ডারউইনের জীবনীর উপর ভিত্তি করে তৈরী ২০০৯ এ মুক্তি পাওয়া ব্রিটিশ চলচ্চিত্র ক্রিয়েশন। যারা রিভিউ পড়তে চাননা কিন্তু সিনেমাটি দেখার আগ্রহ আছে- তারা সরাসরি নীচে চলে যেতে পারেন, ডাউনলোড লিংকের জন্য।
দৈনিক পত্রিকায় একটি বইয়ের রিভিউ লিখে দেওয়ার জন্য একজন কয়েকদিন আগে আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। আমি জীবনে কখনও কোনো কিছুর আদর্শ রিভিউ লিখিনাই, সুতরাং বেশ বাটে পড়লাম তার প্রস্তাবে রাজী হয়ে। বাসায় ফিরে গুগল এর কাছ থেকে বিভিন্ন বইয়ের রিভিউ সংগ্রহ করলাম, রিভিউ লেখার ফরম্যাট সম্পর্কে জানতে। এরমধ্যে একটার শেষ লাইনটা বেশ মনে ধরলো। সমালোচক সেখানে বলেছেন, বইটার সম্পর্কে এতক্ষণ অনেক কিছু বললাম যার কোনও দরকার ছিলনা, একটা লাইনই যথেষ্ট- বইটি পড়ুন।
ক্রিয়েশনের রিভিউ লেখার আগে আমিও একটা কথাই আগে বলে নিবো। সেটা “সিনেমাটি দেখুন” তা নয়। পুরা সিনেমায় আমাকে সন্তুষ্ট করেছে মাত্র একটা লাইন। প্রথম কয়েক মিনিটের মাথায় ডারউইনকে করা টমাস হাক্সলি’র বক্তব্য- You’ve killed God, Sir!
ছবিটি ইংল্যাণ্ডে মুক্তি পেয়েছে ডারউইনের ২০০ তম জন্মদিন এবং “অরিজিন অফ স্পিসিজ” প্রকাশের দেড়শ বছর পূর্তির দিনে। এমন একটি দিনক্ষণে মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারটিতে সবাই বেশ আকৃষ্ট হবে, ধরেই নেওয়া যায়। এছাড়াও ছবির শুরু করা হয়েছে নীচের বক্তব্য দানের মাধ্যমে-
চার্লস ডারউইনের “দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ”। প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৫৯ সালে। ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ, একক দর্শন হিসেবে যাকে উল্লেখ করা হয়। এই গল্প, বইটি কীভাবে লেখা হয়েছে তা নিয়ে।
দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি, পরিচালক (জন এমিল) Jon Amiel’s তার কথা রাখেন নি। তিনি অরিজিন অফ স্পিসিজ লেখার পেছনের গল্প বলার জন্য বেছে নিয়েছেন, ডারউইনের নাতীর নাতী র্যান্ডাল কেইনস এর লেখা বই “এনিই’স বক্স” কে।
এনি, ডারউইনের প্রথম সন্তান, বলা যেতে পারে তার সবচেয়ে ভালোবাসার সন্তান। পৃথিবীতে তার আয়ূষ্কাল ছিল মাত্র দশ বছর, কিন্তু এই দশ বছরে সে বাবার সম্পূর্ন মন জয় করে বিজ্ঞানের প্রতি তার প্রগাঢ় ভালোবাসা, একই সাথে বাবার কাজের উপর অপার আস্থা রাখার মাধ্যমে। ডাটা যেই তথ্য দেয় সেটাই সত্যি, হুজুররা কী বললো তা নয়- এই সহজ বাক্যটা আমরা সবাই এখনও গ্রহণ করে উঠতে পারিনি, যা পেরেছিল এনি। তার মৃত্যু ডারউইনের জীবনে প্রবল প্রভাব ফেলবে এটাই বাস্তবতা, কিন্তু তাই বলে ভূত হয়ে!!!
যেখানে ডারউইনের তত্ত্ব আত্মা, ঈশ্বর এইসব দুই নম্বরী মানুষের বানানো জিনিসকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে সমাজ থেকে সেখানে সেই লোকের জীবনী বানানো হবে এনির ভূতকে কেন্দ্র করে- এটা কীভাবে মেনে নেওয়া যায়!! ডারউইনের কীভাবে বই লিখেছিলেন, কোন কোন জিনিস তাকে প্রভাবিত করেছিল এই ধরণের চমকপ্রদ ব্যাপারে সিনেমাটির আগ্রহ দেখা যায়নি যতটা দেখা গিয়েছে এনির প্রতি। সাইন্স ম্যাগাজিনের রিভিউ কথাটা আরও ভালোভাবে গুছিয়ে বলেছে-
Creation’s larger problem stems from the decision to focus on a narrow slice of Darwin’s life, arguably one of the least interesting.
হাক্সলির চমৎকার উক্তি দিয়ে শুরু করা ছবিটি সবচেয়ে বেশী আহলাদিত করবে ডারউইন বিরোধীদের। কারণ পুরো ছবিজুড়েই আমার ডারউইনকে মনে হয়েছে এক পাগল গবেষক হিসেবে, যার একমাত্র কাজ মেয়ের ভূতের সাথে কথা বলা, তার কাছ থেকে উপদেশ নেওয়া (এবং এই ভূত কথন পুরোটাই পরিচালকের মাথা থেকে আগত), মেয়ের সাথে কাটানো সময়ের কথা চিন্তা করা, মাঝে মাঝে কবুতর দেখা। আমি নিশ্চিত একজন আস্তিক (এবং সৃষ্টিতত্ত্ব বিশ্বাসী) হাক্সলির মন্তব্যের পর থেকে এই চলচ্চিত্র দেখার পর- বিবর্তন তত্ত্বকে পাগলের ঠাওর বলতে দ্বিধা করবেন না। ক্ষেত্র বিশেষে বেশ কিছু উদ্ভট মন্তব্য দেওয়া হয়েছে ডারউইনের বয়ানে- নীচে তার একটি স্ক্রিন শট দিলাম (৫৩:১২)।
এখানে ডারউইন বলছেন- লজিক ইজ নট এভ্রিথিং!!!!
এনির মৃত্যুর পর যীশুকে আগে থেকেই কথা দেওয়া অনুযায়ী ডারউইন ধর্মবিশ্বাস ত্যাগ করেন পুরোপুরি। কিন্তু এই ত্যাগ করা তাকে বই লেখায় কোন আলাদা প্রত্যয় যোগান দেয়না। অথচ আমার মনে আছে, ধর্ম বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আমি কী মারাত্মক এক অনুভূতির স্বাদ পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমি এক কালো নিগার, বিশ বছর পর মালিকের শিকল থেকে মুক্তি পেয়েছি।
এনিকে নিয়ে এভাবে আগাতে আগাতে, স্ত্রীর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ দেখাতে দেখাতে হঠাৎ করে সিনেমার শেষ চলে আসে। দেখা যায় ডারউইন দ্রুততার সাথে বইটি লিখে ফেললেন, তারপর সেটি চলে গেলো প্রকাশকের কাছে। সিনেমার মাঝে মাঝে আরও কয়েকসময় বই লেখার ব্যাপার এসেছে তবে সেটি যতোটা না বই লেখার তারচেয়ে বেশী “রাইটার্স ব্লক” এর গল্প। সবশেষে একটা নাম্বারিং দিবো আমি সিনেমাটিকে। দশে চার। চার দিলাম কারণ হুদা কামে দেখলে এইটা দেখা যাবে, কিন্তু পরিচালকের এটা মাথায় রাখা উচিত ছিল যেই বিষয় তিনি বাছাই করেছেন- সেটি কোন “হুদা” বিষয় নয়।
ডাউনলোড লিংকঃ এখানে।
File Name ……….: Creation.LiMiTED.DVDRip.XviD-ALLiANCE.avi
Total Size (MB) ….: 699,96 MB
Video Length …….: 01:44:00
গালাপাগাস দ্বীপে তাঁর ভ্রমণ নিয়ে কিছু নাই?
নোপ। জাহাজ ভ্রমণের কথা আছে। কিন্তু গালাপাগাস নিয়ে নাথিং।
ডারউইনের মুভিতে ভূতপ্রেত দেখানো একেবারেই মেনে নিতে পারলামনা।এই আইডিয়াটা যার মাথা থেকে বের হইছে তার চিন্তাভাবনা ব্যাপক বিরক্তি দিলো।ধুর আমি ভাবলাম উডাধুড়া মুভি হইবো 🙁
রাসেল ক্রোর "মাস্টার এন্ড কমান্ডার" সিনেমাটায় ডারউইনের আদলে একটা চরিত্র আছে-জাহাজের ডাক্তার।দেখলে মজা পাবি।ওইখানে এমনকি গালাপাগাস দ্বীপও দেখায়।
এই মুভিটা দেখতেই হবে।
লিংকন, ডাউনলোড দে:
http://en.wikipedia.org/wiki/Master_and_Commander:_The_Far_Side_of_the_World
এই বেলা আগেই বলে রাখি-মাস্টার এন্ড কমান্ডার কিন্তু বিবর্তনবাদ বিষয়ক কোন সিনেমা না।তবে এই জাহাজের ডাক্তার চরিত্রটা ডারউইনের এতটাই কাছাকাছি যে আমি সার্চ দিয়ে তারপর নিশ্চিত হয়েছি যে চরিত্রটা আসলে ডারউইন না।তবে সিনেমা দেখলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে স্ক্রিপ্ট লেখক ডারউইনের জীবনীর সাথে ইচ্ছে করেই ওই জাহাজের ডাক্তারকে মিলিয়েছেন।সিনেমার শেষের টুইস্টেও বায়োলজির দারুন ভূমিকা আছে।রাসেল ক্রোর একটা ডায়ালগ ছিল এরকম-"জীববিদ্যা যে নৌযুদ্ধেও কাজে আসতে পারে তা আমি কল্পনাও করিনি।"
বানিজ্যিক ছবি পুরোটাই-তবে আমার কাছে ভাল লেগেছে।দেখে পারলে মন্তব্য আকারে হলেও রিভিউ দিস।
আমার নিজের একটা অবজারভেশন হচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্বের সব পাওয়া মানুষজন স্বেচ্ছায় কোন স্পিরিচুয়াল বিশ্বাসকে বেছে নিচ্ছে নিজেদের বেঁচে থাকাটাকে আরো মিনিংফুল করার জন্য। এটার মধ্যেও একটা অন্যরকম শান্তি বা মুক্তি আছে। ঠিক নিজে ওই অবস্থার মধ্যে দিয়ে না গেলে বুঝা যায় না। এদের শিল্প, সাহিত্য, সিনেমায় এখন আর বিশ্বাসহীনতাকে বড় করে দেখানোর চেষ্ঠা করে না যেটা ষাট সত্তুরের দশকে করতো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ঢালাওভাবে পশ্চিমা বিশ্ব না বলে বলা উচিত শুধু আমেরিকা। এই দেশটা গত চল্লিশ বছরে গোঁড়া থেকে গোঁড়াতর হচ্ছে।
আর ধর্মবিশ্বাস করে মুক্তির কথা বললেন আপু? হ্যা!! মাথায় এই ধারণা আসে যে, আমি মুক্ত কিন্তু আসলেই কী তাই? এই কর, সেই কর, এইটা কইরোনা, ঐটা ধইরোনা, এরা খারাপ, এদের ঘৃণা করো, ওদের ভালোবাসো-- এটায় মুক্তি?
কী জানি। আমি খারাপ নেই এবং জীবন ধারনের জন্য ১৪০০ বছর আগের ইনভ্যালিড উপদেশ এবং এবং হুজুরদের ফতোয়া ছাড়াও বেশ ভালোই জীবণ কাটাতে পারছি।
আর হ্যা রিলিজিয়াস এক্সপেরিয়েন্সের মধ্যে দিয়ে আমিও গিয়েছি। সবই মনের খেলা।
ডারউইন নিয়ে যখন কথা উঠলই তখন একটা প্রশ্ন করি। এই বিবর্তন কি প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে হয়? যেমন যার জোরে দৌড়ানো দরকার তার পা আস্তে আস্তে শক্তিশালী হয়ে যায়। বা যার উড়ে বেড়ানো দরকার আস্তে আস্তে তার পাখার সৃষ্টি হয়। অর্থাথ যার যেটা দরকার সে সেটা হাজার বছরের বিবর্তনে ধীরে ধীরে পেয়ে যায়। এখানে মূল বিষয়টা কি প্রয়োজন? না আরো কিছু আছে?
ধন্যবাদ মিশেল ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। একদিনের জন্য ঢাকা বিরতীতে আছি, চট করে সংক্ষেপে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেই।
না ব্যাপারটি এভাবে না। প্রয়োজন না বলে আসুন বলি, পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো। একেক পরিবেশে টিকে থাকতে একেক ধরণের বৈশিষ্ট প্রয়োজন। এখন একটি প্রাণীর সেই বৈশিষ্ট না থাকলে সে চাহিবা মাত্র সেই বৈশিষ্ট্য অর্জন করে নিতে পারবেনা। যারা সামান্য পরিমাণ বৈশিষ্ট্য দেখাতে পারবে, পরিবেশে তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনা ততও বাড়বে, টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়া মানে তাদের অন্যান্যদের থেকে সন্তান তৈরী সম্ভাবনা বাড়বে, অর্থাৎ ভালোরা টিকে থাকতে শুরু করবে, অর্থবরা বিলীন হয়ে যাবে। এভাবে লক্ষ বছর পরে এমন একটি প্রজাতির সৃষ্টি হবে, যাকে আপনি আর এক লক্ষ বছর আগেরটার সাথে মেলাতে পারবেননা।
আর একটা গুরুত্বপূর্ন তথ্যঃ বিবর্তন ইন্ডিভিজুয়্যাল লেভেলে ঘটেনা, বিবর্তন ঘটে পপুলেশন লেভেলে। আপনার সময় থাকলে এই লেখাটার প্রথম অংশে চোখ বুলাতে পারেন।
@রায়হান আবীর,
তোমার অন্যান্য লেখাগুলোর মতই এটাও ভালো লেগেছে।
আমার মনে হয়, যেকোন বিশ্বাসেই প্রেরণা+নিষেধ (এটা করো সেটা করো, এটা করোনা সেটা করোনা) থাকে, সেটা ধর্মবিশ্বাসই হোক আর অন্য কিছুই হোক। আর বিশ্বাস থেকে মুক্তি হলো সেইসব প্রেরণা+নিষেধ থেকে মুক্তি, তার মানে খানিকটা 'শূণ্যবোধ'।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বেয়াদবী নিবেন না আশাকরি।
শূন্যবোধটি মানটি পারলাম না। বরঞ্চ যেখানে কোড অফ লাইফ দেওয়া থাকে (এটা করো, এটা করোনা) দেওয়া থাকে সেখানে মাথা খরচের দরকার নেই, একজন এক পথে চলে গেছে, একজন এক পথে যাওয়ার জন্য বলেছেন, সেই পথে চললেই হলো।
অপরদিকে এই বিশ্বাস থেকে মুক্তি হলে, সব সময় চারপাশে তাকিয়ে অভিজ্ঞতালব্ধজ্ঞান দিয়ে ভালো, মন্দ বিবেচনা করতে হয়। এটাকে আমি শুন্যতাবোধ কীভাবে বলি?
মাহমুদ, শৃঙ্খল থেকে মুক্তি কি মানুষকে শূন্যতায় নিয়ে যায়? নাকি তাকে নিজের ওপর আরো আস্থা রাখতে সাহায্য করে? মানুষের জ্ঞান যখন কম ছিল, যুক্তিবোধ কাজ করতো না- সেই প্রাথমিক যুগে শৃঙ্খল মুক্তি হয়তো তার মধ্যে কিছু সময়ের জন্য শূন্যতার জন্ম দিয়েছিল। এখনও আমরা মানবেতর প্রানীর মধ্যে এই বোধটা পাই। কিন্তু আধুনিক মানুষ যখন শৃঙ্খল ভাঙে, তখন সে ভেবে-চিন্তা করেই ভাঙে, সাহস নিয়ে ভাঙে। যখন মানুষ তার আজন্ম লালিত বিশ্বাসের তৈরি দেয়াল ভাঙে, তার আগেই সে নিজের মধ্যে যুক্তি আর জ্ঞানের শক্তি অর্জন করে নেয়। এটা একান্তই আমার নিজের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমিও গড কিল করপো :(( (কপিরাইট জনৈক বটবৃক্ষ)
সাহসী মন্তব্য
😮 🙁 ভাইজান তো মনে হইতেছে দোজখে যাইবেন-লগে আমারেও লইয়া যাইবেন :duel: :dreamy:
তোরা তো এমনিতেই যাবি..... তোদের ছাড়া দোজখে আগুন জ্বলবো কেমনে?
:grr:
হাজার হোক কৃষ্ণের জীব তো-ওরকম অমঙ্গল কামনা করতে নেই দাদা 🙁 🙁
দোজকের আগুন গাছ না,পাথর।নেয়ামুল কোরআন পড়েন নাই ছুডোকালে? 😛
দোজখের জ্বালানী পাথর হলেও অসুবিধা নেই, " গাছ রকস্ "
😮 😮 ~x( ~x( নাহ আপনাগো লগে কথা কৈয়া সুখ নাই :(( :((
"অথচ আমার মনে আছে, ধর্ম বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আমি কী মারাত্মক এক অনুভূতির স্বাদ পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমি এক কালো নিগার, বিশ বছর পর মালিকের শিকল থেকে মুক্তি পেয়েছি।"
amar mone hoi beparte ekantoi lekhoker montobbo karon eki dhormo arekjoner kase srinkhol naw mone hote pare..