পুর্বকথা
ঘটনা চক্রেই নারায়নগঞ্জ আমার জীবনের অনিবার্য অংশ হয়ে হয়ে আছে।
আমার জন্মের সময়ে আমার নানা নারায়নগঞ্জ মহকুমাস্থ ফতুল্লা থানার ওসি ছিলেন। থাকতেন নদীর পারে থানা সংলগ্ন ওসির সরকারি বাসভবনে।
সেইসময়ে কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিক নয় বরং মাতুলালয়ে সন্তান জন্ম দেওয়াটাই রীতি ছিল। রীতি পালন করতেই আমার জন্মের দিনকয়েক আগে আমার মা ঐ বাসায় এসে পৌছান।
আর প্রথম ঘটনা চক্রের সুত্রপাত হয় তখনই: আমি ভূমিষ্ট হয়ে নিজের অজান্তেই পৃথিবীর আলো বাতাস বলতে নারায়নগঞ্জকেই আলো বাতাসকেই বুঝতে শিখি।
দ্বিতীয় ঘটনা চক্রের কাহিনীটা বেশ লম্বা তাই আপাতত দিচ্ছি না। তবে পরিনতিটা আরও লম্বা। এখনো চলছে। আশা করা যায় আমৃত্যুই চলবে। কারন ঐ ঘটনা চক্রের পরিনতিতে আমার ব্যাচেলর জীবন সাঙ্গ হয়েছিল। হ্যাঁ আমার স্ত্রী নারায়নগঞ্জের মেয়ে। আমার কন্যাদের মাতুলালয় তাই নারায়নগঞ্জে।
জন্ম – মৃত্যু – বিয়ে: এই তিন অমোঘ ঘটনার মধ্যে আমার জীবনে এখন পর্যন্ত ঘটা দুইটা ঘটনার সাথেই নারায়নগঞ্জের নাম জড়িয়ে আছে। তাই নারায়নগঞ্জে কিছু একটা ঘটলে একটু বেশীই আন্দোলিত হই।
এই টুকরো ভাবনাগুলো সেই আন্দোলন প্রসূত।
১
খুব ঠান্ডা মাথায় সাত জন মানুষকে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াই প্রথমে খুন করা হয়। পেট ফাঁড়া হয়।
আড়াইশোর মত নতুন টাটকা ইট আনা হয়।
১৪-১৫ টা খালি সিমেন্টের বা অন্যকিছুর ব্যাগ বা বস্তা সংগ্রহ করা হয়। (যেকোন লোক নিশ্চয়ই ভাঙ্গারির দোকান থেকে একগাদা খালি ব্যাগ বা বস্তা কেনে না)।
এক একটা ব্যাগে ষোলটা করে ইট নিখুঁত ভাবে সাজিয়ে তা সেলাই করা হয়। এইরকম চৌদ্দটা ইট ভর্তি ব্যাগ ও ৭টা লাশ নিয়ে নদির কাছে গিয়ে তা যেভাবে বেধে একে একে নদিতে ফেলা হয়েছে, তা নদী সংলগ্ন কোন প্রাইভেট প্রোপার্টি থেকে না করা হলে সম্ভব না।
কেন সম্ভব না, বলছি।
ইট ভরা ব্যাগের যে ওজন, তা একজনের পক্ষে বহন সম্ভব না। প্রথমে কমপক্ষে দুইজন তা নদীর কাছে নিয়ে গিয়েছে। তারপরে একটা লাশ ব্যাগের উপরে শুইয়েছে। এরপরে আরেকটা ব্যাগ এনে লাশের উপরে রাখতে হয়েছে। এই অবস্থায়, এতটা ওজন ঠেলে দড়ি দিয়ে অনেক গুলো প্যাঁচ দিয়ে লাশ মাঝে রেখে ইটের বস্তাগুলো বাধতে হয়েছে। আর তা করতে হয়েছে যথাসম্ভব অন্ধকারে।
এই কাজে, মানে এক একটা লাশ বাধা ছাদা শেষ করতে কমপক্ষে আধঘন্টা করে সময় লেগেছে। মোট তাহলে লাগছে সাড়ে তিন ঘন্টা।
প্রাইভেট প্রোপার্টিতে ছাড়া এহেন কাজ করা খুব একটা সম্ভব না।
ইটের বস্তা ফিটেড অবস্থায় লাশগুলো আনা খুব পসিবল একটা অপশন না। এক
একটি প্যাকেটের ওজন দাঁড়াবে পৌনে দুশো থেকে দুইশো কেজি। এত ওজনের সাতটা আনিভেন কার্গো খালিহাতে বহন করে পাবলিক প্লেস দিয়ে নদী পর্যন্ত আনডিটেক্টেড ভাবে পৌছানো প্রায় অসম্ভব।
আশা করছি এই অনুমানগুলো অনুসন্ধানের সময় মাথায় রাখা হবে।
২
RAB paid for killing Nazrul: father-in-law
খুবই গুরুতর অভিযোগ।
রাস্ট্রিয় এই প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে যেহেতু বিশ্বাসের সম্পর্ক (Trust Relationship) জড়িত থাকে তাই ফিডুসিয়ারি সম্পর্ক (fiduciary relationship) -এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ অপ্রমানের দায় এইসব ক্ষেত্রে অভিযুক্তের উপরে বর্তানোই যুক্তিযুক্ত।
দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়? উৎকন্ঠা নিয়ে থাকলাম।
৩
পুলিশ আইন অনুযায়ী পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ অফিসারগনের কিছু স্বেচ্ছাধীন বা ডিস্ক্রিশনারি পাওয়ার বৃটিশ সময় থেকেই দেয়া আছে। বর্তমানে সেগুলা বাড়া বৈ কমার কোন সংবাদ জানা নাই।
এই ডিস্ক্রিশনারি পাওয়ারগুলির সুবিধা হলো এতে করে আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশের হাত শক্তিশালি হয়। এর মাধ্যমে ল এন্ড অর্ডার পরিস্থিতির উন্নতি করা যায়। খারাপ দিক হলো ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বৃটিশরা এই খারাপ দিক গুলি সম্পর্কে সচেতন ছিল। সতর্কতা হিসাবে খারাপ দিকগুলি কমিয়ে আনতে তাঁরা যে ব্যবস্থা রেখেছিলেন তা হলো: একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তার নিবাসের ত্রিসীমানায় না রাখা। এর মাধ্যমে নিকটজন দিয়ে তার প্রভাবিত হওয়ার সম্ভবনা কমিয়ে আনা যেত।
র্যাব যেহেতু পুলিশ বাহিনীরই অংশ, ঐ ব্যবস্থা অর্থাৎ নিবাসের ত্রিসীমানায় পুলিশ কর্মকর্তার কর্মস্থল না থাকার ব্যাপারটি তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবার কথা। আরও বেশী হবার কথা এই জন্য যে র্যাবের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা সাধারন পুলিশ সদস্যদের চেয়ে বেশী।
নারায়নগঞ্জে কর্মরত র্যাব কর্মকর্তাগনের ক্ষেত্রে নিবাসের ত্রিসীমানায় কর্মস্থল না রাখার এই নিয়মটা কি মানা হয়েছিল?
মনেহয় না।
৪
স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বা ডিস্ক্রিশনারি পাওয়ারের সদ্বব্যবহার কারে আইন শৃংখলায় নিয়োজিত ব্যাক্তিবর্গ যেমন একটি অপরাধি চক্রকে উৎপাঠন বা নির্মূল করতে অন্য আরেকটি অপরাধি চক্রকে ব্যবহার করতে বা তাদের সহায়তা নিতে পারেন, ঠিক তেমনি এই স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থে একটি অপরাধি চক্রকে সুবিধা দিতে অন্য অপরাধি চক্রটির ওপরে তাঁরা চড়াও হতেও পারেন।
এখন পর্যন্ত নারায়নগঞ্জে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী সম্পর্কে প্রচারিত সংবাদসমুহ দেখে দ্বিতীয় ঘটনাটিই ঘটে থাকবে বলে অনুমান করা যায়। স্বভাবতঃই প্রশ্ন আসে, এক কাউন্সিলর নজরুল কতটা হুমকির কারন হয়েছিলেন অভিযুক্ত নুর হোসেনের কর্মকান্ডের বিপরিতে যে তাঁকে পথ থেকে সরাতে ৬ কোটি টাকা লগ্নী করা হলো? তাঁকে সরিয়ে দেয়ার জন্য আরও ছয়জন নিরপরাধ (এ যাবত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী) সাধারন মানুষকে খুন করা হলো?
ধরে নাই নিহত কাউন্সিলর নজরুল অভিযুক্ত নুর হোসেনের জন্য একজন পথের কাঁটাই ছিলেন, কিন্তু সেই পথের কাঁটার রোলটা কতটা আইনানুগ ভাবে পালন করছিলেন আর কতটা বেআইনীভাবে করছিলেন তা নিয়ে কিন্তু কোন কংক্রীট তথ্য পাচ্ছি না। বরং তার অনেকগুলো গুরুতর অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারনে নিয়মিত আদালত অঙ্গনে আনাগোনা দুই কুকুরের লড়াই-এর দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করছে।
আর কে না জানে যে দুই কুকুর যখন লড়াইতে নামে সেখানে কোন রুল অব গেমস দেয়া থাকে না দেয়া যায়ও না। যেন তেন ভাবে একজনের চেষ্টা থাকে অন্যজনকে নিশ্চিহ্ন করার। কখনো কখনো তা নিজের জীবনের বিনিময়েও। সেখানে কোন কোন নীতিহীন ল-এনফোর্সারকে জড়ানো খুব বড় কোন অবাক হবার মত ঘটনা নয়।
সেরকম কিছু ঘটেছিল কিনা, তা কিন্তু এখনো পরিষ্কার না। আবার তা যে নয়, তাও পরিষ্কার করা হয়নি এখনো।
আমি কোনক্রমেই নিহত হবার ঘটনাটিকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছি না। বরং পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রনের বাইরে গিয়ে থাকলে পরে এরকম একটা ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হতে পারে তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ যে আছে সেটা দেখাতে চাইছি।
৫
কি অবস্থা!!!
আমি হব নারায়ণগঞ্জের ডন
বাই দ্যা ওয়ে, গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থিকে জিতিয়ে আনতে ইন্টারেস্টেড ও ওয়াদাকারী ঐ আওয়ামী লীগের নেতা জানি কে?
৬
যুদ্ধের নীতিমালা হিসাবে বৃটিশরা প্রথম যে নীতিতা মেনে চলে তা হলো, “সিলেকশন এন্ড মেইনটেইন্যান্স অব এইম”। দেখুন British principles of war
এটা অনুযায়ী একটি অর্জনক্ষম লক্ষ্য নির্ধারন করা ও তা মেনে চলা হয়। এটা জরুরী এইজন্য যে লক্ষ্য স্থির করার পর তা অর্জনের জন্য পথ বা পদ্ধতি (স্ট্র্যাটেজি) নির্ধারন করতে হয়। এরপরেই আসে ঐ পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনিয় উপকরনের (রিসোর্স) সংস্থান ও তা সুবিধাজনক ভাবে নিয়োজিত করা। যাকে এককথায় বলে লজিস্টিকস।
হঠাৎ করে লক্ষ বদলানো সম্ভব হলেও তা অর্জনে নতুন স্ট্রাটেজি নির্ধারন অতো সহজ না। আর প্রয়োজনিয় লজিস্টিক্স এর সংস্থান তো আরও জটিল, সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষন করে নারায়নগঞ্জ কান্ডে মূলতঃ কাউন্সিলর নজরুলকে নিশ্চিহ্ন করাটাই যে ছিল প্রধান লক্ষ্য তা দিনে দিনে আরও পরিষ্কার হচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন হলো একজনকে নিশ্চিন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে নেমে আরও ছয়জনকে হত্যা করতে হলো কেন?
কাউকে নিশ্চিন্ন করার জন্য তাঁকে বাগে পাওয়া জরুরী। আমার ধারনা, দীর্ঘদিন ধরে নিশ্চিন্নের দায়িত্ব পাওয়া দলটার টার্গেটকে এই বাগে পাওয়াটা হয়ে উঠছিল না। আর যখন শেষমেশ বাগে যখন পাওয়া গেল, টার্গেট ততক্ষনে সাতগুন বড় হয়ে গিয়েছে।
এইরকমের একটা পরিস্থিতিতে, নিশ্চিহ্নের দায়িত্বে থাকা দলটির সবচেয়ে সহজ বিকল্প হতো “টু এবোর্ট দ্যা মিশন”।
কেন?
কারনটা খুবই সহজ। এক একক পরিমানের লক্ষ্য অর্জনে নির্ধারিত স্ট্র্যাটেজি ও এই জন্য ব্যবহার্য লজিস্টিক্স সাতগুন বড় আকারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। যেকোন প্রশিক্ষিত এক্সিকিউশন টিমের প্রধানই খুবই স্বাভাবিকভাবে এই অজুহাতে তার হাত গুটিয়ে নেবে।
বিস্ময়কর হলো, নারায়নগঞ্জে সেই অতি স্বাভাবিক ঘটনাটা ঘটে নাই। আমার খুব জানতে ইচ্ছা হয়, কি এমন জরুরী পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছিল বা ভয়াবহ চাপ এসেছিল যেজন্য এতটা এক্সপোজড হয়ে মানে ধরা পরার ঝুঁকি নিয়ে মিশন এবর্ট না করে এই রকমের একটা আনম্যানেজেবল টার্গেটে মিশন একমপ্লিসের কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়া হলো?
আর তার পরিনতিতে বিরাট একটা দলকে ব্যবহার, হাতের কাছে পাওয়া অনিরাপদ উপকরনের ব্যবহার না করে কোন উপায় থাকলো না। যদিও জানা কথা, এজাতীয় ক্ল্যানডেসস্টাইন মিশনে যত বেশী লোক থাকবে, গোপনীয়তা ভঙ্গের সম্ভবনা তত বেশি থাকবে। যত বেশী রেডিলী এভেইলেবল রিসোর্স ব্যবহৃত হবে ধরা পড়ার সম্ভবনাও তত বেশী হবে।
আর এক্ষেত্রে হয়েছেও তাই।
শুধুই “পেমেন্ট নেয়া হয়ে গিয়েছিল তাই জরুরী ভিত্তিতে সার্ভিস ডেলিভারী করাটা দরকার হয়ে পড়েছিল”, এই তত্ত্ব কেন যেন খুব বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় না। “ঘটনার পিছনে আরও কিছু নিশ্চয়ই ছিল, যা এখনো সামনে আসেনি” – এটাই অনেক বেশী সম্ভাব্য তত্ত্ব বলে মনে হয়।
কেন জানি না, দিন কয়েক আগে ঘটা আরেকটা অপহরনের ঘটনাকে এই ঘটনার ড্রেস-রিহার্সেল বলে মাঝে মাঝেই মনেহয়। তা যদি প্রমান করা যায়, তাহলে হয়তঃ অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে। অপেক্ষা করে দেখি, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়……
এই ধরনের হত্যাকান্ড গুলোর প্রত্যেকটি যতই গুপ্ত হত্যা হোক এর পিছনে একজন বড়সড় পালের গোদা সবসময়ই থাকে এবং বিচার নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় সবসময় সেই পালের গোদা বাদ যায়। ধরা পড়ে চেইনের শেষে যারা তারা ও তাদের সহযোগীরা। এই ব্যাপারটি ইউনিভার্সাল বলা যেতে পারে। আপনি নারায়নগঞ্জের মানুষ এলাকার রাজনীতি ভাল জানবেন, তারপরেও মনে হচ্ছে--এবং আপনিও যেটা বললেন--ব্যাপারটা শুধু কাউন্সিলর নজরুল ও স্থানীয় নেতা নূর হোসেনের মাঝে অস্তিত্বের লড়াইয়ের মত মামূলী ঘটনা নয়। এখানে জিলাপীর আরো দুই-তিন প্যাঁচ আছে যেটা চোখে পড়ছে না। যতদূর বুঝতে পারছি পড়বেও না।
এদিকে র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে তাদের মূল ডিউটিতে ফেরত পাঠিয়ে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হলো। ঐটুক পর্যন্তই গিয়ে থেমে যাবে কি? অতীত ইতিহাস বলে থেমে যাবে। (সম্পাদিত)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
পালের গোদা একজন থাকতেই পারে কিন্তু তাকে খুশি করতে এইরকম বোকার মত পদক্ষেপ নিলে তার খেসারততো দিতেই হবে, তাই না?
আর নিজে কিছু করবো না, অন্যকে দিয়ে যা খুশি করিয়ে নেবো, এই ইচ্ছা ঐ পালের গোদা কেন, যে কারোই থাকতে পারে। কিন্তু এতটা বীভৎস কাজে যে পালের গোদার সঙ্গি হবে সে রেড হ্যান্ডেড কট হবার পর নিজেকে ছাড়া আর কাউকে যে দোষারোপ করতে পারবে না, এটা নিশ্চিত।
আমি পালের গোদাদের নিয়ে চিন্তিত না। আমি এইসব অপারেটিভদের নিয়ে চিন্তিত। এদের এই নৃশংস কাজে সঙ্গদানে "সহজে টাকা পয়সা উপার্জন"-এর বাইরে আর কোন মটিভেশন থাকে না। আর এরা সঙ্গ না দিলে কোন বাপের ব্যাটা নাই যে গড ফাদার বা পালের গোদা হতে পারে।
এইধরনের ক্ষেত্রে আরেকটা ব্যাপার হয়েও থাকে কখনো কখনো। পালের গোদাটি দুই উঠতি মস্তানকে উস্কানি দিয়ে লাগিয়ে দেয় নিজেদের মধ্যে। একজন টিকে গেলে তাকে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড করে নেয়। আর দুজনই ঝরে গেলে বা দুজনকেই ঝরানো গেলে নিজ ক্ষমতা আরও কনসলিডেট করে।
এক্ষেত্রে হয়ত তা হয় নাই। তবে তা হলেও বিচিত্র কিছু না।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
৭জন গুম খুন হলো পুরো নারায়ণগঞ্জ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী প্রশাসন ধরে নাড়াচাড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক পর্যায়ের এ্যাম্পিউটেশান চলছে নাকি প্রমাণ মোছার চেষ্টা চলছে কে জানে?
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
একটা ভবিষ্যতবাণী করে যাই, দেখি মিলে কিনা, পলাতক নূর হোসেনের লাশ পাওয়া যাবে (ক্রসফায়ারে মারা পড়বেন কিনা নিশ্চিত না), তিন সশস্ত্রবাহিনীর কর্মকর্তাসহ আরো বেশ কয়েকজনের নাম প্রকাশ পাবে তথা ধৃত হবে। কাহিনী শেষ।
দিনে-দুপুরে র্যাবের পোষাকে ৭ জনকে অপহরণ করার পেছনে আপাতদৃষ্টিতে নির্ঘাত বোকামি ছাড়া কিছু চোখে না পড়লেও কেন জানি মনে হচ্ছে অতি উচ্চপর্যায়ের ক্লিয়ারেন্স থাকলেই এই ধরনের বোকামির উৎসাহ পাওয়া সম্ভব।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:-B
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই বিষয় নিয়ে আমার আজকের স্ট্যাটাস:
\\বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও স্ট্যাটাস-মন্তব্যে আশাবাদ ব্যাক্ত হতে দেখছি যে নুর হোসেন গ্রেফতার হলেই নাকি সব কিছু খোলাসা হয়ে যাবে।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, এর মাধ্যমে মূলতঃ যা বোঝানো হচ্ছে তা হলো "নুর হোসেন গ্রেফতার না হলে কিছুই খোলাসা হবে না"।
আর তাই যদি হয়, তবে খোলাসা হওয়া না হওয়ার সদিচ্ছার সাথে নুর হোসেনের প্রকাশ্য হওয়া না হওয়ার একটা সম্পর্ক এসেই যাচ্ছে।
এতে করে কার্যতঃ খোলাসার আশাবাদ নাকি নুর হোসেনের মৃত্য পরোয়ানা জারী হচ্ছে সেটা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে।//
এই স্ট্যাটাসে আমার শেষ কমেন্ট:
\\নুর হোসেনের বেচে থাকার পিছনে সবচেয়ে বড় যুক্তি হলো তার টাকা। তার এনটয়ার ফান্ড সাইফনড আউট না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাঁচিয়ে না রাখার কোন যুক্তি নাই। এই টাকার কারনে একদিকে সে যেমন বারগেইনিং পাওয়ারের অধিকারি যে তাঁকে সাইফ প্যাসেজের জন্য কত দিতে হবে? অন্যদিকে তার ধরা পড়ার সাথে ঘটনা খোলাসা হওয়া জড়িত বলে তার মৃত্য কতটা কাম্য সেটাকে কেউ একজন ক্যাপিটালাইজ করছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠাও স্বাভাবিক। এই দুইএর টাগ অব ওয়ারে তার নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া এবং মরে যাওয়া দুইএর সম্ভবনা প্রায় সমান সমান।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম সম্ভাব্য হলো তার গ্রেফতার হওয়া। আর যেটা নিশ্চিত তা হল দৃশ্যপট হতে তার চির বিদায়। সেটা তার মৃত্যুর কারনেই হোক আর সেইফ প্যাসেজের কারনেই হোক।
এইটা আমার এসেসমেন্ট। তবে আশা করছি এই এসেসমেন্ট ভুল প্রমানিত হোক। সে জীবিত গ্রেফতার হোক......//
কী, মোকাব্বীর, তোমার ভবিষ্যৎ বানীর সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
😀 ডেড অর এলাইভ, হি উইল নট বি ফাউন্ড!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:-B
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সাধুবাদ জানাই পারভেজ ভাইকে এত সুন্দর ও ডিসেকশন টাইপ একটা লেখা ব্লগে দেবার জন্য।
যদিও বিষয়বস্তু ভয়ঙ্কর।
আশা করি এমন ঘটনা আর না ঘটে আর খুনিরা সবাই ধরা পড়ুক।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এ জাতীয় লিখালিখি খুবই কষ্টের। আরও কষ্টের তা প্রুফ রিডিং করা, কারেকশন করা, কমেন্ট করা।
কবে যে এইসব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ফতুল্লা নিয়ে আমারো স্মৃতি রয়েছে।
৪-৫ বছর বয়সে ফতুল্লা ছিলাম। মা বিআরডিবিতে ছিলেন।
বাসার সামনে রেললাইন ছিল।
সুখকর স্মৃতি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ফতুল্লা নিয়ে আমার কোন স্মৃতি নাই। থাকার কথাও না। জ্ঞান হবার পর প্রথম ফতুল্লা ভ্রমন যখন করি, আমি তখন সম্ভবতঃ চল্লিশোর্ধ। আমার ভূমিষ্ট হবার সেই বাড়িটি তখনও আছে, কিন্তু পরিত্যাক্ত এবং ভেঙ্গে ফেলার অপেক্ষায়। এতদিনে সেটা বোধহয়ে ভেঙ্গেই ফেলেছে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
নাঃগঞ্জে আইভি আর শামীম ওসমানের কাদা ছুড়াছুড়িটা অসহ্য পর্যায়ে ছলে গেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার কাছে কিছু জিনিস একটু বেশিই ঘোলাটে লাগে।
৩ অফিসারকে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হল, এই পর্যন্ত বুঝলাম।
এরপর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হল কেন? তার মানে কি এটা প্রমানিত যে তারা ঘটনার সাথে জড়িত? আমার মনে হয় না যে এতো তারাতারি তদন্ত করে এটা প্রমান হয়েছে।
আর যদি প্রমান নাই হয়ে থাকে তাহলে কিসের ভিত্তিতে তাদের অবসরে পাঠানো হল?
নিয়ম অনুযায়ী এমন গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে অফিসারদের ক্লোজ এরেস্ট করে রাখা হয় তদন্ত করে সঠিক ঘটনা বের না হওয়া পর্যন্ত যা গত ৬-৭ বছরে নিয়মিত ভিত্তিতেই হচ্ছে বিভিন্ন কারনে। তাহলে এই ক্ষেত্রে তদন্ত না করেই বাধ্যতামূলক অবসরে কেন?
আর ধরে নিলাম, যে তদন্ত হয়েছে আর তাতে এই ৩ জন দোষী প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে তাদের মাথায় ৬ কোটি টাকা লোপাট করার এবং ৭ মানুষ খুন করার খরগ। তাহলে সম্পূর্ণ আর্থিক সুবিধা সহ অবসর কেন???
অবশ্যই সব শেষে একটা "কিন্তু" আছে যেটা হয়ত আমরা কেউই জানি না এবং হয়ত জানতেও পারবো না ------
একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার
"৩ অফিসারকে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হল, এই পর্যন্ত বুঝলাম।
এরপর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হল কেন? তার মানে কি এটা প্রমানিত যে তারা ঘটনার সাথে জড়িত? আমার মনে হয় না যে এতো তারাতারি তদন্ত করে এটা প্রমান হয়েছে।" - প্রসঙ্গে...
যদি অপরাধ প্রমানিতই হতো, এইরকম হিনিয়াস ক্রাইমের জন্য বেনিফিটসহ অবসরটাকে কি যথার্থ শাস্তি বলা যেতো? না তা কখনোই হতো না।
আমার মনেহয়, অভিযোগটা পাওয়ার পরে পারিপার্শিকতা বিবেচনায় নিয়ে এই তিন কর্মকর্তার প্রিমা ফেসি (Prima facie) সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কনভিন্সড হন। এই অপরাধের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তা প্রচলিত বেসামরিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনার সুযোগ করে দিতে (ট্রায়েল আন্ডার সেশন জাজ) অবসর প্রদানের এই কার্যক্রমটা নেয়া হয়েছে।
বিচারিক কার্যক্রম সমাপ্ত হবার পর নির্দোষ প্রমানিত হলেও তারা যে পুনর্বহাল হবেন না সেটা আন্দাজ করা কঠিন না। তবে দোষীসাব্যস্ত হলে তাদের এই সুবিধাসহ অবসরকে যে বরখাস্তে রুপান্তরিত করা হবে সেটা নিশ্চিত ।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভাই
প্রথম কথা হইলো এদের পুনর্বহালের কোন সুযোগ নাই
এটা নিশ্চিত
আর বেসামরিক আদালতে বিচারের আওতায় আনার আগে অবশ্যই সামরিক আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে হবে, সেটা কি হয়েছে এই ক্ষেত্রে
উত্তর হলঃ যে না হয়নি
আমার প্রশ্ন এখানেই ভাই
একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার
"সামরিক আদালতে বিচারের আওতায় আনার আগে অবশ্যই সামরিক আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে হবে"
এখানে সামরিক আদালত মানে কি কোর্ট-মার্শাল? তাহলে ভুল।
কোর্ট মার্শালে দোষি হলে সেখানেই শাস্তি হবে। এক অপরাধে দুইবার বিচার হবে না। যেকোন অপরাধের জন্য বিচার একবারই হবে।
আর আদালত মানে যদি কোর্ট অব এনকোয়ারি হয়ে থাকে, ওটা কখনোই ম্যান্ডেটরি ছিল না।
সামরিক অপরাধের বিচার একমাত্র সামরিক আদালতেই হবে কিন্তু বেসামরিক অপরাধের বিচার সামরিক বা বেসামরিক যেকোন আদালতেই হতে পারে। আইনগত বাধা নাই।
সামরিক আদালতে যেকোন সিভিল অপরাধের বিচার সেকশন ৫৯ অনুযায়ী হবে কিন্তু বেসামরিক আদালতে বিচারের জন্য একটা হস্তান্তর প্রক্রিয়া থাকে। এই হস্তান্তরের আগে বরখাস্ত, অবসর, সাসপেনশন ইত্যাদি করতে হয় যেজন্য আদালত করাটা একমাত্র পন্থা নয়। নির্বাহি আদেশেও করা সম্ভব।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার কাছে এইটা ভালো লাগে নাই।
অবশ্য আমি কে???
এই কাজটা করে পুরা বিষয়টাকে ঘোলাটে করে দেয়া হইলো।
সোজা বাঙলায় বলতে গেলে এ যাবৎ যতো গুম-হত্যা হইলো সব কিছুর সাথে এখন রেবকে জড়ানো হবে।
অলরেডি বহিঃবিশ্বে রেব সংক্রান্ত বিষয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হচ্ছে।
আমি নিজে সামরিক বাহিনী, রেব ইত্যাদির সমালোচনা করি নানা সময়।
কিন্তু এইসব স্টেপের মাধ্যমে এইসব বাহিনীকে ধ্বংসই করা হবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
যেকোন একশনের পক্ষে ও বিপক্ষে কিছু রিএকশন থাকবেই। যাকে বলে প্রোস এন্ড কনস।
আমি এখানে প্রোসই বেশী দেখি। যেমন:
১) গুরুতর অসঙ্গতি যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের গোচরে এসেছে সেটা জানানো।
২) তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে এইরকম গুরুতর অসঙ্গতি বরদাশতে অনিচ্ছা জানানো।
৩) গোটা বাহিনীকে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বনের বার্তা দেয়া।
৪) কর্ম প্রক্রিয়ায় অধিক জবাবদিহিতা আনা।
৫) যারা সঠিক পদ্ধতির অনুসরন করছেন, তাদের উৎসাহ দেয়া।
৬) স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরা।
আমার কিন্তু মনে হয়, এই অর্জনগুলি র্যাবের ভবিষ্যৎ গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে যদি তা ঠিকমত নারচার করা হয়।
কিন্তু যদি, "এইটা কি হৈল" বলে কেউ হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে, তাহলে সমস্যা আছে।
নেতিবাচক কিছু প্রভাব তো পড়ছেই তবে এই ইতি বাচক প্রভাবগুলি তা অফসেট করার, কাটিয়ে উঠার জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচনা করার কারনও আছে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
লেখাটা চমৎকার হয়েছে। আর এই খুনিদের শেষ পর্যন্ত কিছু না হলে আমরা বলতে পারবো ... সাত খুন মাফ।
"সাত খুন মাফ" - কথাটার মধ্যে এতদিন যে হিউমার, ঠাট্টা অনুভব করেছি, এই এক ঘটনার বিচার না হওয়াটা সেই হিউমার-ঠাট্টাকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে নিয়ে যাবে চিরদিনের মত।
ভবিষ্যতে কখনো কাউকে সাত খুন মাফ বা সেভেন মার্ডার পার্ডনড বলতে শুনলে কি চন্দন বাবুর বা অন্যসকল নিহত গনের অসহায় মুখগুলো একবারের জন্য হলেও মনের পর্দায় ভেসে উঠবে না?
আমার কথা বলি। আমি আর কখনোই এই বাগধারাটা উচ্চারন করতে পারবো না, তা বিচার হোক বা না হোক।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই কিছু সাম্প্রতিক উন্নয়ন দেখছি। হয়তো পড়েছেন তারপরেও এখানে দেখুন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে দন্ডবিধি কিংবা অন্যকোন বিশেষ আইনে অভিযোগ না পাওয়া গেলে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে। I LOVE Section 54! :awesome: :awesome: :awesome: :awesome:
আরো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইনের হালনাগাদ করার ব্যাপারেও কথা উঠেছে। আর্মি এ্যাক্ট সেদিন পড়ে দেখছিলাম। খুব ঘোলাটে। পরিষ্কার করে অনেক কিছু বলা নেই। যদিও অবাক হইনি। তবে এই ঘটনার ধাক্কায় হালনাগাদ হলে মন্দের ভাল। কি বলেন? (সম্পাদিত)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
প্রশ্ন হলো, আদর্শ অবস্থায় প্রশাসনের কাজে (প্রমাণ মিললে গ্রেফতার করা হবে--স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) হাইকোর্টে রীটের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে ৫৪ ধারায় তিন কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের নির্দেশকে অনধিকার চর্চা হিসেবে দেখছেন কি?
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আর্মি এক্ট আইনজ্ঞর চোখ দিয়ে পড়লে ঘোলাটে লাগা বিচিত্র নয়। কিন্তু প্রচুর প্রিসিডেন্স ও কাস্টম আছে প্রতিটা ক্ষেত্রেই। সেসব মিলিয়ে পড়তে ও এক্সজিকিউট করতে সমস্যা হয় না কোনও।
আরেকটা কথা হলও এজাতিয় অপরাধে গ্রেফতার করা হয় অভিযোগের উপরে। প্রমান মিললে গ্রেফতার একটা ফালতু কথা। বিচারের আগে তো কিছু প্রমান হয় না। তাহলে কি কেউ গ্রেফতার হবে না?
ফানি
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অবশ্যই গ্রেফতার হবে পারভেজ ভাই।
কেনো হবে না।
যদি সামরিক বাহিনীর চাকুরিজীবীদের অপরাধের শাস্তি বা বিচার হতে সাধারণ আদালতে বাধা থাকে আর সেজন্য অভিযুক্তকে যদি চাকুরিচ্যুত করতে হয় তাহলে বলতেই হবে সামথিং ইজ রিয়েলি রঙ।
সামরিক আদালতে যদি কোন সমস্যা থাকে তবে তার ও সংষ্কার প্রয়োজন।
সাধারণ চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে কোন বিচার করার দরকার হয় তবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সে সময় সে অর্ধেক বেতন পায়। অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি। আর না হলে বেতন ফেরত পান। ইত্যাদি. ইত্যাদি।
সামরিক বাহিনীর ক্ষেত্রে কেনো সেটা হবে না>>>
কেনো তাদের বিচারের আওতায় আনতে হলে আগে চাকুরিচ্যুত করতে হবে??
এখন সামরিক বাহিনীর বিচার কোন বই অনুসারে হয় জানি না।
তা কেনো পরিবর্তিত হবে না বা বাধা কোথায়?
১৯৯০ এর পর তো বুটজুতার নিচে দেশ নেই।
৯৫-৯৬ এর আবু সালেহ মোঃ নাসিমের সেই ক্যুর কথা খেয়াল আছে>>>
উপরের সারির বেশ কিছু ব্রিলিয়ান্ট অফিসারদের চাকুরিচ্যুত করা হলো।
আমার মনে আছে ইব্রাহীম সাহেব এরপর কলাম লিখতেন, ব্রাকেটে বরখাস্ত।
এরপর ২০০৮ এ আওয়ামীলীগ এসে মনে হয় ঐসব অফিসারদের অবসর দেয়া হয়।
হোয়াই???
আরেকটি জিনিস বুঝতে চাই।
এক আতিকুর রহমান বাদে বাকি সব আর্মি চিফ অবসরের কোন না কোন ভাবে রাজনীতির সাথে জড়িয়েছেন।
তাদের কেনো অন্য সাঃ নাগরিক এর মতো অধিকার থাকবে না রাজনীতি করার>>
কিন্তু একই সাথে বলতে হয় বিষয়টাকি এতোটাই সাদা>>
আরেকটা বিষয় সামরিক বাহিনী কোন চেইন অফ কমান্ডে চলে।
সামরিক বাহিনীর প্রধান তো পদাধিকার বলে রাষ্ট্রপতি।
সংসদীয় সরকার বলে, এবং সামরিক বাহিনীর মন্ত্রনালয় এর দায়িত্বে প্রধানমন্ত্রী থাকার রেয়াজ থাকার কারণে পি এম না হয় মাথা।
সেই সময় সাভার ক্যান্ট এর হেড সব নৌকা, ফেরি এপারে নিয়ে আসলেন।
আরো কি কি জেনো হলো।
নাসিম সব আর্মি কে ঢাকায় মুভ করাতে পারলেন না।
যারা তার কথা শুনলেন না তারা কি চেইল অফ কমান্ড ভাঙ্গলেন না!!!
নাকি এইভাবে ভাবা হবে যে তারা রহমান বিশ্বাস বা রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকলেন।
যদি সেটা হিসাবে আনি তবে কি আবু সালেহ নাসিম দেশবিরোধী ছিলেন???
তার সাথে তার অনুগত জেনারেলরা কি দেশবিরোধী ছিলেন???
সামরিক বাহিনী আমাদের গর্বের জায়গা।
সমালোচনা ও করি অনেক।
এই ব্লগেই আমার লেখার বিপরীতে আলোচনা হয়েছে।
কিন্তু এইভাবে ধীরে ধীরে আমাদের একটা গর্ব করার বাহিনীকে ধ্বংশ করা হবে এটাও মানা যায় না।
৭৫ এর ৭ ই নভেম্বর বিদ্রোহ যে কারণে হয়েছিলো তার সাথে ২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহর কি কোন মিল নেই????
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দেশে এসে টাকা জমিয়ে প্রথম কাজ হবে ডিএলআর (ঢাকা ল' রিভিউ) সহ আরো বিখ্যাত কিছু ল' রিপোর্টিং জার্নাল কিনে ফেলা। ভল্যুউম ১ থেকে কিনতে গেলে ভালই খরচ পড়বে। তারপরেও কিনতে চাই। ল' স্কুলে থাকতে ল' রিভিউর বিভিন্ন কেইস গল্পের মত পড়তাম। পোলাপান আঁতেল নাম দিয়েছিল এই কারণে। হাইকোর্টের সার্কাসের খবর জানতে ল' রিভিউর উপর কথা নাই এটা ওদের বোঝাতে পারি নাই। কত মজার মজার কাহিনী নিয়ে কেইস হাইকোর্টে গড়ায়। আবার কিছু কেইসের বিচারকের এনালিসিস মুগ্ধ হয়ে পড়ার মত। কথা গুলো বলছি কারণ প্রিসিডেন্সের কথা বললেন। দুইচারটা ল' রিভিউর ভিতরে চোখ বুলালে ধারণা করতে পারতাম কিভাবে কি হয়। তার উপর আমি দল ছাড়া নেকড়ে। ইদানিং আইনের ভাষাই ঘোলা লাগে। স্মৃতিতে মরচে পড়ছে! 😛 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আরেকটা বিষয় মনে পড়লো। দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে আইন ও আইনের ভাষা সম্পর্কে সঠিক ভাবে অবগত হবেন এটা আশা করা ঠিক না। কিন্তু আইনের শব্দ গুলো ইংরেজীতেই একটু এদিক সেদিক হলে বিপদ আর বাঙলায় হলে তো কথাই নাই।
অভিযোগ প্রমাণ (মামলার একদম শেষ পর্যায়) ও অভিযোগ আনয়ন (চার্জশীট গঠন ও তার আশেপাশে) এই দুই কথার মাঝে আকাশ-পাতাল তফাৎ আছে এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেব বোঝেন কিনা সন্দেহ আছে। যেটা বললেন, হাস্যকর একটা ব্যাপার।
তবে এবার খোদ হাইকোর্টই যেহেতু আর্মি এ্যাক্ট হালনাগাদ করার ব্যাপারে কথা তুলেছেন তারমানে আসলেই এর মাঝে ঘোলা জল আছে। (সম্পাদিত)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
১০ বছরে ২ হাজার র্যাব সদস্যের শাস্তি
নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে হত্যায়ও র্যাবের যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তারা তিনজনই সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা।
সেনাবাহিনীর দুজন এবং নৌবাহিনীর যে তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের ইতোমধ্যে অবসরে পাঠানো হয়েছে। র্যাব তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও চালাচ্ছে।
র্যাবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে গঠনের পর থেকে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত র্যাব সদস্যের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪৯ জন।
অর্থাৎ প্রতিমাসে গড়ে ১৬ জনেরও বেশি র্যাব সদস্য দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন।
নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় সামরিক বাহিনী (সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনী) থেকে র্যাবে আসা সদস্যদের পরই বেশি শাস্তি হয়েছে পুলিশ সদস্যদের।
বর্তমান র্যাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। এই বাহিনীতে ৪৪ ভাগ পুলিশ, ৪৪ ভাগ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং বাকি ১২ ভাগ বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য বিভাগের।
র্যাবের তথ্য বলছে, এই বাহিনীতে থাকাকালীন বিভিন্ন অপরাধে চলতি বছরের ৬ মে পর্যন্ত গুরু এবং লঘু দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে আসা ৭২৯ জন, নৌবাহিনীর ৫৪ জন এবং বিমান বাহিনীর ৬২ জন রয়েছেন।
এছাড়া পুলিশের ৮১৭ জন, বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) ২০৬ জন এবং আনসারের ৮১ সদস্য র্যাবে দায়িত্ব পালনকালে নানা অভিযোগে সাজা পেয়েছেন।
বাহিনী গঠনের ৫ মাসের মাথায় ২০০৪ সালের ২৩ অগাস্ট গাবতলী হাটে গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা ছিনতাই করে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন কয়েকজন র্যাব সদস্য। সেটিই ছিল জনসম্মুখে প্রকাশ হওয়া র্যাব সদস্যদের সংগঠিত প্রথম অপরাধ।
ওই ঘটনায় তিনজন র্যাব সদস্য জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
শুরুতে জঙ্গি দমনসহ এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাস দমনে নানা মহলে ‘প্রশংসিত’ হলেও ‘ক্রসফায়ার’ ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে মানবাধিকার সংগঠনগুলো র্যাবের সমালোচনায় মুখর।
র্যাবের মুখপাত্র হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “র্যাব একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায় তা তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। কাউকে ছাড় দেয়া হয় না।”
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় অভিযোগ ওঠার পর র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান সংসদীয় কমিটিকে বলেছেন, কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা তারা করবেন না।
র্যাব সূত্র জানায়, কর্তব্যে অবহেলা, চাঁদাবাজি, নিরীহ ব্যক্তিকে আটকে রেখেনির্যাতন, মূল্যবান জিনিস ও টাকা আত্মসাৎ এবং মারামারির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এছাড়া মামুলি চুরি, কর্মকর্তার অস্ত্র হারিয়ে ফেলা, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মারধর করা, গোপন তথ্য ফাঁস করা, মদপানসহ ছোটখাটো নানা অপরাধেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে।
র্যাব জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তদের কারো কারো বিরুদ্ধে মামলা, কাউকে চাকরিচ্যুত করা, বেতন কেটে নেয়া, র্যাব থেকে মূল বাহিনীতে ফেরত পাঠানো অথবা কাউকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, এই পদমর্যাদার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আগের অভিযোগটি উঠেছিল চট্টগ্রামের র্যাব-৭ এর অধিনায়ক জুলফিকার আলী মজুমদারের বিরুদ্ধে।
২০১১ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামে তালসারা দরবার শরিফের প্রায় ২ কোটি টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকারকে চাকরি হারাতে হয়। গ্রেপ্তারও করা হয় তাকে।
২০০৯ সালে জুলাই মাসে এক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে আটক করে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আসে র্যাবে বদলি হওয়া সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোয়েব আহমেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে র্যাব থেকে সরিয়ে দিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
র্যাবের দায়িত্ব পালনকালে মেজর আবু মোহাম্মদ সিদ্দিক আলম ২০১০ সালের জুলাই মাসে চাকরি হারিয়েছেন অবৈধভাবে এক ব্যবসায়িকে আটক রেখে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়।
নারী কেলেঙ্কারিতেও জড়িত হয়ে আলী আহমেদ, রফিকুল ইসলাম এবং আবুল কালামসহ কয়েজন র্যাব সদস্য শাস্তি পেয়েছেন। ফেনসিডিল বিক্রিতে জড়িত থাকায় চাকরি যায় এক র্যাব সদস্যের।
অস্ত্র বহনে আপত্তি জানানোয় পুলিশের থেকে র্যাবে আসা সামসুল আলম নামে এক উপ পরিদর্শককে সংস্থাটি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। র্যাবের গোপন তথ্য বাইরে প্রকাশ করায় পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে পদাবনতি করে কনস্টেবল করা হয়।
ভিওআইপি অভিযানের সময় ক্যামেরাসহ কিছু জিনিসপত্র আত্মসাতের অভিযোগে মোছেমুল ইসলাম নামে এক র্যাব সদস্যকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, ১ হাজার ৯৪৯ জন সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে জেল, জরিমানা বা বরখাস্তের মত গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৬৭৯ র্যাব সদস্য। এদের মধ্যে জেলসহ বরখাস্ত হয়েছেন ১২ জন, শুধু বরখাস্ত হয়েছেন ১০৭জন।
তিরস্কারের মতো লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১ হাজার ২৭০ র্যাব সদস্য। শৃঙ্খলা ভঙ্গে র্যাব থেকে মূল বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৪১০ সদস্যকে।
পদাবনতি ও জরিমানার মতো দণ্ড পেয়েছেন ৫৫৫ জন। এছাড়া চাকরি থেকে বরখাস্ত আরো পাঁচজনের আদালতে বিচার চলছে।
র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কিছু কিছু ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাটি যোগ হল।
লিঙ্ক
এলার্মিং।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পারভেজ ভাই, রীটের রায়টি আসার পরেই উপরে মন্তব্য করেছিলাম এটা হস্তক্ষেপ কিনা, কারণ নিজে আইনজীবি হয়েও ব্যাপারটি আমার কাছে হস্তক্ষেপ মনে হয়েছিল। অন্তত কিছু না পেলে ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের আদেশটা কিছুটা হাস্যকর। এখন দেখছি প্রধানমন্ত্রী মুখ খুলেছেন এবং উষ্মা প্রকাশ করছেন। সেই সাথে সেনাবাহিনীর প্রক্রিয়া ও পুলিশ প্রক্রিয়ার মাঝে সমন্বয়হীনতার কারণেও সেই তিনজনের গ্রেফতারে দেরী হচ্ছে। প্রিসিডেন্স কাজে আসছে না।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সন্দেহভাজনদের হস্তান্তরের জন্য স্পষ্ট আইনের পরিবর্তে দাপ্তরিক যোগাযোগের উপর ভরসা করে কাজ চালাতে হয়। হাস্যকর। তাও মন্দের ভাল, কাজ হয়েছে।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\