*এই লেখাটির সাথে ক্যাডেট কলেজের কোন সম্পর্ক নেই।কলেজ লাইফ শেষ করে বুয়েটে ঢোকার প্রাক্কালে অবসরের আঁকিবুকিতে লেখা কিছু পাতা থেকে তুলে দিলাম।(একই সাথে সামুতে প্রাকাশিত)
এটা গল্প না অগল্প বুঝা যায় না। কিন্তু এটা দুটি প্রাণের কথা এবং শুধুই দুটি প্রাণের কথা।এই গল্পের যেহেতু শুধুই দুটি চরিত্র তাই নায়ক নায়িকা ভিলেন খোজা গেল না বরং শুধুই দুজন নর আর নারী। আর যেহেতু তারা কেবলই দুজন তাই তাদের নাম অপ্রয়োজনীয়। শুধুই নর আর নারী। যেহেতু মানব মানবীরা জন্ম হতেই একে অন্যকে চিনে আসে না তাই এই গল্পের শুরু তখন থেকেই যখন এই নর নারী দুজন একে অপরের অচেনা মুখ ছিল।
নর খুবই অদ্ভুত প্রকৃতির মানুষ ছিল। অদ্ভুত স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্নময়তার জগতে তার বাস ছিল। তার কাছে সবকিছুকে ই কখনো মনে হত খুবই সাধারণ আবার কখনো সামান্য বিষয়গুলোকে মনে হতো অসাধারণ। সে পথ ভ্রমন করে ক্লান্ত হয়ে যেত অবাক না হতে পেরে আবার মাঠের বড় ঘাসের বুকে দলবদ্ধ পতঙ্গ তাকে আন্দোলিত করত। সে দেখে যেতে চাইত শুধুই কিংবা অনুভব করত অথবা তার গ্রহণ করার নেশা ছিল অস্বাভাবিক,ঠিক যতটা অস্বাভাবিক কম ছিল নিজেকে মানুষের মাঝে তুলে ধরার। তার মন বিকেলের মৃদু বাতাসের সাথে উড়ে যেত দূরে খুজে বেড়াত কোন অজানা জীবন সঙ্গিনীর; ঝা ঝা রোদে সে রোদের গন্ধ শুকে বেড়াত আর নারিকেল ছের ন্যুব্জ পাতার সাথে কথা কইত সে। আশেপাশের তীব্র শূন্যতায় সে পূর্ণ হয়ে যেত ,আবার বেদনাহীনতার বেদনা তাকে পুড়িয়ে বেড়াত। তীব্র কঠোর সত্তার আবরণে সে ঢেকে রাখত এক অদ্ভুত কোমল মানবীয় সত্তাকে।
নারী বরং সাধারণ দশজনের মতই ছিল। সাধারণ মানবী নিজের মাঝে ধরে রেখেছিলো অপার কৌতূহলকে। তার জানার বড় আগ্রহ দেখার বড় সাধ কিন্তু সে যেন দেখতে পেত না অনেক কিছুকেই। মানুষের আচরণে সে চমকিত হত কখনো বা ব্যথিতও। ঘোর বর্ষায় ঘোর লাগা চোখে সে শুভ্র বারিপানে চেয়ে থাকত , কিংবা কখনও আর দশজনের মত সেও নিজেকে একাত্ম করে দিত শুভ্র বাদলের সাথে। শুভ্র বারি আর কৃষ্ণ জলদ মেঘ, সাদা কালোর এই মিলন তাকে হাসিয়ে তুলত। শরতের শ্বেত বরুণের মত তার মন ভেসে চলে যেত অজানা প্রেম পাহাড়ে। তীব্র জোছনার ঘোর লাগা তাপ কিংবা স্নিগ্ধ রবির হাসিমাখা পরশ তার মনের ঠাণ্ডা বরফ অনুভুতিকে তরল করে দিত শুধুই একজনের অপেক্ষায়।
এই দুই স্বপ্নময়ী মানব মানবীর পরিচয়ের মাধ্যমেই এই গল্পের শুরু।
(চলবে)
1st :grr:
এই কথাটুকু বলার দরকার নেই। এখানে যা খুশি তাই নিয়েই লেখা যাবে যেহেতু। শুধুই লেখা বা শুধুই গল্প; যে কোন কিছু 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হুম, অনেক আগের লেখা এটি।কী জন্য শুরু হয়েছিল তাও ভুলে গেছি।
শুরুটা আছে।ভাবলাম দিই।
্তারপরে এখন নিজের মাথা থেকে আমদানি করতে হবে।
তার মানে ২য় পত্র আইতেও পারে আবার নাও পারে, 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সামনে মুলা ঝুলানোর জন্য আমির সর্বস্বসহ ভ্যান চাই। 😡
তাড়াতাড়ি পরের কিস্তি ছাড়লে শাস্তি মওকুফ করা যাইতে পারে। O:-)
আমিনের প্রেমকাহিনী- নাহ, হিসাব মিলে না। :-/
হিসাব মিলানোর দরকার নাই।এটা যেই জন্যই হোক শুরু এটাকে আমি ঘুরায়ে দিতাসি।
ঘুরায়েন না............................. :((
প্রেমকাহিনী চাই...
যে জীবনে প্রেম করে নাই প্রেম কাহিনী লেখা তার জন্য দুঃসাধ্য।
তারপরো তাই হবে।
কিন্তু লেখার শেষে আমারে গাইল পেরো না। 🙂
আমিন, ব্লগের পেইজকে ক্যানভাস বানায়া এবং কিবোর্ডকে তুলি বানায়া গল্প লিখতেই থাকো। :grr: :grr: :grr:
নর ও নারীর কি হইল তা জানতে মন চায় 🙂
বানর বানরী হয় নাই এটা শিউর। 😀
কিপ ওয়েটিং।কালকে লিখবো নে।
বাকিডা কুইক 😡
আমিন সিসিবিতে সব ধরনের লেখাই চাই ব্রাদার।
শুধু কলেজ বা ক্যাডেট বিষয়ক না, যে কোনো লেখাই :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
একটা মজার ঘটনা দেখতাছি, পাবলিক এখন ক্যাডেট কলেজ নিয়া পোষ্টায় না।
এক সময় যা ছিল খুবই স্বাভাবিক, তাই এখন হইছে কদাচিৎ। 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:dreamy: আহা!
তারপর ???
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap: কুইক কুইক :awesome: :awesome: :awesome:
তারপর?? তারপর???
Life is Mad.
কী লিখব তাই ভাবছি ভাইয়া।
মুলা ঝুলানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাইয়া ,মূলা ঝুলাই নাই তো আমি তো বলছি এটা বছর ছয়েক আগে অলস সময়এর আকিবুকি।
এটুকুই আছে আমার সংগ্রহে।এর পরে অনেক ভাবেই লিখা যায়।
কী লিখব তাই ভাবছি।
অতি দ্রুত পরবর্তী কিস্তি না দেয়া হলে ......... আর কইলাম না !
আমি প্রস্তাব করিতেছি...আমৃত্যু বুংগামুংগা দেওয়া হোক। :grr: :grr: :grr:
বুংগাবুংগা লাগবো না।আমি গতকালই দিছি পরের পার্ট।
বুংগা বুংগার জোকসটা মনে করায়া দিলা। 😀