হাত বাড়িয়ে দাও

মুক্তিযোদ্ধা এসএম খালেদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার ব্যাপারে সচলায়তনে দৃশা আপা একটি মন্তব্য করেন।

এই সব বড় মানুষ টানুশ কবে দয়া কইরা টাইম দিব ওইটার লাইজ্ঞা বইসা না থাইকা, তাদের সময় বাইর হইতে হইতে আমরা আমাদের মধ্য থেইকা কাজ শুরু করি না কেন। সচলের সদস্য যদি ১৩০ জন হয়, আর অন্যান্য পাঠক আর আধা অতিথি মিলায়ে যদি সংখ্যা ২৫০ হয়, আর প্রত্যকে যদি ৫০০০ টাকা কইরা কন্ট্রিবিউট করি তাইলে দাঁড়ায় ১২,৫০,০০০ টাকা। মানলাম ৫০০০ সংখ্যাটা অনেক বেশী না হলেও খুব একটা কমও না, কিন্তু প্রয়োজনটাও যে বেশী। আমরা নিজেরা যদি খানিকটা সমঝোতা করে, ২ মাস একটু টাইট সিচুয়েশনে থাকি খুব কি আর ক্ষতি হইবো? খানিকটা না হয় কঠিন সময় দেখলামই এক আপনজনের হাতটা শক্ত করে ধরার তরে। একটু ভাইবা দেখি তো সবাই সম্ভব কি না হাতটা শক্ত করে ধরা!

আমাদের সবারই অনেক চেনা পরিচিত লোকজন আছে আশপাশে যারা হয়তো জানলে খুশি মনেই সাহায্যের হাত বাড়াইবো। আর যারা অবস্থা থাকা সত্বেও ধানাই পানাই করবো সেসব পরিচিতের নিকুচি করি। আমরা প্রত্যকে যদি এভাবে অন্তত আরো ১০,০০০ করে সংগ্রহ করতে পারি নিজ জানা শোনা মানুষগুলা থেকে তাইলে কত দাঁড়ায়? ১০০ জন ধরলেও তো উইঠা যায় ১০,০০,০০০ টাকা। এইটুকুন এফোর্ড যদি আমরা আজকে না দেই তাহলে মন খারাপ করার অধিকারও আমগো নাই, কতখানি তুলতে পারি পরের কথা আগে উদ্যোগটা তো নেই। মোট দাড়ায় ২২,৫০০০০ টাকা। এই টার্গেট টা রাইখা প্রত্যেকে কাজ শুরু করা উচিৎ যত জলদি সম্ভব।

আর একটা ঘটনা করার ক্ষমতা রাখে স্টুডেন্ট’রা। নিজ নিজ ইউনি, কলেজের অন্যান্য স্টুডেন্টদের আর অথরিটির সাহায্য নিয়া ছোটখাটো অনুষ্ঠান যেমন আনপ্লাগড কনসার্ট, মুভি ফেস্টিভ্যাল সহ অন্যান্য পোগ্রামের আয়োজন করা। এটা অনেক বড় কিছু ফল না আনলেও বেশ কার্যকর। যতখানি আসবে যেখান থেকে যেমনেই আসবে ততখানি লাভ।

তাই যতক্ষন বাইরের কারো কোন সাহায্য আমরা পাচ্ছি না, আমাদের উচিৎ তখন নিজেদের রাস্তা নিজেরা তৈরী কইরা নেওয়া। কষ্টসাধ্য কিন্তু অসম্ভব না। হা-হুতাশ, মন খারাপ, ভেঙ্গে পড়া এগুলা কে আসেন কইষা দুইটা লাত্থি মারি আর নিজেরাই আগে প্রথম উদ্যোগটা নেই।

এই প্রেক্ষিতে সেখানে সবাই সেখানে স্বাক্ষর করা শুরু করেছেন। অন্তত পক্ষে পাঁচ হাজার করে সবাই দেবেন। সিসিবিতেও অনেকেরই সামর্থ আছে এই মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে বাঁচানোর জন্য পাঁচ হাজার টাকা দেবার। তাই পোস্টটি দিলাম।

আপনারা যারা ঢাকায় থাকেন তারা শুধু আওয়াজ দিন। টাকা আমি যেয়ে নিয়ে আসবো। যারা ঢাকার বাইরে আছেন কিংবা বিদেশে আছেন তারাও হাত তুলুন। ব্যবস্থা একটা হয়েই যাবে।

বাকি কথা মন্তব্যে।

আগের পোস্ট

ফোনে যোগাযোগ করুন

রায়হান আবীরঃ ০১৬৭০৪১৪৭৮২/ ০১৫৫৬৪৭১৬৭১

২,৭৮৪ বার দেখা হয়েছে

৩৩ টি মন্তব্য : “হাত বাড়িয়ে দাও”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    সিসিবি থেকে আমরা কয়জন দিতে পারি দেখা যাক।
    অল্প কয়জন ছাড়া এখানে বাকি সবাই ছাত্র। তাই হয়তো খুব বেশি হবে না। কিন্তু যতজনই হউক, চলুন একবার চেষ্টা করে দেখি।

    আমাকে দিয়েই শুরু হউক।
    রায়হান হিসেব করা শুরু কর।

    ১ জন।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  2. মোস্তফা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    আমরা (সচল জাহিদ ও আমি) এডমন্টনে গণসংযোগ সুরু করেছি। দু'এক দিনের মাঝে যা উঠে ঢাকায় মানিগ্রাম করে দিব। ঢাকায় কার নামে পাঠানো যায় আমাকে জানাও। আমার ইমেইল mmali@ualberta.ca । পুরোনাম আর ঠিকানা ইমেইল করে দিও। মানিগ্রাম এর টাকা অনেকগুলু বেসরকারী ব্যাংক এর মাধ্যমে তোলা যায়। আমি পরে জানিয়ে দিব ব্যাংক এর নামগুলো।

    জবাব দিন
  3. মোস্তফা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    কানাডায় বসবাসরত বেশ কয়েকজন ছোট ভাই আমাকে মেইল করেছে তারা টাকা পাঠাতে ইচ্ছুক। তাই আমার একাউন্ট নম্বর সিসিবিতে দিয়ে দিচ্ছি। কানাডা র যারা টাকা পাঠাতে চান তারা আমার একাউন্টে পাঠাতে পারেন। আপনার নিজের শহর থেকে তুলে একত্রে পাঠাতে পারেন অথবা শুধু নিজেরটাই পাঠিয়ে দিন।

    নামঃ Mohammad Ali
    ব্যাংকঃ CIBC
    একাউন্টঃ 09069-010-6583636

    CIBC এর যে কোন শাখায় যেয়ে আমার একাউণ্ট নম্বর দিয়ে বলবেন যে টাকাটা ডিপোজিট করে দিতে। এ ক্ষেত্রে কোন বাড়তি খরচ লাগবে না। টাকাটা পাঠানো হলে আমার ইমেইল mmali@ualberta.ca তে দয়া করে একটা মেইল দিবেন।

    জবাব দিন
  4. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    সানাউল্লাহ ভাই, ফয়েজ ভাই, কামরুল ভাই, আমিন ভাই এই চারজনের বিশ হাজার + জিহাদের কিছু আজকে সবজান্তা ভাইকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সবাইকে ধন্যবাদ।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।