“মা, মা, আমি পরীক্ষায় পাশ করেছি……”

ডিসক্লেইমারঃ এই পরীক্ষা দিয়ে আমি গ্র্যাজুয়েট ষ্টুডেন্ট থেকে পিএইচডি ক্যান্ডিডেট হলাম মাত্র, ডঃ হইতে আরো বছর দুয়েক বাকি………

গতকাল প্রায় দেড়যুগব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনের শেষ পরীক্ষাটা দিয়ে ফেললাম- পিএইচডি থিসিস প্রপ্রোজালের ডিফেন্স ছিল দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। আমার থিসিসের বিষয়বস্তু হলো, বাংলাদেশী অভিবাসী এবং শ্রমিকরা কেন দেশে টাকা (যা’র সুন্দর, পোষাকি নাম হলো রেমিট্যান্স) পাঠায়? মৌখিক পরীক্ষা, ছোট্ট একটা রুমে চারজন প্রফেসরের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হতে আক্ষরিক অর্থেই আমার সময় থমকে গেল। দুই ঘন্টাকে মনে হলো দুই মিনিট, হয়তো তারও থেকে কিছু কম। শেষে আমাকে রুম থেকে বাইরে যেতে বলা হলো কিছুক্ষণের জন্য। মিনিট দশেক পর আমার মূল সুপারভাইজার আবার ডেকে নিলেন তাদের মাঝে এবং জাড়িয়ে ধরে বললেন, আমি পাশ করেছি। আমার বোধগুলো যেন আরো ভোতা হয়ে গেলো। তারা চারজনেই বেশ কিছু দূর্দান্ত রকমের মন্তব্য করলেন যেগুলো আমার এক কান দিয়ে ঢুকে আরেক কান দিয়ে বেড়িয়ে গেল। আমি পাশ করেছি এ’ই অনুভূতির সাথে সাথে হুড়মুড় করে একসাথে বেড়িয়ে যেতে থাকলো আমার দীর্ঘ এক বছরের যাবতীয় দুশ্চিন্তা। খুশিতে এক দৌড় দিয়ে মায়ের সামনে গিয়ে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হলোঃ ‘আম্মা, আমি পরীক্ষায় পাশ করেছি’।

[ছোটবেলায় নায়ক জসীমের কথা মনে আছে?- বিশাল ভুড়ি আর গোফওয়ালা অকর্মার ধাড়ি নায়ক সারাদিন ভিলেনের গুষ্টি উদ্ধার করে কোনপ্রকার পড়াশোনা না-করেও বস্তি বা এই রকম দারিদ্রের মাঝে যুদ্ধরত আদর্শবান মা’কে জড়িয়ে ধরে বলতো’ মা, মা, আমি মাষ্টার্সে ফার্ষ্ট ক্লাস ফার্ষ্ট হয়েছি’। আফসোস, আমেরিকায় আমার মা নাই, ইউসিএলএ’তে ভিলেনও নাই। তা না-হলে সুমাইয়ার দুর্দান্ত সব রান্না খেয়ে খেয়ে দিনে দিনে গজিয়ে ওঠা আমার ভুড়ি নিয়ে আমিও মায়ের সামনে গিয়ে চিৎকার করে বলতে পারতাম ‘আম্মা, আম্মা, আমি ……।]’

রুমের বাইরে সুমাইয়া দুশ্চিন্তা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমার এক প্রফেসর ওকেও ডাক দিলেন। বললেন, আমার এই সাফল্যের পেছনে অর্ধেক অবদানই নাকি ওর। হুম, প্রফেসর ঠিকই বলেছে। গত এক বছরে আমার যেভাবে পড়াশোনায় লেগে ছিলাম, তা’তে সুমাইয়ার সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া আমার পক্ষে পেরে ওঠা আরো অনেক কঠিন হতো। ভালো ভালো রান্না করে খাইয়ে, প্রায়ই টানা ২/৩ দিন পড়ার টেবিলে আমাকে একলা ছেড়ে দিয়ে আমাকে সে শতভাগ সহযোগিতা করেছে। কাজেই, আমার এই কৃতিত্বের (যদিও এটা মাত্র থিসিস প্রপোজাল, মূল থিসিস এখনো বাকি) অর্ধেক তাকে দিতে আমি একেবারেই কার্পণ্য করি না।

আরেকজন নারী আমার জীবনে সব সময়ই জুড়ে আছেন, তিনি আমার আম্মা। ফোন করলেই এ’কথা সে’কথা থেকে তিনি প্রশ্ন করতে শুরু করেন, আমি মাছ, শাক-সব্জী, মুরগীর মাংস, ডাল, ইত্যাদি খেতে পাই কি না, শরীরের যত্ন ঠিকঠাক মতো নিচ্ছি কি না, খুব বেশি গরম/ঠান্ডা পড়েছে কি না, ইত্যাদি। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আম্মার কাছ থেকে পড়াশোনা নিয়ে কিছু প্রশ্ন, কিন্তু তিনি সেসবের ধারেকাছেও কখনো যাননা। আমি যদি তাকে জিজ্ঞাসা করি কেন তিনি আমার পড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন না, তিনি হেসে বলেন ‘তোমার পড়াশোনার আমি বুঝবো? তুমি কত বড় বড় বই পড়ো!’ তিনি হয়তো ঠিকই বলেন। প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক আমার মা’ আমার পড়ার কি-ই বা বুঝবেন। কিন্তু আম্মার কড়া কন্ঠে দিনের নির্দিষ্ট পড়া শেষ করেছি কি না শুনতে আমার খুব ইচ্ছে করে…খুউব।

জিহাদের (১৯৯৯-২০০৫) কথাই ঠিক, বড় হওয়াটা লস, আমার মতো বুড়ো হওয়া আরো বড়ো লস।

৩,৫৫১ বার দেখা হয়েছে

৪৫ টি মন্তব্য : ““মা, মা, আমি পরীক্ষায় পাশ করেছি……””

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ডক্টর সাহেব সালাম।
    শুদ্ধ বাঙলায় সেলা মালকি।
    অভিভাসী না অভিবাসী???


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    অভিনন্দন মাহমুদ। :hug:

    বিষয়বস্তু পছন্দ হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে তোমার কাছ থেকে কিছু চমৎকার ব্লগের অপেক্ষায় থাকলাম। এ নিয়ে আমাদের জানাবোঝা একেবারেই উপর ভাসা! তোমার গবেষণা থেকে অবশ্যই কিছু বিশেষ জ্ঞানের ভাগ আমরাও পাবো।

    আর সুমাইয়াকে অভিনন্দনের অর্ধেক ভাগ দিতে ভুলবে না কিন্তু...... :thumbup:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আরেকটা বিষয় মাহমুদ। অভিবাসীদের নিয়ে এবিসি রেডিও'তে একটা অনুষ্ঠান কিছুদিন করেছিলাম। ভালো হয়নি। খুব শিগগিরই আরো দীর্ঘমেয়াদি অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা আছে। কিছু ধারণা তুমিও দিতে পারো এ নিয়ে অনুষ্ঠানে কি কি করা যায়। খুবই ভালো লাগবে যদি তুমি সাহায্য করতে পারো।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      ভাইয়া,

      আমিও খুব খুশি হবো পরামর্শ দিতে পেরে (ইনডাইরেক্টলি কন্সাল্ট্যেন্সির সুযোগ চাওয়া হয়ে গেলো না তো 😕 )।

      লস এঞ্জেলসে লিটিল বাংলাদেশে অনেকের সাথে বেশ ভালো খাতির জমিয়ে নিয়েছি। দারুণ সব গল্পও জমে যাচ্ছে। একটু জিড়িয়ে নিই কয়েকটা দিন। তারপর সিসিবি'তে শেয়ার করা যাবে।

      এরপর আমেরিকায় আসলে অবশ্যই দাবী থাকল লস এঞ্জেলসে আসার। আমাদের বাসার জানালা থেকে হলিউড দেখা যায় 🙂 । আর লাস ভেগাসও মাত্র সাড়ে ৪ ঘণ্টার পথ...


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      ধন্যবাদ ভাইয়া।

      কিন্তু গতকাল থেকে আম্মাকে কল করার চেষ্ট করছি, ফোনের লাইন পাচ্ছি না। বারবার শুধু বলে যে, আমার ফোনে নাকি যথেষ্ট ব্যাল্যান্স নাই, অথচ কলিং কার্ডের অর্ধেকেরও কম ব্যবহার করেছি! ~x(


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
  4. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    অভিনন্দন মাহমুদ!
    আ হা পিএইচডি-র দিনগুলো এখন স্বপ্নের মতো মনে হয়।
    তবে পিএইচডি করে কি যা হাতিঘোড়া জ্ঞানলাভ করলাম তাই ভাবি আজকাল।
    বরং অনেক কিছু ভুলে বসে আছি। 🙁

    জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
      পিএইচডি করে কি যা হাতিঘোড়া জ্ঞানলাভ করলাম তাই ভাবি আজকাল

      -নূপুর ভাই,
      ধন্যবাদ।

      এই মাসের শেষের দিকে টোকিও যাচ্ছি শর্ট ফিল্ড ষ্টাডি'তে, দেখে এসে বলবো কি কি হাতিঘোড়া দেখে এলাম 🙂


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    সবাই কিন্তু দেশে টাকা পাঠায় না। আমার মতামতটা পরে জানাবো।
    আরে আমারে দেখি আমিনের রোগে ধরছে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    অভিনন্দন :hatsoff: :hatsoff: 🙂


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      ফয়েজ ভাই,

      এইটা পাশ করার আগ পর্যন্ত প্রোগ্রাম থেকে (টারমিনাল মাষ্টার্স দিয়ে) বিদেয় করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা' প্রতি বছরই অনেকের কপালে জুটে যায়। আমার ব্যাচে ২৩ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত টিকে আছি ১৭ জন, ঝরে পড়েছে বাকি ৬ জন। আমাদের প্রোগ্রাম থেকে বছরে গড়ে ১৪/১৫ জন ডক্টরেট শেষ করতে পারে। প্রপোজাল ডিফেন্স পাশ করায় প্রতি সপ্তাহে 'ঝরে পরা'র টেনশন থেকে মুক্তি পেলাম। এখন যে কয় বছরই লাগুক, আমি বেঁচে থাকলে ডক্টরেট ডিগ্রী আশা করতে পারি। তাছাড়া, এখন বেশ কিছু ফেলোশিপের জন্যও আমি আবেদনের যোগ্য এবং বেশ কিছু ফান্ডিং রেষ্ট্রিকশন থেকে মুক্ত।


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

        ওওওওওওও। এতক্ষনে বুঝা গেছে জিনিসটা।

        আমি তো ভাবছিলাম তুমি বুঝি ডঃ হইয়া গেছ। সমস্যা হইছে তোমার ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়া, ভাবছি তুমি আর পড়বা না, ছাইড়া দিছ এইসব আবজাব 😀


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
        • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

          ভাইয়া,

          ষ্ট্যাটাস ঠিকই আছে, বাস্তবিক আমার আর কোন পরীক্ষা নাই। আমাকে এখন C.Phil (candidate in Philosophy) ডিগ্রী দিবে, যা' দিয়ে থিওরেটিক্যালী আমি এখনই আণ্ডারগ্র্যাড লেভেল পর্যন্ত পড়ানোর চাকুরীতে যেতে পারি। আর ফাইনাল থিসিস ডিফেন্সের আগেই শিক্ষকতার চাকুরী পেয়ে তারপর ডিফেন্ড করার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগের কাছাকাছি বলেই বলেছি যে, এইটা আমার শেষ পরীক্ষা।

          তবে পড়ার ব্যাপারে ঠিকই অনুমান করেছেন, এক্ষণ থেকে আমার আর অন্যদের কোর্সে পড়া লাগবে না, বরং নিজের কোর্স পড়াবো 🙂 (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)


          There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

          জবাব দিন
  7. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ফুকোদা, অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্চা... :clap:
    ভাবিসাব রে... :salute:

    আগে থেকে টপিকটা জানলে আপ্নারে একটা সেই রকম পয়েন্ট দিতে পারতাম... :-B
    যেসব দেশের বিনিময় মূল্য বাংলাদেশের চেয়ে বেশি সেখান থেকে রেমিট্যান্স দেশে বেশি আসে, কারন টাকা অনেক বেশি পাওয়া যায়...এক হাজার ডলার দেশে হয়ে যায় একাশি হাজার টাকা...সবই সাইকোলজির খেলা...!! ;)) আমার ধারনা আমাদের দেশে জাপানি ইয়েন রেমিট্যান্স হিসেবে খুব কমই আসে... :-B


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      জুনায়েদ,

      আমার জানা মতে জাপানের প্রবাসী বাংলাদেশীরা সবথেকে বেশি টাকা দেশে পাঠায় 😛
      তোমার যুক্তিটা রেমিট্যান্স নিয়ে অর্থনীতিবিদদের আলোচনার মতো লাগল। কিন্তু এটা যৌক্তিকভাবে দূর্বল (logically incoherent)। কারণ, টাকার বিনিময় মূল্যকে তোমার উল্লিখিত ভূমিকা পেতে হলে প্রবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন মুদ্রার সাথে টাকার বিমিনয় মূল্য সম্পর্কে তথ্য এবং একাধিক মুদ্রায় আয়ের+সঞ্চয়ের সুযোগ থাকতে হবে যা'র কোনটাই সাধারণঃত তাদের নেই।

      মনে হচ্ছে, তোমার এই ধারণা এসেছে মুক্তবাজার অর্থিনীতির অনুমান থেকে। বিদ্যমান রেমিট্যান্স ডিস্কোর্সে এই মতবাদ একচেটিয়ে হলেও এর দূর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা+ কাটিয়ে ওঠার সময় সমাগত 🙂


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
  8. ইসলাম (১৯৯৬-২০০২)

    মাহমুদ ভাই,

    অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আর যদি কখনও সুযোগ হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে যাওয়ার তাহলে মনে করে আমার কুঁড়ে ঘরে আপনার আর ভাবীর পদধূলি দিয়ে যাবার অনুরোধ থাকল।


    Islam, CCR (1996-2002)

    জবাব দিন
  9. মুরাদ (৯০-৯৬)

    দোস্ত জেনে খুব ভাল লাগলো... অনেক দিন পর ব্লগে ঢুকলাম ......

    যারা শ্রমিক লেভেলের তারাই সাধারণত টাকা পাঠায়... কিন্তু গ্র্যাজুয়েট লেভেলের মানুষেরা কমই পাঠান... গ্র্যাজুয়েট লেভেলের মানুষেরাকি স্ট্যাটাস রক্ষা করতেই কাহিল হয়ে যায়... শ্রমিক লেভেলের মানুষদের কি কোনই স্ট্যাটাস খরচ নেই...... নাকি অন্য কোন সূক্ষ্ম মানবিক ব্যাপার আছে? কে জানে?


    শামীম মুরাদ

    জবাব দিন
  10. মুহিব (৯৬-০২)

    অভিনন্দন ভাইয়া।

    আপনার কি আসলেই জসীম এর মত ভুড়ি হইছে ? না কি বউ এর রান্নার প্রশংসা করতে গিয়া তুলনাটা ভুল দিছেন। আপনার ভুড়িওয়ালা ছবি দেখতাম চাই। =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।