কলেজে প্রথম তিন বছর আমাদের প্রিন্সিপাল ছিলেন রইস উদ্দীন আহমেদ। ক্লাস নাইনের শেষ দিকে রফিকুল ইসলাম নতুন প্রিন্সিপাল হয়ে আসলেন। রইস উদ্দীন স্যারকে আমাদের খুব একটা ভাল্লাগতো না। ভাবলাম, যাক বাঁচা গেল। কিন্তু কয়েকদিন পরই মজা টের পেলাম। রফিকুল ইসলামের তুলনায় রইস উদ্দীন ছিলেন মাটির মানুষ। রফিকুল ইসলামের প্রচণ্ড কড়াকড়ি আর ক্যাডেটদের পেছনে ভূতের মত লেগে থাকা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারতাম না। ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত এই মনোভাব বহাল ছিল। কলেজ থেকে বেরিয়ে এসেও সে সময়ের ক্যাডেটরা স্যারের দমন নীতির কথা ভুলতে পারেনি। কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে আজও রফিকুল ইসলামের প্রশংসা করতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, কলেজ লাইব্রেরির উন্নয়ন, কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মানোন্নয়ন, মসজিদের মানোন্নয়ন ইত্যাদি। বেশ কিছু মানের উন্নতি ঘটেছিল সন্দেহ নেই। পাশাপাশি রফিকুল ইসলামই প্রথম আমাদের কলেজে “গেস্ট স্পিকার” সংস্কৃতির জন্ম দেন। মাঝে মাঝে কোন এক বৃহস্পতি বার বিশিষ্ট কোন ব্যক্তি আসতেন, ক্লাস শেষে সবাইকে অডিটোরিয়ামে যেতে হতো তার বক্তৃতা শোনার জন্য। সবাই প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে যেতো কিন্তু বের হওয়ার পর অধিকাংশই ভাবতো, নাহ্ সময়টা মন্দ কাটে নাই।
এমনই এক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে মির্জাপুরের ক্যাডেটদের সাথে তাদেরই সিনিয়র ভাই আতিউর রহমানের সাক্ষাৎ ঘটে। দুঃখের বিষয়ে, সে অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম না। শুধু আমি না, আমাদের ব্যাচের কেউই ছিল না। এসএসসি-র ছুটিতে সবাই বাসায় ছিলাম। আসলে এই ছুটির মধ্যেই কলেজে গেস্ট স্পিকার প্রথার প্রচলন ঘটে। ছুটি শেষে কলেজে ফিরে আসি। ডাইনিং হলে যে টেবিলে সিট পড়ে সেটার টেবিল লিডার ছিলেন শাহরিয়ার ভাই। উনার আবার এসব বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ আছে। তার কাছ থেকেই আতিউর রহমানের কাহিনী শুনলাম। সেই কথাগুলোই আজ বলব। তবে বলার আগে তার সংক্ষিপ্ত পরিচয়টা দিয়ে নিচ্ছি।
আতিউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম সারির অর্থনীতিবিদ। আমাদের কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। সেবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্ট্যান্ড করেছিলেন “মোঃ গিয়াসউদ্দিন” আর দ্বিতীয় স্ট্যান্ড করেছিলেন আতিউর রহমান। গিয়াসউদ্দিন এখন অ্যামেরিকায় পরমাণু গবেষণায় রত। আর আতিউর রহমান বাংলাদেশে উন্নয়ন গবেষণায় রত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স, মাস্টার্স করেন। পিএচডি করেন ইংল্যান্ডের “School of Oriental and African Studies” থেকে। দেশে ফিরে বহুল আলোচিত ক্ষুদ্রঋণ এর প্রসারে কাজ শুরু করেন। ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ক টাস্ক ফোর্সে অংশ নেন। একই সাথে জনতা ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে। জনতা শেষে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হন। দীর্ঘদিন “বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা” (Bangladesh Institute for Development Studies – BIDS)-র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে “উন্নয়ন গবেষণা” বিষয়ে অধ্যাপনা করছেন।
এতো গেল তার কর্মজীবনের কথা। কিন্তু পৃথিবীর যে মানুষগুলোকে শুধু তার কর্মস্থল দিয়ে বিচার করা যায় না, তিনি তাদের মধ্যে পড়েন। আতিউর রহমানের জীবনের বিশাল অংশ জুড়ে আছে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন। এই স্বপ্নই তাকে জনমুখী গবেষণায় নিয়োজিত করেছে, অসংখ্য বই লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে। সেসব কথা সবশেষে বলব। এবার তার বক্তৃতার কথা আসা যাক। তার কথাগুলো নিজের ভাষায় লিখছি।
আতিউর রহমান দেশের খুব সাধারণ এক গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার বাবা-মা ক্যাডেট কলেজ কি জানতেনও না। গ্রামের এক সরকারী প্রাইমারি স্কুলে পড়তেন। স্কুলের সবচেয়ে ভাল ছাত্রের প্রতি হেডমাস্টার সহ সব শিক্ষকেরই একটা আলাদা টান থাকে। এই টানের পাশাপাশি হেডমাস্টারের ছিল দূরদৃষ্টি। তিনিই রহমানকে ক্যাডেট কলেজের কথা শোনান। নিজ দায়িত্বে কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি সবগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এবার শুধু কলেজে যাবার পালা। কিন্তু সমস্যা এখানেই। কলেজ থেকে জিনিসপত্রের লিস্টি এসেছে। যাওয়ার সময় এইসব সাথে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু টাকা। তার বাবা-মা’র তো এতো টাকা নেই। তখনই গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। তাদের গ্রামের সেরা ছাত্রটিকে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। গ্রামের সবার বাড়ি থেকে টাকা তুলে সব জিনিসপত্র কেনার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। সেইসব জিনিসপত্র নিয়ে, লুঙ্গি পরে, ঠেলাগাড়িতে চড়ে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে প্রবেশ করেন আতিউর রহমান।
এরপর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই স্ট্যান্ড করেন। সব ভাল ছাত্ররা মেডিকেল আর ইঞ্জিনিয়ারং নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু গ্রামের যে মানুষগুলো তাকে এতোদূর আসতে সাহায্য তাদের কথা ভেবেই রহমান অর্থনীতি বেছে নেন। সেই তখন থেকেই বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের গবেষণা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকেন। তার সে স্বপ্ন আজ অনেকাংশেই বাস্তব। এবার সেই বাস্তবায়নের কথা বলব।
শাহরিয়ার ভাইয়ের মুখে এই কথাগুলো শুনেই আতিউর রহমানের ভক্ত হয়ে পড়ি। আসাদুজ্জামান বা দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে বাদ দিয়ে তাকেই সবচেয়ে বস মানতে শুরু করি, হাজার হোক ক্যাডেট ভাই তো। তার সম্বন্ধে আরও জানতে ইচ্ছে করে। সেই সুযোগও করে দেন রফিকুল ইসলাম। (কেউ আবার ভাইবেন না, আমি তেলানোর প্রিন্সিপালরে গিয়া এই কথা কইছি। আসলে সবই দৈবক্রমে ঘটছে)। কলেজ লাইব্রেরিতে আতিউর রহমানের লেখা গাদি গাদি বই আসতে শুরু করে। এখনও সেই লাইব্রেরিতে গেলে তার অন্তত ৩০-৪০টা বই পাওয়া যাবে। একাধিক কপি ধরলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। আমি খুব বেশী বই পড়িনি। কারণ বেশিরভাগই উচ্চ মার্গের অর্থনীতি নিয়ে লেখা। ৫-৬টা বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ভাল লেগেছে “জনগণের বাজেট”। ভাল লাগায় দ্বিতীয় হল ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা খণ্ড খণ্ড বইগুলো। নাম মনে আসছে না। আমি এখানে জনগণের বাজেট নিয়েই লিখব।
জনগণের বাজেট পড়া মানে আতিউর রহমানকে বুঝে নেয়া। প্রথমত, খুব সহজে বাজেটের জটিল বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের বাজেট তৈরীর প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেছেন; তৃতীয়ত, বাংলাদেশের বাজেট তৈরীর প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। রীতিমত মুগ্ধ হয়েছি। প্রতি পদে পদে সাধারণ মানুষের কথা জেনেছি। বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশে বাজেট তৈরীর প্রক্রিয়া কতোটা অবৈজ্ঞানিক ও ঘোলাটে। এটাও অনুমান করতে পেরেছি যে, দেশের সাধারণ মানুষের বাজেট জ্ঞান কত কম। অথচ, রহমান বারবার বলেছেন, দেশের মানুষ বাজেট সম্পর্কে কিছু না জানলে দেশের বাজেট কখনই ভাল হবে না। বাংলাদেশে বাজেট পাশের পর টিভিতে জ্ঞানগর্ভ টক শো দেখা যায়, আসল বিষয় সাধারণ মানুষ কিছুই বুঝে না। বিস্মিত হয়েছিলাম এই পড়ে যে, ভারতেও নাকি জনগণের বাজেট তৈরীর একটা প্রচেষ্টা চলছে। সেখানকার এক শহরে নাকি বাজেট তৈরীর আগে বিশাল জনসভা করে সবকিছু ব্যাখ্যা করা হয়, পাশাপাশি সবার মতামত নেয়া হয়।
এই বই পড়ার পর আমি বুঝতে পেরেছি, আতিউর রহমান ও তার সহ গবেষকেরা কি করছেন। তারা এমনকি গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে বাজেট বোঝাচ্ছেন। তাদের মতামত জানতে চাচ্ছেন।
প্রান্তিকদের নিয়ে তিনি কতটা চিন্তিত তা বোঝা যায় “প্রান্তস্বর” ম্যাগাজিন পড়লে। প্রান্তজনের কথা- এ জিনিসটা আমি প্রান্তস্বরেই প্রথম পড়ি। বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তে যাদের বাস এটা তাদের কথা। বুঝতেই পারছেন, যেখানে প্রশস্তের সুযোগ-সুবিধা যায় না সেটাই প্রান্ত। সেই প্রান্ত থেকে আসা কথাগুলো আমাদের মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তে মোড়া শহরে এসে পৌঁছায় না, কিছু কিছু পৌঁছালেও শহরের কোলাহলের ভিড়ে হারিয়ে যায়। সেই কথাগুলোই শহরের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাইলেন আতিউর রহমান। প্রতিষ্ঠা করলেন “উন্নয়ন সমুন্নয়” (সমন্বয় নামেও পরিচিত) নামক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। উন্নয়ন সমুন্নয় এই প্রান্তজনদের নিয়েই কাজ করে। বাংলাদেশের ৮৫% মানুষ গ্রামে বাস করে, তাদের উন্নয়ন মানেই কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়ন। এই মূলনীতি মেনে আতিউর রহমান বিআইডিএস-এ অনেক গবেষণা করেছেন। বিআইডিএস থেকে “বাংলাদেশ উন্নয়ন সমীক্ষা” নামক জার্নাল বের হয়। সত্যি কথা, এই জার্নাল পড়লে দেশ কোথায় দাড়িয়ে আছে তা অনেকটাই বোঝা যায়। বোঝা যায়, উন্নত হওয়ার জন্য আমাদের আর কি কি করা প্রয়োজন, উন্নতি জিনিসটা কি তাও বোঝা যায়।
যা বলতে চেয়েছিলাম তা যেন তেন ভাবে বলে ফেলেছি। কিন্তু এগুলো বলা বা পড়া আসল কথা না। এগুলো নিয়ে চিন্তা করাটাই নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। ক্যাডেট হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আরও বেশী। কারণ আমরা এমন এক স্থানে পড়াশোনা করেছি যা জনগণের অর্থে চলত। যে প্রান্তজনেরা আমাদের ম্যাট্টিক-ইন্টারে ভাল রেজাল্ট করিয়েছে, যারা আমাদেরকে ৬টা স্বর্ণালী বছর উপহার দিয়েছে তাদের কি কিছুই দেবো না? আমি না, ধরুন, আতিউর রহমানই আমাদের সবাইকে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। এবার আমাদের জবাব দেয়ার পালা।
উনার কথা আগে একটু শুনসিলাম...উনাকে.. :salute:
হুম, উনারে মাঝেমধ্যেই পত্রিকা-টিভিতে পাওয়া যায়।
ভাই..মুহাম্মদ..আজ তোমার..লেখাটা আমার মামার বাসাই..বললে সে চুপ করে কথা গুলো শুনে..পরে সে আমাকে বললো: আমি এই কথা তার মুখে শুনেছি..পরে আমার মামা এই কথাগুলো পত্রিকায় তাকে লিখতে অনুরোধ করে..সে ১৯৯২ দিকে জনকন্ঠ পত্রিকায় লিখে..এতে ড:আতিউর রহমানের সহধর্মিনী..একটু তার প্রতি বিরক্ত হয়..কিন্তু তার মেয়ে খুশি হয়।
ইফতারির পর মামা তাকে ফোন দিয়ে তার এই কাহিনীর কথা আবার বলে..তখন সে জানতে চায় কোথায় আবার লেখা হয়েছে..আমি এই ব্লগের কথা বলি..সে জানতে চায় বাংলায় লেখা হয়েছে কিনা..এবং ব্লগের ঠিকানা জানতে চায়...
অতি আনন্দের সংবাদ। আমি একান্তভাবে চাই, আতিউর রহমান এই ব্লগের খবর পান। আপনি ঠিকানা দিয়ে দেন।
আমার ইচ্ছা ছিল, আতিউর রহমান ক্যাডেট কলেজের কারণে দেশের অর্থনীতেতে কতটা চাপ পড়ে এবং ক্যাডেট কলেজ থেকে কতটা আউটপুট বেরিয়ে আসে তা নিয়ে লিখুন। অনেকেউ তো আজকাল এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
মানুষটা সম্পর্কে প্রথম যেদিন কলেজে শুনেছিলাম সেদিন শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে এসেছিল। আমার সবচে যে ব্যাপারটি ভাল লাগে যাদের জন্য তিনি এত দুর উঠে এসেছেন সেইসব মানুষগুলোর জন্য তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। কখনো তাদেরকে ভুলে যাননি।
আতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা। তার জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আমাদের অন্তত একজনেরও যদি বোধদয় হয়ে সেটাও হবে অনেক বড় কিছু।
পোস্টটার জন্য মুহাম্মদকে অনেক থ্যাংকস। মুক্তমনা, সচলায়তনের পাশাপাশি এখানেও এরকম কিছু পোস্ট দেবার চেষ্টা কইরো। আর তোমার জনগণের বাজেট এর কথা ম্যালা দিন পড়ে মনে পড়ে গেল 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জনগণের বাজেটের কাহিনী আমিও মনে হয় জীবনে ভুলমু না। পুরা সিল পইরা গেছে।
ক্যাডেটদের মধ্যে যত গুণীজন আছে, তাদের সবাইকে নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে। ধীরে ধীরে সব হবে।
আতাউর ভাইকে :salute:
আমাদের সাথে এই জিনিসটা শেয়ার করার জন্য মুহাম্মদ কে :salute: :salute:
দেশ নিয়ে আসলেই আমাদের ভাবা উচিত...
এই সুযোগে আমিও আতিউর ভাইকে :salute: জানায়া দেই।
অর্থনীতিবিদদের নামকা ওয়াস্তে কমিটিতে রেখে বাজেট যদি মন্ত্রী-এমপি'রা বানায় তাইলে জীবনেও জনগণের বাজেট পাওয়া যাবে না।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
যাক, অবশেষে জুনায়েদ ভাই নিজের লাইনের কিছু কইবার চান্স পাইল 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
😀 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
এটা একদম ঠিক কথা। কিন্তু আমাদের কিন্তু এই জায়গায় কিছু করার নাই। কারণ বাজেট কমিটি এখন রাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আর বাংলাদেশের রাজনীতি একে তো অস্থিতিশীল, তার উপর সেখানে যথেষ্ট যোগ্য লোক নেই।
এখানেই কিন্তু আতিউর রহমানরা প্যাঁচটা খেলছেন। কারণ, জনগণই যেহেতু গণতন্ত্রের ভিত সেহেতু বাজেট কমিটি ঠিক করার আহ্বানটা তাদের পক্ষ থেকেই আসতে হবে। অর্থনীতিবিদরা যতই বলেন, লাভ নাই। এজন্যই তারা প্রান্তজনদের এক কাতারে সামিল করার চেষ্টা করছেন। জনসচেতনতাই গণতন্ত্রে সফলতার প্রথম শর্ত।
একেবারে ভিন্ন স্বাদের লেখা। পড়ে ভালো লাগল। ধন্যবাদ মুহম্মদকে আতিউর ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
:boss: :boss:
:clap: :clap: :clap:
আসলেই বাজেট সম্পর্কে কিছুই জানি না 🙁
"জনগণের বাজেট" পুস্তক খানা পড়তে ইচ্ছা করতাছে। কারো কাছে সফট কপি থাকলে লিঙ্ক দিও।
মুহাম্মদ, তোমার লেখা অতি উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী।
সফ্ট কপি এখনও পাই নাই। থাকার কথাও না। হার্ড ছাড়া মনে হয় গতি নাই।
Is "Iqbal Quadir" an ex-cadet from JCC?
হ্যা, আমি তাই জানি।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হ্যা, নিশ্চিত। ঝিনাইদহতেই পড়েছেন।
এটা আইও জানতাম না। নেট ঘেটে এই লিংকটা পেলাম। এখানেই লেখা আছে যে তিনি ঝিনাইদহতে পড়েছেন। খুব উৎসাহ পেলাম। গ্রামীণ ফোনের স্বপ্নদ্রষ্টাকে সালাম জানাই।
http://www.bangladeshnews.com.bd/2007/12/29/an-nrb-who-did-the-impossible/
বাহ বাহ উনি তাইলে গাছ?আমার তো পার্ট বাইরা গেলো রে... B-)
খাইছে, আগেই বোঝা উচিত ছিল। আরে, মাসরুফ ভাই যে জেসিসি'র এইডা ভাইবাই দেখি নাই। 😛
আমার মনে গ্রামীন ফোনের স্বপ্ন দ্রষ্টা হিসেবে সালাম পাবার চেয়ে অন্য কোন কারণে তিনি সালাম পেতে পারেন।
তা ঠিক। গ্রামীণ ফোন তো এহন টেলিনরের কাছে চইলা গেছে।
ইকবাল কাদিরের অন্য কাজগুলা অবশ্য জানি না। সচলায়তনে উনারে নিয়া বোধহয় কিছু কথা হইছিল। ঐ লিংকটা এইখানে দিতে পারবি?
আমি ভাবতাছি ইকবাল কাদিরকে নিয়াও লেখা যায় কি-না।
http://www.sachalayatan.com/alamgir/18071
x-( কেন?আমি কি গাছ হইতে পারিনা?
=))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
Very inspiring post.
আতিউর ভাই এবং ইকবাল কাদির ভাই কে :salute:
:salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাই ইকবাল কাদির সাহেব এস,এস,সি পর্যন্ত জেসিসিতে ছিলেন এইচ,এস,সি.নটরডেম থেকে...
আমার একটা প্রশ্ন আছে, কেউ রাগ কইরেননা,
এই ইকবাল কাদির সাহেব টা কে? জীবনে নাম শুনছি বলে মনে পড়ে না ~x( ~x(
Iqbal Quadir is the principal architect of Grameen Phone which was an outgrowth of Gono Phone that he founded. He came up with this idea of connecting rural population with the cell phone network which at that time was a breakthrough idea. He approached Prof Yunus as Grameen bank was already working with rural people, and Telenor also came up with the money, and thus Grameen Phone was founded under the Grameen Group. He is currently a Professor at MIT. He is widely quoted as - "Connectivity is Productivity". He was educated at Jhenaidah, and U of Pennsylvania. He won several international awards. He is not that well known among the public though for being under the shadow of a Nobel Laureate. He has many other bright ideas which he is trying to implement.
ধন্যনাদ!!
আমিন, ছুম্মা আমিন!!!
মজা পাইলাম 🙂 ।
কত অজানা রে......
বাই দ্যা ওয়ে, আপনি কি এক্স-ক্যাডেট সোহেল ভাই যিনি আমার একটা পোষ্টে দীর্ঘ একটা মন্তব্য করেছিলেন? যদি আমার ধারণা সঠিক হয় তাইলে বলি, আপনার সেই মন্তব্যের শুরুটা বাদ দিয়ে বাকি প্রায় সব বিষয়ের আমার সহমত ছিলো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
http://en.wikipedia.org/wiki/Iqbal_Quadir
এই লিংকটাতে গেলে আরও জানতে পারবেন।
oops. কি দরকার ছিল। উনি জেসিসি-তে থাকলেও নিশ্চই এতোটা বসই হইতেন। 😀
ধন্যবাদ মুহম্মদ। এই পোস্টটা আরও আগে না পড়াতে আফসোস হচ্ছে এখন। "জনগণের বাজেট" বইটা কি অনলাইনে কোথাও পাওয়া যাবে?
অনলাইনে কোথাও পাওয়া যায় কি-না জানি না। আমি পাইনি।
:thumbup:
মুহাম্মদ,
আতিউর রহমানের উপরে ইংরেজি উইকিতে ভুক্তি থাকলেও বাংলা উইকিতে নাই। তুমি বাংলা উইকিতে এই বিষয়ে ভুক্তিটা শুরু করে দিতে পারো। আর উনার কোনো ছবি কেউ তুলে থাকলে সেটাকে যোগাড় করা ও কমন্সে যোগ করতে পারো।
--
রাগিব
আমি শুরু করছি।
মুহাম্মাদ,
তোমার লেখাটা পড়ে অনেক নতুন জিনিস জানলাম।তোমাকে আনেক ধন্যবাদ এমন এক টা লেখার জন্য।
আমাদের আনেক দায়িত্ব ......।।
খুব ভালো লাগল।
ধন্যবাদ মুহাম্মদ আপনাকে। চমৎকার লিখেছেন।
এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন।
মুহাম্মদ, তোমার এই লেখাটা আমার দৃষ্টি এড়িয়েছিল কিভাবে এতোদিন? ভালো লিখেছ।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আতিউর রাহমানের কথা অনেক আগে থেকেই শুনেছি ,তবে উনি এত কষট করে পড়াশুনা করেছেন জানতাম না ।এটা পড়ে আমার মত অনেকেই উৎসাহিত হবেন ।
আতিউর রহমানের সাথে আমার কিছু মিল আছে *কেউ কি উনার বর্তমান ঠিকানা জানেন ?জানলে প্লিজ জানান *উপকৃত হতাম *