১…
কনুইটা শুধু বের করা জানালা দিয়ে। হালকা শীতের স্পর্শ। কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে গানটাকে মস্তিষ্কের ঠিক মাঝখানে বসানোর চেষ্টা। তারপর সেখানে বেজে ওঠা- “আমি স্বচ্ছল তাই একেঁছি দু’চোখে স্বচ্ছলতার স্বপন … ” কিংবা আমার রুমমেট ফাহিম আর সাব্বিরের মতে এ যাবত কালে ব্ল্যাকের করা সবচে জঘন্য গান “এই নিঝুম রাতে একা আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে … “পাশ দিয়ে বিপরীত দিকে ছুটে চলছে গ্রাম, রাস্তা। তবে ঠিক কি জিনিস ছুটে যাচ্ছে বোঝার কোন উপায় নেই আসলে- অন্ধকার, কিছুই দেখা যায় না। পেছনের সিটে সদ্য গোঁফ উঠা দুই কিশোর। ক্ষণে ক্ষনে তাদের কন্ঠে হিন্দি গান। কিংবা সামনের সিটে কোনটাকে পাহাড় বলে আর কোনটাকে টিলা বলে এই নিয়ে পাশের ছেলের সাথে যুদ্ধরত এক বিরক্তিকর মেয়ে …
ট্রেনের বাইরে থেকে তাকালে দেখা যাবে- সিটের সামনের ট্রেতে রাখা একটা বই। “ক্রাচের কর্ণেল”। যেখানে বিলবোর্ডের নীচে দাঁড়িয়ে আছে লুৎফা। তার ছেলে মিশুর জন্য। কিংবা একই বইয়ে আরও বেশ কয়েকবছর আগে নেত্রকোনার ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে সে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের ছাত্রী- দেখতে ঠিক আনা কারেনিনার মতো …
২…
নেভাল বিচ। অন্যজগতের আরও দুই ছেলে। যাদের একজনের হাতে একাদশ দ্বাদশ শ্রেনীর পাঞ্জেরি রসায়ন গাইড বই। সেখানে এক বালিকার মুখে রঙ মেখে তোলা ছবি। মোবাইলে সেই বালিকার কন্ঠস্বর। চাইলে শুনতে পাওয়া যায় গান- সব মিলিয়ে- অসহ্য!!
৩…
তারপর ফিরে আসা। মহিব যে আম্রিকা আর কানাডা চাইলেই যেতে পারবে সেটা জোর গলায় প্রতিষ্ঠা। আংকেল আন্টির মনে একটা আত্মতৃপ্তির ছাপ দেখতে পাওয়া …
আমার স্বপ্ন দেখা শুধু এই সময়টার। ব্রিটিশ কাউন্সিলে কফির কাপে দুপুর পার করা। এই সময়টাই আমার আজীবন থাকুক। আমি কিচ্ছু চাইনা। অর্থ নয়, স্বচ্ছলতা নয়।
৪…
লিখার সুবিধা। রাত থেকে আবার দুপুরে চলে যাওয়া যায়। সেখানে শেষটা স্ট্রবেরি আইস্ক্রিম দিয়ে। যদিও অন্যরা খেয়েছিল মিক্সড। বোকা নাকি … স্ট্রবেরির চেয়ে মজা কিছুতে আছে?
মুহাম্মদ তার বাবার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে কিনা সেটা জানতে চাওয়া …
৫ …
তারও আগে। হালিশহর সবুজ ঘাসের বিচ। মহিব অনেকদিন বলেছিল জায়গাটার কথা। যেয়ে দেখি ঘাস আছে- কিন্তু সমুদ্র চলে গেছে অনেক দূরে। খুব মনোযোগ দিয়ে তাকালে একটা নৌকা দেখতে পাওয়া যায়- যে কিনা সমুদ্রের সাথে অনেক রাগ করে আকাশের গায়ে, উলটা হয়ে লেপটে আছে …
🙂
ফার্স্ট হবার হাসি?
আমার আগে এহসান ভাই কিছু না লিখে ইমো দিয়ে চলে গেছেন। আমি আবার খুবি ভদ্র ক্যাডেট। বড় ভাইরা আগে কিছু না বললে আমি কিভাবে বলি? এখন ফয়েজ ভাই কিছু বলে ফেলেছেন তাই সমস্যা নেই। স্ট্রবেরি আমারও পছন্দ। ভাবতেই ভাল লাগছে। আর কিছুদিন পর আমাদের গার্ডেনে স্ট্রবেরি ধরবে। আর তোমার লেখাতো সবসময় সুন্দর।
:shy: :shy: অনেকগুলো লাইন লেখার জন্য ধন্যবাদ। 😛
🙂 🙂
দ্বিতীয় হবার?
🙂 🙂 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
তৃতীয় হবার?
কি কাহিনী? সবাই হাসে ক্যান?
🙂 🙂 🙂 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
>:P
🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
🙂
ওই... আবারো কলেজের ট্যাগ লাগাস নাই x-(
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধূর কেউ কিছু বলে না। ঢুকে আর ইমো টিপ দিয়ে চলে যায়। 🙁
ভ্যানিলাও মজা, তবে বেস্ট হচ্ছে ভ্যানিলা আর স্ট্রবেরী মিক্স।
ফইল্ল্য তোলি বিচে গেছিলা নাকি? শীতের বিকালে গিয়া মজা ওইখানে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
হ্যাঁ।
নাম ফইল্ল্যা তোলি নাকি? আনন্দবাজারের ওইখানে? নাম জানি না।
ফয়েজ ভাই আপনারে একটা ইস্পিশাল থ্যাংকু। 🙂
সময় তো বেশি দিতে পারলাম না তোমাদের, এনি ওয়ে।
টুকরো গল্প ভাল লিখছ, মুহাম্মদ কি চলে গেছে?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ঘাস কাদার আরেকটা বীচ আছে, পারকির চর। বর্ষায় মজা ঐটাতে 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মুহাম্মদ আছে এখনও ফয়েজ ভাই।
😀 😀 😀 😀
😀
Amare kisu koilina 🙁
আমি নিজেই সিউর ছিলাম না। তাছাড়া মহিব, মুহাম্মদ তো আরও আগেই চলে গেছে।
ভাইসকল আছেন কেমন? আইজকা পরথম সিটিতে আসলাম। বি এম এতে আপনাদের মিস করতাছি। 🙁 🙁 🙁
কতদিন হলো তোমার? স্যালুটিং পাশ করার জন্য অভিনন্দন
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আরে ক্যাসপার। তাড়াতাড়ি আর্মি হয়ে যা 😛
স্টাইল টা ভালো লাগসে, Ur use of
technique is good, presenting a heap of broken images, on surface no string attached but underneath a strong thread of memory.
আপনার মন্তব্যটা খুব ভালো লাগলো। এবং মন্তব্য পাবার পর আমার একটা জিনিস মনে হল।
লেখাটা আসলে গতকাল একদিনের জন্য চিটাগং গিয়েছিলাম- তা নিয়ে লেখা। এখন পড়ে মনে হলো, যারা জিনিসটা জানে না- তাদের জন্য বুঝতে সমস্যা হবে। দূর্বোধ্য হয়ে গেছে।
সারাদিন চেষ্টা করেও আইসক্রিমের দোকানটার নাম মনে করতে পারলাম না ~x( ~x( ~x(
চিটাগং এ, জিইসি মোড়ে মেরিডিয়ানের পাশে... ব্লু-বেল এর নিচে... বিএমএ থাকতে শহরে আসার পর ১ম কাজ ছিল ঐখানে আইসক্রিম খাওয়া...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
'ডিয়ারলী' 🙂
হমম...থ্যাঙ্কু এহসান ভাই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এই হল ডিয়ারলী...
ডিয়ারলী...
কতদিন পর দেখলাম 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহা ডিয়ারলী, আহা জি ই সি 😡 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ঘটনা কি? কার কথা মনে পড়ে ;;; ;;;
কার না, কার কার হবে ;;;
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কার কার কথা মনে পড়ে?
দয়া করে মন্তব্যের জবাবে "কি মনে হয়" বলবেন না ;;; ;;; ;;;
চমৎকার লেখা। লেখার ধরণ বেশ আকর্ষণীয়। খুবই ভালো লেগেছে।
অনি ভাই নি 😛
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
রনি ভাই, একটু খারাপ লাগছে কথাটাও কইতে শিখেন মিয়া। 😛
সুখী রায়হান আবীর তোমার কি খবর 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তোমার খবর কি? আমি ভালো আছি। 😛
ভাল । অল্প কথায় কাজ সারলাম । মোবাইলে কমেন্ট লেখা বড়ই কষ্টের ।
মোবাইলে বাংলা? বাপ্রে বাপ। আমার সেদিন "কি খবর" কথাটা লিখতেই ঝোল বের হয়ে গেছিল। 🙁
হা হা হা । আসলেই কষ্টের । তয় অভ্যাসের ব্যাপার । ঝামেলা অন্যখানে । অফিসে কাজের চাপের মধ্যে আছি ।
লেখার ভঙ্গিটা ভালো, ভালো, ভালো, ভালো, ভালো, ভালো, ভালো লেগেছে 😀 ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কস কি? 😛
লেখায় পাঁচ তারা। ভেরি গুড.. চালায়া যা। দিনকাল কেমন কাটতাছে?
হি হি হি। তুই কই?
আমি চট্টগ্রাম। আর দুই ঘণ্টা পর ঢাকা রওনা দিমু...
হাইপার হইসে... কিসু বুজিনাই 🙁 উপর দিয়া গেল!!
😛 😛 😛
একদিনের জন্য চিটাগং গেছিলাম। সারাদিনের টুকরা টুকরা মুহূর্ত জোড়া লাগাইছি। যখন যেই সময়টার কথা মাথায় আসছে- তাই। 😛
চমৎকার রায়হান! :clap: :clap:
টুকরো টুকরো ঘটনা দিয়ে আঁকা জীবনের একটা ছোট্ট অংশ। খুব ভাল লাগল পড়ে।
হা হা হা। আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় রিফ্রেশ দিচ্ছিলাম খালি। 😛
🙂
ভাল হয়েছে
খালেকা 😀
ওরে পেত্নি। x-( x-( এই তোর সুচিন্তিত কমেন্ট ...
স্ট্রবেরী আইসক্রীম সবচাইতে ভালো। ফয়েজ ভাই আমারেও চিটাগাং গেলে আইসক্রীম খাওয়ানো লাগবে।
রায়হান অসম্ভব রকমের ভালো একটা লিখা, যুগ যুগ জীয়ো।
ধন্যবাদ 🙂