১…
ফার্স্ট ইয়ারে আমার রুমমেট ছিল সাব্বির, ফাহিম আর মহিব। মহিব আর ফাহিম ফৌজদারহাট ক্যাডেটের। ক্যাডেট কলেজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র কলেজে পড়ার কারণে তারা নিজেদের “বাপ বাপ” মনে করতো। আমরা জুনিয়র ক্যাডেটের পোলাপান নিজেদের “ছেলে ছেলে” মনে করি কিনা- এই নিয়ে তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ ছিল না।
খোঁটা মারার নানাবিধ বিষয়ের মধ্যে তাদের সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছিল গান। আমরা রোটেন “বিসিসি”র ক্যাডেটরা নাকি চরম ক্ষ্যাত। কলেজে ছয় বছর আসিফ আর আতিকের গান শুনে কাটাইছি। অপরদিকে তারা রকড হয়েছে স্করপিয়ন আর মেঠালিকা শুনে। আমি কিছু বলি না। খোঁটা খেয়ে আমার কিছুই বলার ছিল না আসলে, আসিফ আর আতিকের গান আমরা যে শুনিনাই তা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো না। আমাদের সোহেল নামে একজন ছিল। রাতের বেলা একাডেমিতে প্রেপ করতে করতে যখন আমরা ক্লান্ত হতে হতে বোর হয়ে যেতাম তখন সবাই মিলে সোহেলকে ধরতাম গান শোনানোর জন্য। সাথে সাথে সে আবেগঘন কন্ঠে গেয়ে উঠতো- ও মাধুবি, কি ছিলু গু ভুল, হারিয়ে গেলু জীবনেরু ফুল …
সে যাই হোক। একটা গান শেয়ার করার আগে এই ভুমিকা দিলাম। ক্যান দিলাম সেইটা সবার বুঝে নিতে হবে। এবং গান শোনার পর কিছুতেই বলা যাবে না আমার চয়েস ক্ষ্যাত। মনে রাখবেন পিথিমীর সবকিছুই আপেক্ষিক …
সাহেদের রোকযানা গানটার জন্য চোখ বন্ধ করে এইখানে টিপি দেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা!!!
২…
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সবার দরজায় কড়া নাড়িতেছে। আমাদের রুমের একটা বৈশিষ্ট্য আছে, দরজা লাগানো থাকে না। তাই কড়া নাড়তে পারছেনা। আমারও একদম টেনশন লাগছেনা। প্রতিদিন দুই একটা করে থিওরি কুইজ, ল্যাব কুইজ হচ্ছে। আমি সকালে দশটায় ঘুম থেকে উঠি। তারপর দুইটা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করে কানে কলম লাগিয়ে চট করে পরীক্ষা দিয়ে আসি।
তিন বছররের জ্ঞান দিয়ে যা বুঝলাম ইলেট্রিক্যাল হইলো গিয়া কলেজের আর্টস। মেকানিক্যাল আর কম্পুটারের পোলাপান দুনিয়ার বিবিধ জিনিস নিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছে সেখানে আমরা (বুঝতে হবে এইখানে আঁতেল মার্কা ছাত্রদের কথা বলা হচ্ছেনা, তাদের কর্মমুখী শিক্ষা পড়তে দিলেও তারা পড়ার মতো হাজার হাজার জিনিস বের করে ফেলবে) বিরাটানন্দময় দিন কাটাচ্ছি। কারণ পরীক্ষার আগে সবচেয়ে প্যাথিটিক যেই কাজ, হাজার হাজার ল্যাব রিপোর্ট লেখা সেটা আমাদের করতে হচ্ছে না খুব একটা। কিছু কিছু ঘাড় ত্যাড়া স্যারকে দিতে হয়, তখন আমরা অন্যের সফট কপি জাস্ট প্রিন্ট করে, নিজের নামটা প্রথম পাতায় লিখে দিয়ে দেই।
এই আনন্দে আরেকখান গান দেই। আমার বড়ই পছন্দের।
|
৩…
মানুষের জীবনে নাকি গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব থাকে। আমার জীবনে তেমন গ্রহ নক্ষত্র নাই। প্রভাব আছে একটা সংখ্যার। জীবনে বহু ঘটনার সাথে তিনি জড়িত। “৩৬০”। এর আগে দুই একটা লেখায় ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছি আমার ৩৬০ এর ব্লগটার কথা। সেই ব্লগটার কথা আসলে আরও একজনের কথাও আসে। কাছের মানুষরা অনেকেই হয়তো জানেন। যাই হোক…
গতদুইদিন আগে ফেসবুকে ঢুকে দেখি বন্ধু সংখ্যা ৩৬০ হয়ে গেছে। সংখ্যাটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। ভাবলাম এইভাবেই রেখে দেই। এরপর আরও তিন চারটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসছে, “একটা বন্ধু হবে কি তুমি আমার” টাইপ রিকোয়েস্ট না, এক্কেরে খাঁটি রিকোয়েস্ট। কিন্তু একসেপ্ট করতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। থাকুক আমার ৩৬০ সংখ্যাটা।
বহুত বক বক করলাম। সবাই ভালো থাকেন। গরমে সিদ্ধ হইতে থাকেন। ধন্যবাদ!!
১ম 😀
:thumbup:
হুমননন,
তোমার ফেছবুক স্ট্যাটাসে গানের কথা গুলো পড়ি,তারপর লিঙ্ক পেয়ে ডাউনলোড করি। রুক্সান গান টা অনেক আগে শুনেছিলাম। কিন্তু গত ৮/১০ দিন ধরে ডেইলি ৫/৭ বার গান টা না শুনলে ভাল লাগেনা। বস টাইপ গান।
আমার ইচ্ছা করতেছিল গানটা সিসিবির সবার সাথে শেয়ার করি। তুমি কাজ টা করে দেওয়ায় তোমারে :salute: ।
২য় গান টা আগে কখনো শুনি নাই 🙁 🙁
দ্বিতীয় গানটা শুনেন। আর সাথে দেখেন এই ভিডিও http://www.youtube.com/watch?v=lwhCqXhzTeY
আর গানটা সম্পর্কে আরও মজার মজার ব্যাপার জানতে টিপিদেন এইখানে
তারপর বলেন কিমুন লাগলো...
:thumbup:
সবাইরে ফ্রিতে গান শুনাইতেছিস, তাই আমিও তোরে একটা গান শুনাই।
এইটা এক্সক্লুসিভ। শুধুমাত্র তোর আর তোর 'রোকযানা'র জন্যে ;;;
গানটা ডাউনলোডের জন্য চোখ বন্ধ করে এইখানে টিপি দে। বাকিটা আল্লাহ ভরসা!!!
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
মিয়া খালি সিসি ক্লাবে আড্ডা দিলেই হইবো? সিসিবিতে তো দেখাই যায় না। :thumbdown:
যাই হোক, গানটার জন্য আমার আর রোকযানার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ 😛
দোস্ত এই পোস্টটা পইড়া ক্যান যেন জটিল মজা পাইলাম...
তোকে ধন্যবাদ...
🙂 🙂
তোর রুমমেটদের "বাপ বাপ" ভাবের ব্যাপারটা শুনেও মজা লাগলো।
বলতে আপত্তি নাই ভার্সিটি তে বেলায়েত রে দেখলে আমারো ওই ভাব নিতে ইচ্ছা করে... 😀 😀
তোদের তো IUT তে টাইম প্রায় শেষ হয়ে আসতেছে...
সুখের দিন !! তাইনা?
* জটিল মজা পাইলি? এইটা তো ভুয়া পোস্ট হইছে। আমি আরও কতো জটিল মজার পোস্ট লিখছি :-B
* হুম। সুখের দিন কাটাই। বড় আনন্দ।
দোস্ত পার্ট নিলি বুঝতে পারলাম...
চোখের সামনে কেউ পার্ট নিলে খালি খালি ছাইড়া দিতে পেরেসটিজে লাগে...
তয়, তোর কথাটা আলাদা। তুই আসলেই জটিল অনেক পোস্ট দিছস। বেশ কিছু পড়লাম আজকে। অনেক দেরি দেইখা কমেন্টাইনাই...
ভালো থাক দোস্ত...
😉 😉
ওহ।। সেই রোকসানা... তখন মাত্র একুশে টিভি চালু হইছে, রাত ১০ টার পরে টিভি এন্টেনার বিভিন্ন নাড়াচাড়ার মাধ্যমে কমনরুমের টিভিতে একুশে দেখা যাইত। বৃস্পপ্তিবার রাতে দেখাইত কনসার্ট... সেখানে একদিন দেখাচ্ছিল বেনসন এন্ড হেজেজ স্টারসার্চ... সেখানেই ১ম শুনেছিলাম শাহেদের রোকসানা... তারপর বাকিটা ইতিহাস 😛 এখনো নিয়মিত শোনা হয়...
অ. ট. রায়হান যদি ওর পোস্টেগুলাতে কলেজ ট্যাগ করত তাইলে এতোদিনে আমরা মনে হয় ৩০০ করে ফেলতাম।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
* রোকযানা আমিও শুনছি একটা লাইভ কনসার্টে। তার আগে সাহেদের "ও মাইয়া তোর নাম কি" গানটা শোনা ছিল। রোকযানা শুনে আমি পুরা পাংখা। কিন্তু এইগানটা জোগাড় করার জন্য বহুত পেইন খাইতে হইছে। তখন তো আর নেট এতো এভেইলেবল ছিলনা। 🙁
* কলেজের ট্যাগ দিতে একদমই মনে থাকেনা ... সবগুলা একদিন একসাথে দিয়ে দিবো খন।
এইটা আর্টস হইবো না বুদ্ধু, এইটা হইবো ইস্মার্ট। আমাগো এত কাড়ি কাড়ি রিপোর্ট লিখতে হয়না, কারন আমরা ইস্মার্ট 😀 ।
যাউজ্ঞা, রংগে আছো বুঝবার পারছি, সারা জীবন এমন রংগে রংগে কাটুক এই দোয়া করি।
গান দুইটাই একদম বিখাউজ, খামোখা টাইম নষ্ট করাইছো আমার। :thumbdown:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
২য় গানটা দেখি পুরাই হিট গান, আমি এই গানরে বিখাউজ কইলাম 😀
আমি তো মহা মাল পোলা দেখি..................।। B-)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
*২য় গানটা আমার হেব্বি লাগে। পালবাসার গলা মারাত্মক। :thumbup:
* ঠিকাছে। 🙂
* আজ পর্যন্ত আমার সব গানরে আপনে বিখাউজ কইলেন 🙁 খাড়ান একদিন "কাভি আলবিদা না কেহনা" র গান নিয়ে পোস্ট দিতে হবে। তাও যদি আপনার মন পাওয়া যায়।
* মাল ক্লাবে স্বাগতম ;;;
আবুল মাল আব্দুল ফয়েজ :grr: :grr:
কইতে হবে না, শুরু কইরা দিছি । :frontroll:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:khekz: :khekz: :khekz:
:frontroll: :frontroll: :frontroll:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পালবাশার গানটা নিয়ে ম্যাট নামের একজন তার ভিডিও তে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউসিক হিসাবে দিসে। ভিডিওটা দিলাম দেখেন চরম লাগবে।
http://www.youtube.com/watch?v=zlfKdbWwruY
রায়হান পালবাশার আরেকটা গান আছে নাম হলো মা ওইটা শুনে দেখো আর না থাকলে আওয়াজ দিও এখানে দিয়ে দিবোনে।
আওয়াজ দিলাম বস। শুনিনাই গানটা। তাড়াতাড়ি দেন। 🙂
এই যে গানটা >> http://www.mediafire.com/?wz5mqiq2tol
ধন্যবাদ ভাইয়া। জটিল গান। খুব সুন্দর।
দোস্ত থ্যাঙ্কস, গান টা জোস লাগসে আর ম্যাট মিয়ার ঘটনাটাও 😀
কিন্তু রোকযানা আসছে না :((
রোক'যানা' কইলেতো আইবনা, কইতে হবে রোক'আসোনা' ;;;
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:khekz: :khekz: ইদানিং কাইয়ূম ভাইয়ের মাথায় খালি এই চিন্তা ;;; ;;;
ও কাইয়ুম ভাই.........
কি হইলো আপনার??? এইসব চিন্তা নাকি খালি !!!
😀 😀 😀
চাচার বয়েস হইছেনা আর কত?
তাই তো দেখতেছি। যেই সার্ভারের লিংক দিসিলাম ঐটা দেখি অফলাইন। গতকালকেও চেক করে দেখছিলাম ঠিকাছে। দাড়া দেখি কি করা যায়।
রেজু অডিও পাই না। ভিডু দেখ http://www.youtube.com/watch?v=tlfeniHjYUw
হালায় দেখি পুরা মাল :awesome:
তোমার রোকযানা আছে কেমুন? 😀
গানডা কি লাগবো আবার? :grr:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
রোকযানা ভালু আছে 😛
গান লাগবো কিনা? ঠিকাছে লাগাইতে চাইলে লাগায় দেন। ;;; ;;;
আমিও লাগাপো ( কপিরাইট- মাস্ফু) ;;;
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
x-( x-( আমার কপিরাইট অশ্লীল ইঙ্গিতে ব্যাভার করার অফ্রাধে কাম্রুল ভাইয়ের
ভ্যাঞ্চাই
আমাগো রোকসানা নিয়া যে গান আছে এইটাই তো জানতাম না। আহারে...............এই জীবনে কত কিছুই তো জানা হইল না। 🙁
বাঁচতে হলে ;;; ;;;
গানটা শুইনা মন বড়ই উদাস হইলো। :dreamy:
আই ইউ টি-র মেকানিক্যালের পোলাপানদের জন্য সমবেদনা। 🙁
তাইলে আজকাল লেখার টাইম পাস 😛
আশপাশ দিয়ে গেলে খবর দিস 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধুর! পোলাপাইন খালি গানের লিঙ্ক দিয়া ব্লগ লিখে! 🙁
যাই হোক, লেখাটা পড়তে ভাল লাগল।
আহা রে! ৩৬০ এর বেড়াজালে আটকায়ে গেলা! :dreamy:
মজা পেলাম লেখাটা পড়ে। শুধু গান কেন, যে কোনো বিষয়ের পছন্দ-অপছন্দ বা রুচি খুবই আপেক্ষিক একটা ব্যাপার। কখন কার যে কী ভাল লাগে, তা বলা যায় না। তবে রুচি নিয়ে প্রশ্ন তোলা বোধহয় খুবই স্পর্শকাতর একটা ব্যাপার। আমার দুই বন্ধুর মধ্যে এ নিয়ে বেশ মজার একটা ঘটনা আছে, যেটা বিভিন্ন আড্ডায় এখনও মনে করে আমরা হাসি।
মেকানিক্যালের ছেলেদের আসলেই অনেক বেশি খাটতে হয়, আমার তাই ধারণা। সিআইটির ছেলেরাও মূলত ইলেকট্রিক্যালের ছেলেদের চাইতে বেশি খাটে। তবে এটা সবার জন্য প্রযোজ্য না। কারণ সব ডিপার্টমেন্টেই কিছু কিছু ছাত্র থাকে যারা পরীক্ষা বা কুইজ কেন, সামান্য ক্লাস লেকচারের জন্য জিহাদের ডাক দিতে পারে।
৩৬০'র সংসার শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য সমবেদনা। এখন অন্য ব্লগগুলোতে বেশি সময় দেয়া সম্ভব হবে হয়ত।
লেখাটা সুন্দর। ভাল লাগল।