সেদিন হঠাৎ করেই ‘বৃক্ষকথা’ নামক ফেসবুক গ্রুপের একটি পোষ্টে চোখ আটকে গেল। পোষ্টটি ছিল রংপুর ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের করা দৃষ্টিনন্দন একটি বাগান নিয়ে। বাগানের সেই ছবি আমাকে প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা কিংবা দূর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল। অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, মাঝে এতগুলো বছর পেরিয়ে গেছে অথচ মনে হচ্ছে এইতো সেদিনের কথা। তখন আমরা ক্লাস নাইনে পড়ি। হঠাৎ করেই কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত,
বিস্তারিত»প্লট
রেডিওতে বিবিসি সংলাপ শুনছিল আসিফা।হঠাৎ কে যেন তার পাশে এসে বসল।অপরিচিত একটা কণ্ঠস্বর বলে উঠল, ‘আসিফা আপু।’
‘কে?’
‘আমাকে চিনবেন না আপু।আমি মার্জিয়া।পাঁচতলায় থাকি।ডাইনিংয়ে, ক্যান্টিনে, জামালের দোকানে আপনাকে প্রায়ই দেখি। আমার এক বান্ধবী- সুমনা, চেনেন বোধহয়।ও আমাকে বলল আপনার একজন ভলান্টিয়ার দরকার।’
‘হ্যাঁ আপু, তা তো দরকার।দু’জন আমাকে রেকর্ডিংয়ে সাহায্য করত। একজন বাড়ি গেছে। আরেকজনের পরীক্ষা। তা কখন কখন সময় দিতে পারবে ?
বিস্তারিত»মানবতা তথাকথিত
oo
বিস্তারিত»অতঃপর সেই আমি-২
পার্ট ১ এর পর ২ নং টা ছাড়লামঃ
পার্ট ১ পড়তে ক্লিক করুন
ছোট্ট একটা মফস্বল শহর।১৯৬৫ সাল।পূর্ব পাকিস্তানের নরসিংদী এলাকার শ্রীনগর।এলাকার মাঝামাঝি স্থানে পাশাপাশি দুটি বাড়ী।তার একটা জলিল সাহেবের অন্যটা রনজিত সাহার।ধর্মে ভিন্ন হলেও তাদের অন্যান্য কিছুতে তারা ভিন্ন নয়।দুজন একই অফিসে চাকরী করেন।গত আট বছর ধরে তারা পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন।দু’ পরিবারে বেশ ভাব।যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক কাজে সবাই যেন পরস্পরের জন্য নিবেদিত প্রান।জলিল সাহেবের পরিবারে আছে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে।জলিল সাহেবের দুই ছেলের মাঝে একজন আমার বড় ভাই ফারুক অন্যজন আমি।রনজিত সাহার দুই মেয়ে,জয়িতা আর সুনন্দা।জয়িতার বিয়ে হয়েছে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সাথে।সুনন্দা আমার সাথে কলেজে পড়ে।সুনন্দাকে আমি সুনু বলেই ডাকি।অন্যান্য মেয়েদের চাইতে সুনু একটু আলাদা।তার মাঝে একটা অন্যরকম ভাব আছে যা অন্যদের মাঝে নেই।সুনুর সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হল সে হাসলে গালে টোল পড়ে।ওর মায়াভরা মুখটা আমার সবচেয়ে আপন লাগে।হাসির মধ্যে একটা শিশুসুলভ ভাব রয়েছে।যদিও ছোটবেলায় ও বেশ মোটা ছিল কিন্তু ও যেন দিনদিন আমার কাছে আলাদা রকম আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে।জানিনা আমার আকর্ষন বোধটা অন্য মেয়েদের চেয়ে ওর প্রতি এতটা বেশী কেন।হয়তোবা ওর সেই অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের জন্যই।আমরা আলাদা ধর্মের হলেও কখনও সুনু কিংবা আমি পরস্পরকে আলাদা ভাবিনি।মোটকথা সুনন্দাকে আমার বেশ ভাল লাগে।তবে ওকে নিয়ে আমি কখনও সেরকম ভাবনা ভাবিনা।সেরকম ভাবনা বলতে আমি ভালবাসা কিংবা প্রেম-টেম বোঝাচ্ছিনা,আমি বলতে চাইছি আকর্ষনের ব্যাপারটা।
বিস্তারিত»অতঃপর সেই আমি-১
কলেজে ক্লাশ টেন এ থাকা কালীন এটা লিখা শেষ করছিলাম।ইচ্ছা ছিল কোন একদিন সুযোগ হলে কারও কাছে সাবমিট করবো চলমান ছবি হিসেবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।সেই স্বপ্নটা সত্যি হতে চলেছে শীঘ্রই ইনশাল্লাহ :-)যা হোক সিসিবি তে সবার সাথে ধারাবাহিক হিসেবে শেয়ার করার চেষ্টা করছি…( এটা একটা সত্য ঘটনা,চরিত্র গুলোর নাম অনেক গুলোই বাস্তব,ঘটনার কিছু কিছু অংশ শুধু লেখার জন্য একটু আলাদা করে ফুটিয়ে তোলা)
****************************
আমি এই মুহুর্তে কোথায় আছি সেটা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি,বোধ হয় হাসপাতালে।আশেপাশের সবাই সম্ভবত আমাকে নিয়ে দারুন ব্যস্ত আর উৎকন্ঠিত।জানিনা কেন তাদের এত ব্যস্ততা আমার জন্য।হয়তো আমার প্রতি এ মুহুর্তে তাদের প্রচন্ড ভালবাসা জন্মে গেছে,সে ভালবাসা ভিন্ন সময়ে ভিন্ন রকম,যা রঙ বদলায়।ভালবাসার কি আদৌ কোন নির্দিষ্ট রঙ আছে?ঠিক জানিনা।তবে আমি এটুকু বলতে পারি,প্রত্যেকের মাঝেই ভিন্ন ধরনের ভালবাসা আছে।আমি এমন কেউ নই যে এরা আমাকে নিয়ে এতটা উৎকন্ঠিত হবে,আমি আমার নিজের কাছে খুব সাধারন,হয়তোবা অন্যদের কাছে আলাদা।আমি এ মুহুর্তে আমার বুকের সব জায়গা জুড়ে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছি,এক ধরনের তীব্র যন্ত্রনায় আমার সর্বাঙ্গ ভরে যাচ্ছে।আমার মুখে অক্সিজেন মাস্ক দেয়া হয়েছে।আমি শুধু চেয়ে চেয়ে সবার কাজ দেখছি।কেবল চেয়েই আছি,চোখ বুজতে ইচ্ছা করছেনা,কেমন যেন একটা অদৃশ্য ভয় আমাকে ছেয়ে আছে।সে ভয়ের জন্য আমি চোখ বুজতে পারছিনা,বুঝতে পারছিনা কি সে ভয়।সেটা কি মৃত্যু?আমার আশেপাশে যারা আছে তারা বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছে তবে তাদের কথার বিষয়টা বুঝতে পারছিনা,হয়তোবা আমাকে নিয়েই কথা হচ্ছে এদের মাঝে।আমায় এখানে নিয়ে আসার আগে কি ঘটেছে আমার খেয়াল নেই।তবে,এটা মনে আছে যে কেউ একজন আমার হাতটা চেপে ধরে কেঁদেছিলো,কিন্তু কে কেঁদেছিলো?না,মনে পরছেনা।অনুভব করতে পারছি যে তার হৃদয়ে আমার জন্য ভালবাসার এতটুকু কমতি নেই।কিন্তু কে সে?আমি প্রচন্ড চেষ্টা করছি মনে করার;না মনে পরছেনা।আচ্ছা সবারই কি এমন হয়?যে মানুষটা তাকে ভালবাসে,প্রচন্ড রকম ভালবাসে অথচ তাকেই সে অনুভব করতে পারেনা কিংবা তার অস্তিত্বকে সহজে আবিষ্কার করতে পারেনা।কি জানি,তবে আমার মনে হচ্ছে আমি আবিষ্কার করতে পারবো।
ফেসবুক স্ট্যাটাস ও ১টা কবিতা -কবি টাইপ নাম নাই তাই ইউজ করলাম নাহ :-( :-(
স্বপ্ন মরিচিকা
**************
একদিন ছিলে শুধু একান্তে-মননে,
গভীর ধ্যানের মন্ত্র শিরায় ছিলে মিশে,
গোপনে তোমাকে আজ ছড়িয়ে দিলাম লক্ষজনে।
একদিন সারাবেলা ছিলে তুমি তীব্র দূরন্ত আবেগ,
আজ সেই তুমি যেন শ্রাবনের-
দূরগামী উড়ে যাওয়া মেঘ।
হায়রে পোলাপাইন…হায়রে প্রেম…হায়রে প্রেমিকা (ভ্যালেন্টাইন ডে -আবেগী ভার্সন)
( বন্ধুর মনে যখন ভাইরাস আক্রমন করল,ভালবাসা উথলাইয়া পড়িতে শুরু করল,তখন লেখা শুরু হলো)
টিক…টিক…টিক ঘড়ির কাটা ঘুরে চলেছে।চারপাশে সুনসান নীরবতা।আলতো করে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় সুমন,অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন ঘড়িটার দিকে।সময় কতটা দ্রুত কেটে যাচ্ছে।চোখটা বুজে আলতো করে।
আজ সারাদিন কাজ শেষে অনেক ক্লান্ত শরীর।কাজের ফাঁকে এক মুহূর্তের জন্যেও সোনামনির কথা ভুলতে পারেনি সে।এইতো মাত্র কয়েকটা দিন আগেও জীবনের মুহূর্তগুলো এতটা সুখের মনে হতোনা।খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়া,দুপুরে আফিসে বসে একা একা লাঞ্চ করা,সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরা।তারপর রান্না করা,সাময়িক বিনোদন হিসেবে ইন্টেরনেট এ বসে বসে অনলাইন নাটক বা মুভি দেখা অথবা দেশে থাকা বন্ধুদের সাথে মাসেঞ্জার এ চ্যাট করে আড্ডা জমানো।প্রত্যেকটা দিন এভাবে কেটে যেত।জীবন যেন অনেকটা একঘেয়েমিতে ভরে যাচ্ছিলো।
হায়রে পোলাপাইন…হায়রে প্রেম…হায়রে প্রেমিকা – পর্ব ২
হায়রে পোলাপাইন…হায়রে প্রেম…হায়রে প্রেমিকা
২০০৪ এর ঘটনা…জিয়া উদ্যান এর এক কোনায়..এক ঠোঙ্গা বাদাম খেতে খেতে…
মেয়েঃ শোনো !!
ছেলেঃ বল ।
—(বিরতি)
—(বিরতি)
ছেলেঃ কই কিছু শুনছি না তো?
মেয়েঃ শুনবে কী করে? কিছু বলছি নাতো ।
-বলছ না কেন?
-কেন বলব?
– মানে তুমিই ত’ বললে!
-আমি কী বললাম ? কখন?
পাইরেসী ও আমরা
পাইরেসী ও আমরা
পাইরেসী বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে ৫০ টাকার উইন্ডোজ সিডি। এর কারণ বেশ কিছু ফোরামে লিনাক্স এবং উইন্ডোজ এর যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত হয় যে জিনিসটি সেটা হল পাইরেসী। আসলে কি পাইরেসী বলতে শুধু সফটওয়্যার পাইরেসীকেই বুঝি? পাইরেসী কি অন্য জিনিসে হয় না? হয়ত আমার বোঝার ভুল থাকতে পারে। আমি আগেই বলে নেই আমার জ্ঞান খুবই কম। নবিস শিক্ষার্থী।
ইয়েস স্যার
এখন থেকে বহু বছর আগে রংপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম, আর ১৬ বছর পরে এখনও ক্যাডেট হয়েই আছি।
আজ এই পর্যন্তই…
বিস্তারিত»