পিলখানা হত্যাকান্ড

জাতীয় তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারী সংঘটিত হত্যাকান্ডটি একটি বিদ্রোহ। তার অর্থ, ডাল-ভাত কর্মসূচীর সহ বিভিন্ন অন্যায় ও অনিয়ম এর কারণেই কেবলমাত্র এতগুলো অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। গণহত্যায় নিহতদের পরিবারের জন্য এটা মেনে নেয়া খুবই কষ্টের, যে তাঁদের পরিজনরা চুরি করেছিলেন। অনিয়ম নিশ্চই হয়েছিল, নাহলে এতজন সৈনিককে এভাবে পরিচালিত করা সম্ভব নয়, কিন্তু তা এ মাত্রায় নয় যার জন্য ৫৭জন মানুষকে এক নিমিষে মেরে ফেলা যায়।
২৬ তারিখ পর্যন্ত সত্যি কথা বলতে, আমার নিজের সহানূভুতিও সৈনিকদের পক্ষেই ছিল, সৈনিকেরা আর কত বঞ্চিত হবে এটাই ছিল আমার চিন্তা। কিন্তু ৫৭জন মানুষের লাশ সামনে নিয়ে এই চিন্তায় চিন্তিত হওয়া আমার পক্ষে আর সম্ভব ছিলনা।

পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে আমার মা, কিছুদিন আগে একটা লেখা লিখেছিলেন। মানবাধিকার কর্মীদের কিছু কথাবার্তাকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। লেখাটা সবার সাথে শেয়ার করছি।

পিলখানা হত্যাকান্ড
ডাঃ সাইদা সুলতানা (শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাকির হোসেন এর স্ত্রী)

আমার স্বামী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাকির হোসেন ২০০৭ সালের ৩রা ডিসেম্বর বিডিআর এর পরিচালক, চিকিৎসা পরিদপ্তর হিসেবে যোগ দেন। সে হিসাবে বিডিআর এ তাঁর চাকুরীর মেয়াদ হয়েছিল ১বৎসর ২মাস ২২দিন এবং সেনাবাহিনীতে মোট ২৭ বৎসর ৮মাস ২দিন কর্মরত থেকে তিনি শহীদ হন। তিনি একজন চিকিৎসক ছিলেন এবং বিডিআর এর চিকিৎসা বিষয়ক সকল ব্যাপারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। বিডিআর এর প্রতিটি সেক্টরে একজন সেক্টর মেডিকেল অফিসার (যিনি একজন সিনিয়র লেঃ কর্ণেল পদমর্যাদার অফিসার) এর অধীনে সৈনিকেরা চিকিৎসা সেবা পায়। প্রয়োজনে বিডিআর এর সকল সদস্য নিকটস্থ সদর হাসপাতাল/মেডিকেল কলেজ/সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসার সুযোগ পান, যার সমস্ত খরচ বহন করে বিডিআর। সর্বোপরি পিলখানার বিডিআর হাসপাতাল, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল, যেখানে সকল বিভাগসহ এম.আর.আই, সিটিস্ক্যান এর মত অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাও আছে।
প্রয়োজনে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে অত্যাধুনিক এম্বুলেন্স-এ, এমনকি হেলিকপ্টারে স্থানান্তর করা হয় যার সমস্ত খরচ বহন করে বিডিআর। একজন সৈনিক যখন মারা যায় তখন তাঁকে গোসল করিয়ে, জানাজার নামাজ পড়িয়ে তারপর দেহ পরিবারের কাছে স্থানান্তর করার নিয়ম। পিলখানাতে থাকাকালীন সময় আমি কখনও দেখিনি পরিচালক, চিকিৎসা পরিদপ্তর কোন সৈনিক অথবা বিডিআর এর অন্যান্য সদস্যের নামাজে জানাজায় যোগ দেননি।
দেশের যে কোন প্রান্তেই সৈনিক অসুস্থ হন এবং যেখানেই ভর্তি হন, সার্বক্ষণিক, সরাসরি চিকিৎসা পরিদপ্তরের তদারকিতে থাকেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন ঘটনা এবং মৃত্যুর খবর সেক্টর মেডিকেল অফিসারদের সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করতে হয়, না হলে জবাবদিহি করতে হয়।
পরিচালক, চিকিৎসা পরিদপ্তরকে বিভিন্ন সময় দেখেছি গুরুতর অসুস্থ সৈনিক, অফিসার এমনকি তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও দেখতে যেতে, বিডিআর হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা সিএমএইচে, কখনও একা, কখনও সস্ত্রীক (আমি নিজে)।
এটুকু ভূমিকার প্রয়োজন এজন্য যে খুব গভীর ভাবে ভেবে অথবা যথেষ্ঠ পরিমাণ তথ্য জেনে এবং সর্বদিক বিবেচনায় এনে খুব সম্ভবত আমরা কেউই কথা বলি না, এমনকি দায়িত্বিশীল পদে অধীষ্ঠ অথবা দায়িত্বশীল সংস্থায় কাজ করি বলেও যারা দাবি করি।
আমার এ লেখা তাঁদের জন্য যারা বিভিন্ন বৈষম্যের কথা বলে, ক্ষোভ ও অসন্তোষের কথা বলে, দাবি-দাওয়ার কথা বলে, মানব অধিকারের কথা বলে সময় সময় বিভিন্ন পেশার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে প্রকারান্তরে উসকানি দিয়ে ফেলেন।
যে কোন ঘটনা অথবা বিষয়ের বিভিন্ন দিক থাকে, গভীরতা থাকে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে একই ঘটনা অথবা বিষয়কে দেখে থাকেন। এখানে আমি তেমনি শুধু একটা দিক নিয়ে লিখব-ঘটনার সম্পূর্ণ গভীরতায় যাওয়া সম্ভব নয়।

আমি শুধু বিডিআর এর চিকিৎসা বিষয়ক সুযোগ সুবিধা নিয়ে কথা বলেছি কারণ চাকুরীর অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আমি সুস্পষ্ট ভাবে জানিনা, অতএব সেগুলো নিয়ে লিখব না।যদিও এ পর্যন্ত কোথাও শুনিনি অথবা কোন তদন্তেও চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ উঠেছে বলে আমি দেখিনি, কিন্তু ২৫শে ফেব্রুয়ারীর ঘটনায় নিহত হয়েছেন চারজন চিকিৎসক : কর্ণেল ( বর্তমান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক, চিকিৎসা পরিদপ্তর, লেঃ কর্ণেল রবি (দন্ত বিশেষজ্ঞ), লেঃ কর্ণেল লুৎফর রহমান (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ), মেজর মামুন (ডিএডিএমএস)। লাঞ্ছিত হয়েছেন বহু চিকিৎসক। এ সমস্ত চিকিৎসকদের কাছে সৈনিকরা এবং তাদের পরিবারবর্গ সরাসরি সেবা পেয়েছেন; দিনে, রাতে যে কোন সময় এবং এখনও পেয়ে যাচ্ছেন। এখন আমার প্রশ্ন যদি শুধু অসন্তোষ ও ক্ষোভই এই হত্যাযজ্ঞের কারণ হয় তবে এঁরা কেন চলে গেলেন? চিকিৎসকরা কেন লাঞ্ছিত হলেন? আর যারা সৈনিকদের সুবিধাবঞ্চিত বলে ভাবাতে চেষ্টা করেছেন অথবা নিজেরা ভাবছেন তাঁদের জন্য আমার উপরে উল্লেখ করা চিকিৎসা সংক্রান্ত চিত্রটি যথেষ্ট বলে মনে করি । যারা মানব অধিকারের কর্মী, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, ‘মানব অধিকার’ এই শব্দ দুটি বলতে আপনারা আসলে কি বোঝাতে চান? এর সঠিক সংজ্ঞাই বা কী? আমার সাথে আপনাদের মতের মিল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি- বিডিআর এর সৈন্যদের ‘মানব হিসেবে অধিকার’ সেদিনই লুন্ঠিত হয়েছে, যেদিন ওঁদের অধিকার সম্বন্ধে উদ্বুদ্ধ (উসকানি) করে তাঁদের দিয়ে নিজ হাতে নিজের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করানো হয়েছে, তাঁদের রুটি রুজির ব্যবস্থা নষ্ট করা হয়েছে এবং পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তবে আপনাদের মতে সৈনিকদের অধিকার এখন ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমি তো মনে করি ওঁদের অধিকার, সম্মান ভূলুন্ঠিত হয়েছে সেদিনই যেদিন ওঁরা ‘অধিকার’ (?) আদায়ে সচেষ্ট হয়েছে- অন্যের উদ্বুদ্ধকরণের (উসকানি) কারণে। আপনাদের কি মনে হয় সৈনিকের অস্ত্র গণহত্যার জন্য? সৈনিকের হাত কি তৈরী করা হয় চুরি আর লুন্ঠনের জন্য?
যে চিকিৎসক তাঁর কর্মজীবনের প্রায় ২৮টা বছর চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে (কোন দোষে? সেদিন তিনি দরবারে গিয়েছিলেন, যুদ্ধেতো যান নাই) রক্তক্ষরণ হতে হতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন, এবং ‘কার হাতে? কখন? কিভাবে? কোন দোষে মারা গেলেন? কেন তাঁর লাশ গণকবর থেকে পেলাম’(কোন যুদ্ধ ছিল না, কোন শত্রু পক্ষ ছিল না) -তাঁর পরিবার কোন দিনই এ সব প্রশ্নের উত্তর জানবে না । খুব সম্ভবত তখন মানব অধিকার লঙ্ঘন হয় নাই, কারণ কোন মানব অধিকার সংস্থার কোন বিবৃতি তখন আমার চোখে পড়ে নাই, যদি না আমি ভুল করে থাকি। যাঁরা অধিকার আদায়ে সচেষ্ট এবং মানুষকে যারা অধিকার সচেতন করার মহান দায়িত্বে নিয়োজিত, তাঁদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, সর্বশ্রেণীর মানুষকে আগে দায়িত্ব সচেতন করুন; আমি সর্বশ্রেণীর কথা বলছি, কারণ দায়িত্ব সচেতন হলে অধিকার আপনি আদায় হয়। বিশেষ কোন শ্রেণীকে নিয়ে যখন আলাদাভাবে কাজ করা হয় তখনই আমার মতে শ্রেণী বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। মানব জাতিকে একসাথে ভাবার চেষ্টা করুন। মানব জাতির behavioural pattern জানার চেস্টা করুন।এ বিষয়ে আমি আর কোন মন্তব্য করতে চাইনা, কারণ এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ আমি নই এবং বাংলাদেশের বহু জ্ঞানী গুণী মানুষের মত সর্ব বিষয়ের বিশেষজ্ঞ আমি হতেও চাইনা।
কোনদিন এভাবে লিখব, ভাবিনি, এধরনের লেখাটা আমার কাজের মধ্যে পরেওনা। এবং ব্যক্তিগত ভাবে আমার মত (আমি আগেই বলেছি আমার মতের সাথে সকলের মত নাও মিলতে পারে) যার যেটুকু কাজ সেটুকুন সঠিক ভাবে পালন করার মধ্যে সমাজ ও জাতির প্রতি কর্তব্য পালন করা হয়।
চারপাশের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করে আমার মনে হয় আমরা একটা জায়গায় এসে আটকিয়ে আছি এবং একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছি। তাই যারা সমাজ নিয়ে ভাবেন বলে দাবী করেন, লেখেন এবং কথা বলেন, তাঁদের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন করে শেষ করছি-
ক। আমি নিজে প্রথম শ্রেণীর একজন সরকারি কর্মকর্তা, কিন্তু সুবিধা হিসেব করতে গেলে অন্যান্য সমপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য অনেকের থেকে বঞ্চিত। যদিও চাকুরীতে ঢোকার আগে আমি জেনেই ঢুকেছি আমার দায়িত্ব কী এবং অধিকার কতটুকু – নাকি বঞ্চিত বলে ভাংচুর/ খুন খারাবি শুরু করব?

খ। আমার ১৪ বৎসরের ছেলে, যে আজকে দেখল পিলখানায় ঘটে যাওয়া তান্ডব (আমি ও আমার ছেলে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় ছিলাম) এবং সন্দেহাতীত সৎ ও নির্দোষ বাবাকে খুন হতে- সে কি তার মনে পুষে রাখবে প্রতিশোধের আগুন এবং বড় হয়ে ঘটাবে আরেকটা ২৫ ফেব্রুয়ারী? নাকি নিজের বাবার মত ক্ষমাশীল (যিনি তাঁর জীবনে বহুবার তার প্রমাণ দিয়েছেন) হতে শিখবে? আমি ব্যক্তিগত ভাবে অবশ্য একজন ‘মা’ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকিরের মত একজন মানুষের স্ত্রী হিসেবে আমার ছেলেকে তার বাবার মত করে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমার স্বামীর সততা, অসাধারণ চারিত্রিক গুণাবলী, কাজের প্রতি বিশ্বস্ততা তাঁর সন্তানদের চরিত্রে ও কাজে যেন প্রতিফলিত হয়।

গ। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, মেডিকেল কলেজগুলোতে, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে অথবা সরকারী (ক্যাডার/নন ক্যাডার)/ বেসরকারী চাকুরী/ সামরিক বাহিনী ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোন শ্রেণী বৈষম্য আছে বলে আমার জানা নাই। যে কোন শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ বাংলাদেশের নাগরিক প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং যথাযথ বয়স হলেই আবেদন করার যোগ্য। বাংলাদেশের বহু সৈনিকের ছেলে মেজর জেনারেল হয়েছেন, প্রান্তিক কৃষকের ছেলে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন, হয়েছেন বড় সরকারি আমলা, শিক্ষক। আবার আমলার ছেলে নিঃস্ব হয়েছে, যে স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন নানা, আপন নাতি সেই একই স্কুলের দপ্তরি হয়েছে এরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ তো আমাদের চোখের সামনেই আছে।
তা হলে শ্রেণী বৈষম্য/ বঞ্চনা/ অধিকার আদায়- এই শব্দগুলো বিকৃত ভাবে তুলে না ধরে বরং মানুষকে যৌক্তিকভাবে, স্বচ্ছ এবং সুস্থ চিন্তা ধারায়, উন্নত মানসিকতায় শিক্ষিত করার চেষ্টা কি করা যায়না? সকল পেশা এবং মানুষের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত এবং দায়িত্ব সচেতন করায় কি উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব নয়?

৮,২৪৪ বার দেখা হয়েছে

৫৫ টি মন্তব্য : “পিলখানা হত্যাকান্ড”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আন্টিকে :salute: :salute: :salute:

    মানবাধিকার সংস্থা সম্পর্কে আমার অনেক আগে থেকেই এলার্জি আছে... এরা সবাই নিজ নিজ ধান্দায় ব্যস্ত... সহ্যই করতে পারি না...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. তৌফিক (৯৬-০২)

    আন্টিকে সালাম। আমি উনার জায়গায় হলে এরকম করে বলতে পারতাম না। সামিয়াকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আংকেলকে আল্লাহ নিশ্চয়ই অনেক অনেক ভালো রাখবেন। শুধু আফসোস একটাই, যারা তাঁকে হত্যা করেছে তাদের জন্যই তিনি পরিশ্রম করে গিয়েছেন।

    জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    আন্টিকে সালাম জানাচ্ছি।
    তৌফিকের কথাটাই তুলে দিতে হচ্ছে, আফসোস একটাই, যারা তাঁকে হত্যা করেছে তাদের জন্যই তিনি পরিশ্রম করে গিয়েছেন।
    আল্লাহ নিশ্চয়ই আঙ্কেল সহ সকল শহীদকে নিজের হেফাজতে রেখেছেন। উনাদের জন্য দোয়া করছি।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  4. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আমি একটা জিনিস বুঝতে পারিনা এই মানবাধিকার কর্মীদের আসল উদ্দেশ্যটা কি।আমি সত্যিকারের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের কথা বলছিনা-বলছি তাদের কথা যারা যারা এই পশুদেরকে মানবের পর্যায়ে ফেলছেন এবং সেটার মাধ্যমে শহীদদের আত্মার অমর্যাদা করছেন।প্রতিটি মানুষ তার যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পাবে এটাই তো নিয়ম।আমি নিজে একজন গ্র্যাজুয়েট হয়ে যদি আমি পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমান সুবিধা পেতে এক্চাই সেটা তো অন্যায়,তাইনা?এই সেনাদের এতই যদি বঞ্চনার কথা মনে হয় তাহলে তাঁরা এ চাকুরি ছেড়ে অন্য জায়গায় যাননি কেন?আর আই এস এস বির দ্বারও তো কারো জন্য বন্ধ জয়,তাইনা?

    হায় রে মানবাধিকার!আমার ক্ষুদ্র জ্ঞাণে আমি মনে করি মানবাধিকার পেতে হলে আগে "মানব" হতে হবে যা ওই খুনীরা নয়।

    জবাব দিন
  5. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    সবার জ্ঞাতার্থে জানিয়ে যাই, লেখাটা প্রথম আলোতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পিলখানার মানবাধিকার বিষয়ে এখন তারা অনেক সোচ্চার। তাদের মতের বিপরীতে বলে লেখাটা তাই স্থান পায়নি। কারণ তারা বদলে যাচ্ছে, বদলে দিচ্ছে।

    জবাব দিন
  6. নাজমুল (০২-০৮)

    আন্টিকে :salute:

    যে চিকিৎসক তাঁর কর্মজীবনের প্রায় ২৮টা বছর চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে (কোন দোষে? সেদিন তিনি দরবারে গিয়েছিলেন, যুদ্ধেতো যান নাই) রক্তক্ষরণ হতে হতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন, এবং ‘কার হাতে? কখন? কিভাবে? কোন দোষে মারা গেলেন? কেন তাঁর লাশ গণকবর থেকে পেলাম’(কোন যুদ্ধ ছিল না, কোন শত্রু পক্ষ ছিল না) -তাঁর পরিবার কোন দিনই এ সব প্রশ্নের উত্তর জানবে না ।

    এর কি কোনোউত্তর আছে??
    খুব মেজাজ খারাপ হইলো
    পিলখানার সময় কোনো এক ভাইয়ের লেখায় বা মন্তব্যে পড়েছিলাম যে কিছুদিন পর এই গণহত্যার কথা আমরা ভুলে যাব এর যে তদন্ত রিপোর্ট না যেন কি সরকার দিবে বলেছিল সেটাও আমরা ভুলে যাব। সেটায় কিন্তু হয়েছে
    কোনো সমধান ও পেলাম না কোনো তথ্য ও জানলাম না কোনো মানে হয়না 🙁

    জবাব দিন
  7. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    কিসে দেশের ভাল, আর কিসে খারাপ- বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা এটাই এখনও বের করতে পারেনি। অনেক মানবাধিকার সংস্থাই মানবতাবিরোধী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। প্র্যাক্টিক্যাল কিছু না করে কেবল বক্তৃতা দেয়ায় তারা বোধহয় নিজেদের মানবতাবিরোধী অবস্থানটা বুঝতেও পারে না।
    জানি না কবে অবস্থার পরিবর্তন হবে। তবে আশা রাখি, একদিন অবশ্যই হবে...

    জবাব দিন
  8. সালেকীন (২০০২-২০০৮)
    আমার ১৪ বৎসরের ছেলে, যে আজকে দেখল পিলখানায় ঘটে যাওয়া তান্ডব (আমি ও আমার ছেলে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় ছিলাম) এবং সন্দেহাতীত সৎ ও নির্দোষ বাবাকে খুন হতে- সে কি তার মনে পুষে রাখবে প্রতিশোধের আগুন এবং বড় হয়ে ঘটাবে আরেকটা ২৫ ফেব্রুয়ারী? নাকি নিজের বাবার মত ক্ষমাশীল (যিনি তাঁর জীবনে বহুবার তার প্রমাণ দিয়েছেন) হতে শিখবে?

    সামিয়া আপু আমি সরি,ওপরের লাইন গুলো আমি আপনার অনুমতি ছাড়াই ফেইসবুকে সবার সাথে শেয়ার করে ফেলসি 🙁 ,আর আঙ্কেল এর জন্য দোয়া করি যাতে আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নাসিব করেন

    জবাব দিন
  9. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    আচ্ছা ব্যান্ড অফ ব্রাদারস-সিসটারস আমরা কি সমাজের একটা অংশ হয়ে সঠিক বিচারের জন্য কাজ করতে পারিনা । সানা ভাই প্রায়ই বলেন নিজের যায়গা থেকে সমাজ পরিবর্তনের । চেষ্টা করলে আমরাও তো এর পেছনের পশু গুলোকে দিনের আলোয় আনতে পারি । আসুন না চেষ্টা করি ।

    জবাব দিন
  10. আহসান আকাশ (৯৬-০২)
    লেখাটা প্রথম আলোতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পিলখানার মানবাধিকার বিষয়ে এখন তারা অনেক সোচ্চার। তাদের মতের বিপরীতে বলে লেখাটা তাই স্থান পায়নি। কারণ তারা বদলে যাচ্ছে, বদলে দিচ্ছে।

    ছিঃ


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  11. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আপুরে, কিছু কিছু কষ্ট আছে চেপে রাখতে হয়, কারন তোমার কাছে যেটা কষ্টের, অন্যের কাছে সেটা হয়তো টাকা কামানো একটা মাধ্যম, কিংবা স্বার্থ হাসিলের।

    মানবাধিকার বলুন বা পলিটিক্যাল নেতা, বদলে যাওয়ার পত্রিকা বা দিন বদলের গান, এরা ততটুকুই করবে যতটুকু তার স্বার্থ তাকে দিয়ে করাবে।

    সামিয়া তুমি খুব ভাগ্যবান এইজন্য যে তুমি খুব ভাল একজন মা এবং একজন বাবা পেয়েছো।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • সামিয়া তুমি খুব ভাগ্যবান এইজন্য যে তুমি খুব ভাল একজন মা এবং একজন বাবা পেয়েছো।
      আমিও এই কথাই মনে করি।
      আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আংকেলকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।

      জবাব দিন
  12. মানবাধিকার সংস্থাগুলো পিলখানা ঘটনায় কি বিচার করাতে চায় তা তারা নিজেরাই জানে না।তাদের মত করে দেশ চালালে কোন বড় অপরাধীরও বিচার করানো সম্ভব না।এমনকি রিমান্ডও মঞ্জুর করানো যাবে না।মানবাধিকার মানবাধিকার করলে সব দোষীদেরকেও মানবাধিকারের নামে তুলু তুলু করতে হবে।
    একটা দেশে যেখানে ৬০ জন প্রথম শ্রেণীর নাগরিককে গুলি করে মারা হয়,সেখানে মানবাধিকার সংস্থা কিভাবে বলে যে,দোষীদের সামরিক আইনে বিচার না করতে??তাহলে যারা প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত তাদেরকেও কি সামরিক আইন বাদ দিয়ে সাধারন আইনে বিচার করতে হবে??এই দেশের বিচার বিভাগের যে হাল!!তাতে করে যে কেউ ১০টা খুন করে বেকসুর খালাস পেয়ে আসতে পারে।
    পিলখানায় অফিসারেরা কিভাবে নিহত হয়েছেন,কমবেশি আমরা তার বর্ননা শুনেছি,তার কারন অনেক আমাদের অনেক ক্যাডেট সেদিন ওখানে অন ডিউটি ছিলেন,সেনাবাহিনীর অনেক ব্যাপার একমাত্র ক্যাডেট কলেজের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা যায়,অন্য কারো সাথে না।কুমিল্লার মাজহার ভাই নিহত হয়েছেন,তাকে হত্যা করার পদ্ধতি শুনে,একজন বেসামরিক লোক হয়েও আমার মাথায় রক্ত চড়ে গিয়েছিল।
    তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?কোথায় ছিল সংস্থাগুলোর ফটর ফটর?
    these BDR guilties should be :gulli2: without hesitation.

    জবাব দিন
  13. নাজমুল (০২-০৮)

    আজকে একটা কাহিনী শুনলাম এক ভাই এর কাছ থেকে।
    বিডি আর এর এই কাহিনী নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি নাকি গঠন করা হয়েছিল সেখানে একজন বেসাম্রিক বাকিরা সামরিক।
    আমাদের এক ক্যাডেট ভাই (কলেজ কিংবা নাম বললামনা) ওই কমিটিতে ছিল।
    উনি ওনার রিপোর্টে একজন মন্ত্রীর নাম ও দিয়েছিলেন দোষী হিসেবে। এটা জমা দেয়ার পর তাকে বারবার চাপ দেয়া হয় যেন সে এটা বাদ দিয়ে নতুন রিপোর্ট করে কিন্তু উনি না করায় প্রথমে তার ফ্যামিলিকে বলা হয় তাকে এটা না জমা দিতে নাহলে তার সমস্যা হবে তারপর ও উনি না করায় এখন নাকি তাকে কোয়াটার গার্ডে রাখা হয়েছে।
    আমার জানা মতে এটা সত্য কাহিনী আরেকজন এক্স-ক্যাডেট এর কাছে শোনা
    জানিনা কি হচ্ছে

    জবাব দিন
  14. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    সামিয়া : দুপুরে সিসিবি খুলে তোমার লেখাটা পড়ে কোনো মন্তব্য করতে পারিনি। অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়েছিলাম। তারপর ফেসবুকে শেয়ার করে অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়েছিলাম। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত অনেকবার ব্লগে এসেছি। বারবার পড়েছি। বলার মতো ভাষা খুঁজে পাইনি। এখনো না।

    চোখে স্পষ্ট ভাসে ফেব্রুয়ারির সেই রাতে তোমার চেহারাটা। সেদিন খালি ভয় হচ্ছিল কখন তুমি ভেঙ্গে পড়ো। তুমি শক্ত ছিলে। তারপর আমার অফিসে কয়েকবার এসেছ। একবার সম্ভবত তোমাকে বলেছিলাম, আমি দরজাটা বন্ধ করে দিই, তুমি একটু কাঁদো বোন। তুমি তখনো শক্ত ছিলে। আজো আছো। তারপর তোমাকে বলেছিলাম সিসিবিতে আসো, মাঝে-মধ্যে সময় কাটাও। তুমি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক সেই পুরনো সামিয়া আবার ফিরে এসেছ। এত্তো ছোট্ট তুমি, কখনো ধীর-স্থির, আবার কখনো দুস্টু। জীবনটা এমনই তাই না। কারো জীবন বদ্ধ পুকুরের কোনো আলোড়ন থাকে না। আবার অনেকের জীবন সমুদ্রের মতো- একের পর এক ঝড়-ঝঞ্জা.....। তুমি সমুদ্রের জীবন পেয়েছ আর আমি নিশ্চিত তুমি শক্ত হাতেই এই জীবন পাড়ি দেবে। তোমার জন্য আমার-আমাদের সব শুভকামনা আজীবন থাকবে।

    আজকালের ছেলেমেয়েরা যতো সহজে আন্টি বলে, আমার মুখ দিয়ে সেটা আসে না। উনাকে কি বলে ডাকবো? খালা? মায়ের বোন? সেটাই ঠিক। অনেক আপন মনে হয়। মনের কথাগুলো যেভাবে উনি প্রকাশ করেছেন, সেটা যে কতো সত্য তা তোমার চেয়ে ভালো কে জানে? খালাকে আমার শ্রদ্ধা জানিও। আমি জানি না, প্রথম আলোতে কার কাছে, কোথায় লেখাটা দেয়া হয়েছে। আমাকে কি মেইল করবে? আমি চাই লেখাটা প্রকাশ হোক। সেটা ওই লেখার যোগ্যতাতেই প্রকাশ হবে, তুমি নিশ্চিত থাকো।

    একটা জায়গায় আমার খটকা লেগেছে। নিচের উদ্ধৃতিতে বোল্ড করা অংশটা বোঝা যাচ্ছে না। খালা কি বোঝাতে চেয়েছেন? তুমি কি স্পষ্ট করবে?

    প্রয়োজনে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে অত্যাধুনিক এম্বুলেন্স-এ, এমনকি হেলিকপ্টারে স্থানান্তর করা হয় যার সমস্ত খরচ বহন করে বিডিআর। একজন সৈনিক যখন মারা যায় তখন তাঁকে গোসল করিয়ে, জানাজার নামাজ পড়িয়ে তারপর দেহ পরিবারের কাছে স্থানান্তর করার নিয়ম। পিলখানাতে থাকাকালীন সময় আমি কখনও দেখিনি পরিচালক, চিকিৎসা পরিদপ্তর কোন সৈনিক অথবা বিডিআর এর অন্যান্য সদস্যের নামাজে জানাজায় যোগ দেননি।

    তুমি ভালো থেকো।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)

      শুধু আমার কথাই বললেন লাবলু ভাই, আপনি কেমন করে আমার পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে সাহস দিতেন এইটা তো বললেন না 🙂

      বিডিআর-এর কোন সৈনিক বা অফিসার, কোন কারণে মৃত্যু বরণ করলে নিয়ম হচ্ছে তার গোসল সহ সকল আনুষাঙ্গিক কাজকর্ম সেরে জানাজা পড়িয়ে তারপর দেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা (অবশ্যই পরিবারের অনুমতিক্রমে)। শোকে বিহ্বল পরিবারের উপর থেকে একটু হলেও যেন চাপ কমানো যায়।
      নিয়মানুযায়ী জানাজায় অফিসারদের যোগ দেয়ার কথা থাকলেও সময়াভাবে অনেকেই যোগ দিতে পারতেন না। আমার জানামতে, ডি.এম.এস বিডিআর কোন জানাজায় অনুপস্থিত থাকতেন না, তার নিজের কাজকর্ম ফেলে হলেও সৈনিকের জানাজায় তিনি উপস্থিত থাকতেন। সেই লোকটাকেই সেই সৈনিকেরা জানাজা ছাড়াই মাটিচাপা দিয়েছিল।

      লেখাটা আমি প্রথম আলো অফিসে উপসম্পাদকের হাতে দিয়েছিলাম। লেখাটা ছাপা হয়নি বলে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের কোনই অনুযোগ নেই লাবলু ভাই। লেখাটায় আরেকটি অনুচ্ছেদ ছিল, যাতে আমার মা তাঁর লেখাটি সম্পাদনা না করতে অনুরোধ করেছিলেন। হয়ত এ জন্য, কিংবা লেখার মান সংক্রান্ত কারণে লেখাটি ছাপা হয়নি।

      জবাব দিন
  15. যুবরাজ- (নাসিম রহমান)

    সামিয়া, ২৫ ফেব্রুয়ারী আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।আমার লেখার ক্ষমতা, আমার সকল সুকুমার বৃত্তিগুলো আমার মাঝ থেকে হারিয়ে গেছে। আমি অই দিন এর পর থেকে আর কোন ব্লগে লিখিনা, আর হয়ত লেখা হবে না। ক্যান্টনমেন্ট এর বিষাদতা কেটে যাচ্ছে, লেডিস ক্লাবে ফাংশন হচ্ছে, সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে আগের মত, শুধু তুমি ছাড়া, আর আমরা ক'জন যারা এখনো কমরেডশীপ এর নির্লজ্জতা নিয়ে রাতের অন্ধকারে চোখ ভেজাই।

    জবাব দিন
  16. আহমদ (৮৮-৯৪)

    আফসোস হচ্ছে এই লেখাটা এত দেরীতে পড়ার জন্য। আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে শহীদ ব্রিঃ জেঃ জাকির স্যার ছিলেন রংপুর ক্যাডেট কলেজের প্রথম মেডিকেল অফিসার। তখন সম্ভবতঃ তিনি ক্যাপ্টেন ছিলেন। আমি ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারীর পিলখানার নারকীয় ঘটনার পরে স্যার সম্পর্কে শুনেছি। স্যার সহ সেসময়ের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আন্টি সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই সাথে সমবেদনা জানাই সকল শহীদ পরিবারের প্রতি।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
  17. পিলখানা হত্যাকান্ড সম্পর্কে জানতে গিয়ে এমন কিছুর সম্মুখীন হব তা ভাবিনি।জাতি হিসেবে আমরা সত্যিই গর্বিত কারন আমরা নিজেদের রক্তকে অস্বিকার করতে শিখেছি সেই ১৯৭৫এ।আপুকে কিছু বলে নিজের কাপুরুষত্বের পরিচয় দিতে ইচ্ছে করছেনা :'(

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।