ছায়া কিংবা ছবিঃ আট

মেয়েটি সবটুকু দিয়ে ছেলেটিকে ভালই বেসেছিল। ছেলেটি শুধু শরীরটুকু নিয়ে কেটে পড়ল। মেয়েটি শরীর জুড়ে কামড়ের দাগ, নখের আচড়, কালশিটে ছাপ, তলপেটে ব্যথা, ভারী বুক আর জলে ভেজা চোখ নিয়ে লুকিয়ে থাকে।

হুজুরের কাছে আরবী পড়তে এসে এ কী হল মেয়েটির … কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, “হুজুর, ব্যথা পাই।” হুজুর উত্তেজনায়, ব্যস্ততায় উত্তর দিয়েছিল, “আল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌, কর!”

রাস্তার বোবা অর্ধ-উলঙ্গ পাগল মহিলাকেও একদিন দলবেঁধে জাপটে ধরল ওরা।

বিস্তারিত»

ছায়া কিংবা ছবিঃ সাত

এক দেশের এক সাদা মেয়ে একটু বেশি চিনি আর দুধ দিয়ে চা খেতে খেতে বইয়ের পাতা উল্টায় – দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেইন। বই পড়তে পড়তে মনে হয় কাল রাতে সে কোন খদ্দের পায়নি। আজকের দিন-রাতও যদি এভাবে যায়। না ভাবতে পারে না – আশঙ্কা, অনিশ্চয়তা আর অম্বলের ব্যথাটা একসাথে চাড়া দিয়ে ওঠে। আরেকটু চিনি নেবার জন্য কাউন্টারে আসতেই পরিচিত এক খদ্দেরের সাথে দেখা হয়ে যায়।

বিস্তারিত»

ছায়া কিংবা ছবিঃ ছয়

পরীক্ষার হল একমাত্র জায়গা যেখানে একটি ছেলে একটি মেয়েকে নির্ভয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারে, “তোমারটা একটু দেখি, দেখাবা?”
গল্পটার শুরু এখানেই।
মেয়েটি’র খুব রাগ হয়েছিল। ছেলেরা এত্ত খারাপ!

অনেক অনেক দিনের পরে মেয়েটি একদিন বলেছিল, “দেখবা?”
চাঁদ তখন ভীষণ ছুটছে মনকে নিয়ে যেন ডুরি ছেঁড়া ঘুড়ি।
পূর্ণিমার আলো-আঁধারিতে মেয়েটি কী এক হাসি হেসেছিল,
সেই থেকে ছেলেটি অন্ধ-কালা-বোবা!

কোন এক ভরা পূর্ণিমাতে দূরের এক সাঁওতাল পল্লীতে কালো এক ছোঁড়ার কাঁকাল ধ’রে মাতাল এক ছুঁড়ির নাচার বড় ইচ্ছে জমা হয়েছিল অনেক অনেক দিন ধ’রে,

বিস্তারিত»

ছায়া কিংবা ছবিঃ চার

একটা ছেলে দেশ থেকে অনেক দূরে, খানিকটা অভিমান, খানিকটা অহং আর খানিকটা ভাগ্য মিলিয়ে। মাঝে মাঝে ভাত খেতে বসলে দেশের খাবারের সেই স্বাদের কথা মনে পড়ে যায়। এখনো সে দেশ নিয়ে ভাবে, দেশের প্রকৃতির ছবি, দেশের মানুষের হাসিমুখ কিংবা দেশের জয় দেখলে পুলকিত হয়।
মনে মনে কে যেন বলে, “বুঝি, এত পচা একটা দেশ, তবু কেন জানি তাকে না ভালবেসে থাকা যায় না।”

একটা মেয়ে জানে আরেকটা মানুষ বড্ড খামখেয়ালিতে পূর্ণ;

বিস্তারিত»

ছায়া কিংবা ছবিঃ এক

মানুষটা আকাশের পানে চেয়ে থাকে। চকচকে শহরের ঝকঝকে আলোর ফাঁকে মেঘের আড়ালে আছে ঠান্ডা গোল চাঁদ। বেরিয়ে আসে, আবার ঢাকা পড়ে। জীবনে একবার প্রকাশিত হওয়া, আবার লুকিয়ে থাকার যুগপৎ চেষ্টা – লোকটি মনে মনে হাসে – হাসতে হাসতে চোখে জলের ধারা নামে। কেন কে জানে?

অনেক দূরে আরেকজন চেয়ে ছিল আরও বেশি তন্ময় হয়ে চাঁদের পানে। জোছনা গলে গলে নেমে আসছে যেন নদীর জল হয়ে।

বিস্তারিত»

ছায়া কিংবা ছবিঃ পাঁচ

এই দেশে কালো লোকটি ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে কিছু ফেলে দেয়া খাবার খুঁজে নিয়ে ক্ষুধা মেটায়। প্রথম কয়েক লোকমা গোগ্রাসে গিলে নেয়। স্বাদ, গন্ধ কোন কিছুই তো কমতি লাগে না তার কাছে! পেটের কোণে একটু ভুটভাট হয় এই যা। ক্ষুধা কমে এলে একটু আরাম ক’রে মেহগিনি গাছটার সাথে হেলান দিয়ে বাকিটুকু ধীরে ধীরে গিলতে থাকে। তারপরে উজ্জ্বল, খোলা আকাশের পানে চেয়ে একটু হেসে দেয়।

আরেক দেশে সাদা মেয়েটি শেষ রাতে এক কাপ কফির পয়সা জোগাড় করে ব্লোজব-এর বিনিময়ে।

বিস্তারিত»

ছায়া কিংবা ছবিঃ তিন

একটা ছেলে কী সুন্দর বাঁশি বাজায়। এই যেদিন একটু ফুল-টুল ফোটে, চাঁদ-টাদ উঠে, সেদিন বাঁশির সুরটাও যেন চড়ে বেশ! মেয়েটি বলেছিল, একটা কথা তার খুব জানার-শোনার ইচ্ছা বহুদিনের – সেও অপেক্ষায় থাকে, যেদিন একটু ফুল-টুল ফোটে, চাঁদ-টাদ উঠে, যদি ছেলেটি আজ বলে।
না বলা, না জানা’র ব্যথা যে কী ভীষণ বাজে বুকের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে!

আরেকটি ছেলে ভালই বাসতে গিয়েছিল নির্ভেজাল জীবনের বাইরে।

বিস্তারিত»

ছায়া কিংবা ছবিঃ দুই

কৈশোরে বিভূতিভূষণ’র লেখা ‘পথের পাঁচালী’ পড়ে মন আটকে গিয়েছিল অপু’র চরিত্রে, কাহিনী’র বিন্যাসে, আর জীবনবোধ বিশ্লেষণে। অনেক পরে টেলিভিশনের পর্দায় সত্যজিৎ রায়ের হাতে গড়া সেই উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ন দেখেছিলাম।

পার্থক্যটা পরে বলছি।
বাংলা’র শিক্ষক শিখিয়েছিলেন – ‘অপু আমাদের সমষ্টিগত কৈশোর – ব্যাখ্যা কর। – এটি ছিল পরীক্ষার সবচেয়ে ওপেন কোশ্চেন!
সেই উপন্যাস আমার এখনো সেরা পড়ার তালিকায় – সবার ওপরেই আছে!

কাছে এসে,

বিস্তারিত»

আমার আরও কিছু সময় বাকী আছে

জন্মস্থানের সোঁদা গন্ধ পেরিয়ে আমি আরও দক্ষিনে এগিয়ে যাই। সোনালী রোদ্দুরেরা এবার আমায় ঘিরে ফেলে।

আমি সাঁতার শিখি, সোনালী মাছের পাখনায়, আমি দূর্বার ঘ্রান নেই, প্রজাপতির ডানায় চড়ে ভেসে বেড়াই পুরোটা আকাশ, রোদের সংগে ছায়ার লুকোচুরি খেলি। গোপন কুঠুরি থেকে বের করে আনি দূর্লভ চিলের ছানা, উড়িয়ে দেই আকাশে। রাজকন্যার দল আমাকে ঝর্ণার পানিতে খেলতে ডাকে। পাখির সংগে ডালে ডালে উড়ে বেড়াই, দু-চোখ মেলে দেখি বাতাসে শিশিরের মিলিয়ে যাওয়া।

বিস্তারিত»