রাজনৈতিক দলের (political party) একটা খুবই সহজ সংজ্ঞা আছে। আর তা হলো: “Group of persons organized to acquire and exercise political power”
সংজ্ঞাটা পড়লে রাজনৈতিক দলের সদস্য যে দলের জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য একটা অংশ তা খুব সহজেই বোঝা যায়। আর তা থেকে খুব সহজেই এটাও ধারনা করা চলে যে রাজনৈতিক দল সমুহে সদস্য সংগ্রহ, সদস্য অন্তর্ভুক্তি একটি নৈমিত্তিক ব্যপার। শুধু সদস্য অন্তর্ভুক্তিই নয়, সদস্যগনের রাইটস ও ডিউটিস গুলিও খুব পরিষ্কার ভাবে অবগত করা, বর্ননা করা থাকবে সেটাও আশা করা যায়।
এইবার আসুন কিছু বাস্তব চিত্র দেখি।
ধরুন আপনি একজন রাজনীতি সচেতন বৃটিশ সিটিজেন। আপনি রক্ষনশীল দলের হয়ে রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো ঐদলের ওয়েব সাইট থেকে “জয়েন কনসারভেটিভ” পাতাটা খুলে পছন্দমত সদস্যধরন বেছে নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ কিছু তথ্য ও চাঁদা দিতে হবে। আপনি সদস্য হয়ে যাবেন এবং সাথে সাথে সদস্য হিসাবে আপনার কি কি রাইটস জন্মাবে ও কি কি ডিউটি পালন করতে হবে সব জেনে যাবেন। আপনি যদি সাধ্য মত ঐ সব করে যান যোগ্যতা থাকলে একদিন বৃটিশ প্রধান মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারবেন।
এইবার ধরুন আপনি একজন রাজনীতি সচেতন মার্কিন সিটিজেন। আপনি ডেমোক্রাট দলের হয়ে রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক। একই ভাবে আপনি নেট থেকে জেনে নিতে পারেন আপনার ঐদলের পক্ষে রাজনীতিতে যোগদানের পদ্ধতি এর পরে দলের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি ঐদলে যোগ দিতে পারবেন। দলের সদস্য হিসাবে কি কি দায়িত্ব কর্তব্য আপনাকে পালন করতে হবে, কি কি অধিকার আপনি ভোগ করবেন, সব কিছুই পরিষ্কার ভাবে জেনে যাবেন সদস্য পদ নেয়ার সময়েই।
এবার দেখি বাংলাদেশের চিত্র।
প্রধান দুটি দলের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমেই সদস্য হবার কোন আহ্ববান খুজে পেলাম না।
বুঝলাম রক্ষনশীল দল বা ডেমক্রাটিক পার্টি সদস্য সংখ্যা নিয়ে খুবই বিপদে, সংকটে আছে তাই হয়তো তাঁদেরকে ওয়েবসাইটে আহ্ববান করে সদস্য সংগ্রহ করতে হয়। আমাদের দলগুলার হয়তো সেই সংকট নাই, তাই তাদের কোন আহ্ববানও নাই।
আহ্ববান না থাকুক, তথ্য? তাকি আছে?
নাই বললেই চলে। আর যা আছে তাও খুবই কনফিউজিং। উদাহরন দিচ্ছি:
১) কোন ওয়েব সাইটে সদস্যগণের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে কোন কথা নাই। সদস্য হিসাবে অধিকার কি কি, সেই উল্লেখ তো একদমই নাই।
২) একটি ওয়েব সাইটে সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোন তথ্যই পেলাম না।
৩) অন্যটিতে যে প্রক্রিয়াটার উল্লেখ আছে তা এতটাই কনফিউজিং যে ওটাকে প্রক্রিয়া না বলে অন্যকিছুই বলা যুক্তিযুক্ত। ওখানে বলা আছে ৫ টাকা সহ ফর্ম অনুযায়ী লিখিত আবেদন করতে হবে। সেটা গৃহিত হলে একজন সদস্য হবেন ও বছরে ৫ টাকা করে চাঁদা দেবেন। কিন্তু কে সেই আবেদন কতদিনের মধ্যে অনুমোদন করবেন আর না করলে কি করনীয় সেই সবের কোন উল্লেখ নাই।
সব দেখেশুনে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হতে বাধ্য হলাম যে বাংলাদেশে রাজনীতি জনগনের বিষয় না। এটা বিশেষ কোন একটা শ্রেনীর খাদ্য। আর জনগন কেবলি তার দর্শক। তাদের কাজ শুধুই তালিয়া বাজানো আর কিছু করা না।
হ্যাপি হাততালি…..
এটা বিশেষ কোন একটা শ্রেনীর খাদ্য। :boss: :boss:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
থ্যাংকস 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
রাজনীতিতে প্রচুর পলিটিক্স। কিছু করার নাই। এর চেয়ে যেটা বললেন, :clap: :clap: :clap:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কিছুক্ষণ আগেই টাওয়ার হ্যামলেটের মেয়র পদপ্রার্থী জন বিগস এসেছিলেন ভোট চাইতে।
জানালাম ভোট টি তাকেই দিবো।
উনি লেবার এর।
আর মজার ব্যাপার হচ্ছে ভদ্রলোক একাই এসেছিলেন ভোট চাইতে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমারও সেই কথা। ভোট চাইতে দলবল নিয়ে আসতে হবে কেন? দলবল নিয়ে ঘোরা মানেই তো অকারন খর্চা। এতগুলা মানুষের সময় নষ্ট।
পদ্ধতগত ভাবে একজন নমিনেশন পাওয়ার মানেইতো এই যে দল তার সাথে আছে। সাথে একগাদা লোকজন নিয়ে ঘুরে কি সেটা আবার প্রমান করার কিছু আছে?
একা আসার মধ্যে যে পার্সোনাল টাচটা আছে দলবল নিয়ে সেটা তো অর্জন করা যাবে না।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:clap: :clap: :clap:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.