লেখা পড়ি কিন্তু লেখা হয় না কখনই। লেখার অভ্যাসও নেই একেবারে। কিন্তু লিখতেও ইচ্ছা হয়। ইচ্ছাটাকে পূজি করেই শুরু করলাম।
এই ২৪ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করলাম কক্সবাজার এর MERMAID RESORT এর দিকে রাত ১০ টার দিকে। কলাতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে ওদের CNG এসে আমাদের নিয়ে গেছে । যায়গাটা অনেক সুন্দর। হিমছড়ির একটু পরেই। ইনানী বিচে যাবার আগে যে ব্রিজটা পরে ওটার পাশেই।
Resort এ ঢুকতেই দেখি গায়িকা আনুশেহ্ ব্যাপক ঝাড়ি দিচ্ছে Mermaid এর লোকজনদের। তাও আবার টাকা পয়সা নিয়ে। বুঝলাম হালকা খবর আছে আমাদের। যা থাকে কপালে গলা কাটা গেলে যাবে। এ নিয়ে চিন্তা করে সময় নস্ট করার মানে হয় না।
কটেজগুলিও বেশ সুন্দর। আশেপাশে কিছু নেই। শান্ত, নিশ্চুপ। কটেজে থেকে তাকালেই রিজু নদী। দূরে কিছু মাছ ধরা নৌকা। ওপাশে ঝাউবন। ঠান্ডা বাতাস। দূরে থেকে হটাৎ হটাৎ হালকা কিছু আওয়াজ। নির্জনতা উপভোগ এর জন্য আসাধারন।
একটু বিশ্রাম এর পর নৌকা নিয়ে রিজু নদী পার হয়ে চলে গেলাম ঝাউবনের দিকে। হাটু পানি যদিও তবুও নৌকা নেয়া। বলাতো যায়না। যদি বেশি হয় তখন কি হবে। নির্জন বিচ। ২/৩ জন জেলে ছাড়া কেউ নেই। সাগরের পাশে টানা জাল দিয়ে মাছ ধরছে। দুই বন্ধু নেমে গেলো গোসল করতে। সে কি দাপাদাপি। খুশির ছড়াছড়ি। হটাৎ ছোটো হয়ে যেতে পারার আনন্দই আলাদা।
দাপাদাপি শেষ করে কটেজে ফিরে দুপুরের খাবারের পর অলস বিকেল। বসে বসে নদী দেখা। পুরোনো দিনের গল্প। আহ্ কতদিন পর অলস দুপুর কাটাচ্ছি বন্ধুদের সাথে। সন্ধার আগে আগে আশেপাশে ঘুরে আসি। যেখানেই থাকি না কেন টং দোকানের চা না খেলে যে ভালো লাগে না। খুজে পেতে একটা পেয়েও যাই। রাতে আবার ম্যারাথন আড্ডা । রাতের খাবার শেষে কনকনে ঠান্ডায় রাতের Mermaid ঘুরে দেখা।
সকালে সেন্ট মার্টিন্স এর দিকে যাত্রা। সেই কবে Excursion এর সময় নাফ নদী আর টেকনাফ বিচ দেখেছিলাম মনেও নেই। আজ সেই নাফ নদী দিয়ে সেন্ট মার্টিন্স যাবো। কি আনন্দ !! পৌছে চোখ বুজে ঘ্রান নেই। Batch এর সবার কথা মনে পড়ে যায়। মনে আছে… Doctor Sir Excursion এ যাবার আগে বলেছিলেন “ এই যে ৫০ জন একত্রে কোথাও যাচ্ছো আর কিন্তু কখনই এভাবে যাওয়া হবে না। সুতরাং যতটুকু পারো মজা করে এসো”। আসলেই আর হয় নি। অনেক চেষ্টা করেও ২৫ জনের বেশি আর একত্র হতে পারিনি। কেউ দেশে নেই। কারো সময় নেই। বন্ধু তোদের অনেক miss করি …অনেক। আমারই যে অংশ তোরা। কিভাবে ভুলি বল।
যাত্রা পথে সাথী হয় কিছু সীগাল। অসাধারন এক দৃশ্য।
সেন্ট মার্টিন্স পৌছে দুপুরের খাওয়া শেষে ভ্যান নিয়ে চলে যাই “নীল দিগন্তে” নামক হোটেলে। এটা সেন্ট মার্টিন্স এর পশ্চিম দিকে। ভিড় কম এদিকটায়। ঠিক যেমন চাচ্ছিলাম। বিশ্রাম এর পর সূর্যাস্ত দর্শন। বরাবরের মতো এবারো মুগ্ধ হবার পালা। আচ্ছা সমুদ্র পাড়ের সূর্যাস্ত মনে হয় কখনো পূরানো হয় না তাই না? প্রতিদিনই তার নতুন রুপ।
পরের দিন ছেড়া দীপ। কেউ সেন্ট মার্টিন্স গিয়ে ছেড়া দীপ না যাওয়া মানে মজা অর্ধেক হয়ে যাওয়া। আর বর্ননা দেবনা। সত্যি করে বললে দেয়া আমার সাধে্যর বাইরে। আমার হয়ে ছবিগুলোই কথা বলুক।
🙂
প্রথম স্থান অধিকার ।
ভাল্লাগছে পোস্ট টা......... সুন্দর ফটুক
ভালো লাগলো। :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারনে ১ম হইতে পারলাম না। আফসুস...... 🙁
সুন্দর পোস্ট।
তবে প্রথম পোস্টের কিছু ফরমালিটিস বাকি আছে।
প্রিন্সিপাল স্যারে আইসা বুঝাইয়া কইব।
উনি ভুইল্যা গেলেও চিন্তা নাই।
আমি অথবা অন্য কেউ ঠিকই বুঝাইয়া দিব।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ছবিগুলো খুব সুন্দর... :thumbup:
আপনাকে ব্লগে স্বাগতম... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ভালো লাগলো
ছবিগুলো সুন্দর
ব্লগে স্বাগতম :hatsoff:
ওয়েল্কাম আশিক ভাই 😀 😀 😀 😀 ।
Life is Mad.
স্বাগতম...
সৌন্দর্য্য লেখা ও ছবি...
:thumbup:
অনেক কথা মনে করায়া দিলেনরে ভাই।
:thumbup:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ধন্যবাদ সবাইকে...... :hatsoff:
ছবি গুলা খুব বেশি সুন্দর
🙂
হায় হায়
এই পোলাডারে এখনো কোন সিনিয়র রেজিমান্টেশন করায় নাই।
আশিক প্রিন্সিপাল স্যারের সম্মানে ১০টা :frontroll: দাও।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আশিক :frontroll: দিবে।
জুনিয়র পোলাপাইন সব অন্যদিকে তাকাও।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আমি কিন্তু নিচের দিকে তাকায়া রইছি.... কিচ্ছু দেখি না.... :সান হয়ে নিচের দিকে তাকায়ে থাকার ইমো
দিলাম...... :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: একটা কম দিছি। কেউ দেখে নাই তো... :tuski:
ভাল লাগল 🙂
আশিক, লেখাটা খুবই ভালো হয়েছে! কাচা হাতের লেখা মনেই হয়েনি!
:hatsoff:
দারূন ছবি, তার সাথে ছোট ছোট কথামালা......পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিলে ভাই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
🙂
ছবি গুলো কার তোলা ভাইয়া? সিম্পলি অসাধারণ।
আর বণর্নাও দুর্দান্ত
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
ব্লগে স্বাগতম 🙂
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আমার তোলা। :shy: ধন্যবাদ........................ 😀
ব্লগে স্বাগতম ভাইয়া, আর ছবি গুলাও জোশ ।
:hatsoff: 🙂
চমৎকার!
অনেক সুন্দর,ভাই!
লেখা পাঁচতারা...ছবি পাঁচতারা...
আর এইটা ছয়তারা...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"