব্যাপারে ওর প্রায় সব খেলার হাতেখড়ি মনে হয় আমার হাতেই। পিচ্চিবেলায় ও যখন মাত্র পড়ালেখা শুরু করে তখন একবার নিজের বানান করেছিল এইভাবে cng কনইক্যা।
বিস্তারিত»সুপার কাপ আর ক্রিকেট!
সুপার কাপ ফুটবল নিয়ে মানুষের আগ্রহ দেখছি আর ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা বোধ করছি!
সুপার কাপের মাধ্যমে ফুটবলের জাগরণ তৈরি হচ্ছে বলে প্রায় সবাই গাঝাড়া দিচ্ছেন। ঠিক আছে। কারণ যে ফুটবল মাঠে গত কয়েক বছর পুলিশ আর কাক বসে খেলা দেখত সেখানে ইদানিং দর্শকের দেখা মিলছে। তারা উত্তেজিত হচ্ছেন। লাফাচ্ছেন। রেফারিকে দোষী মনে করে তার গোষ্ঠী উদ্ধারের যে হারানো ছবি তাও ফিরে আসছে।
বিস্তারিত»ম্যাজিক বয় – শেষপর্ব
১০৯ সুরা কাফিরূন
পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে
১। বলো, ‘ হে অবিশ্বাসীরা!
২। আমি তার উপাসনা করি না যার উপাসনা তোমরা কর, ৩। আর তোমরাও তার উপাসনাকারী নও যার উপাসনা আমি করি।
৪। আর আমি উপাসনাকারী হব না তার যার উপাসনা তোমরা করে আসছ, ৫। আর তোমরাও উপাসনাকারী হবে না তার যার উপাসনা আমি করি।
৬। তোমাদের ধর্ম তোমাদের,
বিস্তারিত»