ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘৃণাস্তম্ভ বলে একটা স্তম্ভ আছে। ৭১ এর রাজাকারদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানোর উদ্দেশ্যে এখানকার শিক্ষার্থীরা এই স্তম্ভ নির্মাণ করেছে। ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থিত এই স্তম্ভের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আপনাকে শুধু একটু কষ্ট করে এই স্তম্ভটির কাছে গিয়ে থুথু নিক্ষেপ করতে হবে। ব্যস হয়ে গেল; যুদ্ধাপরাধীদের আপনি জানিয়ে দিলেন আপনার মনের অনুভূতিটি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে পারেন না কিংবা কোন ফোরামে প্রকাশ করতে পারেন না নিজের মতামত তাদের জন্য এটি একটি এই অনন্য সুযোগ ।
বিস্তারিত»যুদ্ধাপরাধীনামা: মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
শুরুর কথা
বেসরকারী টিভি চ্যানেল এনটিভির “আপনার জিজ্ঞাসা” অনুষ্ঠানের আলোচক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের ইসলাম সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দিয়ে ধার্মিক মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি। মাওলানাকে আমিও চিনেছি এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই। গত কয়েকদিন আগে বিভিন্ন মানুষের কাছে এই মাওলানা সম্পর্কিত স্তুতি বাক্য শুনে আমার ইচ্ছে হলো, তার সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নেবার। যেহেতু তার দাঁড়ি আছে এবং বয়স দেখলে বোঝা যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুবক ছিলেন তাই খোঁজখবর নেওয়া মানে হলো,
বিস্তারিত»যুদ্ধপরাধ : ১৬ ডিসেম্বরের আগেই তদন্তকারী নিয়োগ হবে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই বাস্তব কাজের অগ্রগতি সরকার দেখাতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, এদের বিচারের বিরুদ্ধে বাইরের কোনো শক্তির চাপ নেই। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংন্থা, মানবাধিকার সংগঠন ও দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের দিক থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কোনো চাপ নেই। তারা বরং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচার দেখতে চায়। এক্ষেত্রে সহায়তাও দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
বিস্তারিত»চলো আমরা নতুন লড়াই শুরু করি
ক্যাডেট কলেজ ব্লগ- সিসিবি’র সূচনাকালটা এখন প্রায় সবাই জানি। বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময়, স্মৃতিচারণ, যোগাযোগ-সম্পর্ক বাড়ানোর আগ্রহ থেকে এর জন্ম। ক্রমেই এটা বড় হয়েছে। কিছু দ্বৈত সদস্যপদ বাদ দিলেও দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১১’শর বেশি প্রাক্তন ক্যাডেট ও তাদের স্ত্রী-স্বামী সিসিবিতে যুক্ত হয়েছে।
সিসিবি’র জগতটা যতোটা বড় হচ্ছে, বিভিন্ন সময় ততোই একে আরো বড় ভূমিকায় নিয়ে যাওয়ার দাবি উঠেছে।
বিস্তারিত»হুইস্পারিং
আমি ফার্মগেট ওভারব্রিজের উপরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি, প্রখর রোদে। নাগরিক ব্যস্ততা দেখবো বলে, সারিবদ্ধ গাড়ির ধেয়ে চলা দেখবো বলে, ফুটপাতের হকারের সংগে ক্রেতার দরদাম শুনবো বলে।
আমি জিরো পয়েন্টের চক্করে চিত হয়ে শুয়ে থাকি, চোখ বন্ধ করে। আশেপাশে অজস্র গুঞ্জন গুলো ফেনা পাকিয়ে আমাকে অষ্টপৃষ্টে বেধে ফেলে। আমি ব্যস্ততাকে অনুভূব করি।
আমি কর্ণফূলীর মোহনায় বসে থাকি, নদীর আর সমুদ্রের সঙ্গম দেখি,
বিস্তারিত»‘যুদ্ধাপরাধ’ ইস্যুতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামিল হতে চাইলে
ইতোমধ্যেই সিসিবি-র কয়েকজন সদস্য যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। সিসিবি-র সদস্যদের যতটুকু চিনি, সত্যি বলতে কি, তাতে একটুও অবাক হইনি। আর সবার মতো আমি নিজেও একজন স্বেচ্ছাসেবক। আরও অনেকেই আছেন, যাঁরা তাঁদের সাধ্য এবং সময় মত নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বর্তমানে। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, আমাদের আরও অনেক বেশী জনবল দরকার, এই সুনির্দিষ্ট ইস্যুটির ধরণ এবং ব্যাপ্তির কারণেই।
বিস্তারিত»যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আমাদের গলাবাজি, আমাদের দায়িত্ববোধ
এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোনো সশস্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফোজদারীতে সোপর্দ কিংবা দন্ডদান করিবার বিধান সম্বলিত কোন আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের কোনো বিধানের সহিত সামঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী, আই কারণে বাতিল বা বেআইনী বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা কখনও বাতিল বা বেআইনী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না।
বিস্তারিত»পাকিস্তানের জন্য গোলাম আযমের আক্ষেপ ফুরাবে না!
গোলাম আযমের লেখা আত্মজীবনী মাত্রই শেষ করলাম। একটা মানুষকে বোঝার জন্যই কষ্ট করে তিন খন্ড জীবনী পড়া। পড়ে বুঝলাম এই লোকটার মতো অভাগা আসলেই কেউ নেই। বুকে পাকিস্তান নিয়ে বাস করতে বাংলাদেশে। তাই সারা বই জুড়েই পাকিস্তান নিয়ে আক্ষেপ। এটা পড়ে বুঝলাম তার আন্ডা-বাচ্চারাও কি পরিমান মনোকষ্টে থাকে।
আসুন দেখি কি লিখেছেন গোলাম আযম।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় অধ্যাপক গোলাম আযম নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় জনগণকে আওয়ামী লীগকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলতেন,
আগুন যখন অশ্রু
‘টিয়ারস অব ফায়ার’ (tears of fire) প্রামান্যচিত্রটার কথা আমি প্রথম জানি হারুন হাবীবের ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ’ বই থেকে।
গত বইমেলায় খুঁজে খুঁজে ৭১’র যুদ্ধাপরাধ নিয়ে অনেকগুলি বই কিনেছিলাম। সব পড়া হয়নি। কিছু আধপড়া ফেলে রেখেছি, কিছু একদমই ধরিনি। কাল হঠাৎ শেষরাতে বিছানায় শোবার পরও যখন ঘুম আসছিলো না তখন উঠে বাতি জ্বালালাম। সেলফ থেকে একটা বই বের করে ভাবলাম দেখি পড়তে পড়তে ঘুম আসে কিনা।
বিস্তারিত»