৭ই মে ২০০২,আমরা ২৫তম ব্যাচ বরিশাল ক্যাডেট কলেজে পা দেই। অনেক কলেজের মত আমরাও ৫০ জন ছিলাম ২৫তম ব্যাচে। ক্লাস সেভেন, প্রথমেই সিনিয়রদের দেয়া কিছু টিজ নাম মাথা পেতে নিলাম। :no: আমরা সোহরাওয়ার্দী হাউজ এ ছিলাম সতেরো জন। আর আমার প্রথম রুম ৩০৩ এ আমরা ছিলাম ৪ জন। আমি,শশী,রেজা এবং মুস্তাকীম।
আমরা যাওয়ার ৭ দিন পরই ভেকেশন ছিল। কিন্তু তার আগেই জানিনা কিভাবে মুস্তাকীম মোজার বল বানিয়ে ফেললো। :-B এবং রুম লিডার মিশকাত ভাই এর কাছে ধরা খেল। ~x( ৭ দিন পর ভেকেশন এ গিয়ে এত ভালো লাগলো বলার মত না বা বলার প্রয়োজন ও নাই কারণ সেই অনুভূতি সব ক্যাডেটদেরই থাকে এবং থাকতে বাধ্য।কিন্তু কিছু্ক্ষণ পর পর কিছু কমোন প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো পরিচিত মানুষদের। যেমন তোমাদের ক্যাডেট স্কুল এ কী খেতে দেয়??? সিনিয়াররা কী খুব মারে? তোমাদের ক্লাস কী আর্মীরা নেয়? ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া কী বাধ্যতা মূলক?কয়টায় ঘুম থেকে উঠো ইত্যাদি ইত্যাদি। :((
পরের টার্ম এ আবার ফিরে আসি তখনও সব ক্লাস মেটকে বোধহয় তুই বলা শুরু হয়নি।। এর মাঝে নভিশেস প্যারেড এর প্রেক্টিস। আমাদের হাউজ ইন্সট্রাক্টার ছিলেন সুলতান ষ্টাফ। লুকিয়ে রাখা পিন এবং গালির জন্য সে আমাদের কাছে এখনো বিখ্যাত। একসময় নভিশেস প্যারেড শেষ হয় এর মাঝে কলেজ এ সবচাইতে কষ্টকর লাইফটা কাটাতে হয়, পরে অবশ্য বুঝলাম ওই কষ্টের দিন গুলোর জন্যই আমরা অন্যদের থেকে একটু আলাদা, একটু বোধহয় বেশী কষ্ট সহ্য করতে পারি। একটু কষ্ট হলেও আমি মনে করি ওই কয়েকটা দিনেই আমরা পুর্ণ ক্যাডেট হয়ে যাই। তারপর আবার বাসায় চলে আসি ছুটীতে, ক্লাস সেভেন এ আমাদের কলেজ এ একটা ট্রেডিশন ছিল যে ক্লাস এইটের ভাইয়াদের নামে বাশ মারা। তবে আমরা একটু আলাদা ছিলাম সেই কারণে আমরা সেটা করিনাই। নভিশেস প্যারেড এর পর বাসায় যাবার পর ভয়ে ভয়ে আম্মাকে জানালাম এবার আমার আরেকটা টেবিল ঘড়ি লাগবে। আম্মা আগেরটার কথা জানতে চাইলে বললাম আসল কাহিনী যে আমার সিনিয়র সেটা নষ্ট করে ফেলসে, আম্মা আরেকটা কিনে দিল এবং বলে দিল এসব কথা জেন কখনো স্যারদের না বলি। এই কারণেই আমাদের ব্যাচ থেকে ভাইদের নামে আমরা কখনো বাশ মারিনাই কারণ আমাদের সবার পেরেন্টস এর মেন্টালিটী অনেকটা একরকম ছিল তাই তারা আমাদের অথরিটি কে না জানিয়ে সিনিয়রদের জানাতে বলতেন। পরের টার্ম এ কলেজ এ আসার কিছুদিন পর আমাদের ক্লাসের আলম(১২৫১) কলেজ থেকে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে ওকে আমরা কখনো দেখিনাই এমনকি ওর কোনো খবর ও জানিনা। আমরা ৫০ থেকে ৪৯ হয়ে যাই। এই ৪৯ জন মিলে আমরা আমাদের প্রথম টেলেন্ট সো করি(আমি কিছু করিনাই মানে পারিনা)। এইভাবেই এক সময় আমরা আমাদের কাধে আরেকটি দাগ বাড়াই………।
(চলবে) :dreamy:
১ম নাকি ?
১ম হইলাম 😀 😀 :awesome: :awesome: :tuski: :tuski:
x-(
১ম হইসি তাতে রাগস কেন? :-/ :-/ :-/
নাজমুল অনেকগুলো বানান ভুল আছে। একটু ঠিক করে দাও। পড়তে ভালো লাগবে।
কীভাবে >কিভাবে
কীন্তু > কিন্তু
ইত্যাদী >ইত্যাদি
এমনকী >এমনকি
বাশ> বাঁশ
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ঠিক করে দিসি 😀
কিছু মনে করবেননা আমি বাংলায় A- পাইছিলাম :((
গুড। :thumbup:
চালায়া যাও। দেখি তোমরা নয়া-জমানার ক্যাডেটরা ক্যামন ছিলে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এখনো তো আসল কাহিনী লেখিনাই :grr:
কও কি 😮
তাইলে সিনিয়র ব্লক আছিল কুনডা ~x( ~x(
১ থেকে ৬/৭ নম্বর রুম পর্যন্ত তো ক্লাস ১২ থাকত সব হাউসে।
২০০২ এ কি নতুন নিয়ম চালু হইছিল নাকি??
খুইলা কও।
লেখা ভাল হইছে চালায়া যাও।
তাইতো, তাইতো..............।
Life is Mad.
:(( :(( ৩৩৩ হবে ১২ এ ৩০৩ এ ছিলাম :((
২০০২ এ চেঞ্জ হয় ক্যামনে 😮 ওহ আপনে বেশি সিনিয়র সাব্বির ভাই আরেকজন আছে শ.সো.হাউজের সাব্বির ভাই ২০তম ইনটেক পাইছেন না????
ভাল, চালায়া যাও...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সিনিয়রদের বাঁশ মারতা?? ছি ছি ছি... ডিসক্রেডিট!!! :thumbdown: :gulli2:
আমরা তো মারিনাই B-)
😛 😛
আমি কতকিছু করছিলাম ট্যালেন্ট শো তে। যেমন, হাত তালি দেয়া, নাটিকার একটা দৃশ্যে আদালতে আগ্রহী দর্শকের সারিতে বসে ফিক করে হেসে ফেলা, আর ............ যাক গে মনে পড়তেছে না।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আরে.... এইডা তো আমিও করছিলাম, আমার কাছ থিক শিক্সছ. তাইনা? :grr: :grr: :grr:
😀
কি কও মিয়া?? 😮 😮 😮 তুমি জান কলেজে আমি কত্তগুলা কম্পিটিশনে যাইতাম?
হাউস ইন্সপেকশন, ইন্সপেকশন প্যারেড, পিটি ডিসপ্লে, ক্রস কান্ট্রি, অবস্টেকল, ডিসিপ্লিন , একাডেমিকস.... আরও কত কি...
থাক মনে করবা পাট মারতেছি :shy: :shy: :shy:
আমি দেখি পুরা আপনার মতই ছিলাম, :khekz: :khekz:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
=)) =))
এতোগুলা কইলে ভাবছিলাম আপনারা ভাববেন আমি পার্ট মারতাসি তাই কইনাই :))
চিমটি আমিও তো এইগুলাই যাইতাম। থাক আর কমু না সবাই ভাবব তোমার মত পার্ট মারতাছি।
আমি না ক্লাস সেভেনের ছুটিতে বাসায় যেয়ে চামচ দিয়ে ভাত খাইছিলাম 😛 😛 😛 😛
আমি আমার কাজিন্দের দেখানোর জন্য চামচ দিয়া মাছ বাছতে গিয়ে গলায় কাটা আটকায় ... থাক আর মনে না করাই ভালো :bash: :bash:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:goragori: :khekz:
ওরে বাচারে :goragori:
আমি পরোটা চামচ দিয়া খাইছিলাম :shy: