যে সীমান্তে শুধুই বসন্ত ! (৪)

চমকিত বিজলী

প্রথম আমাদের দেখা হয়েছিল
জমকালো এক শপিং মলের
অলস দুপুর পেরিয়ে রোমাঞ্চকর সেই বিকেলে।
তুমি কালো শাড়ি পড়েছিলে,
আর আমি পড়েছিলেম
সাদা জমিনে কমলা সুতোয় কাজ করা পাঞ্জাবী।
অথচ জানিনা আমরা দুজনের কেউই
‘কালো’ আমার আর ‘কমলা’ তোমার প্রিয় রঙ।

বড়রা তখনও সৌজন্যমূলক আলাপচারিতায় মত্ত।
আজকের এই দেখা হওয়াটাকে তারা সবাই মিলে-
নেহায়েৎ –

বিস্তারিত»

বার্তা

তোমাদের বলছি,
যারা রাতের পর রাত কাটিয়েছ নির্ধূম
পাহারা দিয়েছ মজুতদারের পাপ,
পেঁচা আর বাঁদুরের হুঙ্কার হেঁকেছে গলা।
তোমাদের চোখে ধুলো দেবো শীঘ্রই,
ভাঙবো পাপের বদ্ধ তালা।

বিস্তারিত»

ফরমান

স্থাণুবৎ হয়ে অবাক পৃথিবী দেখে
মানুষের রক্তচাটা মানুষ,
নীলকুঠীর পুনরাবৃত্তি
তাই, এই বিশ্ব পুনরায় দেখবে জানি
শাসকের লেলিহান চিতা।
ধ্বংসের প্রতিপত্তি।

টগ্‌বগে রক্তের উত্তাপে
ধারালো হচ্ছে যুদ্ধের তরবারি,
বেদ কিংবা কোরানের শ্লোক তুলেও
রক্ষে হবে না তোমার খবরদারি।
সেই রাজবল্লভ তুমি
যতই হও না কেন নিভৃতচারী।

রক্তের তৃষ্ণা মেটাবো তোমার বিলক্ষণ
তোমারই রক্তকণায়,

বিস্তারিত»

প্রলাপ

এস. এস. সি. পরীক্ষার পর ছুটিতে বাসায় অনেক বই পড়েছিলাম। সেই সময় পড়া একটি বই, “আমি সুভাষ বলছি”। এই বইটার তিনটি খন্ডই পড়েছিলাম। মাথায় তখন শুধু বিপ্লবী চিন্তা গিজ্‌গিজ্‌ করে। কারো সাথে এই নিয়ে কথা বলতে লজ্জা লাগত। আর লেখালিখির অভ্যাস আমার কখনও ছিল না, তাই সেই চিন্তা তখনও করি নি। ধীরে ধীরে আমি অস্থির হয়ে উঠেছিলাম এই ধরনের ভাবনায়। তখন আমার দুলাভাই আমাকে বলেছিলেন বেশি চিন্তা করে মস্তিস্কের উপর অতিরিক্ত চাপ দেয়া ঠিক না।

বিস্তারিত»