প্লট

রেডিওতে বিবিসি সংলাপ শুনছিল আসিফা।হঠাৎ কে যেন তার পাশে এসে বসল।অপরিচিত একটা কণ্ঠস্বর বলে উঠল, ‘আসিফা আপু।’

‘কে?’

‘আমাকে চিনবেন না আপু।আমি মার্জিয়া।পাঁচতলায় থাকি।ডাইনিংয়ে, ক্যান্টিনে, জামালের দোকানে আপনাকে প্রায়ই দেখি। আমার এক বান্ধবী- সুমনা, চেনেন বোধহয়।ও আমাকে বলল আপনার একজন ভলান্টিয়ার দরকার।’

‘হ্যাঁ আপু, তা তো দরকার।দু’জন আমাকে রেকর্ডিংয়ে সাহায্য করত। একজন বাড়ি গেছে। আরেকজনের পরীক্ষা। তা কখন কখন সময় দিতে পারবে ?

বিস্তারিত»

চলুন একটি ঝরে যাওয়ার গল্প বদলে দেই

সেই মেয়েটির গল্প বলি। রাশনা। বাবা মা ডাকে রাশু বলে,আমরা কখনো রাশনা কখনো ওর নামটা একটু পরিবর্তন করে বাসনা। আমাদের কথা শুনেই ওর হাসির বেগ বেড়ে যায়। বন্ধুত্বের দাবী নিয়ে বন্ধুকে অনেক কিছুই বলতে পারি বলা যায়। অনেক সন্ধ্যাবেলা জানালা দিয়ে রাশনা আকাশ দেখতো। ক্যাডেট কলেজের চারদেয়ালের মধ্যে বন্দী হয়ে সীমাহীন মুক্ত আকাশ। কখনো সখনো ওর খুব কাছে চলে যেতাম। পেছন থেকে চোখ চেপে বলতাম,রাশনা একটু তুই হাসনা।

বিস্তারিত»

ভয়

 

পহেলা বৈশাখের বিকেল বেলা ।রোদ কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে । বন্ধুদের সাথে বেরিয়েছে তিয়ানা । স্থানীয় স্কুল মাঠে বসেছে বৈশাখী মেলা। মেলার ভেতর ঢুকতেই নজরে এল নাগরদোলা । হৈ হৈ করে ছুটল সবাই সেদিকে।দু’টো নাগরদোলা বনবন করে ঘুরছে।বন্ধুরা ভিড় ঠেলে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দিল সিরিয়াল ভেঙে সামনে যাওয়ার জন্য।

‘আমি উঠব না।’ গোমড়া মুখে বলল তিয়ানা।

‘কেন !’ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে প্রিয়ম।

বিস্তারিত»

যা হবার…

 

বশির কাকার সাথে গুটিগুটি পায় একটা পুরনো দোতলা বাড়ির গেটে এসে দাঁড়ায় লাচি।ওর হাতের স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে একটা ফ্রক আর একটা প্যান্টের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।কাকা কলবেল বাজায়।কারও সাড়াশব্দ মেলে না।৪-৫ বার অনবরত বাজিয়ে যাওয়ার পর লাচির বয়সী একটা মেয়ে গেট খুলে দেয়।লাচির দিকে তাকিয়ে তার মুখে হাসি ফোটে।

‘বশির আংকেল,কাজের মেয়ে পেয়ে গেছেন ! বাঁচলাম ! গেট খুলতে খুলতে আমার অবস্থা শেষ !’

এক ভদ্রমহিলা ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন।

বিস্তারিত»

নিখুঁত ছবিটি আমার

ক্লাস শেষে নায়লাকে ঘিরে একটা ছোটখাট জটলা হল । আমাদের ক্লাসেরই একটি ছেলে ওকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে ।নায়লা রসিয়ে রসিয়ে সে গল্প শোনাচ্ছে।এরকম জটলা প্রায়ই হয়।ক্লাসের বেশির ভাগ মেয়েই বেশ সুন্দর।একেকজন ইতোমধ্যে গড়ে ৬-৭ টা প্রস্তাব পেয়ে গেছে! আমি এধরণের জটলার নিয়মিত শ্রোতা।মন দিয়ে গল্পগুলো শুনি।ওদের মধ্যে আমিই বোধহয় একমাত্র ব্যাতিক্রম।কখনো প্রস্তাব পাইনি।ভবিষ্যতে পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখিনা।আমি দেখতে ভাল নই।গায়ের রংটি কাল।চোখে-মুখে সুশ্রীতা আছে কি না জানি না,তবে লোকে আমাকে সুন্দর বলে না।একবার একটা ছেলে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ‘কালী’ বলে মন্তব্য করেছিল।আমি স্রষ্টার দানকে মেনে নিয়েছি।তবে ইদানীং একটা দানা বাঁধতে যাওয়া অশোভন অনুভূতিকে কিছুতেই তাড়াতে পারছিনা।আমাদের দু’বছরের সিনিয়র এক ভাইকে মনে গেঁথে ফেলেছি।অনুভূতিটা অশোভন এ জন্য যে তাকে চাওয়াটা আমার মোটেই সাজে না।অসাধারণ সুদর্শন একটা মানুষ ফয়সাল ভাই।এমন সুদর্শন পুরুষ বাংলাদেশে খুব কমই দেখা যায়।নিজেই নিজেকে বকাঝাকা করি,তাকে তুমি সেভাবে চেনো না।মানুষ কেমন তা জানো না।শুধুমাত্র রূপ দেখে পাগল হলে হবে?

বিস্তারিত»

উল্টোমুখী

শীতের নরম রোদ্দুর । উঠোনে পাটি পেতে লাল রঙা লেপটা শুকোতে দিয়েছেন মা । সোনালী রোদ ছলকে যাওয়া মোটাসোটা লাল লেপটা দেখে খুশির ঝিলিক খেলে গেল নিশির মনে। গুটিসুটি মেরে বসে পড়ল লেপের ওপর।হাতে সুনীলের ‘প্রথম আলো।’ মা ওকে এ অবস্থায় দেখলে চিলচিৎকার জুড়ে দেবেন,এত বড় ধিঙ্গি মেয়ে কাজকর্ম বাদ দিয়ে রোদ পোহাচ্ছে বলে। কিছুক্ষণ আগে মা-মেয়ের এক দফা যুদ্ধ হয়ে গেছে।সকাল থেকে মা নিশিকে ঘরের কাজে হাত লাগাতে বলছেন।কিন্তু নিশি মার কথা গায়ে মাখছেই না।সে বরাবরই অলস স্বভাবের।তার ওপর এখন কলেজে শীতের ছুটি চলছে।

বিস্তারিত»

ক্রিকেট, লোডশেডিং এবং এইচ এস সি- ২য় পর্ব- লোডশেডিং

ক্যাডেট রা রুটিন এর মধ্যে থাকতে ভালবাসে 🙂

এইচ এস সি পরীক্ষার আগের এবং মাঝের ফাকা দিনগুলোর সকাল আমাদের কাটত ক্রিকেট খেলে. ক্লান্ত আমরা দুপুর টা ঘুমিয়ে সন্ধ্যা থেকে পড়া শুরু করতাম. পড়ার মাঝে মাঝে কখনো কারেন্ট চলে যেত, কিন্তু আমাদের চার্জার লাইট সেটা সামাল দিতে যথেষ্ট ছিল. পড়তে পড়তে রাত বার্ত . রাত গভীর হবার সাথে সাথে শফিক এর নেতৃত্বে একদল নিশাচর প্রাণী গাজা,

বিস্তারিত»

ক্রিকেট, লোডশেডিং এবং এইচ এস সি

আবার দেখি এইচ. এস. সি. শুরু হয়ে গেল ! ক্রিকেট ( আইপিএল) , এইচ. এস. সি. আর লোডশেডিং – নাহ, ২০০৭ এর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। 🙂

পরীক্ষার মাঝের দিন গুলোর সকাল গুলো বেশ কাজে লাগতো আমাদের। ব্রেকফাস্ট এর পর পরই আমরা শচীন, আফ্রিদী, মালিংগারা বল ব্যাট হাতে কমন রুম এর দিকে ছুট দিতাম । কিছুদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে ম্যাচ খেলার পর ক্রিকেট বোদ্ধারা ভাবলাম,

বিস্তারিত»

বাসের অযোগ্য ঢাকা শহর…, অযোগ্যতার সীমানা কতদূর?

দিন দিন আমাদের এই ঢাকা শহরটা বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। অযোগ্যতার সীমাটার শেষ যে কোথায় তা কে জানে। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকা…ঘন্টায় ঘন্টায় লোড শেডিং, দিনে সূর্য্যের প্রখর তাপ আর রাতের অন্ধকারে মশার কামড় এই নিয়েইতো ঢাকা বাসীদের দিনকাল। শত শত প্রাইভেট কারের ইঞ্জিনের তাপ যেন সূর্য্যি মামার শক্তিকে বহুগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে। যত্র তত্র গাড়ি পার্কিং করে বিশাল বিশাল রাস্তা গুলোকে কঙ্কালে মত সরু বানিয়ে রাখা হচ্ছে।

বিস্তারিত»

ধর্মীয় অন্ধতা এবং আমাদের বানরায়ন ২

ধর্মীয় দার্শনিকরা যারা ধর্মকে নিরন্তরভাবে বিজ্ঞানময় 😉 করে তোলার ম্যামথ টাস্ক কাধে নিয়েছেন তাদের অধ্যাবস্যায়ের প্রতি পূর্নশ্রদ্ধা রেখেই আজকের আলোচনা শুরু করছি।

প্রায়ই বিভিন্ন যায়গায় বলতে শুনি সূচের মধ্য দিয়ে উট চলে যাবার ব্যাপারটি। এটি আমি প্রথম পড়েছিলাম আল কোরান দ্যা চ্যালেন্জ নামের একটি বইতে। বিভিন্ন সময় এই ব্লগেও অনেককে কথাটা বলতে শুনেছি। কথাটা সম্ভবত হাদীসের, কুরআনেরও হতে পারে। আমি সেই হাদীস বা কুরআনের রেফারেন্স দিচ্ছি না,

বিস্তারিত»