অনেক বছর হয়ে গেছে লিখিনা, আমিও যেন লেখা ভুলে গেছি! বারবারই লেখার কথা ভাবলে আমার হারানো ডায়েরী টার কথা মনে পড়ে, স্ট্যান্ডিং অ্যাট দি এজ পার্ট ২ এর কথা মনে পড়ে, এখকারশনের সাত দিনের যত গল্লপ মনে পড়ে। আমার মনেও নাই কি কি লিখেছিলাম। এগুলা ভাবলে আর লেখার ইচ্ছে হয় না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এক অজুহাত দিয়ে কত বছর নিজের থেকে পালানো যায়? সবাই নাহয় বিশ্বাস করছে,
বিস্তারিত»দোলাচলে
বিশাল বিশাল দু’টো গামলায় লুচির পাহাড় জমে উঠেছে। চপলাদি দ্রুত হাতে লুচি বেলে দিচ্ছে আর মা দু’ ঘন্টা যাবত অম্লান বদনে লুচি ভেজে যাচ্ছেন। দু’ লিটার তেলের বোতল লুচি ভাজতেই খালি। রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে সূচনা বলে, ‘ মা! তুমি পাগল হলে নাকি!এত লুচি কে খাবে !’
‘ গরম গরম লুচি একবার খাওয়া শুরু করলে কখন শেষ হয়ে যাবে টেরও পাবি না !
বিস্তারিত»প্লট
রেডিওতে বিবিসি সংলাপ শুনছিল আসিফা।হঠাৎ কে যেন তার পাশে এসে বসল।অপরিচিত একটা কণ্ঠস্বর বলে উঠল, ‘আসিফা আপু।’
‘কে?’
‘আমাকে চিনবেন না আপু।আমি মার্জিয়া।পাঁচতলায় থাকি।ডাইনিংয়ে, ক্যান্টিনে, জামালের দোকানে আপনাকে প্রায়ই দেখি। আমার এক বান্ধবী- সুমনা, চেনেন বোধহয়।ও আমাকে বলল আপনার একজন ভলান্টিয়ার দরকার।’
‘হ্যাঁ আপু, তা তো দরকার।দু’জন আমাকে রেকর্ডিংয়ে সাহায্য করত। একজন বাড়ি গেছে। আরেকজনের পরীক্ষা। তা কখন কখন সময় দিতে পারবে ?
বিস্তারিত»চলুন একটি ঝরে যাওয়ার গল্প বদলে দেই
সেই মেয়েটির গল্প বলি। রাশনা। বাবা মা ডাকে রাশু বলে,আমরা কখনো রাশনা কখনো ওর নামটা একটু পরিবর্তন করে বাসনা। আমাদের কথা শুনেই ওর হাসির বেগ বেড়ে যায়। বন্ধুত্বের দাবী নিয়ে বন্ধুকে অনেক কিছুই বলতে পারি বলা যায়। অনেক সন্ধ্যাবেলা জানালা দিয়ে রাশনা আকাশ দেখতো। ক্যাডেট কলেজের চারদেয়ালের মধ্যে বন্দী হয়ে সীমাহীন মুক্ত আকাশ। কখনো সখনো ওর খুব কাছে চলে যেতাম। পেছন থেকে চোখ চেপে বলতাম,রাশনা একটু তুই হাসনা।
বিস্তারিত»মনের চোখে
প্লাস্টিকের মলাটে বাঁধানো একটি খাতা । যদিও যত্নের কোন অভাব হয়নি তবু খাতাটির ধরণ-ধারণ দেখলে বোঝা যায় এর বয়স অনেক ।প্রায় ৩১-৩২ বছর তো হবেই । মনে মনে হিসেব করে আফসানা আহমেদ। তার ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে এটি তার সঙ্গী।আফসানার এক মামা থাকতেন লন্ডনে। প্রায়ই ভিউকার্ড পাঠাতেন তিনি । ইংল্যান্ডের দর্শনীয় সব জায়গার ছবিঅলা সুন্দর সুন্দর ভিউকার্ড। এই খাতার পাতায় পাতায় সেগুলো আঠা দিয়ে সেঁটে রাখতে রাখতে হয়ে গেল একটা স্ক্র্যাপবুক ।
বিস্তারিত»ভয়
পহেলা বৈশাখের বিকেল বেলা ।রোদ কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে । বন্ধুদের সাথে বেরিয়েছে তিয়ানা । স্থানীয় স্কুল মাঠে বসেছে বৈশাখী মেলা। মেলার ভেতর ঢুকতেই নজরে এল নাগরদোলা । হৈ হৈ করে ছুটল সবাই সেদিকে।দু’টো নাগরদোলা বনবন করে ঘুরছে।বন্ধুরা ভিড় ঠেলে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দিল সিরিয়াল ভেঙে সামনে যাওয়ার জন্য।
‘আমি উঠব না।’ গোমড়া মুখে বলল তিয়ানা।
‘কেন !’ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে প্রিয়ম।
বিস্তারিত»যা হবার…
বশির কাকার সাথে গুটিগুটি পায় একটা পুরনো দোতলা বাড়ির গেটে এসে দাঁড়ায় লাচি।ওর হাতের স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে একটা ফ্রক আর একটা প্যান্টের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।কাকা কলবেল বাজায়।কারও সাড়াশব্দ মেলে না।৪-৫ বার অনবরত বাজিয়ে যাওয়ার পর লাচির বয়সী একটা মেয়ে গেট খুলে দেয়।লাচির দিকে তাকিয়ে তার মুখে হাসি ফোটে।
‘বশির আংকেল,কাজের মেয়ে পেয়ে গেছেন ! বাঁচলাম ! গেট খুলতে খুলতে আমার অবস্থা শেষ !’
এক ভদ্রমহিলা ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন।
বিস্তারিত»নিখুঁত ছবিটি আমার
ক্লাস শেষে নায়লাকে ঘিরে একটা ছোটখাট জটলা হল । আমাদের ক্লাসেরই একটি ছেলে ওকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে ।নায়লা রসিয়ে রসিয়ে সে গল্প শোনাচ্ছে।এরকম জটলা প্রায়ই হয়।ক্লাসের বেশির ভাগ মেয়েই বেশ সুন্দর।একেকজন ইতোমধ্যে গড়ে ৬-৭ টা প্রস্তাব পেয়ে গেছে! আমি এধরণের জটলার নিয়মিত শ্রোতা।মন দিয়ে গল্পগুলো শুনি।ওদের মধ্যে আমিই বোধহয় একমাত্র ব্যাতিক্রম।কখনো প্রস্তাব পাইনি।ভবিষ্যতে পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখিনা।আমি দেখতে ভাল নই।গায়ের রংটি কাল।চোখে-মুখে সুশ্রীতা আছে কি না জানি না,তবে লোকে আমাকে সুন্দর বলে না।একবার একটা ছেলে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ‘কালী’ বলে মন্তব্য করেছিল।আমি স্রষ্টার দানকে মেনে নিয়েছি।তবে ইদানীং একটা দানা বাঁধতে যাওয়া অশোভন অনুভূতিকে কিছুতেই তাড়াতে পারছিনা।আমাদের দু’বছরের সিনিয়র এক ভাইকে মনে গেঁথে ফেলেছি।অনুভূতিটা অশোভন এ জন্য যে তাকে চাওয়াটা আমার মোটেই সাজে না।অসাধারণ সুদর্শন একটা মানুষ ফয়সাল ভাই।এমন সুদর্শন পুরুষ বাংলাদেশে খুব কমই দেখা যায়।নিজেই নিজেকে বকাঝাকা করি,তাকে তুমি সেভাবে চেনো না।মানুষ কেমন তা জানো না।শুধুমাত্র রূপ দেখে পাগল হলে হবে?
বিস্তারিত»ভাবনাপঞ্জি
ক’দিন আগেও এ ঘরটা বেশ খোলামেলা ছিল। লোকে তেমনটিই বলত । ক’দিন হল এ ঘরটাকে আমার গুমোট ঘুপচি মনে হচ্ছে। যেন চারপাশটা আমাকে ঠেসে ধরবে।শ্বাস রোধ হয়ে যাবে।ঘর নিয়ে গবেষণার পরিবর্তে এখন আমার অফিসের কাজ-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। আর কথা ছিল ছ’টায় বাসায় ফেরার।ততক্ষণে বেলী – আমার স্ত্রীও অফিস থেকে ফিরবে ।ছোট মেয়ে ঝিনুক আরও আগেই স্কুল থেকে ফেরে।সারা দিনের খাটা-খাটুনির পর স্ত্রী-কন্যার সাহচর্যে সব ক্লান্তি-শ্রান্তি মুছে যা্বে।
বিস্তারিত»পুরানো স্মৃতিগুলোকে হাতড়ে বেড়ানো……..
“এই যে লাটসাহেবের বিবি, শীঘ্রই ওঠো। তোমার কাজগুলো তোমার কোন সতীন এসে করে দিয়ে যাবে শুনি?” – মহিলা দজ্জাল পুলিশটার ধমকে ঘুম ভাঙল শিউলির। আহ ! কি শান্তির ঘুমটাই না নষ্ট করলো ওই দজ্জাল বেটি ! – মনে মনে ভাবে শিউলি।
গত ৫ বছরে প্রায় ১৫ টার মত রুমে থেকেছে ও। মানে ওকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। জেলারের কড়া আদেশ এই রুমে যদি ও কোনও ঝামেলা করে তাহলে ওর নামে কমপ্ল্যাইন করা হবে।
বিস্তারিত»ফেলে আসা দিনগুলো
কলেজে জুনিয়র আসার দিন সবার মন কমবেশি খুশি খুশি থাকে।ক্লাস এইটদের বলে দেয়া হয় সেভেনদের সেদিন কোনোরকম টেবিল রুলস না শিখাইতে।ডিনারে ক্লাস সেভেনদের নিয়ে আচ্ছামত মজা করা হয়।
আমি প্রথমদিন টেবিলে গিয়া দেখি আমাকে দেখে আমার টেবিলমেটরা ব্যাপক মজা পাচ্ছে।আমি যাই করি তাতেই তারা হাসে।তার উপর খাইতে দিসে আলুভর্তা।এইসব দেখে আমি ক্যাডেট কলেজের উপর মহা বিরক্ত হয়ে গেলাম।টেবিলমেট একজন(ক্লাস ইলেভেন) জিজ্ঞেস করল কলেজ কেমন লাগতেসে?আমি বললাম disgusting.সঙ্গে সঙ্গে হাসির মাত্রা আরো বেড়ে গেল।কোনমতে হাসি চেপে উনি আবার বলল খাচ্ছ না কেন?আমি বললাম আলুভর্তা খাই না।উনি বলল খাও খাও,