আমার শিক্ষকগণ ১

আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো ফাঁকিবাজিতে ভরা । তবে আমার শিক্ষকরা ছিলেন চমতকার। বইএর বাইরে তাদের কাছে যা শিখেছি তাই ভাঙ্গিয়েই জীবন চলছে । প্রথমে সুলতা দিদি মনির কথা বলি। আমি যখন মিশন স্কুলে ভর্তি হলাম (এই স্কুলের ভালো নাম স্যাকরেড হার্ট জুনিয়ার হাই স্কুল) তখন আমার নিজের ভালো নাম জানতাম না। একটা মৌখিক ভরতি পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো। মাদার ভিঞ্চিন্সা, সিস্টার জেমস আর সুলতা দিদি মনির কাছে।

বিস্তারিত»

স্বীকারোক্তি

ঘটনা ১৯৯৭ সালের,এসএসসি পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। আমাদের সাইন্স পার্টির শুধু টিউটোরিয়াল বাকী আর আর্টস পার্টির একটা শেষ পরীক্ষা। যাই হোক এই পরীক্ষা শেষে আর্টস পার্টির ভিতর বিরাট হৈ চৈ ,মহা অসন্তোষ ইতিহাসের এক স্যারকে নিয়ে।স্যার এর সঠিক নামটা ঠিক মনে নাই কিন্তু আমরা সবাই বড়ভাইদের দেয়া টিজনাম টাং টাং হিসাবেই চিনতাম। স্যার ক্যাডেটদের পিছনে খুবই লেগে থাকা টাইপএর ,অসম্ভব রোগা আর কথা বলার সময় কাপতেন,

বিস্তারিত»

সম্রাট বাবর ও তার সাঙ্গপাঙ্গ……

ক্লাস ৭ থেকে আমাদের ইতিহাস ক্লাস নিতেন জহির স্যার। জহির স্যার সম্রাট বাবরের বিশাল ফ্যান। তিনি মুঘল আমলকে পড়াতেই সবচে বেশি পছন্দ করতেন। তাই আমরা তার নাম দিয়েছিলাম সম্রাট বাবর।

স্যার ক্লাস এ আসলে ফর্ম সাবধান না বলে আমরা মোঘল আমলের মত সুর করে বলতাম (ফর্ম লিডার বলতো)……মুঘল-ই-আজম……মুঘল-ই- শাহেনশা………… সম্রাট বাবর……এইসব…

স্যারের একমাত্র পানিশমেন্ট সিল ব্যান্ড পজিশন করায়ে পশ্চাৎদেশে কাঠের স্কেল দিয়ে মাইর।

বিস্তারিত»

‘হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক’-অভিজ্ঞান — (ডঃ অনাথবন্ধু মল্লিক)

ড. অনাথবন্ধু মল্লিক; মাত্র বছর দুয়েক (কিংবা কিছু বেশি) এই অসাধারণ শিক্ষকের সান্নিধ্য লাভ করেছিলাম। স্যার প্রায়শঃ একটা কথা বলতেন যার সারমর্ম ছিলো, “এমন চিন্তা, এমন কাজ করো; যাতে শুধু নিজের নয় অন্যেরো ভালো হয়।” আর তাই হয়তো নানা স্মৃতির ভীড়েও ঘুরেফিরে স্যারের উপদেশটুকু ভেসে ওঠে। তিঁনি একাধারে বাংলার অধ্যাপক, ভাষাবিদ, গবেষক, গীতিকার, সুরকার, সাহিত্যিক এবং নাট্যকার। উদার, নিঃস্বার্থ এবং অসম্ভব ভাষা-প্রেমী এই শিক্ষক খুব রেগে উঠতেন বাংলা বানানের ভুল চোখে পড়লে।

বিস্তারিত»

রকিমুন্নেসা ম্যাডাম

রকিমুন্নেসা ম্যাডাম ছিলেন আমাদের ফর্ম টিচার। ভীষণ জাঁদরেল। ম্যাডামের হাউস এবং ফর্ম ফিলিংস আমাদের ক্যাডেটদের কাছাকাছিই ছিল।তার ফল ভোগ করতে হত আমাদেরকে, আমরা প্রতিদিন বকা (ম,গ,ক,ক তে বকাই ছিল, মারামারির গল্প আমি সামিয়ার লেখাতেই প্রথম পড়ি) খেতাম আগের দিনের করা এবং পরের দিনের না করা কাজের জন্য অগ্রীম। (একারণে ‘খ’ শাখার, বেজোড় ক্যাডেট নম্বরধারীদেরকে আমি একটু একটু হিংসা করতাম কারণ ওদের ফর্ম টিচার হতেন মজার মানুষগুলো।) ম্যাডাম খেলাধূলাতেও বেশ ভালো ছিলেন,

বিস্তারিত»

মেজর ম্যাক্স : শুভকামনা

মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য

মেজর ম্যাক্স : অভ্যস্ততা ও অন্যান্য

মাকসুদ স্যারের সাথে আমাদের ইন্টার‌এ্যাকশনটা বেসিক্যালি হত সায়েন্স গ্যালারিতে। অন্যান্য কলেজে কিরকম জানিনা তবে আমাদের সায়েন্স গ্যালারি হল একটা বড় ক্লাসরুম যেখানে দুটো ফর্মই একত্রে বসে ক্লাস করতে পারে। এখানে স্যার আমাদের দুটো ফর্মকেই একসাথে নিয়ে বসিয়ে আংফাং নানান বিষয়ে বকবক করতেন। আমাদের আগ্রহটা বেশি ছিল সামনের আইএসএসবি নিয়ে।

বিস্তারিত»

মেজর ম্যাক্স : অভ্যস্ততা ও অন্যান্য

মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য

দিন যায়, আমরা স্যারের সাথে অভ্যস্ত হতে থাকি।

ইত্যবৎসরে স্টাফদের রুমের চারপায়ার নিচটা ভাঙ্গা গাছের ডালে ভর্তি হয়ে গেছে। ওগুলো ক্যাডেটের পশ্চাৎদেশে প্যাদানির কাজে চাহিবামাত্র সরবরাহ করা হত মাকসুদ স্যারকে। একদিন আমাদের কয়েকজন দুপুরের কড়া রোদ্রে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে শুয়ে মাছ ভাজা হল (পরে বিএমএ’তে শুনেছি এটাকে বলে “জিসি ফ্রাই”)। ফুটবল খেলতে নেমে কিছু হলেই ফ্রন্টরোল দেয়া অভ্যাস হল।

বিস্তারিত»

মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য

ক্লাস টুয়েলভে আমাদের যখন এ্যাপয়েনমেন্ট দেয়া হয় তখন এ্যাক্টিং এ্যাডজুট্যান্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মনোয়ার স্যার। তার দিন কয়েক পরেই আমাদের টার্মএন্ড লিভ শুরু হয়। ছুটি থেকে এসে হাউসের সামনে যাবতীয় ফর্মালিটিজ পুরা করার সময় দেখি স্যারদের সাথে এক অপরিচিত ভদ্রলোক বসে বসে তামাশা দেখছেন। কোন কথা বলছেন না। তাকে আলাদা করে খেয়াল করার কোন কারণই ছিল না। খালি যেটা নজর কেড়েছিল তা হলো সামনের দিকে চোখ পর্যন্ত নেমে আসা লম্বা চুল।

বিস্তারিত»

রসায়নঃ বাতেন স্যার অধ্যায়

সাবজেক্ট হিসেবে রসায়নে খুব একটা ভালো না করলেও কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রায় সবার সাথেই আমার কেমন করে যেন টুকরো টুকরো অনেকগুলো স্মৃতি জমা হয়ে আছে। ক্লাস ইলেভেনের প্রথম দিকে একদিন ক্লাস করার জন্য যখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি তখন বাতেন স্যার এসে গল্প করেই পুরো ক্লাস পার করে দিলেন। সাধারণত স্যার এটা করেন না। কেন যেন স্যারের এইদিনের ব্যাপারটা আমার পছন্দ হল না। কিন্তু সমস্যা এখানে না।

বিস্তারিত»

আমার জীবন আমাদের জীবন : হৃদয় ভাঙ্গার কাল

আমার জীবন, আমাদের জীবন : থমকে যাওয়া মুহূর্ত

১. ক্লাস নাইনের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার প্রায় শেষ মুহূর্তে হঠাৎই একটা শোরগোল, একটা খারাপ কিছুর গুঞ্জন টের পেলাম। পরীক্ষার ইনভিজিলেটর দুইজনের মধ্যে একজন আরেকজনকে বলে হুড়মুড় করে চলে গেলেন। কি হল জানতে না জানতেই মিনহাজ ভাই ক্লাসের দরজার সাথের তালাটা খুলে দিয়ে ফর্ম লিডারকে রিকোয়েস্ট করে গেলেন জানালা আটকে দিয়ে দরজা বন্ধ করে তবেই বের হতে।

বিস্তারিত»

আমার জীবন আমাদের জীবন : থমকে যাওয়া মুহূর্ত

আমার জীবন, আমাদের জীবন : হৃদয় ভাঙ্গার কাল

১. বেলাল স্যারের (রসায়ন) উপস্থিতি আমার জন্য কখনোই আরামপ্রদ নয়। এর কারণ সম্ভবত উনার আনপ্রেডিক্টেবল আচরণ। কখন কোন কথায় মাইন্ড করেন আর কখন কোন কথার উত্তরে যে হাসি আশা করেন বুঝতে পারতাম না। একদিন কি মনে করে যেন স্যার আমাদের ক্লাসের অন্যতম ধার্মিক ক্লাসমেট জামালকে একটা সমস্যা টাইপ প্রশ্ন করে বসলেন। সিরাজগঞ্জের (অথবা পাবনা,

বিস্তারিত»