ধর্মকে, এবং সেই সাথে ধর্ম-সংক্রান্ত যেকোন কিছুকে অবাঞ্ছিত প্রমাণ করাটা ইদানিং বাংলা ব্লগ-কালচারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হচ্ছে “জাতীয়তাবাদ” যা প্রগতিশীলতা দাবি করলেও ধর্মের চেয়ে কোনো অংশেই কম উগ্র নয়। এই জাতীয় ধর্ম-বিদ্বেষীদের জন্য আমার কোন মাথাব্যাথা নেই, কিন্তু তাদের কার্যকলাপে এলার্জি আছে। আর তাই বাংলা ব্লগগুলোতে গেলেও সব সময়ই অংশ নেওয়ার অদম্য ইচ্ছেটা দমন করে আসছি। কিন্তু একই ঘটনা সিসিবি’তেও ঘটতে শুরু করলো নাকি? ঘটনা যদি তা’ই হয়, তাহলে আমি আর নাই। তবে তার আগে কেন আমি চিন্তার এই ধারাটা অগ্রহনযোগ্য মনে করি তা খোলাসা করে বলার সময় এসেছে।-
বিজ্ঞান এবং ধর্মকে আমি কখনোই তুলনাযোগ্য মনে করি না। কারনটা জুবায়ের অর্নবই তার এক পোষ্টে বলে দিয়েছে যে, ধর্ম বিজ্ঞানের ডোমাইনে পড়ে না। বিজ্ঞানের ভিত্তি যেখানে তথ্যনির্ভর কার্যকরণসূত্র, সেখানে ধর্মের ভিত্তি শুধুই বিশ্বাস। বিজ্ঞান যেখানে মূল সুত্রগুলোকে “ফলসিফাইয়েবল” ধরে নিয়ে যাত্রা করে, সেখানে ধর্মের মূল নিয়মগুলো অনড়। তাহলে এই দুইয়ের কনটেন্ট-এ তুলনা হয় কি করে? আপেলের সাথে কমলার তুলনা হয়ে যাচ্ছে না? প্রকৃত তুলনা ত হতে হবে আপেলের সাথে আপেল, কমলার সাথে কমলা। কাজেই আলাদা আলাদা ডোমেইনের অন্তর্গত বিজ্ঞান ও ধর্মের কনটেন্ট তুলনার যোগ্য নয়। -এই পয়েন্টে অর্নব এবং এই মতের অনুসারী সকলের সাথেই আমি একমত।
আমার আপত্তি দ্বিতীয় যুক্তিতে। এটা শুরু হয় সমাজে ধর্ম আর বিজ্ঞানের প্রভাবকে কেন্দ্র করে। এই ধারার প্রকৃষ্ট উদাহরন হতে পারে অর্নবের সর্বশেষ পোষ্টটা। এই পোষ্ট শুরু হয়েছে ব্যক্তি হিসেবে লেখকের (সেই সাথে অনুচ্চারে মানুষ হিসেবে আমাদের সবার) বিজ্ঞানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিয়ে। এরপর এসেছে মানব সভ্যতায় বিজ্ঞানের যুগান্তকারী অবদানগুলোর উল্লেখ, এবং সেই সাথে সেইসব মহাপ্রাণ বিজ্ঞানীদের নাম যারা বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে ব্যবহারিক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে মানবেতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। কিন্তু পোষ্টের একটা মূল ভাবই হলো বিজ্ঞানের সাথে সাথে পাশ্চাত্য সভ্যতাও প্রাচ্যের (শুধু বাংলা, বা ভারতবর্ষ না!) থেকে অগ্রসর, কাজেই যুক্তিবাদী সকল মানুষের আরাধ্য।
পোলিও আর বসন্তে আক্রান্তদের ছবি বিজ্ঞান- এবং সেই সাথে সেইসব বিজ্ঞানীর- মানব সভ্যতার প্রতি অবদানকে যথার্থই ফুটিয়ে তুলেছে। কিন্তু এর পরের ছবি, এবং সেইখানে থেকে শুরু যে যুক্তিধারা তা খুবই একপেশে। “গনতন্ত্র, ফ্রী-স্পিচ, সিভিল লিবার্টি এবং ফ্রীডম অফ এক্সপ্রেইশনের মত স্বর্গীয় উপহার”- এইগুলোর কোনটা পদার্থ-জীব বিজ্ঞানের সূত্র অনুসরন করে, কোনটা এসেছে সেইসব বিজ্ঞানীদের থেকে? তাছাড়া এর কোনটা পাশ্চাত্য সভ্যতার মৌলিক অবদান?
ইউরোপীয় ইতিহাসে প্রকৃত গণতন্ত্রের (এবং অন্যগুলোরও) সূতিকাগার ধরা হয় ফরাসী বিপ্লবকে (১৭৮৯)। তার আগের ইতিহাস কি রকম? পাশ্চাত্য সভ্যতার গুনগানে এইরকম অন্ধ যে যুক্তি- যেমন এবতেদায়ী মাদ্রাসা-পাস ছাত্রদের করা খোলাফায়ে রাশেদীনের গুনগান- তা’র জন্য বলি-, যেই সময় গ্যালিলিও ‘পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে’ বলে পাশ্চাত্যে অগ্নিকুন্ডের শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তারও পাঁচশ বছর পূর্বে ভারতবর্ষে রাজদরবারে বসে আর্যভট্ট বর্ণনা করতেন “পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে+কেন পৃথিবীপৃষ্ঠের সবকিছু মহাশূন্যে ছিটকে পড়ে না”। পাশ্চাত্যে স্বর্গীয় ফ্রী-স্পিচের যে চর্চা, তা শুরু হয়েছে আঠারো শতকের শেষভাগে এসে। আর ভারতবর্ষে খ্রীষ্টের জন্মের তিনশ বছর আগে বৌদ্ধ সম্রাট অশোক গণ-জমায়েত আহবান করে ভিন্নমতের সকল গোষ্ঠি-দলের মধ্যে ফ্রী-স্পিচের আয়োজন করেছেন “সুনির্দিষ্ট নীতিমালা”র দ্বারা ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাকে স্বীকৃতি দিয়ে। আর আকবর যখন মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন-খ্রীষ্টান সকলকে একসাথে নিয়ে ফ্রী-স্পিচের চর্চা করেছেন, তখন রোমে ব্রুনোকে নিয়ে চলেছে পোড়ানোর আয়োজন। তাহলে কিভাবে বলি যে, গণতন্ত্র-ফ্রীস্পিচ-সিভিল লিবার্টি এইসব পাশ্চাত্যের মৌলিক অবদান।
তবে পাশ্চাত্যের মৌলিক অবদান একটা আছে ত বটেই। সেটা কি? ইংরেজদের কলোনিয়াল শাসনামলে ভারতবর্ষের “অসভ্য নেটিভ”দের আধূনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে মানবতা শিখানোর জন্য যে রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই উদ্যোগের স্থপতি মেকলে’র জবানীতেই শুনি কি সেই অবদান।
বৃটিশ ভারতের প্রথম আধূনিক শিক্ষানীতি’র প্রণেতা মেকলে তার ঐতিহাসিক রিপোর্টের ভূমিকাতেই লিখেছেন যে, “প্রস্তাবিত শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্ধেশ্য হচ্ছে ভারতীয়দের এমনভাবে শিক্ষিত করা যে, তারা বাহ্যিক চেহারায় থাকবে ভারতীয়, কিন্তু মনে-মননে ইউরোপীয়, তথা সভ্য মানুষ”!
– ছবিতে যে দালানটা দেখা গেল, তা চিনতে পারলাম না। ধরে নিচ্ছি এটা বৃটেনের শাসনক্ষমতার কেন্দ্র। যদি তা’ই হয়, তাহলে তা’র সামনে মাথা নোয়াবার আগে জেনে রাখা দরকার যে, এই দালান থেকেই সিপাহী-বিপ্লব দমনের নামে ব্রিটিশ-রাজ মানবেতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ১৮৫৮ সালে যা’র মাধ্যমে বাংলা থেকে শুরু করে দিল্লী পর্যন্ত প্রায় এক মিলিয়ন “অসভ্য নেটিভ”কে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে দেড়যুগ ধরে। এখন পর্যন্ত বৃটিশ-শাসিত এমন কোন অঞ্চল দেখানো যায় না যেখানে এই সুসভ্য-মানবতাবাদী জাতি বিতাড়িত হবার আগে অশান্তিসৃষ্টিকারী কোন প্যাচ লাগায়ে রেখে যায়নি।
বৈজ্ঞানিক অর্জনের যে ছবিগুলো, তা সত্যিই চমকপ্রদ। কিন্তু তার সাথে মিশিয়ে পাথর ছুড়ে+ফাঁসি দিয়ে মানুষ মারা’কে তুলনা করাটা কোন যুক্তিতে? প্রাচ্যের সব মানুষই কি এর সাথে জড়িত? ইরাকে পাথর মেরে মহিলাকে মারার সময় সাধারন মানুষের সম্মতি ছিল বলা হয়েছে। সেই সাধারন মানুষ কয়জন, তারা কারা? তারা কি ইরাকের আপামর জনসাধারন? আর মোটাদাগে পাশ্চাত্যের সভ্যতা+জনসাধারনকে বিজ্ঞানমনস্কতায় মহিমান্বিত আর প্রাচ্য-সভ্যতা+জনসাধারনকে নীচ দেখাতে গিয়ে এই যে একটা অতি-সরল যুক্তি তৈরী করা হলো, তা’ ত নানা ভাবেই অসার বলে প্রতীয়মান হয়।
এক, প্রাচ্যের মতোই পাশ্চাত্যেও বেশিরভাগ মানুষই নানা সংস্কারে আচ্ছন্ন। বর্তমানে আমেরিকার (কারো কারো মতে পৃথিবীরই) সাংস্কৃতিক কেন্দ্র লস-এনজেলস’এর সবথেকে পশ এলাকায় কয়টা গণক, হস্তরেখাবিদ, ভাগ্যপরিবর্তনকারী জমজমাট ব্যবসা জমিয়ে বসেছে সেই খবর আছে? এখানে কতজন উচ্চ-শিক্ষিত+অতি-সভ্য মানুষ নিয়ম করে প্রতিদিন প্রেত-সাধনা করে তাও জানা থাকা দরকার। আর হ্যালোইন ত জাতীয় উতসব যেখানে ভয়ঙ্কর মুখোশ (এখন অনেকটাই হাস্যকর) পরা হয় মৃতদের প্রেতাত্মাকে ভয় দেখানোর নামে।
দুই, ন্যাচারাল সায়েন্সে যেসব যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে যা মানব সভ্যতা’কে (আরো নির্দিষ্ট করে, পাশ্চাত্য সভ্যতা’কে প্রাচ্যের তুলনায়) এগিয়ে দিয়েছে, তা’তে উক্ত বৈজ্ঞানিকের বা জন-সাধারনের ভূমিকা কতটুকু? শাসন-ক্ষমতা যদি সেই বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে পড়াতে না দেয়, তাহলে তা ত আতুর ঘরেই শেষ। আর সাধারন শিক্ষায় অন্তর্ভূক্ত না হলে জনসাধারন তা’ কি করে শিখবে? কাজে কাজেই বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আবিষ্কৃত হবার পর জনগণের মাঝে “এমনি এমনি” ছড়িয়ে পড়ে না। তা’তে শাসকের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। উদাহরন, গ্যালিলিও। কয়শো বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে তা’র তত্ত্ব সাধারন শিক্ষায় আসতে, সেটা জানা আছে? সেটা ত কেবলমাত্র তখনই ছড়াতে পেরেছে যখন নতুন শাসন ব্যবস্থায় নতুন শাসকগোষ্টি তা জনগনকে শিখাতে চেয়েছে। তাহলে পাশ্চাত্যের জনসাধারনের বিজ্ঞানমনষ্ক হওয়ার (যুক্তির খাতিরে ধরে নিলে আর কি…) কৃতিত্ব আর প্রাচ্যের জনসাধারনের বিজ্ঞান-অমনষ্কতার (= ধর্মীয় গোড়ামীর) দায়টা আদতে কার?এখানে ধর্মই কোথায়, আর জনগনই বা কোথায়?
আশা করি, আমি বোঝাতে পেরেছি কেন মোটাদাগে পাশ্চাত্যের গুনগান আর সেই সাথে প্রাচ্যের বদনাম করাকে ভূল বলছি।
মানবসমাজ পদার্থবিদ্যার সূত্র ধরে চলে না। পদার্থের জগতে একই কারন বছরের পর বছর একই ফলাফল জন্ম দিয়ে গেলেও মানব সমাজে তা হয় না। এখানে একই কারনের ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল পাওয়া যায়। কাজেই, নিউটন-আইনষ্টাইন এবং তাদের অবদানে মহিমান্বিত পদার্থ-রসায়ণ দিয়ে সভ্যতা হিসেবে পাশ্চাত্যের বিচার অসম্ভব, এবং তা’ই অপ্রাসঙ্গিক। মানবসমাজ চলে মানবসমাজের নিজস্ব সূত্র অনুসরন করে যা আজো অনেকটাই অজানা। এমনকি যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি’র কারনে ন্যাচারাল সায়েন্স-এর তত্ত্বগুলো প্রেসিশনের সর্বোচ্চে, সেই রকম রিগোরাস পদ্ধতি সামাজিক বিজ্ঞানে এখনো আসে নাই। কাজেই সামাজিক বিজ্ঞানের যে জ্ঞান, যা সভ্যতার দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে, তা এখনো অনেকটাই অস্বচ্ছ, একারনেই সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে পদ্ধতিগত মতৈক্যও অনুপস্থিত।
ন্যাচারাল সায়েন্স ও সোশাল সায়েন্স এর পার্থক্যের সূত্র ধরে আমি মোটাদাগে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য সভ্যতার বিভাজন-প্রকৃয়ার যে রুপটি অর্নবের পোষ্টে উপস্থিত, তা’র অযৌক্তিক ভিত্তিটা দেখানোর চেষ্টা করলাম। এর কারন, এই ধারার ভ্রান্ত প্রকৃয়ার বাস্তব ফলাফল হল প্রাচ্যের উপর পাশ্চাত্যের সম্রাজ্যবাদ। এই ধারার যুক্তিসমূহ পাশ্চাত্যকে অযৌক্তিক উপায়ে প্রাচ্যের থেকে “সভ্য, মনবতাবাদি, প্রাগ্রসর” বলে প্রতিষ্ঠা করে। এই প্রকৃয়া পাশ্চাত্যকে প্রাচ্যে একজন লাদেন ধরার অযুহাতে পারমানবিক বোমা ফেলে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মারা বৈধতা দেয়। এই প্রকৃয়া পাশ্চাত্যের মানুষকে উন্নত জ্ঞানের দাবীতে প্রাচ্যের মানুষের উপরে স্থান দেয় এবং এইভাবে প্রাচ্যের মানুষের উপর পাশ্চাত্যের শাসনকে প্রয়োজনীয় বলে হাজির করে। এই প্রকৃয়ার মূলে কোন পাশ্চাত্যের ন্যাচারাল সায়েন্সের পরীক্ষিত সূত্র কাজ করে করেনা, কাজ করে পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদি ক্ষমতা। কাজেই, আমার দেশের মানুষের সম্মিলিত স্বার্থেই আমি এই প্রকৃয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াই।
আজ আমি যেই অবস্থানে, তা’র পুরো কৃতিত্ব আমি দেই আমার দেশের জনগণকে যাদের সম্মিলিত রুপই হচ্ছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি যা আমাকে দিয়েছে আমার ইডেনটিটি, আমার শিক্ষা, আমার সাংষ্কৃতিক পরিচয়, আমার সর্বস্ব। আমি মাথা নোয়াই বাংলাদেশের কাছে যা’র সাধারণ জনগনই আমার আরাধ্য। আমি স্বজ্ঞানে ঘোষনা করছি যে, এই ক্ষেত্রে আমি মৌলবাদী। সেইসব আন্তর্জাতিকতাবাদের আমি তাই নিকুচি করি যা আমার ভাইকে তথাকথিত জঙ্গী বানায়, আবার আমাকেই বলে তা’র বুকে গুলি ছুড়তে; যা নিজের অর্থনীতিকে এমনকি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা/অর্থ/সন্ত্রাস দিয়ে সুরক্ষা করে, আর আমার দেশকে মুক্ত-অর্থনীতির কথা শেখায়; যা মানবতা উদ্ধারের নামে লাখে লাখে নিরীহ মানুষ হত্যার বৈধতা আদায় করে।
দ্রষ্টব্যঃ আজ একটা সাধারন ডিসক্লেইমার দিবো। তার কারন, এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এক জুনিয়র ভাই আমার মন্তব্যের উত্তরে যা বলল তা’তে মনে হলো আমি আমার সিনিয়রিটির সুযোগ নিয়ে পোষ্টের মূল বক্তব্যে দ্বিমত পোষন করছি। কারো কারো মনে এই ধারনার উদ্রেক হতে পারে যে “মোটামুটি ধারনা” থেকেই দ্বিমত করি, কারন আমি রেফারেন্স বই/লেখকের নাম উল্লেখ করিনা। এটা খুবই ভুল। আমি কোন তাত্ত্বিকের রেফারেন্স দেইনা মানে এই না যে আমি সেই বিষয়টা কম পড়ি/বুঝি, রেফারেন্স দেইনা কারন তা’তে আমি মনে করি আমার বক্তব্য সাধারনের বুঝতে সহজ হয়। আমি সিরিয়াসলী যা বলি, জেনে-বুঝেই বলি। আর সেইসব ক্ষেত্রে আমার আত্মবিশ্বাস যথেষ্টই থাকে। সেখানে আমি শুধু সিসিবি না, বাংলাদেশের যে কারো চ্যালেঞ্জ নিতে রাজী। আমি দ্বিমত করি তখনই যখন আমি বিষয়টা খুব ভালো ভাবেই জানি, ঝাপসা-ঝাপসা ভাবে না। আমার একেকটা সিরিয়াস লেখার রেফারেন্স দিতে গেলে তা পোষ্টের থেকেও দীর্ঘ হতে পারে।- তবে সিনিয়র হিসেবে একটা সুযোগ ত বেশী অবশ্যই পেয়েছি (বেশি দিন ধরে পড়ার) এবং তা কাজেও লাগাচ্ছি। বেহেস্তের হুর আর দুনিয়ার গার্লফ্রেন্ডদের থেকেও এইসব বইকে বেশি সময় দিচ্ছি। সেক্সের আনন্দের থেকে একটা “পাজল-সলভ” করার আনন্দ আমার কাছে কোনভাবেই কম নয়। তাই সমাজবিজ্ঞানের (ক্ষেত্রবিশেষে সামাজিক বিজ্ঞানের ) দুই/এক ডজন বই পড়েই আমার দিকে এসব মন্তব্য করলে স্বভাবতই ভালো লাগে না। আমার পড়া বইয়ের সংখ্যা গুনতে গেলে ঝামেলায় পড়তে হবে কয়া দিলাম।
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মাহমুদ ভাই,
(আমি আগের পোষ্ট এর কমেন্ট নিয়ে এলাম রেফারেন্স হিসেবে ।আমারটা লিখছি।)
@মোটাদাগে পাশ্চাত্যের মাহাত্ব্যের সাথে প্রাচ্যের নিচতা’র তুলনা চলে আসল।@
কোনোভাবে এখন ১৪০০ সাল হলে আইনস্টাইন এর জায়গায় ইবনে সিনার নাম চলে আসতো।
ইতিহাস বলে কোনো জাতি যখন অর্থনীতি,সামরিক,শিক্ষা তে সবচেয়ে এগিয়ে যাবে অন্য সবার চেয়ে, তখন তারা নতুন পথ খোজায় মনোনিবেশ করবে এবং নিজেদের সমস্যা (perfection) সমাধানে মনোযোগী হবে।
আমি আমার ৬ বছরে বই(সত্যিকার অর্থে) পড়া শিখেছি আমার কয়েকজন সিনিয়র এর কাছ থেকে।সে নিজেকে মহান মনে করেনি(জানিনা।যদি করতো আমি দুঃখিত হবো) আমারো নি্জেকে নীচ মনে হয়নি। আপনি যে কোনো বিষয়ে উজ্জ্বল কাওকে জিজ্ঞেশ করলে দেখবেন তারা কোনো না কোনো সিনিয়র এর কাছে রীনি (অক্ষ্রর পাচ্ছিনা)।
জুনিয়র বলে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স এ আমি ভুগিনি। নিজেকে যোগ্য মনে না হলে ভুগেছি এবং যোগ্য করার চেষ্টা করেছি।
@ব্যক্তি সাথে আইডিওলজি@
ব্যক্তি+ব্যক্তি+……………=গোষ্ঠী+………………= সমাজ।
ব্যক্তির আইডিওলজি সমাজের সাথে কমপ্যাটিবেল হতে হয়। একক স্বার্থ সমাজের তুলনায় নেগলিযেব্যল। নিজেকে আপনি কোন সমাজের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন আমি জানিনা। আপনি যাই হোন না কেনো, কোনো না কোনোভাবে আপনি মনুষ্য সমাজের অন্তর্ভুক্ত।
কলেযে থাকতে হাউস নিয়ে, ছুটিতে গিয়ে কলেজ নিয়ে অনেক মারামারি করেছি। ( যেই লাউ সেই কদু!!! লিখছি সিসিবি তে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!)
আমার ধারনা এ রচনার একটা অনুচ্চারিত উদ্দেশ্য ছিলো আন্তর্জাতিকতার প্রচার।
বোল্ড গুলো মাহ মুদ ভাই এর কমেন্ট এর অংশ ছিলো।
(আসলে আমি নিজের দুরদৃষ্টীতে খুশি হয়ে কমেণ্টটা নিয়ে এসেছি। 😀 ।
আমি ওই পোষ্ট এ চিন্তা করছিলাম যে এই সাইড এ এখনো এটাক হয় নি।কখন হবে?
ভালো লাগল জেনে। 😀
এই সমীকরণের বক্তব্যের সাথে একমত হলেও আমি এটাকে উল্টো করে দেখিঃ সমাজ>গোষ্ঠি>ব্যক্তি।
এটা আমার প্রায় একযুগ ধরে সমাজবিজ্ঞান পড়ার ফল, তবে অবশ্যই নিউটন-আইনষ্টাইনের সূত্রের মতো নয়। গ্রহনযোগ্য বিপরীত যুক্তির স্রোতে ভেসে যাবার সম্ভাবনায় এটা সব সময় দৌড়ের উপর (এই মন্তব্য কামরুলকে উতসর্গীকৃত 😀 )
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এটা লেখার উদ্দেশ্য ছিলো কার স্বার্থ কার স্বার্থ কে প্রতিস্থাপন করবে তা দেখানো।
(বৃহত করবে ক্ষুদ্র কে। আমার কমনসেন্স তাই বলে এবং করা উচিত)।
কমনসেন্স যখন বলছো, তখন আর কথা নাই। কিন্তু সমাজবিজ্ঞান বললে একখান কথা আছে। 😛
সমাজ বিজ্ঞানে ১+১+১+১=৪ নয়, চারের থেকে কিছু বেশি। এটা এখন পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞানে একটা প্রতিষ্ঠিত সূত্র।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমি কিন্তু কোনো সংখা ব্যাবহার করিনি। আমি বোঝাতে চেয়েছি @মানুশ নিয়ে ঘর হয়,ঘর নিয়ে পাড়া হয়,পাড়া নিয়ে গ্রাম হয়। এরকম।(এটা একটা রুপক ধরতে পারেন)
যদিও কেন উৎসর্গ করেছেন বুঝি নাই (কারণ আমি মুক্ষ-সুক্ষ মানুষ, ব্যাপক বুঝনেওয়লা না 😀 ) তারপরও ধরে নিচ্ছি বড়ভাই করছেন যেহেতু, ভালোর জন্যেই করছেন, তাই মাথা পাইতা নিয়া নিলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
সিসিবিতে আইসা বিশাল লাভ হইছে, অনেকে অনেক কিছু উৎসর্গ করছে, কেউ মাফলার, কেউ পোস্ট , কেউ মন্তব্য । আমি ভালোবাসার কাঙ্গাল , এতো ভালোবাসা পেয়ে আবেগে ইমোশনাল হয়ে গেলাম 😉
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমিও উৎসর্গ নিপো (ক.রাঃ মাস্ফু)
এটা আমার আগের এক পোষ্ট থেকে নিছি। আর সেই পোষ্টে তুমি এটাকে খুবই পছন্দ করেছিলে, তাই তোমারেই উতসর্গ করলাম।
আসলে এটা আমার কাছে একটা কালেমা'র মতো, এইখানে আমি মৌলবাদি। 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
'খুবই পছন্দ' করেছিলাম। :dreamy:
উৎসর্গের জন্যে ধন্যবাদ। 😛
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
মাহমুদ ভাই,
আশা করি কিছু মনে কিছু করবেন না।একটা জোক্স দিয়ে সুরু করি। ৫ জন ইংরেজ এবং ৫ জন বাংগালি। গাছে ওঠা কম্পিটিশন। পরের টুকু সবাই জানেন।
আমাদের (মানুশের) সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হচ্ছে দলাদলি(গোষ্ঠী বানানো) করা। (সভ্য হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ)।
যা খুবই প্রয়োজনীয়। কারন সার্বিক উন্নতির স্বার্থে প্রতিযোগিতামুলক মনোভাব জরুরি।
আমার ভিউঃ
আপনি যদি একি বিল্ডিং এ ২০০ টা পরিবারের ফিলোসফি এর কথা চিন্তা করেন তাহলে বোধহয় হিসাব করতে সুবিধা হবে।আপনি কী কী পারেন এবং কী কী পারবেন না।
আপনি পিলার ভাংতে পারবেন না।
.......।।..................
হিউমেন রাইটস বলে একটা ব্যাপার আছে।
এইরকম আর ৫-৬ তা বেসিক জিনিস আপনি যদি মেইনটেইন করেন তাহলে ঝামেলা কম হয়।
আমি জানি আপনি এই কথাগুলো জানেন তারপর ও বলতেসি কারন এই ফিলোসফি আমি মানি। তাই আমার বক্তব্য আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।
আপনার আর্টিকেল আমি পরলাম এবং বুঝলাম আপনি তুলনামূলক আলোচনায় লেগে গেছেন।
ফলাফল?!!
চলেন আমরা আবার নিজেরা(ইন্ডিয়া,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ) মিলে একটা দল করি। ১৫০ কোটি মানুশ। জেতার একটা চান্স আছে।নাকী বলেন!!!!???? বিশ্বের উপর আমাদের পতাকা । 😀
এতোকাল সভ্যতা বেচেছে অতীত এবং বর্তমান নিয়ে।
আমি এবং আমরা বাচতে চাই বর্তমান, ভবিষ্যত নিয়ে এবং অতীত এর শিক্ষা নিয়ে শুধুমাত্র।
আশাটা কী খুব খারাপ শোনায়।?!!!!!!আপনি বললে করবো না।
(আমি জিস্ট/থিম টা বললাম। আস্তে আস্তে আসছি)
তোমার যুক্তিটা মানতে পারছিনা। এক বিল্ডিং এ আমি কখনোই ২০০টা পরিবারে ২০০টা ফিলোসফি দেখি না, আমি একটা প্রধান ফিলোসফি+কিছু অ-প্রধান ফিলোসফি দেখি।
তোমার মন্তব্যের থিমটা সমাজবিজ্ঞান/সমাজদর্শনের সাথে যায় না। কাজেই উপসংহারটা কিভাবে মানি?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমি স্থাপত্যের ছাত্র। তাই সমাজবিজ্ঞান এর ভাষায় কথা বলতে পারবো না কিন্তু আমার মনে হয় একটা প্রধান ফিলোসফি/রুলস এর আমি বলছি
আপনি পিলার ভাংতে পারবেন না।
…….।।………………
হিউমেন রাইটস বলে একটা ব্যাপার আছে।
অ-প্রধান ফিলোসফি এর কথা বলিনি কিন্তু তা থাকাটাই কি স্বাভাবিক নয়?(যেহেতু মানুশ আলাদা আবহাওয়া ফেস করে!!!!)
আপনি আমার কমেন্ট এর কন্সেপ্ট ধরার চেষ্টা করলে বুঝতে সুবিধা হবে।
পিলার=মানুষ। 😮 😮
হিউমেন রাইটস বিষয়ে আমার বিশেষ অভিজ্ঞতা আছে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোরও। 😀 কাজেই এইটা নিয়া ডাউট দিও না। আমার মূল লেখাটা একটু ভালো করে পড়লেই এই বিষয়ে আমার মতটা পাবে। আমি যেইসব মানুষের পক্ষে বলেছি, তারা মানুষই, কাজেই যে ভাবেই বলা হোক না কেন, তারাও হিউমেন রাইটসের দাবীদার।
তোমার কমেন্টের বক্তব্য ত আমি মনে হচ্ছে কখনোই বুঝতে পারবো না, যদি তুমি পিলার বনাম মানুষ, পিলারের আবহাওয়া বনাম মানুষের আবহাওয়া এনালজি নিয়ে আগাইতে থাকো। :(( :((
সমাজের কথা বললে ত সমাজবিজ্ঞানের ভাষাতেই বলতে হবে, তাই না?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
😀 ভালো জোক্স ছিলো।
আমি বলেছি আপনি এমন কিছু করতে পারেন না জাতে পুরো কাঠামো ধসে পরে।
আমি সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলছি না।
আমি কথা বলবো ওই পোষ্ট এর বক্তব্য আপনার না বোঝার কারন সমুহ নিয়ে । আমি মনে করি আপনি বায়াসড হয়েছেন ওয়েষ্ট এর প্রতি আপনার ইনার হেইটরেড এর কারনে। আমি যা জানি তা আপনি জানেন তারপরো কেনো হলেন তা নিয়ে।
পুরাই অযৌক্তিক ধারনা। না হলে দেখতে পেতে ওর বৈজ্ঞানিক আলোচনাগুলোতে আমার কমেন্ট, এমনকি এই আলোচ্য পোষ্টেও যেখানে আমি প্রশংসাই করেছি। যুক্তিতে না পেরে অকারন-আবেগী কথা বললে ত আর কোন কথা থাকে না।
ভালো থেকো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তাই।হতে পারে।
কিন্তু আপনার মানতে সমস্যা কোথায় যে আমরা পিছিয়ে আছি?!!!আসলেই তো আছি। শিক্ষা তো সবসময় উপর থেকে নিচে আসবে।সেটা স্বাভাবিক ট্রেন্ড।তাই না!!!!!!!?
হুম, আমরা পিছিয়ে আছি সেটা সত্য। কিন্তু সেটা কেনো তোমার সেই সভ্যতার উন্নতির সাথে ক্ষমতার সম্পর্কের মাপকাঠিতে দেখোনা। আজ পাশ্চাত্য সভ্যতায় এগিয়ে- এ বিষয়ে আমার দ্বিমত নাই। কিন্তু তা' বিজ্ঞানমনষ্কতার জন্য নয়। বিজ্ঞানীদের যন্ত্রনা করতে ওরা কারো চেয়ে কম করেনি।
আজ পাশ্চাত্য যে সভ্যতার শীর্ষে, তা জ্ঞান নয়, ক্ষমতায় অর্জিত। এটা আবার প্রমাণ করছে পাশ্চাত্যেরই দুই সমাজবিজ্ঞানী- C. Tilly আর M. Mann, প্রথমজন হার্ভার্ডে পড়াতেন (বছর দুই হল গত হয়েছেন), আর দ্বিতীয়জন এখন UCLA পড়াচ্ছেন।
বিজ্ঞানের মাধ্যমে পাশ্চাত্য বিশ্বে খবরদারী করছে, এটা কলোনীয়ালিজম/ওরিয়েন্টালিজম-এর ভূয়া প্রচার, ইতিহাসের উল্টা ব্যাখ্যা।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমার প্রথম পোষ্ট এ আমি সাম রিক এবং অর্থনীতির কথা বলেছি।
আমি মানি। সময়ের সাথে সাথে সংগার পরিবর্তন হচ্ছে/হবে।আমি চিন্তা করি আজ থেকে ৫০ বছর পরের চেহারা নিয়ে।
সেখানে আমার কোন মন্তব্য নাই। কিন্তু তথ্যবিহীন "এই বিজ্ঞান-আশ্রয়ী" ধারনাটা আমি নিতে পারিনা যখন দেখি এটাই বর্তমানের যাবতীয় সমস্যার একটা মূল কারন।
বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলোর থেকে সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্বগুলো বদলাচ্ছে আরো দ্রুতই। কিন্তু সেই পরিবর্তনের ধারা পাশ্চাত্যের এই অযৌক্তিক দাবির বিপক্ষেই যাচ্ছে অনবরত। তাই, আশা করি সঠিক মতটা প্রকাশ হয়ে পড়বেই যা সকলের জন্য কল্যানকর হবে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তথ্যবিহীন এটা সত্য। কিন্তু আমার মনে হয় দিন দিন মানুষ বুদ্ধিমান হচ্ছে।
বুদ্ধিমান মানুষ অবশ্যই রক্তপাত এড়ানোর চেষ্টা করবে। তা করলে যুদ্ধ সম্ভব একমাত্র মেধায়/শিক্ষায়।
আশাবাদি ফুলিস চিন্তা ভাবনা হতে পারে কিন্তু বিশাল জনগোষ্ঠীর ফুলিশ চিন্তা ভাবনায় রক্তপাত এড়ানো গেলে খারাপ কী?!!
অফটপিকঃ আপনি ফিউচার পিকচার নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখতে পারেন। যথেষ্ট পরিমান পড়াশোনা করার সময় পাইনা নিজের চাপে। একটা আইডিয়া পাইতাম।
ভালো জমে যাচ্ছে দেখছি তোমার সাথে। 😛
তোমার মতোই আমিও আশাবাদী মানুষ। কিন্তু "বিশাল জনগোষ্ঠীর ফুলিশ চিন্তা ভাবনায় রক্তপাত এড়ানো"র আশা করি না। কারন, ওটাই এখন রক্তপাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভেবে দেখো, ইরাকে বোমা-মেরে কয়েক লাখ মানুষ মারার পর বুশের ভোট বাড়ে! ওবামা ইতিহাস সৃষ্টিকারী নির্বাচনে জয়ী হয়েও আফগানীস্তানে আরো সৈন্য পাঠায় যারা এ'যাবত তালেবানের ঘাটির থেকে বিয়েবাড়ীতে বোমা ফেলেছে কয়েকগুন বেশি।
এই কারনে আমি রাষ্ট্রীয় মিডিয়া+শিক্ষাক্রমের বাইরে কোন গনশিক্ষার কথা ভাবছি যা যথার্থ জ্ঞান ও তথ্যকে মানুষের নাগালে নিয়ে আসবে, রাষ্ট্রের ধান্দাবাজী-টাইপের বিশেষ "মতবাদ+তথ্য" না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আপনি কোথায় জানিনা কিন্তু USA তে থাকলে দুঃখিত।
ওগোর আমি একদম ই বুঝিনা।একি সংগে কেউ কঠিন স্মার্ট আবার কঠিন ক্ষেত কেম্নে হয়?!! MIT ও ওইখানে আবার Creation Science Museum ও ওইখানে। 🙁
কেমন? 😐 বুঝলাম না।
সেইটাই।
UCLA-তে। এদেরও একই রোগ আছে। মানবতা-মানবতা কইরা আসমান-জমিন এক কইরা ফালায়, পোলায়+পোলায়, মাইয়ায়-মাইয়ায় বিয়া'র আইনগত দাবীতে লস এঞ্জেলস শহর কয়েক ঘন্টার জন্য অচল করে ফেলে। 😮 ইরাকে ৪,০০০ মার্কিন সৈন্যের মৃত্যুতে কালো-ব্যাজ ধারন করে। কিন্তু ঐখানে যে তারাই ৪০০,০০০ এর উপরে সাধারন মানুষ মারছে, সেই খবর নাই। ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবে "মানবতার শত্রুদের" আরও efficiently মারার মানুষবিহীন যুদ্ধবিমান বানানোর গবেষণা করতাছে। :no: :no:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অশিক্ষিতের হাতে লাখ টাকা পরলে যা হয় আর কী?!!
বুদ্ধিমান??? :no: মানুষ নিজের রক্তপাত এড়িয়ে অন্যের রক্তপাত :gulli: বাড়ানোর :chup: মহান(!!) প্রতিযোগীতায় সব বুদ্ধি :-/ ব্যয় করে ফেল্লো..... :grr:
(আল্লা! বাচাও!!!!!)
মাহমুদ ভাই খুব ভাল লাগলো পুরটা পড়ে।
"তোমার যুক্তিটা মানতে পারছিনা। এক বিল্ডিং এ আমি কখনোই ২০০টা পরিবারে ২০০টা ফিলোসফি দেখি না, আমি একটা প্রধান ফিলোসফি+কিছু অ-প্রধান ফিলোসফি দেখি।"
এখানে ঝামেলাটা হচ্ছে যাদেরগুলো দেখছেননা তাদের কাছে কিন্তূ নিজেদেরটাই প্রধান। আরেকজন হয়ত অন্য একটাকে প্রধান করে দেখবে। এজন্যই সামাজিক বিজ্ঞানে এত বেশি ভাগ, মতবাদ। বিজ্ঞানের ডোমেইন এ আছে এক্সোজেনাস বিষয়, আর সামাজিক বিজ্ঞানে আছে মানুষ যার প্রত্যেকে আরেকজনের থেকে আলাদা। দশটা আপেল ফেলে দিলে তার সবগুলোই নিচের দিকেই পড়বে, কিন দশটা মানুষকে চড় দিলে প্রত্যেকের রিয়েকশন হবে আলাদা।
তাই সমাজ নিয়ে ব্যক্তি নিয়ে আলোচনা মোটেও বিজ্ঞানের থেকে কম কষ্টকর নয়।
প্রধান করে দেখানো এতো যতটা সোজা ভাবলে, আদতেই তা ঠিক নয়। কোন বিশেষ মতবাদকে প্রধান করে দেখানোর কাজটা ব্যক্তির, এমনকি ক্ষমতাহীন দলের পক্ষেও অসম্ভব।
আর সমাজবজ্ঞানে নানা মত পাঠ্য বিষয় তথা ব্যক্তির কারনে নয়, ব্যক্তিকে পাঠের উপযুক্ত পদ্ধতির বিষয়ে মতানৈক্যের কারনে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমার এইটুকু লেখা নিয়ে বেশ কনফিউশন এ পড়ে গেছে সবাই।তাই ব্যাখ্যা করতে এলাম।
আমরা সবাই একটা পৃথিবীতে বসবাস করি। ভালো জীবনের জন্য আমাদের ফিলসফি কী হওয়া
উচিত তা বোঝানোর জন্য বিল্ডিং ব্যাপারটা আনা হয়েছে। আরেকজনকে পছ্নদ করিনা বলে এমন কোনো ক্ষতি করার অধিকার রাখিনা যা আমাদের
জীবন ধারন কে হুমকির সম্মুক্ষিন করে । হিউম্যান রাইটস হচ্ছে পারস্প্রিক শ্রদ্ধার দলিল।
আমরা(বাঙ্গালিরা) জন্ম নেই পাশ্চাত্যের প্রতি এক অন্ধ ক্রোধ নিয়ে এবং সে ক্রোধ যদি এখন পর্যন্ত জ্ঞান এ এগিয়ে থাকা তাদের জ্ঞান কে বর্জন করার অধিকার দেয় তবে নিজেকে আমি গাধা বলেই গালি দেব।
জ্ঞান মানুসের আর সকল গুনাবলির ধারক ,বাহক। জ্ঞান যা মানুসকে করে তোলে সভ্য। পাশ্চাত্য এই মুহুরতে আমাদের চেয়ে সভ্য।
অন্ধ ক্রোধের অনেক অতীত ইতিহাশ থাকলেও বিনিময়ের স্বার্থে তা আমাকে দমন করতে হবে।তাদের কাতারে দাড়াতে হবে। এপোলর দায়িত্ব পালন করতে হবে।সেটা গৌরবের বলেই আমি মনে করি।
যে কারনে পাশ্চাত্য এবং প্রাচ্যের তুলনামুলক আলচোনা কে আমি অর্থহীন বলেই মনে করি। এখান থেকে আমার পাওআর কিছু নেই(ইতিহাশ জানা ছাড়া। যা আমি যথেষ্ট জানি বলেই মনে করি)
পয়েন্ট টু পয়েন্ট না গিয়ে যীস্ট বললাম।
মনে কষ্ট নিও না, তোমার ইতিহাসে জানার আরেকটু দরকার আছে বলে মনে হচ্ছে।
হয়তো ঠিকই বলেছো যে ক্রোধ নিয়ে জন্মাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে কি কেউ জ্ঞানার্জনে পিছিয়ে আছে? সিসিবি'তেই দেখো কতোজন পাশ্চাত্যে পড়ছে (গোপনে কয়া যাই, আমিও ;;; )। কাজেই আমরা গাধা না, কি বলো? 😀
ইতিহাস, বিশেষ করে পাশ্চাত্য আর প্রাচ্যের তুলনামূলক ইতিহাস ত বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে "সম্রাট বুশের" জারি করা চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে পড়া ফরজে আইন। তা না হলে জানবো+চিনবো কি করে যে, মানবতার নাম করে, আমাদেরকে রক্ষা করার নাম করে, আমাদের সম্মতি নিয়ে, আমাদেরই মেরে কচুকাটা করে যাচ্ছে পাশ্চাত্যের সভ্য শাসকেরা?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাবনার বিষয় B-) ( (গোপনে কয়া যাই, আমিও )
কিন্তু আমার কাছে আসলে গলা কাটতে পারাটা কোনো যোগ্যতা মনে হয় না(ওইটা আমিও পারমু) বরং গলা কাটতে দেয়াটা অযোগ্যতা মনে হয়।
গলা কাটার চাইতে বোমা-মারাকে আমি বেশি ডরাই। কারন, গলা-কাটনেওয়ালার "efficiency" পারমানবিক বোমাবাজের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত কম। :grr: তাছাড়া, গলা-কাটনেওয়ানালা যেই ধর্মের দোহাই দিয়ে কামটা সারে, সেই ধর্ম আসলে তার বিরুদ্ধেই। ধর্মকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলে উক্ত বীরপুঙ্গব দৌড়ের উপরে। কিন্তু যেই মতবাদের ভিত্তিতে বোমাবাজ লাখে লাখে মানুষ মারার বৈধতা দেয়, তা সেই বোমাবাজকেই সমর্থন করে যায়।-
কাজেই, শত্রু হিসেবে আমি বোমাবাজের জায়গায় অত্যধিক দূর্বল গলা-কাটনেওয়ালাকেই বেছে নিব। 😀 (ওরে সাইজ করাটা সোজা হবে, কি কও?)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাইরে :no:
তাও একজন গলা কাটনেওয়ালা লাগবে? সিনিয়র এর এই উপদেশ আমাদের প্রতি!!!
সুইডেন/সুইজারল্যান্ড হইতে কি লাগে?
একটা হাড্ডি নিয়ে তিন/চারটা কুত্তার মতো কামড়া-কামড়ি করতে থাকা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র, যেমন, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স আর জার্মানী। 😀 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সুখে তো থাকে। 🙂 আর কী লাগে?
যাই হোক আজকে যাবো।আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো।ভাল থাকবেন। খোদা হাফেজ।
তুমিও ভালো থেকো। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
"মানবসমাজ পদার্থবিদ্যার সূত্র ধরে চলে না। পদার্থের জগতে একই কারন বছরের পর বছর একই ফলাফল জন্ম দিয়ে গেলেও মানব সমাজে তা হয় না। "
পুরোপুরি একমত। এর বড় প্রমান ব্লগ এর কমেন্টগুলো।
হুম। আমিও তাই বলি। এটা বোঝার জন্য নিউটন-আইনষ্টাইনরে টাইনা আনাটা অহেতুক কষ্ট ছাড়া আর কিছুই না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সভ্যতার উন্নয়ন কোনো ঐকিক নিয়ম না। এটা চক্রবৃদ্ধি হারে এগোয়।
আপনি আপনার কমেন্ট এর রেফারেন্স টানুন প্লীয ।মানে কী দেখে এ ফলাফল এ পৌছুলেন?(বুঝতে সমস্যা হয়) ।
আমি চক্রবৃদ্ধি কইছি কোথায়? এটা আমার টানা কোন নতুন সূত্র নয়, প্রায় ৬০ বছর ধরে সামাজিক বিজ্ঞানসমূহে (শুধু সমাজবিজ্ঞানে নয়) চলে আসা কাঠামোগত-ক্রিয়াবাদের (structuralism-functionalism) একটা মূল সূত্র, যা ইংরেজীতে লেখা হয় এইভাবে- the whole is more than the sum of all parts. সমাজবিজ্ঞানে এই ধারার প্রবক্তা ধরা হয় Emile Durkheim কে।
স্পেসিফিক বইয়ের রেফারেন্স চাইলে দু'একদিন অপেক্ষা করা লাগবে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
জুবায়েরের লেখাটা পাশ্চাত্য বনাম প্রাচ্য নিয়ে বললে খুব বড় অবিচার হয়ে যাবে। বরং বলা যেতে পারে "বিজ্ঞান এবং প্রগতিশীলতা" বনাম "ধর্ম এবং পশ্চাৎপদতা"। আধুনিক মানবজীবনে কোনটার কি অবদান তাই বুঝানোর চেষ্টা ছিল। এমন না যে জুবায়ের এইটা লিখছে নিউট্রাল point of view থেকে। শুরু থেকেই তার ভিউ পয়েন্টে সে passionately বলে গেছে।
অন্যান্য ব্লগে আমি দেখছি লোকে একজন অন্যজনকে গালি গালাজ করে যাচ্ছেতাই ভাবে। একফোটা রেসপেক্ট নাই ভিন্ন মতের প্রতি। আমরা তো small community। আমাদের মিউচুয়াল রেসপেক্ট তো অনেকটা unparalleled। এরপরেও আমরা কিভাবে ভাবতে পারি যে এই পোস্টের জন্যে আমাদের সিসিবি ছাড়তে হবে?
@মিউচুয়াল রেসপেক্ট @
বিতর্ক এবং ঝগড়া এর মাঝখানের লাইন।
@এরপরেও আমরা কিভাবে ভাবতে পারি যে এই পোস্টের জন্যে আমাদের সিসিবি ছাড়তে হবে?@
১১০% সহমত।
একটা দুইটা পোস্টের জন্য পুরো সিসিবি কে এক কাতারে বা একই গোষ্ঠীভুক্ত করে ফেলার চিন্তাটা উদারমনস্কতা নাকি সংকীর্ণতার পরিচয়? :dreamy:
আমিও ১১০% সহমত। :thumbup:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমি কখনোই সিসিবি'কে গোষ্ঠিভুক্ত করে ফেলিনাই। সম্ভাবনার কথা বলেছি, খানিকটা মিলে যাচ্ছে বলেই। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তো আপনার সম্ভাবনা কি বলে? ;;)
এই ব্লগে বিরুদ্ধমত সহ্য করতে পারে এরকম সহনশীল লোকের গোষ্ঠী ভারী নাকি তার উল্টাটা? :-B
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তুমি কি বলো?
গ্রেট মাইন্ডস থিঙ্ক এলাইক। 😛 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বুইঝা নিসি। ;;;
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
পাভেল, তাই নাকি? আমি ভালো করে পড়ে+বুঝেই এই প্রতিক্রিয়াটা লিখেছি। অযথা ইস্যু তৈরী করতে এতোটা সময় ব্যয় করে এই পোষ্ট লিখলাম নাকি? 😛
দেখো তাইলেঃ
এরকম আরো অনেকগুলোই আছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, আমার কাছে ওভারঅল থিমটা পাশ্চাত্যের সাফাই টাইপের মনে হয় নাই। তবে আপনার সেকেন্ড কোট টা দেখে মনে হচ্ছে এই লাইনটা সে অন্যভাবে বলতে পারত। শব্দের কিছু ভুলপ্রয়োগ করে ফেলেছে। আমি পার্সনালী লেখাটার মূল বক্তব্যতে বেশি ইন্টারেস্টেড।
অফটপিক: আপনাদের সমাজবিজ্ঞানের সব সূত্রের ব্যান চাই, মাথায় ঢুকে না :chup:
আমিও জানি যে সে কথাটা অন্যভাবে বলতে পারত। কিন্তু বলে নাই, কারণ সে (এবং আমাদের বেশিরভাগই) এই ধারনা পোষন করে যে, পাশ্চাত্য সভ্যতার শীর্ষে এসেছে বিজ্ঞানের হাত ধরে। এটা এখন আমাদের সাধারন জ্ঞানের অংশ। আর সাধারন জ্ঞান বলেই বিনা প্রশ্নে আমরা তা মেনেও নেই। কিন্তু প্রশ্ন করে দেখো, এই মতের স্বপক্ষে কোন প্রমান নাই। এটা 'কথার কথা' টাইপের জ্ঞান, যা সবাই জানে। কিন্তু আসলে কেউই তলিয়ে দেখে না যে এই জানাটা আসলে কতোটা সঠিক।
কিন্তু এই মতবাদ/বয়ানের বাস্তব ফলাফল ত আমাদের জন্য ভয়াবহ! আমাদেরকে একটা নিম্নশ্রেনীর জনগোষ্ঠির ষ্ট্যাটাসে ফেলে দেয় যাদের কপালেই লেখা আছে পাশ্চাত্যের অধীনে থাকা। এইভাবে এটা "সার্বজনীন মানবতারও বারোটা বাজায়।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ব্যাপক মজা পাইলাম তোমার কথা। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাই, এইসব লেখার জন্যই অন্য ব্লগে যাওয়া ছাড়ছি। প্লিজ এইখানে এইসব শুরু না হলে ভালো হতো না? জানি, কয়েকজন না থাকলে ব্লগ ঠেকে থাকবে না, কিন্তু চাই না নিজের ঘর ছাড়তে। (একান্তই নিজস্ব মতামত)
আমাকে কইলা নাকি? 😮
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
না ভাই। আপনারে কই নাই? মন টা খারাপ লাগতেছে। নিজের বাড়িটা মনে হয় এইবার ছাড়ার সময় হইছে।
মনটা খারাপ হইছে কীন্তু ছাড়ার কথা ভাবিনাই 😕
আপ্নিও জাবেন না প্লীজ 🙁
x-( ব্লগ ছাড়ার হুমকি দেওয়র জন্য রিবিন ভিয়ের বিঞ্চাই
আমিও......
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আসলে রবিন তার গল্পটার নেক্সট পার্ট ভাড়া করা টাইপিস্ট ছাড়া কেমনে পোস্ট করবে এইটা ভাইবাই মনে হয় ডাউট দিতাছে ;;;
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ব্লগ আমি ছাড়তে যামু না... বাট যদিও বা একটা দুইটা সিরিয়াস বিষয় নিয়া লেখার প্লান ছিল, বাদ দিসি; বইলাই তো দিসি, এখন থেকে শুধু এমন পোস্ট দিমু যাতে মানুষ পইড়া মিজা পায় ... কথাকাটাকাটিতে লিপ্ত না হয়!!
ধূরর মিয়া,
এইটা কি কইলা? খালি এমন কিছু লিখোনা যেন তা'তে কাউকে (ব্যক্তি/দল) অযৌক্তিকভাবে "অগা" বলার ইংগিত থাকে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ঐ.. :-B
😮 😮
আরে, আদনান দেখি দুইজন। :-B
তাই ত কই, এক সময় দেখি প্রফাইলে ছ্যাকা-খাওয়া ছবি, আবার দেখি কালোব্যাজ। এখন কলেজে অবস্থানের টাইমে দেখি ব্যাপক পার্থক্য।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মূল বক্তব্য এর পাশেই ছিলেন। বিজ্ঞানের প্রতি নয় শুধু। সেইসব মানুসের প্রতি,মানুসের অর্জনের প্রতি (কারন এখানে এলিওট,কীটস,বাখ আসতে পারতেন।কিন্তু পাঠকের গুরত্ত বোঝার অক্ষমতার কারনে এসব উদাহরন ব্যবহার করা হয়নি বলেই আমার ধারনা।)
!!!!!!!!!!!আমি আপনাকে এ ব্যাপারে বলেছিলাম।আপনি কী একটা ইতিহাস এর রিভিউ চাচ্ছেন? সভ্যতার উন্নয়ন চক্রবৃদ্ধি হারে এগোয় যে কারনে আমরা বলতে পারি গত এক শতকের অর্জন তার আগের শত শতকের সকল অর্জনের যোগফলের চেয়ে শতগুন বেশি।
আমি যা লিখেছিলাম তা থেকে কোট করি।
সভ্যতার অগ্রগতি একটা রিলে রেস।মুসলমানরা কী আলেকজান্দ্রিয়া দখল এর আগেও এতোটা শিক্ষিত ছিলো?!!প্লেটো এর যুগের একজন আরব বিজ্ঞানির নাম বলেন।আমি জানি না!!!!!!!!
সাব্বির, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে ক্ষমতার পারস্পরিক সম্পর্কে তোমার মতের সাথে আমি অনেকটাই একমত। 😀
ভাই, তোমার অবস্থান এবার পরিষ্কার হলো। তুমি ধরে নিচ্ছ যে, পাশ্চাত্যের বিপরীতে আমি সভ্যতায় মুসলমানদের অবদানের কথা বলছি। মোটেই তা নয়। আরবের ত নয়ই। তাইলে আমি ওদেরই অনেক জ্ঞানী-বিজ্ঞানীদের নাম দিতে পারতাম যাদের ইউরোপীয়রাও স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু আমি কি কইছি? আমি বলেছি অশোক (বৌদ্ধ)আর্যভট্ট (হিন্দু), আকবর (মুসলমানরা যাকে ধর্মত্যাগী মনে করতো) এদেরকে।
সভ্যতার ইতিহাস জেনেশুনেই আমি আমার বক্তব্যগুলো উপস্থাপন করেছি। প্লেটোর আগে কি কি ছিলো তা'রও কিছু কিছু জানি। কাজেই... 🙂
বিজ্ঞানমনষ্কতা আর পাশ্চাত্য সমর্থক নয়, একই ভাবে পশ্চাতপদতা আর আমরা সমার্থক না। এটা বৈজ্ঞানিক কোনও সূত্রের জ্ঞানও না। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, আপনের এই লেখা আমার খুব ভাল লেগেছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার সাথে আপনের মিলে না। প্রথমে অমিলটাই বলি:
- আমি যেভাবে বাংলাদেশের প্রতি আপনার ঋণ তুলে ধরেছেন আমি এতটা তুলে ধরবো না। আমি বরং আমার এ অবস্থায় আসার পেছনে অতীতের সব মানুষের সম্মিলিত জ্ঞানকে কৃতিত্ব দেব। আমার ইন্টার পাশ পর্যন্ত পুরোটায় যেমন বাংলাদেশ এবং এদেশের মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশী, তেমনি ভার্সিটি জীবনে এমন সব মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশী যাদেরকে কোন স্থান-কালে বাধা যায় না।
- সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সমাজের পরই ব্যক্তি, আপনার মন্তব্য থেকে এটাই বুঝলাম। বিজ্ঞান হয়ত বিষয়টাকে এভাবে দেখছে। কিন্তু যেহেতু সমাজবিজ্ঞান এখনও অতোটা রিচ হয়নি তাই একটা ধৃষ্টতা দেখাই, একটু দ্বিমত করি। আসলে আমি মোতাহের হোসেন চৌধুরীর "সভ্যতা" পড়ে ব্যক্তির ভালবাসায় পড়ে গেছি। আমি দেখছি গ্রিক, ইতালীয় এবং ফরাসি সভ্যতাগুলোর শীর্ষ সময়ে ব্যক্তিরা নিজেকে স্বতন্ত্র এবং স্বায়ত্তশাসিত মনে করতো। তাদের স্বতন্ত্র সৌন্দর্য্যের ভীড়েই সমাজে সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে পড়তো। তাই নিজেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে (মনে মনে) নিয়ে নিজের একটা আলাদা জগৎ তৈরী করাকেই আমি নিজের লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছি।
এবার ঐকমত্যের কথা:
- পাশ্চাত্য এবং প্রাচ্য নিয়ে আপনি যা বলেছেন তার সাথে একমত। কলেজে এডওয়ার্ড সাইদের ওরিয়েন্টালিজমের কিছুটা পড়েই আমি এ ধরণের বইয়ের প্রতি প্রথম আকৃষ্ট হয়েছিলাম। আমাদের প্রিন্সিপাল নৃবিজ্ঞানের সংজ্ঞা হিসেবে বলতেন, "আমি পান খাই, তুমি খাও না- এটা নিয়েই নৃবিজ্ঞান।" তাই প্রাচ্যকে আমি পাশ্চাত্যের দৃষ্টি দেখতে চাই না। আমার জন্ম হয়েছে প্রাচ্যে। তাই প্রাচ্যকে জানার সুযোগ আমার বেশী। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। আমি এডওয়ার্ড সাইদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব পছন্দ করি।
- জাতীয়তাবাদ নিয়ে যা বলেছেন সেটার সাথে একমত। জাতীয়তাবাদকে ঘৃণা করি। কারণ এটা উগ্রতার জন্ম দেয়। এটা সম্পর্কেও সভ্যতা বইয়ে অনেক কিছু জেনেছি।
- ধর্ম এবং বিজ্ঞানের আলাদা ডোমেইন নিয়ে যা বলেছেন তার সাথে পুরো একমত। আমি চাই "স্বতন্ত্র বলয়" (nonoverlapping magisteria)
- জুবায়ের ভাইয়ের পোস্টে পাশ্চাত্য-প্রীতি নিয়ে আমিও সামান্য বলেছিলাম। এখানেও আবার বলছি। আর আমি পারতপক্ষে ধর্ম এবং বিজ্ঞান এই দুটো বিষয় নিয়ে এক জায়গায় আলোচনা করি না। আমার বিশুদ্ধ বিজ্ঞান নিয়ে লেখা কোনকিছুতেই ধর্ম থাকে না। আর ধার্মিকরা যখন বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যা দেন তখন সেটাকে খণ্ডাই। আমার সেই খণ্ডনগুলোকেও আমি বিজ্ঞান-বিষয়ক লেখা বলতে চাই না।
হুম, তোমার এই মন্তব্যেই তুমি প্রমান দিলা ক্যান তুমারে সচল ঐ পুরষ্কারটা দিতাছে। :clap:
মোতাহের হোসেন কালচারের যে সংজ্ঞা দিছেন আর তোমাদের প্রিন্সিপাল স্যার নৃ-তত্তের যে সংজ্ঞা দিছেন, ওগুলো কখনোই যুক্তির ভিত্তি/উদাহনর হিসেবে ব্যবহার করোনা। তা'তে তোমার নিজস্ব চিন্তাশক্তির উপর অবিচার করা হবে। কারন, ওগুলো কালচার বা নৃ-তত্ত্বের কোন সংজ্ঞাই না। আমি জেনে-বুঝেই এই মন্তব্য করছি। 😛
আর সমাজবিজ্ঞান কতটা রিচ সেই বিষয়ে তোমার ভুল ধারনা আছে। সমাজবিজ্ঞানের চল্লিশোর্ধো শাখার একশাখা sociology of work পড়তে গিয়ে কূল পাইতাছি না। :((
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
না, এগুলারে ঠিক সংজ্ঞা বলাটা আমার ঠিক হয় নাই। এক ধরণের anecdote আর কি। সায়েন্সের আলোচনায় anecdote নিয়ে আসা যতটা অপ্রাসঙ্গিক কালচার বা নৃবিজ্ঞানের আলোচনায় মোতাহের হোসেন চৌধুরী বা আমাদের প্রিন্সিপালের কথাও তেমনি অপ্রাসঙ্গিক।
কিন্তু ঐ কথাগুলো শুনেই বিষয়গুলাতে আকৃষ্ট হইছিলাম তো এজন্যই বলা। আসলে সেগুলো ছিল ট্রিগার। এর আগেও তো বলছিলাম: ট্রিগার হিসেবে এই আরামদায়ক কথাগুলা কাজে দেয়।
আর সমাজবিজ্ঞান নিয়া ঐ "রিচ" শব্দটা ইউজ করা আসলে ঠিক হয় নাই। এর মাধ্যমে খাটো করতে চাই নাই। আপনিই কোন পোস্টে জানি বললেন না, সমাজবিজ্ঞানে এখনও দুয়ে দুয়ে চার মেলানোর মত কোন সূত্র নাই- সেখান থেকেই এই ধৃষ্টতা দেখাইছিলাম। ঠিক হয় নাই।
আসলে আমার এখন সেটাই মেনে নিতে হবে:
সমাজবিজ্ঞান সমাজ নিয়ে গবেষণা করে, কিন্তু সমাজের মানুষের জন্য কোন কোড অফ কন্ডাক্ট বেঁধে দেয় না। ব্যাপারটা অনেকটা বিবর্তনবাদী মনোবিজ্ঞানের মত বোধহয়। বিবর্তনবাদী মনোবিজ্ঞান মানুষের অনেক মনোভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে পারে। তার মানে এই নয় যে, মানুষকে সেই গবেষণার ফলাফল মেনে চলতে বলা হচ্ছে। 🙂
ঐ মিয়া, তুমি ত দেখি ভালো নাছোড়বান্দা। 🙂
সেইগুলি থেকেই আকর্ষিত হইছো, ঠিকই আছে। কিন্তু সেই আকর্ষনটাকে বীজ থেকে ত সার-পানি দিয়ে দিয়ে জ্ঞানবৃক্ষের জন্ম দিতে হবে। তা না হলে সেই আকর্ষনের মূল্য কোথায়? :grr:
তুমি সমাজবিজ্ঞানরে ছোট করছো সেটা মনে করি নাই। 😀
সমাজবিজ্ঞান কি করে/করতে চায়, সেই বিষয়ে আমার একটা মোটামুটি ধারনা হইল, সমাজের গায়ে সভ্যতা-নামক কাপড়ের পর্দা চড়িয়ে একে যে সভ্য বলা হচ্ছে, সেই পর্দাহরন, তবে সিষ্টেমেটিক পদ্ধতিতে। (হেয়ালির মত শোনালেও ঘটনা এটাই 😛 )
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ঠিক। মনে থাকবে।
কিন্তু ঐ সভ্যতার কাপড় টাইন্না খুলার কথাটা কি কইলেন। আসলেই আপনাদের এই দূরভিসন্ধি নাকি? ভয় পাইছি। অবশ্য সিস্টেমেটিক্যালি প্রমাণ হইলে তো মানতেই হবে 🙁
সমাজকে ল্যাংটা করতে চাই শুইনা ভয় ভয় পাইলা নাকি? 😛 😛
কিন্তু আসলেই তা চাই। প্রথমে দেখতে চাই, সভ্যতা, বিশেষ করে পাশ্চাত্য সভ্যতা (আসলে যে'ই সভ্যতা শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করবে, সেটাই) ব্যাপারটা কতটা আসল আর কতটা ভড়ং। তারপর অন্যদের কাছেও বলতে চাই যে, রাজা-মশাইয়ের কাপড় কই, উনি ত ল্যাংটা (যদি আসলেই কাপড়-ছাড়া পাই তখন আর কি...)। :(( (এটা একটা জুক্স)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমিও ব্যক্তির ভালোবাসাতেই, তোমার মতই। কিন্তু ধর্ম বা বিজ্ঞান- কোনতাই না, শুধু ব্যক্তি। আমি ধর্ম বা বিজ্ঞানকে সেই পর্যন্ত গ্রহন করতে রাজী আছি, যতক্ষন তা ব্যাক্তি-মানুষকে প্রধান্য দেয়। আমার বিশ্বাস, ব্যক্তির জন্যই বাকি সবকিছু, কোনকিছুর জন্যই ব্যক্তি না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
খুব ভাল লাগলো। আমিও এটা মানি।
চমৎকার বিশ্লেষন :boss:
অফ-টপিকঃ বস, আপনার ইমেইল আইডি টা দেয়া যায়? কিছু কথা ছিল।
ধন্যবাদ।
hmএটucla.edu
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
চমৎকার বিশ্লেষন :boss: :boss:
তোমার "দ্বিমত" বেশ ভালো লেগেছে মাহমুদ।
উপভোগ্য পাঠ।
অনেক ধন্যবাদ।
বস। ধন্যবাদ আপনাকে।
অফটপিকঃ আপনে কিন্তু আমারে কবতা-পাঠক বানায়া ফালাইতাছেন। :((
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমিও কবতা পাঠক হপো :(( (কপি: জাস্ট ফেরেন্ড)
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:khekz:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
মাহমুদ, তোর বিশ্লেষন ক্ষমতা অসাধারন। সমাজ বিজ্ঞানের ব্যাপারে আসলেই কিছুই জানি না। তুই যদি নিয়মিত লিখিস তাহলে অনেক অজানা ব্যাপার জানা যাবে।
ধন্যবাদ, বন্ধু।
এই আর কি, টুকটাক চেষ্টা করছি।
এই সপ্তাহটা ছুটি, অ-নে-ক দিন পর। লাষ্ট কোরার্টারটা এক্কেবারে মইডলা দিছে। এবার তাই কম ক্লাস নিচ্ছি। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অর্থনীতিবিদ না ? দেখতে হবে তো !!
আমি অর্থনীতিবিদ না। 😮 :(( :((
😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, আপনার লেখাগুলা পড়ে, সবার কথা জানি না, আমি অনেক উপকৃত হই। নিজের কূপমুন্ডুকতার জন্য সমাজবিজ্ঞানকে বেশি পাত্তা দিতাম না, আপনি ব্যাপারটা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। সুতরাং, আপনি যদি সিসিবি ছাড়ার কথা ভাবেন, তাইলে অনলাইনে তুমুল, আপোসহীন, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আর আমাদের মতো নাদানদের কথাও একটু ভাইবেন। সিরিয়াসলি, অনেক কিছু শিখি আপনার লেখাগুলা থাইকা। সুতরাং, আপনের সিসিবি ছাড়াছাড়ি নাই।
আপনার পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
হুম, যাইতাছি না ত। আমি শুধু একটা সুদূরবর্তী সম্ভাবনার কথা কইছিলাম।
নেক্সট কামিং সুন। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
দেরীতে রেসপন্ড করার জন্য দুঃখিত। আসলে আপনি যা যা বললেন তার বেশীরভাগই ঠিক আমি দ্বিমত পোষোণ করার অল্প কিছুই পেয়েছি। তবে, আমার দ্বিমত ছিল কিছু কিছু জিনিষ আমি ঠিক বলিই নি যা কিনা আপনি দাবী করেছেন যে আমি বলেছি, ঐ যুক্তিগুলোও আপনি রিফিউট করলেন, আমি সেটার সাথেও একমতই পোষণ করছি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই। কিন্তু আমার পয়েন্ট হলো সেগুলোতো আমার যুক্তি ছিল না।
মুলত কন্টেন্ট নিয়ে কোন তুলনা আমি করিনি, আমি বরং বলতে চেয়েছি "মূল নিয়মগুলো অনড়" এই কথা বলার আগে ধর্মের দেখাতে হবে কেন অনড়, প্রমান নিয়ে আসতে হবে, প্রমান ছাড়া কারোই কোনকিছু গ্রহন করা উচিত না।
হ্যা, আমি ঠিক তাই ই বোঝাতে চেয়েছি। আসলেই কি তাই ই নয়? আবশ্যই আমরা বলতে পারি না যে, আমাদের সভ্যতা তাদের চেয়ে অগ্রসর। পারি কি? আর আরাধণা শব্দটা আমার মনে হয়না আমি বলেছি। আমি আরাধণার ঘোর বিরোধী, আমি স্কেপ্টিস্ট। আমি বরং বলেছি আমি চাই যে আমার দেশও তাদের মত হোক, আমার দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, ব্যক্তি-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হোক।
আমি মনে হয়না এটা বলেছি।
আমি তো বলবো সবগুলোই। গনতন্ত্রের ল্যান্ডমার্ক তো বলা যেতে পারে ইংল্যান্ডের ম্যাগনাকার্টা ও গ্লোরিয়াস রিভল্যুশন, আমেরিকান ওয়র অফ ইন্ডিপ্যান্ডেন্স, ফ্রেঞ্চ রিভল্যুশন, জেনেভা কনভেনশন অতঃপর পোস্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার ইউনিভার্সেল ডিক্ল্যারেইশন অফ হিউম্যান রাইটস। এগুলোর সবগুলোইতো দেখা যাচ্ছে ইউরোপেই। আর অবদান কখনই সভ্যতার হয় বলে আমি মনে করি না, অবদানের উল্লেখযোগ্য অংশই ব্যক্তির, অল্প খানিকটা সভ্যতার হয়তো।
আমি আবারও বলছি, একটাও না। 😀 এবং আমি এটাও বুঝতেছি কেন তুমি এটা মনে করছো। এটা আসলে টেক্সভিত্তিক ইতিহাস পাঠের কারনে যেখানে প্রধানত ইউরোপীয় ইতিহাসের গুনগান আছে। এই আধূনিক ইতিহাসে শুরুর সময়টা ধরা হয় ইউরোপীয় রেঁনেসা'কে, যা মূলত একটা কলোনীয়াল প্রজেক্ট। এই ইতিহাস বিশেষ সেই সময়ের (রেঁনেসার) আগে সবই অন্ধকার দেখে (ইউরোপের প্রেক্ষিতে যা আসলেই সত্য, কিন্তু অন্যখানে তা খাটে না)।
কিছু মনে করোনা, ব্যক্তি আর সমষ্টি (সমাজ/সভ্যতা) বিষয়ে তোমার ধারনাটা পরিষ্কার না বলে আমার মনে হচ্ছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
টেক্সট ছাড়া আর কি ভিত্তিক ইতিহাস পড়া সম্ভব? আপনি কোন একটা কমেন্টে বলেছেন ইতিহাস রচিত হতে হবে ঐতিহাসিকদের দ্বারাই, কোন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিদের দ্বারা না, আমিও তাই ই মনে করি। এখন যদি আপনি আবার বলেন ঐতিহাসিকদের রচিত টেক্সটও অবিশ্বাস্য তাহলে ব্যাপারটা অনেকটা কন্সপাইরেইসি থিওরি হয়ে যায় না?
এটাও কি কনস্পাইরেইসি থিওরিস্টদের মত হয়ে যাচ্ছে না?
আমি বিস্তারিত পড়িনি, তবে অল্প যা একটু আটটু পড়েছি তাতে কোথাও পাইনি এই তথ্যের অনুপস্থিতি যে, "ক্রিশ্চিয়ানিটির প্রসার-প্রসুত ইউরোপের ডার্ক এইজ এ গ্রীকদের নলেড্জ প্রিজার্ভড হয়েছিল আরবদের দ্বারা, এবং এই আরবদের প্রিজার্ভড নলেড্জ যা তারা এই সময় রিসার্চের মাধ্যমে আরও বাড়ীয়ে তুলেছিল, ইউরোপের সাথে আরবদের স্থাপিত ব্যাবসায়ের সুত্র ধরে পাসড হয় এবং সুচনা করে রেনেইসার, রেনেইসার সুত্রপাত কেন ইটালীতে এটা তারও ব্যাখ্যা।" আমি মনে করিনা আপনার কন্সপাইরেইসি থিওরি কোন ঐতিহাসিক ভিত্তিসম্পন্ন।
সত্য, কেননা এই ব্যাপারে আমার যথেষ্ট পড়াশুনা নেই, তবে আমার ঐ পোস্টে সমাজ ও ব্যক্তি বিষয়ক কোন কাহিনী ছিল না।
ম্যাগনাকার্টা, গ্লোরিয়াস রিভল্যুশন, আমেরিকান ওয়র অফ ইন্ডিপ্যান্ডেন্স??? আমি তো মনে করি না একদিনেই হঠাৎ করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নাহ, আমাদের গনতন্ত্র লাগবে। এর আগে তো বিশাল প্রস্তুতিমুলক পর্যায় ছিলো।
আর্যভট্টর প্রতি সালাম।
কে কখন শুরু করলো তা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই, আমার মাথাব্যাথা এখন কোথায় কি অবস্থা।
ফ্রী-স্পিচ জিনিষটা বোধহয় এমন না যে একজন সম্রাট কোনকালে ফ্রী-স্পিচ চর্চা করলো আর তা আমাদেরকে ভবিষ্যতে দিয়ে দিল এটা বলার অধিকার যে, আমরাতো ফ্রী-স্পিচ চর্চাকারী জাতি। মুলত ফ্রী-স্পিচ সম্রাট তার আমাত্যগন নিইয়ে চর্চা করবেন এমন কোন জিনিষই না।
আমি বলতে চেয়েছি, ফ্রীস্পীচের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় এবং সর্বপ্রথম বাঁধা আসে ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে। এই দৃষ্টকোণ থেকে ভারতবর্ষ অনেক আগে থেকেই উদার ছিল সেটাই আমার মূল কথা (অ-ইউরোপীয় অন্যান্য অংশের কথা ত বলিইনি এখনো)। সাধারণ সমাজও অনেক উদার,পরমতসহিষ্ণু ছিলো, যা "ইউরোপীয় চোখ" দিয়ে দেখা, "ইউরোপীয় হাত" দিয়ে লেখা ইতিহাস সব সময়ই অস্বীকার করে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
প্রথমত, আপনার এই কন্সপাইরেইসি থিওরিটার সাথে একমত পোষণ করছি না। ইন্ডোলজি যা মুলত শুরুই করে ইউরোপিয়রা একে একটি অধ্যয়নের অ্যাকাডেমিক বিষয় বানিয়ে। ম্যাক্স মুলার, রালফ টি এইচ গ্রিফিট এরা কেউ ভারতীয় ছিল না। এখনও সংস্ক্রিত টু ইংরেজী একটিমাত্র অনলাইন ডিকশেনারী চালায় হচ্ছে জার্মানী। আমার মতামত হচ্ছে, ইউরোপীয়রা আমাদের ও আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে ভালই জ্ঞাত আছে, এবং ইতিহাস আপনি যেই অ্যালিগেইড বায়াসের কথা বললেন তার প্রভাবমুক্তভাবেই লেখা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, এটা চর্চা করার বিপক্ষে ক্ষমতা থেকে সবচেয়ে বড় বাধা এসে থাকলেও ফ্রীস্পিচ একটি কালেক্টিভ জিনিষ। ফলে ব্যাপারটা এমন যে, সেন্সরশিপ যা এসেন্সিয়্যলি ফ্রীস্পিচ আন্ডারমাইন করার মেকানিজম, কাজ করবে এভাবে যে, আমি আমার ছোট ভাইকে সেন্সর করতে পারি, আমার মা আমাকে সেন্সর করতে পারে, মন্ত্রী পারে আমার মা কে, মন্তীকে পাড়ে প্রধানমন্ত্রী ইত্যাদি ইত্যাদি রাইট। ফ্রীস্পিচ একটি কালেক্টিভ সোস্যাল ভ্যালু, সমষ্টিগত সামাজিক মুল্যবো্ধ, এটা কাজ করবে এভাবে- আমি আমার ম্যানেইজারের উপর এটা প্রয়োগ করতে পারবো, পুলিশের উপর পারবো, কোর্টে পারবো বা সবজাগায়ই পারবো, রাইট- মুলত এ কারণেই একজন কোন এককালে একজন সম্রাটের ফ্রীস্পিচ চর্চা, ফ্রীস্পিচ আমাদের মুল্যবোধ ব্যাবস্থায় এমবেইড হয়েছে এটার স্ব্পক্ষে কোন কিছু মিন করে বলে আমি মনে করি না।
আমার বক্তব্যকে কন্সপাইরেইসি থিওরিটা বললে ত এখানে আর আমার কোন যুক্তিই খাটেনা।- শুধু এইটা কথাই বলি, আমি যখন প্রতিষ্ঠিত মতের বিরুদ্ধে এইসব যুক্তি উপস্থাপন করি, তখন আমি কখনোই 'বোধ হয়' শব্দটা ব্যবহার করি না। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এইখানে তোমার-আমার চিন্তার একটা মৌলিক পার্থক্য ধরা দিচ্ছে।- আমার ধারনায় একজন সম্রাট কখনোই সমাজের প্রচলিত ডিসকোর্সের বাইরে ইন-পাবলিক কিছু করতে পারেনা। তাকে সমাজের প্রচলিত নিয়মকানূন মেনেই যাবতীয় আদেশ-নিষেধ জারী করতে হয়, তা না হলে বিদ্রোহ অনিবার্য। অশোকের সেই পরমতসহষ্ণুতার প্র্যাকটিস জনগন সহজ ভাবেই গ্রহন করেছিলো+চর্চাও করেছিল কয়েক দশক। একারনেই এটাকে সেই সমাজের প্রচলিত সাধারন মানদন্ড হিসেবে ধরা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিবিশেষের মধ্য দিয়ে "নির্দিষ্ট একটি সময়ের সমাজ" নিজেই প্রকাশিত হয়। কোন ব্যক্তি নিজের ইচ্ছেমত সমাজকে চালিত করতে পারেনা,- তা সে সম্রাটই হোক, আর বিজ্ঞানীই হোক, আর ধর্মপ্রচারকই হোক।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তাইলে একটা ছোট পরামর্শ দেই।- ফ্রান্স, জার্মানী, নেদারল্যান্ড, আর ইটালীর গত দুইটা সাধারন নির্বাচনে কট্টরপন্থিদের ভোটের হিসাবটাতে নজর বুলিও, খানিকটা ধারনা মিলবে এসব অগ্রসর ইউরোপীয় দেশে কি অবস্থা।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অবদান মৌলিক কি যৌগিক এটা নিয়েও আমার কোন মাথাব্যাথা নেই, অবদানটাই আসল।
আধুনিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত হওয়াটাতো আমি মনে করিনা দোষের কিছু। এখনও কি আমরা সুশিক্ষিত হতে ইউরোপ, আমেরিকায় ছুটছি না?
আমি মনে করি এটা পৃথিবীর সবারই চেনা উচিত, বাংলাদেশের সুন্দরবনের মতই এটা ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ সাইট।
দেড়যুগ ধরে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে থাকলে তারা অবশ্যই খারাপ কাজ করেছে, যদিও আমি মনে করিনা এই তথ্য কোন নিরপেক্ষ সুত্র থেকে এসেছে। একটি খারাপ কাজ যে করে তার আরেকটি ভালো কাজও কিন্তু খারাপ হয়ে যায় না। তারা হত্যা করে খারাপ কাজ করলেও ভালো কাজ করেছিল একাদশ শতাব্দীতে প্রথম গনতন্ত্রের ধারণার সুচনা করে। আর বিদ্রোহ দমনকেতো খারাপ কাজও বলা যায় না। পড়েননি রবীন্দ্রনাথের গোড়া? বিদ্রোহীরা কি সব কুকর্ম করেছে? তাদের বিরুদ্ধে যদি আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হয় আমরা কি অভিযোগ করতে পারি?
এটা আমি মনে করিনা তাদের সৃষ্ট ছিল, আমাদের সাম্প্রদায়িক অসম্প্রিতির ইতিহাসতো পুরোনো, আমরাই কি এই দাবী নিয়ে আসিনি যে আমাদের আলাদা আলাদা রাষ্ট্র চাই? কি লাভি বা তাদের আছে এই অশান্তিসৃষ্টিকারী প্যাচ লাগিয়ে রেখে?
তোমার এই পয়েন্টের উত্তর দেবার আগ্রহ নেই আমার। কেন, তা বুঝে নিও।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমি বৈজ্ঞানিক অর্জনের সাথে পাথর ছুড়ে,ফাঁসি দিয়ে মানুষ মারাকে তুলনা করিনি।
আমার মনে হয়না এই কথা আমি কোথাও বলেছি, আমার উদ্দেশ্য ছিল না "প্রাচ্য-সভ্যতা+জনসাধারনকে নীচ দেখাতে গিয়ে একটা অতি-সরল যুক্তি তৈরী করা"। আমার উদ্দেশ্য ছিল এটা বলা যে ঈশ্বরের ধারণাটা একটি অপ্রয়োজনীও ধারণা। প্রাচ্য বা পাশ্চাত্য নিয়ে আমি একটি লাইন মাত্র বলেছি, যেটা কিনা আমার মুল বক্তব্যের খুবই গৌন অংশ।
হ্যা, যারা করে থাকে এসব আমার তো মনে হয়না তাদের আমি প্রশংশা করেছি। পাশ্চাত্যের বেশীরভাগ মানুষ কথাটার সাথে একমত পোষোণ করছি না। আমেরিকা পাশ্চাত্যদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম শিক্ষার হার সম্পন্ন এবং সবচেয়ে বেশী ধার্মিক। আপনি ইউরোপ থেকে কিছু রেফরেন্স টানলে এটা ভালো বোঝা যেত।
একটুকুও না, আমি বলিও নি জনসাধারণের কোন ভুমিকা আছে। তবে বিজ্ঞানীর ভুমিকাতো আছেই তাই না? আমি জানি না কেন আপনি বলছেন উক্ত "বৈজ্ঞানিকের ভূমিকা কতটুকু"?
এইখানে তোমার ৪র্থ কোটটা আউট-অব--কন্টেক্সট হয়ে গেছে। আমি বৈজ্ঞানিকের ভূমিকাকে সমাজের সামগ্রিক পরিমন্ডলে বিচার করতে গিয়ে সেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতার ভূমিকা নির্দেশ করেছি। আমার আসল মতটা ছিলো নিম্নরুপঃ
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
জনসাধারণের বিজ্ঞানমনষ্কতা বা অমনষ্কতা নিয়ে আমার কোন বক্তব্যই ছিলো না। আমার বক্তব্য ছিল ব্যক্তির বিজ্ঞানমনষ্কতা বা অমনষ্কতা নিয়ে।
আমি তারই গুনগান করেছি যার অর্জন আছে এবং বদনাম কারও করিনি বরং বলেছি আমরাও কিছু অর্জন চাই যাতে আমাদের গুনগান আমরা বা অন্য কেউ করতে পারে।
আমি সেটা বলছিও না।
সেটাও আমি করছি না। তাদের অর্জন আছে আমি তাদের পুজা করি তারা ইউরোপীয় বলে নয় তারা মানুষ বলে। আমি গান্ধী, বোস, রবীন্দ্রনাথেরও পুজা করি, তারা ভারতীয় বলে নয় তারা মানুষ বলে।
ন্যাচারাল সায়েন্স ও সোশাল সায়েন্স এর পার্থক্যের সূত্র ধরে আমি মোটাদাগে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য সভ্যতার বিভাজন-প্রকৃয়া???? ন্যাচারাল সায়েন্স ও সোশাল সায়েন্স এর পার্থক্য???? আমি বুঝিনি।
হুম, সেটা আমিও বুঝেছি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
"লাদেন ধরার অযুহাতে পারমানবিক বোমা ফেলে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মারা"??????
আমিও তাই মনে করি, দেশের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা থাকবে, আমি আমার দেশের উন্নতির জন্য কাজ করবো। আপনার ইস্যু?
কেন, দেখতে পাও না? ;;; ইরাকে, সুদানে, ইয়েমেনে, আফগানিস্তানে, পাকিস্তানে যে সব মানুষ মরছে, তাদের কত জন তথাকথিত সন্ত্রাসী? আর তারা কি মানুষ নয়?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এটা তারা করলে এটা অবশ্যই নেক্কারজনক, সে ব্যাপারেতো আমার কোন দ্বিমত নেই।
এটা তারা করলে
😮 😮 😮
উত্তর ত আমার লেখাতেই ছিল। আমার ইস্যু হল "পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য সভ্যতার বিভাজন-প্রকৃয়ার - বাস্তব ফলাফল হল প্রাচ্যের উপর পাশ্চাত্যের সম্রাজ্যবাদ- মুখোশ উম্মোচন করা।"
ভালো থেকো, সব সময়।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, :thumbup: :thumbup:
শুধু পোস্ট পড়ে মাহমুদ ভাইকে :thumbup: দিয়েছি। বিতর্কটা চরম লাগলো। সবাইকে :salute:
শুধু পোস্ট পড়ে মাহমুদ ভাইকে :salute:
অসাধারণ লাগলো ভাইয়া :boss: :boss: :boss:
আপনার ফ্যান হয়া গেলাম