পহেলা জুলাই, বৃহস্পতিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স এণ্ড টেকনোলজি বিভাগ মেডিক্যাল ফিজিক্স নিয়ে বিভাগের গবেষণা, গবেষণার অগ্রগতি ও প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি সবার সামনে তুলে ধরার জন্য একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মেডিকেল ফিজিক্সে অধ্যাপক সিদ্দিক- ই- রব্বানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গর্ব করার মতো প্রচুর কাজ হয়েছে, সেগুলো দেখে তরুন গবেষক সহ অনেকেই প্রেরণা পাবেন বলে আমি মনে করি। প্রদর্শনী চলবে সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত, কার্জন হলে অবস্থিত বিভাগের সামনেই। সবাই আমন্ত্রিত। বিভাগের গবেষনা কার্যক্রম নিয়ে আগ্রহীদের জন্য নীচে একটি ধারণা দেবার চেষ্টা করেছি।
________________________________________________
উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক বাংলাদেশী ছাত্ররা জ্ঞান- বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অনেক অবদান রেখে চলছেন দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু তা স্বত্তেও তাদের অবদানকে মাঝে মাঝেই তীরবিদ্ধ করা হয় নানা সমালোচনায়। প্রথম সমালোচনা হয়, তাদের দেশে ফেরত আসা নিয়ে। দ্বিতীয় সমালচনা হয়, যারা দেশে ফিরে আসেন তাদের দেশে গবেষনা গ্রাফ একদম নিন্মমূখী হয়ে থাকে কেন তা নিয়ে। এইসব কারণে প্রবাসী/ দেশফেরত প্রায় সকল বাংলাদেশী বিজ্ঞানীকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখি বা সোজা কথায় তাদের ভালো পাইনা। কিন্তু ঢালাওভাবে তাদের দোষারোপ করার আগে সমস্যার গোড়াটাও ভেবে দেখা প্রয়োজন।
একটি ভালো গবেষণার জন্য কী প্রয়োজন? প্রয়োজন ভালো অংকের অর্থ। এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট গবেষণা চালানোর জন্য বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন, প্রয়োজন সফটওয়ারের। এই তিনটিই বাংলাদেশে সোনার হরিণ। সামান্য কিছু অর্থের যোগানের জন্য এই দেশে কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ধরণা দিতে হয়, আর যন্ত্রপাতি তো বেশিরভাগ সময়ই পাওয়া যায়না। অনেক কষ্টে টাকা পয়সা জোগাড় করে বিদেশ থেকে বিপুল অর্থ দিয়ে যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যার কিনে কাজ চালানোও কঠিন। কারণ হঠাৎ করে একটা কিছু নষ্ট হয়ে গেলে সেটা আবার পাঠাও। এইসব করে করে প্রচুর পরিমান সময় নষ্ট হয় যার কারণে দেশে বসে গবেষণা করে উন্নত বিশ্বের গবেষণার সাথে তাল মেলানো সম্ভব হয়না। তাই ক্ষেত্র বিশেষ অনেকে চেষ্টা করলেও একসময় হাল ছেড়ে দেন। আর বাকিরা বিদেশেই কাজ করতে থাকেন। কারণ সেখানে তিনি হাত বাড়ালেই সব পাচ্ছেন।
ড. সিদ্দিক- ই- রব্বানী স্যার ১৯৭৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে মাইক্রো-ইলেক্ট্রনিক্সে পিএইচডি শেষ করে সব ছেড়ে ছুড়ে চলে এসেছিলেন দেশে। তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি ছিলো না। পরবর্তীতে মরহুম প্রফেসর এম. শামসুল ইসলামের হাত ধরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বিভাগে তখন পদার্থবিদ ড. আবদুর সাত্তার সাইদ ও অধ্যাপক ইসলামের তত্ত্বাবধানে ইলেক্ট্রিকাল স্টিমুলেশনের মাধ্যমে বোন ফ্র্যাকচার হিলিং (bone fracture healing) নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম মেডিক্যাল ফিজিক্সের গবেষনার সূচনা হয়। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে এই বিষয়ের উপর গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে অধ্যাপক ইসলাম বিট্রিশ অর্থায়নে একটি দুই দেশের বিজ্ঞানীদের জন্য একত্রিত একটি গবেষণা পোগ্রামের আয়োজন করেন। নিজে নিজেই ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতী প্রস্তুতে পারদর্শী সিদ্দিক- ই- রব্বানী এই বিষয়ের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। গত বত্রিশ বছরে তিনটি মৌলিক আবিষ্কার ছাড়াও অধ্যাপক রব্বানী ও তাঁর ল্যাবের ছাত্ররা তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জন্য অসংখ্য বায়োমেডিক্যাল সরঞ্জাম প্রস্তুত করেছেন। ২০০৮ সালে পদার্থ বিজ্ঞান থেকে বের হয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন, বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স এণ্ড টেকনোলজি বিভাগ।
বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ
কিন্তু কীভাবে দেশে থেকেও বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে বলার মতো গবেষণা করেছেন অধ্যাপক রব্বানী? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভাগে কাজ শুরু করার সময় থেকেই আমি দুইটি দর্শন সবসময় মেনে চলেছি। প্রথমতো, আমি এমন কোন গবেষনায় হাত দিবোনা, যা করতে উন্নত বিশ্ব হাবুডুবু খাচ্ছে। মেডিক্যাল ফিজিক্সে দুনিয়াজুড়ে অসংখ্য জিনিস আবিষ্কৃত হয়েছে, কিন্তু তৃতীয় বিশ্ব যেখানে সারা পৃথিবীর জনসংখ্যার আশিভাগ লোকের বাস তাদের জন্য কিছুই হয়নি। সরাসরি তারা উপকৃত হবে এমন জিনিস নিয়েই কাজ করতে আমি সবসময় আগ্রহী ছিলাম। দ্বিতীয় দর্শন, আমি নিজে যেই জিনিস তৈরী করতে পারবোনা সেইটা নিয়ে কাজও করবোনা। একটি গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি যদি আমার তৈরী করার সামর্থ থাকে তাহলে সেই গবেষণার কাজ শুরু করবো। অন্য কারও জন্য বসে থাকলে আদতে কাজ হয়না। আজকে বত্রিশ বছর পার হবার পর নবনির্মিত বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে গবেষক ছাত্র হিসেবে যোগ দিয়ে পুরো ডিপার্টমেন্ট জুড়েই স্যারের এই কথাগুলোর প্রয়োগ দেখতে পাই। একদম শূন্য থেকে কিভাবে প্রতিটা জিনিস তৈরী হয়েছে/ হচ্ছে।
নীচে বিভাগের মৌলিক কাজগুলো তুলে ধরা হলো।
ফোকাসড ইমপিড্যান্স মেজারমেন্ট (এফআইএম)
এফআইএম বিভাগের উদ্ভাবিত একটি নতুন পরিমাপ পদ্ধতি। শরীরের বেশ কিছু পরিমাপে ও রোগ নির্ণয়ে এর ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। বিদেশীরাও বাংলাদেশের উদ্ভাবিত এ পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে, পরে কিছু বর্ণনা দেয়া আছে। এর উপর আন্তর্জাতিক জার্ণালে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, বিদেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মধ্যে ১৯৯৮ সনে স্পেনের বার্সিলোনায় একটি ও গত ২০০৯ এর জুনে ইংল্যান্ডের ম্যানচেষ্টারে আমাদের তরফ থেকে পাঁচটি প্রবন্ধ পড়া হয়েছে। এ ছাড়া এ পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার উপর যুক্তরাজ্য থেকে একটি ও কোরিয়া থেকে একটি প্রবন্ধ ম্যানচেষ্টারের সম্মেলনে পড়া হয়েছে। ২০১০ এর এপ্রিলে আমেরিকার ফ্লোরিডার একটি সম্মেলনে বিভাগ থেকে চারটি প্রবন্ধ পড়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান এফআইএম পদ্ধতির প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। তারাও এ যন্ত্রটির একটি উন্নত সংস্করণ তৈরী করে আমাদেরকে সাহায্য করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমাদের বর্তমান কার্যক্রম নীচে তুলে ধরা হল।
ক) আমাদের গবেষণাগারে ফুসফুসের বিভিন্ন অঞ্চলে বায়ু চলাচলের পরিমাপের জন্য এফআইএম এর প্রয়োগ করা হচ্ছে, অনেকদূর এগিয়েছে। শীঘ্রই বক্ষব্যাধির কোন হাসপাতালের সঙ্গে রোগ নির্ণয়ে এর বাস্তব প্রয়োগের চেষ্টা করা হবে।
খ) বারডেমের সঙ্গে আলোচনায় দেখা গেছে যে পেটের চর্বির পুরুত্ব নির্ণয় ডায়াবেটিস ও হার্টের অসুখ সহ বিভিন্ন অসুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। আমরা মনে করি এফআইএম এ কাজটি সফলতার সঙ্গে করতে পারবে এবং প্রাথমিক গবেষণা শুরু করা হয়েছে।
গ) পাকস্থলীর খাদ্য নিষ্ক্রান্ত করার বিষয়ে আমাদের প্রাথমিক পরিমাপ সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে আইসিডিডিআরবি এর সঙ্গে গবেষণার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
ঘ) এফআইএম এর তাত্ত্বিক দিক নিয়ে গবেষণা করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ডিষ্ট্রিবিউশন অফ এফ-লেটেন্সী (ডিএফএল)
ডিএফএল আমাদের আবিষ্কৃত একটি নতুন পদ্ধতি যার মাধ্যমে শরীরের স্নায়ু-তন্তুসমুহের কিছু অতি প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায় যা এর আগে সম্ভব ছিল না। এর উপর আন্তর্জাতিক জার্ণালে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় এর উপর গবেষণা করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এর উপর আমাদের নিম্নলিখিত গবেষণাসমুহ চলছে।
ক) সার্ভিকাল এবং লাম্বো-স্যাক্রাল স্পন্ডিলোসিস রোগ নির্ণয়ে আমাদের এ নতুন উদ্ভাবনটির বিশেষ সম্ভাবনা আছে বলে প্রাথমিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। রোগীর এমআরআই করে তার সঙ্গে আমাদের রোগ নির্ণয়কে তুলনা করে দেখার কাজ চলছে। আমাদের এ পদ্ধতিটি এ ধরণের রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই নির্দেশ করতে পারবে বলে প্রাথমিক গবেষণায় মনে হচ্ছে।
খ) ডায়াবেটিক রোগীদের স্নায়বিক রোগের ধরণ নির্ণয় করা যায় কিনা সে বিষয়ে বারডেমের সাথে যৌথভাবে কাজ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
গ) পদ্ধতির প্রয়োজনীয় যন্ত্রের সামগ্রিক উন্নয়ন এর জন্য গবেষণা শুরু করা হয়েছে। উল্লেখ্য বর্তমানে ব্যবহৃত কমপিউটারাইজড যন্ত্রটি ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতায় অধ্যাপক রব্বানী নিজেই তৈরী করেছিলেন ও বাংলাদেশে এর সাহায্যে রোগীদের নার্ভ কনডাকশন পরিমাপের সেবার ব্যবস্থা শুরু করেছিলেন, যা তিনি এখনো চালু রেখেছেন। বাংলাদেশে নিজস্ব তৈরী কোন কম্পিউটারাইজড যন্ত্র এটিই প্রথম এবং রোগীদের নার্ভ কনডাকশন পরিমাপের সেবা দেয়াতেও দেশে এটিই ছিল প্রথম পদক্ষেপ।
সূর্যের কিরণে ও বিদ্যুতের সাহায্যে স্বল্প খরচে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে পানি জীবানুমুক্তকরণ
সৌর বিকিরণ ব্যবহার করে নিজস্ব উদ্ভাবিত কয়েকটি প্রযুক্তিতে প্রাথমিক সফলতা আগেই এসেছে। এখন এগুলো জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নেয়া দরকার। পাশাপাশি প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রচেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে। বৈদ্যুতিক কয়েকটি উদ্ভাবনীমূলক ধারণা প্রাথমিকভাবে আশা জাগিয়েছে। এর উপর আরও গবেষণা চালানো প্রয়োজন।
সৌর পদ্ধতিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ইব্রাহিমের প্রতিষ্ঠান সিএমইএস বরিশালে বেদেদের মধ্যে সফলভাবে চালু করতে পেরেছিল এক সময়ে, কিন্তু অনুদান শেষ হয়ে যাওয়ায় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে নি।
বায়োমেডিক্যাল যন্ত্রপাতি
মেডিকেল ফিজিক্সে উন্নত বিশ্বে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু বেশিরভাগ গবেষণা হয়েছে উন্নত বিশ্বে, যন্ত্রপাতির উদ্ভাবনও সেখানেই। অত্যাধিক দাম হবার কারণে সেগুলোর বেশিরভাগই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যেখানে প্রায় মোট জনসংখ্যার আশিভাগের মানুষ বাস করে তাদের দোর গোরায় পৌঁছায়নি। তাই বিভাগ থেকে নানা ধরণের প্রয়োজনীয় বায়োমেডিক্যাল যন্ত্রপাতি স্বপ্ল খরচে প্রস্তুতের জন্য গবেষণা করা হয়। এর মধ্যে ইসিজি, ইএমজি মেশিন, মাসেল স্টিমুলেটর সহ অতিপ্রয়োজনীয় নানা ধরণের যন্ত্রপাতি তৈরী করা হয়েছে। একটি ইসিজি মেশিনের মূল্য এক লাখ টাকার মতো হলেও আমাদের উদ্ভাবিত ইসিজি মেশিন মাত্র দশ হাজার টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। ডায়বেটিকস রোগীরের পায়ের ওজন তারতম্য নির্নয়ের যন্ত্র পেডোগ্রাফের মূল্য পঞ্চাশ লাখ টাকা হলেও আমাদের উদ্ভাবিত একই কাজে ব্যবহারযোগ্য পেডোগ্রাফের মূল্য মাত্র ছয় লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে এই যন্ত্রটি পাকিস্তানের একটি হাসপাতাল ক্রয় করেছে এবং তা দিয়ে রোগীদের সেবাদানও শুরু হয়েছে।
স্যারের জন্য শ্রদ্ধা এবং সাফল্য কামনা করছি। উনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং চিন্তাধারা সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত। সত্য কথা বলতে, উনার মতো কিছু মানুষ এভাবে এগিয়ে এলে ব্রেইন ড্রেইনের কবল থেকে হয়তো অনেক মেধাবী মুখ রক্ষা পেয়ে যাবে।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
স্যারের এই প্রচেষ্টাকে স্যালুট।আশা করি আমাদের রায়হানও একদিন স্যারের মতই আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে।
এত আধুনিক একটা ডিপার্ট্মেন্ট কিন্তু নার্ভ কনডাকশন ইউনিট এ কি গরীব একটা পুরান আমলের কম্পিউটার কিনছে... ;)) 😛
জোক্স এপার্ট, দারুন একটা উদ্যোগ... :thumbup:
আশা করি দারুন দারুন আরো আবিষ্কার দেখতে পাব... :dreamy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হা হা হা। উন্নিশশো অষ্টাশিতে বানানো এইটা। এখনকারটা অবশ্য আধুনিক কম্পিউটার, ছবি পাইনাই ব্লগ দেওয়ার সময়।
=))
উনি যে দেশের এত প্রতিকুলতার মাঝেও এভাবে কাজ করে যেতে পেরেছেন ... এই জন্য উনারে :salute: :salute: :salute:
আশা করি রায়হান ও উনার দেখানো পথেই হাটবে।
আমি আসছি।
আসেন 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ওয়াও
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চমৎকার একটা উদ্যোগ। এরকম দেশপ্রেমী উদ্যোগী মানুষেরই এখন বেশি দরকার।
সিদ্দিক- ই- রব্বানী স্যারকে :salute:
আশা করি আমাদের রায়হানও একদিন এমন বড় হবে। 🙂
লেখাটা পড়ে এবং এমন উদ্যমী একজন মানুষের কথা শুনে খুবি ভালো লাগলো।
রব্বানী স্যাররে বিয়াপক ভালো পাইতাম। খুব ভাল মানুষ, ছোটখাটো কিন্তু কী সাঙ্ঘাতিক উদ্যমী একটা লোক!
শুধু উনার একটা ব্যাপারই খুব ইয়ে ছিলো। প্রতিবার নবীন বরণে উনার নিজের লেখা ও সুর করা একটা ভয়ংকর গান শুনতে হইতো, যার প্রথম লাইন ছিলো এরকম, "পদার্থবিদ মোরাআআআ, প্রকৃতির দার্শনিইইক...!" 😛
www.tareqnurulhasan.com
:))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:)) :))
ইনফরমেশনগুলা পইড়া আগেই কাইত হয়া গেসিলাম।
স্যার এবং তার টিমরে :salute:
পোস্টারের তলে লেখা আছে ভর্তি হতে চাইলে জেবনবেত্তান্ত নিয়া আইতে। আসুম নাকি? 😛 আইলে নিবোতো? ;))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ূম ভাই, দৌড়ের উপ্রে কালকে চলিয়া আইসেন 😀
স্যার এবং তার এই প্রচেষ্টায় সাথে থাকা সকল সহকর্মীর জন্য :salute:
স্যারের একটা জিনিস খুব ভাল লাগল, সেটা হল আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন থেকে সেগুলো কে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার মানসিকতা।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
চমৎকার কাজ করছো তোম্রা...এইবার তো প্রদর্শনীতে আসতে পারলাম না...নেক্সট টাইম দেশে আসলে তোমাদের ডিপার্টমেন্টে আসব ইন্সাল্লাহ...
@ রায়হান আবীর, তোমাদের ই সি জি মনিটর যন্ত্রটি কি পুরোপুরি প্রস্তুত?
উন্নত যন্ত্র গুলোতে ই সি জির সাথে সাথে হার্ট রেট, ব্লাড প্রেসার, অক্সিজেন স্যাচুরেশান ইত্যাদি ডিসপ্লে করে।
কেবল এই যন্ত্রটি যদি সস্তায় সরবরাহ করা যায়, তা আমাদের সরকারী হাস্পাতালের কার্ডিয়াক ইউনিট গুলোর সেবার মান অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে।
হ্যা! সেইভাবেই কাজ চলছে। সরকারের ই- হেলথ প্রজেক্টের কথা মাথায় রেখে। পুরো একটা সিস্টেম। ইসিজি, হার্টরেট, ব্লাড প্রেসার, অক্সিজেন স্যারুরেশনের জন্য পালস অক্সিমিটার। সবকিছুই কালকে দেখানো হবে।
শনিবার থেকে ফাইনাল প্রফ শুরু বলে প্রদর্শণী তে আসতে পারছিনা, কিন্তু পরীক্ষার পর আসবো।
ধন্যবাদ রায়হান । দেখা যাচ্ছে সদ্যজাত এই বিভাগটি বেশ অল্প সময়েই বেশ কিছু কাজ করে ফেলেছে ।ডঃ রাব্বানীর প্রথম ফিলোসফিটি আমার খুব ভালো লেগেছে, আমাদের মত গরিব একটি দেশে যেখানে শুধুমাত্র ডায়রিয়া বা অপুষ্টিজনিত রোগেই প্রতিবছর লাখ শিশু মারা যাচ্ছে, সেই দেশে এমন কোন গবেষণা করা অনুচিত যেগুলো কিনা উন্নত বিশ্বের বিজ্ঞানীরা করতেই হিমশিম খাচ্ছে।আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে এধরনের department এর দেশব্যাপী ব্যাপক প্রসার হবে। অন্যান্য উন্নত দেশের মত এখানেও ছাত্রদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশে বছর বছর কনটেস্ট আর মেলার আয়োজন করা হলে দেশে এমন user friendly ও ল-কস্ট device আসবে যা কিনা বিভিন্ন রোগ নির্ধারণ এবং treatment এ সহায়তা করবে।এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী, আমাদের দেশের ছেলেরা নি:সন্দেহে অনেক মেধাবী আর সৃজনশীল।ভালো লাগছে এই দেখে যে মাত্র দশ হাজার টাকার পেশেন্ট মনিটরিং সিস্টেম টিতে ইসিজি , HR , BP এর রিডিং সহ pulse oxymeter এরও সংযোগ থাকবে। এই বিভাগটি যেন উত্তরোত্তর সমৃদ্ধশালী হয় আর ভবিষ্যতে আরো সফলতার কাহিনী যেন শুনতে পাই ।
দেখতে দেখতে পোলা টা (জামাই ২) কত বড় বিজ্ঞানী হইয়া গেল।
ফুসফুসের ইম্পিডেন্স পরিমাপের জন্য ছবিটায় আমার থিসিস পেপারের। আর প্রোব ধরে রাখা ওই হাতটা আমার, এটুকু ভেবেই বুক ভরে যায়। আমি যখন চিন্তা করি নরওয়েতে বসে আমি দেশের সমস্যা নিয়েই কাজ করছি, তখন আমার অন্য রকম একটা প্রশান্তি হয়। রাব্বানী স্যারের জন্য শুভ কামনা সব সময়। দেশকে কিছু দিতে হবে এই ভাবনা ছাত্রদের মধ্যে স্যার ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন এই কারনেই স্যার অনন্য। ফিরে আসছি দেশে কয়দিনের মধ্যেই, ইনশাল্লাহ।
স্যার পথ দেখিয়েছেন, এবার থেকে পালা আমাদের। এই পথে হেঁটে মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যানে নতুন নতুন পথ আবিষ্কারের। অন্যের পথ হাঁটায় কেবল সাধুবাদ জানিয়েই যেন আমরা সরে না যাই, অন্যের প্রশংসা করেই যেন আমরা ক্ষান্ত না হই। এ যেন আমাদের মাঝে কিছু করার আকাঙ্ক্ষাকে তীব্র করে। তবেই স্যারের মত মানুষদের পথ চলা, পথ দেখানো স্বার্থক। :dreamy:
mbbs শেষ করে এই ট্র্যাকে আসা সম্ভব???