জাতির কাছে একটা জনগুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা (একটা সিরিয়াস পুষ্ট ;))

নিচে একটা লিখা দিলাম। এর স্রষ্টা হিসেবে যার নাম, তিনি খুবই বিখ্যাত। তা না হলে নিজের বলে চালাই দিতে একটা ট্রাই মারতাম। যাই হোক, জাতির কাছে জানতে চাই, এটা কি কবিতা, না গান, না আর কিছু………

“বাড়ির পাশে আরশি নগর, সেথা একঘর পড়শি বসত করে।
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

গিরাম বেড়ে অগাধ পানি, নাই কিনারা নাই তরণি পারে
বাঞ্ছা করি দেখবো তারে, ক্যামনে সেথা যাইরে, আমি
একদিনও না দেখিলাম তারে।

কি বলবো পড়শিরো কথা, হস্ত-পদ-স্কন্ধ-মাথা নাই রে।
ক্ষণেক থাকে শূন্যের উপর ক্ষণেক ভাসে নিড়ে।
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

পড়শি যদি আমায় ছুতো, যম যাতনা সকল যেতো দূরে।
সে আর লালন একখানে রয়, – তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে।
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

বাড়ির পাশে আরশি নগর, সেথা একঘর পড়শি বসত করে।
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।”

যেহেতু এইটা অনেক আগের, কাজেই আশা করা যায় এর কপিরাইট স্বত্ব এখন আর কোন ব্যক্তির কাছে নাই। এই ভরসায় সঠিক উত্তরদাতাকে এইটা উৎসর্গ করে দেওয়া হইবেক (শার্লী প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রের ব্যাপারটা দেখবে)।

২,৫১২ বার দেখা হয়েছে

৩৫ টি মন্তব্য : “জাতির কাছে একটা জনগুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা (একটা সিরিয়াস পুষ্ট ;))”

  1. তানভীর (৯৪-০০)
    সে আর লালন একখানে রয়, - তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে।
    আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

    আহা! :dreamy: :dreamy:

    এ তো শুধু কবিতা বা গান নয়, এ যেন হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ভেসে আসা আমাদের চেতনা, আমাদের মানবিকতা, আমাদের মুল্যবোধ......
    ধুর! :bash: :bash: আর কি কি জানি লিখতে চাইছিলাম, সব ভুলে গেছি! 🙁 🙁

    জবাব দিন
  2. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আবুল আহসান চৌধুরীর সংগ্রহ, গবেষণা ও সম্পাদনায় পাঠক সমাবেশ বের করেছে "লালনসমগ্র"। প্রায় সাড়ে ১৩শ পৃষ্ঠার বই।

    এতে বলা হচ্ছে, লালন শৈশবেই পিতৃহীন হন। নিম্নস্তরের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও তিনি নিতে পারেন নি্।

    লালনের জীবনীকার বসন্তপালের মতে, "তাঁহার অন্তঃকরণের ভাবরাশি যখন দুকুলপ্লাবিনী তটিনীর ন্যায় আকুল উচ্ছ্বাসে উথলিয়া উঠিত, তখন তিনি তার আত্মসংবরণ করিতে পারিতেন না, শিষ্যগণকে ডাকিয়া বলিতেন, 'ওরে আমার পুনা মাছের ঝাঁক এসেছে' শুনিবামাত্র শিষ্যগণ যে যেখানে থাকিত ছুটিয়া আসিত। তখন সাঁইজী তাঁহার ভাবের আবেশে গান ধরিতেন। শিষ্যেরাও যন্ত্রাদির তানের লয়ে লয়ে গাহিয়া চলিত।"

    লালন মুখে মুখে গান রচনা করতেন, আর তার শিষ্য-ভক্তরা সেগুলো খাতায় লিখে রাখতেন। লিপিকারের কাজ করতেন তার দুই প্রিয় শিষ্য মানিক শাহ্‌ ওরফে মানিক পণ্ডিত ও মনিরুদ্দীন শাহ্‌।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  3. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    প্রশ্নঃ

    জাতির কাছে জানতে চাই, এটা কি কবিতা, না গান, না আর কিছু………

    উত্তরঃ এইটা কবিতাও না, গানও না...আসলে আরেকটা বিষয়ে আলোচনার ভূমিকা-মত একটা কিছু :-B ...

    বস, আমার পুরষ্কারটা 😛 ?


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  4. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    এটা 'ভাব'। লালন নামের একজন মানুষের ভাব এটা, ভাব-টা কেবল তারই। এই ভাব যদি আমার মধ্যেও ভাবের জন্ম দেয় তাহলে হয়ত বোঝা যাবে, আমি লালনের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছি। আর যদি ভাবের জন্ম দিতে না পারে তাহলে বোঝা যাবে আমার সাথে কখনও লালনের দেখা হয় নি।

    ব্লগটা আমি আজকেই পড়লাম। আগে দেখি নি। দেখে ভাবলাম একটা মন্তব্য ঠুকে দেই।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।