ক্যাডেট কলেজের চিঠি

প্রিয় দেবী,

প্রথমেই বলি তুই তুই করে লিখতে পারবো না। মনে হয় পাশের বেডের মুকতাসিদের সাথে ঝগড়া করে চিঠি পাস করছি। কেমন আছো তুমি? যেমনই থাক, এই চিঠি পড়ার পর খুব ভাল থাকবা। ধরে নিচ্ছি স্যার পড়ার আগেই হাউজ বেয়ারাকে ম্যানেজ করে চিঠি নিয়ে এসেছো।

তোমার চিঠি পেলাম দুইদিন হলো। আচ্ছা তোমরা কি কলেজে মোবাইল নিবা না? আর কতদিন বাংলা রচনায় পড়বে প্রযুক্তির ব্যাবহার।

বিস্তারিত»

একটি খোলা চিঠি

নীলিমা,
অনেক দিন পর আজ আবার তোমায় চিঠি লিখতে ইচ্ছে হলো।
আজ একটি বিশেষ দিন। গুছিয়ে তোমাকে চিঠি লেখা কেমন জানি কঠিন হয়ে ঠেকছে।
প্রথম প্রথম তোমায় কিছু লিখতে গেলে সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যেত।
খেই হারিয়ে ফেলতাম আমি। অনুভূতির ব্যাকরণগুলো কেমন বিব্রত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকত।
সত্যি বলতে কি – আজো আমি অবিকল আগের মতই। তোমার ভাষায় –

বিস্তারিত»

ডাকঘর – দুই

ক্ষণে ক্ষণে বসন্তদিন ফেলেছে নিঃশ্বাস
[আগের চিঠিটি এখানে]

প্রিয় পুণ্ডরীক,

তোমার চিঠি আমাকে চমকে দিলো এতো বছর পর। বিরিশিরি গিয়েছিলাম একটি রেসিডেন্সিয়াল আর্ট এ্যাপ্রিসিয়েশন ওয়ার্কশপ করাতে। দুদিন আগে ফিরে দেখি অমুক বিলের চিঠি, তমুক দাওয়াতের কার্ডে লিভিং রুমের চায়ের টেবিলে খামের স্তূপ। আজ সেগুলো ঘাটতে গিয়ে অপ্রত্যাশিত তোমার এই চিঠি আমাকে ভীষণ আশ্চর্য করলো।

বিস্তারিত»

ডাকঘর – এক

অতীত হয় নূতন পুরানায়

একসময়কার পুরানো ঢাকার তরুন-তরুণীর গল্প। দেশে পড়ালেখার পর্ব চুকিয়ে প্রেরক এবং প্রাপক একই সময়ে বিদেশে যায় পড়তে। প্রাপক স্পেনে এবং প্রেরক কিউবাতে। একসময় তাদের বিচ্ছেদ হয়। প্রাপক দেশে ফিরে আর্ট হিস্ট্রির শিক্ষকতা করে আর প্রেরক হ্যাভানার একটি কলেজে পেইন্টিংসের শিক্ষক। অনেক বছর পর এই চিঠি লেখা হয়।

প্রিয় জারুলফুল,

পরশু শেষরাতে নেভিলের টেলিফোনে আমার ঘুম ভাঙ্গলো।

বিস্তারিত»

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ২

পূর্ব প্রকাশের পর…

রাইন!

ইশ! কতো কিছু মনে করায় দিচ্ছেন!

আরেকটা গাছ ছিলো। ফুলার রোডের ঐ পাড়া। ভিসির বাড়ি আর ইউনিভার্সিটির মাঝখানে একটা আইল্যান্ড ছিলো, তিনকোনা। সেই আইল্যান্ডের মাঝখানে… মাঝখানেই তো।
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। আমি ল্যাবরেটরি স্কুলের যেতাম আর উইক-এন্ডে ঐ খানেই ছায়ানট, নাচ শিখতাম। কখন ফোটে কৃষ্ণচূড়া? গ্রীষ্মকালে?
পুরা রাস্তায় পাঁপড়ি ছড়িয়ে থাকতো আর আমি মাঝে মাঝে তুলতাম।

বিস্তারিত»

তুমি জানবেও না যে এই লেখাটা তোমায় নিয়ে…

আ,

ছোটবেলায় আমি একবার দৌড়ের রেসে নেমেছিলাম। অনেক প্রাণপণ দৌড়ে নিঃশ্বাসের শেষবিন্দুতে পৌঁছে দেখি আমি হেরে গেছি আরেকটা ঢ্যাঙা ছেলের কাছে। সেদিন ফিনিশিং লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে আমার অনেক কান্না পাচ্ছিলো, ছোট ছিলাম। আবেগী ছিলাম। এখনও হতচ্ছাড়া আবেগ আমায় ছাড়ে না। সেদিন থেকে হারতে বড়ো কষ্ট হয় সবসময়।

বছরের বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের কখনোই দেখা হয় না! এটা খুব অদ্ভুতভাবে তুমি একদিন বললে,

বিস্তারিত»

শেষ চিঠি

fragments_home_editor_letter_image1

অহনা
কি লিখব ভেবে পাচ্ছিনা,অনেক কথা মনে জমে আছে।অনেক কষ্ট জমে আছে,অনেক অভিমান।জানিস তোর চিঠি গুলো এতবার পড়েছি সব মুখস্ত হয়ে গেছে।জানিস একসময় অনেক স্বপ্ন দেখতাম,আর দেখিনা।স্বপ্ন হারানোর কষ্ট সহ্য করা খুব কঠিন।আমি আর স্বপ্ন দেখিনা কারণ আমি তোর স্বপ্ন গুলো নষ্ট করে দিয়েছি।মনে আছে তুই আমাকে বলতি যদি আমাদের বিয়ে হয় বিয়ের রাতে তুই আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদবি,আর আমি চুপচাপ বসে থাকব।সত্যি কথা আমি চুপ করে থাকতাম।তুবও কেন এমন করে চলে গেলি।জানিস তুই তো সবসময় বলতি আমি নাকি তোকে কখনো অনুভব করিনা মন থেকে,

বিস্তারিত»

কোন এক প্রেমিকের তরে তার মৃত প্রেমিকার চিঠি………

** মাহমুদ ফয়সালের ক্রমাগত দারুণ দারুণ চিঠি পড়ে এই লেখাটা শেয়ার করতে ইচ্ছা হলো । এই লেখা উৎসর্গ প্রেমিকা হারানো প্রেমিক পুরুষ এবং আমার মত ট্রাজিক ফ্যান্টাসিতে ভোগা সকল দুঃখবিলাসিদের ।

বাদল,
কেমন আছ জানতে চাই না, শুধু জানতে চাই , তুমি কি দেখতে পাও তোমার কথা ভেবে আমার বুকের ভেতর বয়ে চলা কষ্টের নীল স্রোতধারা। তোমার কথা ভেবে আমার দিন শুরু হয় আর শেষ হয় তোমার কথা ভেবে।

বিস্তারিত»

পুত্রের শিক্ষকের কাছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের পত্র

প্রাক কথনঃ
১। ক্লাস করতে গিয়ে এই কনটেন্টটা হাতে আসল। পড়ে ভালো লাগলো। ভাবলাম সিসিবির সংগে শেয়ার করে ফেলি। আমেরিকাকে যতই “মাইনাস” দেই, এটা তো সত্যি তারা কয়েকজন বড় নেতা আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন।
২। অনুবাদ আমি করিনি। আমি অনুবাদ করা অবস্থায় পেয়েছি, তবে আমার কাছে ইংরেজী স্ত্রীপ্টটাও আছে। পাঠক যদি ইংরেজীরটাও পড়তে চায়, তুলে দিতে পারব।
৩। এটার সোর্স ক্লাস টিচার।

বিস্তারিত»

মা

মা দিবসে আম্মুকে একটা চিঠি লিখেছিলাম। সময়ের অভাবে সেটা পোস্ট করা হয়নি। তাই আম্মুকে স্ক্যান করে পাঠিয়ে দিতে হল। ছোট ভাইকে বলেছি ওটা প্রিন্ট আউট করে আম্মুর হাতে দিয়ে দিতে। ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল চিঠি। e-চিঠি। দিতে গিয়ে মনে হল সিসিবিতে ও আপলোড করে দেই।
সকল মা কে মা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিস্তারিত»

সামিয়া… তোমার জন্যে

সামিয়া, আমার প্রিয় বোন,

তোমার কষ্ট সেভাবে আমরা কেউই হয়তো উপলব্ধি করতে পারছি না, যে হারায় শুধু সেই বুঝে। আমি যে কি বলে তোমাকে সান্তনা দিব আপু আমি বুঝতে পারছিনা… তুমি ভেঙ্গে পড়ো না, তুমি ভেঙ্গে পড়লে তোমার পরিবারের বাকি মানুষজনদেরকে কে দেখবে? মানুষের জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ে — এই তিনটি জিনিস আল্লাহ তা’আলা আগেই ঠিক করে রাখেন; এখানে কারো কোন হাত নেই।

বিস্তারিত»