চিত্রার হাতে ত্রিশ টাকা

জীবনে সর্বপ্রথম সৌমিত্রের আয় হয়েছিল জয়েন করার দ্বিতীয় দিনে। তখন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। শিক্ষক-প্রভাষকগণ এক এক শ্রেণীর ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সৌমিত্র নিজেও সেদিন স্বেচ্ছায় এই দায়িত্ব নিয়েছিলো। পরীক্ষা শেষ হলে শহরের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবার আগে হেড ক্লার্ক শরৎ বাবু ওর রুমে আসেন। এবং ত্রিশটি টাকা দিয়ে রেজিস্টারে ওর স্বাক্ষর নিয়ে নেন। কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছিলেন,
– ইনভিজিলেটর হিসেবে আজকের সম্মানী স্যার।

বিস্তারিত»

★★বংশ★★

নিশ্চুপ বিকেল। রমজানের শেষ ভাগ। ঝুম বৃষ্টি। নিজের চেম্বারে শিহাব। বড় মেয়ে ফোন করেছিল। কথা হল। ঈদের কেনাকাটা সংক্রান্ত।
আর তিনদিন পরেই ঈদের ছুটি। এবার আর বাড়ি যাওয়া হল না শিহাবদের। নাড়ির টান। এর অনুকূলে ভাসা হল না। টিকেট পেতে পেতে ও.. কনফার্ম হল না।

‘তুমি কি আসলেই যেতে চেয়েছিলে? যদি চাইতে তবে টিকেট কোনো ব্যাপারই ছিল না।’ – নিজের কাছ থেকে এমন রুঢ় কমপ্লিমেন্ট,

বিস্তারিত»

★★আকাশের নীলে★★

চারিদিকে কেউ নেই। বাতাসের মন মাতাল। সবুজ পাতায় ভালোলাগার ভ্রমরগুঞ্জন। দূরে মিশে যাওয়া মেঠো পথটি বামে যেখানে বাঁক নিয়েছে, একটা বাঁশঝাড় ওখানে। যত্ন করে ছাটা। বুঝাই যায়। ছনে ছাওয়া একটা গ্রাম্য চায়ের দোকান। এই ভরদুপুর বেলায় দোকান বন্ধ। এখন পাতাঝরার দিন। ঝরছে.. অবিরাম।
লম্বা বেঞ্চটাতে বসে আছে মেয়েটি। পাতায় পাতায় সবুজে ছায়া যুবতীর শরীর বেয়ে যৌবন উপচে পড়ছে যেন!

দূর থেকে মোড় ঘুরবার সময়ে চোখে এমনই লাগলো।

বিস্তারিত»

টিটি’র একদিন

বিমান বন্দর স্টেশন ছেড়ে ট্রেন খুলনা অভিমুখী। ধীরে ধীরে গতি বাড়ছে। সময়ের বুক থেকে বের হওয়া আরো অনেক কু-ঝিকঝিকের সাথে ট্রেনের গুলোও মিলায়.. বাতাসে.. শব্দ তরংগ।

যুবক ওরা চারজন। এক টেবিল মাঝে রেখে সামনাসামনি। টুয়েন্টি নাইন খেলছে। অপর পাশে ভিন্ন বয়সের নারী- পুরুষ শিশু। একেবারে শেষ মাথায় দুজন দুপাশের বন্ধ দরোজার ওপরের খোলা অংশ দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। সেদিকের অপর বগি থেকেই আসলেন টিটি।

বিস্তারিত»

ফুল:অণুগল্প

হুমায়রার সাথে প্রথম কোথায় দেখা হয়েছিল? লাইব্রেরীর সামনে? ক্যাফেটেরিয়ায়, জারুলতলায়- ঝুপড়ি দোকানগুলোর একটাতে? আসার সময় শাটল ট্রেনে- পাশাপাশি, ভীড়ে চিরে চ্যাপ্টা, তারুণ্যের উদ্দামতায়, অবহেলায়-অনুভবে-হঠাৎ বড্ড নরম লেগেছিল কি ওকে?
নরম। কোমল। ফুল!
ওটা কি কদম ছিল না, ওর হাতে? তিনটি পাতায় ছাওয়া দৃশ্যমান বর্ণীল – বৃত্তাকার জীবন! ঠিক হুমায়রার নিজের মতন। হুমায়রা কি জীবন ছিল। আমার? হতে পারতো। ও আমার ‘ফুল’ ছিল। কদম ফুল।

বিস্তারিত»