লতাগুল্মের গালগল্প

আমাদের শহরে এখন সন্ধ্যা নামছে। দিনশেষের এই সময়টুকু আমার বড় প্রিয়। এখানে গ্রীষ্মের দিনগুলি অনেক লম্বা। ‘ঠাডাপড়া’ গরমে স্থানীয় লোকজন দেখি কেবল সমুদ্র সৈকতের দিকে দৌড়োয়। মাঝেমধ্যেই তাপমাত্রা একশো ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। দিনভর তুমুল গরম থাকলেও সন্ধ্যা আসে প্রশান্তি নিয়ে। সারাদিনের প্রচন্ড দাবদাহে গাছেরা তৃষ্ণাতর্ হয়ে থাকে। আমাদের বাড়ির সামনে পেছনে খোলামেলা সবুজ সমতল জায়গা আছে। সামনের চত্বরে আগে কেবল বুনো লাল গোলাপ ছিল, আর দক্ষিণের সীমানা ঘিরে ছিল ঘন সবুজ ফার্ণের ঝোপ ও জেরানিয়াম।

বিস্তারিত»

আজও কাঁদে কাননে , কোয়েলিয়া……

কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই গানটি আমার অনেক প্রিয়। গানটি তানপুরার উপর গেয়েছি। সাথে যোগ হয়েছে বাঁশির সুর। আশা করি ভাল লাগবে।

বিস্তারিত»

নজরুল গীতিঃ খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে তার  ১১৬তম জন্মবার্ষিকীতে এই গানটি আমি গেয়েছিলাম। আজ সিসিবি তে দিলাম। আশাকরি ভাল লাগবে।

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ঙ)

প-তে পযুক্তি (র-ফলা নাই)
আমি যদি বলি গত তিন বছর ধরে আমি একটি প্রযুক্তির উপর বসে আছি তাহলে আপনি কি ভাববেন? “এ আর এমন কি? সবাই কোন না কোন ধরনের প্রযুক্তির উপর বসে আছে।” কিন্তু আমি আপনাকে বলবো আমার কথাটি আক্ষরিক অর্থে নিতে। কারণ প্রযুক্তিটির নাম কর্নিং গরিলা টেকনোলজি। বর্তমান যুগের সিংহভাগ স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটগুলোর স্ক্রীণ যেই প্রযুক্তির কাঁচ দিয়ে বানানো হয় সেই প্রযুক্তি।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন

নিজের সদ্যোজাত সন্তানটিকে কোলে নিলে রমিছা বানুর বিস্ময়ের অন্ত থাকে না। এ কি তার সন্তান, তার গর্ভজাত সন্তান ! মোমেনা চাচী বলে, ‘রমিছা ! তোর পোলা তো দুনিয়া আলো করব রে ! এত্ত সোন্দর পোলা ! গায়ের রঙ য্যান ফাইট্টা পড়তাছে ! সাহেবগোর পোলাপাইনের মত দ্যাখতে হইছে রে !’

আক্ষরিক অর্থেই দুধে-আলতা ফর্সা একটা বাচ্চা, গোল সুন্দর মুখ- যেন রসে টুপটুপ রসগোল্লা। লাল টুকটুক ঠোঁট দেখে মনে হয় রক্ত লেগে নেই তো!

বিস্তারিত»

উল্টোমুখী

শীতের নরম রোদ্দুর । উঠোনে পাটি পেতে লাল রঙা লেপটা শুকোতে দিয়েছেন মা । সোনালী রোদ ছলকে যাওয়া মোটাসোটা লাল লেপটা দেখে খুশির ঝিলিক খেলে গেল নিশির মনে। গুটিসুটি মেরে বসে পড়ল লেপের ওপর।হাতে সুনীলের ‘প্রথম আলো।’ মা ওকে এ অবস্থায় দেখলে চিলচিৎকার জুড়ে দেবেন,এত বড় ধিঙ্গি মেয়ে কাজকর্ম বাদ দিয়ে রোদ পোহাচ্ছে বলে। কিছুক্ষণ আগে মা-মেয়ের এক দফা যুদ্ধ হয়ে গেছে।সকাল থেকে মা নিশিকে ঘরের কাজে হাত লাগাতে বলছেন।কিন্তু নিশি মার কথা গায়ে মাখছেই না।সে বরাবরই অলস স্বভাবের।তার ওপর এখন কলেজে শীতের ছুটি চলছে।

বিস্তারিত»

টিউশনি

রেহনুমাদের হলের গেটে অসংখ্য পোস্টার সাঁটা।চিত্র প্রদর্শনী,নাট্যোৎসব,আবৃত্তি কোর্স,বিতর্ক প্রতিযোগীতা –এসব তো আছেই,সেই সাথে টিউশনি আর পার্ট টাইম চাকরীর পোস্টারও অনেক।আজকাল টিউশনির বিভিন্ন মিডিয়া আছে।তারা বিশাল তালিকা ঝুলিয়ে দেয়-‘অমুক অমুক জায়গার তমুক তমুক ক্লাসের ছাত্র/ছাত্রীর জন্য শিক্ষিকা প্রয়োজন!’ অবচেতন মনেই এতদিন সেসব পোস্টারের দিকে তাকিয়েছে রেহনুমা।খুব একটা গা করেনি।শুধু টিএসসিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর কোন পোস্টার থাকলে সেদিকে আগ্রহ নিয়ে তাকায়।সময়-সুযোগ মিলে গেলে দু’একটা সিনেমা দেখা হয়ে যায়।কিন্তু গত চার-পাঁচদিন ধরে গেটের পোস্টারগুলো খুব ভালভাবে খেয়াল করছে ও,বিশেষ করে টিউশনিগুলোর।একটা টিউশনির খুব দরকার।ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা ট্যুর আয়োজন করা হয়েছে বান্দরবানে।হাজার চারেক টাকা লাগবে।কিন্ত মার কাছে টাকার কথা মুখ ফুটে বলার সাহস নেই তার।ছোট চাকুরে মায়ের ঘাড়ে বেশি বোঝা চাপাতে ইচ্ছে করেনা ।তাছাড়া সামনে আছে ঈদ।মা আর ছোট ভাইকে কোন কিছু উপহার দেয়ার শখটা  উথলে উঠছে মনে।গতমাসে শুধু ডাল-ভাত-ভর্তা খেয়ে খাবারের খরচ থেকে বেশ কিছু টাকা বাঁচিয়েছিল সে।ভেবেছিল সেটা দিয়ে মা আর ভাইয়ের জন্য কিছু একটা কিনবে।কিন্তু মার্কেটে গিয়ে একটা সালোয়ার-কামিজ এত পছন্দ হল যে মা-ভাইয়ের কথা বেমালুম ভুলে হুট করে কিনে ফেলল সেটা।এখন মনে মনে নিজেই নিজেকে দুষছে-রেহনুমা,তুমি বড় স্বার্থপর মেয়ে!নিজেরটা খুব ভাল বোঝ!এত্ত বড় একটা মেয়ে তুমি,অথচ এখনো মায়ের টাকায় চল!কখনো মাকে দিয়েছ কিছু ?

বিস্তারিত»

রকিমুন্নেসা ম্যাডাম

রকিমুন্নেসা ম্যাডাম ছিলেন আমাদের ফর্ম টিচার। ভীষণ জাঁদরেল। ম্যাডামের হাউস এবং ফর্ম ফিলিংস আমাদের ক্যাডেটদের কাছাকাছিই ছিল।তার ফল ভোগ করতে হত আমাদেরকে, আমরা প্রতিদিন বকা (ম,গ,ক,ক তে বকাই ছিল, মারামারির গল্প আমি সামিয়ার লেখাতেই প্রথম পড়ি) খেতাম আগের দিনের করা এবং পরের দিনের না করা কাজের জন্য অগ্রীম। (একারণে ‘খ’ শাখার, বেজোড় ক্যাডেট নম্বরধারীদেরকে আমি একটু একটু হিংসা করতাম কারণ ওদের ফর্ম টিচার হতেন মজার মানুষগুলো।) ম্যাডাম খেলাধূলাতেও বেশ ভালো ছিলেন,

বিস্তারিত»

AMEC -এর চিঠি, হাত বাড়িয়ে দিন

ফারজানার চিকিৎসার সহায়তার জন্য AMEC-এর পক্ষ থেকে সবাইকে আহবান করা হচ্ছে। যদি ছোট বোনটিকে সাহায্য করতে চান, তবে এখুনি সময়, যত দ্রুত সম্ভব।

বিস্তারিত»