মগবাজার মোড়ের কাছে এসে যাওয়ার পর আরেকবার শান্ত’র দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে মনযোগ দিয়ে তাকাল ফাহিম। নাহ ওর চেহারা একেবারে নরমাল। কোন উত্তেজনার ছিটেফোটা সেখানে নেই। কিছুটা হতাশ ফাহিম; শান্তটা এমন খ্যাপাটে হয়ে পড়বে বুঝলে তার সাথে সে আসত না আর সে না আসলে যে তার একা আসার সাহস কুলাতো না একথা সে ভালভাবেই জানে। কিংবা কে জানে হয়তো কুলাতো কেননা শান্তর পরিবর্তন গত কয়েকদিনে বড়ই রহস্যজনক মনে হচ্ছে শান্তকে বড়ই অচেনা মনে হচ্ছে।রিকশা থেমে গেল। রিকশা ভাড়া মিটিয়ে তারা চলে গেল বড় হোটেলটিকে বামে রেখে ঘুপচি গলিটার দিকে। এই জায়গাটা কেমন যেন, কিসের যেন অশুভ ছাপ; কাউকে বলে দিতে হচ্ছে না। শেষবারের মত ফাহিম আশা করল এবার থামবে শান্ত । তার আশাকে ভুল প্রমানিত করে শান্ত ঢুকে গেল সামনের পুরনো জীর্ণ বাড়িটার দিকে।
বিষণ্ণ অন্ধকার সরে যায় তার সামনে থেকে। এক পাশ থেকে ভেসে আশা নর্দমার গন্ধটাও তার নাকে সয়ে আসে। কেমন যেন অদ্ভুত ঘোর লাগতে থাকে তার কাছে। গত কয়েকদিনে তার বেশির ভাগ নীতিবোধগুলিকে বিসর্জন দেয়াতে মনের বাধা এখন তাকে জর্জরিত করছে না। সে সকল নীতির ভয়ঙ্করতম নীতি নীতিহীনতাকে ধারণ করেছে। সে নিজেকে তলিয়ে দিতে চায় অন্ধকার হতে অন্ধকূপে। সাহস করে উঠতে পারছিল না। প্রাথমিক সাহস ফাহিম দিয়েছে সঙ্গ দিয়ে। এখন সে পুরোপুরি অন্ধজগতের অন্ধকার মানুষ। এগিয়ে যেতে যেতে সে নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলে এই নিষিদ্ধ জগতের একজন হয়ে যেতে। কিছুটা ভয় হয় সেটা বিবেকের তাড়না থেকে নয় পুলিশের দাবরানির ভয়। অর্থাৎ মানবিক বাধার মৃত্যু ঘটেছে শুধুই ভয় আর আশঙ্কা। তার সাথে আপাতত সে জয়ী। বিবেকের যে ক্ষুদ্র বোধটুকু তাকে শেষ বাধা দিয়ে যাচ্ছিল তাকে ছুড়ে দিয়ে ঢুকে গেল বেশ্যাপল্লীর ভেতর।
বাইরে থেকে দালানটিকে যতটা জীর্ণ মনে হচ্ছিল ভেতর থেকে ততটা না। বেশ রাজসিক রকমের বড়। কিছুটা নিভৃত কিছুটা ভয়ঙ্কর। ভেতরের বসার জন্য হল মতো একটা জায়গা। সেখানে নানা পেশার খদ্দেররা বসা।দুরে বেঞ্চিতে বসে আছে সারি সারি নিশি কন্যারা। প্রফেসনাল খদ্দেররা নিজেদের মত খুজে নিচ্ছে তাদের কন্যা। অদ্ভুত এক পরিবেশ।সে পরিবেশের সাথে চেনা জানা পৃথিবীর কোন পরিবেশের সাথেই মেলে না।নেহায়েতই নবীশ বলে তার সুযোগ হলো না নারী বেছে নেয়ার। বরং তার কাছে যে দালালের ঠিকানা ছিল তাকে ধরে অপেক্ষা করতে লাগলো। অস্বস্তি বাড়তে থাকে শান্তের। অনভ্যস্ত এ সময়টা তার কাছে অসহনীয় দীর্ঘ মনে হতে থাকে। অদ্ভুত অনুভুতি ঘিরে ধরেছে তাকে।সে তার বুকের কাপুনির শব্দ পায়। তার মনে হতে থাকে যেন তার বুকের ধুকপুকানির শব্দ ছড়িয়ে পড়ছে বদ্ধ রুমটায়। অস্বস্তি বোধ হতে থাকে। আর এই দূর্বল মূহুর্তে তার মধ্যকার কঠোর কঠিন অন্ধকার সত্তা আহত হতে থাকে অবিরত। তার হারিয়ে যাওয়া বিবেক আঘাত হানতে শুরু করে তার মনের দূর্বল কোণে।। দোটানায় পড়ে যায়। এখন বের হওয়ার চেষ্টা করলে মার জুটবে;আবার অন্তর্দহন তাকে বিব্রত করে যেতে থাকে ক্রমাগত।এটাকে সে নিজে অন্তর্দহন ভেবে নিজেকে মহৎ ভাবতে চায় যেন সে।নিজের লজিক গুলোকে জড়ো করে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে বিবেকের সামনে। তার ডাক যখন পড়ল অস্থির চিত্তে সৌম্য চেহারা নিয়ে সে গেল কাউন্টারে। কাপা কাপা হাতে টাকা পরিশোধ করতেই কলেজ পড়ুয়া বয়সী একটি মেয়ে তার হাতে ধরল বেশ চাপ দিয়ে। তারপর তাকে নিয়ে কেবিনের দিকে চলে এল।
কেবিনে ঢুকার পর উত্তেজিত একরোখা শান্ত আক্ষরিক অর্থেই শান্ত হয়ে গেলো। তার নারী লিপ্সা কিংবা নারীর উপর দুর্নিবার প্রতিশোধ স্পৃহা যা তাকে টেনে এনেছিলো হারিয়ে যেতে থাকে। সে নারী ভাবতে পারে না তার সামনের এই কন্যাকে। উফফ কী জঘন্য সে, কী নীচ নিজের মধ্যকার ভন্ামিতে সে নিজেই আজ নিজের কাছে ধরা পড়ে গেছে। তার সামনে দাড়ানো সেই অনারীর নাম জিজ্ঞেস করলো। কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলো। মিলি বলে মেয়েটি তার দিকে বাকা হাসি দিল। তার পর তার দিকে পেছন ফিরে দরজা বন্ধ করে দিল।শান্তর মধ্যকার দৃঢ়তাকে চূর্ন করে দেওয়ার জন্য যা দরকার নিপুনভাবে যেন সম্পন্ন করে চলেছে সে। শান্ত অবাক হয়ে দেখতে থাকে মিলি ছদ্মনাম ধারী এই নিশিকন্যার কীর্তিকলাপ।সে বেশ বুঝতে পারে এই জগত সে যা ভেবেছিলো তার থেকে অনেক অনেক খারাপ। মেয়েটি তাকে অন্য দশটি খদ্দেরের চেয়ে আলাদা কিছু দেখবে না কিংবা আজকের পর সে তাকে দেখবে না কিংবা দেখলেও কখনও চিনবে না। কেনই বা চিনবে? তার কাছে ফাহিমের একটা কথা কানে বাজতে থাকে,”কামহীন প্রেম নিষ্প্রাণ আর প্রেমহীন কাম নিষ্ঠুর।” সেই নিষ্ঠুরতা এক রুদ্র রুপ নিয়ে যেন তার মাঝে আছড়ে পড়ছে। কেমন অদ্ভুত এক অনুভুতি ছেয়ে যায়। সে বুঝে এই জগত বড় নির্মম।কঠিন। নিজের মধ্যকার সস্তা হিরোইজমের বশে কেন যে এসেছিল তার জন্য সে নিজেকে ধিক্কার জানায়। সে জয়ী হতে চেয়েছিল ,নিজেকে নামাতে চাইছিল যেখানে সেখানে সে কখনো যেতে পারবে না খুব ভালো ভাবে উপলদ্ধি করে সে। বাস্তবের কাছে তার নিজস্বভাবনা চরমভাবে মার খেয়ে যাচ্ছে অবিরত। সে হেরে যাচ্ছে!! উফফ কী গ্লানি!
কনডমের প্যাকেট চলে আসে দরজার নিচ দিয়ে।মেয়েটি পটু হাতে সেটি তুলে দেয় তার হাতে। মেয়েটিকে সে ইশারা করতেই মেয়েটি নিজেকে নিরাবরণ করতে থাকে আর অপলক চোখে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। সে চোখে কোন লজ্জা নেই গ্লানি নেই। শুধু আছে ক্ষোভ আর তীব্র ঘৃণা।সেই দৃষ্টি একেবারে ফাকা কিংবা অর্থহীন নির্বাক ভাষায় জ্বাজল্যমান। যেন মানবতার অপমানকারী পুরুষ জাতির একমাত্র প্রতিনিধি সে। মেয়েটি নিজেকে সম্পূর্ণ উম্মুক্ত করে দেয়ার পরও সে তার মাঝে কোন ধরণের কাম অনুভব করে না যেন। প্রথম কোন নগ্ন নারীদেহ দর্শন তার জন্য বিভীষিকা ময় হয়ে উঠে কেবলই। কী অদ্ভুত যন্ত্রের মত মেয়েটি এগিয়ে আসছে।যেন তাকে ছিড়ে ফেলবে তার দৃষ্টির ধারালোতায়। মেয়েটি থমথমে গলায় বলে , করবেন না? সে তার ভয়ার্তভাব আড়াল করার যথাসাধ্য চেষ্টা করে। আসলে আমি ঐ কাজে আসিনি, কোন মতে ঢোক গিলে বলে,আমি নিজেকে পরীক্ষা করছিলাম নগ্ন নারীদেহ দেখেও আমি প্রেমহীন কামে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি কিনা? জিতলাম মনে হচ্ছে। করব না তোমার সাথে তুমি এখন যেতে পারো। হঠাৎ করে হিস্টিরিয়া গ্রস্থের মত মেয়েটি হেসে উঠে।আপনারা পারেনও আমাদের উপহাস করতে। কিন্তু আমাকে কিছু সময় এখানে থাকতে হবে তা না হলে আমার টাকা টা ওরা আমাকে দিবে না। আর আমার সম্পর্কে কিছু জানতে চেয়ে সহানুভুতি দেখিয়ে সাধু সাজার চেষ্টা করবেন না প্লীজ। আমার সাথে কোন কথা বলবেন না প্লীজ। নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করতে গিয়ে সে অপমান করেছে মানবতার এই বোধ তার মাঝে চলে আসে। অদ্ভুত গ্লানি চেপে বসে।সে ক্রমশই শক্তি হারাতে থাকে।
মেয়েটি সম্পর্কে জানার কৌতুহল থাকা সত্তেও এই কথার পর চুপ হয়ে গেলো শান্ত। মেয়েটির চোখ মুখে একই সাথে রাগ ক্রোধ ঘৃণা অপমান কষ্ট ফুটে উঠেছে। তার সামনে নিজেকে বড় অসহায় বোধ করছে শান্ত। সে আমতা আমতা অজান্তেই বলে উঠল তাহলে কী করব?
কেন? গর্জে উঠলো মেয়েটি ,যে কাজ করতে এসেছেন। নগ্ন নারীদেহ দেখবেন। সে মুখ বেদনায় নীল হয়ে যাচ্ছিল। এত অপমানের ভার যেন সে বইতে পারছিলো না কিছুতেই।আর শান্ত সে খানিকের জন্য তার মাথার কার্যক্ষমতা হারালো যেনো।মেয়েটি ক্রমেই এগিয়ে আসছে। শান্তর ভন্ডামি ভালোমানুষীর মুখোশ কে উম্মোচন করে দিয়েছে শান্তর সামনে।মেয়েটি আরো এগিয়ে আসছে।শান্তর সমস্ত বোধ লুপ্ত হলো।সে তলিয়ে যাচ্ছে অতলে। সামলে নেবার শেষ চেষ্টা করলো। তার উপর পাশে সবদিকে সে শুধু মিলিকে দেখছে। মিলর শরীরের ছোয়া লাগলো কিনা বুঝার আগেই তার মাঝে কী অদ্ভুত অনুভুতি খেলে গেলো যেনো।
কতক্ষন এভাবে কেটে গেলো শান্তর মনে নেই দালালদের গুতাগুতিতে সে বুঝলো মেয়েটি চলে গেছে আগেই। তাকেও দ্রুত কেবিন ছাড়তে হবে। বের হতেই দূরে বসে থাকা সব মেয়েগুলোর চোখেই মিলির সে ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে পেল।মাথা ঠান্ডা করতে পানি দিতে গেলো।আয়নায় ওটা কার ছবি?তারই তো হওয়ার কথা কিন্তু অমন পিশাচের মত লাগছে কেন?আশেপাশের সব পুরুষগুলোর মাঝেই সে ভয়ঙ্কর সব পিশাচ দেখতে পায়।আর এই অশায় নারীমূর্তিগুলো যেন তাকে তাড়া করে ফেরে।সে বের হতে থাকে দ্রুত এই নরক থেকে।টলতে টলতে বেরোয় সে।বারি খায় ক্রমাগত।আর তার পাশেকার নারীমূর্তিরা তাকে তাড়িয়ে নিয়ে চলে।তার পিশাচ রুপী চেহারাটা ছিড়ে ফেলে যেনো। হঠাৎ করেই সে সান্ধ্য ঠান্ডা বাতাসের আস্বাদ পায়।বুঝতে পারে সে বের হতে পেরেছে বের হতে পেরেছে সে অভিশপ্ত জগত থেকে…..ঐ তো দেখতে পাচ্ছে সে ফাহিম কে।ওখানে যেতে হবে তাকে।তার চারপাশের শব্দ অনেক হালকা হয়ে যাচ্ছে তার কাছে……….শুধু যেন নারী মূর্তিগুলো কখনও হাসি কখনও কান্না কিংবা কখনও চোখের দৃষ্টি দিয়ে তাকে আচ্ছন্ন করে যাচ্ছে।
চল্লিশ মিনিট অপেক্ষার পর ফাহিম যখন শান্ত বেরিয়ে আসতে দেখে সে ছুটে গিয়ে পৌছার আগেই ক্ষত বিক্ষত শরীরটি সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে……………..
(সামহোয়ারে প্রাকাশইত আমার এই লেখাটা এখানে দিলাম কারণ এর কিছু চরিত্র এক্স ক্যাডেট।)
1st :grr:
hopefully not last. 😀
ওয়েলকাম ব্যাক আমিন। আগেই পড়ছিলাম সামুতে। আমি তোমার সামু ব্লগে প্রায়ই যাই। কিন্তু ইদানীং যাওয়া হয় না, কারণ এড্রেস হারায়া ফেলছি। একটু কষ্ট করে পাঠায়ো আমাকে।
মেইল কইরা দিমু নে। সামুতে ও ঢুকি কম ইদানিং।
খবর কী তোমার?
ট্যাগে মির্জাপুর দাও। কম্পিটিশন চলতাছে। 🙂
দিলাম মির্জাপুর।
কিন্তু কম্পিটিশনটা কি?বুলাম না তো।
কলেজে কলেজে কম্পিটিশান চলতেছে কাদের পোস্ট বেশি। আমাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দী (বানানটা মনে হয় ভুল হইছে, সঠিক কি হবে?) ছিল ঝিনাইদহ। আমি কিছু ব্লগ লেইখা এদের সাথে ব্যবধান বাড়াইছি। 😀
এখন তুমি আসায় ভরসা পাইলাম। মির্জাপুরের মান সম্মান এখন আমাদের কাধেঁর উপর। 😛
হুমম বুঝলাম।
দেখা যাক আমি যেই আইলসা।
তার পরেও কলেজ প্রশ্নে আলাদা কথা।
আমরা দ্বিতীয় তে আছি তোদের থেকে অনেক এগিয়ে...
ধইরা ফালামু। 🙂
মিলছে না ভাই...
যাই হোক, অত্যন্ত বাস্তবধর্মী একটা লেখা... আসলে অনেক কিছু বলতে চেয়েছিলাম লেখাটা পরার পর......কিন্তু...
ঘটনার হোতারা এই কাহিনীর মূল ব্যাপারটা আমারে বলসে।
তারা এক্স ক্যাডেট।
আর গল্পটা কাল্পনিক বললাম এই জন্য ভিতরের ঘটনা আমি জানি না,কী ঘটেছুইল কী ঘটেনি সবই আমার উর্বর কল্পনা প্রসূত ,লেখাটার শেষের দিকটা আরেকবার পড়লে আরো ভালোভাবে বুঝা যাবে।
ভালো লাগছে :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: ।
Life is Mad.
ধন্যবাদ।
এর কিছু চরিত্র এক্স ক্যাডেট।
😮 😮 😮 😮 😮 কন কি????????????
😕 😕 😕
অবাক হইয়েন না ভাই, আমারও এক ক্যাডেট বন্ধু আছে যার এই অভিজ্ঞতাটা আছে।
@ আমিন ভাই, জটিল হইসে ভাই। অনেক ভাল লাগসে।
থ্যাঙ্কু। 🙂
এর কিছু চরিত্র এক্স ক্যাডেট।
বাস্তবধর্মী একটা লেখা…
কন কি???????????? :boss: :boss: :boss:
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
এর কিছু চরিত্র এক্স ক্যাডেট :bash: :bash: :bash:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
ভাল্লাগছে :clap: :thumbup:
আগে পড়ছিলাম... কিন্তু কমেন্টাইলাম নিজেগো বাড়িতে 🙂
আমিনের কাছে আরো আরো লেখা চাই এরকম :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি আসলে খুবই অলস।তাই আমার পোস্ট সংখ্যা সামুতেই আগায় খুব শম্বুক গতিতে।
তার মাঝেকার সব লেখা এখানে দিতে ভয় হয় কেননা সামুর কিছু লেখা আমার নিজের কাছেই
আতলামি মনে হয়।
তারপরও আমি চেষ্টা করব শুধু এই ব্লগের জন্য কিছু লিখতে- সময় করে।
জয়ী হবার আনন্দই অন্যরকম।
লেখনী সুন্দর। নিয়মিত লিখ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
ভাল লাগলো আমিন।
চালাইয়া যাও !
থ্যাঙ্কু......... 🙂
অনেকটা একই রকম অভিজ্ঞতার বর্ননা করেছিল আমার এক বন্ধু।
একটা সাহসী টপিক নিয়ে লিখেছ।
:salute:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আপনাদের মন্তব্যে আরো সাহস পেলাম। 🙂
দোস্ত কেমন আছস? অনেক দিন পরে লেখলি এখনো পড়িনাই তোর পোষ্ট দেখেই আগে কমেন্টাইলাম।
ভাল আছি দোস্ত। 😀
এই কাহিনীর মূল হোতাদের আমি চিনি।ছি "***" ভাই আর "***১" ভাই, কিভাবে পারলেন এই আকাম করতে????আমারে কইছলেন কিন্তু তখন ভাবছিলাম ইন্ডিসিপ্লিন্ড কাজের পার্ট লইতে চাপা মারছেন। এখন দেখি ব্লগ আকারে লেখা বাইর হইছে।
এই ব্লগের জুনিয়র গ্রুপের এত সম্মানিত সদস্য আপনারা দুইজন,বিবেকে বাধলনা একবারো? ছুড ভাইরা কি শিখবো আপনাদের কাছে?নাহ এই জীবন আমি বিসর্জন দিলাম না ক্যাআআআআআন??????? :((
প্রথম কথা হইলো এই ঘটনার হোতাদের কেউই এই ব্লগে নাই।
আর শিখার কী আছে?ছি ছি বলার কী আছে?
এথিকস মোরাল এটা প্রত্যেকের নিজের কাছে।
যেহেতু ভাই কইছ তুমি কইরা কই?তোমারে কী আমি চিনি?
🙁 সরি আমিন ভাই।সিরিয়াস একটা লেখায় জোক মারতে যাওয়াটা ঠিক হয়নাই।আমিএই ব্লগের আমার খুব কাছের দুই বড় ভাইরে নিয়া এক্টু দুষ্টামি করতে চাইছিলাম আরকি,আপনেরে মাইন্ড খাওয়ানোর জন্য দিল থিকা মাপ চাইতেছি। এডু স্যারকে কইয়া কমেন্ট ডিলিট কইরা দিয়েন বস।আর তুমি কেন তুই কইরা কইলেও মাইন্ড খামুনা।আমার আসল নাম মাসরুফ।
ওহ মাসরুফ!!নাহ তাইলে মাইন্ড খাই নাই।
আর মাইন্ড খাওয়ার কী আছে?
তোমার ঐ নিক দেইক্যা আমি তোমারে ঠিক চিনি নাই।
তুমিও কিছু মনে লইও না।
আমি আবার মাঝে মাঝেই সেন্টু ( সেন্টিমেন্টাল থে সংক্ষেপে) হইয়া যাই।
দুইটাই গেছিল বাজি ধইরা। আকাম করতে না। এখন পিছায়া গেলে কেমন দেখায়, কেউই পিছাইব না। একটা পিছাইল দরজায় গিয়া, আরেকটা ভিতর পর্যন্ত গেছিল।
বাচ্চি খান স্যার থাকলে ভিতরে যাওয়াটারে নিশ্চিত কইত, তুমার উইপনে কি সমস্যা আছে?
=)) =)) =))
আমিন, ব্লগে তো ছিল না। জিহাদের জাস্ট ফেরেন্ড ইস্যুটা দেইখো। আকিকা কইরা মাসরুফের নাম মাস্ফু রাখা হইছিল। এইটাতে একটু ডিজুস ফ্লেভার দিতে সে নিজে য-ফলাটা লাগায়া মাস্ফ্যু বানাইছে। তাই চিনতে পারো নাই আরকি।
১) হেঁহেঁহেঁহেঁ থেঙ্কু আমিন ভাই...আমি আরো ডরায় গেছিলাম আপনে আবার মাইন্ড খাইলেন কিনা...আমি ছুড মানুষ, বড় ভাই মাইন্ড খাইলে আমি আবার গলা ছাইড়া কান্নাকাটি করি কিনা... :((
২)আমারে ডিজুস অপবাদ দেওইয়ার প্রতিবাদে তৌফিক ভাইরে আইপি সুদ্দা ৩৬০০০ সেকেন্ডের জন্য ভ্যান ছাই... x-(
৩)ওই বড় দুই ভাইয়ের নাম কওনের লাইজ্ঞা আমার প্রাণ আঁইঢাই কর্তাছে-ফোন কইরা দুইজনরেই পচাইছি"কি মিয়া আপনাগো আকামের কাহিনী নিয়া তো ব্লগ বাইরাইছে" কইয়া...কিন্তু নাহ,আমার অকালে মরার শখ নাই এইখানে সবার সামনে 🙁
প্রাণের দাবি উপেক্ষা করতে নাই।
বইল্যা দে।
যারা বাজি ধরাধরি কইরা এই লেখার খোরাক জুগায়ছিল তাদের একজনকে আমি এই লেখা পড়তে দিছিলাম।
সে বিরাট খুশি হইছে।
নিজেরে নিয়া গল্প দেখলে খারাপই বা লাগব কেন?
আমিন, উল্লেখযোগ্য একটা অংশ তোমার কল্পনাপ্রসূত হলে তো বলতে হয় খুবই ভালো লিখেছ।
তোমরা কেমনে যে এত ভালো লিখ! :dreamy:
লজ্জা পাইলাম।
Very good story
ধন্যবাদ ভাই। আপনি তো দেখি আমার নামের মিতা। আপ্নের পরিচয় জানতে পারি কি?