# মেজর জিয়া তখনও ক্ষমতায় আসেননি। এক জুনিয়র অফিসারকে তিনি তখন অনুরোধ করেন মোহাম্মদপুরে ৭৫০ টাকায় তাকে একটি বাসা ভাড়া করে দেবার জন্য। জুনিয়র অফিসার এমন কথা শুনে প্রচণ্ড অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন। কারণ ৭৫০ টাকায় তখন এক রুমের বাসা পাওয়াটাই ছিল সৌভাগ্য।
মেজর জিয়া ব্যক্তিগত ভাবে প্রচণ্ড সৎ ছিলেন। পরিমণ্ডলের সকল দুর্নীতি তিনি দেখে না দেখার ভান করলেও নিজে কখনও করাপশনে নিজেকে জড়াননি।
জিয়াকে জনতা সৎ বলেই চিনেছে সবসময়।
অথচ জিয়া সম্পর্কে তার এক সহ মুক্তিযোদ্ধা বলেন- জিয়া এমন এক মানুষ, যিনি এক হাতে আহার অন্য হাতে মানুষ খুন করতে পারেন।
( আ লিগ্যাসি অফ ব্লাড)
জেনারেল জিয়া আইনের তোয়াক্কা না করেই রক্তে রঞ্জিত করেছেন নিজের হাত, সৈনিকদের রক্তে, বিপ্লবীদের রক্তে।
আবার তারেক জিয়া এবং আরাফাত রহমান কোকোকে জনতা চোর জোচ্চর বলতে ছাড়েনি। একবারও তাদের বুক কাঁপেনি চোরকে চোর বলতে।
জনতার ভয়মুক্তির গল্পটা রচিত হয়ে গেছে। পূর্ণতা পেয়েছে শাহবাগ সহ দেশজুড়ে বিক্ষোভের পর। বন্দুক আর হরতাল দিয়ে তাদের আর দাবায়ে রাখা যাবে না।
ইতিহাস বড় নির্মম, অতীত এবং নিকট অতীত।
# কর্নেল তাহের তখন সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেনাবাহিনী জুড়ে চরম অরাজকতা। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ এবং কর্নেল শাফায়েত জামিল, খন্দকার মোশতাক আহমেদকে বঙ্গভবনে আটকে ফেলেছেন। খুনি মেজরদ্বয় ফারুক এবং রশীদ তাদের ট্যাঙ্ক সহ বন্দী।
কর্নেল জামিল পিস্তল নিয়ে খন্দকার মোশতাককে গুলী করতে এগিয়ে যান, খুনি বলে চিৎকার করতে করতে। দেশের পরিস্থিতি বিচার করে নিজেকে সামনে এনে জামিলকে শান্ত করেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী।
মেজর জেনারেল জিয়া তখন নিজ বাসভবনে বন্দী। এক প্লাটুন খালেদ সৈনিক তাকে ঘিরে রেখেছে। কর্নেল তাহের সেনা ক্যাম্পে লিফলেট ছড়িয়ে দিতে থাকেন। বিদ্রোহ জমতে থাকে সেনাবাহিনীর মধ্যে। সৈনিকরা স্লোগান দিতে দিতে বেড়িয়ে আসে “ জোয়ান জনতা ভাই ভাই, অফিসারদের রক্ত চাই”
সৈনিকেরা মুক্ত করে আনেন মেজর জেনারেল জিয়াকে। সৈনিকদের কাঁধে চড়ে বীরের বেশে বেড়িয়ে আসেন জিয়া। কর্নেল জামিল, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফদের পতন হয়। সেনানিবাসে বেতারের জন্য রেকর্ড করে- জনতার প্রতি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জিয়া। কর্নেল তাহেরের কাঁধে চড়ে প্রধান আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন নিজেকে।
অথচ কর্নেল তাহেরের দাবী দাওয়ার প্রতি বিন্দু মাত্র সম্মান দেখাতে কৃপা করেননি জিয়া।
ঘটনার প্রবাহতায় কর্নেল তাহেরকে বন্দী করেন জিয়া। এবং তার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ জিয়ার সামনে খোলা ছিল না। কারণ ক্ষমতার সোপান আরোহনে বাঁধা রাখা জিয়ার পক্ষে সম্ভব ছিল না।
কর্নেল তাহের ফাঁসির আগে তাকে কলেমা পড়াতে আসা হুজুরকে বলে দেন “ আমাকে তোমরা স্পর্শ করবে না, তোমাদের পাপ আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি”
কর্নেল তাহেরেরা এখনও সোচ্চার। শাহবাগে, মতিঝিলে। লিফটম্যান মুনসি বয়ে বেড়ান পিটিয়ে খুন হওয়ার ভাগ্য, ব্লগার রাজিব জবাই হয়ে যাবার।
আবার প্রেসিডেন্ট জিয়ার ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া লাশ কেউ ছুঁয়েও দেখনি, ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতির লাশ কেউ একটা চাদরে ঢেকে দেবার প্রয়োজনও বোধ করেননি। রাষ্ট্রপতির ডাক্তারও তাকে ছুঁয়ে দেখেননি।
ইতিহাস ঘুরে ফিরে আসে আপন জখম নিয়ে।
# বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আজ গণহত্যার কথা বললেন। বিএনপির জন্মের সময় প্রবাহিত হয়ে যাওয়া সৈনিকদের রক্তের কথা গনহত্যার সংজ্ঞা ধোঁয়াশা করে ফেলে। আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হয়ে যাওয়া গনহত্যার কথা না হয় আপাতত তুলেই রাখছি।
বিমান বাহিনীর বিদ্রোহের পর প্রেসিডেন্ট জিয়ার সামরিক ট্রায়ালের ইতিহাস এখনও কাঁদিয়ে যায়। সৈনিকদের গগন বিদারী চিৎকার কাউকে স্পর্শ করেনি, অক্লান্ত প্রেসিডেন্ট একের পর এক সাইন করে গেছেন মৃত্যুদণ্ডের আদেশগুলো। কারো পক্ষে কোন আইনজীবী ছিল না, কোন আত্মপক্ষ সমর্থন ছিল না। একজন কর্নেল আর দুজন সুবেদার মেজর নিয়ে গঠিত কোর্টে ফাঁশির আদেশ ছিল আইনের অবমাননা, ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার, ও অমানবিকতা।
গণহত্যার সংজ্ঞা কেঁদে বেড়ায় নীরবে।
# প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার গঠিত দল বিএনপিকে উন্মুক্ত করে দেন- দালাল, রাজাকার আর চাটুকারদের জন্য। হিসাবটা ছিল খুব সোজা। রিসলাদার মোসলেউদ্দিন, মেজর ফারুক আর মেজর রশীদের আদেশে জেলে গিয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে এসেছে। জেলারকে ফোনে খুনিদের জেলের ভিতরে ঢুকতে দেয়া অথোরাইজ করেছিলেন খুনি প্রেসিডেন্ট মোশতাক আহমেদ। গুলিবিদ্ধ হবার পরেও প্রায় ৪ ঘণ্টা পানি পানি করে চিৎকার করেন তাজুদ্দিন আহমেদ। কেউ এক ফোঁটা পানি এগিয়ে দেয়নি।
নেতা বিহীন আওয়ামীলীগ তখন ভুসভুস করে পানি খাচ্ছে। জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী মোশতাকের পক্ষ নেবার জন্য নিন্দিত। আর জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করে ফেললেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
রাজকার পুর্নবাসন, দালাল পুর্নবাসনে দলটি মূলতই ভারী হয়ে উঠল। তবে যতটা না জাতীয়তাবাদী চেতনায় তার চেয়ে বেশি ক্ষমতা, আর লুটপাটের লোভে, পুনর্বাসনের আস্থায়।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে।
জামাত- বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কৃষি মন্ত্রী নিয়োগ দিলেন মতিউর রহমান নিজামীকে। মানুষ অবাক বিস্ময়ে দেখল রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা, সংসদ ভবনে রাজকারের সিংহাসন।
ইতিহাস ফিরে আসে রাজাকার তোষণের বেশে।
# ওয়ান ইলেভেনের পর গ্রেফতার হলেন বেগম খালেদা জিয়া, তার দৃঢ় আচরনের প্রংশসা জানাই। মাটি কামড়ে পরে থাকার সুফলই সামরিক পেষণে বেসামরিক সরকারের মেয়াদের অবসান। কিন্তু পিছু ছাড়ল না তারেক কোকোর কেলেঙ্কারি আর জামাত- শিবির তোষণ।
ভোট ব্যাঙ্কের বাইরে যে ভোটগুলো আছে, সেই ভোটগুলো আপনি টানতে ব্যর্থ হলেন, বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম। আপনি নির্বাচনে হেরে গেলেন। আপনার বোধদয় ঠিক তখনই হওয়া উচিত ছিল। বিএনপি আপনি চালান না এই কথা আমরা সবাই বুঝি। উপদেষ্টা এবং নীতি নির্ধারকদের শব্দই আপনার শব্দ। তবে আপনি তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। সামান্য দাবা খেলা আপনার বোঝা উচিত ছিল।
আপনারা এখন আন্দোলন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য। তবে মনে রাখবেন আপনারা যদি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যান, জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ সুরসুর করে নির্বাচনে অংশ নেবে। একক ভাবে সকল আসনে প্রার্থী দেবার ইচ্ছা ও প্রস্তুতি তাদের বহুদিনের। মনে আছে মইন- ফখরুলের আমলে ইশতেহার ঘোষণার পর বিএনপি অনেকদিন গড়িমসি করল, অথচ জামাত কিন্তু একপায়ে তৈরি ছিল নির্বাচনে অংশ নিতে এবং এককভাবে।
বেগম খালেদা জিয়া, রাজনৈতিক বিচারে আপনি একটি পিঠে ছুরি বসানো দল পুষছেন।
# বিএনপির সাংসদ নিলুফার মনি টক শো তে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তথ্য প্রমানের অভাব দেখালেন। অথচ সুসান ব্রাউনমিলার, মাসস্কারহেনাস, বিদেশী দৈনিকের তথ্য প্রমানে আমরা আসল সংখ্যাটি জানি। ক্ষুব্ধ জাতি শুনল সব। ৩০ লাখ আর তিন লাখের মধ্যে মাত্র একটি শুন্যর পার্থক্য। অথচ এই একটি শুন্য আমাদের এখনও লজ্জিত করে তোলে। আমাদের মাটিতে এই নিকৃষ্ট গণহত্যা বার বার আমাদের অপরাধী করে তোলে। আমরা ক্রোধে রাঙি, অপমানে চোখ মুছি। অথচ নিলুফার মনির কাছে এসব কিছুই নাহ। নির্লজ্জ সাংসদ জামাতকে বাঁচাতে আরেকবার ধর্ষন করে গেলেন জাতিকে।
# বেগম খালেদা জিয়া বললেন- সরকার গণহত্যা চালাচ্ছে সারাদেশ জুড়ে। অথচ জামাত- শিবিরের কর্মীরা পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পিটালো, গুলি করল, মোটরসাইকেল থেকে টেনে ফেলে দিয়ে আগুন দিল।
পুলিশ কি নিজের জীবন বাঁচাবার অধিকার রাখে না? তারা কি আমাকের সমাজের বাইরে? বেঁচে থাকার অধিকার তাদের তাদের নেই?
এই পুলিশ সদস্যরাও তো কারো বাবা, কারো ভাই, কারো প্রিয়তম, কারো বোন, কারো মা, কারো প্রিয়তমা। আপনি তাদের দিকে একবার না তাকিয়ে জামাতের বর্বর আচরনকে সত্যায়িত করে দিলেন।
শিবির-জামাত কর্মী মারা গিয়েছে তাই আপনি গণহত্যার কথা বললেন। আমি আপনার বাসায় একটি ছোট চাকরি নিতে চাই। আমি প্রতিদিন রাতে একপাতা করে ৭১ এর গণহত্যার ফিরিস্তি আপনাকে পড়ে শোনাতে চাই।
গণহত্যার সংজ্ঞা আপনার যেন অজানা না থাকে এই এতটুকুতো আমরা চাইতেই পারি।
# আমাদের পতাকা ছিঁড়েছে কারা, কারা আমাদের শহীদ মিনার তছনছ করেছে, সেই কথা আপনি একবারও বললেন না।
ভাষার মাসে আমার বর্ন আমার শব্দকে খুন করে ফেলা জারজদের নৈতিক সমর্থন দিয়ে আপনি হরতাল দিলেন তাদের হরতালের একদিন পর। তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কি আমরা এই আশা করেছিলাম?
# কাদের মোল্লার রায়ের পর দেশ নেমে এল শাহবাগে। তরুনদের স্লোগানে ফুঁসছে শাহবাগ, ৪২ বছরের আবর্জনা পরিষ্কার করতে নামল তরুনেরা, জামিন পেয়েই মির্জা ফখরুল বললেন – ইহা ফ্যাসিবাদী আন্দোলন, মউদুদ বললেন- ইহা সরকারের সাজানো নাটক। আমরা জ্বালালাম মোমবাতি আর জামাত জ্বালিয়ে দিল মসজিদ। অথচ তীর ছুটে আসে আমাদের দিকে। আমরা নাকি নাস্তিক আমরা নাকি ধর্ম ধ্বংস করে দিচ্ছি।
বেগম খালেদা জিয়াও আপনিও জনমত বিচার না করে, মানুষের আবেগ না বুঝে ঠিক একই কথা বললেন সংবাদ সম্মেলনে।
আপনি কি জানেন আপনার দলের বহু সমর্থক শাহবাগে ছিল, ছাত্রদলের কর্মী সমর্থকও ছিল শাহবাগে। আপনি আপনার উন্মুক্তমনা সমর্থকদের প্রচণ্ড বিব্রতবোধের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে আপনার মিথ্যা আর বানোয়াট বক্তব্য।
ভোটব্যাঙ্কেরও ক্ষয় আছে। মনে রাখবেন।
# শাহবাগের গল্পটা ছিল ভয়মুক্তির আর জাগরণের। আদালত ট্রাইবুনাল সরকার আমাদের হাতে ছিল না। আমাদের ছিল চেতনা। তবে সেই সাথে আমাদের আন্দোলন কখনই অরাজনৈতিক ছিল না তবে আমাদের অবস্থান ছিল রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ক্ষয় হয়ে যাওয়া চেতনা সরক্ষনে বদ্ধপরিকর ছিলাম। আমরা ক্ষমতা চাইনি, জ্বালাও পোড়াও করিনি। আমরা আমাদের শিক্ষা দীক্ষা ভুলিনি। ভুলিনি আমাদের অবস্থানের কথা।
অথচ যারা লাশ ফেলল, যারা জ্বালাও পোড়াও করল দেশ জুড়ে আপনি আজ তাদের বুক চাপড়ে বাহবা আর সমর্থন দিয়ে গেলেন।
# মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং পরের কথা। বলছি দৈনিক ইত্তেফাকের কথা। তখন দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবরই ছিল সবার খবর। যদি প্রচার করা হত ইত্তেফাকে- দেশ বিক্রি হয়ে গেছে জনতা বিশ্বাস করে নিত দেশ বিক্রি হয়ে গেছে।
অথচ এখন আপনার জ্বালানী উপদেষ্টা মাহমুদূর রহমান সাহেবের পত্রিকা আছে, সেখানেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে সংবাদ হয় না হয় উসকানী আর মিথ্যা অপপ্রচার। কি নগ্ন, কি ভয়াবহ প্রতিটা নিউজ।
কাগজে কাগজে কি আকাশ পাতাল তফাৎ। আগে সরকারী বিটিভিই ছিল খবর শোনার ও দেখার একমাত্র উপায়, রাত আটটার খবর, সিনবাদ, আর শুক্রবারের সিনেমা ছিল পরিস্থিতি জানার ও বিনোদনের একমাত্র উপায়।
সময়টা পালটে গেছে হুড়মুড় করে। আপনার দোষ দিচ্ছি না বেগম খালেদা জিয়া। তবে সবার এখন ফেসবুক আছে, ব্লগ পড়েন প্রায় সবাই। যে খবরগুলো কোথাও প্রকাশিত হয় না, আমরা সেই খবরগুলোও জানি, শুধু ফেসবুক ব্লগের কারনেই আজকে প্রজন্ম চত্বরের জন্ম, আপনার মাথা ব্যথার কারণ।
তাই আপনি সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের তালের পিঠা খাওয়াবেন আর জিভে গুড় গলে যাবার আবেশে আমরা আপনার দেয়া বক্তব্য ও উপাত্ত চিবুতে থাকবো এমনটা ভাবা এখন আর সমীচীন নয়।
# আপনার সংবাদ সম্মেলন খুব স্বাভাবিক ভাবেই আওয়ামি লীগের পাতে খাবার তুলে দিয়েছে। আপনার যখন সুযোগ ছিল শাহবাগের সাথে একাকার হবার, আপনি সেই সুযোগ না নিয়ে, রাজাকার বাঁচাতে সচেষ্ট হয়ে উঠলেন।
জামাতের ভোট শতকরা ৭ ভাগ। আপনি ভোট বাঁচাতে আমাদের আঘাত করে গেলেন।
আওয়ামী অত্যাচারে জর্জরিত জাতি আপনাকে পাশে চাইতেই পারে এ সময়ে। আর আপনি কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই ভোট ব্যাংক বাঁচাতে উঠে পরে লাগলেন।
সেইক্ষেত্রে মনে রাখবেন সারা দেশ জুড়ে রাজাকার নিপাত আন্দোলনে সামিল হওয়া কোটি মানুষের একটি ভোটও আপনি পাচ্ছেন না।
# কি বর্বর ভাবে মানুষ এখন আপনাকে আক্রমন করছে। অশ্লীল ভাষায় গালাগালি দিচ্ছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এর বিরোধিতা করি। কিন্তু যারা আপনাকে কুৎসিত ভাষায় গালি দিচ্ছে, তাদেরকে প্রতিরোধ অথবা প্রতিহত করার মতো যুক্তি আমার কাছে নেই। কারণ তারা সবাই দেশজুড়ে উত্তাল গনজাগরণের সহযোদ্ধা। যে জাগরনে আমরা আপনাকে কাছে তো পাইনি বরং আপনি আমাদের চেতনায় বিক্ষিপ্ত জুতাপেটা করে গেছেন। আমাদের বিবেককে পুড়ে ছাই বানিয়ে দিয়ে গেছেন এক সংবাদ সম্মেলনে।
ভোটের হিসাব নয়, এই প্রজন্ম বরং চেতনা সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।
# বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একটা বহুল প্রচারিত মিথ ছিল। ওপেনার হিসাবে দলে জায়গা পেতে চাইলে ভালো খেলার দরকার নাই, বরং অপর ওপেনারের খারাপ খেলার অপেক্ষা করে থাকো।
বিএনপি কে মানুষ গ্রহন করেছিল ঠিক একই ভাবে। বিকল্প না পেয়ে। জন্মের ইতিহাসই যার রক্ত প্রবাহের তার কাছ থেকে কি ই বা আশা করতে পারি।
ক্রিকেট দলের অবস্থা এখন বদলে গেছে, এখন ওপেনাররা সেঞ্চুরি করে, টানা হাফ সেঞ্চুরি করে ৪-৫টা। ঠিক একই ভাবে দেশেরও।
জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস। তারা ক্ষমতার ব্যবহার করতে বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেই।
# কর্ডিসেপস নামক একধরনের ফাঙ্গাস আছে। এরা পিঁপড়ের মাথায় বাসা বেঁধে বসে, কিন্তু এদের প্রজননের জন্য এদেরকে পরবর্তী ধাপে কোন পশুর পাকস্থলীতে পৌঁছুতে হবে, তো কিভাবে পৌঁছানো যায়? এরা তখন পিঁপড়ার মস্তিষ্ক আক্রান্ত করে ফেলে, দলবেঁধে পিঁপড়ে গুলো তখন ঘাসের মাথায় উঠতে চায়, সেখান থেকে পশুর পাকস্থলীতে যাওয়া সহজ, পিঁপড়ের মৃত্যু হলেও ফাঙ্গাসের ছড়িয়ে পড়তে সুবিধা।
বিএনপি এখন জামাত নামক ভয়ঙ্কর ভাইরাসের দ্বারা মস্তিষকে আক্রান্ত হয়ে দল বেঁধে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
( আ লিগ্যাসি অফ ব্লাড, ইন্টারনেট, সুসান ব্রাউনমিলারের বই, এবং সচলায়তনের কৌস্তভ ভাইয়ের ডকিন্স খুড়ো ব্লগ থেকে বেশ কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে)
মুক্তমনা ব্লগে প্রকাশিত
😀 😀 😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বিএনপি এখন ভাইরাস :ahem:
রক্তিম প্রসাদ প্রাচীরে বন্দি সবুজ মায়া
এরি মাঝে খুজে ফিরি নিজের অচেনা ছায়া..
বিভিন্ন সমাবেশে সুরঞ্জিত সহ অনেক আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ যখন খালেদা জিয়াকে বীরাঙ্গনার সম্মান না দিয়ে তার আর্মি ক্যাম্পে ধর্যিত হওয়া নিয়ে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করতো তখন ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপারটাতে আমার খুবই খারাপ লাগতো।কিন্তু তার বর্তমান কার্যকলাপে তার উপর যে সিম্প্যাথী মানুষের ছিল তা এখন আর নেই।
নতুন ভোটারদের সংখ্যা খুব সম্ভবত ৩ লাখ ২০ হাজার।এই ভোট তিনি পাচ্ছেন না নিশ্চিত।তবে প্রশ্ন হলো শাহাবাগের এই আন্দোলনের সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ কতটুকু যুক্ত হয়েছে...জানিনা। গ্রামাঞ্চলের মানুষ কিন্তু এখনও সেই অন্ধের মতই সিল মারবে নৌকা নয় ধানের শীষে,তারা কিন্তু তরুন প্রজন্মের বিশ্লেষনী চিন্তা চেতনার বাইরে.....
তারাও কিন্তু আম জনতার একটা বিরাট অংশ
অনেক সুন্দর লেখা হামীম
:boss:
:thumbup:
স্বল্পমেয়াদে বিপ্লব হয়না, বিপ্লবের ইশারা মিলতে পারে।শাহবাগে সেই ইশারা ছিলো, তাকে একটা পথে নিয়ে যাবার মতো প্রত্যয়/চিন্তাভাবনা কি কোথাও আছে? সবাই হয়তো ভাবছে, এই বুঝি কেউ ডাক দিলো। কিন্তু নিজে থেকে দিচ্ছেনা। শহরকেন্দ্রিকতার নামে এতকালের চরম স্বার্থপরতার মাসুল এবার আমাদের কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে।
দাদা এগিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আমাদের সবার। বিশেষ করে সংস্কৃতি কর্মী আর সঙ্গঠনগুলোর।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ঐ।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপি প্রধান বিরোধীদল।বেশ কয়েকবার ক্ষমতায়ও এসেছ দলটি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়।বিএনপির জনসমর্থনও প্রচুর, সেই সমর্থন নিয়েই বিএনপি জামাতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।আওয়ামী লীগ ঠেকানোর জন্যে এই পরিস্থিতি বেশ কার্যকর হবে, সন্দেহ নেই।
যুদ্ধাপরাধীদের দলের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নেয়ায় দলটির চরম নৈতিক স্খলন ঘটেছে বলে যতই আমরা মনে করি না কেন -- 'ইসলাম' রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা নেবার জন্য ভোটের সময় জনতা উল্টে পুরস্কৃত করতে পারে।
ঐতিহাসিক অনুষঙ্গটুকু বাদ দিয়ে দলের প্রতিভুদের চরিত্র বিবেচনা করলে আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে পার্থক্য উনিশ বিশ। নির্বাচনের নিরিখে একজন কম শঠ, কম দুর্নীতিবাজ মানুষকে লোকে এলাকার সংসদ হিসেবে দেখতে চায়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যদি সবকিছুর উপরে জিতিয়ে আনতে হয়, তাহলে তার মুক্তি সবথেকে জরুরী। নানান দলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকদের এক হতে হবে এ আদর্শের ভিত্তিতে - তবেই জামাত শিবিরকে চ্যালঞ্জ করা সম্ভব, তার আগে নয়।
আমি শেষ পর্যন্ত আশা করছিলাম, ছাত্রদল সঠিক অবস্থান নেবে। তার নেতৃত্বকে বাধ্য করতে পারবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সোচ্চার অবস্থান নেয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের মনোপলি শেষ করার এর থেকে ভালো সুযোগ আর কি ছিলো।
বিএনপির এই রাজনৈতিক চাল তাকে ভোটযুদ্ধে হয়তো তাকে পুরষ্কৃত করবে ( অনেক হিসেব নিকেশ করে দাঁতে দাঁত চেপে এখনকার কঠিন সময় পার করছে সেই শুভ দিনের আশায়), কিন্তু নিজে জিতে দেশকে হারিয়ে দেওয়ার মধ্যে কি বিজয় ফিরে পাবে বিএনপি? নিশ্চিতভাবেই না।
পুরা লেখাটাকে বিএনপি বিদ্দেশি লেখা ছারা কিছু বলা যায়না।
মেজর জিয়ার মত ব্যাক্তিকে নিয়ে সন্দেহ করা ইন্ডিয়ার দালালদের মুখেই মানায়
হে হে, এক ভাত পচায়ে মদ বানানোর চেষ্টা আর কত দিন?
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
জিয়া আসলেই বস লোক ছিলেন।
ছুডু বেলায় জিয়া আমার গাল টিপে আদর করেছিলেন।
না না জিয়ার বিরুদ্ধে কোন কথা হতে পারে না।
উনি হিলালী জরুরত পাইছিলেন।
ইন্ডিয়ার দালাল হুশিয়ার, সাবধান।
এইবার হালায় দেশী গুরু দিয়া আযহা করুম।
ইন্ডিয়ান গরু দিয়া যারা কুরবানী দেয়, তাগোর কুরবানী হালাল হয় না, ঐটা হারাম, হারাম।
যে ইন্ডীয়ান গরু দিয়া কুরবানী দেয় সে ইন্ডিয়ার দালাল।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হামীম,
সৎ সাহসের সাথে লেখার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক তথ্য জানতাম না। অনেক তথ্য নতুন করে ঝালাই হলো।
স্যালুট। ::salute::
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
অনেক ভাল লিখছিস। সাহসী লেখা। কয়েকটা ব্যাপারে একটু খটকা আছে, মিলিয়ে নিস।
তাহের জিয়াকে বেতার কেন্দ্রে আনতে চাইছিল, কিন্তু আনতে পারে নাই। জিয়া টু-ফিল্ডে ছিল তখন। সেদিন ক্যান্টনমেন্টের বাইরে জিয়াকে আনা গেলে আজকের ইতিহাসটা ভিন্নরকম হতে পারত। রেকর্ডিং মেশিন এনে জিয়ার ভাষণ রেকর্ড করা হইছিল, যতদূর জানি।
এটা তাজউদ্দিন আহমেদ হবে। পানি চাইলে তাকে পানি না দিয়ে বুকে বেয়নেট চার্জ করা হয়। আর ৪ ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকার ব্যাপারটাও শিওর হয়ে নিস। (সম্পাদিত)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
ঠিক করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইটা একটা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আরেকটা দলের প্রতি বিদ্বেষের বয়ান ছাড়া আর কিছুই না। ব্লগে কিছু লোক জেনেশুনেই সত্যের সাথে মিথ্যা মিশিয়ে এর মাধ্যমে তরুণদেরকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। জাস্ট একট উদাহরণ দেইঃ এই বয়ানে বলা হয় যদ্ধাপরাধীদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহন+প্রতিষ্ঠার দায় কেবলমাত্র বিএনপি'র, অথচ শাহ আজীজকে নিয়ে নিয়ে পাকিস্তানে অনুষ্টিত ওআইসি'র সম্মেলনে গেছেন মজিবর রহনাম স্বয়ং এবং এই ইস্যুতে তার সাথে আওয়ামীলীগের মধ্যেই প্রবল মতবিরোধ ছিল, একারণে তাজ উদ্দীনকে মন্ত্রিত্ব পর্যন্ত খোয়াতে হয়েছে। পরবর্তীকালেও সময় সুযোগমত আওয়ামীলীগ জামাতের সাথে মাখামাখি কম করে নাই। শাহবাগে আজ যে গণজাগরণ, সেখানেও কিন্তু জামাত+আওয়ামীলীগের মাখামাখির সন্দেহ একটা মূখ্য নিয়ামক।
- অযথা বিএনপি বিদ্বেষ আর আওয়ামী প্রীতির এই ধারা থেকে বের হতে না পারলে লাউ আর কদু ফলতেই থাকবে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
হামীম তাইলে আওয়ামী লীগের হয়ে বিএনপি বিদ্বেষের বয়ান দিলো!
বিএনপি বিদ্বেষ ছাড়া কিছুই নাই?
'অ'যথা বিএনপি বিদ্বেষ = আওয়ামী প্রীতি?
তুমি কি বিএনপি করো বা করতে মাহমুদ? না কি জাস্ট বিএনপিপন্থী?
সবাই কোন না একটা দলে পড়ে যাচ্ছে টপাটপ -- তুমি কোথায় ফিট করো নিজেকে?
এমনটি মনে করি বলেই ত' বললাম। রাগ করেন ক্যান? 🙂 আমার কি মনে হয়েছে সেটা কি বলতেও পারবো না? আফটারওল, এইটা ত' হামীমের ব্যক্তিগত ডায়েরী না, সিসিবি ব্লগ। সেও তার মতামত শেয়ার করেছে, আমিও আমার মতামত দিয়েছি। মানা না মানা, ডিফেন্ড করতে পারা না পারার ত' সুযোগ ত থাকতে হবে, তাই না? তা না করে বিদ্যমান রাজনৈতিক ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে ফেলে আমার পরিচয় নিয়ে টান দিলে ক্যামনে কি... :((
নূপুর ভাই,
ভোটের হিসেবে ধরলে আমি বিএনপি করি, কারণ বৈধ ভাবে ভোট দেওয়ার একমাত্র সুযোগ পাইছিলাম ২০০১ এ, তখন ধানের শীষে সিল দিছি; আর পরিবারিক ভাবেও ধানের শীষ 🙂 । কিন্তু অবৈধ ভোটের হিসেবে ধরলে সেই ১৯৮৬ তে হ্যাঁ/না ভোটের সময় থেকে সব ধরণের নির্বাচনে একেকবারে একাধিক ব্যালটে (একবারে সর্বোচ্চ শ'খানেক) সিল দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে 😉 - আরও বলি, আসছে নির্বাচনে দেশে যাওয়ার সুযোগ পেলে নৌকায় ভোট দিমু।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ,
রাগ না, একটু অসহিষ্ণুতা দেখালাম বলা যায় - 🙂
বিএনপি বিদ্বেষ/সমালোচনা আওয়ামী প্রীতির সমার্থক হয়ে যাচ্ছে দেখে।
অবশ্যই তুমি বলছো/বলবে যা বলার। তোমার রাজনৈতিক পরিচয় ধরে 'টান' দেইনি (বলা ভালো দিতে চাইনি) আসলে। এটা স্রেফ কৌতূহল ছিলো, জানি আজকের প্রেক্ষাপটে এটা খানিকটা অভব্য শোনাতে পারে, যে, এক পর্যায়ে এসে জিজ্ঞেস করছি - অই তুমি কি বিএনপি করো না লীগ করো! 😀 আশা করি, তুমি অন্তত সেভাবে নেবেনা। বিএনপি বিদ্বেষের ফল আওয়ামী লীগের ঘরে গেলেও (বা যেতে পারে বুঝেও) তার একটা যৌক্তিক কারণ/অবস্থান থাকতে পারে তো!সেটা কি সব সময়েই 'অ'যথা? তোমার এই জেনারেলাজাইশনে একটু অবাক হলাম এই আর কি।
তোমার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বিএনপি 'করো' এমনটা তো বলা যাবেনা, 'পন্থী বলা যেতে পারে বড়োজোর।
ভিন্নমত ধারণ করেও কি কিরে একটা লক্ষ্যে অটুট থাকা যায় সেটা আমাদের অর্জন করতে হবে জাতিগতভাবে।এটা খুব জরুরী এ মুহূর্তে। সে বিচারে অন্তত মুক্তিযুদ্ধের ইস্যুতে প্রধান দুটি দলের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব কমে আসা দরকারী ছিলো খুব। সেটা দেখতে পাচ্ছিনা বলে খুব হতাশ বোধ করছি।রাজনীতির এ মেরুকরণে প্রতি শিবিরের নিজস্ব লাভক্ষতির হিসেব থাকবে - কিন্তু আমরা, সাধারণ মানুষ, পুরা ধরা।
সংযুক্তি:
যে হারে বিএনপি-র বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে আওয়ামী লীগের কাতারে ফেলে দিচ্ছো নির্বিচারে (যেমন: কামরুল, হামীম, আমি), ভাবলাম তোমাকে জিজ্ঞেসই করে নেই তুমি কোন্ ঘরানার। আলাপ করতে সুবিধা হবে।
আমার অনেক বন্ধুই মনে করছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির কোন দায় নেই। সরকারের দায়, যেহেতু ক্ষমতায় আছে - যেহেতু বিচার তার অধীনে হচ্ছে। তোমার কি মনে হয়? মেয়াদকালের প্রান্তে এসে একটি 'গণতান্ত্রিক সরকার' এবং তার দল যে টিপিক্যাল ভুলগুলো করে বিএনপি কি তা থেকে আশাতিরিক্তভাবে মুক্ত ছিলো? আওয়ামী লীগ যদি চরিত্রে খুব বেশি আলাদা না হয় তাহলে এর বেশি কি আশা করতে পারা যেতে পারে। যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং তৎসম্পর্কিত ঘটনা থেকে যদি আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ ফায়দা নেবেনা এমন আকাশকুসুম কল্পনা কারা করে এবং কেন?
মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে (এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষেও) তোমার অবস্থানটি স্পষ্ট, কিন্তু বিএনপির বর্তমান অবস্থান নিয়ে তোমাকে মুখ ফুটে কিছু বলতে দেখছিনা - সেজন্যেই জিজ্ঞেস করা: তুমি বিএনপির কর্মী কি না। আমার অনেক বন্ধুদেরই (তাদের মধ্যে এক্সক্যাডেটও আছে। বিএনপির সংগে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলো) দেখছি মোহভংগ ঘটতে, যা (সহজ সরলীকরণ অর্থে) আওয়ামীপ্রীতিতে রূপান্তরিত হওয়া নয় তো বটেই।
যাই হোক, আমি মনে করি, পোস্ট লেখকের কিছু বলার থাকতে পারে, তাকে যখন আওয়ামী মুখপাত্র বলে গাল পাড়া হলো এবং লোকজনকে বিভ্রান্ত করার অপবাদ দেয়া হলো। অপেক্ষায় রইলাম।
ভাই এই কালচারটা আসলে কি অর্থহিন নয়? লিগের বিপক্ষে লিখলে বিএনপি, বিএনপির বিরুদ্ধে লিখলে ভারত ও লীগের দালাল। জামাতের কথা তুলেই রাখলাম।
আপনি কিভাবে অস্বীকার করতে পারছেন যে বর্তমান বিএনপির ভূমিকা নিন্দা পাবার মতোই?
গত টার্মে বিএনপি কাদের জন্ম দিয়েছিল মনে আছে ভাই? কারা বাইতুল মোকাররম থেকে স্লোগান দিচ্ছিল- আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।
অনেক কিছুই তো আছে, সেগুলা এইখানে আসে না, শাহবাগের প্রেক্ষিতে বিএনপির সমালোচনা করেছি। আপনি পয়েন্টটা মিসিং করে যাচ্ছেন।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
ভাই এইসব কথা বলে লাভ নেই। আজকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে কোনদিন শাহবাগে নামতে পারতাম না, পুলিশ গুলি চালায়ে দিত।
আমার দেশ আর বিএনপি এত চরম নগ্ন আচরন করছে বলার বাইর।
লীগ খারাপ অস্বীকার তো করি না। কিন্তু বিএনপি যা করেছে কল্পনার বাইরে।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
শেখ মুজীব মোসতাকরে দল থিকা বাহির করেন নাই।
১৫ ই আগষ্টের পর যারা ক্ষমতায় বসেছিলো তারা লীগেরই ছিল।
আর জিয়াও তো বাকশালে জয়েন করেছিলো।
তাইলে কি হইলো,
১৫ই আগষ্টের জন্য দায়ী কে?
মুজীব।
তো কি করতে হবে এখন?
মুজীব হত্যার দায়ে মুজীবকে কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে।
আবুল হয়া গেলাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
https://fbcdn-sphotos-e-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/68592_10152741933820099_1514035823_n.jpg
আমার মনে হয় কিছু হাস্যকরভাবে ছড়ানো মিথ ভাঙ্গা উচিত নইলে শুধুশুধু কনফ্যুশান বাড়বে
ধন্যবাদ অতিথি
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ নূপুর ভাই, এখানে আমি উল্লেখ করেছি যে, হামীমের এই পোষ্টটা আওয়ামী লীগের প্রচারিত বিএনপি-বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছুই না। বিএনপি-বিদ্বেষের থেকে অতিরিক্ত আর কি আছে এখানে? এতদিন ধরে আওয়ামী সমর্থকদের দ্বারা প্রচারিত বয়ানের বাইরে কোন নতুন তথ্য, যুক্তি?- আমি লাইন বাই লাইন পড়েই বলছি, নাই। আমি নতুন কোন ট্যাগ লাগাইনি, পোষ্টের প্রতিটি প্যারাতে এই ট্যাগ জ্বলজ্বল করে নিজেই দৃশ্যমান- তথ্য নির্বাচনে, ব্যাখায়, শব্দ চয়নে।
@হামীম,
জিয়া, তাহের, ওসমানীর প্রসংগ শাহবাগে আসে ক্যামনে? - শাহবাগে ত একমাত্র দাবী রাজাকারের ফাঁসী। ইতিহাসের পরীক্ষায় খাতায় ইংরেজী+ভূগোল+ম্যাথ+ফিজিক্স ইত্যাদি যতগুলো আছে, সবই নিয়ে বসে পড়লে আসল পয়েন্টটা মিস হওয়ার কথা নয় কি?
তোমার ব্লগে যে ধারা বর্ণনা করেছো, সেটা শাহবাগের মূল ধারা নয় সেটা বোঝা দরকার আগে। আমি এখনো বিশ্বাস করি শাহবাগের জাগরণের যে গণভিত্তি, সেটা কখনোই তোমার এই ধারাকে সমর্থন করে না, ঠিক যেভাবে মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামের বিরুদ্ধের নিয়ে যাওয়াকে ধারণ করে না। শাহবাগে জনগন গেছে চিহ্নিত রাজাকারদের ফাঁসীর দাবীতে, জিয়ার কুৎসা রটনা করতে নয়, বা ইসলামের অবমাননা করতে নয়। সামান্য সংখ্যক ইসলাম-বিদ্বেষীর জন্য মুসলিম আমজনতা ক্ষেপছে, এখন 'অযথা' জিয়ার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে বিএনপিকেও শাহবাগের বিরুদ্ধে দাড় না করানো উচিত (অবশ্য অলরেডী অনেকটাই হয়ে গেছে)। 'অযথা' বলছি এই জন্য যে, জিয়ার বিরুদ্ধে কুৎসা চর্চা না করেও শাহবাগের দাবী আদায় সম্ভব এবং এই রটনা দিয়ে কোন ভাবেই শাহবাগে কোন লাভ হচ্ছে না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
জিয়ার কুৎসা রটনা করে শাহবাগকে বিএনপির বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর কি আদৌ প্রয়োজন আছে? বিএনপি তো জামাতের সংগে এমন গাঁটছড়া বেঁধেছে যে, শাহবাগও পারেনি তা ছিন্ন করতে। প্রথম সপ্তাহের টাইমলাইনে অবশ্য একটা দোদুল্যমানতা দেখা গেলো - শাহবাগে আছি, জামাতেও আছি -- আবার জামাতে নেই, শাহবাগ জানিনা -- পরে পরে সেটা কেটে গিয়ে স্পষ্টভাবেই জামাতে আছি, তারপর হরতালে আছি, সবতালে আছি -- এই তো মোটা দাগে বিএনপির গেলো ক'দিনের কার্যকলাপ।
মানুষ তবু একটা আশা পুষে রেখেছিলো, বোধ হয় বিএনপির বোধোদয় হবে - হা হতোষ্মি!খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য শুনে জনগণের শেষ ঘোরটিও কেটে গেলো। তবু তুমি বলছো, শাহবাগ থেকে বিএনপিকে দূরে রাখবে জিয়ার বিরুদ্ধে 'কুৎসা'।
তবে তোমার এই কথাটির সাথে আমি একমত। শাহবাগের দরকার নেই জিয়া নিয়ে, খালেদা জিয়া নিয়ে এত ভাবাভাবির। তারা তো নাস্তিক, ফ্যাসিবাদী আখ্যা পেয়েই গেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কাছে -- আস্তিকতার এজেন্টদের কাছে যিনি সাধারণ বুদ্ধি আর বিবেক বন্ধক দিয়েছেন। তাছাড়া 'সেই' বিএনপি-র কথা তুলেই বা কি লাভ? এই বিএনপির কথা লিখতেই তো মাহাভারত নেমে যাবে একটা।
আর আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলেই তা বিএনপি-র ভাষা হয়ে যায় না, বিএনপির সমালোচনামাত্রেই আওয়ামী ভাষা নয়। ছত্রে ছত্রে শব্দে শব্দে এই পোস্টে আওয়ামী ভাষা খুঁজে পেলে, তাতে সত্যের সাথে কিছু মিথ্যেও খুঁজে পেলে। মিথ্যেগুলো একটু স্পষ্ট করে ধরিয়ে দেবে প্লিজ? হামীম কেমন করে তরুণসমাজকে বিভ্রান্ত করার এমন ন্যাক্কারজনক কাজটি করছে সেটা প্রমাণ হয়ে যাক।
তবে মজার ব্যাপার হলো, হামীমের মতো তরুণেরা নিজে বিভ্রান্ত হচ্ছে, অন্যদের করছে -- কিন্তু বিএনপি দ্বারা যে আর বিভ্রান্ত হবেনা সেটা খুব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার জন্যে তারা মোমবাতি জ্বেলে নাস্তিক/হিন্দু হয়ে গিয়েছে, নটনটীদের ছেলেমেয়ে হয়ে গিয়েছে, গাঁজাখোর হয়ে গিয়েছে।শাহবাগের অর্জন বা ক্ষতি হচ্ছে এই, যে, অন্তত একটি দলের মুখোশ পাকাপাকিভাবে খুলে গিয়েছে -- নতুন প্রজন্মের হৃদয় থেকে সেই দল বিতাড়িত হয়েছে। অন্য দলটি যদি এটা থেকে কোন শিক্ষা না নেয়, বিএনপিবধের আত্মতুষ্টিতে ভোগে তাহলে তার কপালেও এই দুর্গতি আছে অদূর ভবিষ্যতে --- কংসের দল বরাবরই ভুলে যায় - 'তোমারে বধিবে যে, গোকূলে বাড়িছে সে'।
নূপুর ভাই,
বিএনপি যে জামাতের সাথে জোট বেঁধে আছে, এটা তো লুকোছাপা কোন ব্যাপার নয়, এ নিয়ে নতুন করে আর কি জানার আছে? যেই জন্যই বলেছিলাম যে, জিয়ার কুৎসা করাটা অযথা, অপ্রয়োজনীয়।
- হামীম মোটেও বিভ্রান্ত করেনি, কারণ যে যেসব বলেছে, সেগুলো অন্ধ আওয়ামীলীগারদের বয়ান, ব্লগ পরে এমন যে কেউই এটা বুঝতে পারার কথা।
- আমি ত ভাবছিলাম যে, আপনি জানেন আমি এইটা জানি। আচ্ছা, বলতে পারবেন কবে কোথায় আপনাকে, কামরুলকে বা হামীমকে আমি আওয়ামীলীগার বলেছি?- আর বললেই বা কি, আওয়ামীলীগ ত ভালো, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অনিবার্যভাবেই একমাত্র দল। জামাতের সমর্থক (ইদানিং বিএনপিও যুক্ত হচ্ছে) বললে গালি খাওয়ার মত বলে না হয় কেউ মাইন্ড করতে পারে, আওয়ামীলীগের সমর্থক বললে তো আর সেই সমস্যা হওয়ার কথা না 😉
আপাততঃ এই পোষ্টের বিতর্ক ছাড়ছি, এখানে আর নতুন কিছু জানা/শোনার নেই। আরেক পোষ্টে আবার হবে খন, কি বলেন? 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
উইকিতে আছে জিয়া নাকি জানজুয়ারে যুদ্ধের মধ্যেই মাইরা ফেলছিল।
হাসতে হাসতে মইরা গেলাম।
Liberation War of 1971
Following the failure of last-ditch talks, Yahya Khan declared martial law and ordered the army to crack down on Bengali political activities and arrested Sheikh Mujib on the early mornings of 26 March 1971. Zia who already by then killed his commanding officer Lt. Col. Janjua,[19] revolted [20] and broadcasted the announcement of the Declaration of Independence on the evening hours of 26 March 1971[21] from the captured Kalurghat[20] radio station in Chittagong which read:
Major Ziaur Rahman in May 1971, minutes before an undercover operation.
This is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, at the direction of Bangobondhu Mujibur Rahman, hereby declare that Independent People's Republic of Bangladesh has been established. At his direction , I have taken the command as the temporary Head of the Republic. In the name of Sheikh Mujibur Rahman, I call upon all Bengalees to rise against the attack by the West Pakistani Army. We shall fight to the last to free our motherland. Victory is, by the Grace of Allah, ours. Joy Bangla.[22]
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
জিয়ার বিএনপি কি এখন আর আছে / এরা এখন ছেড়ে দে মা কান্দে বাঁচি । :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: =)) =)) =)) =)) =))