আমাদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর জন্য সকলেই আমরা সব সময় কোন না কোন পণ্য (Commodity) কিনে থাকিঃ চাল-ডাল থেকে শুরু করে কাগজ-কলম, তেল-নুন, টুথপেস্ট, জুতা-পালিশ, হেয়ারজেল, মোটর সাইকেল, সিনেমার টিকেট, আরো কত কি………অর্থ্যাৎ, পাঠযোগ্য চন্ডি থেকে ব্যবহারযোগ্য জুতা সবই আমাদেরকে মূল্য পরিশোধ করে কিনতে হয়।কিন্তু কেন এগুলো কিনতে হয়? চাহিদা পূরণে সক্ষম সব কিছুই ত দাম দিয়ে কেনা লাগেনা, যেমন বাতাস নিঃশ্বাসে অক্সিজেনের চাহিদা মেটায়, কিন্তু দাম দেওয়া লাগেনা। তারমানে চাহিদা পূরণের ক্ষমতা ছাড়াও পণ্যের আরো কিছু উপাদান আছে যা’র জন্য আমাদেরকে দাম দিতে হয়। তাইলে চলুন, পণ্য নিয়ে খানিক আলাপ-সালাপ করি। কিন্তু এইখানে একটা শর্ত আছেঃ
ধরে নিতে হবে যে, আমরা শুধু পণ্যের বিনিময়ে পণ্য গ্রহন করি। এইখানে এখনো টাকা-পয়সা (currency) আসে নাই; আগেকার আমলের বিনিময় প্রথা (barter system) আর কি।
পণ্যের উপাদান:
পণ্যের প্রথম উপাদান হচ্ছে এটি আমাদের কোন না কোন বিশেষ চাহিদা মেটায়। অর্থ্যাৎ, এর ব্যবহারিক মূল্য (use value/ utility) আছে। যেমন, ভাত আমাদের ক্ষুধা মেটায়, পানি তৃষ্ণা মেটায়, ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে এটি বিনিময়যোগ্য, একটি পণ্যের বিনিময় আমরা অন্য যেকোন আরেকটি পণ্য পেতে পারি। অর্থ্যাৎ, এর বিনিময়মূল্যও (exchange value) আছে। বিনিময়মূল্য আছে বলেই রেষ্টুরেন্টের ভাত বা বোতলের পানি পণ্য, কিন্তু বাড়ীর ভাত বা পুকুর/নদীর পানি ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটালেও এদের বিনিময়মূল্য নাই বলে এরা পণ্য নয়।
ব্যবহারিক মূল্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত (qualitative) দিক, যেমন পণ্যের রূপ, রস, গন্ধ, স্বাদ, ইত্যাদি যা’ এক পণ্য থেকে আরেকটিকে গুণগতভাবে আলাদা করে। অতএব, এক পণ্য আরেকটির সাথে গুণগত ভিত্তিতে তুলনীয় নয়; যেমন, আপেলের সাথে কলার গুণগত পার্থক্য থাকায় এরা তুলনাযোগ্য নয়, আবার কাপড়ের সাথে ভাতের গুণগত পার্থক্যের জন্য এরা তুলনাযোগ্য নয়। কিন্তু বিনিময়যোগ্য হতে হলে ত পণ্যগুলোকে পরস্পরের সাথে তুলনাযোগ্য হতেই হয়। আর এটাও সত্য যে, আমরা প্রতি নিয়তই গুণগতভাবে তুলনার অযোগ্য এইসকল পণ্য একটার বদলে আরেকটা বিনিময় করেই যাচ্ছি। তাহলে এটা পরিষ্কার যে, এইসকল পণ্যের মাঝে এমন কিছু একটা সাধারণ উপাদান অবশ্যই আছে, যা’ তাদেরকে তুলনাযোগ্য, কাজে কাজেই বিনিময়যোগ্য করে তোলে।
পণ্যসমূহ যেহেতু তাদের মধ্যে একটা সাধারণ উপাদানের ভিত্তিতে তুলনাযোগ্য হয় (তাদের ব্যবহারিকমূল্যের কারণে নয়), কাজে কাজেই বিনিময়যোগ্য হয়, তাহলে আমরা সেটা (ব্যবহারিকমূল্য) পণ্য থেকে বাদ দিলে যা থাকে তা হলো বিনিময়মূল্য। মূলতঃ এই বিনিময়মূল্য পণ্যের পরিমাণগত (quantitative) দিক প্রকাশ করে, যেমন একটা শার্ট, দুই বোতল পানি, একপ্লেট ভাত, ইত্যাদি। আর পণ্য বিনিময়ের হারও নির্ধারিত হয় এই পরিমাণের ভিত্তিতেই। যেমন, একটা শার্টের বদলে চার প্লেট বিরিয়ানী, অথবা পাঁচ কেজি চিনির বদলে এক লিটার মধূ, ইত্যাদি। কিন্তু বিনিময়ের মধ্যে একটা পণ্যের সমান পরিমাণের সাথে আরেকটা পণ্যের সমান পরিমাণের বিনিময় হওয়ার কথা; কারণ, পরিমাণে সমান না হলে পণ্যের বিনিময় হবে কি করে? [লক্ষ্যনীয় যে, সমীকরণ থেকে পণ্যের গুণাগুণ আগেই বাদ দেওয়া গেছে]। যেমন, একটা শার্ট আর চারপ্লেট বিরিয়ানী ত কোন ভাবেই সমান নয়, আর তাই এরা পরিমাণের ভিত্তিতে তুলনাযোগ্যও নয়। কিন্তু তারপরেও ত আমরা এই দুই পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণকে তুলনাযোগ্য মনে করি এবং বিনিময়ও করি। তারমানে পণ্যের পরিমাণ তথা বিনিময়মূল্য নয়, বরং বিনিময় হারের আসল নির্ধারক অন্যকিছু যা একেক পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের মধ্যেও সমানভাবে থাকে। যেমন, একটা শার্টের মধ্যে সেই সাধারণ উপাদান যতটা আছে, চারপ্লেট বিরিয়ানীর মধ্যেও ঠিক ততোটাই আছে। বিনিময়মূল্য সেটাকে ধারণ/বহন করে মাত্র। কি? এটাই ক্লাসিক্যাল পলিটিক্যাল ইকোনোমি’র ভাষায় ‘মূল্য’ (value)।
একটা শার্টের ব্যবহারিকমূল্য আমাদেরকে জানায় পণ্যটি কতটা রঙ্গীন, টেকসই, আরামদায়ক, ইত্যাদি; আর এটা জানা যায় শুধুমাত্র সেই পণ্যের গুণ বিবেচনা করেই। কিন্তু এর বিনিময়মূল্য কি তা শুধু সেই শার্টকে বিবেচনা করে জানা সম্ভব নয়, এটা জানতে হলে এই শার্টকে গুণগতভাবে আলাদা অন্য আরেকটা পণ্যের সাথে তুলনা করে তবেই জানা যায়; যেমন একটা শার্টের বদলে চারপ্লেট বিরিয়ানী। আবার, আমরা এ-ও দেখেছি যে বিনিময়মূল্যও নিজে নিজেই তুলনাযোগ্য নয়, কারণ আমরা ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ (quantity) পণ্যকে একে অপরের সাথে বিনিময় করি। তারমানে, পণ্যসমূহের সেই সাধারণ উপাদান যা ভিন্ন ভিন্ন পণ্যকে গুণে ও পরিমাণে আলাদা হওয়া সত্বেও তুলনাযোগ্য করে তোলে, তা (অর্থ্যাৎ, পণ্যের মূল্য) আদতে পণ্যের অন্তঃস্থ কোন জিনিস নয়। এটার উদ্ভব এবং প্রকাশ শুধুমাত্র এক পণ্যের সাথে আলাদা আরেক পণ্যের বিনিময় সম্পর্কের মধ্যেই দেখা সম্ভব। আর বিনিময় সম্পর্ক ত মূলতঃ সামাজিক সম্পর্কের অংশ। অর্থ্যাৎ, পণ্যের মূল্য পণ্যের কোন বস্তুগত উপাদান নয়, এটা পণ্যের অবিচ্ছেদ্য কিন্তু বহিঃস্থ একটা রিলেশনাল উপাদান।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, মূল্যের ভিত্তিতে আমরা এক পণ্যের সাথে আরেক পণ্য বিনিময় করি। ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের মধ্যে সমান মূল্য থাকায় আমরা সেইসব পণ্যকে পরস্পরের সাথে তুলনাযোগ্য মনে করি। অর্থ্যাৎ, গুণে ও পরিমাণে ভিন্ন ভিন্ন হলেও একটা শার্ট আর চারপ্লেট বিরিয়ানীর মধ্যকার মূল্য সমান, পাঁচকেজি চিনি আর এক লিটার মধূর মধ্যকার মূল্য সমান; অতএব এরা পরস্পরের সাথে বিনিময়যোগ্য।
মূল্যের উৎপত্তি:
পণ্যের মূল্য যদি পণ্যের নিজস্ব উপাদান না হয়, তাহলে এটি কোথা হতে এসে পণ্যের সাথে জুড়ে যায়?- ক্লাসিক্যাল পলিটিক্যাল ইকোনোমিই এর উত্তর দেয়- মানব শ্রম। প্রকৃতিপ্রদত্ত সম্পদের সাথে মানুষ নিজেদের শ্রম প্রয়োগ করে পণ্য উৎপাদন করে। যেমন, তুলা বা এই জাতীয় আঁশ থেকে মানুষ সূতা তৈরী করে, আবার তা’ থেকে বস্ত্র/শার্ট তৈরী করে।
খুব সাধারণভাবে বিবেচনা করলেও বোঝা যায় যে, মানুষের শ্রমের উপস্থিতির জন্যই কোন জিনিস পণ্যে রূপ নেয় (অর্থ্যাৎ অন্যান্যদের জন্য ব্যবহারযোগ্য এবং বিনিময়যোগ্য হয়)। যেমন, নদীর পানি আমাদের তৃষ্ণা মেটায় বলে এর ব্যবহারিকমূল্য আছে। কিন্তু এটা পুরোটাই প্রকৃতিপ্রদত্ত বলে অন্য কোনকিছুর সাথে বিনিময়ের মাধ্যমে পেতে হয় না। একারণে নদীর পানির বিনিময় মূল্য নেই, অর্থ্যাৎ এটা পণ্য নয়। কিন্তু এই প্রকৃতিপ্রদত্ত পানিই আবার মানুষ শ্রম প্রয়োগ করে সুন্দর লেবেল দেওয়া বোতলে ভরে। বোতলজাত সেই পানি পেতে আমাদেরকে অন্য আরেকটা পণ্য বিনিময় করতে হয়। অর্থ্যাৎ, শ্রম প্রয়োগের ফলে পানি অন্যান্য পণ্যসমূহের সাথে তুলনাযোগ্য, কাজে কাজেই বিনিময়যোগ্য হয়ে ওঠে।
প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে শ্রম প্রয়োগের ফলে যে পণ্য উৎপাদিত হয় তা’র মাঝে শ্রম দৃশ্যমান নয়। আসলে শ্রম কখনোই দৃশ্যমান নয়, কারণ শ্রম হলো মূলতঃ একটা প্রকৃয়া। আমরা কখনোই শ্রম দেখিনা, দেখি শ্রম প্রয়োগের প্রকৃয়াঃ যখন একজন কৃষক মাঠে চাষ করে, আমরা দেখি সে তার শ্রম প্রয়োগ করছে। আমরা তার শ্রম প্রয়োগের প্রকৃয়াটা দেখি, সেই শ্রমের ফসল চষা-মাঠ দেখি, কিন্তু শ্রম দেখতে পাইনা। অর্থ্যাৎ, মানুষের শ্রম মূলতঃ বিমূর্ত; একে দেখতে হয় শ্রম প্রয়োগের প্রকৃয়ায় এবং/অথবা সেই শ্রমের ফলাফলের মধ্যে।
আরেকটা উদাহরণ দেওয়া যাক- আমাদের সবাই পড়াশোনা করেছি, পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছি। আমাদের পড়াশোনার তথা পরিশ্রমের ফলাফল পেয়েছি পরীক্ষার মাধ্যমেঃ সকলেই নির্দিষ্ট সিলেবাস পড়ে শেষ করে পরীক্ষায় বসে, একই সেট প্রশ্ন একই সময়ের মধ্যে উত্তর করে, একই পরীক্ষক সেইসব খাতা মূল্যায়ন করে। খাতায় লিখিত যে উত্তর, সেটা ছাত্রদের শ্রমের ফসল। অর্থ্যাৎ, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের মাধ্যমে আসলে মূল্যায়িত হয় ছাত্ররা যতটুকু শ্রম দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে এবং উত্তর লিখেছে সেই শ্রম।
অতএব, পণ্যের যে উপাদানের জন্য তা’ বিনিময়যোগ্য হয়ে ওঠে (অর্থ্যাৎ মূল্য), তা মানুষের বিমূর্ত শ্রমের ফসল। মানুষ নিজের শ্রম প্রয়োগ করে একটা পণ্য উৎপাদন করলে তা’তে মূল্য সংযোজিত হয়, আর সেই মূল্যের কারণে আমরা তা’র সাথে আমাদের পণ্যের বিনিময়ে অংশ নেই। আর এই বিনিময়ের হার নির্ধারিত হয় কোন পণ্যে কতটুকু শ্রম নিহিত আছে তা’ দিয়ে। যেমন, একটা শার্ট আর চারপ্লেট বিরিয়ানী উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রম সমান, পাঁচকেজি চিনি আর এক লিটার মধূ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রম সমান; অতএব এইসব পণ্যের মূল্য সমান, তাই এরা পরস্পরের সাথে বিনিময়যোগ্য। এই পর্যন্ত মার্ক্স এবং ক্লাসিক্যাল পলিটিক্যাল ইকোনোমি- বিশেষ করে রিকার্ডো- একই ধারায় চলেছে।
রিকার্ডোর মতে, পণ্যের মধ্যকার এই শ্রমকে পরিমাপ করা যায় শ্রমঘন্টা দিয়ে। কিন্তু বাস্তবে একই ধরণের পণ্য উৎপাদন করতে একেকজনের একেক পরিমাণ সময় লাগে। যেমন, একটা শার্ট সেলাই করতে একজন দর্জি যেখানে দুই ঘন্টা নিবে, আরেকজন হয়তো সেটাই করবে একঘন্টায়। কাজেই, শ্রমঘন্টা দিয়ে পণ্যের মাঝে নিহিত শ্রমের ফসল ‘মূল্য’ পরিমাপ করা এবং তার ভিত্তিতে সেইসব পণ্যসমূহকে তুলনা (এবং বিনিময়) করা অসম্ভব। এইখানে এসে মার্ক্স দেখান যে, এটা আসলে ‘প্রয়োজনীয় গড় সামাজিক শ্রম’ (average necessary social labor)। এই ব্যাপারটা বুঝতে আবারও পরীক্ষার উদাহরণ স্মরণ করা যাকঃ পরীক্ষার উত্তরপত্র হচ্ছে পরীক্ষায় পাশের উদ্দেশ্যে ছাত্রদের প্রয়োগ করা শ্রমের ফসল। পরীক্ষক যখন খাতা মূল্যায়ন করেন, তখন অবশ্যই তার কাছে উত্তরের এভারেজ একটা মানদন্ড থাকে যার ভিত্তিতে তিনি গ্রেডিং করেন। অর্থ্যাৎ, উক্ত পরীক্ষায় একজন ছাত্রের কাছে কতটুকু শ্রম আশা করা উচিত আর সেই ছাত্রের পক্ষে কতটুকু শ্রম প্রয়োগ করা সম্ভব সেই বিষয়ে পরীক্ষকের (এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদেরও) প্রচ্ছন্ন একটা ধারণা থাকে। একই ভাবে, সমাজে একটা শার্ট তৈরী করতে একজন দর্জির কতটুকু শ্রম লাগা উচিত সেটা সমাজে সকলের কাছে প্রচ্ছন্নভাবে থাকে। এর ভিত্তিতেই শার্টের (তথা সকল পণ্যের) মাঝে নিহিত গড় শ্রম এবং সেই শ্রমের ফসল তথা গড় মূল্য পরিমাপ করা হয়। তাই ক্যাসিক্যাল পলিটিক্যাল ইকোনোমির সংজ্ঞা থেকে সড়ে গিয়ে মার্ক্স পণ্যের মূল্য পরিমাপের জন্য মানদন্ডকে বলেন ‘প্রয়োজনীয় গড় সামাজিক শ্রম’।
এই বিষয়টা আরো স্পষ্ট হয় শ্রমের দক্ষতা, প্রযুক্তি, ইত্যাদি বিষয়কে বিবেচনা করলে। কোন সমাজে একটা পণ্য উৎপাদনে যে শ্রমঘন্টা লাগে একটা প্রযুক্তি অবলম্বন করলে দেখা যায় আগের থেকে সময় (তথা শ্রমঘন্টা) কম লাগে। ফলে সেই পণ্যের দাম কমে যায়। যেমন, ধরা যাক তাঁতীরা সনাতন উপায়ে একদিনে পাঁচটা শাড়ী তৈরী করতে পারে। এখন একটা কারখানায় একই সংখ্যক শ্রমিক সেই ধরণের শাড়ী দিনে উৎপাদন করে দশটা। তারমানে, কল-কারখানার প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে একই পণ্য উৎপাদনে শ্রমঘণ্টা লাগে আগের অর্ধেক। অতএব, কারখানার শাড়ীর মূল্য তাঁতের শাড়ীর থেকে অর্ধেক।
তাহলে, উপরের পুরো আলোচনায় কি পেলাম?- পণ্যের আবশ্যিক উপাদান হচ্ছে তিনটা- ব্যবহারিকমূল্য (use vale), বিনিময়মূল্য (exchange value) এবং মূল্য (value)। এদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কি? শ্রমের (labor) সাথেই বা এদের সম্পর্ক কি?
-কোন জিনিসের ব্যবহারিক মূল্য থাকতে পারে শ্রম প্রয়োগ ছাড়াই, যেমন নদীর পানি, প্রকৃতির বাতাস।
-কোন জিনিস শ্রম প্রয়োগের ফলে শুধু নিজেদের জন্য ব্যবহারোপযোগী (useful) হতে পারে, কিন্তু পণ্য নয়, যদি তা’ বিনিময়ের অন্তর্গত না হয়। যেমন, নিজেদের খাবারের জন্য রান্না করা ভাত, বাড়ীর আশেপাশে ফলানো শাকসব্জি যা নিজেরাই খেয়ে ফেলি, ইত্যাদি।
– কোন জিনিস শ্রম প্রয়োগের ফলে অন্যদের জন্য ব্যবহারোপযোগী হলে তা’ অন্যান্য পণ্যের সাথে বিনিময়যোগ্য (exchangeable) হয়ে ওঠে। অর্থ্যাৎ, সেই জিনিসের মধ্যে বিনিময়মূল্য এসে পড়ে এবং সকলে অন্যান্য পণ্যের সাথে তা’ বিনিময় করা মতো মূল্যবান হয়ে ওঠে।
এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, পণ্যের ব্যবহারিকমূল্য আর বিনিময়মূল্য একে অপরের থেকে পুরো আলাদা (mutually exclusive)। যেমন, একটা শার্ট তৈরী করলে তা’ ব্যবহার করা যায়, অথবা তা’র বিনিময়ে আরেকটা পণ্য পাওয়া যায়। তারমানে, একটা পেতে হলে আরেকটা ছেড়ে দিতেই হয়। কিন্তু এই দুই ধরণের মূল্য একত্রে তৈরী করে পণ্য।
অতএব, শুধুমাত্র বিনিময়ের মধ্যেই পণ্য মূল্যবান। পণ্য বিনিময়যোগ্য হয় শুধুমাত্র তা’ যদি অন্যদের কোন না কোন চাহিদা মেটাতে পারে এবং এই ব্যবহারিকমূল্য মানুষের শ্রমের ফসল, প্রকৃতিপ্রদত্ত নয়। আর যেহেতু শ্রমই পণ্যকে মূল্যবান করে, তাই শ্রমের মালিকানা যা’র, পণ্যের মূল্যের মালিকানাও তারই।
আল্লাহ বাঁচাইছে যে, কোন কিছু কেনা-বেচা করার জন্য এই "মূল্যতত্ত্ব আগে পড়ে জেনে আসতে হবে" টাইপের কোন নিয়ম নাই। যাই হোক। মনে হয় ফার্স্ট হইছি। (^_^)
আচ্ছা একটা প্রশ্ন। এই ‘প্রয়োজনীয় গড় সামাজিক শ্রম’ দিয়ে কি টাকার মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে নাকি টাকাই ‘প্রয়োজনীয় গড় সামাজিক শ্রম’-এর পরিমাপক?
প্রথম হওয়ার জন্য টাকা অভিনন্দন।
শুরুতেই বলেছি, টাকা'র ভাবনা মাথা থেকে দূরে রেখে এই পোষ্ট পড়তে হবে। পরবর্তীতে টাকার ব্যাপারে আলাপ হবে। আর হ্যাঁ, টাকাও (অন্যান্য মুদ্রাও) নিজেই একটা পণ্য।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ওপেন ইউনিভার্সিটির ক্লাস ভালো হইছে। একটু একটু বুঝতে পারছি। :clap:
পরের দিন কি পড়াবেন স্যার ?? কোনও রেফারেন্স দিবেন?
আর ভালো কথা, কোর্স আউটলাইনটা একটু আগে দিয়ে রাখলে সুবিধা হইতো..
অর্ধেক পরলাম ভালো লাগছে 🙂
বাকিটা একটু পরে পড়ব, যাই বন্ধুদের সাথে একটু () খেয়ে আসি
অর্ধেক পড়তে পারছো, এই জন্য অর্ধেক ধন্যবাদ 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
পুরা পরে ফেলছি 😀
আপনার লেখা পড়লে সবসময় ই হিংসা লাগে ! এতো সহজ সাবলীল ভাবে কঠিন কঠিন লেখা কেমনে লিখেন ?
::salute::
ধন্যবাদ তানভীর।
দুইচার বুঝে জানান দিলে অনুপ্রেরণা পাই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
চমৎকার একটি সিরিজ হবে নিঃসন্দেহে। পরের পর্বগুলোর জন্য আগ্রহ ভরে অপেক্ষায় রইলাম।
মোস্তফা ভাই,
দোওয়া রাইখেন 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বাংলায় মুরগী পোষা ভালোবাসা বলে একটা কথা আছে। বাড়ীর গৃহিনী একটা মুরগী পেলে সেটাকে বড় করে, একদিন ব্যাপারীর কাছে দুইশো টাকায় বেচে দিল। তাতে মহা কান্না জুড়ে দিল বাড়ীর ছোট্ট মেয়েটি। আসলে ছোট্ট মেয়েটিই এতদিন মুরগীটা পালতো, খাবার দিতো, দেখাশুনা করতো। মেয়েটির কান্না থামাতে, গৃহিনী তাঁর মুরগী বেচা টাকা থেকে মেয়েটাকে এক টাকা দিল- তবু কান্না থামে না। দুই টাকা দিল তাও কান্না থামে না।
প্রশ্ন হলো, মুরগীটার ভ্যালু যদি দুইশো টাকা হয় তা হলে ঐ ছোট্ট মেয়েটার ভালবাসার ভ্যালু কতো হওয়া উচিৎ? শ্রমের মূল্যতত্ত্বে, এই ভালোবাসার মূল্যায়ন কি ভাবে হয়? পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। :clap:
দারুন বলেছেন ভাইয়া। :thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আলীমুজ্জামান ভাই,
অনেক ধন্যবাদ। আমার জন্মেরও আগেকার একজন এক্স-ক্যাডেট আমার আমার ব্লগে মন্তব্য করেছেন এইটা ভাবতেই ভালো লাগছে।
এবার অনটপিকে আসিঃ
আপনার প্রশ্নটা মজার, এবং বেশ গুরুত্বপূর্ণও। এইখানে আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করতে বলি- মার্ক্স দাবী করেছেন যে, টাকা (আসলে যেকোন কারেন্সিই) এসেন্সিয়ালী একটা জিনিস আড়াল (conceal) করে ফেলেঃ পণ্য বিনিময়ের মধ্যে "মানুষে মানুষে সম্পর্ক" যা' থেকেই মূলতঃ পণ্যের মূল্য জুড়ে যায় পণ্যের সাথে। আর পোষ্টে এটাই দেখাতে চেষ্টা করেছি যে, পণ্যের মূল্য পণ্যের নিজস্ব কোন গুণ/উপাদান নয়, এটা মানুষের শ্রমের ফসল এবং পণ্য বিনিময় প্রকৃয়ার মধ্যে প্রকাশিত। এই বিষয়টা গোনায় ধরে তারপর বিচার করতে হবে পণ্য বিনিময়ে 'টাকা'র ভূমিকা কি এবং কিভাবে তা' মূল্যবান পণ্য বিনিময়ের মধ্যে মধ্যস্থতা করে।
আশা করি পরবর্তী পর্বে আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন। (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভীতিকর জিনিসকে সহজবোধ্য যে করতে পারেন তিনিই মাস্টার। এই জন্যই মাহমুদ ভাইরে আমি আমার মাস্টার মানি। দারউণ লাগছে ভাই। কনসেপশন পুরা ক্লিয়ার। এখন পরের পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
দূর মিয়া, উলটা কইছো। সহজ জিনিসরে যিনি ভীতিকর ভাবে প্রকাশ করেন তিনিই মাস্টার, এই জন্যই মাহমুদরে তোমার মাস্টার মানা উচিৎ। 😀
মাহমুদ মাইন্ড খাইও না, আমি কিন্তু তোমার পাক্কা তিন বছর সিনিয়র, মাইন্ড খাইলেই পাংগামু তোমারে 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমিন,
ধন্যবাদ।
পোষ্টের মূল বক্তব্য ছিল পণ্য কি তা' বোঝার জন্য এর উপাদানসমূহ বিশ্লেষণ করা এবং এরই মধ্যে দেখা যে, পণ্যের যে মূল্যের জন্য আমরা তা' বিনিময় করি (পরবর্তী পোষ্টে দেখবো অর্থের বিনিময় কিনি) তা' আসলে পণ্যের নিজস্ব কোন গুণ/উপাদান নয়। মূল্য পণ্যের বহিঃস্থ একটা উপাদান যা' শ্রমের মাধ্যমে উৎপন্ন এবং নানান মানুষের পারস্পরিক বিনিময় সম্পর্কের মধ্যে প্রকাশিত।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
Perceive value (পারসিভ ভ্যালু) একটা আছে না? যেইটার উপরে ব্র্যান্ড ইমেজ খাড়ায় আছে, ওইটা আইবো না লেখায়?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই,
প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো আমার বক্তব্য বোঝাতে পারিনি। উপরে আমিনের মন্তব্যের উত্তরে পোষ্টের মূল বক্তব্য আবার দিয়ে দিলাম।
এই পোষ্টে কষ্ট হয়েল আমার (আসলে মার্ক্সের) লাইন-অব-এনালিসিস এর সাথে থাকেন।পরের পর্বে আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ আমি তোমার কথা পরিস্কার বুঝতে পারছি। আমি জানতে চাচ্ছি "পারসিভ ভ্যালু" যা কিনা একজন ব্যবহারকারী মূল্য বাবদ পরিশোধ করতে প্রস্তত থাকে, এবং এর জন্য সে পন্যের পিছনে যে শ্রম থাকে তাকে গোনায় ধরে না তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবে?
উদাহরণ দেই, একই পোশাক শোরুম থেকে ব্র্যান্ড নেম সহ কিনতে ব্যবহারকারী যে পরিমান মূল্য দিতে প্রস্তত থাকে, গাউসিয়া থেকে কিনতে সে পরিমান মূল্য দিতে প্রস্তত থাকে না। এটার ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি।
তুমি পন্যের মূল্য বাবদ শ্রম কে শুধু মূল্যায়ন করেছো, কিন্তু আরও অনেক প্যারামিটার আছে, যাকে গোনায় ধরনি। যেগুলো মৌলিক ভাবে চিন্তা করলে হয়ত এড়িয়ে চলা যায়, কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে ব্যাপক প্রভাব রাখে।
দেখি আগে বাড়ো, এরপর মার্ক্স মিয়ার সংগে ডিবেটে নামব 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
- ফয়েজ ভাই,
আপনার মন্তব্যটা থিওরাইজিং এর পদ্ধতি নিয়ে। সামাজিক বিজ্ঞানের এই পদ্ধতিটা হলো 'এবষ্ট্রাকশন'- সমজাতীয় ঘটনা/বিষয়/প্রকৃয়ার অনেকগুলোর মধ্যে বিশেষ (specific) গুণ/উপাদানগুলো বাদ দিয়ে দিয়ে শুধু সাধারণ (common) গুণ/উপাদানগুলো চিহ্নিত করা (অনেকটা বীজগণিতে উৎপাদক নির্ণয়ের মতো)। এভাবে যত বেশি বিশেষ গুণ/উপাদানগুলো ছেটে ফেলা যায় এবং সাধারণ গুণ/উপাদানের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা যায়, প্রপঞ্চ/তত্ত্ব (concept/theory) ততো বেশি জেনারালাইজ করা যায়। সামাজিক বিজ্ঞানে এবষ্ট্রাকশন বেশ কিছু ক্ষেত্রে একমাত্র পদ্ধতি। কারণ, সমাজের কিছু বিষয়/প্রকৃয়া ল্যাবরেটরিতে বিশ্লেষণ করা যায় না, আবার সমাজেও পরীক্ষা করা যায় না, যেমন সমাজ পরিবর্তন, পুঁজিবাদ, পণ্য, পণ্যের মূল্য, ইত্যাদি। এই কারণে বাস্তবে যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন, বিশেষ গুণ/উপাদানগুলোকে ছেঁটে ফেলা হয় জেনারালাইজেশনের উদ্দেশ্যে। তা না হলে বিবেচ্য বিষয়/প্রকৃয়ার সাধারণ রূপ অধরা রয়ে যায়। এইখানে বিবেচ্য হচ্ছে 'পণ্য' আর তার মাঝে খুঁজে চলছি 'মূল্য'- এর উৎপত্তি, অবস্থান, প্রভাব, ইত্যাদি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এই টাইপের পোস্টগুলার শেষে বোল্ড অক্ষরে মূলভাবটা দিয়ে দিলে মনে হয় অনেকের বুঝতে সুবিধা হবে। (O_O)
আসলেই ওপেন ইউনিভার্সিটিতে পড়ছি বলে মনে হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো, শুধু কি শ্রমই পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে? তাহলে তো চাহিদার সাথে মূল্য উঠানামা করতো না। আমার মনে হচ্ছে তুমি মাত্র একটি ক্লাসিক্যাল থিওরি দিয়েছ। আধূনিক অর্থনীতিতে এর নিশ্চয়ই সমন্বয় (modification) আছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। (সম্পাদিত)
নঈম ভাই,
আমি আসলেই ক্লাসিক্যাল ইকোনোমি'র মূল্যতত্ত্ব আলোচনা করছি। আধূনিক অর্থনীতি এটাকে প্রায় ভুলিয়ে দিয়েছে+দিচ্ছে।
সাপ্লাই-ডিমান্ড এখানে অপ্রাসঙ্গিক, কেনো সেটা পরের পর্বে বোঝা যাবে আশা করি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:thumbup:
কমার্স তো খুব একটা কঠিন বলে মনে হয় না। এতোদিন ভাবছিল কত্তোকঠিন একখানা বিষয়।
নূর-ইসলাম স্যারের কথা মনে পড়ে গেল। ব্লাকবোর্ডে বিশাল বড় একখানা কাকের মাথা একে সুন্দর করে লিখতেন “কা কা”। মানে হইল অভাব। যাই হোক অভাব, চাহিদা তখন যে খুব একটা ভাল বুঝেছিলাম তা নয়। এখন খুবই সহজ জিনিস লাগল।
ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। পরবর্তী অধ্যায় গুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
আমি কি ভুল বুঝলাম? আলোচনা তো ইকোনমিক্সের উপর চলছে। কমার্স আইলো কোথ্থেকে? 🙁
আর কইছ না, কমার্স আর ইকোনমিক্স গুলায় গেছে, যেমনে গুলায় যায় ফাইন্যান্স আর একাউনন্টিং 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তোরও এইরকম হয়? 🙂
কিন্তু তুই তো আমার ফাইনান্স-রে পারচেজের সাথে গুলাইছিলি। ;))
আরে না রে হালার পুত, গুলাই নাই। আমি তরে খোঁচা মারছি, হাজার হোক তুই ব্যাটা প্রানের ম্যানেজার। 😀
প্রকিউরমেন্টের উদাহরণ তুইই না দিলি মাতব্বর, তাই কইছি এইটা 😛
এইটাও বুঝিস নাই, আ মর জ্বালা :bash: :bash:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
@মহিউদ্দিন,
ধন্যবাদ।
- নঈম ভাই,
এই আলোচনাটাকে (আসলে ক্লাসিক্যাল প্রায় সব আলোচনাকেই) বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের মধ্যে ফেলা যায়। এখানে আলোচনা হচ্ছে পণ্যের মূল্যের, কিন্তু একে আপনি অর্থনীতি, সমাজবজ্ঞান, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ব্যবসা প্রশাসন, উন্নয়ন শিক্ষা, এমনি এথিকসেও নিয়ে যেতে পারবেন। মূলতঃ এটা ঘটে ক্লাসিক্যাল যুগে জ্ঞানের কম্পার্টমেন্টালাইজেশন না থাকায়, যেটা আমাদের সময়ে ঘটে গেছে। কাজেই, আমরা স্বভাবতঃই আলোচনাগুলোকে নির্দিষ্ট ডিসিপ্লিনের আওতায় দেখতে অভ্যস্ত এবং সেভাবেই দেখতে চাই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই-ক্ল্যাসিকাল মানে বিজ্ঞান ভুলে গিয়ে টেকনোলজি বা ব্যবহারিকতায় আমাদের ঝোকের পিছনে তথাকথিত super specialization এর নামে compartmentalized জ্ঞান চর্চার প্রভাব নিয়ে একটা লেখা আশা করি।
অনেক ধন্যবাদ মূল্যতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
আসিফ,
ধন্যবাদ। এই পর্বে মূল্যতত্ত্বের আলোচনা শুরু করেছি, আশা করি পরের পর্বে শেষ হবে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, একটা প্রশ্ন ছিলঃ সোনা পৃথিবীর অর্থব্যবস্থার একটা বড় স্ট্যান্ডার্ড। কারেন্সিগুলার গ্যারান্টি থাকে সোনা। আমরা সোনারে দাম দেই কারণ আমদের স্বভাবই এইটা। সেইভাবে চিন্তা করলে সোনার সেইরকম উপযোগিতা (utility) নাই, এবং সত্যিকার ব্যবহারিক কাজে এইটা তেমন ব্যবহারও হয় না। গয়নাগাটি ইত্যাদিতে এর ব্যবহার, যেগুলা ঠিক আবশ্যিক না। একটা নন-এসেনশিয়াল জিনিস কেমনে অর্থব্যবস্থার স্ট্যান্ডার্ড হয়?
প্রশ্নটারে রিফ্রেইজ করিঃ সোনাকে দাম দেওয়া আমাদের স্বভাব কেন? এইটার কি ব্যাখ্যা আছে সামাজিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে?
-আর নাই। এখন সিস্টেম বদলাইছে।
পরের পর্বে এই বিষয়টা আসবে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
mahmud vai ekanto dukhkhito karon eta amar officer pc, so avro nai.............
amar jana mote 1930 te USA te ekta propaganda o conspiracyr madhdhome bajar theke gold stantard abolish kora hoi ebong markin dollar theke somomaner gold exchange er option tule die dollarke sref ekta kagojer tukrai porinoto kora hoi.jar nirdisto kono binimoy mullo dollarer gai lekha nei......
sokoler abogotir jonno aro janachchi.......ami jotodur jani USA er duita jatiyo bank e bakti malikanadhin protisthan ebong sorkar joto dollar tader kach theke ney tar against e interest pay kore.