নেশা – শেষ পর্ব

নেশা ২

সকালে টুকটাক কিছু জিনিষ পত্তর নিয়ে কাউকে কিছু না বলেই কমল অফিসে চলে গেলো । কান্ট্রি ম্যানেজারের সাথে দেখা হল লাঞ্চের আগে। তিনি বললেন, ভাবীর সাথে কথা হয়েছে?

– হ্যা, ওর দিক থেকে কোন সমস্যা নেই, আমি রেডি হয়েই এসেছি। আপনি বললে লাস্ট ফ্লাইটেই চলে যেতে পারি।

হক সাহেবকে খুব আন্তরিক মনে হল। ‘বড় একটা দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচালেন।

বিস্তারিত»

নেশা ২

নেশা ১

সেই থেকে কমল সাবধান হয়েছে। বাসায় তো অনেকদিন আগেই খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলো অফিসেও দু’একটির বেশি খায়না। অফিস থেকে আসার আগে ভাল করে ব্রেথ ফ্রেশনার মুখে দিয়ে বাসায় ফেরে।
বউ যদিও পুরোপুরি বিশ্বাস করেনা। তারপরও বাসায় এ নিয়ে ঝামেলা আগের মত হয় না। মেয়েরা বড় হচ্ছে, তাদের সামনে এসব বিষয়ে কথা বলেনা পারুল। সন্দেহ হলে কথা বন্ধ করে দেয়।

বিস্তারিত»

বিদায় আমার ভালোবাসা, বিদায়

৩৭ বছরের সম্পর্ক আমাদের। আর সম্পর্কের শুরুটাই ছিল চুমু দিয়ে। ভাবা যায়! তখন কতোই বয়স! নবম শ্রেনীতে পড়ি। একটা বেয়ারা বালক কেমন করে যেন ওর প্রেমে পড়ে গেলাম।

ওর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ কোথায় হয়েছিল, কিভাবে হয়েছিল- কিচ্ছু মনে নেই। ওটা কি মতিঝিল কলোনীর কোনো সিড়িঘর ছিল, নাকি কমলাপুরের কোনো রেস্টুরেন্ট অথবা রেল স্টেশন! কিম্বা হতে পারে ফৌজদারহাটের রবীন্দ্র হাউজের কোনো টয়লেটের লাগোয়া কাপড় শুকোনোর জায়গাটা।

বিস্তারিত»

নেশা

নেশা… ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু কি ভয়াবহ তার প্রকৃতি। একবার যার আসক্তি হয়, তার আর রক্ষে নেই। ধীরে ধীরে তার অস্তিত্বকে গ্রাস করে নিতে থাকে এই শব্দটি। সমর্পিত হতে হয়; নিঃস্ব হয়ে যেতে হয়, বিলীন হয়ে যেতে হয়!

এই যে আমি, আমি কি নেশা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি? এখনো রাত হলে মনে হয় কখন পাবো তাকে, যাকে হনন করে আমি নিজেকে একটি সুখী মানুষ মনে করতে থাকব।

বিস্তারিত»