ইসলাম জগতের একজন অমর চিন্তাবিদ ওমর খৈয়াম। মানবতাবাদী, দার্শনিক, জ্যোতির্বিদ। বীজগণিত এবং জ্যামিতিতে প্রতিভার স্পর্শ দেওয়া এই মানুষটি ছিলেন মুক্তবুদ্ধির ধারক। তার রচিত কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে যুক্তির উপর নির্ভরতা ও বিচক্ষনতা। তারই একটি বিখ্যাত আরবী কবিতা…
যদি মাতালের শিক্ষাকেন্দ্র মাদ্রাসাগুলো
এপিকুরাস, প্লেটো
এরিস্টটলের দর্শন- শিক্ষালয় হতো,
যদি পীর দরবেশের আস্তানা ও মাজারগুলো
গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতো,
যদি মানুষ ধার্মিকের ধর্মান্ধতার পরিবর্তে
নীতিজ্ঞানের চর্চা করতো,
যদি উপাসনালয়গুলো সর্বিবিদ্যা চর্চাকেন্দ্র
হিসেবে গড়ে উঠতো,
ধর্মতত্ত্বের চর্চার পরিবর্তে যদি গণিত-বীজগণিতের
উন্নতি সাধন করতো,
যুক্তিবিদ্যা যদি সুফিতত্ত্ব, সংস্কার,
কুসংস্কারের জায়গা দখল করতো,
ধর্ম যা মানবজাতিকে বিভক্ত করে তা
মানবতার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতো,
পৃথিবী তাহলে বেহেসতে পরিণত হতো,
পরপারের বেহেসত বিদায় নিতো,
প্রেম- প্রীতি- মুক্তি- আনন্দে জগৎ পরিপূর্ণ হতো
নিঃসন্দেহে।
শুধু এই দেশে কেনো? দেশে দেশেই এখন তাকে দরকার। 😀
:thumbup:
হুম।
অনুবাদ ভালই করছ। 😀
তোমার আরবী শেখার কতদুর?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি করিনাই ভাই। একটা বই ছিল, ওখান থেকে লিখে দিয়েছি। তারপর কম্পিমেন্টস গ্রহণ করা হইলো। 😀
ওমর খৈয়ামরে পছন্দ হইছে।
আমারও...
ওমর খই আম :thumbup: :thumbup:
সত্যি যদি থাকত :dreamy:
বাংলাদেশ তাহলে বেহেশতে পরিনত হতো
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:boss:
কবিতাটা অতিরিক্ত বস। এসব পড়ার পরই আবার মনে হয়, না পৃথিবীর তাবৎ শিল্পী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক এবং সাহিত্যিকদের কোন দেশ-কাল নেই। তারা সবাই মানবতার কথা বলেন এবং তারা সবাই মানবতার প্রমাণ (তারাও তো মানব)।
হুমম...
:thumbup:
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
হুম বুঝার চেষ্টা করতাসি।
ঠিকাছে লেখা। তবে এই দেশে ওমর সাহেব এসে খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না। জরা দুর্যোগ অভাব মোকাবেলা করা যায় কিভাবে সেটা ওমর সাহেব বাতলে দিতেন না। আধ্যাত্মিক চিন্তা কইরা যে সময় আমাদের ধর্মান্ধ এবং তথাকথিত মুক্তমনারা সময় নষ্ট করেন সেই সময়টা দেশের আপামর জনসাধারণের মুক্তি সংগ্রামের জন্য ব্যয় করলে এদেশ বেহেশত না হইলেও এখন যে নরক আছে তার চেয়ে ভাল হইত।
বহুত চেইতা আছেন দেখা যায়। 😀
সমস্যা হইলো গিয়া মানুষ খালি নষ্ট করা সময়গুলাই দেখে সেইটা এনালাইসিস কইরা গাইল পারে, মাগার ভালো কিছু দেখে না, দেখলেও কিছু কয় না- মনে করে এইটা করা তো দ্বায়িত্ব।
সিসিবিতে বিরাট ভিলেন হইয়া গেছি 🙁
প্রথম কথা হইল চেইতা আছি। কিন্তু তোমার শেষ কথার সাথে কাদের মিলাইছ আমি জানি না তবে তাদের সাথে আমি নাই।
ওমর সাহেবের কবিতাটা যথেষ্টই ভালো এবং অন্য সময় হলে কিংবা এখনো পোস্ট টা বাহবার দাবি রাখে। কিন্তু শিরোনামের কারণে এবং নাযিল হওয়ার সময়কাল কিছুটা কনফিউসন আনে মনে। তোমাকে আমি চিনি না সো চেতার প্রশ্ন আসে না। তবে গত কয়েকদিনে আলম এবং তোমাদের বাকচিতে যদি বিরক্ত হই তাতে আমাকে দোষ দেয়া যায় না।
তুমি যখন কোরানের সাংখ্যিক মাহাত্ম্ নিয়ে পোস্ট দিছিলা তখন আমি সাধুবাদ জানাইছিলাম এবং এই ধরণের আলোচনা চলুক এই পক্ষে মত ও দিছিলাম। সেখানে আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছিলাম। এই মূহুর্তে আবার ঐ সব নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করতেসে না। আর সিসিবিতে সবাই একটু সুন্দর সময় কাটাতে আসে। এই ব্যাপার মাথায় রাখা উচিৎ আমাদের সবার।
শেষ কালে অপ্রাসঙ্গিক একটা কথা বলে যাই। গতকাল এক রিকশা ওয়ালাকে দেখলাম , দেখলাম না বলে তার রিকশায় চড়লাম বলা ভালো। সে লোকের একটি হাত কনুই থেকে নেই। তার জীবন কঠিন কঠোর। সে খোদারে ঝোরে ডাকলেও খোদা তারে খাবার দিবো না আবার সে নিজেরে নাস্তিক ঘোষনা করলেও তার সমসয়া সমাধান হয়ে যাবে না। সবার জীবন হয়তো এই লোকের মত কঠিন নয় কিন্তু সমসয়া জর্জরিত দেশে আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে ত্যানা প্যাচাপ্যাচি কতটুকু যুক্তিযুক্ত একটু ভেবে দেখ। বড় ভাই হিসাবে এটুকু পরামর্শ দিলাম।
আপনি আমারে না চিনলেও আমি আপনারে চিনি। হামিদের রুমে আপনার লগে কথা হইছে বেশ কয়েকবার। 😀
তাই নাকি? 😀 😀 😀 😀
তা হইলে আর হুজুররা হুরপরী আর শরাবের নহরের লোভ আর গাউনে পুইড়া মড়ার ভয় দেখাইয়া মুরগির রান চাবাইতে পারতোনা
সরি আগুন...টাইপিং মিস্টেক
হুম। 🙁