ধর্মঃ একটি নৃতাত্ত্বিক অধ্যয়ন – ৩

মনোবিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা

সাংস্কৃতিক বিবর্তনবাদীদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রথার বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিক্রিয়া নৃবিজ্ঞানের মধ্য থেকে আসেনি। সেটা এসেছে সামাজিক বিজ্ঞানে ঐতিহাসিক চিন্তাধারার প্রভাবের বিরুদ্ধে ইতিবাচকতাবাদী আন্দোলনের সাধারণ ক্ষেত্র থেকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগের বছরগুলোতে মনোবিশ্লেষণের নিয়মতান্ত্রিক মনোবিজ্ঞানবাদ এবং Anne Sociologique এর সমান নিয়মতান্ত্রিক সমাজবিজ্ঞানবাদের উত্থান ঘটে। এর ফলে বিবর্তনবাদীরা বিবর্তনকে পটভূমির সাপেক্ষে সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব আকারে উপস্থাপন করতে বাধ্য হন। অথচ এই উভয় আন্দোলনের প্রধান নেতা অর্থাৎ যথাক্রমে ফ্রয়েড ও ডুর্খেইম উভয়ের উপরই তখন পর্যন্ত বিবর্তনবাদের গভীর প্রভাব ছিল।

বিস্তারিত»

ধর্মঃ একটি নৃতাত্ত্বিক অধ্যয়ন – ২

বিবর্তনবাদ ও তার শত্রুরা

নৃবিজ্ঞানের অনেক কিছুর মত আদিম মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচারানুষ্ঠানের অধ্যয়নও বিবর্তন তত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল। উনবিংশ শতকে কোন কিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে চিন্তা করা বলতে ঐতিহাসিকভাবে চিন্তা করাকে বোঝাত। প্রাচীন কালের সবচেয়ে মৌলিক গঠনটিকে খুঁজে বের করা এবং যে ধাপগুলোর মাধ্যমে তার ধীর উন্নয়ন ঘটেছে সেগুলোর সন্ধান করাই এক্ষেত্রে মুখ্য। টাইলর, মরগ্যান, ফ্রেজারসহ অনেকেই ডারউইনের বিশ্লেষণমূলক দৈব-প্রকরণ ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের তুলনায় Comte এবং হেগেলের মত ব্যক্তিদের সংশ্লেষণমূলক সামাজিক-ধাপ তত্ত্বগুলোর উপর বেশী কাজ করেছেন।

বিস্তারিত»