টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৬]
১. লোকাল সোর্স সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঠিকানা জানাচ্ছে, “…..ছার, আমি কনফারোম (কনফার্ম) যে ঐ বাড়িতে আরোমস্ (আর্মস) আছে,
বিস্তারিত»: কিরে কাকে ফোন দিচ্ছিস?
: আমার গার্ল ফ্রেন্ডরে।
: গার্লফ্রেন্ড? কোন গার্লফ্রেন্ড?
: মনে আছে সেই ১৯৯৬ সালে মেসে আমি আমার এক গার্লফ্রেন্ডরে নিয়ে এসে খাওয়াইছিলাম? সেই গার্লফ্রেন্ড।
গত ডিসেম্বর মাসে মিশনে আসার জন্য যেদিন নাম বের হল তারপর দিনই ইন্টারনেট থেকে লাইবেরিয়ার উপর বেশ কয়েক পৃষ্ঠা প্রিন্ট আউট নিয়ে নিলাম। ফেলুদাকে দেখেছিলাম তদন্তের বা পর্যটনের জন্য কোথাও গেলে সেই জায়গা সম্পর্কে বিশদ লেখাপড়া করে নিতেন। এমনও হয়েছে যে যাবার পথে প্লেনে বা ট্রেনে বসেও পড়ছেন। তো আমি ঠিক ফেলুদা না বরং কোথায় যেয়ে নাজিল হতে যাচ্ছি সেই জায়গাটা/দেশটা সম্পর্কে খানিকটা জানাই ছিল উদ্দেশ্য।
বিস্তারিত»মিশন এলাকায় একই স্থানে আবদ্ধ থাকতে থাকতে এবং একই কাজ করতে করতে একঘেয়েমি চলে আসে। এটা কাটানোর জন্য যৎকিঞ্চিত বিনোদনের যা ব্যবস্থা আছে তাও অপ্রতুল মনে হয়। তারউপর আছে পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকার কষ্ট। এই সবকিছু মিলিয়ে একটা মানসিক ক্লান্তি আমাদের সবার উপর ভর করে বসে যেটাকে সহজভাবে “স্ট্রেস” বলে আখ্যায়িত করা হয়। আর এটাকে কমানোর জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপই “স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট”।
আমরা যে স্থানে থাকি সেটা “কারী কমপ্লেক্স”
বিস্তারিত»লাইবেরিয়াতে আসার আগে বৌ’কে নিয়ে মুশফিকের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সাথে ছিল শামীম। ও বছরখানেক আগে পার্শ্ববর্তী দেশ আইভরী কোস্টে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করে গেছে। গাড়ীতে বসে শামীম নানান পরামর্শের সাথে সাথে পশ্চিম আফ্রিকার বিপদজনক রোগবালাইয়ের কথা বলছিল। ম্যালেরিয়া, ইয়েলো ফিভার, টাইফয়েডের সাথে ছিল লাসা ফিভারের কথা। লাসা ফিভারে আক্রান্ত হয়ে একজন সৈনিক মারা গেলে স্টিলের কফিনে ৪০ ফুট মাটির নিচে লাইবেরিয়াতেই সমাহিত করা হয়।
বিস্তারিত»সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশনের (CIMIC) আওতায় লাইবেরিয়ায় ইউএন মিলিটারি কন্টিনজেন্টসমূহ কর্তৃক বিভিন্ন স্হাপনা নির্মান করা হয়েছে। এগুলো মূলত খেলাধুলা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরীর জন্য স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হয়। আমাদের নিকটতম যেই স্থাপনাটি আছে সেটার নাম BLYC – “বাংলাদেশ লাইবেরিয়া ইয়ুথ সেন্টার” । এখানে আছে একটা ফুটবল মাঠ, বাচ্চাদের খেলার জন্য একটা বড় পার্ক আর একটা ট্রেনিং সেন্টার। ফুটবল মাঠে স্থানীয় টিমগুলো ফুটবল খেলে। আমরা এখানে কম্পিউটার,
বিস্তারিত»টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৯]
১. বিএমএ’তে আমাদের জনৈক প্লাটুন কমান্ডার নাতিদীর্ঘ নসিহত শেষ করার পর বললেন, “ইউ হ্যাভ টু মেক মি আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট ইউ হ্যাভ নট আন্ডারস্টুড। ইফ ইউ ক্যান নট মেক মি আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট ইউ হ্যাভ নট আন্ডারস্টুড দেন হাউ উইল আই আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট ইউ হ্যাভ নট আন্ডারস্টুড”?
বিস্তারিত»গত মার্চ মাসে লাইবেরিয়া আসার মাস দেড়েক পরে বাংলাদেশী অফিসার সৈনিকদের প্রথম একটা ভালোরকম গ্যাদারিং হল। সেখানে সাউন্ড সিস্টেমে অন্যান্য অনেক বাংলা গানের পাশাপাশি বাজানো হচ্ছিল মিলার “বাবুরাম সাপুড়ে” ও “যাত্রাবালা” গানদুইটা। গানের আবেদন নিবেদন আর মাদকতার প্রথম ধাক্কাতেই আমরা যার যার জায়গায় কাইত হয়ে পড়ে গেলাম।
লাসা, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি বাইপাস করে মহামারী আকারে শুরু হলো ‘মিলা ফিভার’। সিনিয়র জুনিয়র, ছোট বড় সবাই কম বেশি আক্রান্ত হল এই জ্বরে।
বিস্তারিত»লাইবেরিয়ার জনগনের ভাষা ইংরেজি। কবে কিভাবে এখানের ছোট বড় অনেকগুলো গোত্রের ভিতর ইংরেজি স্থান করে নিয়েছে তা জানতে হলে বিস্তর ঐতিহাসিক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে। তবে সাধারণ হিসেবে যেটা বলা যায় সেটা হলো, তুলা চাষের জন্য এখান থেকে যাদেরকে দাস হিসেবে অ্যামেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দাসপ্রথা বিলুপ্তির পর তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমেই বোধকরি ইংরেজির আধিপত্য।
আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি তাদের জন্য এটা একটা আশির্বাদ।
বিস্তারিত»ক্যাম্পে এসেই প্রথম যেই জিনিসটা চোখে পড়ল তা হলো অনেক অনেক বিড়াল। গাড়ি থেকে নেমে একটা বিড়ালকে দাবড়ানি লাগাতেই আমার এক সৈনিক হা হা করে বলে উঠল, “স্যার এগুলো তো পালা বিড়াল। ইঁদুর মাইরা সাফ কইরা রাখে”। বুঝলাম যেখানে ইঁদুর বাহিত লাসা ফিভারের প্রচন্ড ভীতি (যাতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ দেশে ফেরত নেয়া হয় না পর্যন্ত এবং স্টিলের কফিনে কমপক্ষে ৪০ ফুট নিচে সমাধিস্থ করা হয়) সেখানে এই বিড়াল সম্প্রদায় জামাই আদরেই আছে।
বিস্তারিত»