শেষ তৈলচিত্র

সাদাকালো অরণ্য- পাহাড়- নদী পার হয়ে
মরুর ধুলো উড়িয়ে দুরন্ত ছুটে চলা ভাবনার
লাগামহীন এক পাগলাঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
নিশ্চুপ বসে আছি।

দুর্দান্ত গতিময় স্বপ্ন – স্থবির বাস্তব – অর্থহীন -সম্ভাবনাহীন।
অথবা কি সম্ভাবনাময়?
কী রং তাদের?
.
এক হঠাৎ বর্ণান্ধ শিল্পী।
যা কিছুই আঁকি – যে রং এ আঁকি – কিছুই দেখিনা।
আঁকার অসহ্য তাড়না ছবির পর ছবি আঁকিয়ে নেয় আমাকে দিয়ে।

বিস্তারিত»

সকল বর্ডার খুলে দাও

আমি একাত্তুর দেখিনি
গল্প শুনেছি
বাবার কাছে, আমার মায়ের কাছে!
আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে শুনে বেড়ে উঠেছিলাম।

আমাদের সেই সময়ের বসার ঘরে, বঙ্গবন্ধুর এক বিশাল পোর্ট্রেইট ছিলো
বাবা আমাদের সব ভাইদেরকে অনুভব করিয়েছিলেন-
পোর্ট্রেইটের মানুষটা-ই একটা দেশ!
বাবারা কখনো মিথ্যে বলেন না বাবুদের কাছে
তাই পাইপ হাতের মানুষটিকে এক আলাদা ভূখন্ড বলে মনে করা শুরু করেছিলাম।

বিস্তারিত»

ভালবাসা একপলক

শেষ বিকাল
যখন সোনা রোদে পৃথিবী মায়াময়
পার্কের ভিতর দিয়ে হেঁটে চলা যুবক
এক টুকরা কাগজ কুড়িয়ে পায়।
কেউ ঝালমুড়ি খেয়ে ফেলে গেছে-

শিউলি ফুলে সাদা হয়ে আছে পথের পাশে ফুটপাথ
শৈশবের দিন মাখামাখি হয়ে আছে শিউলির সাথে
হৃদয়ের পটে আঁকা
স্মৃতির ভিতর যত্নে রাখা।
রুপালী আলোর জালে যেন জড়ানো আঁধার-

ফুলগুলো সে মাড়িয়ে যেতে পারে না
না পা ফেলা যায়
পাশ কাটানো ও দায়
এমনই তার টান!

বিস্তারিত»

সব ফিরিয়ে দিলাম

সেদিন অফিস বন্ধ ছিল আমার
সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি
এমন দিনে মতিঝিল থেকে ফিরছিলাম সাভারের বাসায়।
.
বিআরটিসি’র ডাবলডেকার বাসের
দোতলার কয়েকটা জানালায় কাঁচ ছিল না
উপরে তাই যাত্রী ও ছিল কম
নাই বললেই চলত.. আমি একাই ছিলাম শুধু।
ভেজা সিটে বসতে অনীহায় নীচতলায় অনেক গাদাগাদি
তাই দেখে
দোতলায় ভাঙ্গা জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখে দেখে ভিজে চলেছিলাম।

বিস্তারিত»