এই ধারাবাহিক উপন্যাসের একেক পর্ব একেকজন লিখবেন। যে কেউ লিখতে পারেন। কেউ যদি পরের পর্ব লিখতে চান তাহলে তাকে এই পর্বে মন্তব্য করে তা বলে দিতে হবে। যিনি আগে বলবেন তিনিই লিখবেন পর্বটি।]
প্রথম পর্ব
গত পর্ব
রাত প্রায় দুইটা। শুনশান নীরবতার মাঝে সামিয়ার পিঠে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছে সাজিদ। জোছনার আলোয় আলোকিত অনেক দূর। মায়াময় সে আলো। একাই আশেপাশের সবার রূপ বদলে দিয়েছে সে। মৃদু স্বরে সাজিদ জিজ্ঞেস করল,
: আচ্ছা, সামিয়া আপুর এরপর কি হল।
: জানি না রে।
: আপু, উনি কি তোমার পরিচিত?
: ওই পাজি, তুই এতো প্রশ্ন করিস কেনরে? যা রুমে যা। কালকে না তোর ড্রিল আছে। আচ্ছা তোদের আমিরুল স্টাফটা এতো গালাগালি করে কেনরে? ওইটাকে বড় হয়ে একদিন শিক্ষা দিয়ে দিস।
: আচ্ছা আপু,যাই তাহলে।
: শোন কয়েকদিন তোর সাথে দেখা হবেনা। আর যেই কাজটা করতে বলেছিলাম সেটা মনে আছে তো?
: হু আছে। ঠিক আছে যাই…
স্থান
(ভিপি স্যারের হত্যার তদন্ত কর্মকর্তা মেজর আসগারের বাসা)
ভিপি স্যারের কেসটা নিয়ে বেশ চিন্তিত আসগার সাহেব। হেডকোয়ার্টার থেকে চাপ আসছে। কি করবেন ভেবেই কোন কূল পাচ্ছেন না তিনি। বয়সের কারণে মাথায় বেশি লোডও নেয়া যাচ্ছেনা। এই সব ভাবতে ভাবতেই গিলে ফেললেন ১২ পেগ হুইস্কি। এই জিনিসটা তাকে উপহার দিয়েছে তার কলেজমেট ফুয়াদ। ব্যাটার পোস্টিং এখন যশোরে। বর্ডার থেকে উদ্ধার করেছে মনে হয়। খাওয়া শেষে টলতে টলেতে বিছানায় এলিয়ে দিলেন বিশাল শরীরটাকে…
রাত প্রায় দুইটা, পাশের রুম থেকে তার ছোট ছেলে ফাহিমের চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেল আসগর সাহেবের। আরামদায়ক আলস্যের কারণে একদমই উঠতে ইচ্ছা করছিল না তার। কিন্তু নুপুর বাসায় নেই। তাকেই যেতে হবে। ছেলেটাকে একটা ভাল ডাক্তার দেখানো দরকার। মাঝে মাঝেই দুঃসপ্ন দেখে ঘুম থেকে উঠে পড়ে ও। এই সব ভাবতে ভাবতে ফাহিমের রুমের দিকে রওনা দিলেন তিনি। দরজা ঠেলে ঢুকতেই কেমন যেন একটা গন্ধ নাকে এলো তার। “ও কিছু না, নেশাটা ছাড়েনি এখনো মনে হয়।” নিজেকেই বোঝালেন আসগর সাহেব। লাইট জ্বেলে দেখলেন তার দেবশিশুটি বিছানার মাঝখানে বসে হাঁপাচ্ছে।
: কি হয়েছে বাবা?
: আব্বু আমার রুমে একজন এসেছিল। ঐ যে জানালার পর্দার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল।
: ও কিছু না বাবা। মাঝে মাঝে অন্ধকারের কারণে এমন মনে হয়। চলো তুমি আমার সাথে শুবে।
ছেলে কোলে উঠিয়েই পর্দার দিকে চোখ চলে গেল আসগর সাহেবের। সেখানে একটা ভাঙ্গা কাচের চুড়ি পড়ে আছে। ভ্রু কুঁচকে উঠল তার। চুড়ি কোথেকে আসল। নুপুর তো কখনো কাচের চুড়ি পড়েনা।
দুইদিন পর…(বৃহস্পতিবার)
ব্যাপারটা নিয়ে সাজিদ অনেক ভেবেছে। সামিয়া আপু যা বলেছে তা ক্লাস সেভেনের কারও পক্ষে করা প্রায় অসম্ভব। অবশ্য কলেজে আসার পর থেকে অসম্ভব অনেক কিছুই তো আজ অবদি করেছে সে। এইটাও পারবে।
রাত একটার দিকে বাথরুমে ঢুকে একটা টাওয়াল স্ট্যান্ড খুলে ফেলল সে। কষ্ট করা লাগেনি। আগে থেকেই আগলা করা ছিল সেটা। করিডর টপকে ধুপিখানার পেছনে চলে গেল। তারপর ধীরে ক্যান্টিনের পেছন দিক দিয়ে এগোলো শহীদ মিনারের দিকে। কিন্তু সেখানে যেয়ে কোন মতেই জায়গাটা খুঁজে পাচ্ছিল না সে। চারপাশে তাকাতে লাগল। হঠাৎ করে দুইহাত সামনে তাকাতেই ভেতর থেকে চিৎকার বেরিয়ে আসলে চাইল। ঐ তো…
: Who is this?
ভয়ে আত্মা উড়ে গেল সাজিদের। পেছনে তাকিয়ে দেখে কলেজ প্রিফেক্ট মাসুদ ভাই। মাথা নীচু করে রইল সে…
: What r u dong here?
পরের পর্ব
এইডা কি হইলো?? লেখা এত ছুড ক্যান??আরো বড় কর।তুই কি দেখলি সেইটা আমরা ক্যামনে জানুম।বাড়া আরো।নইলে খেলুম না...
তবে যতটুকু লেখছিস জোস হইসে...
একটা কারনে রায়হান মামুর এই লেখার অপেক্ষায় ছিলাম...:p
ফাটাফাটি হইছে...হুইস্কি লয়্যা যাইছ..মাসুদের কাহিনীটা ম্যাষ কইরা যাইলে ভাল হইত..
মকরামির গন্ধ পাচ্ছি......
চরম লাগলো। ছোট হলেও পরিপূর্ণ মনে হলো আমার কাছে। কাহিনী অনেকটাই গুছিয়ে এসেছে বোধহয়।
তাইলে এইবার হাতটা তুইলা ফালাও মুহাম্মদ ভাই....
@ ফুয়াইদ্দা,
আমার লেখার অপেক্ষায় ছিলি কেন রে? আমি আবার কি করলাম... 🙁
@ মাসুদের কাহিনীটা রাইখা জাইনাই। সাজিদ বান্দরটারে যে মাঝে মাঝে হাউসে পাওয়া যাইতনা এইটা তো আগের একটা পর্বে লেখা আছে। তাই আমাদের সিপি সাহেব একটু গোয়েন্দাগিরি করে ওর পিছু নিছে...
গিয়ার শেষ হয়ে গেল নাকি? আর কেউ নাই? জিহাদ তো মনে হয় ফিনিশিং দেওয়ার আশায় আছে। বাকিরা একে একে লিখে ফেল না।
হাত তোল হাত তোল...
ভাই মিড এর ধান্দায় নিজের স্টুডেন্ট লাইফ এর ফিনিশিং নিয়াই চিন্তায় আছি। এর মধ্যে আবার এই রকম টোপ ফ্যালেন ক্যান?
আমার মনে হয় এইবারকার এপিসোডটার দায়িত্ব শামস ভাইয়ের নেয়া উচিত।
samjhang koi?
কি ব্যাপার লেখক এত কম কেন??
কেউ হাত না তুললে আমি তুললাম আবার অবশ্য কেউ তুললে নামিয়ে ফেলব আমি।
খুবই সৌন্দর্য
রায়হান ভালো হইসে, ছোট্ট গল্পে বিশাল হিন্ট দিসিস, কাহিনী মোড় পেয়ে গেসে।
তপু ভাই তাড়াতাড়ি লিখেন। ব্যাপার কি ব্লগটা এত মরা কেন? একটা সাবমিশন ছিলো তাই দুই তিনদিন আসি নাই, আইইউটির মিড, ভালো, বাকিরা সব কই?