[সতর্কীকরণঃ এই পোষ্ট অনেক বড় এবং বরাবরের মতই আমার ইমোশনাল লেখা। অনেকের বিরক্তি উৎপাদন করতে পারে তাই নিজ দায়িত্বে পড়ুন। কেউ খুব বিরক্ত হলে কিংবা আমার লেখা ন্যাকামি মনে হলে তাদের জন্য ভাল খবর হচ্ছে এইটাই আমার এই সিরিজের শেষ লেখা। এই সিরিজ আমার অনেক ইমোশনের তাই শেষ করে নিজের খুবই খারাপ লাগছে। ]
আমার কাজলাদিদিরা – ৬
এইচ,এস,সি পরীক্ষার আগের শেষ ছুটিতে কলেজ থেকে ঢাকা আসলাম।
আমার কাজলাদিদিরা – ৬ ( তন্বীআপু )
আমার কাজলাদিদিরা -৫
তন্বী আপু কিন্তু আমাকে এখনো আপু বানাবার পারমিশন দেয়নি। উনি খুব ভালভাবেই আমার এই আপু বানাবার রোগ সম্বন্ধে অবগত। এবং প্রথম দিন থেকেই ওনার কাছে ওয়ার্নিং পেয়ে পেয়ে এখনো ওনাকে আপু বানানো হয়নি। কিন্তু এই সিরিজের অন্য সবার সাথে ওনার অনেক মিল তাই ওনাকে নিয়েও লেখা যাক।
আমার কাজলাদিদিরা – ৫ (বনানীদি)
আমার কাজলাদিদিরা – ৪
ও আমাকে রূপাই বলে ডাকে। ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম রূপাই কেন? এই নামটা নাকি ওর খুব পছন্দের নাম। জসীমউদ্দীনের নকশী কাঁথার মাঠ এর নায়কের নাম। সেই থেকে আমি ওর রূপাই। আর ও আমার দিদি। জাপান থেকে সেবার দেশে যাচ্ছি যাওয়ার আগে ওকে ফোন দিয়ে কেমন আছে জিজ্ঞেস করলাম। দেখি ওর মন অসম্ভব খারাপ। আমাদের জাপানে যত পিচ্চিকাচ্চা আছে সবার ও বৌদি।
আমার কাজলাদিদিরা – ৪ (নিশুআপু)
আমার কাজলাদিদিরা -৩ (চামু)
২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল দেশ ছাড়লাম। কোন রকম এপ্রিলফুল ছাড়াই আমরা জাপানে চলে আসলাম। বন্ধুরা মজা করে বলছিল তোদের নিশ্চয়ই প্লেনে তুলে চিটাগং নিয়ে নামিয়ে দিবে। চিটাগং এর ভাষা না বুঝে তোরা মনে করবি আসলেই জাপানে আসছিস। এরকম আরো অনেক মজার কথা বলে অনেকেই মন ভাল করার চেষ্টা করছিল। যখন আসছিলাম তখন ভেবেছি ৪-৫ বছর মনে হয় আর দেশে আসতে পারব না বন্ধুদের সাথে দেখা হবে না,
আমার কাজলাদিদিরা -৩ (চামু)
আমার কাজলাদিদিরা ২
ওর আসল নাম হচ্ছে চামেলী। আমার খালাত বোন। কলেজে ৯ এ উঠার সময় এক ছেলের সাথে আমার বাজি হল পরের টার্মে ওর থেকে আমি বেশি চিঠি পাব। কিন্তু টার্ম শুরু হওয়ার পর বুঝতে পারলাম খুবই অসম্ভব ব্যাপার। আমার বাসা থেকেই আমাকে মাসে একখানা চিঠি লেখে। আর ও প্রতি সপ্তাহে ৩-৪টা চিঠি পেয়ে যাচ্ছে। কি আর করা বাজিতে হারব বুঝে গেলাম।
আমার কাজলাদিদিরা – ২ ( পিয়াপু )
আমার কাজলাদিদিরা – ১
[ঠিক কবে মনে নেই কিন্তু খুব ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার একটা বড় বোনের শখ হয়ে গেল ( আজো গেল না )।এই জন্যই মনে হয় ছোটবেলা থেকেই আমি আমার আশে পাশে সবসময় বড়বোন খুঁজেছিলাম। সেই খোঁজার ফলে আমার জীবনে অনেক গুলা আপুই এসেছে। কেউ কেউ আমাকে আসলেই ছোটভাইর মত আদর করেছে কাউকে কাউকে আমি নিজেই মনে মনে আপুর আসন দিয়েছি উনি হয়ত জানেই না।সবার সাথে যে আজ যোগাযোগ আছে তাও না।
আমার কাজলাদিদিরা – ১ ( সুমি আপু )
[ঠিক কবে মনে নেই কিন্তু খুব ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার একটা বড় বোনের শখ হয়ে গেল ( আজো গেল না )।
” মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই?”
এই প্রশ্নটা আজীবন খুঁজে ফিরছি। একটু একটু যখন বড় হলাম গল্পের বই পড়া শুরু করলাম তখন এই ইচ্ছাটা দিনকে দিন বাড়তে লাগল। শরৎচন্দ্রের বড়দিদি, মেঝদি, পড়তে পড়তে ছোট্ট আমার কত দীর্ঘশ্বাস বের হল তার খবর কেউ রাখেনি।