ছায়া কিংবা ছবিঃ চার

একটা ছেলে দেশ থেকে অনেক দূরে, খানিকটা অভিমান, খানিকটা অহং আর খানিকটা ভাগ্য মিলিয়ে। মাঝে মাঝে ভাত খেতে বসলে দেশের খাবারের সেই স্বাদের কথা মনে পড়ে যায়। এখনো সে দেশ নিয়ে ভাবে, দেশের প্রকৃতির ছবি, দেশের মানুষের হাসিমুখ কিংবা দেশের জয় দেখলে পুলকিত হয়।
মনে মনে কে যেন বলে, “বুঝি, এত পচা একটা দেশ, তবু কেন জানি তাকে না ভালবেসে থাকা যায় না।”

একটা মেয়ে জানে আরেকটা মানুষ বড্ড খামখেয়ালিতে পূর্ণ; সে বোঝে লোকটার টানটা আছে তার অনেকখানি জুড়ে। কিন্তু বড় অবেলায় দেখা দিল সে; মেয়েটির যখন সকাল-দুপুর পার হয়ে সূর্য কেবল একটু হেলেছে, সেই মানুষটির সূর্য তখন অস্তাচলে, কেবল উজ্জ্বল আভাটুকু ধরা পড়ে এই যা! সে কিছু চায়না, বোধহয় চাইতে জানেনা, পায়ও না, পেলেও নেয়না – কী উদ্ভট টাইপের মানুষ! কিন্তু সে কি জানে এই মগজে-মননে সে কতখানি দুঃখভরা কথা, সুর, ছবি আর স্মৃতি দিয়ে ভরে তুলেছে দিনের পর দিন।
মনে মনে কে যেন বলে, “তুমি এত্তগুলা পচা, তবু তোমায় না ভেবে, না ভালবেসে আমার দিন যায় না, রাত কাটে না!

অক্টোবর ২০, ২০১৬
টরন্টো, কানাডা।

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।