এই পোস্ট টি লিখতে গিয়ে কিছুটা দুঃসাহস আর অনেকটা অনধিকার চর্চা হলেও নিজের ভাবনা প্রকাশ করার তাগিদে লিখতে বসলাম। আমার প্রথম কথাটা শুনে যদি কেউ চমকে উঠেন তার জন্য আমার কথার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে আমি বাধ্য। অতএব প্রথমে বিচ্ছিন্ন কিছু গল্প শোনা যাক।
১.
ঘটনার অকুস্থল বুয়েট মাঠ , আর যাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন ওপেনার। আমরা বুয়েট মাঠে হকি খেলায় ব্যস্ত আর একপ্রান্তে তিনি নিবিড় অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্কয়ার কাটের। এতে সমস্যা ছিল না সমস্যা হলো তাকে দেখে আমাদের পোলাপানের মাঝে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায়। তার দিকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা আর সেটা নিয়ে বাদানুবাদ বেশ কঠিন দিকেই চলে যেত শুধু আমরা ভার্সিটির ছাত্র বলেই নাকি তিনি রাগ করেননি শুধু একটু অভিমান করেছেন। ঘটনা শান্ত হয়ে গেছে এমন ভাবনায় আবিষ্ট হয়ে একজন খুব নির্দোষ মুখে তাকে ক্রিকেটীয় এক প্রশ্ন করে ফেলল যেটা অবশ্যম্ভাবী। ” ভাই আপনি এতো স্লো খেলেন ক্যান?” কথাটা শেষ হবার আগেই সেই ক্রিকেটীয় প্রশ্নের অক্রিকেটীয় উত্তর জুটল। ” কে স্লো খেলে কে ফাস্ট খেলে তা দেখার দায়িত্ব আপনাদের না।”
২.
এই ঘটনা আমি শুনেছি বুয়েটের হলের জুনিয়র শরীফ (জেসিসি ৯৭-০৩) এর কাছে। সে চাকুরির খাতিরে একবার খুলনায় যায়। সেখানে দেখা মিলে পাকিস্তান আমলে টেস্ট খেলা একজন সাবেক ক্রিকেটারের সাথে। শরীফ খেলাধূলা খুব ভালোবাসে। তাই সে তার সাথে ক্রিকেটীয় আলোচনায় মেতে উঠে। এখানে ঘটনা শেষ হয়ে গেলে কারো কোনো আপত্তি থাকতো না। কিন্তু সেই স্বনামখ্যাত ক্রিকেটারের সাথে শরীফের মতের মিল না হওয়াতেই যত গোল পেকে গেলো। কোন এক খেলোয়াড় যাকে শরীফের কাছে ভালো বলে মনে হয়নি তাকে তিনি ওয়ার্ল্ড ক্লাশ অলরাউন্ডার বলে বসলেন। শরীফ একটু পিন করেই বলল, ঠিক আছি আমরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করব সে কেমন ওয়ার্ল্ড ক্লাশ প্লেয়ার। ব্যাস। আর যায় কোথায়। পরের কিছুক্ষণ ভদ্রলোক নিজের মাতৃভাষটা ভুলে গেলেন। চিৎকার করতে লাগলেন, হু দ্যা হেল আর ইউ টু অবজার্ভ? উই নো হোয়াট ইজ ক্রিকেট উই নো হোয়াট টু ডু? ইউ আর নান হেয়ার টু সে এনি থিংক………….
উপরের ঘটনাগুলো মোটেই কাল্পনিক নয়। আর তার সাথে যোগ করুন সাধারণ মানুষকে জবাব দেয়ার কথা বলে চিৎকার করা আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়া আর মাঝে মাঝেই প্রকাশিত হওয়া সাক্ষাতকারে আমাদের সম্পর্কে ক্রিকেটারদের মনোভাব। আসলেই আমরা কেউ নই? পনেরো বছর কিংবা তরো বেশি সময় ধরে বয়ে চলা আবেগ কি তাহলে কিছুই না। কৈশোর শৈশবের আড্ডার বড় অংশে জুড়ে থাকা এই স্বপ্ন গুলো কি কিছুই নয়? হবে হয়তো বা। তারা দেশপ্রেমিক জাতীয় বীর। আমরা কারা? ভাবনাটা খুব বেশি করে পোড়ালো। তাহলে এবার কিছু অপ্রিয় সত্য কথা বলি। আমাদের আবেগের জোর ঐ উদ্ধত আশরাফুলের ব্যাটের চেয়ে কিংবা বোদ্ধা রকিবুলের নির্বোধ ভাবনার চেয়ে কিংবা ফাপড়বাজ ক্রীড়া সাংবাদিকদের চাইতে অনেক বেশি। আমাদের টেস্ট স্ট্যাটাস এসেছে কি শুধু আকরাম বুলবুলদের ব্যাটেই নাকি তার সাথে ১৫ কোটি মানুষের আবেগ ক্রিকেট নিয়ে উম্মাদনার কোন ভূমিকা ছিল না। শুনুন আশরাফুল এন্ড কোং , আপনারা সরকারী খরচে বছরের পর বছর বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন সেটা আমাদের আবেগেই। অথচ আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের মাথা হেট করলে আপনাদের কিছু আমরা বলতে পারবো না তাহলে ক্ষেপে যাবেন আবার বাই চান্স ভালো করে ফেললে আমাদের দিকে দাঁত খিঁচিয়ে হুঙ্কার দিবেন তাও তো আমরা সহ্য করি কিন্তু আপনারা দেখি অস্পৃশ্য। আর আপনাদের কে তারকা কে বানিয়েছে ? কাদের জন্য আপনাদের এত বেতন ? এই প্রশ্ন গুলো ভেবেছেন কী?
একটু বেশি রেগে গিয়েই কথাটা বললাম। জানি কখনো তারা আমার কথা শুনতে পাবেন না। আমার পরের কথাগুলোও নিশ্চয় শুনতে পাবেন না। তারপরেও আমার নিজস্ব কিছু ভাবনা প্রকাশ করা দরকার বলে মনে করছি।
আমাদের দেশের ক্রিকেট টা একটা অদ্ভুত অবস্থা নিয়েছে। কখনো তা সম্ভাবনা কখনো তা সমস্যা। এর মূল শিকড় কোথায় গ্রথিত আছে তা প্রথম আলোর উটু সাহেব (উৎপল শুভ্র) খুব ভালো করে বলে ফেলেছেন। যদিও তার কথায় লোকে আমল দেবে না বলে আইসিসি সভাপতির মুখ দিয়েই কথাটি বের করিয়েছেন (সত্যতা নিয়ে সন্দিহান)। সেটা হলো আমাদের টিম সিলেকশনে রাজনীতি হয়। এই কথাটা আমরা হয়তো বুঝবো না সেভাবে কিংবা রাজনীতি কতটা হয় সেটা হঠাৎ বুঝা যাবে না শুধু এটুকু তথ্যই যথেষ্ট যে সরকার পরিবর্তন হলে ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা বদল হন। ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় কিভাবে আমার পরিষ্কার জানা না থাকলেও সেটা যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয় সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। বোর্ড বদলে বদলে যায় নির্বাচক। আর এর ফল তো দল নির্বাচনে পড়তে বাধ্য।
তারপরে আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের তরুণ সম্ভাবনাময় দল থাকা- ব্যাপারটা অস্বস্তির এবং বিরক্তিরও। ঠোঁটের উপরে গোফের রেখা গজায় নি এমন দু তিন জনের প্রতিবছর টেস্ট ডেব্যু হয়। বিষয়টা একটা জিনিস পরিষ্কার করে সেটা হলো মূল দলে স্ট্যাবলিটির অভাব। সারা বিশ্ব জুড়ে পদ্ধতি হলো বয়স ভিত্তিক দলগুলো থেকে এ দলে খেলবে । সেখানে নিয়মিত পারফর্ম করার পর জাতীয় দলে সুযোগ পাবে। কিন্টু আমাদের এ দল বলে কাগজে কলমে কিছুই থাকলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ফলে অনেক কাঁচা বয়সে আমাদের ছেলেগুলো আন্তর্জাতিক লেভেলে ঢুকে পড়ছে অনেকটা পোনা মাছকে পুকুর থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার মতো। এই সেদিন আশরাফুল বললো, “আমার বয়স পঁচিশ। অন্যান্য দেশে এই বয়সে একজন প্লেয়ারের ডেব্যু হয়। সে হিসাবে আমার ক্যারিয়ার সবে শুরু। এতদিন বোনাস খেলেছি”। দলের একজন অন্যতম মূল খেলোয়াড় যদি নয় বছর খেলে বলে বোনাস খেলেছি তাহলে হাসবো না কাঁদবো বুঝে পাই না। এখন কথা হচ্ছে এদেরকে বোনাস খেলতে দেয়া হলো কেন? উত্তর খুব সোজা । আমাদের অতি উচ্চাশা মিডিয়ার অকারণ ফালাফালি আর দলের উপর মিডিয়ার প্রভাব।
আমাদের মূল সমস্যা একটা জেনারেশন গ্যাপ। সেটার কারণ হচ্ছে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর দুর্জয়কে অধিনায়কত্ব দেয়ার (খুব সম্ভবত রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে) মাধ্যমে বুলবুল আতাহার নান্নু আকরামদের যাবার পট তৈরি হয়ে যায়। আতাহার আগেই গেছিলেন। নান্নু টেস্ট খেলার সুযোগই পেলেন না আর বুলবুল আকরাম তাদের জনপ্রিয়তার জোরে কিছুদিন টিকলেও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারলেন না। এখানে যে গোড়ায় গলদ হলো তার ঘানি আমাদের দলকে টানতে হচ্ছে দুষ্ট চক্রে পড়ে। বুলবুল আকরামরা অপি রোকনদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলেন। কিন্তু অপি রোকনরা পারলেন সে চাপ সামলাতে অনভিজ্ঞতার কারণেই। ফল দুর্জয় রোকন অপিরা প্রতিস্থাপিত হলেন এবার আরো আন্দা বাচ্চাদের দিয়ে। এই চক্র ক্রমাগত চলে আমাদের টিম এর স্ট্যাবিলিটিকে প্রায় শূন্যে নিয়ে এল।
আউট সাইড ক্রিকেট আরো কিছু ব্যাপার যোগ হলো তার সাথে। সেটা হলো মিডিয়ার মাতামাতি। আমাদের দেশের তরুণ খেলোয়াড় রা যথেষ্ট ভালো তাতে সন্দেহ নাই কিন্তু সেটা ঐ বয়স লেভেলেই। আমরা ভুলে যাই বাছুরদের মাঝে চ্যাম্পিয়ন বাছউরকে হুট করে গরুর সাথে যুদ্ধে নামিয়ে দিলে বেশিরভাগ সময় হারবে। আর আমরা এটাও বুঝতে চাই না সেই রকম যুদ্ধে মাঝে মাঝে বাছুর ঝলক দেখিয়ে জিতে যেতেও পারে। তার মানে এই নয় আমরা সব গরু জবাই করে শুধু বাছুর দিয়ে ষাঁড়ের সাথে লড়াই করাবো। এটা আমরা যদিও কোনবার ভাবার চেষ্টা করি সেটাকে একেবারে রুদ্ধ করে দেয়ার দায়িত্ব মিডিয়ার। তারা বাছুরের মহিমা বর্ণনা করে আমাদের সাধারণের চর্ম চক্ষুকে অন্ধ করে দেয়। মিডিয়ার মাতামাতির অবশ্যম্ভাবী ফল হলো ক্রিকেটারদের মাঝে আত্মম্ভরিতা জাগিয়ে তোলা নিজেকে বিশেষ কিছু মনে করে শেখার আগ্রহকে একেবারে গলা টিপে হত্যা করা।
এত সমস্যার কথা বলছি। সমাধান জানতে চান? সমাধান হলো আমাদের ক্রিকেটে ফুটবলের সালাউদ্দিন ভাইয়ের মত সৎ দক্ষ বিতর্কের উর্ধ্বে থাকা একজন সংগঠক দরকার। আর মূল খেলোয়াড়দের উন্নতির পাশাপাশি একটি সুন্দর কাঠামোবদ্ধ প্যাটর্নে শক্তিসাহালী রিজার্ভ টিম গঠন। আর হ্যা সবকিছুর শেষে সাংবাদিকদের গতিবিধির উপর নিয়ন্ত্রণ করা। নতুবা উটুর মত সাম্বাদিকদের সাহিত্য রচনার আতিশয্যে আমাদের ক্রিকেটাদের আর রেকর্ডের পাতায় দেখা যাবে না বরং কোন এক সাংবাদিকের দিনলিপির পাতাতেই তারা অটকে যাবেন
( গতকাল বাংলাদেশ জিতায় মন বেশ ভালো। গতকালকের খেলায় কিছুটা ম্যাচুউরিটি দেখাইলেও আশরাফুল আর সাকিবের চরম আনপ্রফেশনাল দুটো শট কিছুতেই ভুলতে পারছি না। তারপরেও শুভকামনা। গুড লাক বাংলাদেশ)।
১ম 😀
২য়, দারুণ লিখেছেন আমিন ভাই।
২য় 😕
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
আমিন, সমালোচনা হয়তো করা যায়। কিন্তু তুমি সিনিয়র যাদের নাম করেছ তারা কি তেমন ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছিল? তোমার সঙ্গে একটা বিষয়ে একমত একটা ভালো দল করে তাদের পেছনে সময় দিয়ে তৈরি করা। আমাদের ক্রিকেটের বয়স কতো? কতো মেধাবী এখানে আছে? আশরাফুল দিনের পর দিন খারাপ ফর্মে থাকলে আমরা কি আচরণ করি? ভালো খেললে ভালো বলা যাবে না? বিশ্বে কোথায় কোন মিডিয়ায় বীরের বন্দনা আর ব্যর্থর সমালোচনা হয় না? দেশে একটা স্থায়ী ক্রিকেট কাঠামো তৈরি করা দরকার। আমরা সবাই সেটা জানি-বুঝি। কিন্তু বাংলাদেশে কোথায়, কোনটা স্থায়ী?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
বস আলোচনার অনেক কিছু আছে। তবে আপনি একটু ভুল বুঝছেন। বীরের বন্দনায় সমস্যা নাই বেশি মাতামাতি তে আমার আপত্তি। আর বীর বন্দনা সব দেশে হয় কোন দেশে ড্রেসিংরুমের কথোপকথন পত্রিকায় ছাপায় কিংবা অধিনায়কের স্ট্রীর বিছ্ছেদ নিয়া কাব্য রচনা হয়।
আরেকটা কথা বলে যাই, জিম্বাবুয়ের দিকে তাকান। স্ট্র্যাং ভাই হুইটাল ভাইরা শুধুই অভিজ্ঞতার জন্য খেলেছে তাদের বলার মত পারফরম্যান্স ছাড়া। এখন একটু তাড়ায় আছি। পরে ডিটেইলস বলবো।
উদ্ভট শুভ্ররে আমিও ভালা পাই না।
এই লাইনগুলার সাথে প্রচণ্ডভাবে একমত।
সহমত...। 🙂
কিছু সহমত,কিছু দ্বিমত।আমার মনে হয় প্লেয়ার কেউ ইচ্ছে করে তো
আর খারাপ খেলে না।আসলে আমাদের জাতীয় দলে আসাটা খুব সহজ হয়ে গিয়েছে...ঘরোয়া ক্রিকেটে একটু চমক দেখাইলেই দলে চলে আসা যায়....তাই এই প্লেয়ারগুলো বুঝতে পারেনা যে একটি দেশের জাতীয় দল দেশের কি ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করছে......
অফটপিক : সাবেক ওপেনারটির ঘটনার দিন আমিও সেখানে ছিলাম.....ওরে মাঠে দেখলেই গা জ্বলে.. 😡 😡
দ্বিমতগুলো জানতে পারলে ভালো লাগতো।
লেখক নিজেই যেখানে তার লেখনীকে পাগলের বিক্ষিপ্ত ভাবনা বলেছেন সেখানে আর মন্তব্য করবার মনে হয় দরকার নেই। তবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে পুরো চিত্র বিবেচনা না করাই ভালো!
মশায় বোধ করি পাগল আর ক্রিকেট পাগলের পার্থক্য বোঝেন না।
শুধু পাগলের বিক্ষিপ্ত ভাবনা বলেন নাই, ক্রিকেট পাগল বলেছেন। আমাদের দেশে খেলাধুলায় পাগল বলতে আমরা, যারা খুব বেশী খেলার খবর রাখেন কিংবা দেখেন তাই বুঝি।
আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উদাহরণ হিসেবে এসেছে, পুরো চিত্র তো বাংলাদেশের খেলার ফলাফল নিয়েই বিবেচনা করা হয়েছে।
পজিটিভ সমালোচনা না করে হুদাই এই রকম ফুটানীমারা মন্তব্য দেখলে গা জ্বলে... 😡
থ্যঙ্কু বস। কথাগুলো কয়া দিলেন। আমি কেমনে কমু বুঝতে ছিলাম না।
নেহায়েত দল পাকানোর মতো দেখা যায়, নাহলে...... :grr:
মন্তব্য না করলেই পারতেন ।
শেষ পর্যন্ত লেখাটা দিলি... তোর প্রায় সব বিষয়ের সাথেই একমত, ব্যস্ত আছি, সময় করে বিস্তারিত বলবো।
সরকারি খরচে এখন শুধু প্লেয়াররা না, বোর্ড মেম্বার আর সংসদ সদস্যরাও পালা করে বিদেশ ভ্রমন করছে ...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
খুব তাড়াহুড়া করে পোস্ট লিখছি।
সময় করে মতামত জানাস। আলোচনার অনেক কিছুই আছে।
সহজলভ্য জিনিসের দাম সবসময়ই কম হয়। খুব কম বয়সেই দলে সুযোগ পাওয়ায় দেশের জন্য খেলা, এই বিষয়টার মূল্যই যেন কমে গিয়েছে।
হুমমমমমমম............
আকরাম, বুলবুল আর আশরাফুলের ক্যারিয়ার স্ট্যাট ... কি কারণে আকরাম বা বুলবুল টিমে থাকার যোগ্য, কিন্তু আশরাফুল না সেটা জানতে আগ্রহী ...
(Mat -Inns -NO -Runs -HS -Ave -BF - SR)
আকরাম খানঃ
Tests 8 16 0 259 44 16.18 686 37.75
ODIs 44 44 2 976 65 23.23 1721 56.71
আমিনুল ইসলামঃ
Tests 13 26 1 530 145 21.20 1520 34.86
ODIs 39 39 5 794 70 23.35 1403 56.59
মোহাম্মদ আশরাফুলঃ
Tests 50 97 4 2149 158* 23.10 4685 45.86
ODIs 141 134 12 2882 109 23.62 4014 71.79
খুব সম্ভবত আমি যোগ্য অযোগ্য এমন কিছু বলিনি। আমি যেটা বলেছি সেটা হলো আকরাম বুলবুলদের আরো কিছুদিন খেলানোর পর তাদের বাতিলের খাতায় ফেলানো উচিত ছিল। পোস্টে আমি ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। আশরাফুল যোগ্য এতে কোন সন্দেহ নাই। তবে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। সে যদি আরেকটু পরিণত হয়ে বেশি বয়সে ঢুকত পিছনে এ দলের হয়ে দেশ বিদেশের অনেক সফরের অভিজ্ঞতা পিছনে নিয়ে তাহলে তার এভারেজ আরো ভালো হতো। আর বুলবুল আকরামদের সাথে আশরাফুলের এভারেজ কাছাকাছি সেটাই বলে দেয় আমাদের ক্রিকেট যতটুকু আগানোর কথা ছিলো ততটুকু আগায়নি। স্ট্যাট দিয়ে কম্পেয়ার করাটা কতটুকু ঠিক আমি জানি না। তবে এটুকু বলি শ্রীলঙ্কা কিংবা জিম্বাবের দিকে তাকালে আমরা বুঝতে পারবো সেখানে ছিলো রানাতুঙ্গা ডি সিলভা যাদের ছায়ার বেড়ে উঠে জয়াসুরিয়ার মত তারকা বেরিয়ে এসেছেন। কিংবা হাসান তিলকারাত্নে গুরুসিংহার মত মিডিওকার খেলোয়াড়রা খেলেছেন যাদেরকে ফেলে ইয়ংস্টারদের হুট করে ঢুকানো হয়নি বরং একটি স্থায়ী তরুণ অভিজ্ঞ সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে। কিংবা এন্ডি ফ্লাওয়ার হটনরা ছিলেন মহীরূহ তার সাথে ক্যাম্পবেল হুইটাল গ্রান্ট ফ্লাওয়ারদের মত মিডিওকার। তাদের হাত ধরে বেরিয়ে এসেছে জনসন টাইবুরা।
আমাদের আশরাফুলের ডেব্যুর দুইদিন পর তিনি হয়ে গেলেন দলের মূল ব্যাটসম্যান আর তার সাথে জুড়ে দেয়া হলো মিথ আশরাফুল না খেললে বাংলাদেশ জিতে না। অল্প বয়সে বেশি চাপ নিয়ে আশরাফুলের গ্রোথ হয়ে গেলো অস্বাভাবিক।
আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি আমার বক্তব্য।
শ্রীলঙ্কা কিংবা জিম্বাবের দিকে তাকালে আমরা বুঝতে পারবো সেখানে ছিলো রানাতুঙ্গা ডি সিলভা যাদের ছায়ার বেড়ে উঠে জয়াসুরিয়ার মত তারকা বেরিয়ে এসেছেন
আপনার কথাগুলি খুব পছন্দ হয়েছে কিংকং। :thumbup:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
এই কারণেই নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে সিলেকশানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রেশার ইজ জাস্ট সামথিং দ্যাট কামস উইথ দ্য জব।
মানুষ মাতামাতি করবে, খেলাটাকে আকর্ষণীয় করার দরকার সেটা। মানুষ মাতামাতি না করলে খেলার মজা কই থাকলো? এই কারণে ইংরেজিতে সাপোর্টারদের বলে ফ্যান, যার উৎপত্তি ফ্যানাটিক শব্দ থেকে। ফ্যানদের কাজ ফ্যানামি করা, সিলেকটরদের কাজ সিলেকশান। যে যার কাজ ঠিকঠাক মতো করুক, তাইলেই হয়।
তুই তো মনে হয় ইপিএল-র ব্লগ ফলো করস...ওইখানে কি হয় জানি না। তবে এন বি এ-তে যে ব্লগ লিখা হয়, লোকাল নিউজ পেপারের স্পোর্টস কলামিস্ট- এইসব কিছু পইড়া দেখছি, মাতামাতিতে বাংগালি এখনো ওদের পিছে ফেলতে পারে নাই। পাবলিক মাতামাতি করবেই, এতে দোষের কিছু নাই, যতক্ষণ পর্যন্ত না সীমা লংঘন কেউ না করে।
বাংলায় ইংলিশ লেখার ভাবই আলাদা... B-)
ভালো কথা, মাশরাফিরে লইয়া যেটা বলছস সেইটা ঠিক আছে। সাকিবরে লইয়া এখন হুদাই টানাটানি চলতেছে। পোলাটারে মাশরাফির ছায়ায় বাড়তে দেয়া উচিত। আপৎকালীন সময়ের জন্য সাকিব ঠিক আছে। দুই বা তিন বছরের জন্য ঠিক এখন অন্তত নাই।
দেন আই ক্যান সে দ্য সেইম থিং উইথ মিডিয়া এন্ড উৎপল শুভ্র, ইজন্ট ইট? তারা সেভাবেই লিখবে যেভাবে পাবলিক খায় ...
আমাদের মনে হয় আমরা সাপোর্টাররা আমাদের টিমের কাছে একটু অতিরিক্ত প্রত্যাশা করি; দলের মানটাই যে খারাপ এইটা ভুলে যাই ... শুধু টাকা দিলেই তো কারো পক্ষে তার নিজের মানের চেয়ে ভালো করা সম্ভব না, তাই না?
একমত হতে পারলাম না...আমাদের দলের মান মোটেও খারাপ না..কিংবা বলা যায় খারাপ হওয়ার কথা না...আমাদের জুনিয়র লেভেরের ক্রিকেটাররা কিন্তু বড় বড় দলগুলোর সমানে সমানেই লড়ে.....কিন্তু সিনিয়র লেভেলে পারেনা কেন??কারন,জুনিয়র লেভেলে ভাল কিছু করতে পারলে আর সেই সময়ে যদি জাতীয় দলে কোন প্লেয়ারের খারাপ পারফরমেন্স থাকে তাহলে বলির পাঠার মত সেই প্লেয়ারটিকে নিয়ে আসা হয়।এখন জাতীয় দলে যদি সেই প্লেয়ার ভালো করে তইলে তো ডাবল বিপদ...দলের মূল প্লেয়ার হয়ে যাবে সে এই বয়সেই...আর খারাপ করলে তো কথাই নেই...মিডিয়ায় থেকে শুরু করে সবখানে এমন সব কথা বলা হবে..ওই প্লেয়ারের কনফিডেন্সের বিন্দুমাত্রও থাকবে না...
একটা প্লেয়ার যে জাতীয় দলের মত একটা টিমে আসার জন্য যে নিরলস চেষ্টা করবে...নিজের টেকনিকগুলোকে..মানসিকতাকে আরও পোক্ত করে নিবে সেই সময়তো দেওয়া হয়ই না...সুযোগও নাই...কাদের বিপক্ষে খেলে সে নিজেকে গড়ে তুলবে??তাই,মান ভালো থাকলেও সেইটারেই এইখানে জোর কইরা খারাপ করে দেওয়া হয়...
আমি একমত যে বয়সভিত্তিক দল হিসেবে আমাদের খেলোয়াড়দের মান খারাপ না, অনেক দলের চেয়ে ভালো ... কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের মান সেই জায়গাতেই আটকে থাকে, অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে তা না ... অস্ট্রেলিয়া আন্ডার নাইনটিনের হয়ে যে ছেলেটা খেলে সে টেস্ট খেলতে নামে প্রায় ত্রিশে; মাঝের দশ বছর সে ডোমেস্টিক ক্রিকেট খেলে নিজের মানটা বাড়ায় ... আমাদের প্লেয়ারদের সেই সুযোগটা পায় না ... কাজেই বাংলাদেশে মেইন টিমের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেইন টিমের কোয়ালিটি অনেক অনেক আগায়ে থাকে ...
সো বেসিকালি আমি আর আপনি এক জায়গাতেই আছি দেখা যাচ্ছে ...
কিংকং ,আপনার মন্তব্যগুলো ভালো লাগলো। কিন্তু খুব সম্ভবত আমি আমার বক্তব্য বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি । ডি সিলভা রানাতুঙ্গার মানে আকরাম বুলবুলরা সে কথা আমি বলেছি? আমি বলেছি একটা ওয়ের কথা। যেটা হচ্ছে তৎকালীন একটা স্ট্যাবল টিম রেখে ইয়ংস্টারদের আস্তে আস্তে ঢুকতে দেয়া। ছোট উদাহরণ দেই। মুশফিকুর রহিমকে ধরুন। সে যথেষ্ট ভালো ব্যাটসম্যান। কিন্তু তাকে দলে ঢোকানোর ওয়ে থাকতে পারতো। সহজ উপায় ছিল পাইলট দলে স্ট্যাবল থাকতে ছোট দলের বিরুদ্ধে হোম সিরিজগুলোতে পাইলটকে একটা দুটো ম্যাচ বসিয়ে রহিমকে একটু এককরুনটু করে ম্যাচিউর করে তোলা যেত। এই প্রক্রিয়া আগেই শুরু করতে হতো। এর পর পাইলটকে প্রথমে ওয়ানডে থেকে সরিয়ে রহিমকে তারপর রহিম আরো ম্যাচিউর হলে তাকে টেস্টে সুযোগ দেয়া যেত। তা না করে যা করা হলো, লর্ডসে হুট করে জেনুইন ব্যাটসম্যান হিসাবে তাকে নামিয়ে দেয়া হলো। আমি এধরণের ব্যাপার এভোয়েডের কথা বলেছি। আর বুলবুল আকরামদের এভারেজ আশরাফুলের সমানই। সো তারা তিন চার বছর বেশি খেললে এমন কোন ক্ষতি হতো না। যাকেই খেলাবনো হোক স্ট্যাবল টিম রেখে দলকে গঠন করা যেত। এমনকি আকরাম বুলবুল চলে যাওয়ার পরের জেনারেশন মানে রোকন অপি বিদ্যুত দুর্জয় এরা ব্যর্থ হলেও হুট করে ছুড়ে ফেলাটা ঠিক হয়নি। কারণ এদের ছোড়া দলে কারা এসেছেন একটু হিসাব করুন। মনিরুজ্জামান মাঝারুল মৃদুল ফয়সল হোসেন ডিকেন্স এহসানুল হক সেজান সানোয়ার হোসেন তুষার ইমরান- এদের কারও ক্যারিয়ারও স্থায়ী হয়নি। আমি শুধু এ স্ট্যাবিলিটির কথা বলছি।
আর আমাদের মান খারাপ কিংবা এবিলিটি সংকট এইটা কতটুকু ঠিক সন্দেহ আছে। বয়স লেভেলের খেলা আমি একটু খোঁজ খবর রাখি বলেই বললাম, রিচার্ড ম্যাকিন্স নামে একজন কোচ ছিলেন যিনি বয়স ভিত্তিক দলগুলো নিয়ে কাজ করতেন। তাই বয়স ভিত্তিক দল হিসাবে আশরাফুল নাফিসদের দল, কিংবা নাজিম- আফতাবদের দল অনেক শক্তিশালী ছিলো। মুশফিকদের দল তো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতই ছিল। বাংলাদেশে যখন অনুর্ধব ১৯ বিশ্বকাপ হয় সেটার অনেকগুলা খেলা মাঠে দেখেছিলাম। একই বিশ্বকাপ খেলা কিছু প্লেয়ারের তুলনা দেখেন। আমাদের আফতাব নাফিস নাজমুল শাহাদাত এনামুলরা অনেকদিন হয় খেলছেন। আর ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া মনসুর আমজাদ এখনও পাকিস্তান দলে নিয়মিত নন। উপল থারাঙ্গা মাহরুফরা দলের আশা ভরসার প্রতীক হয়ে যাননি। আর পি সিং সবে ফুল হয়ে ফুটতে শুরু করেছেন। কুক খেলেন বেশিদিন হয়নি।তো আমাদের সেই খোলোয়াড় গুলো তখন এদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালো করলেও আস্তে আস্তে হারতে থাকবে পর্যাআপ্ত গ্রোথের অভাবে।
আর এখনকার বয়সভিত্তিক দলগুলো একটু দুর্বল ম্যাকিন্স যাওয়ার পর থেকেই। তার মানে হচ্ছে এবিলিটির ধুয়া টা ঠিক না। যথাযথ পরিচর্যার অভাব আর সেই সাথে প্লেয়াদের নিজেকে এ্যাপলিকেশন করায় গলদ।
উটুর ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগছে না। শুধু এটুকু বলি জাতীয় দলের ইন্টারনাল ব্যাপার মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হওয়াটা ক্ষতিকর।
সবকিছুর বোটম লাইন হচ্ছে এক জায়গায় আমি আপনি একই সমতলে দাঁড়িয়ে। দুজনেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালো চাই। আমার আপনার মাঝে যে চিন্তা আবেগ সে্বটা খেলোয়াড়দের মাঝে কাজ করলেইহবে।
আপনার সুন্দর সুন্দর অনেক গুলো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মোটামুটি এগ্রীড ... আমি আপনি দুইজনেই চাচ্ছি প্লেয়ারগুলো ম্যাচিওর হয়ে তারপর টীমে ঢুকুক ... আপনি বলছেন সময় দিলে সম্ভব, আর আমি বলছি সময় দিলেও সম্ভব না যদি ডোমেস্টীক ক্রিকেটের মান ভালো না হয় ...
রিপ্লাইয়ের জন্য ধন্যবাদ ... আপাতত টাটা ...
আমি কিন্তূ তোদের কথায় বিরাট আমোদ পাইতেছি। দুইটাই ক্লাসমেট। তপু অবশ্য তোরে না বুইঝা কিছুদিন আপনি আপনি করছে... 😀
এইটারে ভদ্রতা কয়, শিখ ... শিখার কোন বয়স নাই :grr:
শিখায়া দে... :grr:
ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির কোন বিকল্প নাই । পোস্টের শেষ প্যারাটা এই ভেবেই লেখা ।
আমার এই পোস্টটা দেখছিলা?
যদিও তোমার আমার উপসংহার একই, তবু উপসংহারে পৌঁছাইছি ভিন্নভাবে। আমি খেলাটাকে দেখি পুরাটাই বিজনেস হিসাবে। খেলোয়াড়রা খেলে মানুষকে আনন্দ দেয়, মানুষ টাকা দিয়ে সেই আনন্দ কিনে খেলোয়াড়দের পকেট ভরায়, নিজেরাও তৃপ্ত হয়। আবেগ আছে, থাকবে, এবং আবেগের দরকার আছে। একটা টিমকে সাপোর্ট করে তাদের জয়ে আপ্লুত না হতে পারলে, তারা খারাপ খেললে রাগে কষে গাল দিতে না পারলে খেলাধূলার মজাটা কই থাকে। খেলার মজার জন্যই তাই আবেগ। তবে ক্রিকেটের যে সমস্যা বৃহদর্থে সেইটা পুরা বাংলাদেশের সমস্যা। সবাই কুইক সলুশ্যন খুঁজে যার কুইক রেজাল্ট পাওয়া যাবে। দূরদর্শী চিন্তাভাবনা দরকার।
লেখা ভালো লাগলো। 🙂
তৌফিক , ক্রিকেটীয় আলোচনা থাক দেশে কবে আসবা? আসলে কন্টাক কইরো।
তখন টাইম নিয়া আরাম কইরা দেশের ক্রিকেট রাজনীতি অর্থনীতি সাথে পোলাপানের বিবাহ নীতি সব নিয়া কথা হইবো নে। 🙂 🙂 🙂
হুমম, পোলাপাইন যেমনে কইরা বিবাহ করা শুরু করছে। একসাথে তিনটা মনে হয়। আশিক আর জোবায়েদেরটা পাব কিনা জানি না, তার আগেই ফিরে যেতে হতে পারে। অগাস্টের শেষে ইনশাল্লাহ আসতেছি। আসলে কথা হবে। 🙂
উৎপল শুভ্ররে ভালো পাই না, কারণ তার রিপোর্টিং-এ কাব্য, কাব্যিকতা ছাড়া আর কি থাকে? স্পোর্টস রিপোর্টিং-এ যেরকম চুলচেরা বিশ্লেষণ থাকা উচিত তার লেখায় সেইটা পাই না। অবশ্য সেইরকম রিপোর্টিং-এর মার্কেট আছে কিনা সেইটাও চিন্তার বিষয়। দুই-একজন বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্টিং চাইলেও আমজনতা কি চায় সেটাও দেখতে হবে।
এইটাই কথা ... এনবিএর কথা জানি না, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ফুটবল রিপোর্টে আমি কিন্তু চুলচেরা বিশ্লেষণের চেয়ে ভাষার চমকই বেশি দেখি [অথবা হইতে পারে আমি খুঁজে খুঁজে এই রিপোর্টগুলিই দেখি] ... আজকাল খেলা দেখা সহজ হয়ে গেছে, সো নিখুঁত বিশ্লেষণ সম্ভবত না করলেও চলে ...
তবে শুভ্রর কিছু কিছু রিপোর্ট আসলেই ফালতু, তবে তারে পাবলিক যেমনে ঝাড়তেসে আজকাল ততটা খারাপ আমার মনে হয় না ...
একসময় পাগলের মত ক্রিকেট দেখতাম, যে দলের খেলাই হোক না কেন! এখন ক্রিকেট থেকে আমার আবেগ অনেকটাই সরে এসেছে। শুধু বাংলাদেশের খেলাই নিয়মিত দেখি।
আমাদের ডোমেস্টিক লেভেলের যে ইম্প্রুভমেন্ট আরও করা যায় সেটা মনে হয় সবাই বুঝতে পারি। তাছাড়া পীচের দিকেও যদি আমরা একটু নজর দিতে পারতাম, তাহলে ভালো হত। আমাদের ব্যাটসম্যানরা প্রায়ই ফ্রন্টফুটে খেলেন। ব্যাকফুটে খেলা বা হুক-পুল করা- এই ব্যাপারগুলোতেও আমাদের দক্ষতা বাড়ান যাবে। আর এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে শুধু স্পিন নির্ভর পীচ তৈরী না করে একটু বাউন্সী পীচ তৈরী করা। তাছাড়া, আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে কেন জানি ফিটনেসের একটু অভাব দেখি। এটা আমাদের শারীরিক কাঠামোজনিত সমস্যা বা ভৌগোলিক অবস্থানের সমস্যা কিনা ঠিক বলতে পারছি না। যেখানে বল গেলে অন্যান্য দেশের ব্যাটসম্যানরা অনায়াসে দুই রান নিয়ে ফেলতে পারেন সেখানে আমাদের ব্যাটসম্যানদের দুই রান নিতে বেশ হিমসিম খেতে হয়।
দল নির্বাচনে রাজনীতি মনে হয় সব দেশেই কম-বেশি আছে। তার মধ্য থেকেও কিন্তু ভালো খেলোয়াড়েরা বেরিয়ে আসে। আমাদের তো ব্যাক-আপেই সমস্যা। একটা খেলোয়াড়কে সরিয়ে তার জায়গায় যাকে বসাব সেও আগের জনের মতই খেলে......
ভালো একটা বিষয়ে লিখেছ আমিন। আমরা সমস্যাগুলো কম-বেশি সবাই জানি, শুধু সমস্যা থেকে উত্তরণের পথটা খুঁজে পেতে বিস্তর সমস্যা।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য। আমি আরেকটা বিসয় ছেড়ে গেছিলাম সেটাই আপনি তুলে এনেছেন। পীচ অবশ্যই মানসম্পন্ন হওয়া দরকার । আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার যেটা মাত্র খেয়াল করলাম, আমরা এত আলোচনার সব কিছুই কিন্তু ব্যাটসম্যানদের কথা ভেবেই বলছি বোলারদের অবস্থা নিয়ে দর্শকদের মাথা ব্যথা নেই। এমনকি বড় দলের সাথে ২৯০ করেও ৫ ওভার হাতে রেখে হেরে গেলেও ব্যাটিং এর তৃপ্তির ঢেকুর গিলে দর্শকরা খুশিই থাকে। এর অবশ্যম্ভাবী ফল হচ্ছে স্ট্রাইক বোলারের অভাব।
আমিও একমত অনেক গুলো বিষয়ে। আমাদের একটা স্থায়ী সংগঠন প্রয়োজন।
লেখা ভাল লাগছে । আমি আসলে ফ্যানাটিক ধরনের ফ্যান না । আর ক্রিকেটের সমস্যা তো সেই আদিকাল থেকে বলা হচ্ছে । দেখি কি হয় ।
বাহ ব্যাপক মজাদার ডিবেট চলে দেখি :thumbup:
আমি আবার ঈদানীং খুব ব্যস্ত, পাব্লিক পচানোর টাইম পাই না, তাই ডিবেটে অংশ নিতে পারলাম না, তয় যারা জিতবে, আমারে আওয়াজ দিও, আমি তাগো লগে এক মত হমু। 😀
আমিন, লেখায় কিছু টাইপো আছে, ঠিক করে ফেল। পড়তে হোঁচট লাগে। লেখাটা ভালো লেগেছে আপতত এটুকু বলে যাই, আর তারচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ডিবেটটুকু।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
থ্যঙ্কু ফয়েজ ভাই। 🙂 🙂 🙂
লেখা ও কমেন্ট চমৎকার। 🙂 🙂
হুম।
পোচুর গিয়াঞ্জাম।
বয়সভিত্তিক দলে খেলে জাতীয় দলে আসলে যে ভাল পারফর্ম করা যায় তার উদাহরণ সাকিব, মুশফিক, নাইম, মাহমুদুল্লাহ । সাকিবকে এখনই ফুলটাইম ক্যাপ্টেনসি দেয়ার পক্ষে না। কিন্তু একটা ব্যাপার আপনারা লক্ষ্য করেছেন কিনা জানিনা, শুরুতে ওর হাতে যত শট ছিল, এখন কিন্তু তার চেয়ে অনেক শট ও খেলতে পারে। তার মানে খেলাটাকে ও সিরিয়াসলি নেয়, পরিশ্রম করে। সবাই যদি এমন সিরিয়াসলি নিত তাহলে গোটা দলের রেজাল্ট আরো ভাল হতো।
মাহমুদুল্লাহ বয়স ভিত্তিক দলে ছিলো নাকি? বস আমি ঠিক শিউর না। খুব সম্ভবত না। আমাদের ময়মনসিংহ পার্টি ওরে চিনে। ও আমাগো ব্যাচ মেট।
নাইম ইসলামের খেলাটা খুব ভালো পরীক্ষিত পারফরমেন্স এখনো দেখা যায়নি।
মুশফিক বয়স ভিত্তিক দলে যেমন দায়িত্ব আর আস্থার ছাপ নিয়ে খেলত তেমন পারফরমেন্স এখনো দেখা যায় নাই।
সাকিবরে আর আফতাবরে দিয়া সব বিচার করলে হবে না। এখন আরো কয়েকজনের নাম বলি যারা বয়সভিত্তিক দলে ভালো করলেও হুট করে ঢোকানোতে খেই হারিয়েছে। নাজিম উদ্দিন, নাদিফ চৌধুরি, ধীমান ঘোষ , নাফিস ইকবাল,এনামুল জুনিয়র, নাজমুল ইত্যাদি।
extremely sorry to write in English.
I loved the article but here pointing out an issue...
in Today's Prothom Alo our favorite Utpal Shuvro took a combined interview of Saqib and Ashraful where he asked Saqib about watching Bangladesh's match in TV.To my utter shock,Saqib's answer was-"I only watched Pakistan's match,believe me.So I didn't know about Bangladesh much."
I know that he was a kid then and kids might have fascination for other teams.But I think that when he is asked to tell about it on an occassion where Bangladesh has won-he should have avoided it.
Besides,kid or not-only watching a foreign country's match instead of watching Bangladesh's match is weird even for a kid.I myself was a kid once and I remember how eagerly I watched our team performing in Asia cup.
What do you think,guys?
এইটা একটা জিনিসই বুঝা যায় যে আবেগ দিয়া আমরা খেলা দেখি সে আবেগ দিয়া ওরা খেলে না। 🙂 🙂
মাশরুফ, কথাটা আমারো ভালো লাগে নাই। কিন্তু সে সত্য কথা বলছে, এই যুগে মিথ্যা কথা বইলা পার পাওয়া কঠিন। অন্ততপক্ষে তার সততাকে শ্রদ্ধা করি। সে প্রশ্নটা এড়ায়ে যেতে পারত। এই কথা আমিও মানি।
ভালো লেগেছে আমিন। অনেক কিছুর সাথেই একমত। তবে খেলাধূলার প্রতি আগের মতো আগ্রহ আর নাই (বুড়া হয়ে গেছি কি না :grr: )।
-কে জাতীয় দলে খেলবে আর কে বাদ পড়বে এক্ষেত্রে একটা 'অপ্রকাশ্য রাজনীতি' আছে বলে শুনেছিলাম এক সাবেক ওপেনারের মুখে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বিবাহ করবেন, আগ্রহ কমাই ভালো। ভাবীরে টাইম বেশি দিতে পারবেন। 😛
ধূরর মিয়া,
বুড়া হইলে ত বিয়ের ক্ষেত্রেও আগ্রহ কমার কথা, তাই না?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বুড়া কথাটা আপেক্ষিক। 😛
বিবাহ করার কোন বয়েস নাই। ৫০ বছর বয়সে কেউ জাতীয় দলে খেলতেছে, দেখছেন কখনো? কিন্তু পঞ্চাশ বছর বয়েস দেখে বিবাহ করতে পিছায়ে গেছে, এই রকম শুনি নাই। B-) 😀 :grr:
ক্যান এর্শাদনানা 🙂 উনিতো ৫০ ক্যান ৭৫ পর্যন্ত পিছায়া ছিলো, এইটাইম কন্টিনিউয়াস ডমেস্টিক টুর্নামেন্ট খেলছেম তারপর ৭৮ এ গিয়া বেদিশা হইয়া পুরা ফর্ম নিয়া টুয়েন্টি টুয়েন্টিতে নামছিলো :grr: :grr:
যদিও নো বলে রান আউট হয়া গ্যাছিলো বসে পরে 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
খেলা বাদ দিয়ে যারা অন্যান্য বিষয় কথা কইতে আছে, তাদের সবার ব্যান চাই :grr:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তাইলেতো শুধুমাত্র উপ্রের অজ্ঞাত কমেন্টকারির ব্যাঞ্চাইলেন 😀 একমাত্র উনিই খেলা বাদ দিয়া অন্য জিনিস নিয়া কথা কইতেছেলো :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আসুন আমরা আবার খেলায় ফিরে যাই... :grr: :grr:
:khekz: :gulti:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
পিসি অফ কইরা ফেলছি । মাহমুদ ভাই , খবর ভাল ? আপ্নেরে ইদানিং কম দেখি। সহমত হইতে দেখে ভাল লাগল ।মোবাইল থেকে আর বেশি কিছু বলতে পারছি না ।
ভাই কুন সেট দিয়া এত্ত সুন্দর বাংলা লেখা যায়?
লেখাটা ভালো লেগেছে, আর তারচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মন্তব্যগুলো। দেশী কোচ আর বিদেশী ট্রেইনারের টাইম হয়ে গেছে। যদিও আমি আবাহনী, তাও নান্নুরে কোচ চাই। আর একটা কড়া ম্যানেজার। tahole 16 bochore test debue hoise emon player, wolverhamptoner hotel e magi loiya dhora khaibo na, khelar agerdin polapain panipuni khaibo na.
😮 😮 😮