আমি ধর্ম পালন না করলেও ধর্ম নিয়ে আমার আগ্রহ রয়েছে। তাই টিভিতে যখন আব্বু-আম্মু নিবিষ্ট মনে ডঃ জাকির নায়েকের বক্তৃতা শুনে তখন কাজ না থাকলে আমিও সোফায় যেয়ে বসি। বোঝার চেষ্টা করি তিনি কী বলতে চান। তেমনি ধর্ম নিয়ে লেখা বইও পড়ি। কয়েকবছর আগে বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ আহমদ দিদাদ এর লেখা “কুরআন ও বিজ্ঞান” নামে একটা বই দেখলাম কাটাবনের মসজিদের নীচে মার্কেটটায়। কিনে নিয়ে আসলাম। সেই বইয়ে নানা ভাবে কুরআনকে স্বর্গীয় কিংবা আলৌকিক প্রমানের জন্য বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে মিল দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ছিল, উনিশ সংখ্যা দ্বারা আল্লাহ যে কুরআনকে বেঁধে দিয়েছিলেন তার প্রমান। আল্লাহতায়ালা বাঁধলেও সর্বসমক্ষে এই মিরাকলের ব্যাপারটি প্রথম তুলে ধরেন ডক্টর রাশাদ খালিফা।
পুরো ব্যাপারটি যে কোন মানুষকে আকৃষ্ট করবে। যিনি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী তিনি প্রমানটি দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন- জিনিসটা মাথায় রাখার চেষ্টা করবেন, ক্ষেত্র বিশেষে কোন সংশয়বাদীর সাথে তর্কে লিপ্ত হলে তলোয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন। আর যিনি অবিশ্বাসী তিনিও সামান্য দ্বন্দ্বে পড়ে যাবেন।
আপনারা যারা এই মিরাকল সম্পর্কে জানেন না- তারা উইকিতে আমার লেখা এই নিবন্ধটি পড়ে দেখতে পারেন। পড়ে দেখতে পারেন ব্লগার মাহমুদুল আলমের এই লেখার শেষ অংশটুকু।
আসলেই কী কুরআনে সাংখ্যিক মাহাত্ম্য (মিরাকল অফ ১৯) বিদ্যমানঃ-
স্পষ্ট উত্তর হচ্ছে- না। ডক্টর খলিফা বেশকিছু ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন। এই লেখায় বেশকিছু উদাহরণ এবং গঠনমূলক আলোচনায় তা দেখানো হবে।
মূলত পৃথিবীর যেকোন বিষয়েই একটি গানিতিক মিরাকল বের করা সম্ভব (প্রবন্ধের নীচের অংশে উদাহরণ দ্রষ্টব্য)। সেটি গণিতবিদদের দ্বারা সমর্থিত না হলেও মানুষকে আনন্দ কিংবা ধাঁধায় ফেলার জন্য যথেষ্ট।
ধরুন একটি সমুদ্র সৈকত। আপনি একটি নিক্তি নিলেন- এবং সমুদ্র সৈকতের একটি একটি করে বালুর ওজন মাপা শুরু করলেন। যেসব বালুর ওজন হচ্ছে এক গ্রাম সেটিকে আপনি থলেতে ভরে রাখলেন। যেগুলো না সেগুলো ফেলে দিলেন। আরও ধরি আপনার হাতে অফুরন্ত সময় রয়েছে এবং এই অফুরত্ন সময় আপনি শুধু বালুর ওজন মাপবেন এবং এক গ্রামের ওজনের বালু আলাদা করবেন। তাহলে দীর্ঘসময় পর আপনি বেশ বড় একটি বালুর স্যাম্পল জোগাড় করতে পারবেন যাদের প্রত্যেকের ওজন এক গ্রাম করে। এখন যদি আপনি ঘোষণা দেন যে, এই সমুদ্র সৈকতটি একটি মিরাকল এবং এর প্রত্যেকটি বালু কণার ওজন এক গ্রাম তাহলে কী তা যুক্তি সংগত হবে? হবে না।
কারণ গণিত আমাদের বলে, এই সৈকতে প্রতিটি বালুকণার ওজন এক গ্রাম- এই শর্ত আরোপ করার আগে আপনাকে শতকরা কতভাগ বালুর ওজন এক গ্রাম তা নির্ণয় করতে হবে। যদি শতকরা মান ৯০- ৯৯% হয় তাহলে আমরা সেই শর্ত সঠিক বলে ধরে নিতে পারি।
শতকরা= এক গ্রাম ওজন এমন বালুর সংখ্যা/ পরীক্ষণীয় মোট বালুর সংখ্যা (যে বালু আপনি ফেলে দিয়েছেন+ যে বালু আপনি রেখেছেন) * ১০০
আপনার পরীক্ষায় একবস্তা বালুর বিপরীতে কমপক্ষে এক হাজার বস্তা বালু আপনি বাদ দিয়েছেন (কারণ তাদের ওজন এক গ্রাম নয়)। সুতরাং আপনার শতকরা মান হবে খুব কম। অর্থাৎ মিরাকলটি সত্যি নয়।
ডক্টর খালিফা ঠিক এই কাজটি করেছেন। কিভাবে?
তিনি বলেছেন কুরআনকে আল্লাহ ঊনিশ দ্বারা আটকে দিয়েছেন। তিনি বেশ কিছু উদাহরণ দিয়েছেন। যেমন,
‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’-এ মোট বর্ণ ১৯।
সর্বপ্রথম নাযিলকৃত ৫টি আয়াতে (সূরা আলাক) মোট শব্দ সংখ্যা ১৯, তাতে মোট বর্ণ ৭৬ (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।
সর্বপ্রথম নাযিলকৃত পূর্ণাংগ সুরার (সুরা আলাক) আয়াত সংখ্যা ১৯।
সর্বশেষ নাযিলকৃত সুরায় (সুরা নসর) শব্দ সংখ্যা ১৯।
সর্বশেষ নাযিলকৃত আয়াতে (সুরা নসর-১) অক্ষর সংখ্যা ১৯।
পুরো কুরআনে ‘কুরআন’ শব্দটি এসেছে ৫৭ বার (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।
কুরআনের সর্বমোট সুরার সংখ্যা ১১৪ (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।
কুরআনের সর্বমোট আয়াত সখ্যা ৬৩৪৬ (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।
তাহলে ডক্টর খালিফার চালাকিটা কোথায় হল? বের করা খুব সহজ।
যেকোন বই থেকেই আপনি “বিশেষ কিছু অংশ”/অপশন বাছাই করতে পারেন। তারপর যেই যেই অপশন আপনার মিরাকল প্রমানে কাজে লাগবে তা রেখে (ধরুন সাত দ্বারা বিভাজ্য) বাকিগুলো ফেলে দিতে পারেন। কুরআনের ক্ষেত্রে যেমন, একটি শব্দের অক্ষর সংখ্যা, চ্যাপ্টারের সংখ্যা, নির্দিষ্ট একটি শব্দ সর্বোমোট কতবার ব্যবহৃত হয়েছে সেই সংখ্যা ইত্যাদি- ইত্যাদি গ্রহন করা হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি চাইলে অন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা, বিজোড় সুরার সংখ্যা, জোড় চ্যাপ্টারের সংখ্যা, বিজোড় চ্যাপ্টারে অতটি অক্ষর রয়েছে- জোড়টিতে কতটি রয়েছে ইত্যাদি নিতে পারেন। অর্থাৎ আপনি মাথা খাটিয়ে অসীম সংখ্যক অপশন/”বিশেষ অংশ” বাছাই করতে পারেন। ডক্টর খালিফা তাই করেছেন। অসংখ্য অপশন থেকে তিনি উনিশ দ্বারা বিভাজ্য প্রমান করা যায় এমন অপশনগুলো গ্রহণ করেছেন- বাকিগুলো ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু কুরআনে যদি আসলেই ঊনিশের মিরাকল থেকে থাকে তাহলে তা সব কিছুতেই থাকবে- শুধু মাত্র কয়েকটি জিনিসে নয়।
তারপরও কথা থেকে যায়। উনি তো অনেক কিছুই মেলাতে সক্ষম হয়েছেন। সেগুলো কী আসলেই মিলেছে? সেগুলো কি আসলেই ঊনিশ দ্বারা বিভাজ্য? চলুন দেখি পরবর্তী আলোচনায়।
এই অংশে, প্রমানিত শর্তগুলোও অনেক ক্ষেত্রে সঠিক নয় তা দেখানো হবে। সেক্ষেত্রে আমরা ব্যবচ্ছেদের জন্য একটি নিয়েই আলোচনা করবো।
ডক্টর রাশেদ খলিফা বলেন,
“The key to Muhammad’s perpetual miracle is found in the very first verse of the Qur’an, `IN THE NAME OF GOD, MOST GRACIOUS, MOST MERCIFUL = BiSM ALLaH, AL-RaHMaN, AL-RaHIM’…
মুহাম্মদের বলে যাওয়া- কুরআন যে একটি মিরাকল তার সন্ধান লাভ করা যায়, কুরআনের সর্ব প্রথম আয়াতেই। IN THE NAME OF GOD, MOST GRACIOUS, MOST MERCIFUL = BiSM ALLaH, AL-RaHMaN, AL-RaHIM’…
এই প্রথম আয়াতের অক্ষর গণনা করে (ইংরেজীতে শুধু মাত্র বড় হাতের অক্ষর) আমরা দেখতে পাই যে, এখানে ঊনিশটি অক্ষর রয়েছে। এবং এতে যে শব্দগুলো রয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটি ঊনিশের গুনিতক। যেমন প্রথম অক্ষর, `ISM’ ঊনিশ বার; দ্বিতীয় শব্দ, `ALLaH’ ২৬৯৮ বার, যা ১৯ এর গুনিতক (১৯X১৪২) ; তৃতীয় শব্দ , `AL-RaHMaN ‘ আছে ৫৭ বার, (১৯ X ৩); সর্বশেষ শব্দ , `AL-RaHIM’ আছে ১১৪ বার (১৯ X ৬)”
ডঃ খালিফা দাবী করেছেন, কুরআনের এই অলৌকিকত্বে মানুষের কোন হাত নেই। অথচ, “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” বাক্যে যে ১৯টি বর্ণ আছে, এই মৌলিক দাবীতেই মানুষের হাত আছে। আরবি বাক্যটিকে ইংরেজিতে প্রতিবর্ণীকরণ করার সময় আমরা যদি স্বরবর্ণ বাদ দেই, তাহলে বাক্যটি এরকম দাঁড়ায়: “BSM ALLH ALRHMN ALRHIM”, উল্লেখ্য আরবীতে স্বরবর্ণগুলো লেখা হয় না, পড়ার সময় ধরে নেয়া হয়। এই প্রতিবর্ণীকৃত বাক্যে বর্ণের সংখ্যা ১৯। কিন্তু, আরবিতে “তাশদিদ” বলে একটি প্রতীক আছে, কোন বর্ণের উপর সে প্রতীক থাকলে তা দুই বার উচ্চারণ করতে হয়। “ALLAH” শব্দের দ্বিতীয় “L” এর উপর একটি তাশদিদ আছে। সেক্ষেত্রে এই লাম দুইবার উচ্চারণ করে এভাবে লেখা যেত (বা এভাবে লেখা উচিত): “ALLLAH”; আর বর্ণ সংখ্যা হয়ে যেত ২০টি।
তাশদিদ যুক্ত বর্ণ দুইবার ধরা হয়েছে নাকি একবার ধরা হয়েছে, সে বিষয়টি ডঃ খালিফা কোথাও স্পষ্ট করে বলেননি। এছাড়া যে স্বরবর্ণগুলো লেখা হয় না, কিন্তু পড়ার সময় ধরা হয় সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা বা বাদ দেয়ার ব্যাপারটাও তিনি স্পষ্ট করেননি।
পরবর্তী সমস্যা “BISM” শব্দ নিয়ে। এটি প্রকৃতপক্ষে দুটি শব্দের সমন্বয়: “Bi” (এক্ষেত্রে এই শব্দের অর্থ “মধ্যে”) এবং “ISM” (অর্থ “নাম”)।
ডঃ খালিফা সবসময় আরবি বর্ণক্রম ব্যবহারের কথা বলেছেন। এই আরবি বর্ণক্রম ব্যবহার করে “ISM” শব্দটির অনুসন্ধান করা যেতে পারে। আবদুল বাকি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কুরআনের একটি নির্ঘণ্ট ঘেটে এই আশ্চর্যজনক তথ্য পাওয়া গেছে:
“BiSM” শব্দটি কুরআনের প্রথম আয়াতেই আছে। এই শব্দটি কুরআনের মাত্র তিনটি স্থানে উল্লেখিত হয়েছে: ১:১১, ১১:৪১ এবং ২৭:৩০।
কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কেবল “ISM” শব্দটি কুরআনে মোট ১৯ বার উল্লেখিত হয়েছে।
কিন্তু তৃতীয় আরেকটি তালিকা আছে। “ISMuHu” শব্দের অর্থ “তার নাম”। এটি আরবিতে একটি অখণ্ড শব্দ হিসেবে লেখা হয়। কুরআনে এটি ৫ বার এসেছে।
সবগুলো ফলাফল যোগ করলে পাওয়া যায়: ৩ + ১৯ + ৫ = ২৭, স্পষ্টতই এখানে ১৯ এর সাংখ্যিক তাৎপর্য আর থাকছে না।
আমাদের সামনে আরও অনেকগুলো অনুমানের ব্যাপার আছে, যেগুলো সম্বন্ধে ডঃ খালিফা কোন ব্যাখ্যা দেননি। কোন বিবেচনায় তিনি তিনবার উল্লেখিত “BiSM” শব্দটি গণনা থেকে বাদ দিয়েছেন? যে শব্দ নিয়ে গবেষণা করছিলেন সেই শব্দটিই বাদ দেয়ার পিছনে কোন যুক্তিই দেখাননি। আর কেবল বিচ্ছিন্ন “ISM” শব্দ গণনার ব্যাপারেই বা তিনি কোন নীতি অনুসরণ করেছেন? সর্বনামযুক্ত বিশেষ্য “ISMuHu” কেই বা কেন বাদ দিলেন?
তাহলে কি এই তিন ধরণের শব্দের অর্থের মধ্যে কোন ব্যাখ্যা লুকিয়ে আছে? হয়ত বা, যেসব স্থানে এই শব্দগুলোর মাধ্যমে কেবল আল্লাহ্র নাম বোঝানো হয়েছে সেগুলোকেই ডঃ খালিফা গণনা করেছেন। কিন্তু নিম্নোক্ত দুটি আয়াতের দিকে লক্ষ্য করলে এই ধারণাও ভুল বলে প্রমাণিত হয়। সূরা মায়িদার ৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“…but pronounce God’s name (ISM ALLaH) over it…”
এবং সূরা বাক্বারার ১১৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“And who is more unjust than he who forbids in places for the worship of God, that His name (ISMuHu) should be pronounced?”
মূল আরবি বা ইংরেজি অনুবাদ কোনটিতেই এই শব্দগুলোর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই, একটি ছাড়া: এখানে “God’s name” সরাসরি বিধেয় এবং “His name” উদ্দেশ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আরবি বর্ণক্রমেএই শব্দ দুটির লেখ্য রূপের ভিত্তিতেই কেবল দুটিকে ভিন্ন স্থানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
আরও কথা আছে, কিসের ভিত্তিতেই বা ডঃ খালিফা এই শব্দগুলোর বহুবচন রূপগুলো বাদ দিলেন? এগুলোর বহুবচন কুরআনে আরও ১২ বার এসেছে। বিশেষত সূরা আ’রাফের ১৮০ নম্বর আয়াতের কথা উল্লেখ করা যায়, “The most beautiful names belong to God…”
বহুবচন বাদ দেয়ার কেবল একটি কারণই থাকতে পারে। সেটি হচ্ছে, বহুবচনগুলো গণনা করলে মোট সংখ্যাটি ১৯ না হয়ে ৩৯ হয়ে যায়।
উপরন্তু ALLAH শব্দটির ব্যবহারের ধরণের ব্যাপারেও সন্দেহ আছে। এই শব্দের সাথে যখন “Li” প্রসর্গ যুক্ত হয় তখন দুইয়ে মিলে “LiLaH”বা “LiLLah” শব্দের জন্ম দেয়। এখানে প্রসর্গটির অর্থ “প্রতি”। এই লিল্লাহ শব্দেও একটি লাম এর উপর তাশদিদ আছে। (উদাহরণ হিসেবে ২:২২ আয়াতটি দেখা যেতে পারে।) ব্যকরণ অনুসারে এই প্রসর্গযুক্ত শব্দটি ঠিক “BiSM” এর মত করেই ব্যবহৃত হয়। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি ডঃ খালিফা এবার প্রসর্গযুক্ত শব্দগুলো বাদ দিয়ে কেবল মূল শব্দটিই গণনা করবেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এবার ঠিকই “LiLaH” গুলো গণনা করেছেন, কারণ এগুলো গণনা না করলে মোট সংখ্যাটা ২৬৯৮ হত না এবং তা ১৯ দিয়েও বিভাজ্য হত না। এ ধরণের যাদৃচ্ছিক ব্যবহারের পেছনে কি আদৌ কোন যুক্তি আছে?
“ISM” এর সাথে “Bi” যুক্ত হয়ে যখন “BiSM” হয়েছে তখন ডঃ খালিফা সেটা বাদ দিয়েছেন, কিন্তু “ALLAH”-র সাথে “Li” যুক্ত হয়ে যখন “LiLaH” হয়েছে তখন তিনি সেগুলো ঠিকই গণনা করেছেন; কেবল ১৯ দিয়ে বিভাজ্য একটি সংখ্যায় পৌঁছানোর জন্য।
AL-RaHMaN শব্দের ক্ষেত্রে কোন দ্বিধা নেই। এটি কুরআনে ৫৭ (১৯ X ৩) বারই উল্লেখিত হয়েছে। লেখকও এমনটিই বলেছেন।
এবার AL-RaHIM শব্দের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। ডঃ খালিফা বলেছেন, এই শব্দ মোট ১১৪ (৬ X ১৯) বার এসেছে। কিন্তু আবদুল-বাকির নির্ঘণ্ট অনুসারে কুরআনে এই শব্দটি হুবহু এই রূপে মাত্র ৩৪ বার উল্লেখিত হয়েছে। অর্থাৎ এই ৩৪ স্থানেই শব্দের আগে “AL” নামক ডেফিনিট আর্টিক্লটি আছে। কিন্তু বাকি ৮১ স্থানে শব্দের আগে কোন ডেফিনিট আর্টিক্ল নেই। এখন আর্টিক্ল সহ এবং ছাড়া সবগুলোই যদি আমরা গণনা করি, তাহলে মোট সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১১৫। এক বার এর বহুবচনও উল্লেখিত হয়েছে। তাহলে মোট ১১৬ হয়ে যাচ্ছে। ১১৫ এবং ১১৬, কোনটিই ১৯ দ্বারা বিভাজ্য নয়।
ডঃ খালিফার এই আবিষ্কারকে অনেকেই সম্পূর্ণ অনুমোদন দিয়েছেন। ডঃ Bèchir Torki এ নিয়ে রীতিমত ৪ পৃষ্ঠার এক বিশাল সারাংশ রচনা করেছেন। এই সবগুলো অনুমোদন পত্র বা সারাংশতেও উপরে উল্লেখিত চারটি মৌলিক অনুমিতির ব্যাপার সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
ডঃ খালিফা “ALLAH” শব্দে তাশদিদের কারণে দ্বিত্ব হয়ে যাওয়া লামগুলো গণনা থেকে বাদ দিয়েছেন, আবার অলিখিত স্বরবর্ণগুলোও বাদ দিয়েছেন।
তিনি “ISM” এর মোট সংখ্যা গণনা করতে গিয়ে “BiSM” শব্দটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন, কিন্তু ওদিকে আবার “ALLaH” শব্দ গণনা করতে গিয়ে “LiLaH” অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এছাড়াও তিনি তার গণনা থেকে “ISMuHu” বাদ দিয়েছেন, যদিও ব্যকরণগত দিক দিয়ে এটি হুবহু “ISM” এর মতোই অর্থ বহন করে।
এছাড়া তিনি “ISM” এবং “AL-RaHIM” শব্দের বহুবচন রূপগুলো বাদ দিয়েছেন।
উপরন্তু তার “AL-RaHIM” শব্দের গণনা ভুল হয়েছে।
সুতরাং মিরাকল প্রমানের জন্য খলিফা নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন- মিল করার জন্য। কিন্তু সে ব্যাপারে কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেন নি। তার অন্যান্য সিদ্বান্তগুলোও ভুলে ভরা। সেগুলোও আলাদা করে প্রমান করা সম্ভব।
এ ধরণের সংখ্যাতাত্ত্বিক খেলা বিজ্ঞানবহির্ভূতঃ-
সংখ্যা নিয়ে এ ধরণের ধাঁধাময় খেলা অনেক প্রাচীন। সেই পিথাগোরাসের আমল থেকেই মানুষ এসব করে আসছে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের জন্ম হওয়ার পর অনেক কিছুর মত এটাকেও বিজ্ঞানের অঙ্গন থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। এই অপবিজ্ঞানের নাম দেয়া হয়েছে Numerology তথা সংখ্যাতত্ত্ব। গণিত থেকে সংখ্যাতত্ত্ব সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেছে; যেমন জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে জ্যোতিষ শাস্ত্র আলাদা হয়েছে এবং রসায়ন থেকে আলকেমি আলাদা হয়েছে। সংখ্যাতত্ত্ব তাই একটি পরিপূর্ণ অপগণিত বা অপবিজ্ঞান। বিজ্ঞানের কুসংস্কারাচ্ছন্ন অপব্যবহারকেই অপবিজ্ঞান বলা হয়।
গাণিতিক মিরাকলের আরও উদাহরণঃ-
মূলত চাইলে কুরআনে সাত কিংবা অন্য যেকোন সংখ্যার মিরাকল বের করা সম্ভব। সম্ভব পৃথিবীর যেকোন কিছুতেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে এমন একটি গাণিতিক ব্যাখ্যা বেশ জনপ্রিয়। বলা হয়ে থাকে- এই ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে আমেরিকার ভবিষ্যতের সকল ঘটনা আগে থেকেই বলে দেওয়া সম্ভব। খুব রিসেন্টলি টুলের (Tool) একটা গানে (Lateralus) ফিবোনাক্কি সিরিজের সুন্দর প্রয়োগ আছে। সব রকম কবিতাতেই গণিতের খেলা দেখা যায়, সেই ঋগ্বেদ থেকে শুরু করে। পিকাসোর ছবিতে পাওয়া যায় ত্রিমাত্রিক জ্যামিতির খেলা। গস বা অয়লারের মত গণিতবিদের জীবনী পড়লে মানুষের গাণিতিক ক্ষমতায় আপনার আরো আস্থা বাড়বে।
আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ইহুদিদের বিখ্যাত শেমহামেফোরাস। ইহুদি ধর্মবেত্তার সেই মধ্যযুগ থেকেই সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে মত্ত। সে সময়ই তারা তাদের ধর্মগ্রন্থ তোরাহ-র দ্বিতীয় গ্রন্থ এক্সোডাস থেকে স্রষ্টার রহস্যময় নাম বের করেছিল। এক্সোডাসের ১৪:১৯-২১, এই তিনটি আয়াতের মাধ্যমে তারা স্রষ্টার ৭২টি নাম উদ্ভাবন করেছে। এই প্রতিটি আয়াতে ৭২টি করে বর্ণ আছে।
– প্রথমে প্রথম আয়াতটি ডান থেকে বামে লিখেছে
– তারপর দ্বিতীয় আয়াত বাম থেকে ডানে লিখেছে
– সবশেষে তৃতীয় আয়াত আবার ডান থেকে বামে লিখেছে
– এই লেখার কাজটি ১৮ কলাম ও ১২ সারিতে করা হয়েছে। ১৮ গুন ১২ = ৭২ গুন ৩
– এবার ১২ টি সারিকে ৩ সারি ৩ সারি করে ভাগ করেছে। মোট চারটি ভাগ হয়েছে যার প্রতিটিতে ১৮ কলাম ও ৩ সারি।
– প্রতি ভাগের একটি কলাম দ্বারা স্রষ্টার একটি তিন অক্ষরের নাম পাওয়া গেছে। এভাবে মোট ১৮ গুন ৪ = ৭২ টি তিন অক্ষরের নাম পাওয়া গেছে।
– চার ভাগের প্রতিটিতে আবার একটি বর্ণের সাথে মিলিয়েছে। এতে স্রষ্টার একটি চার অক্ষরের নাম পাওয়া গেছে।
– এই যে চার অক্ষরের নাম তার সঠিক উচ্চারণ জানার চেষ্টা করছে তারা। এ নিয়েই তারা সংখ্যাতত্ত্বের খেলা খেলছে, এখনও। এই শব্দকে ডিজিটে নিলে নাকি ২১৬ ডিজিটের একটা নাম পাওয়া আছে। ড্যারেন আরনফ্স্কির “পাই” সিনেমায় এই ২১৬ ডিজিটের সাথে পাই এর সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।
কুরআন আসলেই অলৌকিক কিংবা স্বর্গীয় গ্রন্থ কীনা সেটা নিয়ে হাজার বছর ধরে আলোচনা হয়েছে- চলবে আরও হাজার বছর। কিন্তু কুরআনের অলৌকিকতা প্রমান করতে যেয়ে আমাদের ইসলামী চিন্তাবিদরা বিজ্ঞানের সাথে কুরআনকে মেলাবার চেষ্টা করছেন। বিজ্ঞান দ্বারা প্রমান করতে চাচ্ছেন- কুরআন মানব রচিত কোন গ্রন্থ নয়। তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণেই হোক কিংবা অন্যকোন কারণেই হোক- সেই জিনিসগুলো কুরআনকে অলৌকিক প্রমান তো করছেই না, বরঞ্চ কতিপয় জ্ঞানপাপী মুক্তমনার কাছে সেটিকে একটা মজার খেলনা বানিয়ে ফেলছে। তাই বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে প্রমান না করে শুধু বিশ্বাসই করা উচিত। তাতে করে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবেনা, কুরআনকে হেলা করার।
অসাধারণ একটি কাজ হয়েছে। ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে আলাদা করা এবং কোনগুলো অপবিজ্ঞান তা বোঝানোর ক্ষেত্রে খুব কাজে আসবে। স্টিফেন জে গুল্ড তার স্বতন্ত্র বলয় তত্ত্বের মাধ্যমে ধর্ম আর বিজ্ঞানকে আলাদা করেছিলেন। সেই বিষয়গুলো আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখনও এসে পৌঁছেনি। এ ধরণের লেখাগুলো সেই কাজকে এগিয়ে নিতে অনেক সাহায্য করবে।
আর উল্লেখ্য, এ লেখায় কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়নি এবং কাউকে কটাক্ষ করেও কিছু বলা হয়নি। নিছক কিছু যুক্তির মাধ্যমে কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার করা হয়েছে। এটা সিসিবি-তে ধর্ম ও বিশ্বাস বিষয়ক রচনার ক্ষেত্রে তাই রোল মডেল হয়ে থাকবে।
:clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হুম্মম। ঘটনা গুরুতর...
ঘটনা গুরুতর থেইকা গুরুতম আকার ধারণ করতেছে মরতুজা ভাই। 😕
একমত।
:thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চমৎকার গোছানো লেখা। যুক্তি আছে বটে। ব্যক্তিগতভাবে এসব সচেতনভাবেই এড়িয়ে চলি, কারণ- বিশ্বাসের সাথে যুক্তির দ্বন্দ্ব নিয়ে তর্ক চলে না।
টুলের গানটা শোনার আগ্রহ হচ্ছে, যেমনটা হচ্ছে "পাই" সিনেমাটা দেখার। দুটো শখই পূরণ করা হবে খুব শিগগিরই।
পাই সিনেমাটা সেইরকম লেগেছে। আরনফ্স্কি খুব কম বাজেটে সিনেমা বানিয়েছে। ইতিহাসে এত স্বল্প বাজেটে এত ভাল সিনেমা খুব কমই হয়েছে।
তবে সিনেমার আবেদনটা খুব গাঢ়। মনোবিজ্ঞানের সাথে মানুষের দর্শন ও বিশ্বাসের সম্মিলন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমার মনে হয়, মস্তিষ্কের ঠিক স্থানগুলো থেকে বিশ্বাসের জন্ম হয় এবং সেগুলো কিভাবে কাজ করে, কিভাবে মানুষকে বদলে দেয় এবং পরিশেষে মানুষ সেগুলো থেকে কি পায়, তা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একাধিকবার দেখার মত সিনেমা। কারণ একবার দেখে মর্মার্থ উপলব্ধি করা সম্ভব না।
বাহ্, শুনে তো দেখার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল বহুগুণ। কাহিনী বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। এ ধরণের সিনেমা আমার ভাল লাগে। মজার ব্যাপার হল, সিনেমাটা না দেখা (বা এর সম্পর্কে কিছু না জানা) সত্ত্বেও, অনেক আগে আমি এর কিছু ওয়ালপেপার ডাউনলোড করেছিলাম, এবং তখন থেকেই কেন যেন বেশ আগ্রহ জন্মেছিল সিনেমাটার প্রতি।
এখন অন্য একটা সিনেমা ডাউনলোড করছি (অ্যানিমি - "স্পিরিটেড অ্যাওয়ে"), এটা শেষ হওয়ামাত্রই "পাই" ডাউনলোড করতে দেব।
কাল রাতে "টুল"-এর গানটা ডাউনলোড করে শুনলাম। শুনে যদিও ফিবোনাক্কি সিরিজের সাথে এর কোনো সম্পৃক্ততা পাইনি, লিরিকটা পড়ে দেখি, তাহলে হয়ত বুঝতে পারব কিছু। না হলে, গুগল তো আছেই।
বল কি? আমিও তো গতকালই স্পিরিটেড অ্যাওয়ে ডাউনলোড করলাম। দেখে ফেল। চমৎকার এনিমে।
দুঃখিত, এই ব্লগটা দেখে উঁকি না দিয়ে পারলাম না। আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ধর্ম সংক্রান্ত কোন বিষয় এই ব্লগে আলোচনা হবেনা। এই ব্লগে যদিও একটি ধর্মের কিছু মানুষের একটি নির্দিষ্ট বিশ্বাসের বিরুদ্ধচারণ করা হয়েছে, তার পরেও এটি ধর্মসংক্রান্তই।
আর
এই কথা বলে এই বিষয়কে জায়েজ করা উচিৎ হবে না বলে আমি মনে করি। আমি স্পষ্টাস্পষ্টি এই ব্লগকে সরিয়ে নেয়ার পক্ষে এবং মডারেটর এর কাছে এই অনুরোধই থাকল।
আর যদি এই ব্লগ থাকে, তবে অবশ্যই ধর্ম সংক্রান্ত অন্যান্য ব্লগেরও অনুমতি দিতে হবে, কেউ যদি প্রচারণা চালাতে চায় তারও অনুমতি দিতে হবে আবার কেউ যদি নিজের বিশ্বাস নিয়ে যেকোন কিছুই লিখতে চায়, সেটাও করতে দিতে হবে।
আবীর তুই অন্য ভাবে নিসনা, তুই নিশ্চুই বুজছিস আমি কি বলসি।
বুঝতে পারছি ধর্ম সংক্রান্ত একটি লেখা এর আগে সরিয়ে দেওয়া হলেও এই লেখা কেন আছে- সেইটা নিয়ে তোর আপত্তি। তাহলে আমি একটু পরিষ্কার করে দেই।
১। আগের লেখাটা ধর্ম প্রচারণা ছিল, আমার মনে হয়না আমার লেখা সেরকম কিছু।
২। এই লেখায় একাডেমিকভাবে একটা জিনিসের উপর আলোচনা করা হয়েছে- সাথে সাথে মন্তব্য ঘর রাখা আছে, সবার অংশগ্রহণের জন্য।
৩। এই লেখায় কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়নি। (শুধু মাত্র এই একটি কারণেই আগের লেখাটি সরিয়ে ফেলা যেতো, ধর্মের ব্যাপারটি বাদ দিলেও)
আমরা সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম যে, রাজনীতি এবং ধর্ম এই দুই বিষয়ে ব্লগ দেওয়া যাবে না। তুই তোর মন্তব্যে শুধু ধর্ম ব্যাপারটা উল্লেখ করে জিনিসটা ঘোলা করতে চাইছিস। ইদানিংকালে ব্লগে কম আসছিস মনে হয়, তাহলে দেখতি যে- আমরা এখানে আমরা একাডেমিক আলোচনার জন্য পরিপক্ক হয়েছি। এখানে রাজনৈতিক পোস্টে সুন্দর আলোচনা হচ্ছে। তাছাড়া মন্তব্যে অনেকে উল্লেখ করেছেন- যে লেখার বিষয়বস্তু (কী লেখা যাবে আর কী যাবে না) এইটা কর্তৃপক্ষ ঠিক করে না দিতে। অর্থাৎ একজন চাইলে যেকোন বিষয় নিয়েই লিখতে পারবেন। এই জিনিসকে সামনে রেখে রেডবুক নবায়ন করা হয়েছে। কষ্ট করে পড়ে নিতে পারিস।
* হ্যাঁ, এই বিষয়টিতে আমার খটকা লেগেছে। ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ থাকলেও আমি সেখানে কিন্তু খুঁজে পাইনি। প্রথমে মুহম্মদ এবং সাদিদ (এনাকে আমি চিনি না) ভ্রাতৃদ্বয়কে উৎসর্গ করা হয়েছে, আমার বুদ্ধিতে যতটুকু ধরে, সেটা হলো মুহম্মদ এবং সাদিদ ধর্মের বিরুদ্ধচারণ করেছিল বলে উনি তাদেরকে হেদায়েত করার সমূহ চেষ্টা করেছিলেন। এটা যেকোন ধার্মিকই কোন নাস্তিক দেখলে করার চেষ্টা করে থাকেন, এবং যেকোন নাস্তিকই ধার্মিক দেখলে।
আরেকটা লাইনে খটকা লাগতে পারে,
কিন্তু এখানে উনি নিজেকেই বলেছেন। তাই ঠিক কোন বিষয়টা ব্যক্তিগত আক্রমণ আমি খুঁজে পাইনি।
তারপরেও আমি নিজে ব্লগটা গ্রহণ করিনি, কারণ তাতে ধর্মের কথা বলা হয়েছে।
১. তিনিও যুক্তি দিয়েই তাঁর ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, তাহলে তাঁর লেখা একাডেমিক হতে বাধা কোথায়?
২. হ্যাঁ উনার মন্তব্য ঘর বন্ধ ছিল, এটা উচিৎ হয়নি।
৩. সহমত।
তবে এই বিষয়টা বিতর্কিত বলে অন্ততপক্ষে আমি মনে করি। কারন যেটাকে তুই একাডেমিক বলতে চাচ্ছিস, সেটা আমার জন্য ধর্ম। আর তুই যেমন অকপটে বিশ্বাস করিস ধর্ম নেই, আমি অকপটে বিশ্বাস করি আছে। কার বিশ্বাসটা সত্য?
ধর্ম যেই বিষয়ের আন্ডারে পড়ে, নাস্তিকতাও সেই বিষয়েরই আন্ডারে পড়ে। তুই যদি যুক্তি দিয়ে এখানে দেখায় দিস আল্লাহ নেই (এই ব্লগের ক্ষেত্রে নয়, উদাহরণ স্বরূপ বলেছি), তুই সেটাকে একাডেমিক বলতে পারিস, আমি বলব নাস্তিকতার প্রচার। আমি যদি যুক্তি দিয়ে এখানে দেখায় দেই আল্লাহ আছে, আমি সেটাকে বলব যুক্তিপূর্ণ বিবৃতি, তুই বলবি ধর্মের প্রচার। অর্থাৎ দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য, আর এই ধরণের বিষয়গুলোকেই বলে 'বিতর্কিত'।
আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে এই লেখাটা সেরকমই একটি লেখা। সত্যি বলতে, কোরআন শরীফে ১৯ আছে কি নাই, কিভাবে আছে সেটা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নাই, আল্লাহ আছে কি নাই এই বিষয়ে আমি কোন প্রমাণ দেখাতে পারবো না, কিন্তু আল্লাহকে আমি বিশ্বাস করি। এভাবে বিশ্বাস করাটা উচিৎ না, তারপরেও করি। আমি এটাকে ধর্ম বলে জানি।
অতঃপর,
রেডবুকটা পড়ে দেখলাম, আমার জানা ছিল না ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে এখন আলোচনা করাই যায়। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে এর বিরুদ্ধে।
এই লেখাটা নিয়ে আর বিতর্ক করা তাই আমার শোভা পায় না, কারন এই বিষয়গুলো মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
অফটপিকঃ আমার একটা অনুরোধ, এই ব্লগে আমরা যারা আছি, তারা ভেড়া স্বরূপ। তোরা কোন যুক্তি দিলে আমরা কখনই পালটা কিছু বলতে পারবনা। কারণ আমরা আসলে জানিই না। তোরা তর্ক কর গরুদের সাথে, যারা হয়ত কিছুটা হলেও জানে। সমানে সমানে না হলে তো লড়াই এ মজা পাবি না। আমরা থাকবো আমাদের বিশ্বাস নিয়ে, উলটা এসব কথাতে বিভেদ বাড়তেই থাকবে।
আর রাজনীতি সংক্রান্ত নয় বলে রাজনীতির কথা আনিনি, এখানে ঘোলা করার কোন প্রশ্ন আসেনা।
সামিয়া
একটু ভুল করছো মনে হয়।
প্রথমতঃ
এইটা শুনলে সাদিদও আকাশ থেকে পড়বে। তুমি এই নিয়ে আগের ব্লগটার মন্তব্যগুলি পড়োনি মনে হচ্ছে। সাদিদ বিশ্বাসী মানুষ।
দ্বিতীয়তঃ
এখানে নির্দিষ্ট একজনকে আক্রান্ত করা হয়েছিলো বলেই পোস্টটা সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো মনে হয়।
ভালো থেকো।
ভুলের জন্য দুঃখিত কামরুল ভাই,
প্রথমটা সচেতন, ব্রাকেটে লিখে দিয়েছিলাম 'সাদিদ'কে আমি চিনিনা।
আর দ্বিতীয় লাইনটায় আমার আসলেই মনে হয়েছে, উনি সকল নাস্তিকদের কে বলেছেন (আমি উনার পক্ষে সাফাই গাইছি না, হেদায়েতের চেষ্টার ব্যাপারটা আমার গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি)।
সামিয়া, একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:
- এই লেখাটা ধার্মিক এবং নাস্তিক সবার জন্যই খুব প্রয়োজনীয়। তুমিই তোমার মন্তব্যে বলেছ, এসব ১৯ বা অলৌকিকতার কারণে ধর্মে বিশ্বাস কর না। তোমার বিশ্বাসের কারণ অন্যকিছু। আসলেই এসব অলৌকিকত্বের কারণে ধর্মের প্রসার বাড়ে না। সেটা অনেক আগে স্বয়ং মুহাম্মাদই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, "তিনি চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করার পরও অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস আনেনি" (বিশ্বাস না করলেও বিষয়টা উত্থাপন করলাম)। অথচ আফসোস, আজকের পথভ্রষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করছে, এসব অলৌকিকতা দেখাতে পারলে লাভ হবে। এতে সবচেয়ে বড় ঝামেলা যেটা হচ্ছে, ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে মিশিয়ে দেয়ার চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। এ কারণে বিজ্ঞানের মূলভাব নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে, বিশেষত আমাদের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। এই ভাব যেন নষ্ট না হয়, অর্থাৎ মানুষ যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এই দুই বিষয়কে মিলিয়ে না ফেলে সেই উদ্দেশ্য থেকেই এই প্রবন্ধটি লেখা হয়েছে।
- এখানে কিন্তু আস্তিকতা, নাস্তিকতা নিয়ে কোন কথা আসেনি। কোন তর্কও করা হয়নি। কুরআন ঐশী গ্রন্থ না, এটাও বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, কুরআন ঐশী- এটা বোঝানোর জন্য কতিপয় ইসলামী চিন্তাবিদেরা যেসব যুক্তি দেয় সেগুলো সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা। এতে কিন্তু ইসলাম ধর্মেরও ভাল হচ্ছে, ইসলামের কিছু কপট ধর্মবেত্তাদের চেনা যাচ্ছে।
এখানে কিন্তু কোন তর্কের অবতারণা করা হয়নি। আগেই বলেছি, আমার মতে এটা বিশ্বাসীদের জন্যও উপকারী। এখানে পাল্টা তর্ক দেয়ার কিছু নেই। বিশ্বাসীরা যাতে বিজ্ঞানের সাথে বিশ্বাসকে মেলানোর চেষ্টা না করে, তার জন্যই এই লেখা।
আমি আবারও বলছি, কুরআনে এ ধরণের সংখ্যাত্ত্বিক মাহাত্ম্যকে নিরুৎসাহিত করার জন্যই এই লেখা এসেছে, অন্য কোন কারণে নয়; আমার অন্তত তা-ই মনে হয়েছে।
আমি দুঃখিত এত দিন পর এসে পুরান কাসুন্দিকে আবার তুলে আনছি।
তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্যও আমি ক্ষমা চাইছি, আমার সহনশীল হওয়া উচিৎ ছিল। ব্লগের অন্যান্য কমেন্টগুলো পড়ে নিজেকে নিয়ে একটু লজ্জা লজ্জা লাগছে, আমি দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
@ মুহম্মদ,
আমি গুছায় কিছু বলতে পারিনা বলে বোধহয় আমার বক্তব্য সবসময়ি বোঝার অযোগ্য থেকে যায়।
দুটি কারণে আমার আপত্তি ছিল। তার একটা আলম ভাইয়ের পোস্ট।
দুনম্বর ও মূল কারণ, ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভীরু গোত্রীয় বলে ঝামেলা এড়িয়ে চলি। আমার দ্বিমত এই ব্লগের কন্টেন্ট নয়, সাবজেক্ট নিয়ে। এই বিষয়গুলো বিতর্কিত এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, যে শেষ পর্যন্ত একটা ঝামেলায় গিয়ে শেষ হয়। এ ব্লগে সবাই সহনশীল বিধায় মারাত্মক পর্যায়ে যায় না, কিন্তু ঝামেলা যে হয়নি তা কিন্তু না। কাব্য ভাইয়ের ব্যাপারটা একটা উদাহরণ। আমি এই ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চাই।
এটা আমার ব্যক্তিগত মত। এটা যে যুক্তিযুক্ত নয়, আমি জানি, তবে এটা শান্তিতে থাকতে সাহায্য করে।
মুহম্মদ ভাইয়ের সাথে আমি একমত। আমার মনে হয় না এই লেখায় ইসলামকে কোনভাবে আঘাত করা হয়েছে। নিশ্চয় শুধু ১৯ সংখ্যার মহত্বের জন্যই আমরা কেউ ইসলামে বিশ্বাস করি না, বিশ্বাসের আরো অনেক কারন রয়েছে।
আমার মনে হয়েছে অন্যান্য ব্লগ এর থেকে সি সি বি-র অন্যতম পার্থক্য হচ্ছে এখানে কেউ গায়ের জোরে কথা বলে না সবাই যুক্তি দিয়ে কথা বলে। যে কোন বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় বাধা থাকা কি ঠিক?
কামরুল ভাইয়ের সাথে একমত। শেষ প্যারায় এই কটাক্ষটুকু না থাকলে ব্লগটা আমার দৃষ্টিতে মডারেট না করলেও চলত।
~x( :thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইবার মডু পরছে প্যাঁচে। খিকয্...
(বিঃ দ্রঃ সিরিয়াস বিষয়ে ফাইজলামি করার জন্য দুঃখিত 🙁 )
সামিয়া, তোমার বক্তব্যকে সম্মান জানিয়েও বলি, এই পোস্টে কোনো ধর্ম বা 'পবিত্র' গ্রন্থকে অসম্মান করা হয়নি। কোরআন নিয়ে কিছু মানুষের তৈরি করা মিথের জবাব দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমরা সুস্থভাবে এসব নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক করতে পারি; ব্যক্তি আক্রমণ বা কারো বিশ্বাসের প্রতি কটাক্ষ না করেই। কিছু সিরিয়াস বিষয় নিয়ে সুস্থ বিতর্কও যদি না করা যায়- তাহলে ব্লগটা শুধু স্মৃতিচারণ আর মজা করার জায়গা থাকবে। যা একসময় আকর্ষণও হারাতে পারে বলে আমার আশংকা। এসবই আমার নিজস্ব মত। তুমি বা অন্য কেউ একমত নাও হতে পারো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
মারাত্মক একটা পয়েন্ট তুলে ধরলেন।
এর আগে সিসিবি যখন ওয়ার্ডপ্রেসে ছিল তখন অনেকেই আসতো। দুই এক সপ্তাহে সমানে স্মৃতিচারণ টাইপ লেখা দিয়ে হারিয়ে যেতো। এমন কী এই স্মৃতিচারনের কারণে আমি নিজেও ব্লগে অনেক দিন অনুপস্থিত ছিলাম। একই ধরণের লেখা আর কয়দিন আকর্ষণ করতে পারে।
কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি খেয়াল করেন। কত বিষয় নিয়ে লেখা আসছে। একই ধরণের লেখা পড়তে হচ্ছে না। সিসিবি এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন এই ব্লগে সারাদিন পড়ে থাকা যায়- অনায়াসে।
:hatsoff: :hatsoff: :guitar: :guitar: :guitar: :guitar:
Life is Mad.
সানাউল্লাহ ভাইয়ের সাথে আমি একমত।
ভালো লেখা। যুক্তির খেলা। এক্ষেত্রে মুহাম্মদের চমৎকার মন্তব্য আমার আরো ভালো লেগেছে। উদ্ধৃত করি :
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানাউল্লাহ ভাই, আপনি এই ব্লগের সবচেয়ে সিনিয়র, আর আমি এত্ত ছোট, কোন ভাবে বেয়াদবী হয়ে গেলে অবশ্যই মাফ করে দিবেন।
একমত আবার একমত নই। সিরিয়াস বিষয় নিয়ে অনেক পোস্টই এসেছে, আমরা তাতে প্রাণবন্ত অংশও নিয়েছি। সুতরাং আকর্ষণ হারানোর ভয়টা তেমন থাকছে না।
তবে বিতর্কিত বিষয়গুলো আমরা এড়িয়ে তো চলতেই পারি? আমি নিজে কখনই এধরণের পোস্টে মন্তব্য করিনা, আমার বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে আমি থাকি। আজকে কেন করলাম, এবং এখনো কেন চালিয়ে যাচ্ছি আমি জানিনা।
অফটপিকঃ সানাউল্লাহ ভাই, আজকে পেপারে এবিসির খবরটা পড়লাম, আপনাকে এবং এবিসিকে নতুন করে অভিনন্দন এবং :salute:
ঠিক বলছিস... একবার মরতে হবে তারপর আবার জীবিত হতে হবে। তারপর বোঝা যাবে কে ভুল। এর আগে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না, না তুই না আমি।
রাজনীতি আর ধর্ম খালি বিভেদই বাড়ায়। আমরা কিন্তু এই জিনিসগুলো খেয়াল করেই ব্লগের রেডবুক বানানো হয়েছিল।
দোস্ত এইসব নিয়ে বিভেদ বাড়িয়ে লাভ আছে? যার বিশ্বাস তার কাছে।
তোর বিশ্বাস নিয়ে আমি টান দেই নাই কিন্তু। একজন একটা জিনিস ভুল ব্যাখ্যা করেছে- সেইটা খালি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম।
ধর যে, আজকে একজন মানুষ মিরাকল ১৯ লেখে গুগল করলো বাংলায়। তাহলে তার কাছে শুধু এক পক্ষের মতটাই উঠে আসবে (অর্থাৎ এর পক্ষে বাংলায় আজ পর্যন্ত অনেক লেখা হলেও ভিন্নমতটা উঠে আসে নাই)। তাই সে চাইলেও একটা ভুল মেসেজ পাবে। ভিন্নমতটা ওঠানো জরুরী। তুই হয়তো বলতে পারিস, এখানে কেন। তাহলে আমি বলবো- যেহেতু সিসিবিতেই এর আগে একটা পোস্ট এসেছে তাই এখানে করাটাই যুক্তিযুক্ত।
সিসিবির রাজনৈতিক পোস্ট বিভেদ বাড়িয়েছে বলে তোর মনে হয়?
এরপরও যদি তোর পরিষ্কার না হয়ে থাকে, তাহলে সামিয়াকে উদ্দেশ্য করে সানাউল্লাহ ভাইয়ের মন্তব্যটা পড়। ঐটাই আসল কথা।
ধর্মের কথাটা এড়ায় গেলি। থাক...
পোষ্টটা কিন্তু কেউ গ্রহণ করে নাই। ব্যক্তিগত আক্রমণ ছিল এই অভিযোগে।
তুই মনে হয় ভুল বুঝলি আমি কিন্তু আমার বিশ্বাসের কথা বলি নাই, কার কথা বলছি বুঝতে পারতেসিস নিশ্চয় এখন।
রেডবুকের নিয়ম তোরাই বানাইছিস। তোরা যদি বলিস ঠিক আছে তাহলে অবশ্যই ঠিক আছে। আমি শুধু বিভেদটার কথা বলছিলাম।
না এড়াই নাই। এটাই ধর্ম নিয়ে প্রথম পোস্ট। আগেরটায় মন্তব্য অপশন ছিল না। তাই ধর্ম নিয়ে বিভেদের ব্যাপারটা বাদ দিসি।
মারাত্মক দুঃখ পেলাম তোর এই মন্তব্যে। এই "আমরা" কারা?? এই "আমরা" কি রেডবুকের মাধ্যমে তোর উপর কিছু চাপিয়ে দিসে? রেডবুকটা করা হয়েছে সবার মতামতের প্রতিফলক হিসেবে।
এই পোস্টের কনটেন্টের উপর মন্তব্য করতে পারিস। বাকী বিষয় নিয়ে তোর সাথে পরে কথা হবে। এখানে না।
:)) :))
দেখছিস ক্যামনে শুরু হয়।
হাসনাইন
অত্যন্ত দুঃখজনক মন্তব্য। তোরা বলতে তুমি কাদের বুঝিয়েছো ঠিক পরিষ্কার নয়। সিসিবিতে এখনো এমন অবস্থা হয়নি যে আমরা-তোরা বলতে হবে। সিসিবি আমাদের সবার।
আর পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলতে হয়, এটা অনেকের মতামত পাওয়ার পরেই হয়েছে। অন্তত আমি যতটুকু জানি। তোমার সুবিধার জন্য আমি বেশ কিছু কমেন্ট কোট করতে পারি, যাতে বুঝা যাবে ধীরে ধীরে সব ধরনের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ থাকার জন্যে সবার মতামত ছিলো।
১.
আজ যে বিষয়টা আমরা এড়িয়ে চলব, কাল সেটা নাও করতে পারি।
২.
আলোচনা আরো গড়াক।
৩.
আমি ব্যাক্তিগতভাবে এসব পোস্ট মডারেট না করার পক্ষপাতী।ব্যাক্তিগত আক্রমণ ছাড়া চলুক না প্রাণবন্ত আলোচনা।
৪.
প্রনবন্ত আলোচনা হলে আমারো আপত্তি নাই। আমার মনে হয় এর জন্যই তো ব্লগ।
সুতরাং এই ধারাবাহিকতায় রেডবুকে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তুমি , আমি আমরা সবাই সেই পরিবর্তনের অংশীদার। সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট কারো দিকে আঙ্গুল না তুলাই ভালো।
ভালো থেকো। 😀
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
কামরুল ভাই এভাবে আলোচনা করে লাভ হয়েছে। ব্যাপারটা আমার মত আরও অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আশা করি ভবিষ্যতে যুক্তির বিপরীতে পাল্টা যুক্তি আসবে। এটা যদি পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তাও কি ঠিক আছে?? তাহলে আমার আর বলার কিছু নাই।
আমার মন্তব্য দূঃখ দিয়ে থাকলে আমিও দুঃখিত।
দোস্ এখানে বিভেদ হওয়ার সম্ভাবনাই নাই। তুই যদি আইইউটি-তে আমার আর ফাহিমের মধ্যে হওয়া ঝগড়ার কথা না শুনস তাইলে এবার আইইউটি-তে আয়, আমি তোরে কমুনে। আমি আর ফাহিম একদিন পুরা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছিলাম। ঐদিনই অবশ্য আমি সবার সামনে আমার বিশ্বাসের ঘোষণা দিছিলাম। ফাহিম আর আমারে দেইখা মনে হইছিল, আর জীবনে বোধহয় দুইজনে দুইজনের মুখের দিকে তাকামু না। কিন্তু বাস্তবে কি হল, এক ঘণ্টা পরেই আবার যেই ছিল সেই। আমাদের নিয়মিত আড্ডাতেও কিন্তু এ ধরণের জোড়ালো তর্ক হয়, তাই বলে কিন্তু বিভেদ হয় না। ৫১৬-র আহসানের সাথে কিন্তু আমার সিরিয়াস ঝগড়া হইছিল একসময়, কিন্তু বন্ধুত্ব একটুও কমে নাই।
তাই বিভেদ হওয়ার টেনশন নিস না :hug:
মুহাম্মদ,
ফাহিমকে তুই তিন বছর বা তার থেকেও বেশিদিন ধরে চিনিস, একসাথে থাকিস। বোঝাপড়াটা অনেক ভাল। যেমন আমার একটা কমেন্টে দেখ। অন্য কেউ হলে কিন্তু পাত্তাই পেত না, কিংবা জবাবটা আরও রুক্ষ হতে পারত। খুব কাছের মানুষ বলেই কিন্তু কামরুল ভাই আর রায়হান ব্যাপারটা হালকা ভাবে নিয়েছে। অন্য কেউ হলে ব্যাপারটা এত সহজ হত কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অন্য ব্লগের সাথে এই ব্লগের একটা প্রধান পার্থক্য হচ্ছে আমরা সাবাই একটা পরিবারের মত, যেখানে অনেককেই স্বশরীরে না দেখেও শুধু কলেজ আর সিনিয়রিটি দেখে শ্রদ্ধা জানাই। আমরা এটাও চাইনা কেউ এই ব্লগ ছেড়ে চলে যাক(আগেও এমন একবার ঘটেছে)। ভবিষ্যতে আরও অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তোরা আরও অনেক ব্লগে লেখিস তাই ভালভাবেই জানিস। তোদের দায়িত্ব অনেক বেশি। অনেকে হয়ত আমার মত বা তার চেয়ে অপত্তিকর মন্তব্য দিয়ে বসতে পারে। তাই ধৈর্যের পরীক্ষাটা অনেক কঠিন।
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মানুষেরে ঘৃণা করি'
ও কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি' মরি'
ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর ক'রে কেড়ে,
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে।
পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! - মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ; - গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো !......।
---কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
নজরুলের কবিতা সবাই জানি। তুমি কি কারনে ব্যাবহার করেছো সেইটা ভাব সম্প্রসারন করো প্লিজ। 'মানুষ এনেছে গ্রন্থ; - গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো'............... এই লাইনের ব্যাখ্যা দিলেই চলবে। আমি কি মানি তা নিয়ে লিখতে চাই না। কারন
১.
আমিও জানি সবাই জানেন। কবির নাম দিয়েছি মানে এই না যে শুধু আমি জানি। কবিতার লাইনের আগে/পরে কবির নাম দিতে হয়, এই জন্যে দিয়েছি। নিজের জ্ঞান জাহির করার জন্য না। 😀
২.
আমি আমার পছন্দের কবিতা হিসেবে ব্যাবহার করেছি। এই পোস্টে একটি গ্রন্থের মাহাত্ম্য বিষয়ক আলোচনা হচ্ছে। কবিতার এই লাইন কয়টিতেও সেই বিষয়ে কবি তার নিজের অনুভূতি বলেছেন। আমার অনুভূতির সাথে তার মিল আছে। আমি সেই জন্যে ব্যাবহার করেছি। 😀
৩.
ভাইয়া, আমার জ্ঞান খুব সীমিত। সেই সীমিত জ্ঞানে আমি যা বুঝি তা হলো এই লাইনের মানে হচ্ছে, পৃথিবীর কোন গ্রন্থই মানুষের চেয়ে মহান নয়। সবার উপরে মানুষ সত্য।
আমি জানি আপনার পড়াশুনা আমার চেয়ে অনেক বেশি। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন, শিখে নেবো। বড়ভাইদের কাছ থেকে কিছু শিখতে পারবো বলেই না এখানে আছি। 😀
৪.
আপনি কি মানেন বা না মানেন তা আমি জিজ্ঞেসও করছি না। 😀
রায়হান একটা কমেন্টে লিখেছে
রায়হানের পোস্টটাকে আমি এই ভাবেই দেখেছি; কেউ যদি শুধু ১৯ এর মাহাত্ম্য দিয়েই কোরানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে চায়; সেইটা ভুল এবং রায়হান সেই ভুল ধরানোর চেষ্টা করেছে। এইটাই এই পোষ্টের শেষ কথা মনে হয়েছে।
কিন্তু তোমার নজরুলের কবিতার ব্যাবহারে আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম ঠিক কি কারনে ওই কবিতা। যদিও এখানে সবার উপরে মানুষ না কোরান; তা নিয়ে কথা হচ্ছিলো না। তুমি যে একেইবারেই আভিধানিকভাবে ওইটার ব্যাখ্যা করবা ওইটা বুঝি নাই। যদিও আমি একটা আভিধানিক খটকা থেকেই তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম।
.. বলতে যদি কেউ বুঝায় কোন মানুষ কোরান লিখেছে (যেমন বুঝিয়ে ছিলো সালমান রুশদী); তাহলে কিন্তু আমার ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত লাগবে। সেই ক্ষেত্রে আমি এই পোষ্ট না হলেও তোমার মন্তব্য এর ব্যাপারে আপত্তি জানাতে চাইবো।
যদিও আমি দুটি বাক্য ব্যাবহার করেছি কিন্তু বলতে চেয়েছিলাম দ্বিতীয় বাক্যটি শুধু। প্রথম বাক্যটি ছিলো ভূমিকার মতো। আর একজন এক্স ক্যাডেট সীমিত জ্ঞানের হলেও নজরুলের এই কবিতা জানে... এই বিশ্বাস রাখার মতো সাধারনজ্ঞান আমার আছে। মূল বিষয়ের সাথে সাথে এইসব সাধারন বিষয়ে preach করে তুমি আমায় কতোটুকু নিচু দেখাতে পারলে আর কতটুকু আত্মতৃপ্তি পেলা সেই হিসাব তোমার জন্যই রেখে দিলাম। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি শুধু মূল বিষয় কে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্যই তুমি অপ্রয়োজনীয় বাক্যগুলোরও ব্যাখ্যা দাওনি। 🙂
এই অংশটুকু তোমার কমেন্টের জবাব অংশে দেয়াটা আমার ভুল ছিল। কারন এইটা ছিলো এই পোষ্ট সম্পর্কিত আমার ধারনা। আর এই জন্যই মূল পোষ্টের একটি বাক্যকে একটু পরিবর্তন করে উদ্ধৃত করেছিলাম। তাই শুধুই তোমাকে আমার মত জানানোর জন্য কথাটা লিখিনি। 😕
তোমার কমেন্টের জবাবটা লিখেছিলাম তাড়াহুড়ো করে, বুঝিনি আমার কমেন্টারও ভূল ব্যাখ্যা হবে। মানুষ প্রতিনিয়তই শিখে। আজকেও শিখলাম, CCB এর মতো হাল্কা মেজাজের ব্লগ হলেও আমার আরও বুঝে শুনে কমেন্ট করা উচিত ছিলো। 🙁
ভাইয়া
আমি কিন্তু একবারো আলাদা করে কোরান বলিনি। আমি বলেছি, পৃথিবীর কোন গ্রন্থই মানুষের চেয়ে মহান নয়। সবার উপরে মানুষ সত্য। এই অনুভূতি থেকে আমি কবিতাটা ব্যবহার করেছি।
আমি নিজে যা বুঝে কমেন্টে কবিতা দিছি সেইটা ব্যাখা করছি। এখন সেটা আভিধানিক হয়ে যাওয়ায় কি ভাল হলো না খারাপ হলো সেটা বুঝতে পারছি না। 😀
এই লাইনের এই ব্যাখ্যা করলে নজরুল স্বয়ং কবর থেকে উঠে এসে আপত্তি করবে, আপনার আপত্তি করতে হবে না। :bash:
কি কন এইগুলি!! এর চেয়ে এক কোপে ঘাড় থেইকা আমার কল্লাটা আগে ফালাইয়া দিলেন না ক্যান? এই ছিলো আপনার মনে ! ~x(
আমি আগেই বইলা নিলাম না ভাইয়া , ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন, শিখে নেবো। বড়ভাইদের কাছ থেকে কিছু শিখতে আমার কখনোই আপত্তি নাই। 😀
মাঝখানে ঢুকে পড়ার জন্য দুঃখিত। আমার মনে হয় নজরুল,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ; - গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো !
এই লাইনটি, "মানুষ গ্রন্থ লিখেছে" এই সেন্সে বলেননি। কারণ, নজরুল নিজেও তো ধর্মে বিশ্বাস করতেন।
তিনি বোধহয় এই সেন্সে বলেছিলেন যে, মানুষ এসেছে বলেই গ্রন্থ এসেছে। সেটা ঈশ্বরই পাঠিয়েছে, কিন্তু মানুষের জন্য। ব্যাপারটা এমন না যে, গ্রন্থকে পরিপূর্ণ করার জন্য মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। বরং মানুষকে পথ দেখানোর জন্যই গ্রন্থ পাঠানো হয়েছে।
আমি এই কবিতাটাকে এভাবেই বুঝি।
আমরা একুশে ফেব্রুয়ারীতে যেই গানটা প্রভাত ফেরীতে গাই, শুধু ওই অংশটুকু শুনলে মনে হবে 'আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী' একটা করুন রসের গান; কিন্তু গানটার দ্বিতীয় অংশটা হচ্ছে বীর রসে লেখা ও সুর করা দারুন উদ্দীপ্তময় একটা গান। ঠিক তেমনি কাজী নজরুল ইসলাম 'মানুষ' কবিতার শুরুটা 'করুন রসে' করেছেন। উনি দেখিয়েছেন কিভাবে নির্মম ভাবে ধর্মের পুরোহিত অথবা ইমামরা ধর্মকে ব্যাবহার করছে আর ওই মুসাফিরকে তাড়িয়ে দিচ্ছে মন্দির-মসজিদ থেকে। কোন ধর্মই মানুষকে হেয় করার শিক্ষা দেয় না, তাই কবিতার পরের অংশে নজরুল 'বীর রসে' ধিক্কার জানিয়েছেন ওইসব ভন্ড ধর্ম রক্ষাকারীদের। বলেছেন মানবিক ধর্ম সবার উপরে। ধিক্কার জানিয়ে ভেঙ্গে ফেলতে বলেছেন ওইসব মতলবী ধর্মাচারীদের মসজিদ কিংবা উপাসনালয়।
এখন যদি আমি পুরো কবিতা না পড়ে; কখন কি কারনে নজরুল ধিক্কার জানিয়েছেন ধর্মকে, কি কারনে মসজিদ ভাঙ্গার কথা বলেছেন তা চিন্তা করেই শুধু নজরুলকে উদ্ধৃত করি
মনে হবে নজরুল ধর্ম তো মানেনই না বরং রীতিমত মসজিদ ভাঙ্গার কথা বলেছে।
যদি এই অংশটা বাদ দিয়ে আবার শুরু করি
মনে হবে নজরুল বলেছেন, মানুষের মুখ থেকে ধর্মগ্রন্থ কেড়ে নেয়া উচিত কারন এইগুলো মানুষের তৈরী ধর্মগ্রন্থ।
কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে অন্য। আমিও মুহম্মদের মতো বুঝি
রায়হানের এই পোষ্ট কিংবা আলমের পোষ্টে কোথাও ১৯ এর সংখ্যাতত্ব ব্যাবহার করে মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছিলো না। বরং কিছু মানুষ নিজের বিশ্বাসের ব্যাপারে আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাচ্ছিলো। আমি মনে করি আমরা যারা যা বিশ্বাস করি তা এতো ঠুনকো না। এত সহজে একটা পোষ্টে তা বদলে তো যাবেই না এমনকি বিশ্বাসও বাড়াবে না কিংবা দ্বিধারও সৃষ্টি করবে না।
তাই এখানে নজরুলের কবিতার ব্যাবহার আমার কাছে সামঞ্জস্যপূর্ন মনে হয় নাই। আমাদের দেশের অনেক ইমাম/মোল্লাহরা নিজের স্বার্থমত কোরান হাদীসের তাফসীর করে ফতোয়া জারী করে; অথবা শুধু হাদীস উদ্ধৃত করে নিজের লাভের জন্য হাদীসটির প্রেক্ষাপটটা চেপে যায়। ফলশ্রুতিতে দেশের মূর্খ মানুষ কষ্ট ভোগ করে (হিল্লাহ বিয়ে একটি উদাহরন)। এইসব কোনো ব্যাপারে এই কবিতাটার ব্যাবহার করা যায় যেখানে মনুষত্ব্য ধর্মের হুমকিতে পড়ে।
কিন্তু এই পোষ্টে মানবিক কোনো লাভ ক্ষতি হিসাব নেই। ১৯ এর সংখ্যাতত্ব দিয়ে মানুষকে ছোট করা হচ্ছে না। আমি সিলেট ক্যাডেট কলেজের সুরমা ভবনের ক্যাডেট, সুরমা নদী আমার পছন্দ; তাই আমি যেমন গঙ্গার পানি বন্টন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি সুরমার পানি বন্টন নিয়ে কথা বলতে পারি না। তেমনি অন্যদিকে শুধু আমার যুক্তির পক্ষের কবিতার লাইন গুলো ব্যাবহার করি তাহলে তা অনেকটাই ওইসব মতলবী মোল্লাহদের মত হবে যারা নিজের স্বার্থ অনুযায়ী হাদীস উদ্ধৃত করে এবং প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা চেপে যায়।
কামরুল প্রথম জবাবে লিখলো
আবার দ্বিতীয় জবাবে লিখলো
যদিও যে গ্রন্থটির মাহাত্ম্য বর্ননা হচ্ছিলো তা তে কোরানকেই বুঝানো হয়েছিলো। যাই হোক এখন আমি বিশ্বাস করি কামরুল ঠিক এইভাবে কবিতাটাকে ব্যাবহার করে নাই। আমি মনে হয় একটু 'Pre-Occupied' হয়ে কমেন্টগুলো পড়ছিলাম। তাই কামরুলের কমেন্টকে একটু তির্যক ভাবে গ্রহন করে ছিলাম। 🙁 এই জন্য আমি দুঃখিত।
এহসান ভাই,
বেয়াদবি মাফ করবেন...সিসিবি কে হালকা মেজাজের ব্লগ বলায় আমি হালকা নয়, বেশ ভারী দুঃখ পাইসি...
আমরা সবাই যদি সিসিবি কে এমন হালকাভাবে নিই, তাইলে সিসিবি কখনো পূর্ণাঙ্গ ব্লগ হয়ে উঠতে পারবেনা...অন্য যেকোন ব্লগের চেয়ে আমাদের পারস্পরিক সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ, আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা অনেক গভীর বলেই আমি বিশ্বাস করি...এতোসব পরিণত মানুষ নিয়ে আমরা কেন শুধু হালকা মেজাজের কথাবার্তা বলব? দুঃখিত, কিন্তু শুধু হা-হা-হি-হি করার জায়গা হিসেবে অন্ততঃ আমি সিসিবি কে দেখতে চাইনা...
আবারো বলছি, বেয়াদবি হয়ে থাকলে মাফ করবেন...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
সাধু সাধু
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নাহ, ঘটনা আসলেই প্যাঁচাইয়া যাইতাছে। কই যে যাই।
বেশ কিছু শক্ত ভিন্নমত পাওয়া যাচ্ছে এই ব্লগের বিষয়বস্তু নিয়ে। আমি কারও পক্ষাবলম্বন না করে বলছি, আমাদের মনে হয় হাতের লাগামটা আরেকটু আস্তে আস্তে ছাড়া উচিৎ। এখানে আমি কোনভাবেই মডারেটরের হস্তক্ষেপের কথা বলছি না। অবস্থা এত খারাপ হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি সবারই এই ব্যাপারে মনযোগ দেয়া উচিৎ। ব্লগের বিষয়বস্তু আমার মতে আরেকটু ধীরে পরিবর্তিত হোক। তাতে পাঠকদের আত্তস্থ করতে সুবিধা হবে।
হ, :just: কুল থাকেন সবাই। 🙂
তৌফিক আমি আগেও দেখছি, এখনও দেখতাছি, তুমি আমার মনের কথা কইতে পার।
ঘটনা কি?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সবাইকে একটা অনুরোধ করি।
দয়া করে ব্লগের কন্টেন্ট নিয়ে কোন মন্তব্য থাকলে করুন। ব্লগ থাকবে কি থাকবে না সেটি পরিষ্কার করার জন্য এই ব্লগেই অনেকগুলো মন্তব্য হয়ে গেছে। সেগুলো পড়ুন। আর কথা না বাড়ানোর জন্য বিনীত অনুরোধ।
ব্লগটা লিখতে বিরাট কষ্ট হইছে। 😛
তোমার মূল বক্তব্য নিয়া দ্বিমত নাই। কিন্তু লেখাটা ব্লগে থাকা উচিৎ কি উচিৎ না- বুঝতে পারছি না। সুতরাং এটা নিয়েই কথা বলব। নতুন রেডবুক অনুযায়ী কর্তব্য ও অকর্তব্যগুলো বুঝে নিতে চাইছি।
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
লাবলু ভাই এবং মুহাম্মদের কমেন্ট দুটোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না যে, এই পোষ্টে কোন ধর্মকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করা হয়েছে কিংবা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, বরং এই পোষ্টের মাধ্যমেও আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি এবং নতুন ভাবে অনেক কিছু ভাবতে পারছি। সব মিলিয়ে এটা আমার কাছে একটি প্রোডাকটিভ পোষ্ট বলেই মনে হয়।
আবীরকে ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানতে পারলাম
একমত :thumbup:
ধন্যবাদ রহমান ভাই, কষ্ট করে পড়ার জন্য।
রহমান ভাই, আপনার প্রতি শ্রদ্ধাটা বেড়ে গেল।যতদূর মনে পড়ে আপনি ধর্মের প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ।যদিও এই পোস্টে ধর্মকে কটাক্ষ করে কিছু বলা হয়েছে বলে আমার চোখে পড়েনি তারপরেও অনেক ধার্মিক মানুষই(এ ধরণের আলোচনার সাথে পূর্ব পরিচয় না থাকার কারণে)হয়ত তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারতেন।আপনি করেননি।অন্যের ভিন্নমত নিজের সাথে না মিললেও সেটাকে "এপ্রিশিয়েট" করার যে উদারতাটুকু-এটা আমাকে আবার আপনি শিখালেন।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!
আমারো। :boss:
রহমান ভাইয়ের থেকে কপিরাইট নিয়া আমিও একই কথা বলতে চাই...
@মাস্ফ্যু, কামরুল,
আমার প্রতি শ্রদ্ধাটাও একটু বাড়ানো যায়? :awesome:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
দিলাম বাড়ায়া :tuski: :tuski: :tuski:
:shy: আমিও বারায়া দিলাম এই এত্তদিন পরে...
ঘটনা দেখি প্যাচ খাইয়া যাইতাছে এইখানে... 😕
আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত হলো, কুরআন এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য কোন গানিতিক বা অন্য কোন ধরনের মানবিয় যুক্তি/ব্যখ্যার প্রয়োজন নেই বা বিরুদ্ধে যুক্তি/ব্যখ্যা দিয়েও কোরআন এর কোন প্রকার ক্ষতি-বৃদ্ধি করা যাবে না। (এর পক্ষে আমি কোন যুক্তি দিতে পারব না, কারন এ ব্যাপারে আমি সীমিত জ্ঞানের অধিকারি,আর আমিও বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে প্রমান না করে শুধু বিশ্বাসই করি।)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কোন লাভও নেই। আমার ক্যাডেট রোল ৫৪৮, বিভিন্ন ভাবে আমি এটাকে ইউনিক প্রমান করতে পারব। তো লাভ টা কি? আমি মহাপুরুষ ক্যাডেট হয়ে গেলাম?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েয ভাই চেস্টা নিতে পারেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি আমার মন্তব্যের একটা লাইনের জন্য দুঃখিত। এটা ধর্মসংক্রান্ত নয়। আমি এই লাইনটা উঠিয়ে নিচ্ছি। (মন্তব্য এডিট করা যায় না বিধায় এই ব্যবস্থা)
আমার বক্তব্য আসলে যা, আমি পরের মন্তব্যে বলে দিয়েছি, ব্যাপারটা বিতর্কিত।
আর এই বিতর্কিত ব্যাপার চলতে দিলে এরা বাড়তেই থাকবে। আমার ব্যক্তিগত মতামত, যারা ধর্মে বিশ্বাস করেননা, তারা অনেক জেনেশুনে তারপরই করেননা। সুতরাং তাদের হেদায়েত করার চেষ্টায় লাভ নেই।
আর যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাঁরা বহু বিশ্বাস নিয়েই বিশ্বাস করেন। তাদেরকে বহু যুক্তি দিয়েও বুঝানো যাবেনা।
সুতরাং এই নিয়ে টানাটানি করলে একজন আরেকজনকে আঘাত করবে। যদি এমন কোন দিন আসে, যে একজন নাস্তিকের কারনে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, প্লীজ তাকে হেদায়েত করুন।
যদি এমন কোন দিন আসে, ধার্মিকের ধর্ম পালনের জন্য আপনার মাথা ধরে যাচ্ছে তবে তাকে বুঝাতে চেষ্টা করুন।
তার আগে নয়।
মাথা গরম করিস না। এই ব্লগে কোথাও বলি নাই যে, আপনার ধর্ম ভালো না, আপনি বিশ্বাস কইরেন না। এই ব্লগে ধর্ম আছে কী নাই, সেইটা নিয়েও আলোচনা করি নাই। একজন একটা মিরাকল দেখাইছে। সেইটা ভুল তা প্রমান করা হয়েছে। পোস্ট না পড়ে থাকলে পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো।
:no: :no: নিজের উদাহরণ দিবো না। তবে মুহাম্মদ ভালো উদাহরণ হতে পারে।
:)) আমি তোর পোস্ট পড়িনাই?
আমি নির্দিষ্টভাবে এই ব্লগের ক্ষেত্রে বলিনি, জেনারেলি বলসি, এই বিষয়গুলো নিয়ে।
আর ওই লাইনটা লেখার সময় মুহম্মদের কথা মাথায় ঘুরছিল, তবে exceptions cannot be examples.
এটা কোন এক্সেপশন না। পৃথিবীতে প্রতিদিনই যেমন অনেকে ধর্ম গ্রহণ করছে, তেমনি অনেকেই প্রতিদিন ধর্ম ত্যাগ করে মুক্তচিন্তাকে বরণ করছে।
অনেক হাউকাউ পড়লাম উপরে, আরও অনেক আছে নিচে। পড়ব। একটু জিরানোর জন্য দাড়াইলাম। দাড়ালাম যখন কিছু একটা কই।
আমি যদি কোরাআন শরীফের ১৯ তত্ত্ব না মানি আমি কি ইসলাম ত্যাগ করলাম? এইটা না মানা কি কবিরা গুনাহ। কোরাআন শরীফের ১৯ এইটা কি কোন মিরাকাল? কিছু মনে কর না, এটা আমার কাছে খুব হাস্যকর মনে হয়। @ সামিয়া।
আচ্ছা মনে কর আমি, কিংবা অন্য কোন ধর্মপ্রান কেউ এই পোষ্টটা দিল। যে পাক্কা হুজুর, কিন্তু বের করল ১৯ আসলে তেমন কিছু না, তাহলে রি-আকশন কি রকম হত? এত হাউকাউ কি হত?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই :just: :hatsoff:
এই পজিটিভনেসটাই দরকার
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
দুঃখিত ফয়েজ ভাই, আমি আসলে আপনাদের মত এত ম্যাচিউরড না তাই না বুঝেই এই হাউকাউটা করে ফেলছি, আমি আর না করার চেষ্টা করব। :shy:
তবে আমি এই ধর্ম ব্যাপারটাই টেনে না আনার পক্ষে।
ফয়েয ভাই
হক কথা
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সেইটাই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভিন্নমতটা থাকুক এইটাই আমি চেয়েছি। ধর্মের ক্ষতি করা নয়।
বুজছি, এইসব রায়হানের ষড়যন্ত্র। যেই হারে এই পোস্টের হিট কাউন্ট বাড়তাছে, ও এইটা লিখছেই এই লাইগা। 😀 😛
কমেন্টখেকো, হিট খেকো রায়হান :awesome: :awesome: :tuski: :tuski:
হিট আর কমেন্টখেকো রায়হানরে কইষা মাইনাচ :grr:
ব্যক্তিগতভাবে আমি লেখাটায় দোষের কিছু দেখি না। মনে হচ্ছে, অনেকে কোরানে ১৯ সংখ্যাটার মাহাত্ন্য বিশ্বাস করেন, আমার ভুল হতে পারে। ভুল যদি না হয়, তবে রেডবুকের ৪ নম্বর ধারাটার সাথে লেখাটা যায় না।
কই? কেউ তো বললো না এই কথা।
রেডবুকের চার নং পয়েন্ট বলে,
ভাইরে খলিফা রাশেদের এই মতবাদ ধর্মের জন্য ক্ষতিকর। কেন সেটা নিশ্চই বুঝছেন পোস্টটা পড়ে। তাই এটাকে ঝেড়ে ফেলে দিলে সেটা ইসলামের জন্য ভালো। সেক্ষেত্রে আমার লেখাটা ধর্মের একটা উপকার করলো।
তবে এতো মাহাত্ম বর্ণনা করা খলিফা রাশেদের কী হয়েছিল জানেন? মুসলিম একটি গ্রুপ তার এই থিয়োরি গ্রহণ করলেও, অন্য আরেক থিওরীর জন্য তাকে ২৯ টুকরা করে হত্যা করেছে।
অন্য আরেকটা থিউরি কি ছিল?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আরও অনেক কিছুই ছিল। গুগল করুন। জানতে পারবেন। না হলে কালকে সকালে। আজকে ঘুমাইতে যাই। সাড়ে তিনটা বাজে। 🙁 🙁
কইলামই তো ভুল হইতে পারে। যারা লেখাটার ব্যাপারে আপত্তি করতেছে, তাদের আপত্তি করার কারণটুকু বুঝতে চাইছি। আর কিছু না।
আরও একটা ব্যাপার আছে। তোমার লেখাটা হইল ১৯ সংখ্যার মাহাত্ন নিয়া, আলমের আর্গুমেন্টের একটা উদাহরণ ছিল ১৯ সংখ্যার মাহাত্ন নিয়া। একজন মানো আরেকজন মানো না। তুমি বিশ্বাস থেকে যুক্তি খেদানোর ট্রাই করতেছো, আর আলম বিশ্বাসের মাঝে যুক্তি খুঁজতেছে। আলমের লাস্ট প্যারাটা বাদ দিলে তোমার এই পোস্ট আর আলমের পোস্টের মধ্যে পজেটিভ নিগেটিভ সম্পর্ক বের করা যায় মনে হয়। 🙂
এসকিউস মি তৌফিক আমি এর মাঝে ঢোকায়।
আলমের পোস্টের সাথে এই পোস্ট মিলানোতে আমার তীব্র আপত্তি।
রায়হানের এই পোস্ট পড়ে মুক্তমনারা চিন্তার খোরাক পাবে আবার অন্ধবিশ্বাসীরা নতুন করে ভাববে।
কিন্তু আলমের পোস্ট? আলম ভাই, তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলছি,তাতে শুধু অর্ধশিক্ষিত হুজুরদের মসজিদে কথা বলার উপাদান বাড়বে, তাছাড়া বেশিরভাগের কাছেই তা আপরিপক্কের অযথা বাকচিত মনে হবে।
আমার কমেন্টে কেউ মাইন্ড করলে আগে থেকে সরি বলে গেলাম।
১...
২...
আমি কাল চিন্তা করলাম কেন আমার পোস্ট ফার্স্ট পেজে যায় আর আলমেরটা যায় না। আমি নিজের কথা বলি, নিজের বিশ্বাসের কথা বলি, নিজের বন্ধুদের কথা বলি। আলমও নিজের বিশ্বাসের কথা বলছে। অর্ধশিক্ষিত হুজুরদের কথা বলার উপাদান হয়তো বাড়বে। তবে অকাট্য যুক্তি দিয়ে ধর্মগুলোর অলৌকিকতা কে কবে প্রমাণ অথবা অপ্রমাণ করতে পেরেছে? একটা জায়গায় রায়হান আর আলম কাছাকাছি। রায়হান বলেছে, বিশ্বাস করলে যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করুন। আলম বলেছে, সে যুক্তির ধার না ধরেই বিশ্বাস করে। একবার শুধু সে ১৯ সংখ্যার মাহাত্ন্য টেনেছে।
আলম ভাইএর পোষ্টটা পড়তে চাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
//cadetcollegeblog.com/thinkpositively/1726
ধন্যবাদ নাজমুল।
পড়ে খুব ভালো লাগলো। চমৎকার লেখা।।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বিশ্বাস করেন এমন অনেকে যেমন আছেন তেমনি অবিশ্বাস করেন এমন অনেকেই আছেন। সেটার ব্যপারেই আলোচনা হচ্ছে ।
এবং এখানে কাউকে নির্দিষ্ট করে 'জ্ঞানপাপীর ‘মিথ্যা কলংক রটানো' বলা হয়নি। আগেরটাতে যেটা বলা হয়েছিলো। সুতরাং এখানে আমি দোষের কিছু দেখি না।
এটা একান্তই আমার নিজের মতামত।
এই পোস্টে মন্তব্য করতে ঢুকলাম।
*
পোস্ট ভাল হয়েছে। রায়হান অনেক খেটেখুটে লিখেছে বোঝা যায়। বালুর বস্তার উদাহরণটা ব্যাপক হয়েছে। কথা সত্য, কিছু অংশ ধরে এবং কিছু অংশ তুলে এরকম মিরাকল হয়তো দেখানো সম্ভব।
এইটুকু পছন্দ হওয়ার পরে রায়হানের পোস্টেই কোট করা কুরআনে ১৯ এর মাহাত্ম-র অংশটুকু পড়তে গিয়ে আরেকটা জিনিস নজর কাড়লো- কুরআনে ১৯ এর মাহাত্ম যেখানে যেখানে ধরা হয়েছে, সেটা কিন্তু বালির বস্তার মত করে ইচ্ছামত তুলে বা ধরে ফেলা হয়নি। দেখা যাচ্ছে-
প্রথম আয়াতে, বা সর্বপ্রথম নাযিল হওয়া ৫টি আয়াতে, এবং সর্বপ্রথম নাযিল হওয়া পূর্ণাংগ সুরায়, সর্বশেষ নাযিল হওয়া সুরায়, সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াতে। এবং আরও আছে পুরো কুরআনের আয়াত সংখ্যায় এবং সুরার সংখ্যায়ও।
রায়হানের কোট অংশটায়ও আমার কাছে মনে হয় নাই ড়্যান্ডমলি ১৯ এর মাহাত্মের জন্যে কুরআনের অংশাবলী চুজ করা হইছে। কারণ, সর্বপ্রথম সর্বশেষ এই ব্যাপারগুলিই এখানে ফোকাস্ড।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি যদি এখন কোন বালির বস্তা পাই, যেটার সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ বালির ওজন উনিশগ্রাম , বা মোট বালির সংখ্যা উনিশ দিয়া বিভাজ্য বা সব বালির মোট ওজনের সাথে উনিশের কোন ক্যারিশমা আছে, আমি অবশ্যই সেই বালির বস্তার দিকে ভিন্ন নজরে তাকাবো। এইটারে আমার মানবিক দুর্বলতা ভাবতে পারো, সমস্যা নাই।
এই কারণে, বালির বস্তা সংক্রান্ত কথাটা আকর্ষণীয় লাগলেও কুরআনের সাথে মিল দেখানোর ব্যাপারটা পুরাপুরি ধোপে টিকে নাই বলে মনে হলো।
তবে রায়হান যেটা করেছে, মিরাকলটা বের করেছেন যিনি, তার হিসাবে এবং হিসাবের ধরণে যে কিছু টেম্পারিং আছে, সেটা নিয়ে কথা বলেছে, এই জায়গাগুলা বেশ ভাল। নতুন কিছু জানলাম।
*
আগেও বলেছি, পোস্ট ভাল হইছে।
কিন্তু এই পোস্টটা সিসিবি-র উপযোগী কি না, সে বিষয়ে আমার দ্বিমত রয়েছে। তার একটা প্রধান কারণ রায়হান তার পোস্টে রেফারেন্স টেনেছে মাহমুদুল আলমের একটা পোস্টের, যেটা সিসিবির নিয়মানুযায়ী এইখানে ব্যানড।
আলমের পোস্টটা আমি পড়েছি। ওইখানে সে এই ১৯ এর মাহাত্ম বর্ণনা করেছে। এবং লিংকটিংক দিয়ে ইঙ্গিতে নাকি ব্যাক্তিআক্রমণও করেছে।
যাই হোক, আলমের পোস্টটা এখানে রাখার পক্ষপাতী আমি ছিলাম না, এবং একই কারণে রায়হানের এই পোস্টটারও সিসিবিতে থাকার বিপক্ষে আমি।
যদি এই পোস্টটা রাখা হয়, তাহলে আলমের পোস্টটাকেও তুলে আনা হোক, দরকার হলে আপত্তিকর অংশটুকু মডারেট করেই আনা হোক, মডুদের তো সেই ক্ষমতা রয়েইছে।
তা না হলে এই দুইটা পোস্টই সরিয়ে দেয়া হোক।
কারণ, দুইটা পোস্টই, এখানকার অনেকের বিশ্বাসে আঘাত করেছে, ( যেটা উপরের অনেকগুলা মন্তব্যে প্রমাণিত), এবং যেটা সিসিবি-র রেডবুকের পরিপন্থী।
www.tareqnurulhasan.com
একদম মনের কথা বলছেন।
গুড পয়েন্ট।
আমি ওই পোস্ট তুলে আনার পক্ষে। কারন সারাজীবন তো স্পর্শকাতর বিষয় বলে এটি এড়িয়ে যাওয়ার অবকাশ নাই। তার চেয়ে গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা (ব্যক্তি আক্রমন না করে) করার অভ্যাস এখন থেকেই না হয় তৈরী হউক।
কিন্তু লেখকের অনুমতি ছাড়া মডু কি সেটা প্রকাশের পর এডিট করবেন? আরেকটা কথা হচ্ছে, আলম তার পোস্টে নিজেই কমেন্ট অফ করে দিয়েছিলেন, আমি যতদুর জানি পোস্ট সরিয়ে দেয়ার সেটাও একটা কারন। কারো মতামত জানতে না চাইলে সে পোস্ট প্রথম পাতায় রাখার কোন মানে হয় না।
এ দুটি ব্যপার পরিষ্কার হবার পরই কেবল আমরা মডুকে ডাকতে পারি।
এই নিয়মটা এপ্রুভড কিনা জানা নাই। এরকম অনেক পোস্ট থাকতেই পারে যেখানে লোকে মন্তব্য চায় না, শুধু চায় ব্যাপারটা সবাই পড়ুক। ব্যক্তিগত দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে লেখা মন্তব্য অফ করা পোস্ট প্রথম পাতায় অনেক দেখেছি।
তবে আলমের পোস্টটা এইখানে আলাদা কারণ ওইটা ধর্ম বিষয়ে লেখা। রায়হান উপরে দেখলাম এক জায়গায় লিখেছে আলম নাকি ঐ পোস্টে ধর্ম-প্রচার করেছে। আমার সেইটা মনে হয় নাই। বরং মনে হইছে আলম ওইখানে নিজের বিশ্বাসের কথা লিখছে এবং স্পষ্টতই বলছে যে ও কোন যুক্তির ধার ধারে নাই।
আসলে, রায়হানের এই পোস্টটা বেশ চমৎকার পোস্ট, যদি কেউ আলোচনা করতে চায় তাহলে। আজ থেকে এক মাস আগে হয়ত সিসিবিতেই এই পোস্ট পড়তে আমার অস্বস্তি হতো না।
কিন্তু এই পোস্টের শানে নূযুলের কারণেই এখন এটা বিতর্কিত। এবং এই ট্যাগিংটা রায়হানের নিজেরই করা।
www.tareqnurulhasan.com
কামরুল ভাই, মডুদের জন্য কষ্ট না হইলে মডারেশনের আগে লেখককে জিজ্ঞাসা করে নেয়া যেতে পারে। বা লেখককেই আপত্তির কথা জানিয়ে সু্যোগ দেয়া যেতে পারে লেখা পরিবর্তনের জন্য।
তবে কমেন্ট বন্ধ করার আগে পোস্টে লেখক কেন কমেন্ট বন্ধ করেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে পারেন। মডুরা ব্যাখ্যা পছন্দ না হলে প্রথম পাতা থেকে লেখা সরিয়ে দেবেন।
আপনাদের কি মনে হয়?
কুরআনে ১৯ এর বিষয়টা বালির বস্তার মতো এত ড়্যান্ডম না, সেটা মানতেই হবে। কারণ, কুরআনের মধ্যেই আবার "ইহার উপরে উনিশ" বলে একটা আয়াত আছে। তাই আমি বালির বস্তাটাকে স্থূল উদাহরণ হিসেবেই নিচ্ছি। কিন্তু এখানে সেই মাহাত্ম্য বের করতে গিয়ে, খালিফা যে ভণ্ডামি করেছেন তাতে কিন্তু আর সন্দেহ থাকছে না। উনি কোন নির্দিষ্ট নীতিও অনুসরণ করেননি। যখন যেভাবে গণনা করলে মিলে যায় সেভাবেই গণনা করেছেন।
কুরআন থেকে অনেক সংখ্যার জালই বের করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মগ্রন্থেই এমন জাল থাকে। মুসলিমরা বলে, ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ বিকৃত হয়ে গেছে। বিকৃত হয়ে যাওয়ার পরও তাদের সেই গ্রন্থে যে জাল আছে সেটার কাছে কুরআনের এই জালও হেরে যায়। কাব্বালাহ-র সংখ্যাত্ত্বিক দিক নিয়ে অনেক লেখা ইন্টারনেটে আছে।
আমার দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, এসব জাল যত ইচ্ছা বের করা হোক, কোন অসুবিধা নেই। এগুলোর মাধ্যমে যদি ধর্মের প্রচার বাড়ানো যায়, তো বাড়ুক না। কিন্তু এটাকে "Mathematics" বললেই কিন্তু আর সহ্য করা যায় না। সবখানে লেখা থাকে "Mathematical miracle of Quran" এই লেখাতেও বলা হয়েছে, এটাকে কোনভাবেই গণিত বলা যায় না। এ ধরণের সংখ্যাতাত্ত্বিক ধাঁধার সাথে গণিতের কোন সম্পর্ক নেই। একটা সম্পর্ক অবশ্য অস্বীকার করতে পারব না: গণিত থেকে এক্ষেত্রে যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ এগুলো ধার নেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, বিজ্ঞানকে এক্সপ্লয়টেশনের কাজে লাগানো ঠিক না, এটা এক ধরণের অপরাধ। তার চেয়ে যদি বলা হয়, "Numerological miracle of Quran" তাহলে হতো।
কুরআনের চেয়ে জটিল সাংখ্যিক জাল অনেক সাধারণ কিছুতেও বের করা হয়েছে। একটা সাইটের লিংক দিলাম, বাইবেল, তোরাহ, কুরআন সহ অনেক কিছুতেই সেখানে মিরাকল খুঁজে পাবেন:
- http://www.answering-islam.org/Religions/Numerics/
- http://www.greaterthings.com/Word-Number/CenterofBible/Psalm118.htm
এখানেও বাইবেলের কিছু সংখ্যাতত্ত্ব আছে।
তোরাহ-র মধ্যে পাওয়া এসব কোডের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের অনেকেই লিখেছেন। সেরকম একটা লেখার লিংক দিচ্ছি:
- http://cs.anu.edu.au/~bdm/dilugim/torah.html
এই numerology র সাথে জ্যোতিষ শাস্ত্রের কোন পার্থক্য নেই। জ্যোতিষীরাও কিন্তু অনেক কিছু মিলিয়ে ফেলতে পারেন। বর্তমানে সংখ্যাতত্ত্বকে বিজ্ঞান বলে উপস্থাপন করার চেষ্টা যেমন করা হচ্ছে, তেমনি জ্যোতিষ শাস্ত্রকে অনেকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।
@ তারেক ভাই,
বালুর বস্তার উদাহরণটা আমি এনেছিলাম- শুরুতেই পাঠকদের স্থুল একটা আইডিয়া দেবার জন্য। তারপরও জিনিসটা ধোপে টেকেনি- সেটা আমি মানবো না। কারণ আমি পোস্টেই বলেছি।
যেকোন বই থেকেই আপনি “বিশেষ কিছু অংশ”/অপশন বাছাই করতে পারেন। তারপর যেই যেই অপশন আপনার মিরাকল প্রমানে কাজে লাগবে তা রেখে (ধরুন সাত দ্বারা বিভাজ্য) বাকিগুলো ফেলে দিতে পারেন। কুরআনের ক্ষেত্রে যেমন, একটি শব্দের অক্ষর সংখ্যা, চ্যাপ্টারের সংখ্যা, নির্দিষ্ট একটি শব্দ সর্বোমোট কতবার ব্যবহৃত হয়েছে সেই সংখ্যা ইত্যাদি- ইত্যাদি গ্রহন করা হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি চাইলে অন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা, বিজোড় সুরার সংখ্যা, জোড় চ্যাপ্টারের সংখ্যা, বিজোড় চ্যাপ্টারে অতটি অক্ষর রয়েছে- জোড়টিতে কতটি রয়েছে ইত্যাদি নিতে পারেন। অর্থাৎ আপনি মাথা খাটিয়ে অসীম সংখ্যক অপশন/”বিশেষ অংশ” বাছাই করতে পারেন। ডক্টর খালিফা তাই করেছেন। অসংখ্য অপশন থেকে তিনি উনিশ দ্বারা বিভাজ্য প্রমান করা যায় এমন অপশনগুলো গ্রহণ করেছেন- বাকিগুলো ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু কুরআনে যদি আসলেই ঊনিশের মিরাকল থেকে থাকে তাহলে তা সব কিছুতেই থাকবে- শুধু মাত্র কয়েকটি জিনিসে নয়।
শুধু মাত্র এই উদাহরণ লিখেই আমি কিন্তু শেষ করে দেই নাই। বালির বস্তার উদাহরণে যাদের মন ভরবে না- তাদের জন্য পরবর্তীতে উদাহরণ ধরে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আড্ডা রাইখ্যা এখন চলেন সবাই জুম্মা নামায পইড়া আসি। 😕 😕
আমি জুম্মার নামাজ পড়তে যাইতেছি: আব্বু আর ছোট ভাইয়ের সাথে 😀
কিচ্ছু করার নাই 😛
😮 😮 😮 কস্কি?????
আমিও যাইতাছি। কিচ্ছু করার নাই :(( :((
নিজে পড়লেও আমার আম্মা অবশ্য জোরাজুরি করেনা 🙂 আর আব্বা নিজেই সংশয়বাদী।
রায়হান,
ছোটভাই হিসেবে দুই-একটা কথা বলি...আশা করব কিছু মনে নিবানা...
ব্যক্তিগতভাবে আমি এই লেখাটায় দোষের কিছু দেখি না, সিসিবিতে ধর্ম নিয়ে আলোচনায়ও আমার কোন আপত্তি নাই...কিন্তু মোদ্দা কথা হইল যে, ধর্ম নিয়ে বিতর্ক কইরা কেউ কোন শেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছাইতে পারবেনা, অপরের বিশ্বাসে তেমন কোন প্রভাবও ফেলতে পারবেনা...যার যার তালগাছ তার তার ই থাকবে, মাঝখান থিকা টাইম লস, এনার্জি লস...
আমার শুধু কষ্ট লাগে, তোমাদের মত এতো বিপুল সম্ভাবনাময় পোলাপানের অমূল্য টাইম আর এনার্জির অপচয় দেইখা...তোমরা যখন কষ্ট করে বাংলা উইকিপিডিয়া তে লেখালেখি কর, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে চাও, অথবা অসুস্থ সহপাঠীকে সাহায্য করার জন্য অসম্ভবকে বাগে আনার চেষ্টায় জান লড়ায়ে দাও- আমি মনে মনে তোমাদের প্রতি শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়ি, গর্ব করে সবার কাছে তোমাদের কথা বলি...কিন্তু যখন তোমরা ধর্মসংক্রান্ত বিতর্কের মত আনপ্রোডাক্টিভ কাজে সময় ও মেধা ব্যয় কর- আমি এর কোন জোরালো মোটিফ খুঁজে পাইনা...নিদারুণ অপচ্য মনে হয়...
তোমাদের মাঝে অসম্ভব সুন্দর আর শক্তিশালী এক আগুন আছে...সেই আগুনের আলোয় আমাদের পথ দেখাও...এখানে ওখানে সংশয়ের জঞ্জাল পড়ে থাকে থাক; জঞ্জাল পোড়ায়ে সেই অমূল্য আগুন অপচয় করার মত বিলাসিতা কি আমাদের মানায়?
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
রজার দ্যাট। 😀
সাকেব ভাই,
আপনি যদিও রায়হানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তারপরও এ প্রসঙ্গে আমি কয়েকটা কথা বলি।
ঈশ্বর আছে কি নেই, ঈশ্বর যদি থেকে থাকে তাহলে তিনিই ধর্মগুলো পাঠিয়েছেন কি-না- এসব আলোচনা সম্পূর্ণ আনপ্রোডাক্টিভ, এটা আমিও স্বীকার করি।
কিন্তু এই প্রবন্ধ এবং কুরআন-বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধগুলোকে কিন্তু আমার আনপ্রোডাক্টিভ মনে হয় না। কারণ ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে যে কোন সম্পর্ক নেই, সেটা বোঝাতে না পারলে কোনদিনই একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন সম্ভব না। ধর্মের নৃতাত্ত্বিক গবেষণাও বর্তমানে খুব প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। তাই ধর্ম বিষয়টিকে আমি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে চাই না। আমার কার্যক্রম মোটামুটি এরকম:
- আমার লেখালেখি এবং চিন্তাধারার শতকরা ৬০ ভাগ জুড়েই থাকে বিশুদ্ধ বিজ্ঞান ও দর্শন
- ৩০ ভাগ জুড়ে থাকে শিল্পকলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, যার মধ্যে ধর্মের নৃবিজ্ঞানও পড়ে
- আর ১০ ভাগ জুড়ে থাকে ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচন (যার মধ্যে ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান খোঁজার বিষয়টিও থাকে)
- আস্তিক-নাস্তিক তর্কও যে করি না তা না। কিন্তু এই সবকিছুকে দর্শনের মধ্যেই ফেলে দেয়া যায়। আমি ভেবে দেখলাম, আমরা তর্কের সময় যেসব বিষয় উত্থাপন করি তা দার্শনিকেরা হাজার বছর আগেই বলে গেছেন। কোন কঠিন যুক্তি দিয়ে নিজেকে খুব বস মনে হয়, কিন্তু আমরা ভুলেই যাই যে, এই যুক্তি নিয়ে সব আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। যদি না হত তাহলে এই উদ্ভাবনের জন্য আমরাই বিখ্যাত হয়ে যেতাম। তাই আমার মনে হয়, নিজে নিজে যুক্তি বের করে তর্ক করার চেয়ে দর্শন পাঠ উত্তম।
আমার কিন্তু মনে হয়, এই তিনটি কাজই হওয়া প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কঠিন কঠিন তাত্ত্বিক কথা শুনতে চায় না। সেই সুযোগে ধর্মব্যবসায়ীরা সহজ সরল ভাষায় লেখা ধর্ম ও বিজ্ঞানের জাঁকালো বইগুলো তাদের সামনে তুলে ধরে। তাই সেগুলোকে খণ্ডন করা প্রয়োজন। বর্তমানে দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানকেও সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। সাধারণ মানুষের কথা বাদ দেই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজও এই থার্ড ক্লাস বইগুলো দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। এই বইগুলো আছে বলেই, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞানের ছাত্ররাই সবচেয়ে বেশী বিজ্ঞানবিমুখ।
বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করি, এদেশের সবচেয়ে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরাই সামাজিক বিজ্ঞান কিংবা কলা অনুষদের ছাত্র।
মুহাম্মদের নামে কোন ফ্যান ক্লাব খুললে আমারে মেম্বার কইরা নিও।
এই পোলার চিন্তা ভাবনার গতি-প্রকৃতিতে আমি ব্যাপক মুগ্ধ!
রাপু খাপাং!
www.tareqnurulhasan.com
আমিও ব্যাপক মুগ্ধ :salute:
আমারে সাংগঠনিক সম্পাদকের পোষ্টটা দিও, আমি এই কাম ভালা পারি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তোমার কার্যক্রমের আনুপাতিক বিন্যাস ব্যাখ্যা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ...দ্যাট রিয়েলি মেকস সেন্স :hatsoff:
তোমার লেখা আমি আমার বউকে দেখায়া গর্ব কইরা বলছি যে, এই বস ছেলেটা আমার জুনিয়র...
দু"খিত; তারেক এর বেলায় এই ভাবটা নিতে পারিনা...কারণ আমার বউ আমার আগে থিকা দুষ্টুটাকে চিনে 🙁
কনফু, তুমিও বস :gulli:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আমার সারা দিনে চিন্তা খাওয়া-কাম-ঘুম-বাথরুম, বাথরুম-খাওয়া-কাম-ঘুম। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাল বলেছিস।
এরা যত্রতত্র আবর্জনা ছড়িয়ে যাবে আর তুই এর বিরুদ্ধে কিছুই বলতে পারবি না। এইটা হইল নাকি!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
গতকাল ব্যাক্তিগত কারণে আসি নাই সিসিবিতে এখন তো দেখি মিস হয়ে গেছে।
পোস্টটা ভালো হয়েছে রায়হান।তবে সাকেব ভাইয়ের সাথে আমি একমত বেশিরভাগ পয়েন্টে।তবে সাকেব ভাই একটু ভুল করছেন মনে হয়।এই পোস্ত ধর্ম নিয়ে তর্কাতর্কি নয় বরং কুসংস্কার আর মিথ্যার বিরুদ্ধে লিখা। আমাদের অর্ধশিক্ষিত ধর্মগুরুরা সুযোগ পেলেই ধর্মকে বিজ্ঞানের সাথে মেলাবার হাস্যকর চেষ্টা করেন ,মজা হলো বিজ্ঞানে কিছু বের হবার পর তারা তার সাথে ধর্মের সম্বন্ধ করে ফেলেন অথচ তারা জানেন না বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল।
আদম হাওয়ার স্বর্গচ্যুতি আর মানুষের আবির্ভাবের নৃতত্ত্বের বক্তব্য মেলাতে গেলেই তাদের বিজ্ঞান মনস্কতা খুব ভালো টের পাওয়া যায়।
আলমের পোস্টে কমেন্ট অফের ব্যাপরটা আমার কাছে খুব বিরক্ত লেগেছিলো সেটাও এখানে জানিয়ে গেলাম।
তবে আমার শেষ কথা যুক্তিতর্ক দিয়ে ধর্ম প্রমাণ অপ্রমাণ এর আড্ডা অমীমাংসীত থাকে।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্বাসী কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী নই। আমি আল্লাহতে বিশ্বাস করি ইসলামেও বিশ্বাস করি ,বিশ্বাস করি কারণ বিশ্বাস করতে ভালো লাগে।
কিন্তু সেটাকে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছাও নাই আবার কেউ অসাড় বললে তার সাথে বাকযুদ্ধে জড়ানোর অভিপ্রায়ও নেই।
তবে আমি আমাদের দেশে ইসলামের নামে যে উপমহাদেশীয় তথাকথিত মুসলিম কালচার পালিত হয় তার ঘোর বিরোধী।সে জন্য এই পোস্ট কে সাধুবাদ জানাই।
@আমিন ভাই,আমাদের দেশের সব মুসলমান আপনার মত হইলে ধর্মের দোহাই দিয়া রাজাকারের বাচ্চারা দেশটারে জাহান্নাম বানাইতে পারতনা।আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে সংশয়বাদী,কিন্তু আপনেকে আর আপনের বিশ্বাসের স্বচ্ছতাকে সেলাম জানাই।সাবাস বস!ইউ এন্ড রহমান ভাই মেড মাই ডে!
আমিও এই সুযোগে আমিন ভাই এবং রহমান ভাইকে :salute: জানিয়ে যাই।
আমি তোমার ডুপ্লিকেট।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মাথা গরম হয়ে যাইতাছে। শুধু ব্লগ এডুর কাছে একটা দাবী আছে। আলম যদি চায়, তার পোস্টের শেষ প্যারাটা মডারেট করে ওর পোস্টটা প্রথম পাতায় আনা হোক। রায়হানেরটাও থাকুক। স্বচ্ছতার জন্যই এটা দরকার।
এরপর আমি আমার নিজের মোটিভটা জানিয়ে যাই কেন আমার দাবী এরকম। ব্যক্তিগতভাবে রায়হানের পোস্ট বা আলমের পোস্ট- কোনটাই আমার বেশি বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী করে দেয়নি। আমি বিশ্বাস করি আমার নিজের টার্মসে। আমি কড়া সংশয়বাদী ছিলাম। মেশিন ভিশন পড়ার সময় আমার নিজের মধ্যেই একটা বোধ আসে যে, মানুষের দুই চক্ষুর মতো ফ্যান্টাস্টিক জিনিস এমনি এমনি আসে নাই। কেউ ডিজাইন করছে। কোন যুক্তি নাই, কেবলই একটা মনে হওয়া। এবং এই মনে হওয়াটাই আমাকে বিশ্বাসীতে পরিণত করেছে।
আলমের পোস্টে ব্যক্তি বিশ্বাসের প্রতি কটাক্ষ আছে, আমি দ্বিমত করব না। আলম ১৯ সংখ্যার মাহাত্ন্যে বিশ্বাস করে। রায়হানের পোস্ট এসেছে আলমের পোস্টের সূত্র ধরে। রায়হানের পোস্ট যদি প্রথম পাতায় থাকে আলমেরটাও থাকা উচিৎ, অবশ্যই তার অনুমতি সাপেক্ষে আপত্তিকর অংশগুলো বাদ দিয়ে।
ইম্পরটেন্ট পয়েন্ট মিস করছ।
আলমের পোস্টে কমেন্ট অফ।কমেন্ট অফ করা মানে হলো, লেখাটা নিজের সংগ্রহে রাখতে চায়।কোন ভিন্ন মত গ্রহন করবে না।
যদি আলোচনা সমালোচনার অবকাশ না থাকে তবে প্রথম পাতায় থাকার দরকার কী?
ওর নিজের সংগ্রহে থাকার জন্য ওর ব্লগে তো থাকছেই।
তাই না।
মাথাটা ঠান্ডা করে চিন্তা করো।
আমার কথায় মাইন্ড খাইলে সরি।
কেউ যদি মন্তব্য না চায়, না চাইতেই পারে। ব্লগে আমি যখন লিখি মন্তব্যের জন্য লিখি না। পাইতে ভালো লাগে। ব্লগে লিখি কারণ লিখতে ভালো লাগে। ব্লগে লিখি কারণ আমার মতই আরো কিছু মানুষ আমার লেখা পড়ে। সিসিবিতে লিখি, কারণ এখানের পরিবেশ ভালো লাগে। এইটা আমার ব্লগিং-এর দর্শন।
সিসিবির নিয়ম কানুনগুলো কিন্তু এখন আস্তে আস্তে তৈরী হচ্ছে। আমাদের সবার সাথে সাথে সিসিবিও শিখছে। প্রথম পাতায় থাকতে হলে মন্তব্য করতে দিতে হবে- এই আইন তখনো তৈরী হয়নি। ওই পোস্ট থেকেই আইনটা আমি শুরু করতে পারতাম।
আমার মাথা ঠান্ডাই আছে। 🙂
বড় হইছি তো, বিয়াও করছি। 😀
তো লাষ্টে কি হইল, আলম কেসের, বুঝতাছি না। আইছে, নাকি আহে নাই? আলম ওর পোষ্টরে সাইজ করছে নাকি করে নাই?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
more importantly scientists dont need a designer as an explanation for the existence of eye is because they understand the mechanism and origin of eyes, there has been at lest a couple of hundred papers submitted about how eye evolved simply within one million year after cambrian explotion. you may have a look at this to get a simplified understanding of how eye evolved http://www.youtube.com/watch?v=2ybWucMx4W8
Making a computer see was something that leading experts in the field of Artificial Intelligence thought to be at the level of difficulty of a summer student's project back in the sixties. Forty years later the task is still unsolved and seems formidable. A whole field, called Computer Vision, has emerged as a discipline in itself with strong connections to mathematics and computer science and looser connections to physics, the psychology of perception and the neuro sciences.
One of the likely reasons for this half-failure is the fact that researchers had overlooked the fact, perhaps because of this plague called naive introspection, that perception in general and visual perception in particular are far more complex in animals and humans than was initially thought. There is of course no reason why we should pattern Computer Vision algorithms after biological ones, but the fact of the matter is that
(i) the way biological vision works is still largely unknown and therefore hard to
emulate on computers, and (ii) attempts to ignore biological vision and reinvent a sort of silicon-based vision have not been so successful as initially expected.
Despite these negative remarks, Computer Vision researchers have obtained some outstanding successes, both practical and theoretical.
- Oliviera Faugeras, excerpted from the forwarding of Multiple View Geometry in Computer Vision by Andrew Zissermann
তুমি তোমার আগ্রহের ফিল্ড থেকে রেফারেন্স দিলা, আমি আমার পড়ার ফিল্ড থেকে রেফারেন্স দিলাম। মেশিন ভিশন নিয়া রিসার্চ করতে গিয়ে আমার চোখের ডিজাইনের উপর ভক্তি শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে। আমি বিজ্ঞানী না, নিতান্তই মিস্তিরি টাইপ মানুষ। তাই নিজের আশপাশ থেকেই শেখার চেষ্টা করি। লিংকটা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে বায়োলজি নিয়ে কোন আগ্রহ পাই না বলে দেখবো না। আর ব্যস্তও আছি খুব। পেপারেরই ডুইবা আছে গত দুই মাস ধইরা।
আর আমার কমেন্টগুলা পড়ে দেখো, দেখবা আমি কিন্তু বিবর্তনবাদ খন্ডানোর চেষ্টা করি নাই। আমার মনে হয়েছিল সিসিবির নীতিমালা প্রয়োগ করার সময় স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে না, তাই আমি বোঝার চেষ্টা করেছি এবং নিজের যুক্তিগুলো বলেছি। আমার বিবর্তনবাদ নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই। অবসরে ইতিহাস পড়ি ইচ্ছা হইলে, না হইলে সস্তাদরের পেপার ব্যাক।
one hundred and fifty years old creationist argument which so far has been refuted one hundred and fifty thousand times. lets call it a great design, shall we? the optic nerves passing through the middle of retina leaving a blindspot on the eyesight- do you really call it a good design?
in fact "it has been designed" is not an explanation its rather an absence of explanation. the so called term explanation which is essentially breaking down a complex mechanism into simpler ones, doesnt cover that designer, as the designer who is surely ought to be much more complex than the object he designed is invoked to explain the designed object which is simpler.
if you still like to use the complex designer to explain the simple designed then you need to come up with explanations how the designer came to be. as you said, "eye which is complex can not simply pop into existence, it must be created" then your designer who is much more complex should also be created as he also can not simply pop into existence isnt it? who designed the designer then? a more complex designer? would you really like to go for an endless loop of gradually complex designers then?
at this point creationists usually say, "well our magic daddy is exempted from this basic law of nature, nothing can pop into existence except the magic daddy" which doesnt make any positive sense.
জুবায়ের অর্ণব
বাংলায় লিখো।
উপরের ডিস্ক্লেইমারটা দেখার পরও তুমি নিয়মিত ইংরেজিতে মন্তব্য করে যাচ্ছো। আপত্তিকর।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
জনাব মাহমুদুল আলম, তোমারে আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা অনুরোধ করি। রাখতে হবেই এরকম কোন কথা নাই। ইচ্ছা হইলে রাখতে পারো, না হইলে নাই। তোমার পোস্টের শেষ প্যারাটা পরিবর্তন করো। ব্লগ এডুর মনে হয় না কোন আপত্তি থাকবে লেখাটাকে পূর্ণ স্ট্যাটাস দিতে।
আমাকে ভুল বুইঝো না, তোমার ঐ পোস্টের বিরাট ফ্যান আমি না। ভিন্নমত প্রথম পাতায় থাকলে মতেরও থাকতে হবে। আমার নিজের মাঝেই ব্লগিং কেন করবো- এরকম সংশয় দেখা দিচ্ছে। ওই সংশয় ভাঙ্গতেই তোমার পোস্টের এডভোক্যাসি আমি করতেছি।
থ্যাংক্স তৌফিক, আমি তোমার কথাগুলাই বলতে চাইছিলাম। কিন্তু গুছায়ে বলতে পারি না, এইটাই মুশকিল।
তোমারে অনেক ধন্যবাদ।
www.tareqnurulhasan.com
আপনার প্রথম মন্তব্যে তো আমি একই কথা বলতে চাইছিলাম। গুছায়ে বলতে পারি না, আপনি বলে দিছেন। আপনারেও ধন্যবাদ আমার কথাগুলো বলে দেয়ার জন্য। :hatsoff:
তারেক ও তৌফিকের সাথে আমি একমত। আমিও তুলে আনার পক্ষে মত দিলাম।
কিন্তু আমাদের মতামতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ন আলম সাহেবের সাড়া পাওয়া। আলম এই পোস্টে ঘুরে গেছে। কমেন্টও করেছে, কিন্তু এই নিয়ে কোন মতামত দেয় নি। আর তার মতামত না পেলে আমরা মডুকে এই নিয়ে দৃষ্টিপাত করতে অনুরোধ করতে পারি না। 😀 😀
এই বেলায় আমি কিছুটা হতাশ হলাম আলমের প্রতিক্রিয়ায়।ভাই এটা মুক্ত আলোচনার জায়গা।
তুমি কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃখিত।
কিন্তু তৌফিক এবং কামরুল ভাইয়ের কথাটাই শেষ সমাধান মনে হচ্ছে সিসিবির ভালোর জন্য।
আমারো মনে হয় মত ফার্স্ট পেজে নাথাকলে ভিন্ন মত থাকা যায় কিন? কিংবা ভিন্নমত থাকত্বে হলে আগে মতটা থাকতে হবে।
তবে , ব্যাক্তিগত আক্রমণ আর কমেন্ট অফ এর ব্যাপারটা মডারেটেড হবে অবশ্যই আলমের অনুমতি সাপেক্ষে।
আর কমেন্ত অফ কেউ রাখলে সেটা প্রথ পেগে আসবে না। এই নিয়ম থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।
কারণ কমেন্ত অফ মানে আপনি মত প্রতি মত চান না।শুধু সংগ্রহে রাখতেই লেখা।সো আপনার ব্লগে সংগ্রহে থাক।প্রথমপাতায় দরকার নাই।
আমি এই প্রস্তাব এডু মডুদের প্রতি রাখছি।
অফিসিয়ালি আমার আর কোন কথা নাই। এটা পরিষ্কার যে, আলম তার পোস্ট পরিবর্তন করতে চায় না। তার ব্যক্তিগত ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানালাম। :hatsoff:
রেডবুক আপডেটের পোস্টটায় আলোচনায় ঠিক হয়েছিল যে, ব্লগাররা যেরকম চাইবে, ব্লগও সেরকম চলবে। এ প্রেক্ষিতে দুটো ব্যাপার প্রস্তাব করছিঃ
১...
কমেন্ট অফ থাকলে প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে না। তবে মডুদের বিবেচনায় লেখকের ইচ্ছা সাপেক্ষে কমেন্ট অফ থাকা লেখাও প্রথম পাতায় আসতে পারে।
২...
ব্লগ এডু কোন পোস্ট মডারেট করলে সাধারণত কারণ দর্শিয়ে করেন। এটা খুবই ভালো। তবে এডু বলে দিতে পারেন যে, মডারেশনের কারণটুকু যদি লেখক পরিবর্তন করেন তবে লেখা প্রথম পাতায় আসবে। এতে করে লেখক জানবেন যে, সিসিবি অবশ্যই তার লেখা চায়, শুধু আপত্তিকর অংশগুলো বাদে। মডারেট করে ডিসকারেজ করার বদলে উৎসাহিত করা হবে তাহলে।
অনেক ধন্যবাদ।
ভিন্নমত। কমেন্ট অফ থাকলেই প্রথম পাতায় আসবে না। তাহা যাহাই হোক না কেন। যদিও লেখকের বিশাল সদিচ্ছা থাকে আর মডুদেরও পরান আই-ঢাই করে প্রথম পাতায় দেয়ার জন্য, কোন লাভ নাই।
আমার মত।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কমেন্ট অফ থাকলে আমিও লেখা প্রথম পাতায় আনার পক্ষপাতী না। লেখক মন্তব্য চায় না মানে সেই লেখা তার নিজের পাতায় সরিয়ে দিলেও কোন হেরফের হবে না।
এই বিষয়টা নিয়ে এখনো সিসিবিতে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। বাকি আরো কিছু মতামত পাওয়া গেলে একটা সিদ্বান্তে পৌছা যেতো। যদিও এখানে আলোচনা না করে রেডবুক সঙ্ক্রান্ত পোস্টে আলোচনা করলে ভালো হয়। এখানে পোস্টের কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা করলেই লেখক বেশি খুশি হবে। 😀
কামরুল ভাই, আমি এই বিষয়ে একটু ভিন্নমত দিতে চাই। যদি কোন লেখক শুধু মাত্র কোন তথ্য(যে কোন ধরনের) সবাইকে জানানোর জন্য একটি পোষ্ট দিয়ে থাকেন এবং মনে করেন বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য না হওয়ায় ভাল, সেই বিবেচনায় মন্তব্য অপশন অফ রেখেছেন কিন্তু তথ্যটি সবার জানা উচিৎ তাহলে পোষ্টটি প্রথম পাতায় থাকা উচিৎ।
একান্ত ব্যক্তিগত মতামত, আশা করি পরবর্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিষটি বিবেচনায় থাকবে।
কয়েকজন এর কমেন্ট পড়ে ভালো লাগলো
চমৎকার পোস্টটির জন্য রায়হান কে ধণ্যবাদ।
'সবাই বলে ভাল তাই আমিও বলি ভাল' এভাবে আর কতদিন ?? 'প্রশ্ন করা যাবে না', 'সন্দেহ প্রকাশ করা যাবে না' ... তারচেয়ে বরং যুক্তি-পাল্টাযুক্তি হোক ... জোড় করে কেউ চাপিয়ে দিলে তাকে 'প্রতিষ্ঠা' বলা যায় না। আমি নিজ থেকে বুঝতে চাই তাই আমার 'বিতর্ক' ভাল লাগে ... যার যুক্তি স্ট্রংগেস্ট ... আমি তার সাথে একমত।
"বাকীর আশায় নগদ পাওনা" ছাড়ার আগে আমি নিশ্চিৎ হয়ে নিতে চাইলে তাতে দোষের কিছু থাকার কথা না। আর সেক্ষেত্রে নেগেটিভ, পজিটিভ দুই ধরণের মতামত পেলে 'বিশ্লেষণে' সুবিধা হয়। একচেটিয়ে ভাল শুনে শুনে ...
আমি এই ধরনের পোস্টকে পজিটিভলি নেই। কারো বিশ্বাস আরও বদ্ধমূল হোক, কারো সন্দেহ বারুক, ক্ষতি কি ?? আমার বিশ্বাস যদি এরকম একটা পোষ্ট পড়লেই নড়বড় করে আর সেই ভয়ে আমি এরকম পোষ্ট দিতে অনুৎসাহিত করি তবে আমার বিশ্বাসের দূর্বলতা আমার নিজের কাছেই উন্মোচিত হয়।
এইধরনের পোষ্টে যদি কারও কাউন্টার-যুক্তি থাকে, যদি ভুল প্রমান করে দিতে পারে ... সেটা আরও ভাল। তাই বলে 'আমার বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে' ভেবে মুক্ত আলোচনা বন্ধ হবে কেন ??
নিতান্তই ব্যক্তিগত মতামত। আমার মনোভাব ঠিকমত প্রকাশ হল কি না জানি না। মোদ্দা কথা হল ... এই ধরনের লেখা চলতে থাকলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপকৃত হব।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তাইফুর ভাইয়ের সাথে একমত । আমাদের এই পোষ্ট টাকে আসলে এক্যাডেমিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখা উচিত ।
তাইফুর ভাই, এত স্বচ্ছ আর স্পষ্ট করে বলেন ক্যাম্নে? :boss:
আপনার সব কথার সাথে পুরো একমত। এই পোস্টে আসলে, এ ধরণের পোস্ট থাকা উচিত কি উচিত না, বা এ ধরণের পোস্ট পড়লে কার কেমন লাগে সেই মন্তব্যগুলোর তুলনায়, পাল্টা যুক্তিপূর্ণ মন্তব্যের বেশী দরকার ছিল।
সেরকম মন্তব্য কেউ দেননি, এক তারেক ভাই ছাড়া।
অবশ্য বিষয়টা নতুন বলে মেনে নেয়া যায়। এরপর থেকে নিশ্চয়ই পোস্টের কন্টেন্ট নিয়ে বেশী মন্তব্য হবে। আমরা সেটা আশা করতে পারি। কারণ অধিকাংশ ব্লগারের মনোভাবই এক্ষেত্রে পজিটিভ।
সবশেষে, তাইফুর ভাইকে আবারও ধন্যবাদ।
এই লাইনটাই লেখতে চাইছিলাম, কিন্তু পেটে আইসাও আংগুলে আসে নাই। ধণ্যবাদ মুহাম্মদ :boss:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ঠিক কথা। তুমি পোলাটা পুরা মাল।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তাইফুর্ভাই হইতেছেন আমার মাল্মামা(রহ্মান্মামার মত)
এই পোষ্ট পড়ে অনেক্কিছু জানলাম... রায়হান কে ধন্যবাদ...
আমি মাঝে কয়েকদিন সিসিবি-তে সময় দিতে পারি নাই, নতুন টার্ম শুরু হইতেছে বইলা অফিসে প্যাঁচে ছিলাম।
আজকে বিকাল থেকে পড়তেছি পোস্ট আর কমেন্ট। আলমের পোস্ট পড়া নাই বলে একচক্ষু কাকের দশা, তাই এ বিষয়ে আমার মতামতটাই দিতেছি।
অনটপিকঃ কুরআনের কাব্যিকতা নিয়ে একবার একটা গ্রন্থ পড়েছিলাম। {যেমন রামায়ণ, মহাভারতকে আমি ধর্মগ্রন্থের চেয়েও বেশি মহাকাব্য বলে জ্ঞান করি- সেভাবে কুরআনকে নিতে পারি না পারিবারিক পটভূমির জন্যে।} প্রথমে বেশ হকচকিয়ে গেলেও পরে ভেবে দেখলাম আসলেই তাই! সত্য কি না জানি না, একবার সম্ভবত চ্যালেঞ্জ হয়েছিল, মহানবীর(স) জীবদ্দশাতেই, এটি মনুষ্য-রচিত প্রমাণের জন্যে বলা হয়েছিল কারও পক্ষে একটি আয়াতের সমান তাৎপর্যপূর্ণ আরেকটি বাক্য লিখতে। উপস্থিত সকল কবি ব্যর্থ হলে সম্ভবত একটি নতুন আয়াত নাজিল হয়েছিল। ঘটনাটি সত্য কি না জানি না বলেই এখন ভয়ে ভয়ে বলছি- কেউ জেনে থাকলে জানাবেন।
কাব্যিকতার কথা তুললাম, কারণ এই বিশ্লেষণেও একটা "গাণিতিক" হিসেব জড়িয়ে আছে। কবিতায় যেমন মাত্রা, ছন্দ ইত্যাদি থাকে সেরকম হিসেব করলে আসলেই অনেক ১৯ বা নানা-সাংখ্যিক হিসেব করা যায়।
অফটপিকঃধর্মবিশ্বাস আর বিজ্ঞানশিক্ষা পুরা মুদ্রার এপিঠওপিঠ। মুদ্রার কাছে দুইটাই জরুরি হইলেও একটা আরেকটাকে স্পর্শ করতে পারে না বলেই দেখি।
মডারেশন নিয়ে কিছু কথা, দু'টা পুরা বিপরীত মতামতের পোস্টকে আমি পাশাপাশি রাখতে চাই, পারলে একসাথে। এটা নিয়ে অন্য পরিসরেও দেখেছি তুমুল হৈ চৈ হয়। কোনও পোস্ট হুজুরদের কথা বলেও আমি তাকে ফেলে দিতে চাই না। কারণ সেই বিষয়টা যারা জানেন না তাদের জানার জন্যে হইলেও দরকারি। মানা, না-মানা পরের ব্যাপার, সেই মাইন্ডসেট একটা পোস্টে বদলাবে না। আর নিজের মতের বাইরের মত যতো বেশি সহিষ্ণুতা দিয়ে আমরা গ্রহণ করতে পারবো ততই মনে হয় এই ব্লগের জন্যে সেটা মঙ্গলময় হবে। সেই চর্চাটাও চলুক। জানালা খুলে আলোটা আসতে দেই, রাতের বেলা না হয় ধুলোটুকু ঝেড়ে ফেলা যাবে মন থেকে!
এটার সাথে একমত না। মুদ্রার কাছে দুই পিঠই গুরুত্বপূর্ণ, এটা ঠিক আছে। কিন্তু আমার মনে হয়, সবাই সেরকম মুদ্রা নন। যেমন আমার মুদ্রার একপাশে বিজ্ঞান থাকলে অপর পাশে দর্শন থাকতে পারে, ধর্ম না। আমার কাছে ধর্মের এক বিন্দু প্রয়োজনীয়তাও নেই।
কুরআনের কাব্যময়তার বিষয়টি ঠিকই বলেছেন। অনুরূপ একটি চরণ লিখে আন- এই ঘটনাও সত্য। আরবে সে সময় কবিতার খুব প্রসার ছিল। তাই সবার মন কাড়তে কুরআনকেও কবিতার মত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পার্থক্যটা খুব স্পষ্ট।
- মক্কী যুগে মুসলিম ছিল খুব কম। কাফিরদেরকে মুসলিম করতে তাই মক্কী সূরাগুলোকে বেশী কাব্যময় হতে দেখা গেছে।
- কিন্তু মাদানী সূরায় কাব্যময়তা তুলনামূলক কম। কারণ সেখানে মুসলিমদের শিক্ষা দেয়া হয়েছে: আইন ও ধর্ম শিক্ষা। তাই কাব্যের চেয়ে গদ্যই বেশী উপযোগী ছিল।
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে: কুরআনকে কবিতা না বলে বরং ছড়া বলা যেতে পারে। কারণ এতে ছন্দ মেলানোটাই মুখ্য ছিল। কাব্যময়তার চেয়ে ছন্দ মেলানোর চেষ্টাটাই আমার কাছে প্রকট মনে হয়েছে।
এ ব্যপারে আমার একটা দ্বিমত আছে। কারন সে সময় অনেকে দাবী করেছিল কুরআনের ছন্দের সঙ্গে তৎকালীন কবি ইমরাউল কায়েস এর কবিতার মিল আছে। এমনকি ওই কবির কন্যা একটি সুরাকে তার পিতার লেখা বলে দাবী করে। যা হোক ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে চাইনা। কেননা গুগুল করলেই এমন অনেক যুক্তি এবং পাল্টাযুক্তি পাওয়া যাবে। তবে এলেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ। আমার ভাল লেগেছে। কিছুদিন আগে মেইলে এই রকমভাবে কুরআনে কোন শব্দ কতবার এসেছে তা দিয়ে আনেক কিছু প্রমানের চেষ্টা হয়েছিল। তাই বলছি এগুলোর প্রতিবাদ না হলে এ ধরনের অপ্রাসঙ্গিক মিরাকল বাড়তেই থাকবে।
সহমত। রেফারেন্স দেখুন এখানে।
গতকাল পোস্টটি ব্লগে আসার পর কিছুক্ষণ অনলাইনে ছিলাম। দুটো মন্তব্যও করে গিয়েছিলাম। আজ কিছুক্ষণ আগে লগইন করে দেখি 'ভয়াবহ' অবস্থা। এই ভয়াবহ নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক অর্থে। যুক্তি-পাল্টা যুক্তি, তর্ক-বিতর্ক, আর দারুণ আলোচনায় পুরো পোস্টটা পূর্ণ হয়ে আছে। এতো সহনশীল আলোচনা আমি সাম্প্রতিক সময়ে কোথাও দেখিনি। সামুতে তো রীতিমতো গালাগালি চলে। সিসিবি যে একটা ম্যাচিউরড ব্লগ হয়ে উঠেছে এটাই তার প্রমাণ। :hatsoff: to u all. I fill proud to be a cadet and a member of this blog.
ব্যক্তি প্রসঙ্গ বলি। আমি সংশয়বাদী, আমার স্ত্রী ধার্মিক। সে নামাজ-রোজা করে, কখনো কখনো আমাকে সেটা করতে বলে। মাও বলেন। তবে আমি কখনো আমার স্ত্রীকে তার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আমি মনে করি একজন আস্তিক ধর্ম প্রচারটাকে গুরুত্ব দেন। এটাকে তারা মিশনারি দায়িত্ব মনে করেন। কোরআনেও বলা আছে, 'ধর্ম প্রচার কর'। কিন্তু একজন সংশয়বাদী তার মত প্রচারে উম্মুখ নন। কিন্তু ধর্মের নামে অপবিজ্ঞানের চর্চা হলে বা একে বিজ্ঞানসম্মত বানানোর চেষ্টা হলে সংশয়বাদীকে কথা বলতে হয়। ধর্ম হচ্ছে পুরোপুরি বিশ্বাসের ব্যাপার। এতে যুক্তির কোনোকিছু থাকে না। প্রশ্ন ছাড়াই একে গ্রহণ করতে হয়। একজন বিশ্বাসীকে আমি সম্মাণ করি। তার সঙ্গে চলতে কোনো সমস্যা দেখি না, যতোক্ষণ সে আমার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করছে।
আমার ছেলেকে অল্প বয়সে বাসায় হুজুর রেখে ধর্ম শিক্ষা দেয়া হয়েছে। আমার মা বা স্ত্রী কেউ এ ব্যাপারে আমার মত নেয়নি। হুজুরকে মাসে মাসে বেতনটা আমাকেই দিতে হয়েছে। তবে আমি মনে করি, একজন মানুষ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার পরই এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত নেবে। ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করে মূল্যায়ন করার পরই কারো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত সে বা তিনি আস্তিক বা নাস্তিক বা সংশয়বাদী হবেন। আমার ছেলেও আরেকটু বড় হলে আমি তাকে শুধু পড়তে বলবো, জানতে বলবো। নিজের সিদ্ধান্ত সে নিজেই নেবে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই
অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য সব সময় আমাদের জন্যে বিশাল অনুপ্রেরনা হয়ে আসে।
সিসিবির এই সহনশীলতাই আমাদের গর্ব। অন্য সব ব্লগের চেয়ে আমি সিসিবিকে একটু আলাদা মনে করি কারন আমরা একটি পরিবারের মতো। নিজেদের মধ্যে ইন্টারেকশন্টা এখানে অনেক বেশি আন্তরিক। কারন এখানে আমরা যারা আছি তারা অনেকেই ছোটবেলা থেকে এক সঙ্গে বড় হয়েছি। বাবা-মা'র কাছ থেকে একটু দূরে থাকার অভাব যে বড় ভাইরা দূর করে দিয়েছেন বা ছোট ভাইবোনদের মতো শ্রদ্বা আর ভালোবাসা দিয়ে যারা আপন করে নিয়েছিলেন তারাই সবাই এখানে একত্র হয়েছি। আমাদের সবার ছেলেবেলা এক, আমাদের সবার বেড়ে উঠা এক, আমাদের সবার গল্প এক আর তাই আমরা সবাইও আসলে এক।
এটা হয়তো রক্তের সম্পর্ক না কিন্তু ভালোবাসার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্কের চেয়ে কোন অংশেই কম না। সিসিবির তুলনা তাই শুধু সিসিবি।
কাউকে সরাসরি বা ইঙ্গিতপূর্ন ভাবে কোনরকম কটু কথা না বলেও যে নিজের বিস্বাস আর নিজের মত প্রকাশ করা যায় এই পোস্ট তার বড় উদাহরন। আমরা এই পোস্ট নিয়ে আলোচনা করেছি, যে লেখার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই পোস্ট তা নিয়েও আলোচনা করেছি। কোন ধরনের তিক্ততা তৈরী হয়নি। যুক্তি-পাল্টাযুক্তি আর আলোচনার পথে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে। রায়হান কে সে জন্যে ধন্যবাদ।
আপনার , তাইফুর ভাইয়ের, তারেকের , তৌফিকের, আমিনের, রহমান ভাইয়ের, আমিনের, মুহাম্মদের আলোচনা পড়তে আমার খুবই চমৎকার লেগেছে। আমিও অনেক কিছু জেনেছি, অনেক কিছু শিখেছি। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
আমিও ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় পরিবেশে বড় হয়েছি। বাবা-মা কে সেই ছোট থেকে এখন পর্যন্ত দেখে আসছি নিবিষ্ট মনে ধর্ম পালন করতে, নামাজ রোজা করতে। আমাকেও সেই শিক্ষা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু আমি নিজে চিন্তা ভাবনা আর পড়াশুনা করে যা বুঝেছি তাতে আমি এখন আপনার মতোই সংশয়বাদী। কিন্তু তাই বলে ধার্মিকদের অশ্রদ্বা বা ছোট করতে শিখিনি কখনো। কারন তাহলে তো আমার বাবা-মাকেই অশ্রদ্বা করা হয়, তাই না?
ধর্ম নিয়ে আমার যা পড়াশুনা তাতে একে আমি কখনো বিজ্ঞানের সাথে মিলাই না, মানে মেলানো যায় না আর কি। যারা বিশ্বাসী তার কোন রকম যুক্তির ধার না ধেরেই বিশ্বাস করেন, সেটাই করা উচিত। তাদের সেই বিশ্বাসকে আমি সম্মান করি। কিন্তু যুক্তি দিয়ে যারা ধর্মকে বিজ্ঞানের সাথে মেলাতে চান, তাদের জন্যে পালটা যুক্তি দেয়াটাও খুবই দরকার বলে মনে করি।
এই পোস্টে সেই আলোচনার সুযোগ তৈরী হয়েছে। আশাকরি ভবিষ্যতেও এই রকম গঠনমূলক আলোচনা হবে, মানুষের জীবন ব্যবস্থা নিয়ে, দেশ ও সমাজ নিয়ে, সিসিবি নিয়ে।
ব্লগের এডু-মডুদের অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার একটাই কথা, যেই বিশ্বাস অন্য কারো নিজস্ব মতামতে (সেইটাই তো ব্লগ) ভেংগে যাবার মত হয় (সেইটাই মনে হচ্ছে কারো কারো মন্তব্য পড়ে) ... সেই বিশ্বাস এর অর্থ কি ?
ভাইয়া, আপনার এই কথাগুলো খুব মনে ধরেছে। অনেক ভালোও লাগছে :boss: :boss: ।
Life is Mad.
দেখেন ধর্মকে আমরা কি বানিয়েছি:
বাংলা
http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=41850&cid=2
ইংলিশ
http://bdnews24.com/details.php?id=73239&cid=2
টেকনিকাল সাপোর্টের অভাবেই আমি এই দুর্দান্ত আলোচনাটা মিস করেছি। :(( :(( :((
আমার মনের কথা অনেক বড় ভাই, বন্ধু, এবং ছোট ভাইরা বলে দিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা...
ব্যাক্তিগত ভাবে আমিও লাবলু ভাইয়ের মত সংশয়বাদী। এসব আলোচনা আমাকে আলোর দিশারী করবে বলে আমার বিশ্বাস
ধর্ম যুক্তির বিষয় নয়। এটি বিশ্বাস। আর মানুষ মাত্রই তার বিশ্বাসে অটল থাকতে চায়। কাজেই এর ব্যাপারে তার স্পর্শকাতরতা স্বাভাবিক। তবু বিশ্বাসে যেন অন্ধতাব না ঢোকে তার জন্যই এ ধরণের আলোচনার প্রয়োজন আছে।
আর সেজন্য সিসিবিই সবচেয়ে আদর্শ জায়গা। কারণ-
১. এখানে সিনিয়র জুনিয়র শৃংখলা আছে।
২. ক্যাডেটরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গোড়া নয়
৩. ভুল শুধরে নিতেও কেউ দেরী করে না
৪. জুনিয়রদের প্রতি সিনিয়রদের একটা ঐতিহ্যবাহী দায়িত্ববোধ রয়েছে অন্ধতা মুক্ত করার ব্যাপারে
৫. সিসিবির পরিবেশের প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল.......কাজেই বড়জোর তর্ক বা বিতর্ক হতে পারে তবে সেটা অন্যান্য ব্লগের মত গালাগালিতে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা নেই
৬. আর ক্যাডেটরাই বা ধর্ম কিংবা রাজনীতিতে পিছিয়ে থাকবে কেন?
আমার মতে আলোচনা চলুক....তাতে জ্ঞানীর জ্ঞানক্ষনণের সম্ভাবনা নেই বরং অজ্ঞানীর(আমার মত) জ্ঞানী হবার সম্ভাবনা বাড়বে
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
x-( ~x(জ্ঞানক্ষরণ হবে
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
১। দুই দিন ছিলাম না। পুরা টিম নিয়া কক্সাবাজার মাতাইতে গেছিলাম, যদিও কামরুল বদটা ভাবছে তিন-দিনের তবলীগে গেছি, এইটা মিছা ধারনা।
২। আমি দেখছি এইসব পোষ্ট আমার অনুপস্থিতির সুযোগে হয়। এই ব্যাপারটার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
৩। ১৯ এর কিছু সংখ্যাতাত্ত্বিক ব্যাপার কোরআন শরিফে আছে। কিন্তু এটা এমন কিছু নয় প্রচারের জন্য। খুজলে অনেক খানেই এগুলো পাওয়া যাবে।
৪। সমস্ত কিছুই আসলে দৃষ্টি ভংগির ব্যাপার। কিন্তু একটা ব্যাপার মনে রাখা উচিৎ অন্যেরও একটা আলাদা মত আছে। তুমি এটা নাও মানতে পার, কিন্তু তাকে এটা বলার সুযোগ তোমাকে দিতে হবে। সমস্ত ধর্ম আর সংশয়বাদের (মুক্তমনা কইছে মুহম্মদ, পার্ট নিছে আর কি) মুল একটাই আর তা হচ্ছে "মানবতা" কোন টা সঠিক এটা প্রমান করতে গিয়ে বারবার যার লংঘন করছে সবাই।
৫। সিসিবি সবাই ম্যাচিউর হবে আমি আশা করি না। কিন্তু সবাই দেখছি ম্যাচিউর হয়ে গেছে।
৬। এই পোষ্টটের পিছনে আমার আজকে অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে, তাই রায়হান, অর পিছনে মাহমুদুল, আর ফোন করে এই পোষ্টের খবর দেয়ার জন্য কামরুল তিনজন লং আপ হই থাক তিন ঘন্টা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই
আমার ৩ ঘন্টা লং আপ হইয়া গেছে। 😉 এবার রায়হান আর আলমরে রগড়ানের দায়িত্বডা আমারে দ্যান। 😀 দেখেন কি করি। :))
দুইডার বডি থেইকা সিভিল পানি যদি না বাইর করছি তো আমি আর আপনারে মুখ দেখামু না। 😉 😉 😉
২:১১ থেকে ২:২৩ ....এর মধ্যেই তিন ঘন্টা হয়া গেল 😮 😉 ?
Life is Mad.
ফয়েজ ভাই, আমি মনে করি, ধর্মের উৎস কখনই মানবতা হতে পারে না। ধর্মের দৃষ্টিতে মানুষ গোলাম। ধর্মের মূল উৎস "ঈশ্বরবাদীতা", "মানবতা" নয়।
আর ধর্ম না সংশয়বাদ, কোনটা ঠিক এটা প্রমাণ করতে গিয়ে মানবতা লংঘন কি সবাই করেছে? সংশয়বাদীদের মানবতা লংঘন এবং ধর্মবাদীদের মানবতা লংঘন- দুটোকে মিলিয়ে দেখে কি আপনার এটাই মনে হচ্ছে?
ধর্মের কারণে যুদ্ধ হয়েছে, সেই যুদ্ধ কিন্তু ধার্মিক ও সংশয়বাদীদের মধ্যে হয়নি- হয়েছে এক ধর্মের সাথে আরেক ধর্মের, হয়েছে ধর্মের এক গোষ্ঠীর সাথে আরেক গোষ্ঠীর। সংশয়বাদী, অজ্ঞেয়বাদী, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, নাস্তিক- এদের দ্বারা এমন কি মানবতা লংঘন হয়েছে যার সাথে ধর্মীয় মানবতা লংঘনের তুলনা দেয়া যায়? আমি ফ্যাক্ট জানতে চাচ্ছি।
সবকিছুর শুরু স্বাধীন চিন্তা থেকে। দর্শনে "free will" নামে একটা পরিভাষাই আছে। সবার গুরুই তাই মুক্ত চিন্তা। এর উপরে কিছু নেই। "free will" পরিভাষাটি আজ থেকে প্রায় ২ হাজার বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে, লুক্রেতিওস (Lucretius) এটি চয়ন করেছিলেন। তাই আমি সবার আগে নিজেকে মুক্তমনা বলি, মুক্তমনা তারাই যারা শূন্য থেকেই চিন্তা শুরু করে। এই শূন্য থেকে চিন্তা শুরু করতে গিয়ে তারা অন্য মুক্তমনাদেরই দ্বারস্থ হয়। কিন্তু দ্বারস্থ হয়েই থেমে যায় না, বরং তাদের কাছ থেকে জ্ঞান নিয়ে তাকে সন্দেহের তীরে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। তাই, আগে মুক্তমনা তারপর সংশয়বাদী।
আরেকটা কথা ফয়েজ ভাই, আপনি এখন সংশয়বাদী হিসেবে আবু লাহাবের মত লোকদেরও পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু আমি এখানে সংশয়বাদী বলতে আবু লাহাবদের বোঝাচ্ছি না। আপনি কি বুঝিয়েছেন সেটা আমি জানি না। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, আপনি সংশয়বাদী বলতে যারা ধর্মকে সন্দেহের চোখে দেখে তাদের বুঝিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে সংশয়বাদী বলতে এমন লোকদের বোঝায়, যারা সবকিছুকেই সন্দেহ করে, এমনকি বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্যকেও। সংশয়বাদী বললে তাই অনেক সময় ব্যাপারটাকে স্থূল করে ফেলা হয়। এজন্যই এসব বাদ দিয়ে মুক্তমনা বলা দরকার। উল্লেখ্য, আবু লাহাব মোটেও সংশয়বাদী ছিল না, সে ছিল নিছক এক ধর্মব্যবসায়ী- সে নিজের বাপ-দাদার নিপীড়নমূলক ধর্মকে টিকিয়ে রেখে ব্যবসা করতে চেয়েছিল, নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিল।
১।
ইশ্বরবাদীতা আর মানবতা আমার কাছে কনফ্লিট করছে না। মানবতা মানুষের জন্য, ইশ্বরবাদীতা স্রষ্টার জন্য। কোন ভাল স্রষ্টাই বলেননি মানবতাকে নষ্ট করে ইশ্বরবাদের চর্চা করতে। কোন মানুষ যদি তা করে তবে তা নিজের স্বার্থের জন্য।
২।
এটা ঠিক বলেছ, মানবতা লংঘনের ঘটনা সবচেয়ে বেশী ঘটে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হাতে, চাই তা অন্য ধর্মের উপর হোক বা সংশবাদীদের হাতে হোক। কমূনিজমের মাঝে "শ্রেনী শত্রু" এবং "শ্রেনী শত্রু খতম" একটা ব্যাপার ছিল, অবশ্য এটার মুল ছিল পুজিবাদ। ধর্ম নয়।
৩।
হতে পারে। কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থায় দেখছি, মুক্তমনাদের প্রথম কাজ ধর্মকে অসার প্রমান করা। তাদের কাছে ধর্মকে নিয়ে ভাল কিছু বা এর পজিটিভ কিছু এখন পর্যন্ত পাইনি। তাই আমার কাছে এরাও এক ধরনের "মৌলবাদ"।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ধর্মের যথার্থতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে যদি সত্যিই প্রশ্ন থাকে তাহলে সে প্রশ্ন করাটা মৌলবাদ হতে পারে বলে মনে হয় না। কোন প্রশ্ন না থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্ধের মত জোড় করে ধর্মের পিছনে লেগে যায়, তাহলে সংজ্ঞামতে সে মুক্তমনা না। আমরা কি আসলে, কোন প্রশ্ন না থাকা সত্ত্বেও ধর্মকে অসার প্রমাণের চেষ্টা করছি?
আমার মনে হয় একটা বিষয়ে ভুল হচ্ছে: মুক্তচিন্তা কোন ডিগ্রি না যে, কেউ ঐ ডিগ্রি পেলেই মুক্তমনা হয়ে যাবে। যে স্বাধীনভাবে চিন্তা করে সে-ই মুক্তমনা। এর জন্য কোন ডিগ্রি লাগে না। কেউ যদি দর্শনে পিএইচডি করেও প্রথাসর্বস্ব কথা বলে যান তাহলে তো তাকে মুক্তমনা বলা যায় না।
মূলকে আঁকড়িয়ে ধরে থাকাই মৌলবাদ। কেউ যদি যুক্ত-প্রমাণের ধার না ধেরে এই কাজটা করেন তাহলেই সাধারণত তাকে মৌলবাদী বলা হয়। কিন্তু মুক্তচিন্তার প্রথম শর্তই হচ্ছে, কোন কিছুকেই অন্ধের মত আঁকড়িয়ে ধরে রাখা যাবে না। কেউ যদি ধর্মকে সত্য জেনেও ধর্মবিরোধিতাকে আঁকড়ে ধরে রাখে তবেই তাকে মৌলবাদী বলা যায়। ধর্মের মত একটা ভাইটাল বিষয়ের বিরুদ্ধে যদি এত যুক্তি থাকে তাহলে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাটাই প্রগতিশীলতা। আমার মনে হয় এ ধরণের যুক্তিহীন বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করাই একজন মুক্তমনার প্রধান কাজ।
সক্রেটিস থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের এডওয়ার্ড সাইদ বা জঁ পল সার্ত্র পর্যন্ত সকল মুক্তমনা প্রতিষ্ঠিত ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন, কারণ তারা একে ভুল মনে করতেন এবং এই ভুলটা মানুষকে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন। এদেরকে মৌলবাদী বলা অসম্ভব। তারা যুক্তি ও প্রমাণ ছাড়া কিছুই বলেননি।
yes, perhaps that is true. its because, sceptics essentially accept an idea if and only if its supported by evidence. an extraordinary claim requires extraordinary evidence. on the other hand believers accept something without evidence. they even keep believing if their belief is contradicted by evidence.do you think thats righteous?
আমার অবস্থান আমি আগেই বলেছি। আবার বলি, ধর্ম ক্ষতিকর না ধর্মান্ধতা ক্ষতিকর। যেকোন ধরণের এক্সট্রিমিজম কে না বলতে হবে।
একজন যদি দাড়ি রাখে নামাজ পড়ে তাকে দেখে আমার আৎকে উঠার কিছু নেই।কিন্তু আৎকে উঠতে হচ্ছে মৌলবাদের আগ্রাসনে। ধর্মের কিছু খারাপ দিক নেই তা আমি বলব না, এর প্রায়োগিক কিছু খারাপ দিক আছে, কিন্তু একটা কথা বলি যে ছেলেটা চিন্তা চেতনায় আধুনিক না সে ধার্মিক হলে তার দ্বারা মানব ক্ষতির আশঙ্কা কম( মানব কল্যানের ব্যাপরটা দূরে থাক); তুলনায় যদি সে ধার্মিক না হয়। কুসংস্কার ব্যাপারটা আছে ঠিক কিন্তু আমি মনে করি সেটা ধর্মের দোষ না ধর্মের কাঠি যাদের হাতে তাদের দোষ।
আজকালকার ধার্মিকেরা খুব বেশি সওয়াব গুনাহের হিসাব করেন ; ধর্মের আধ্যাত্মিক দিকটাই এর সবচেয়ে ভালো দিক ,অথচ সেটার থেকে বেহেশত দোজখ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো বেশি। আল্লাহকে খুশি করার চেয়ে পুরস্কার পাওয়া কিংবা শাস্তির ভয় যাদের কাছে বেশি, তাদেরকে যদি বুঝানো হয় খোদা নেই বা আখিরাত নেই তবে তারা লাগাম ছাড়া ছাগলের মত ঘুরে বেড়াবে। তার চেয়ে ধর্ম দিয়ে তাদের বেধে রাখা কম খারাপ অপশন।
এই যুগে এসে এরকম সেকেলে এবং শোষন মুলক কথা আমার নিজস্ব দর্শনের একেবারেই যায় না, তবুও মনে হল আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে
মুক্তমনা মতবাদ প্রচার না করাটাই যুক্তি সংগত। তার মানে অবশ্যই এই না সেকেলে কুসংস্কার মেনে নিব।একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত। আশা করি পরিষ্কার করতে পেরেছি।
আর তুমি যে মুক্তমানর সংজ্ঞা দিয়েছো এমন মুক্তমনার সংখ্যা বড়ই কম। বরং আজকাল নাস্তিকতা কিংবা সংশয়বাদ একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে নিজেকে আদুনিক প্রমাণ করায়। এমনি একজন আরজ আলী মাতুব্বর। অনেক আগে গাটের টাকা খরচ করে তার বই পড়েছিলাম। তার লেখা যঠেষ্ট হাস্যরস উৎপাদন করেছিল। তার লেখায় মনে হয়েছে তিনি খোদা আছে বিশ্বাস করতেন পরে তার উপর অভিমান করে নাস্তিক হয়েছেন। এমন আঢুনিক হওয়ার চেয়ে কিছুটা মৌলিক অপ্রমণিত জিনিস মেনে নিয়েও যিনি মানুষে ক্ষতি করেন না তিনি সমাজের জন্য বেশি মঙ্গল জনক।
পুরো বক্তব্য ব্যাক্তিগত এবং নির্দিষ্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়।
আমিনের কথা পছন্দ হয়েছে। কোন এক ব্লগে, বলতে পারব না, সচল হতে পারে, একজন বলে বসেছিল, ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের দমন করতে উগ্রপন্থা নিতে হবে। আমি নিশ্চিত, তিনি যদি ধার্মিক হতেন, উগ্রপন্থী হতেন, মন্দির-মসজিদ ভাংতেন।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
'সংশয়বাদ' শব্দটা নিয়ে আমার একটু সংশয় আছে। 🙁
আমার ধারণা, একজন মানুষ পূর্ণ বিশ্বাসী হবেন অথবা হবেন পূর্ণ অবিশ্বাসী। দ্বিধা-সংশয় নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝখানে বসে থাকবেন কেন?? 😀
বড় ভাইয়েরা কেউ বুঝিয়ে দেবেন?
মাহমুদুল তোমার কথা আংশিক সত্য পুরোটা নয়। পূর্ন বিশ্বাসী কোন মানুষ হতে পারেন না। সাহাবাদের জীবনী পড়। তারাও ছিলেন না। অবিশ্বাস উকি দিয়েছে তাদের মনেও। ইসলামে অনেক বড় বড় বুর্জগ আছেন, পীর মাশায়েক আছেন, অনেক কাজ করছেন যেটা পূর্ন বিশ্বাসের সংগে যায় না। তারা মাঝে মাঝে সরে গেছেন ইসমালের নিয়ম থেকে, পরে আবার অনুতপ্ত হয়ে মাফ চেয়েছেন। মানুষের মন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে থাকে সব সময়। ইসলাম এটাই বলে।
একটা ছোট্ট উদাহরন দেই, ইসলাম বিশ্বাস করে কর্মে। তুমি যতই বল আমি আল্লাহকে মানি দোজখ- মানি পরকাল মানি, ইসলাম বলছে তুমি যদি মান, তোমাকে ইসলামের নিয়ম পালন করতে হবে। শুধু মানি বলে মাথা ঝাকালে হবে না। তুমি কি সব মানতে পার সবসময়?
ইসলাম পরিষ্কার পার্থক্য করে আমলের ব্যাপারে। বেশি আমল করলে বেশি পুরষ্কার, কম করলে কম, পাপের মাঝেও সেই রকম। আট-বেহেস্ত, সাত দোজখ এই জন্য। যদি পূর্ন বিশ্বাস আর পূর্ন অবিশ্বাস এই দুই ভাগ থাকত তাহলে এত কিছুর দরকার হত না। ইসলামে আছে হারাম, মাকরুহ, জায়েজ, তাকওয়া। এটাও বিশ্বাসের উপরেই। যিনি তাকওয়া নিয়ে চলেন তার বিশ্বাস অনেক উপরে, যিনি মাকরুহ উপরেই থাকতে চান তার কারন হতে পারে দুইটা, দুর্বল বিশ্বাস অথবা কোন বিপদে পড়েছেন। যদিও এই ব্যাখ্যা আবার অন্য।
আমার মনে হচ্ছে উপরের ব্যাখ্যা হয়ত তোমার জন্য যথেষ্ট হবে না। কিছু করার নেই, কারন ওই যে বললাম দৃষ্টি ভংগি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই ইসলামের ব্যাপারে আমার কিছু মৌলিক প্রশ্ন ছিল........সেগুলির জবাব কার কাছে পাব? আপনি যদি ভরসা দেন তো করতে পারি
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
প্রশ্ন করতে পার, কোন সমস্যা নেই, কিন্তু উত্তর আমার জানা না থাকলে কিভাবে দিব বল?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তাও ঠিক। ওকে বস গল্প আকারে আমি কিছু বিষয় আনবনে .........আপনি আলোচনা দিয়েন
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আলম ভাই, সংশয়বাদ বলতে কিন্তু সন্দেহ নিয়ে পড়ে থাকাকে বোঝায় না।
সংশয়বাদ বলতে, যেকোন কিছুতে সন্দেহ প্রকাশ করাকে বোঝায়। আধুনিক বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে এই সংশয়বাদের মাধ্যমে। বিজ্ঞানীদের কাজ হচ্ছে, পূর্ববর্তী সকল বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও তত্ত্বে সন্দেহ প্রকাশ করা। পূর্ববর্তী তত্ত্বকে সন্দেহ করার মাধ্যমেই নতুন তত্ত্ব আবিষ্কারের সূচনা ঘটে। বিজ্ঞানের একটি মৌলিক নীতি হচ্ছে সংশয়। যেদিন মানুষ সন্দেহ পোষণ ছেড়ে দিবে সেদিনই বিজ্ঞানের মৃত্যু হবে।
তার মানে, সন্দেহ নিয়ে বসে থাকাকে সংশয়বাদ বলে না। সংশয়বাদীরা সবকিছুতে সংশয় পোষণ করে এবং সেগুলোকে অপেক্ষাকৃত ভাল ও সম্পূর্ণ তত্ত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপিত করার চেষ্টা চালিয়ে যায়।
এতো গেল বিজ্ঞানের কথা। পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানীই এক অর্থে সংশয়বাদী। কারণ বর্তমানে শূন্য থেকে কোন কিছুকে উদ্ভাবন করার কিছু নেই। প্রয়োজন পূর্ববর্তী আবিষ্কার ও তত্ত্বগুলোকে অপেক্ষাকৃত ভাল তত্ত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা।
এবার বিশ্বাসের কথায় আসা যাক। বিশ্বাসের ক্ষেত্রে মানুষকে তিনভাগে ভাগ করা যায়:
১. নাস্তিক
২. অজ্ঞেয়বাদী (agnostic)
৩. আস্তিক
আস্তিক-নাস্তিকের সংজ্ঞা আমরা সবাই জানি। অজ্ঞেয়বাদীর বৈশিষ্ট্যগুলো এরকম:
- সে মনে করে ঈশ্বর আছে কি নেই তা প্রমাণ করা সম্ভব না এবং প্রমাণ করার কোন প্রয়োজনও নেই।
- ঈশ্বর না থাকলে তো নেই-ই। আর যদি থাকে তাহলে তিনি এমন নন যে তাকে উপাসনা করতেই হবে।
স্বয়ং সক্রেটিসও অজ্ঞেয়বাদী ছিলেন, অন্যতম সেরা দার্শনিক এপিকুরোসকে অজ্ঞেয়বাদী বলা যায়। অজ্ঞেয়বাদী ছিলেন বিজ্ঞান ও ধর্মকে পৃথক করার তত্ত্বের (non-overlapping magisteria) প্রবক্তা "স্টিফেন জে গুল্ড"। এক অর্থে আইনস্টাইনকেও অজ্ঞেয়বাদী বলা যায়। অবশ্য নাস্তিকরা তাকে নাস্তিকও বলে থাকে। আইনস্টাইনও পৃথিবীর কোন প্রতিষ্ঠিত ধর্মে বিশ্বাস করতেন না, তিনি নিজের একটি আদর্শ তৈরী করেছিলেন যার নাম "মহাজাগতিক ধর্ম" (cosmic religion)। বর্তমান কালে অনেক বিজ্ঞানীই অজ্ঞেয়বাদী।
তবে উনিশ ও বিশ শতকের কিছু দার্শনিক এসব আস্তিক-নাস্তিক-অজ্ঞেয়বাদী, সব চিন্তাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের মতে মানুষের দর্শন হওয়া উচিত "অস্তিত্ববাদ"। এই মতানুসারে, সকল চিন্তার কেন্দ্রস্থল থেকে ঈশ্বর বা প্রকৃতিকে হটিয়ে মানুষকে বসাতে হবে। এজন্যই অনেকে একে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবতাবাদী দর্শন বলেন।
ফয়েজ ভাইঃ
আপনার ব্যাখ্যা যথেষ্ট যথেষ্ট হইসে। এইটাতো আমাদের সবারই সেইম দৃষ্টিভংগী। কারণ আমরা সবাই সবার থেকে আলোচনার মাধ্যমে শিখার দৃষ্টিভংগী লালন করি। যেমন দেখেন মুহাম্মদ ছেলেটা কী সুন্দর জ্ঞানগর্ভ জবাব দিলো, আমি হাসিমুখে ওর জবাবে বললামঃ
প্রথম থেকেই লেখাটি এবং এর সাথের প্রায় দেড়শর মতো কমেন্ট খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। কয়েকটি আত্মোপলব্ধি। সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা করলো...
১. আমার নিজের বিশ্বাস যাই হোকনা কেন অনেক অনেক কিছু জানলাম। বলা যায় ৯৯ ভাগ তথ্যই জানা ছিলোনা।
২. ধর্মের মতো এরকম সেন্সিটিভ ব্যাপারে এত সুন্দর অর্থবহ আলোচনা সবার মতের প্রতি চমৎকার শ্রদ্ধার সাথে আর কোথাও পাইনি এর আগে।
৩. ক্যাডেট কলেজের সিনিয়রিটি জুনিয়রিটির উর্দ্ধে উঠে পরিণত মতকে প্রগতিশীলতার সাথে গ্রহণ করা এবং একই সাথে সেই অনন্য সিনিয়রিটি জুনিয়রিটির মধুর সম্পর্কটি বজায় রেখে আলোচনার ভাষা এবং টোন কন্টিনিউ করার বিরল সহাবস্থান আমাদের দেশের অন্য যেকোনো ফর্মের ব্লগ বা ফোরামে বিরল।
৪. সবাই নিশ্চয়ই সবকিছু জানিনা আমরা, এটি মেনে নিয়ে নিজ নিজ বিশ্বাস এবং মতকে সাথে নিয়েই এরকম চমৎকার যুক্তিযুক্ত আলোচনায় মেতে উঠার দৃষ্টান্ত নিজেদের বাড়িতে দেখে গর্বে বুকটা ফুলে উঠলো।
৫. আমার নিজের জ্ঞান খুবই সীমিত, সেটা ধর্মে এবং প্রথাগত একাডেমিক শিক্ষায়। আমার মতো লোকের এই ধরণের আলোচনা প্রত্যালোচনার মাধ্যমে লাভবান হবার সম্ভাবনা শতভাগ।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের চমৎকার এই পরিবেশের একজন নগণ্য সদস্যও যে হতে পেরেছি এর জন্য নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
সিসিবির সকল সিনিয়র এবং জুনিয়র ভাইদেরকে সশ্রদ্ধ সালাম এবং অন্তর থেকে :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
এই পোস্টের প্রথম অর্ধেক (আনুমানিক) মন্তব্যে খানিকটা দোলাচল থাকলেও এখন যেই দৃঢ় অবস্থান পেয়েছে তা আমার কাছে অসম্ভবরকম সুন্দর লাগছে।
ক্রম বর্ধমান হিট ও মন্তব্য সংখ্যা অনেক পজিটিভ কিছুর প্রমাণ দেয়।
মনের প্রায় সবগুলো কথাই কাইউম বলে দিয়েছে। ধন্যবাদ বন্ধু।
এখান থেকে অনেক অনেক কিছু জানতে পারছি।
অংশগ্রহণকারী সবাইকে স্যালুট।
Life is Mad.
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সব ধরণের আলোচনাই ছাপা উচিত। যখন আমরা রাজনৈতিক মত প্রকাশ করতে পারি, রাজাকারদের শাস্তি দাবি করতে পারি, তখন আমরা ধর্ম নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করতে পারি।
ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা মানে সময় নষ্ট করা এই কথা বলা মানে কিনতু মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করা। একজন ধার্মিকের কাছে তার বিশ্বাসকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়াটা সব চেয়ে গুরূত্বপূর্ণ। আমি সেটা গ্রহণ করব কিনা সেটা আমার ব্যাপার। অন্য সব ব্যাপারে আলোচনা হবে, ধর্ম নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না এটা ঠিক না। তাই রেডবুকের সংশোধনিকে স্বাগত জানাচ্ছি।
ধর্ম মানে শুধু বিশ্বাস, এর মধ্যে যুক্তি বা বিজ্ঞানকে টেনে আনা ঠিক না, এই কথার সাথে আমি একমত নই। এই ধরনের কথার মাধ্যমে আমরা অন্ধ বিশ্বাসকে বাড়তে সাহায্য করি। ধর্ম যদি শুধু বিশ্বাস হত তাহলে পৃথিবীর তাবত বিজ্ঞানীরা ঈশ্বর যে নেই তার অকাট্য প্রমাণ দিয়ে দিত। এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি।
একজন বিশ্বাসীর কাছে স্রষ্ঠার অস্তিত্বের প্রমাণ সর্বত্র। আমি ব্যক্তিগত জীবনে পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করছি। এখন আমি যদি ভাবি আমি যা বিশ্বাস করি তার সাথে আমার কাজের কোনো মিল নেই তাহলেতো আমার পূরো জীবনটাই বৃথা। তাই আমি প্রথমে বিশ্বাস করি এবং তারপরে আমার বিশ্বাস কে বিজ্ঞান দিয়ে যাচাই করার চেষ্ঠা করি। ১৯ দিয়ে কোরান বিভাজ্য কিনা সেটা আসলেই কোনো বড় ব্যাপার নয়। ভদ্রলোক গবেষনা করে এটা বের করেছেন, এখন হয়ত তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তার মানে না যে কোরানের সাথে বিজ্ঞানকে মিলানোর চেষ্টা বাদ দেয়া উচিত। আমার মতে বিজ্ঞনের আলোকে কোরানকে নিয়ে আরো বেশি গবেষণা হওয়া উচিত। হয়ত আসছে দিনে কেও প্রমাণ করে দেবে কোরান কি শুধুই ধর্মবিশ্বাসের গ্রন্থ অথবা এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও আছে। গবেষণায় একবার ভুল ফলাফল হলেই গবেষনা বন্ধ করে দিলে পৃথিবী এখনো আগুন আবিষ্কারের পূর্বের যূগে থাকত।
ফাহিম ভাই, সায়েদ, কাইয়ুম সহ এই ব্লগের আরো অনেকের সাথেই আমি একমত। ধর্ম নিয়ে আলোচনা চলুক, কিন্তু তা যেন হয় পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, কাউকে বা কারো বিশ্বাসকে সরাসরি আঘাত না করে। হতে পারে তা একাডেমিক ডিসকাসন। এসব আলোচনার মাধ্যমেও কিন্তু অনেক কিছু জানতে পারা যায়।
কারো কোন বিষয়ে দ্বিমত থাকলে তা ব্লগে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, যেমনটি আমরা এই ব্লগের কমেন্টের ক্ষেত্রে এখন দেখতে পাচ্ছি। এটা খুবই পজেটিভ একটা লক্ষণ। আমাদের সহনশীলতা এবং ম্যাচিউরিটি যে বাড়ছে এটা তারই প্রমাণ।
যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তির মধ্যেও কিন্তু অনেক শিক্ষনীয় বিষয় উঠে আসতে পারে। আমি নিজে এখনো শিখছি, প্রতিনিয়তই শিখছি। বলতে কোন দ্বিধা নেই, এই সিসিবিতে এসে আমি আমার জুনিয়রদের কাছ থেকেও অনেক কিছু জানতে পারছি, শিখতে পারছি, নতুন ভাবে চিন্তা করতে পারছি। এতে আমি লজ্জিত নই, বরং গর্ব বোধ করি।
আমরা অনেক বিষয়কেই সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর বলে দূরে সরিয়ে রাখতে চাই। আমার মনে হয় এতে করে আমরা সেই বিষয়ে আরো অজ্ঞই থেকে যাই। অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বা স্বার্থপরায়ন কেউ এরকম করতে পারে, কিন্তু যারা সত্যিকার জ্ঞানপিপাসু, অজানাকে জানতে চায় এবং সত্যের সন্ধান করে তারা সবসময়ই এভাবে জ্ঞান আহরনের চেষ্টা করবে।
কেউ যদি স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এভয়েড করতে চান তাহলে সেসব পোষ্ট বা মন্তব্য পড়া থেকে বিরত থাকাটাই ভাল। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ব্লগে ধর্ম সহ অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয়েও আলোচনার পক্ষে (যদি সেটা কোন অসৎ উদ্দেশ্যে করা না হয়)। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা যেন সীমা লংঘন না করি এবং ব্লগের সুন্দর পরিবেশটা রক্ষা করে একাডেমিক আলোচনা করি যার মাধ্যমে পজেটিভ বা প্রোডাকটিভ কোন আউটপুট আমরা পেতে পারব। শুধুমাত্র তখনই আমাদের এসব আলোচনা, যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি ফলপ্রসু হবে। আশা করি আমার বক্তব্যটুকু বোঝাতে পেরেছি।
পরিশেষে আমাদের সবাই আরো সহনশীলতার সাথে ও সৎ উদ্দেশ্যে সকল বিষয়ে আলোচনা করুক এবং সিসিবিকে উত্তরোত্তর আরো সমৃদ্ধ করুক এই কামনা করি। ধন্যবাদ
ওরে বাবা! এইখানে দেখি অনেক কিছু হয়ে গেল, আর আমি কিছুই জানলাম না! 🙁
একে অন্যের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুড়ি না করে যদি নিজের মতটুকু পেশ করা যায় তাহলে আমার আপত্তি নাই। পাঠকেরাই স্বিদ্ধান্ত নিবেন নিজেরা কতটুকু গ্রহণ করবেন।
:thumbup: :thumbup:
অলৌকিক সংখ্যাতত্ত্ব ....
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দারুন তো লেখাটা ! ধন্যবাদ আবীর।
ধন্যবাদ ভাইয়া :shy:
feeling proud of CCB
এসব নিয়ে link
রাশাদ খলিফা ১ : সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত
রাশাদ খলিফা ২ : নবীত্বের দাবি
পুরা লেখাটা পড়িনাই, রায়হান।
তবে খলিফা সাহেবের উদাহরনে ২টা সিম্পল ভুল পাইলাম।
সর্বপ্রথম পুর্নাঙ্গ নাযিলকৃত সুরা হইলো - ফাতেহা।
যতদুর জানি কোরআনের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই, কুরআনের আয়াত ৬৬৬৬ এটা মনে হয় বহুল প্রচলিত একটা ভুল। এমনকি অনেক মৌলানা এটাকে খ্রীস্টান্দের অপপ্রচার বলে, ডেভিল নম্বর ৬৬৬ এর সাথে মিল রেখে। Google করলে আরো কিছু পাওয়া যেতে পারে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:thumbup:
আকাশ
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তাই বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে প্রমান না করে শুধু বিশ্বাসই করা উচিত। তাতে করে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবেনা, কুরআনকে হেলা করার।
তথাস্তু...।। তোমার আলোচনাকে আমি থিসিস হিসেবে ধরতে চাই। তবে তোমার আলোচনার ৩য় অংশে ব্যবচ্ছেদ যেভাবে করেছো, তার জন্য আরবী ভাষা নিয়ে তোমার দক্ষতার একটা পরিচয় প্রয়োজন ছিল।
এই ছোট্ট ভুলটুকুর জন্য আরবী রূপতত্ত্ব জানার প্রয়োজন নেই। এক লামে তাশদীদ হওয়ায় তা দুইবার উচ্চারিত হবে ঠিক আছে এবং সেজন্যই ইংরেজী ALLAH তে দুটো L. সেটা ৩টা হবে কেন???
বাকী যুক্তিগুলোও যৌক্তিক মনে হয়েছে এবং আমিও তোমার সাথে একমত, কুরআন শরীফের অলৌকিকত্ব প্রমানের জন্য এইসকল সংখ্যাতাত্ত্বিক ধাঁধাঁর কোন প্রয়োজন নেই।
দ্বিতীয়ত ইংরেজী আর আরবী মিশিয়ে যুক্তি খন্ডনের যে প্রয়াস চালিয়েছো
শিশির ভাই আমাকে এভাবে আরবী জ্ঞানহীন বলে এটাকের আগে আপনার আরেকটু চিন্তা করে মন্তব্য করলে মনে হয় ভালো হতো 🙂
আল্লাহতে অলরেডি দুইটা লাম আছে। এরমধ্যে একটি লামের উপর তাশদীদ। তাশহীদ যার উপরে সে দুই+ আরেকটা= তিনটা। হিসাব না বুঝলে, নীচের আরবীতে আল্লাহ লেখা ছবিটা ভালোমতো লক্ষ্য করে লাম এর সংখ্যা গুনুন। আরও পরিষ্কার হতে, আল্লাহ লিখে গুগল করুন।
রায়হান চমৎকার বলেছ।
আয়াত গননা করা সহজ । প্রতিটা সূরার উপরে আয়াত লিখা আছে এগুলু যোগ দিলে মোট আয়াত বের হয়ে যায় যেমন ১নং সুরা ফাতেহা আয়াত ০৭ টি
০২ নং সুরা বাকারা আয়াত ২৮৬ । ০৩নং সুরা আল ইমরান আয়াত ১৭৬ এভাবে ১১৪ সূরার যোগ ফল ৬২৩৬ টি হবে । সন্ধেহের কোন অবকাশ নেই ।
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"এই আয়াত নিয়ে সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হল সুরা আল-ফাতিহা। এর সংগে ৭৪;৩০ এর অভিনব সম্পর্ক। এই আয়াতের অক্ষরের সংখ্যা ১৯। এর মধ্যে ব্যবহার হয়েছে ৪টি শব্দ- ইসম, আল্লাহ, রহমান, ও রাহিম। এরা আল ক্বুরআনে যে যতবার ব্যবহ্যত হয়েছে, প্রত্যেকে ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। যেমনঃ
"ইসম" শব্দটি সর্বসাকুল্যে ব্যবহ্রত হয়েছে ১৯ বার (১৯*১=১৯)
"আল্লাহ"্্্্্্্্্্্্্্্্্্,২৬৯৮্ (১৯*১৪২=২৬৯৮)
"আররাহমান"্্্্্্্্্্্্্্্ ৫৭্্্ (১৯*৩=৫৭)
"আররাহিম"্্্্্্্্্্্্্্্্১১৪্্্(১৯*৬=১১৪)
যারা অধিকতরভাবে জানতে আগ্রহী তারা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ অনুদিত "আশ্চর্য এই কোরআন" (মূল ডঃ রাশীদ খলীফা মিসরী) এবং Al-Quran the Ultimate Miracle পড়ে দেখতে পারেন।
ক্বুরআনী কোডগুলি সম্পর্কে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন সমালোচক বিভিন্ন মনগড়া, রসাত্নক ও শ্রুতিকটু মন্তব্য করেছেন। খ্রীষ্টান অনুবাদক সেল, রডওয়েল, পামার, গোল্ডসেক, লনড্রেকের অনুবাদ থেকেই জালিয়াতি করে রায়হান আবীর আলোচ্য পোষ্টটি করেছে। তাদের মতামত হল, এগুলো লিপিকারগনের নামের আদ্যক্ষরের সাংকেতিক চিহ্নমাত্র। অথচ তারা যদি জানতেন, আরবী ব্যকরন রীতিতে ইংরেজীর মত আদ্যক্ষরে সংক্ষিপ্ত নাম লিখবার প্রথা কোনকালেই প্রচলিত ছিলনা এবং এখনো নেই।
শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা..
মূল আরবি কুরআন এর বিশ্লেষণ ইংরেজি দিয়ে করাটা এক ধরনের দন্যতা।