ছায়া কিংবা ছবিঃ আট

মেয়েটি সবটুকু দিয়ে ছেলেটিকে ভালই বেসেছিল। ছেলেটি শুধু শরীরটুকু নিয়ে কেটে পড়ল। মেয়েটি শরীর জুড়ে কামড়ের দাগ, নখের আচড়, কালশিটে ছাপ, তলপেটে ব্যথা, ভারী বুক আর জলে ভেজা চোখ নিয়ে লুকিয়ে থাকে।

হুজুরের কাছে আরবী পড়তে এসে এ কী হল মেয়েটির … কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, “হুজুর, ব্যথা পাই।” হুজুর উত্তেজনায়, ব্যস্ততায় উত্তর দিয়েছিল, “আল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌, কর!”

রাস্তার বোবা অর্ধ-উলঙ্গ পাগল মহিলাকেও একদিন দলবেঁধে জাপটে ধরল ওরা। গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে সে বলেছিল, “অ্যায় অ্যায় ক্যা? ভা-আ-ত দ্যা! অ্যায় অ্যায় যা!”

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আবশ্যিক নমুনা হিসেবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছিল। মেয়েটির মা আর্তনাদ করে বলেছিল, “বাবারা, আপনারা একজন একজন ক’রে আসেন, আমার মেয়েটা বয়সে ছোট!”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তার ব্যবহৃত ছাত্রীটিকে শেষমেশ বিদেশে একটি বৃত্তির ব্যবস্থা ক’রে দূরে ঠেলে দিলেন। যাবার আগে মেয়েটির পেটের ভ্রূনটিকে ‘খালাস’ করে নিশ্চিন্ত হলেন।

অবুঝ মেয়ে শিশুটিকে চকলেট কিংবা আইক্রিমের লোভ দেখিয়ে কাছের মানুষ দূরের জগতে পাঠিয়ে দিয়েছিল। যোনিপথ, পায়ুপথ ছিঁড়ে রক্তে ভেসে গিয়েছিল কাপড়, মাদুর, মেঝে।

বিধাতা পুরুষকে মগজ-মজ্জা ভ’রে এত কাম দিলে, হৃদয়ে আরেকটু দয়া, মমতা, ভালবাসা দিলে না?

ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
টরন্টো, কানাডা।

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।