আজ দুটি গল্প বলি একটি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া আরেকটি আমার খালাত বোনের ।
১
এক ব্যস্ত চাকুরীজীবী অনেক রাত করে বাড়ি ফেরেন প্রতিদিন। ছোট্ট ছেলেটির সাথে তাঁর প্রায়ই দেখা হয়না। তিনি আসতে আসতে বাচ্চা ছেলেটি ঘুমিয়ে পড়ে। একদিন সে জেগে বসে আছে বাবার জন্য। বাসায় ফিরার পর ছেলে পাশে এসে একথা ওকথার পর জিজ্ঞেস করল ,” বাবা তোমার ঘন্টাপ্রতি বেতন কত?” । অবাক হলেও তিনি উত্তর দিলেন ২০ ডলার। পরেরদিন আবার দেখেন ছেলেটি জেগে বসে আছে। আজ ছেলেটি বাবাকে বলল , ” বাবা আমাকে তুমি ১০ ডলার দিবে”। রেগে গেলেন তিনি, “সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলি তোদের জন্য ১০ ডলার কামাতে কষ্ট হয়না” আরো অনেক কিছু বললেন। ছলছল চোখে ছেলেটি নিজের রুমে চলে গেল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই লোকটির খুব মায়া হতে লাগল ছেলের জন্য। খুব কম জিনিসই চায় ছেলেটি তার। তাই ডাক দিয়ে ১০ ডলার হাতে ধরিয়ে দিলেন তিনি। উচ্ছল হয়ে ছেলেটি ফিরে গেল নিজের রুমে। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে আসল বাবার কাছে। খুব কাছে এসে বাবার দিকে ২০ ডলার এগিয়ে দিল। অবাক হয়ে রেগে উঠতে যাবার মুহূর্তেই ছেলেটি বলল , ” বাবা আগামীকাল ১ ঘন্টা আগে বাসায় ফিরবে? কাল আমার জন্মদিন “।
২
আমার খালাত বোন থাকে চট্টগ্রামে। দুলাভাই হচ্ছে থানা শিক্ষা অফিসার। খালাত বোন প্রতিদিনই বাসায় (ঢাকায় ) ফোন করে খালার সাথে কথা বলে। হঠাৎ একদিন ভাইয়া আপুকে বলছে, ” এত কথা কি বল প্রতিদিন। এত কথা কিভাবে থাকে?” । আমার খালাত বোনটি বেশ শান্ত । হঠাৎ সেদিন তার কি হল মোবাইল খানা ভাইয়ার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,” দেখি তুমি তোমার বাবা মার সাথে কথা বল তো?পার কিনা ” । ভাইয়া পুরা অবাক কারণ ভাইয়ার বাবা-মা দুজনই মারা গেছেন অনেক আগেই। সেই থেকে ভাইয়া আর কোনদিন আপুকে ফোন করার কথা কিছু বলে না বরং আপু ফোন না করলে উনি নিজেই বলে কি ব্যাপার আজ যে ঢাকায় ফোন করলা না।
খুব ভালো লাগল।
প্রথমটা পড়ে খুব কষ্ট পেলাম।
আরে! আমি দেখি প্রথম হয়ে গেলাম।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে! 😀
দুক্ষের কাহিনী 🙁 🙁
🙁 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
প্রথমটা আমি একটু অন্য ভাবে পেয়েছিলাম। কিন্তু মুল থিমটা একই ছিল।
সত্যি বাবা-মা না থাকলেই বুঝা যায় কি নেই। যাদের আছে তারা কখনই বুঝবেনা, তাদের কি আছে, যেদিন ওনারা চলে যাবেন, সেদিন বুঝবে কি হারালো।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বুঝি নাই প্রথমটা। ফয়েজ ভাইয়ের মন্তব্য পইড়া আরো কনফিউসড।
ফয়েজ ভাইর মন্তব্যের সেকেন্ড অংশ হচ্ছে দুই নম্বরটা নিয়ে। আর প্রথমটা হচ্ছে যেসব বাচ্চারা বাবা-মা কে কাছে পায় না তাদের নিয়ে , ফ্যামিলিতে সময় দেওয়া নিয়ে।
আমরা যারা সাংবাদিক তাদের অবস্থা আরো খারাপ। বাসায় ফিরি রাত ১১টার দিকে। সকালে বেরোই। তয় আমার ছেলে-মেয়েরা আমারে এখনও চিনতে পারে। 😀
বস কি হিসাবে চেনে? একজন লোক তাদের বাসায় শুধু ঘুমাইতে আসে সেই হিসেবে? 😀
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
=)) =)) :khekz: :khekz:
পোলাপাইনের পিছনে ল্যাজ গজাইছে 😉 😉 ।
Life is Mad.
সায়েদ ভাইরেও তো পোলা বলেই জানতাম 😉
টিটো ভাই ভাল জিনিস পয়েন্ট আউট করছেন। হাসতেই আছি।
=)) =)) =)) =)) :pira:
মন খারাপ করা লেখা।
অসম্ভবরকম ভালোও কি লাগেনি???
ওয়েলডান ব্রাদার :clap: :clap: ।
Life is Mad.
ঐ...
B-) B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ঐ... তবে ভাল লাগল। B-) B-)
দাত থাকতে দাতের মর্যাদা ...
(দুইটা গল্প বর্ননাই অসাধারণ হইছে ...
সাবাস ব্যাটা কামতপু)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
@সায়েদ ভাই এবং তাইফুর ভাই
ধন্যবাদ।
@তাইফুর ভাই
যেই নাম বানাইছেন ভাইয়া আমার কাউরে তো কইতে পারুমনা।
:khekz: :khekz:
আজকা হইলো ডা কি? সিসি্বি ছিড়তে পিরছি না!! যিই পোস্ট যাই খালি :)) :)) :)) :pira: । একদিনেই বহুত বছর আয়ু বাড়াইয়া ফালাইছি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
পিরা গিয়ে আয়ু কমানোর বদলে বাড়ানোর জন্য লাবলু ভাইর ব্যাঞ্চাই... 😀
তোর ব্যান চাব নাকি সানা ভাইএর- কনফুশনে পিড়া গিলাম... :bash:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমি তাইফুর ভাইর ব্যাঞ্চাই। আমার এত সুন্দর! নাম খানা দেওয়ার জন্য। আর সানা ভাইর ও ব্যঞ্চাই আমার নাম শুনে হাসার জন্য।
আরে না ... আমার যতদুর মনে পড়ে তোর ব্যাঞ্চাওয়া উচিৎ টিটো'র
আমি তো বাহক মাত্র 😀
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তপু ভাইয়া খুব ভাল হয়েছে। 🙂 🙁
ধন্যবাদ 🙂 🙂