সুপার কাপ ফুটবল নিয়ে মানুষের আগ্রহ দেখছি আর ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা বোধ করছি!
সুপার কাপের মাধ্যমে ফুটবলের জাগরণ তৈরি হচ্ছে বলে প্রায় সবাই গাঝাড়া দিচ্ছেন। ঠিক আছে। কারণ যে ফুটবল মাঠে গত কয়েক বছর পুলিশ আর কাক বসে খেলা দেখত সেখানে ইদানিং দর্শকের দেখা মিলছে। তারা উত্তেজিত হচ্ছেন। লাফাচ্ছেন। রেফারিকে দোষী মনে করে তার গোষ্ঠী উদ্ধারের যে হারানো ছবি তাও ফিরে আসছে। ফুটবলের এই লাভটা সবাই দেখছে কিন্তু দেখছে না এর ভেতরে ক্রিকেটের ক্ষতির চিত্রটা। এই তর্কে কেউ কেউ বিবেকসুলভ ভুমিকা নিয়ে বলবেন, ‘আরে এটা কোনো কথা নাকি! ফুটবল আর ক্রিকেট দুটোই আমাদের খেলা। ফুটবল মানুষ আবার দেখছে, কোথায় আমাদের খুশি হওয়া উচিত, তা-না….। অবশ্যই আমরা খুশি, কিন্তু ক্রিকেটের জন্য এটা খুশির খবর নয় একটুও।’
পৃথিবীর সবগুলো দেশেই একেকটা প্রধান খেলা থাকে। সেই খেলার জন্য পৃষ্ঠপোষক, কর্তা, মানুষ কিছুরই অভাব হয় না। সুবাদে খেলোয়াড়দেরও ব্যাপক আয়-রোজগার হয়। কাজেই সবাই সেই খেলাটা খেলতে চায়। দেশের সব কিশোর-তরুণের স্বপ্ন থাকে সেই খেলা খেলে জাতীয় তারকা হবে। বাংলাদেশে যেমন ক্রিকেট, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় যেমন ফুটবল, আমেরিকায় যেমন বেসবল-বাস্কেটবল। কিন্তু একটু খেয়াল করুন আজ থেকে বিশ বছর আগে বাংলাদেশে বিষয়টা কি ছিল! ফুটবল ছিল এক নাম্বার খেলা, সবাই ফুটবলার হতে চাইত। যারা সেখানে পারত না, তারাই আসত ক্রিকেটে। তার মানে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্রীড়াবিদরা হতো ক্রিকেটার। তারপর দৃশ্যপট বদলে ক্রিকেট যখন হয়ে গেল এক নাম্বার খেলা তখন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্রীড়াবিদরা হচ্ছে ফুটবলার। কিশোর-তরুণদের মধ্যে যারা ক্রিকেটার হতে পারে না বা পারবে না বলে মনে করে তারাই তো এখনকার ফুটবলার। কাজেই আমরা পাচ্ছি স্কিলহীন-ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে মাঠ মাতাতে অক্ষম কিছু ফুটবলার। সালাউদ্দিনের সুধায় সেখানে বদলের পরিষ্কার ইঙ্গিত। ফুটবল যদি এমন জমে যায় এবং দর্শক মাঠে ফিরতে শুরু করে তাহলে ফুটবলার হওয়াটা আর দ্বিতীয় শ্রেণীর বিষয় থাকবে না। তখন নিশ্চিতভাবেই সালাউদ্দিন-চুন্নু-ওয়াসিম-সাব্বিরের মাপের ফুটবলার বেরোতে শুরু করবে।
ফুটবল আর ক্রিকেটের চরিত্রগত তফাত এই যে ফুটবল ক্লাবনির্ভর খেলা, ক্রিকেট আন্তর্জাতিক খেলানির্ভর। ক্লাবনির্ভর খেলা বলে এর সুবিধার দিক এই যে বিখ্যাত হওয়ার বা টাকা রোজগারের ক্ষেত্রটা অনেক বড়। খেয়াল করে দেখুন আজ থেকে বিশ বছর আগে (সালাউদ্দিনদের সময়ও) ফুটবলে বাংলাদেশ এমন কোনো শক্তি ছিল না, কিন্তু তখনও ফুটবলাররা তারকা ছিল। আর ক্রিকেট বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়েছে তখন যখন আমরা আন্তর্জাতিক সাফল্য পেতে শুরু করেছি বা পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছি। ফুটবলে বিষয় হচ্ছে ক্লাব এবং এখানেই চলে আসছে ক্রিকেটের সমস্যার দিকটা। বাংলাদেশের সবগুলো ক্লাবই হচ্ছে আসলে ফুটবলের ক্লাব, ক্রিকেটের এই জোয়ারের যুগেও ক্লাবে কিন্তু নেতৃত্ব দেন ফুটবল কর্তারাই। গত কয়েক বছর ধরে ফুটবলের অচলাবস্থা অন্যদিকে ক্রিকেটের জোয়ার মিলিয়ে ক্লাবগুলো অগত্যা ক্রিকেটেও মনযোগ দেয়া শুরু করে। কিন্তু তারা যদি তাদের ফুটবলের সেই হারানো সৌরভ ফিরে পেয়ে যায় তাহলে ক্রিকেটের প্রতি এই মনযোগটুকু কি থাকবে! থাকবে না, কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটের এমনিতেই যা-তা অবস্থা। শেষ কবে কোনো ম্যাচে ৫ হাজার দর্শক হয়েছে সেটা বের করতে ক্রিকেট বোর্ডের সব পরিসংখ্যানবিদদের বসালেও তারা দিন-তারিখ বের করতে পারবে না নিশ্চিত। ক্রিকেট হয়ে গেছে এখন পুরোপুরি জাতীয় দল এবং ক্রিকেট বোর্ডের খেলা। ফুটবলকে তার আকর্ষণীয় রুপে ফিরে পেলে ক্রিকেটের প্রতি মনযোগ দেয়ার দায়টাও তাদের থাকবে না। এবং তখন ক্রিকেটার হয়ে সুনাম আর টাকার স্বপ্ন কমতে থাকবে তরুণদের কাছে। আর হারানো জায়গা নেয়ার পথে এগোতে থাকবে ফুটবল। যে তফাতের কথা আগেই বলছিলাম ক্লাবের খেলা-লিগ জমজমাট না হলে, টাকা না থাকলে কে ক্রিকেটার হতে চাইবে। জাতীয় দল! সেখানে তো খেলে মাত্র ১১ জন কিংবা তার কিছু বেশি। বিপরীতে ফুটবলে অনেক ক্লাব-অনেক টাকা-অনেক সুযোগ। তাহলে! ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ কমবে, ক্রিকেটার হওয়ার লাইন ছোট হতে থাকবে, হলেও হবে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্রীড়াবিদরা! তাদের মধ্য থেকেই জাতীয় দল! চিন্তার কথা কিন্তু…
চিন্তা করবে কে? করতে হলে সেরকম দূরদর্শী লোক লাগে। এখন যেমন আছেন সালাউদ্দিন। আগে যেমন ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী!
মোস্তফা মামুন
ঢাকা, ২২ মার্চ
১ম B-)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
2nd :grr: :grr: :grr:
ক্রিকেটে সমস্যা কম, দর্শক বেশী.......... ফুটবলে উল্টা......
সম্প্রতি শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে সেরা ১২তে জাতীয় দলের মাত্র একজন... হওয়া উচিত ছিল উল্টোটা....... জাতীয় লিগে ভাল করাদের নির্বাচকরা জাতীয় দলে ডাকবেন না.... হতাশ হয়ে পড়বে ভাল পারফর্ম করা খেলোয়াড়টি....
সমস্যা সবখানেই....শুধু উদ্যোক্তা দিয়েই হবেনা..... পুরো সিস্টেম চালাতে সব জায়গাতেই দক্ষ লোক লাগবে
কেন? সিনা ইবনে জামালী?
মামুন ভাই, আমার ১ টা প্রশ্ন? সামরিক বাহিনীতে ক্রিকেট খুবই অবহেলিত ১ টা খেলা, ওখানে বাস্কেটবল, সুইমিং, বক্সিং অথবা গলফ এ সবের অনেক চর্চা হয় এবং অদের এসব খেলায় সাফল্যও অনেক। কিন্তু ক্রিকেটের মতো একটা খেলার প্রশাসনে ও প্রসারে উনি কি ভূমিকা রাখবেন?
ক্রিকেট মাথার খেলা।শুধু হাটু দিয়ে ক্রিকেট খেলা যায় না ভাই।
শেষ পর্যন্ত মোস্তফা মামুন ভাই সিসিবিতে একটা খেলাধূলা বিষয়ক লেখা দিলেন... মনে মনে অপেক্ষায় ছিলাম।
আমি নিজে প্রথমত প্রচন্ড রকম ফুটবল পাগল, তারপর ক্রীড়াপাগল। ছোট বেলায় ১ম দেখেছিলাম ফুটবলের জোয়ার, সাথে হালকা ভেবে ক্রিকেট। তারপর আস্তে আস্তে যখন ফুটবল হারিয়ে যাওয়া শুরু করল আর সেখানে ক্রিকেট এসে সে জায়গা দখল করা শুরু করল তখন ক্রিকেট নিয়ে অনেক উচ্ছাস প্রকাশ করলেও মনে মনে মিস করতাম ফুটবলকে... তবে ইউরোপিয়ান ফুটবল সে অভাব অনেকটাই পূরন করত।
তবে আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষন হলো ঘরোয়া ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা হারানোর পিছনে ফুটবলের কোন হাত নেই, নিম্নমানের ক্রিকেটই এর জন্য দায়ী।
ফুটবলের রমরমা অবস্থার মাঝেও কিন্তু লীপু,আতাহার আলী খান, নান্নু, বুলবুল, আকরাম বের হয়ে আসতে পেরেছে, কিন্তু ক্রিকেটের জোয়ারের মাঝেও ক্লাব ক্রিকেট থেকে আমরা তেমন কোন তারকা ক্রিকেটার পাইনি, আমাদের ক্রিকেটারদের তারকা হওয়া শুরু হয় অনূর্ধ ১৯ বিশ্বকাপে, তার দু-এক বছরের মধ্যেই তারা পরিনত হয় জাতীয় দলের খেলোয়ারে, সারা বছর জাতীয় দলে থেকে তারা যখন স্বল্প কিছু ম্যাচ খেলার জন্য ক্লাবগুলোতে যায়...বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা পরিনত হয় ক্লাবের বোঝা হিসেবে এমনকি তারা বাধ্য হয় দল থেকে তাদেরকে বাদ দিতে।( আশরাফুল সহ আরো কয়েকজন কে বাদ দিয়ে ছিল খারাপ পারফরমেন্সের জন্য, ক্লাবের নামটা মনে পড়ছে না)
কমেন্ট মনে হয় বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে... শেষ কথা হলো ফুটবলের জয় হক ( সাম্প্রদায়িক হলেও কিছু করার নাই...)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সোনার গাঁও ক্রিকেটার্স,
আশরাফুল কোন বড় শিবিরে কি খেলেছে? সোনার গাঁ আর গাযী ট্যাংকে খেললো। ও কে বড় ক্লাব নিতে মনে হয় ভরসা পায় না।
ওর উপর ভরসা পায় শুধু মনে আমাদের নির্বাচকরাই...
আশরাফুলের ব্যাটিং দেখার সময় প্রতিটি বলের আগে মনে হয় এবারই আউট হবে... যত ভাল বা খারাপ খেলতে থাকুক ওই সময়ে... এইরমক মনে হইত শুধু আমার ভারতের আগারকারের ব্যাটিং দেখে... ৫টা না ৬টা ডাক খাইলছিল মনে হয় টানা :)) :)) ( বলা যায় না, ওর ব্যাটিং এভারেজও আবার আশ্রাফুলের চেয়ে বেশিও হইতে পারে ;))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
যাক, একজনকে পাওয়া গেল যিনি এইভাবে দেশের ক্রিড়াঙ্গন বিশ্লেষনে আগ্রহী।
আমাদের ফুটবল ধরা খেয়েছে ক্রিকেটের সাথে কর্পোরেট গাটছাড়া'র কারনে। ভেবে দেখুন, ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেটে কর্পোরেটস্বার্থ কতো বেশিঃ ফ্যটবল ম্যাচ চলে মাত্র দেড়ঘন্টা, আর ক্রিকেট সারাদিন (এই ক্ষেত্রে টেষ্টের বেইল নাই); ফুটবল ম্যাচে দর্শক এতোটাই মনোসংযোগ করে দেখে যে বিজ্ঞাপনের টাইম না, আর ক্রিকেটে ত পারলে প্রিতি বলের পরেই বিজ্ঞাপন; ফুটবলের টুর্ণামেন্ট আয়োজন করতে হলে একগাদা টাকা খরচ করে ডজনে ডজনে দেশ বা ক্লাবকে স্পন্সর করা লাগে, আর ক্রিকেট হাতে গোনা কয়েকটা দেশ (+ক্লাব) তাও আবার যাদেরকে অল্প টাকাতেই কিনা যায় (বেশিরভাগই গরীবদেশের লোক বলে)।
এর মানে কিন্তু আমি বলছি না ফ্যটবল/ক্রিকেট ভালো বা খারাপ। দুটোই আমার পছন্দের। শুধু কর্পোরেট-সংযোগটার কথা বললাম আর কি...... 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মামুন ভাইয়ের ক্রীড়া বিষয়ক আগ্রহ সম্পর্কে আপনি এতদিনে জানতে পারলেন মাহমুদ ভাই?অনেক দেরি করে ফেলছেন ভাই।
সময় উপোযোগী লেখা ভাইয়া
কোটি টাকার সুপার কাপে জমজমাট ম্যাচ হচ্ছে , মাঠে দর্শকও যাওয়া শুরু করেছে । আশার কথা। ফুটবল তার হারানো জায়গা নেয়ার পথে এগোচ্ছে । কথা সত্য। তবে আমার কেন জানি মনে হয় দু'একটা আন্তর্জাতিক সাফল্য না আসলে সেই এগোনোটা এক জায়গায় এসে থেমে যেতে পারে।
মামুন ভাই হয়তো আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন, কিন্তু আমার মনে হয় খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য একটা বড় ভুমিকা পালন করে খেলোয়াড় এবং দর্শক এই দু'য়ের খেলার এবং দেখার আগ্রহ তৈরী করার পিছনে। সেই হিসেবে ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য বেশি।
ঘরোয়া ফুটবল যতোই জমজমাট হউক না কেন আন্তর্জাতিক মানের কাছাকাছি যেতে আমাদের মনে হয় আরো অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। এই জায়গাটায় ক্রিকেট এগিয়ে আছে, তবে মাঝে মাঝে অবশ্য সন্দেহ হয় আমারো, আসলেই কি এগিয়ে আছে?
আমরা চাই আমাদের ফুটবল এবং ক্রিকেট দুইই চলুক সমান তালে। সমান সাফল্যে। সালাউদ্দিনের মতো ক্রিকেটেও এমন একজন আসুক যে সবকিছু বাদ দিয়ে ক্রিকেট নিয়ে ভাববে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
দেশ থেকে কোয়ালিটি ক্রিকেটার বের হচ্ছে না বলেই ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কমতে সুরু করেছে-এই মতের সঙ্গে আমি একমত নই।এখন 'পাওয়ার' ক্রিকেটের যুগ।আকরাম,নান্নু,বুলবুল এরা সবাই স্লো ক্রিকেটের যুগের খেলোয়াড়।এদের দিয়ে বর্তমান ক্রিকেট কে বিচার করা ভুল হবে।দেশের ক্রিকেটের মান নিসন্দেহে আগের চেয়ে ভালো,তবে যুগপযুগী নয়।দিন যাবে এই খেলাটা আরও টেকনিক্যাল হবে।তবে মামুন ভাইয়ের সঙ্গে আমি একমত।ঢাকার ফূটবলাররা আজীবন ক্রিকেটারদের ভাত মেরে যাবে হুদাই।কেয়ামত অব্দি ফুটবলের কোন ান্তর্জাতিক ভবিষ্যত বাংলাদেশের হবেনা বলে আমার দৃঢ় বিস্বাস।কারণ আমাদের শারিরীক গঠন এই খেলাটা আমদের পারমিট করেনা।আমরা খুব আরাম প্রিয় জাতি আর ফুটবল আরামের খেলা নয়।এটা হালিম শাহ র ঘরোয়া ক্রিকেটে বীয়ার খেয়ে মাতাল হয়ে তিনদিন ভরা ব্যাটিং করা নয়।এর নাম ফুটবল।
:khekz: :khekz:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:khekz:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
হালিম শাহ'র কাহিনিটা একটু খুলে বললে উপকার হইত সুব্রত ভাই... আগে শুনি নাই...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আবাহনী ক্লাব মাঠে খেলা দেখতেসিলাম।দেখলাম হালিম সাহ ফিল্ডিং দিচ্ছে।চোখমুখ লাল টকটকে।তারপর লাঞ্চ এ ক্লাব রুমে ঘুরতে গেলাম।দেখি বিয়ার এর ক্যান নিয়ে ঘুরছে।সেবার সে তিনদিন ব্যাটিং করেছিল।তিনদিনের ঘরোয়া ক্রিকেটে হালিম সাহ ঢাকার বোলারদের কাছে মোটামুটী একটা আতঙ্ক।কারন সে খুব স্লো ক্রিকেটার।অফ স্টিকের বাইরের বল পর পর ১০০ টা সে নির্দিধায় ছেড়ে দিতে রাজি আছে।কোনো শট খেলে না।কারন সে থাকে নেশাতুর।
:khekz: :khekz: :khekz:
অসাধারণ পদ্ধতি... হালিম শাহকে আমাদের জাতীয় দলের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক... তার কাছ থেকে টিপস নিয়ে আমাদের ব্যাটসম্যানরা যদি একটু লম্বা ইনিংস খেলতে পারে ;)) ;))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সম্পূর্ণ সহমত, আর আমার মতে ক্রিকেটের ব্যর্থতার অন্যতম কারন হচ্ছে আমাদের এই আরাম প্রিয়তা।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অনেক মতামত। বলার মতো কথা অনেক। কিন্তু সব তো লিখে বোঝানো যায় না! যারা মতামত দিয়েছেন তাদের সবার সঙ্গে একদিন অাড্ডায় বসতে পারলে হতো। সময়-সুযোগে কোনো একদিন হবে হয়ত।
বিডিনিউজ এ আমি `টাচলাইন থেকে' নামে একটা সাপ্তাহিক কলাম শুরু করেছি। এটা সেই লেখাটাই। প্রতি সপ্তাহেই এমন একটা লেখা লেখার আশা রাখি এবং এমন নানামুখী মতামতের আশা রাখি।
সুব্রত তোমাকে সক্রিয় দেখে ভালো লাগল। অবশ্য খেলা বলে কথা! এখানে সুব্রত তো থাকবেই!
মোস্তফা মামুন
কেমন আছেন মামুন ভাই?খেলা বিষয়ক আড্ডা আরো জমজমাট হোক এটাই কামনা করি।
মামুন ভাই,
এই আড্ডা না আগাইলে শান্তি পাচ্ছি না।
মোস্তফা মামুন ভাই