আমি বহুদিন এমন করে হাসিনি। এহসানের কথায় আরো মজা পেয়েছি। ওর কথাটাই ঠিক মনে হয়েছে। ‘আগের ৫টা জোক্স এর লগে এইটা দিলে বেশি ভালো হইত…’। সে যাইহোক,
১। পোলিও বা বসন্তের ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস যদি আমার পূর্বপুরুষ হতো, আমি বোধহয় তাদেরকে এত বড় অপবাদ দিতে পারতাম না।
২। রেশাদ এত অসাধারন একটা কবিতা উল্লেখ করেছে আমি এটা না দেয়ার লোভ সামলাতেই পারছিনা।
“রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম
ভক্তরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি
মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী”
যে কারনে কবিতাটা যৌক্তিকঃ
ক। পোলিও-এর ভাক্সিন হিসেবে মানুষ কিন্তু টেট্রা-হাইড্রো-ট্রিপল-ন্যানো-জিঙ্ক-গারবেজ ব্যবহার করে না। যা ব্যবহার করে তাও পোলিও-ভাইরাস। সুতরাং, প্রশংসা যদি করতেই হয় তবে খুঁজে পাওয়ার জন্যে। কলম্বাস ‘আমেরিকা আবিস্কার করেছেন’ মানে এই না যে উনি পাওয়ার আগে আমেরিকা ছিল না!
খ। মানুষ মঙ্গলে রোবট পাঠিয়েছে আর স্রষ্টা পৃথিবীতে মানুষ পাঠিয়েছে যে ঐ রোবট বানিয়েছে এবং স্রষ্টা মঙ্গল গ্রহও বানিয়েছে।
গ। মানুষের তৈরী রোবটের খেলাতো দেখলাম, স্রষ্টার তৈরী রোবটের ছবি আমি দিলাম
ঘ। Nanotechnology এর যুগ। ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলাম তো আর মানুষ বানায় নাই? মানুষ বরং তাকে নকলের চেষ্টা করছে।
৩। Dialog of the year-
কবে ঈশ্বর একটি অর্গানিজমের জেনোম সিকোয়েন্স করেছে?
আমার মনে হয় লেখকের জিজ্ঞাসা করা উচিত, “কবে মানুষ একটি অর্গানিজমের জেনোম তৈরী করেছে?” সিকোয়েন্সটা বের করতেই যদি এত কষ্ট, বানাতে না জানি কত কষ্ট!
৪। “৩ বিলিয়ন বেইসপেয়ার সিকোয়েন্স করতে ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে আর সময় লেগেছে ১৩ বছর”। সুতরাং, আমরা ধরে নিচ্ছি, এই ১৩ বছরে ঐ প্রজেক্টে কাজ করা বিজ্ঞানীরা এমন কিছু ব্যবহার করেননি যা পূর্বে আবিস্কৃত হয়েছে। অবাক হওয়ার মত কথা।
আমার মাস্টারস প্রজেক্টের কথা মনে পড়ছে। থিসিসে যা আমি লিখেছি তা করতে আমার সময় লেগেছিল দেড় থেকে দুই মাস। অথচ আমি দুই বছরের বেশি সময় ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। সুতরাং, আমি যা বুঝতে পারছি, তা হচ্ছে সুপারভাইজারের যে টাকা গুলি আমি আগে নিয়েছি, আমার জন্যে আসলে তা হারাম! আমিতো আসলে ঐ সময়ে কিছুই করি নাই!
শিম্পাঞ্জি থেকে একদিন সোজা হাটা শুরু করে কবে যেন মানুষের জন্ম হয়েছে? লেখক মনে হয় ঐ দিন থেকে সময় গোনা শুরু করতে পারেন এবং তার পরে বলতে পারেন কয় দিন লাগল? জিনম তো আগেও ছিল। আচ্ছা, তখন তো লেখকের পুর্বপূরুষের বুদ্ধি একটু কম ছিল, তাই ঐ সময়টা আর ধরলাম না!
৫। সাইন্সের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। কিন্তু সব সাইন্স করেছে আর ধর্ম শুধু আল্লাহ-বিল্লায় ব্যস্ত ছিল এইটা কে বললো? বরং এক সময় মুসলমানরাই শিক্ষা এবং বিজ্ঞানকে এগিয়া নিয়ে গেছে। চিন্তা করে দেখুন, ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করার পরে আমাদেরকে বলা হয় alumni. এই শব্দের উৎপত্তি হচ্ছে ‘আলেম’ থেকে। সমাবর্তনের সময় যে dress আমরা পরি, এমনকি উন্নতবিশ্বে যা পরে, খেয়াল করে দেখবেন বড় মসজিদের ইমামরা শুক্রবারে খুতবা দিতে উঠে একি ধরনের dress পরে। এইসব হচ্ছে মুসলমানদের কাছ থেকে শেখা আচার। একসময় ইউরোপের লোকেরা পড়াশোনার জন্যে স্পেনে যেত এবং স্পেন তখন ছিল মুসলিম শাসকের অধীনে। এখন আমরা যেমন আমেরিকার দিকে ছুটি।
যুদ্ধ-অপরাধীদের মুক্ত করে দেবার ঘটনা আছে, মুসলিমদের শিক্ষিত করার বিনিময়ে। শিক্ষাকে কতো গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ইসলামে। আমি আগেও বলেছি, আজে বাজে ধার্মিক দিয়ে আমরা ধর্মকে বিচার করতে পারি না। ধর্ম কি শিক্ষা দিচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ নাস্তিক খুঁজে বের করতেও সময় লাগবে না।
৬। বিজ্ঞানীরা আজকে নাস্তিকতার লাইন ধরেছে। ফ্যারাডে, মাক্সওয়েলের মতো বড় বড় বিজ্ঞানীরা সবাই ছিলেন আস্তিক। এখন ‘দুই দিনের বৈরাগী, ভাতেরে কয় অন্ন’।
৭। আফগানিস্থানে মহিলাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয় একারণে ধর্মের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার। নির্দোষ মহিলাকে যদি পাথর ছুঁড়ে মারা হয় তাতে আমার দৃঢ় আপত্তি। কিন্তু কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন, কি কাজের শাস্তি হিসেবে এটা ঠিক করা হয়েছে। ওই মহিলা/পূরুষ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তারা এমন কিছুতে জড়িত ছিল যা অত্যন্ত ঘৃন্য ও জঘন্য। আমার কথা হচ্ছে, “কেন তুমি বাপ তালাক দিয়ে প্রাণের মানুষরে বিয়ে করো না?” ইসলামে তো ঐ ব্যবস্থা আছে, নাকি?
ইংরেজীতে একটা জটিল প্রবাদ আছে, “Before you criticize someone, walk a mile in his shoes”. চিন্তা করে দেখুন, আপনি কেমন বোধ করবেন যদি আজকে আপনার বউ বা স্বামী এই কাজ করেন? (যারা বিয়ে কর নাই কিন্তু girlfriend/boyfriend আছে তারা আপাততঃ তাকে দিয়া তুলনা কর)। বিয়ে হচ্ছে একটা বন্ধন, যা বিশ্বাসের উপর দাঁড়ানো। এবং বিশ্বাস হারালে, বিচ্ছেদ শুধু সময়ের ব্যাপার। তাদের সন্তানদেরই বা কি অবস্থা দাঁড়ায়?
যারা so called উন্নত বিশ্বে আছেন, দেখেছেন কি তাদের বিয়ে গড়ে কতদিন থাকে? যদিও তারা বিবাহিত, তারা তাদের অঙ্গিকার ভঙ্গ করছেন। এবং খেয়াল করে দেখবেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলারাই শেষ পর্যন্ত কষ্ট-ভোগ করে। খোঁজ নিয়ে দেখুন ‘single mother’ আপনার দেশে কয়জন এবং তারা কিভাবে সন্তান মানুষ করছেন। একমাত্র মাও যখন কাজের জন্যে সারাদিন বাইরে থাকেন, সন্তান কোন দিকে ধাবিত হয় খোঁজ নিন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে, আমরা big-picture টা মিস করি।
৮। অন্যায়কারীকে অন্যায়ের কঠিন শাস্তি দিলে লেখকের আপত্তি। আমারতো মনে হয় উলটাটা হওয়া উচিত। আজকে মাস্তানেরা খুন করে জেলে যায়, জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে, আর সাক্ষীদেরও মেরে ফেলে। ওরা জানে আমরা তাদের কিছুই করতে পারবা না। মানুষেরি বানানো আইন, তাই না? আমার ভাইকে খুন করে যে লোক আমাকে মারতে আসবে আর সমাজ তার প্রতি হ্রদয়বান হবে, ঐ সমাজের, আমার কোন প্রয়োজন নাই।
৯। Piltdown man আর nebraska man-এর সাথে বিবর্তনবাদী তত্ত্বকে ভুল প্রমান করা অন্য লোকদের উল্লেখ না করায় অবাক হলাম। বাকি রেফারেন্স গুলো পড়লে ধন্যবোধ করতাম।
১১। জঙ্গিদের বোমা হামলা আর ধর্মের কারনে মানুষ মারার কথা বলেন? মানুষের সৃষ্ট আদর্শের জন্যে কত লোক মারা গেছে হিসেব করেছে্ন? আপনার কাছে সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয় বলে হজম করে ফেলেন। USA-ইরাক যুদ্ধ তো ধর্মের জন্যে না। আমি মানুষ মারার যথার্থতা প্রমানের চেষ্টা করছি না, কিন্তু মানুষের তৈরী করা ‘দেশ’-এর কন্সেপ্ট-এ যতলোক শুধুমাত্র দুই বিশ্ব-যুদ্ধে মারা গেছে, হিন্দু-মুসলমান, খ্রিষ্টান-মুসলমান আর যত ধরনের ধর্মের লড়াই হয়েছে সবগুলোকে যোগ করেও ঐ সংখ্যার দশ ভাগের একভাগে আনতে পারবেন না। বিভিন্ন দেশের মধ্যকার অন্য যুদ্ধ বাদই দিলাম। কোনদিনও বলেছেন, দেশের ধারণা বাদ দিতে হবে। সুতরাং, কেন ধর্মের পেছনে লেগেছেন?
১২। ধর্ম মানুষকে বিনয়ী করে, আশেপাশের দুর্বল ও অসহায়দের দেখতে শেখায়। survival of the fittest বলে নিজেকে বিলাসিতার মাঝে ডুবিয়ে থাকার অনুপ্রেরণা দেয় না। আমার ৭০ বছরের বয়স্ক বাড়িওয়ালী, বাংলাদেশের দুই জন এবং ভারতের একজন শিশুকে থাকা-খাওয়ার খরচ দিতেন আমি তার বাসায় উঠার আগে থেকেই। এমন কিন্তু না যে তার অনেক অনেক সম্পত্তি। হিসেব করে চলতেন একা থাকা, কাজহীন, সরকারের সামান্য টাকায় চলা এই মহিলা। এরকম হাজারো মানুষের ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগায় ধর্মের প্রতি তার বিশ্বাস। অথচ আজকের জেনারেশন বেশীরভাগ ব্যস্ত ‘to have fun’!
প্রথমবারে খেয়াল করিনি কিন্তু এই একটা বিষয়ে আমার তীব্র আপত্তি আছে।
ধর্মের খাতিরে দুই একটা মিথ্যা বললে কোন পাপ হয়না, তারা সেই সাথে নেব্রাস্কা ম্যানের মত আরও দুই একটা মিথ্যা যোগ করে গোয়েবলসিও কায়দায় নিজেদের প্রচার দক্ষতার পরিচয় দেয়।
আমি কোন ‘মিথ্যা যোগ’ করেছি তা তোমাকে(অর্ণবকে) বলতে হবে। তোমার কোন অধিকার নাই আমাকে মিথ্যাবাদি বলার, যদি তুমি প্রমান করতে না পার। আমি সমস্ত রেফারেন্স, এমনকি কপিরাইটেড আর্টিক্যালগুলোকেও, আপলোড করে রেখেছি। তুমি কোথায় ভুল পেয়েছ বল। যদি প্রমান করতে না পার, অন্তত দুঃখ প্রকাশ করার সৎসাহস রেখ। আগেও একবার এই কাজ করেছে, আমি কিছুই বলি নাই। তুমি এক জবাবের ‘একটা প্যারা’ নিয়ে যেভাবে প্যাচিয়েছ। এমনকি তুমি টাইটেলে আমার নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেছো। অথচ বাকি অংশের কিছুই তুমি উত্তর দেও নাই।
জ্ঞান মানুষকে বিনয়ী করে। কে যেন একজন বলেছিল, “if you think you are one in a million, then there are 1000 of them like you in China.” এবং আমি বলতে পারি, অন্ততঃ 150 of them in Bangladesh.
সামনে আমার একগাদা কাজ। আমি আর কারো সাথে তর্কে বা যুক্তিতে জড়াবো না। যার যা বলার বলুন, যা খুশি করুন। শুধু খেয়াল রাখবেন, আপনি যার উদ্দেশ্যে বলছেন, তিনি আপনার ভাই/বোন ( বোনেরা অবশ্য ঝগড়াতে নাই), বড় হোক বা ছোট হোক। কোন একদিন সামনাসামনি হলে, অন্ততঃ নিজেকে যেন ছোট হতে না হয়।
ভাই পুরোটা না পড়েই মন্তব্য করছি। খুব ভাল্লাগছে পড়তে। :boss: :boss: :boss:
"আমি একবার সহ্য করেছি, বার বার করব না। দুই পাতা বিজ্ঞান পড়ে নিজেকে প্লীজ বিদ্যার জাহাজ মনে কর না।"
১০০ ভাগ একমত।
:salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute:
জাহিদ ভাই, অসাধারন পোস্ট। আর আমার স্যালুট গুলা কাউন্ট করে ১০০০০০ দিয়ে গুন করে নিয়েন। (আমার মনে হয় না এইখা এতো গুলো ধরতো)
এই জাহিদ,
তোমার সমস্যা কি? আমি সারাজীবনে ছোটদের সাথে তর্ক করিনি... তোমার করার কি দরকার...
আরেকটা কথা,
তুমি বলেছোঃ Before you criticize someone, walk a mile in his shoes...
কাজেই বাচ্চা ছেলেটার জুতা পায়ে দিয়ে বোঝার চেষ্টা কর... আমার বয়স যখন ২৩ ছিলো তখন আমিও অনেক বেশি বুদ্ধিমান ছিলাম... সব জানতাম... এখন আমি অনেক কম জানি 😉
কম জানাটা খারাপ কিছুনা কিন্তু 🙂
অর্ণব ভাই বলেছিলেন মানুষ কি কি করেছে
জাহিদ ভাই বললেন ঈশ্বর কি কি করেছে
এই দুই বলায় পার্থক্য কেবল একটাই। অর্ণব ভাইয়ের কথার প্রমাণ আছে। আমরা চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি মানুষ কি করছে।
আর জাহিদ ভাইয়েরটা কেবল বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বলা। চোখের সামনে ঈশ্বর কি করছে সেটা কেউ দেখতে তো দূরের কথা, বুঝতেও পারছে না। বরং সবকিছুরই প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা দাড় করিয়ে ফেলা যাচ্ছে।
বিয়ে না করে যারা সেক্স করে তাদের সম্পর্কে জাহিদ ভাইয়ের মন্তব্যটা খুব খারাপ লাগল। মানবতাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে এটার তীব্র বিরোধিতা করি। বিবাহবহির্ভূত সেক্সের শাস্তি পাথর মেরে হত্যা???????????? যেখানে এর শাস্তি দেয়ার অধিকারই কারও থাকা উচিত না। আমি ভাবতেও পারছি না।
বিদায়।
আচ্ছা ভাই, মনে কর ফ্রী সেক্স এ পাথর মেরে হত্যা করার নিয়ম নাই। মনে কর, সমাজে ফ্রী সেক্স জায়েজ। তোমার কি মনে হয় সেটা খুব সুখি এবং সুন্দর এবং সভ্য সমাজ হবে ??? আর ভালো কথা, তোমার মতে সভ্যতার সংগা কি??
ভাই আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম, বেশী ভালো ছাত্র না অবশ্যি। তবে বিজ্ঞান আমাকে বুঝিয়েছে, এর কোনো সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত নয়। যত সময় যাবে আমরা আর নতুন কিছু শিখব, জানবো। অনেক কিছু, যেগুলো আজ আমরা ঠিক মনে করছি, আগামীকাল হয়ত আরেক বিজ্ঞানী ভুল বলে প্রমান করবেন বা পরিবর্তন / পরিবর্ধন করবেন। আমাদের জ্ঞানকে আমরা চুড়ান্ত বলে দাবি করতে পারিনা। আজ আমরা আমাদের জ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করতে পারছিনা দেখে আগামিকাল বা আগামি বছর বা আগামি শতাব্দীতেও পারবনা, এমন কোনো কথা নেই।
দুজনে ভালবেসে সেক্স করেছে: আপনি কি আসলেই মনে করেন, এদেরকে পাথর মেরে হত্যা করা উচিত?
এবার পরেরটায় আসি। বর্তমানে ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি, তাই বলে কি যাচ্ছেতাই একটা কিছুকে ধরে নেব? যেকোন কিছু সম্পর্কেই তো আপনি এটা বলতে পারেন। কেউ যদি বলে, জ্যোতিষীরা আসলে ভুল বলে না, তাদেরটা এখনও বিজ্ঞান বুঝবার পারে নাই- তাই মাইনা নেও, ভবিষ্যতো তো এইটা সত্যও প্রমাণিত হইবার পারে।
পৃথিবীর যেকোন সময় যে কেউ যেকোন কিছু বলে তার পেছনে এই কথাটা লাগিয়ে দিতে পারে: এখন বুঝবা না, পরে বুঝবা; বুঝার পরে তো পস্তাইবা- তাই মাইনা লও।
আমি মনে করি এ ধরণের কথা বলা মানে- যুক্তিহীন জিনিসকে কারও কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার অসৎ উপায়।
কথার পিঠেই বলি কেউ মাইন্ড কইরেন না।
সে দুজনের একজন যদি আমার বা তোমার পরিবারের হয় তো কি করবা??
তখন কিন্তু খারাপ লাগবে।আর কিচু বললাম না।
আমরা সবাই কিন্তু একটা সমাজ ও ধর্ম স্বীক্রৃত সম্পর্কের ফসল।
দুজন ভালোবেসে ফ্রী সেক্স করার ফলাফল না।
(আবারো বলচি আমি কিন্তু কাওকে আঘাত করার জন্যে বলি নাই।)
:)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :))
এই তো ভাই ভালোবাসার কথা এনে বিপদে ফেলে দিলা। আসলে সেক্স করলে অবশ্যই ভালোবেসেই করা উচিত (আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, অবশ্যই দ্বিমত পোষনের অবকাশ আছে)।
দেখো বিয়ে করে মানুষ পরিবার গঠন করে, যেটা খুব বেসিক এবং গুরুত্বপুর্ন একটা সামাজিক ইউনিট। দুজন মানুষ যখন অনেক সময় একসাথে থাকে তখন তাদের মধ্যে ঝামেলাও বাধে। এখন তারা যদি পরিবারের মধ্যে থাকে তখন যতটা দায়িত্ববোধ নিয়ে নিজেদের ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করবে, আমার মনে হয় না এবং আসলে আমার কোনো অভিজ্ঞতাও নেই, বন্ধন ছাড়া আছে এমন একটা couple (আমি দম্পতি শব্দটা ব্যভার করতে চাচ্ছিনা, একটা ভালো বাংলা বলে দিয়ো) অতটা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।
এখন শুধু আনন্দের জন্য বাধনছাড়া সেক্স নয় কেনো ? আমার ভাবতে ভালো লাগে, আবারো সম্পুর্ন আমার ব্যক্তিগত চিন্তা, আমি একটা খরগোশের থেকে উচু মানের প্রানি। এই কাজটা আমি শুধু জৈবিক তাড়না মেটানর জন্য করিনা।
আমি হাদিসের একটা কাহিনী শুনেছিলাম। শেয়ার করছি। নবিজীর (স) কাছে এক মহিলা এসে জানালো, সে জেনাহ করেছে, এখন সে অনুতপ্ত, সে শরীয়াহ অনুযায়ী শাস্তি চায়। নবিজী (স) তাকে পরিক্ষা করালেন এবং দেখা গেলো সে প্রেগন্যান্ট। তাকে বললেন, বাচ্চা হবার পরে আসতে। বাচ্চা হবার পরে মহিলাটা আসলো তখন বললেন বাচ্চাটা যখন স্বাভাবিক খাবার শুরু করবে, তখন আসতে। এরপরে আবার যখন মহিলাটি ফিরে এলেন, নবিজী (স) তাকে বললেন, তুমি তো তওবা করেছো, এইটা কি যথেষ্ট না ? মহিলাটি উত্তর দিল, আমি কেয়ামতের পরে আল্লাহর সামনে লজ্জিত অবস্থায় দাড়াতে চাই না। এর পরে তাকে হত্যা করার পরে একজন সাহাবি যখন ব্যস্ত হতে ওই মহিলাটির রক্ত ধুতে যাচ্ছেন, নবিজী তাকে বললেন, তুমি ওর রক্ত ঘৃনা করছ, আল্লাহ তাকে এখনই বেহেস্তের সংবাদ দিয়ে দিয়েছেন। এটা এতদুর বলার কারন হলো, ভুল করলে তওবা করার অবকাশ আছে। তবে এটা যেনো অভ্যাস না হয়ে যায়, সে জন্যই কঠোর শাস্তি।
আসলে ভাই আমি শরীয়াহ নিয়ে লেখাপড়া করিনি। শেষের লাইন দুটো আমার নিজের কথা। আল্লাহই জানেন আমি ঠিক বুঝেছি কিনা। আমি আগে যে দুএকটা কমেন্ট করেছি, একটা জিনিসই বোঝাতে চেয়েছি, খারাপ লোকের কাছে জ্ঞান থাকা খারাপ ঘটনা, সেটা ধর্মের জ্ঞান হোক বা বিজ্ঞান হোক। এরা সব কিছুই খারাপ উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করবে।
তোমার পরের পয়েন্টটাও interesting। তবে তোমাকে ইম্প্রেস করার মতন লজিক দেব, সে লেভেলের জ্ঞান আমার নেই। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে তুমি যদি উত্তর খুজতে থাকো, তাহলে ইনশাল্লাহ, তুমি তোমাকে সন্তুষ্ট করার মতন উত্তর পাবে। আমার কাছে থেকে না হোক বা সিসিবি থেকে না হোক, আশা করি তুমি সত্য খুজে পাবে।
🙂 🙂 🙂 🙂
ভাই স্বপ্নচারী আপনার উপলব্ধিকে :salute:
ধন্যবাদ।
:thumbup:
'শাস্তি'- 'তওবা' এর একটি অংশ। সব অপরাধ শুধু তওবা করে পার পাওয়া যায় না, শাস্তি/ক্ষতিপুরন আবশ্যক।
আর আমার মতে সভ্যতা কি এবং কাকে আমি সভ্য বলি সেটা মোতাহের হোসেন চৌধুরীর "সভ্যতা" বইটিতে আছে। সেখানের কথাগুলো খুব ভাল লেগেছে। চাইলে পড়ে দেখতে পারেন। কারণ দুই এক কথায় সেটা বলে দেয়া সম্ভব না।
এই তো ভাই বিপদে ফেলে দিলা। এই প্রবাসে বাংলা খুজে বের করা ত মুশকিলের কাজ, অসম্ভব না যদিও। আমি মোতাহার হোসেন সাহেবের না তমার ধারনা জানতে চাচ্ছিলাম। এখন তোমার যদি বিশ্বাস থাকে উনি ভুল লিখতে পারেন না, তাহলে বইটা না পড়ে ত আর কোনো উপায় নেই।
স্বপ্নচারী,
মুসকিলের কিছু নাই। মোতাহের হোসেনের লেখাটা আসলে সভ্যতা সম্পর্কে জানার শুরুতে বেশ কাজের হলেও সভ্যতা কি স্পষ্ট করার থেকএ অস্পষ্টই বেশি করে। ওটা অনেকটাই সাহিত্য, কাজেই সামাজিক বিজ্ঞান না।
কিন্তু, অ-সামাজিক (যারা সাজামিকব বিজ্ঞান/মানবিক 😛 ) এর ছাত্র, তাদের জন্য আমি মনে করি এটা পড়া বেশ উপকারী।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
হ্যা বইটা আসলেই সাহিত্য...... সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখেছি। কারণ একমাত্র সাহিত্যই বোধহয় মানুষের মধ্যকার ব্যাখ্যাতীত জিনিসগুলোকে উপলব্ধি করাতে পারে।
সভ্যতা আর সংস্কৃতি মোটেও ব্যাখ্যাতীত নয়। আমি নিশ্চিত। 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
Sorry for eng. Mob theke likhchi. Excellent ekta post (rdply). Zahid bhai, shopno chari Moinul er salute ke koti die gun kore then amar salute nen.
ভাইয়া, আজকে সকাল থেকে সিসিবি এর পরিবেশ টা কেমন জানি হয়ে ছিলো। এমনকি প্ল্যান করসিলাম কিছুদিন দূরে থাকবো।
কিন্তু আপনার লেখাটা পড়ে খুব ই ভালো লাগলো।
দুইটা কথাই কিন্তু ঠিক। আমি পাচ বছর আগে যেটা ঠিক মনে করতাম, এখন বুঝি কতো ভুল সেটা।
:salute:
জাহিদ ভাই,
বিশ্বাসী হিসাবে আপনার অধিকাংশ পয়েন্ট আমার ভাল লাগসে...
তবে, ৫ নংটা দুর্বল আর ৭ নংটা রীতিমত শকিং বলে মনে হইসে...
বেয়াদবি মাফ করবেন... :frontroll:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
৭ নম্বরটা ভয়ংকর রকম শকিং....
কইচে তোরে
আসল সমস্যাটা হলো, "তুই তো শালা playboy" বা playgirl - যা হোক, এই কথাটা আমরা সাধারনত প্রশংসা করার জন্য বা বোঝার জন্য ব্যভার করি। আমরা যদি ঘৃনা প্রকাশের জন্য ব্যবহার করতাম তাহলে এই ধরনের শাস্তির কখনই কোনো দরকার নেই।
:salute: :salute:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
জাহিদ ভাইয়া,
আপনার লেখাটা পড়ে আপনার প্রতি শ্রদ্ধাটা অনেক অনেক গুণ বেড়ে গেলো।আরো ভালো লাগছে যে আপনি আমাদের কলেজের,মনে হচ্ছে আমার নিজের বড় ভাইয়া আমাকে বোঝাচ্ছেন।আমরা অনেকেই হয়তো মনে মনে এইটার প্রতিবাদ করছি ঝামেলায় যেতে চাই না বলে বলি না।ভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা লেখা দেওয়ার জন্যে।
জাহিদ ভাই, অনেক সময় নিয়ে পুরোটা পড়লাম। অসাধারণ পোস্ট।
এক কোটি স্যালুট। :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute:
৭ নম্বর পয়েন্ট শকিং কখন আমি বলেছি, যখন আমরা বিগ-পিকচার মিস করি।
শকিং তার জন্যে, যে বাবা দায়িত্ব ছেড়ে ঘুরে বেড়ায়।
শকিং না তার জন্যে, যে মা সন্তানকে বড় করে, একা।
শকিং না তার জন্যে, যে শিশু দারিদ্রে বড় হয়।
দেখুন আমরা কোন দিকে এগুচ্ছি...
Linking Teen Pregnancy Prevention to Other Critical Social Issues।
অর্ণব ভাইয়ের পোষ্ট পড়ে আমি কোনো কমেন্টস করতে পারিনাই, আমার মতে ধর্মকে যুক্তি দিয়ে বোঝানোর দরকার আছে কীন্তু ধর্ম তো বিশ্বাস এর ব্যাপার কেউ যদি এটা বিশ্বাস না করে তাহলে কেনো এটা বোঝানোর চেষ্টা করে???
জার জার বিশ্বাস তার তার কাছে।
নাস্তিকতা এখন এক ধরণের ফ্যাশন হয়ে গেছে???
অনেকে আবার নিজেকে আলাদা করে দেখানোর জন্য এই নাস্তিকতার সাহাজ্য নেয়।
এমন অনেক লেখক আছে জারা নিজেদের বই এর বিক্রী বাড়ানোর জন্য ইচ্ছা করে লিখে রাখে (not for under 18) কিছু খারাপ কথা লিখে সাহিত্য বানায়, নিজেকে নাস্তিক হিসেবে প্রকাশ করে, বইটা নিষিদধ করে বিক্রী বাড়ানোর জন্য লেখক সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য
জাহিদ ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ :boss: :boss:
আইন্সটাইন একবার বলেছিলেনঃ"ধর্ম ছাড়া সাইন্স লেইম আর সাইন্স ছাড়া ধর্ম ব্লাইন্ড"। উনার মতো সাই্নটিস্ট আমাদের আগে পরে ২০০ বছরে আসে নাই আসবেও না। উনিই যদি এ কথা বলে থাকেন তাহলে তো আর কিছু বলার নাই!!
এই যুগের প্রব্লেম দুই দিকেই বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে।
গত ৪-৫ দিন কিছু অত্যন্ত তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট এর জন্য লেখকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। fact, example, logic and couter-logic সব ই ছিলো মাঝে মাঝে সহিষ্ণুতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এর অভাব দেখে বড়ই দুঃখ পেলাম। অল্প কয়েকদিন এর গবেষনা করার অভিজ্ঞতায় আমার যে জ্ঞান তা হলো, যেই মতামত (বিজ্ঞাণ, সমাজবিজ্ঞান, ধর্ম, বিশ্বাস) ই হোক না কেন, তাকে এক কথায় ছুড়ে ফেলে দেয়া অথবা অন্য মতাদর্শ কে মোটাদাগে বাতিল ঘোষনা করা অথবা এক মতাদর্শ কে আরেক মতাদর্শের চেয়ে ভাল মনে করা, নিজের নির্বুদ্ধিতার ই প্রমান বলে মনে হয়। Healthy debate is always enjoyable। আমরা মানবজাতি হিসেবে এতটা সভ্য হইনি যে, এখনি কোন তত্ত্ব কে বাতিল বলে ঘোষনা দিতে পারি। প্রতিটা মতাদর্শের "তথাকথিত" ভালো দিক গুলোকে acknowledge এবং "তথাকথিত" মন্দ দিক গুলো সম্পর্কে "সঠিক ধারনা" রাখা অত্যন্ত জরুরী।
মানবসভ্যতার এই উন্নতির পিছনে অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে "Questioning".
The day we stop questioning ourselves we will be stuck.
তাই আমরা যেই "তথাকথিত" ভাল দিকগুলো নিয়ে গর্ব করি তা কি আসলেই ভাল?? আর যেই "তথাকথিত" মন্দ দিকগুলো নিয়ে মারামারি, হানাহানি, বিষোদগার করছি তা কি আসলেই মন্দ? এই প্রশ্ন গুলো যদি বন্ধ করে দেই তাহলে কি সামনে এগুনোর আর কোন পথ থাকবে?
তাই বলে মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকাও বোকামি। কিন্তু মতামত প্রকাশ এর আগে নিজেই নিজের বিশ্বাস কে প্রশ্ন করে নিলে আলোচনা গুলো আরও আনন্দদায়ক হবে বলে আমার ধারণা।
সেরা উপলব্ধি। :thumbup: :thumbup:
পাবলিক-ডিসকাশনে "ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা" অবিচ্ছেদ্ধ, এটা ছাড়া কোন আলোচনাই চলতে পারেনা। আর এই সত্যটা নতুন কোন আবিষ্কার নয়, সম্রাট অশোকের আয়োজিত যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের রেফারেন্স দিছিলাম, সেটাও ছিল ৩য়, তার আগেও ছিল আরো দুটো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
জাহিদ ভাই আপনার লেখা ভাল লেগেছে ছোট্ট একটি কথা শুধু।
আমরা আপনার অনেক ছোট বয়সে, জ্ঞানেও। নিজেকে জ্ঞানী ভাবার আমার অজ্ঞানতা আপনাকে হাসালে কি মানাবে?
(একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক কারণ আপনি যাকে বা যার পোস্টকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন সেটা আমি পড়িনি। আপনার এই পোস্টের নাম দেখে ভেবেছিলাম মজার কিছু হবে কিন্তু লেখা পড়ে আমার শুধুমাত্র এই জায়গায় ভাল লাগেনি।
প্রথমে, আমাকে ধন্যবাদ দেয়া লোকদের ধন্যবাদ।
রেশাদ, কিছু না বললে আবার পারিনা। নিজের বিবেকের কাছে দ্বায়বদ্ধ থাকতে হয়।
কামরুল তপু, টাইটেলেই যুদ্ধ ঘোষনা করার পক্ষপাতি আমি না। যুদ্ধের পক্ষপাতিই আমি না। আমি আলোচনায় উৎসাহী যাতে relaxed হয়ে আমি কিছু জানতে পারব, মানতে না পারার প্রসংগ আলাদা। ফাহিমের সাথে আমার বিশাল আলোচনা হয়েছে ইমেইলের পরে ইমেইলে। ভিন্নমত পোষণ করেছে সে, কিন্তু আমি কখনো ভাবিনি, একটা ভুল করলে সে ঐটাকে আবার কেমন করে প্যাচাবে। সেও ছিল স্বাভাবিক। যাইহোক, কারো নিজেকে 'জ্ঞানী' মনে করার জন্যে আমি হাসিনি। যুক্তিগুলোতে মজা পেয়েছি আর এহসানের মন্তব্যে। কাউকে হেয় করলে আমি আর কোথায় আলাদা হলাম।এই জাতীয় কোন ভাব প্রকাশিত হলে আমি লজ্জিত এবং দুঃখিত। তোমাকেও ধন্যবাদ আমাকে মনে করিয়া দেয়ার জন্য।
ভাইয়া ধন্যবাদ আমার কমেন্টের মূল সুর ধরতে পারার জন্য।
অফটপিক এবং সাম্প্রদায়িক কথা , আপনি দেখি আমাদের কলেজের। আপনার সাথে তাইলে আমার দেখা হয়েছিল ওকাসের পিকনিকে ২০০৫ সালে। এখন কোথায় আছেন ভাইয়া।
গুরু গুরু :boss:
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
:salute: :salute: :salute: :salute: কিয়ামত পর্যন্ত :salute: :salute: চল্বে।
অত্যন্ত সুন্দর পোস্ট।
জাহিদ ভাই, আপনার লেখার আমি একজন ভক্ত এইটা আরো পোস্টে বলেছি। এদের নিয়ে কি বলব বলুন। যার যার ধর্ম তার এইটা বলার পরও প্যাচায়।
জাহিদ ভাই আপনি সম্ভবত একটা ব্যাপার ভুল করছেন। সেটা হচ্ছে আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে কিছুই লিখিনি। আপনিই পৃথিবীর একমাত্র ক্রিয়েইশনিস্ট না, তবে এটা এসেন্সিয়লি সত্য যে আপনি ক্রিয়েইশনিস্ট এটা অনুধাবন করার পর আমি আপনার পোস্টে কমেন্ট করা বন্ধ করেছি। আপনার বিবর্তনবাদ রিভিউ এর উত্তর লিখছিলাম। এর মাঝখানে অন্য সম্পুর্ণ একটি অপ্রাসঙ্গিক সুত্র ধরে আমি ঐ লেখাটা শুরু করি। এর সাথে আপনি যুক্ত না। আপনাকে আমি মিথ্যাবাদী বলিনি, তবে মিথ্যাচার আপনি কিছু করেছেন। সেটা হল আপনি নিজের ক্রেডেন্সিয়ল জাল করেছেন। আপনার কাছে মনে হয়েছে, যেই জিনিষ নিয়ে আন্ডারগ্র্যাডে ছেলেরা পুরো ছয়টি মাসের একটি কোর্স পড়ে যা এসেন্সিয়লি দাবী করে হাড় ভাঙ্গা খাটুনী, সেটা আপনি ১৫ দিনে পড়ে শেষ করে ফেলতে পারেন, শুধু তাই না এটার ভুলও ধরতে পারেন। আপনিই বলুন ঠিক করেছেন এটা। আর বিজ্ঞানের তথ্যগুলো আসে কঙ্ক্রিট ব্লক হিসেবে। আমি যদি বলি, .......১৯টি কেই ক্লাস এইচ ই আর ভি ইনফেকশন.......আপনি এটা গুগোলে সার্চ দিলে বাকী শূণ্যস্হানগুলো সে নিজে পুরণ করে দিবে। ফলে, তথ্য হয় খুব সহজেই যাচাইযোগ্য, যে সেটি সঠিক কি ভুল। আপনার দেয়া তথ্যের অল্প কিছুই ছিল কঙ্ক্রিট যা এই উপায়ে যাচাইযোগ্য। যত না বেশী বলেছেন বিজ্ঞান দর্শন তার চেয়ে অনেকগুন বেশী। অনেকটা এরকম "গিলোটিন খুব খারাপ জিনিষ, যার এবং মধ্যাকর্ষণ শক্তির সমন্বয়ে মানুষর মাথা কাটা হয়" সঠিক তথ্য, সব ফিজিসিস্ট একমত হবে, তবে এরপর যদি আপনি দাবী করে বসেন গ্র্যাভিটি অনৈতিক সেটা হবে হাস্যকর দাবী। আর আপনি আমাকে বলেছেন আপনার দেয়া রেফরেন্সে কি ভুল ছিল তা বলতে। সেটার দরকার নেই, আমি ধরে নিচ্ছি আপনার সব রেফরেন্স সঠিক। আমি দেখব রেফরেন্স পড়ে আপনি কি বুঝলেন এবং তা কিভাবে বোঝালেন। আপনার ভুল তথ্য দেয়ার মাত্রা কমে এসেছে, তবে ০ তে এসে ঠেকেনি। আপনার রিভিউ এর রিভিউ আমি দু তিনদিন পরে দিব। আপাতত লিখছি কি আর বলবো এর উত্তর, which will be up within a couple of hours. আপনারা ক্রিয়েইশনিস্টদের দুই একটা ছোটখাট দঙ্গল বানিয়েছেন দেখে আমোদ পাচ্ছি, আপনাদের একজন ফ্রেইড হয়েলও আছে দেখা যাচ্ছে, যারা অনবরত একে অপরের প্রসংসা করে যাচ্ছেন। অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা ভাল হয়েছে এই কারণে যে, আমাদের গনতন্ত্র, ফ্রীস্পিচ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র, মানবাধিকারের মত ব্যাপারগুলো যা আমরা ডিফেন্ড করবো জীবনের বিনিময়ে হলেও, এবং যা নির্ধারণ করবে কোন মূল্যবোধ ব্যবস্থার পতাকার নীচে আমরা এক হব এর ঘাড়ে ব্রন্জ এইজ ডেজার্ট ক্যামেল স্টোরির রামদা দিয়ে কোপ কারা দিবে তাদের আমরা আগে আগেই চিনে ফেলছি।
বাই দ্য ওয়েই আপনার আল্লার তৈরী রোবোট ভাল লাগলো। বেশ শৈল্পিকভাবে হাঁ করে আছে। i wish it was a woman, lest you stone it to death. :)) :)) :))
সিসিবি'র সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এমন অযাচিত বক্তব্য সত্যি ব্যতিক্রম! প্লিজ, কন্ট্রোল ইয়োরসেল্ফ। তবে তোমাকে বলতে হবে, ওনি কীভাবে credentials জাল করেছেন!!!
জাহিদ ভাই
জুবায়ের ভাইয়ের কথার সাথে কিছু কথা যোগ করি।
আগে ডিস্ক্লেইমার দিয়ে দিচ্ছি আমার বিষয় বায়োলজি নয়,আমি বিবর্তনের একজন উতসাহী পাঠক,
বিবর্তন একমাত্র লজিক্যাল ব্যাখ্যা জৈব বৈচিত্রের। বিবর্তন বিদ্যা একটি বিজ্ঞান। এর বিরোধিতা করতে চাইলে অল্টারনেটিভ বৈজ্ঞানিক তত্ব দিতে হবে। মেটাফিজিক্যাল ব্যাখ্যা নয়,আরেক্টি বৈজ্ঞানিক তত্ব। এই ব্যাপারটি আশা করি বিবর্তন বাদ বিরোধীরা বুঝবেন। বিবর্তনবাদ কোন ধর্ম না যে একে অপরিবর্তিত ভাবে ধরে রাখতে হবে। অল্টারনেটিভ বেটার থিওরী আসলে এটা অবশ্যই পরিত্যাক্ত হবে।কারন আর্গুমেন্ট হওয়া উচিত "বিবর্তন সঠিক কি ভুল" এই পয়েন্টে। এবং আর্গুমেন্টের বেসিস হিসেবে বিজ্ঞানকেই ব্যবহার করতে হবে। বিবর্তনবিদ্যা ইনভ্যালিড হলে সায়েন্টিফিক্যালি কি কনক্লুশানে আসছেন সেটা আমি জাহিদ ভাই কে জিজ্ঞাসা করেছি।
আমার এরিয়া থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স, আমি সেখান থেকেই কিছু উদাহরন দিচ্ছি,
১।নিউটন প্ল্যানেটারী মোশনের যে ক্যাল্কুলেশন করেছিলেন তাতে কিছু গোলমাল ছিল। বৃহস্পতির কক্ষপথ হিসেব করে দেখা গেল সেটা সর্পিল পথে সুর্যে পতনের প্রেডিকশান করছে। নিঊটন এই সমস্যা সমাধান করতে না পেরে মন্তব্য করেছিলেন ঈশ্বরের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতি সুর্যে পতিত হচ্ছে না। এই সমস্যা পরে সমাধান করেন লা প্লাস। এখন কোন সায়েন্টিফিক থিওরী আপাতদৃষ্টিতে ভুল হলেও "এটা ঈশ্বরের হস্তক্ষেপে হচ্ছে" এই কনক্লুশানে পৌছানো সায়েন্স অনুমোদন করে না,মেটাফিজিক্স করে। সুতরাং আপনার আর্গুমেন্ট কিসের বেসিসে হচ্ছে ,সায়েন্স অথবা মেটাফিজিক্স সেটা স্পষ্ট করুন। কারন এখানে গুরুচন্ডালী দোষ দেখা যাচ্ছে।
২। বর্তমান পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম বড় সমস্যা গ্র্যাভিটেশন কে অন্যান্য মৌলিক বলের সাথে একিভুত করা।স্ট্রিং থিওরী কিছুটা এগিয়েছে কিন্তু এখনো প্রুফ না থাকায় তাকে প্রমানিত করা যাচ্ছে না। এখন যদি কেঊ বলে এটা পারা যাচ্ছে না ঈশ্বরের হস্তক্ষেপে তাহলে সেই মন্তব্যের দায়ভার কি সায়েন্স নেবে?
৩।আপ্নার আগের পোস্টে সম্ভবত গাড়ির একটা এনালজি আছে। আপনি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার কিভাবে গাড়িকে থামিয়ে দিচ্ছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে কোয়ান্টাম টানেলিং বলে একটা ফেনোমেনন আছে যেখানে পার্টিক্যাল পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার ভেদ করে যেতে পারে যেটা ক্লাসিকাল মেকানিক্সে অসম্ভব। সুতরাং সায়েন্সে পার্স্পেক্টিভ পরিবর্তনে আমাদের অভিজ্ঞতা বিরোধী হতে পারে কিন্তু সেটা প্রমান করে দেয় যে বাস্তবতা একটা অগ্রহনযোগ্য ধারনা। তত্বনিরপেক্ষবাস্তবতার কোন অস্তিত্ব বিজ্ঞান স্বীকার করে না। সুতরাং সায়েন্টিফিক্যালি আপনি এভুলিঊশানের অসাড়তা প্রমান করে যদি মেটাফিজিক্যালি কঙ্কলুশানে পৌছান তাহলে আপনার কঙ্কলুশানের দায়িত্ব বিজ্ঞান নিবে না।
আর জুবায়ের ভাই
কুল ডাউন ম্যান 😀
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
> তোমার মতে, ‘বিবর্তন একমাত্র লজিক্যাল ব্যাখ্যা জৈব বৈচিত্র্যের’। যদি ব্যাখ্যাটা ভুল প্রমানিত হয়, তাহলে বিবর্তনবাদও ভুল প্রমানিত হবে, তাইতো। তুমি আরো বলেছ, ‘বিবর্তনের বিরুদ্ধে অল্টারনেটিভ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দাঁড় করাতে হবে, তার পরে একে ভুল প্রমানিত করতে হবে’ এই ধারনার সাথে আমি একমত নই। আমি তো জানতাম, তোমাকে প্রমান করতে হবে বিবর্তনবাদ সত্য যদি তুমি একে তত্ত্ব হিসেবে গ্রহন করাতে চাও। আমি অন্তত জানি যে বিজ্ঞান এইভাবে চলে।
> তোমার কথা মত, আমিও বলতে পারি যে, ‘জীবনের ও জীবের এত জটিলতা এমনি এমনি হতে পারে না, স্রষ্টা সব কিছু সৃষ্টি করেছেন’। এখন তাহলে তোমার উপরে দ্বায়িত্ব বর্তায় একে ভুল প্রমান করার। তুমি একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পার, কিন্তু সেইটা প্রমান না। ব্যাখ্যাকেও প্রমান করতে হবে, বৈজ্ঞানিক উপায়ে!
> বিবর্তনবাদীদের ব্যাখ্যা করা কিছু প্রক্রিয়া যে ভুল প্রমানিত হয়েছে তার বৈজ্ঞানিক জার্নালের আর্টিকেল তো দিলাম। শিম্পাঞ্জির জীনের অপ্রত্যাশিত অমিল, ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলামের উল্টো-বিবর্তন, লুসি যে শুধুই গরিলা (মানুষ, গরিলা শিম্পাঞ্জির পূর্বপুরুষ না) এ সমস্ত তথ্য গবেষকেরাই প্রমান করে আর্টিকেল হিসেবে ছেপেছেন, আরও গবেষকের রিভিও-এর পরে। তোমার কাছে এগুলো বৈজ্ঞানিক না হলে আমি সেক্ষেত্রে অপারগ।
> 'বিবর্তনবিদ্যা ইনভ্যালিড হলে সায়েন্টিফিক্যালি কি কনক্লুশানে আসছি' তা তো এতদিনে তোমার জানা হয়ে যাওয়া উচিত! সেটা সায়েন্টিফিক কিনা সেটা আপেক্ষিক। তুমি যদি একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে ভুল প্রমানে আশায় থেকে ব্যাপারটাকে বৈজ্ঞানিক বলতে পার, তাহলে আমাকেও সেই সুযোগ নিশ্চয়ই দিবা।
> তোমার ১ আর ২ এর মোটিভ আমি বুঝতে পারছি না। তবে এত জেনারালাইজড একটা প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে চাই না।বরং তুমি বল, আমি যে আরগুমেন্টগুলো দিয়েছি তার মধ্যে, কোথায় স্রষ্টাকে আনায় তোমার আপত্তি আছে।
> তোমার মত জ্ঞানী লোকদের জন্য কোয়ান্টাম ফিজিক্সের একটা অংশ থার্ড ব্রাকেটের মধ্যে ছিল। তুমি যদি একটু ডিটেইলস পড় তাহলে খেয়াল করবা যে, ‘পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার ভেদ করা’-এর ব্যাপারটা একটু আলাদা। যেখানে পটেনশিয়াল জাম্প হচ্ছে, তার পরেও ইলেক্ট্রন পাওয়ার সম্ভাবনা এক্সপোনেন্সিয়ালি কমতে থাকে, তার মানে জায়গায় (instantaneously) শুন্য হয় না। কিন্তু তুমি যদি রিফ্লেকশন মাপ, সেক্ষেত্রে দেখতে পাবা, সব ইলেক্ট্রনই ফেরত আসে, তার মানে কেউই পুরোপুরি ভেতরে ঢুকে যেতে পারে না। ব্যাপারটা হচ্ছে, কিছু ইলেক্ট্রন ব্যারিয়ার ভেদ করে কিছু দূর যাচ্ছে, কিন্তু সবাই শেষ পর্যন্ত ফেরত আসছে। অনেকটা গাধা আর ঘোড়ার নেক্সট জেনারেশনের মত। এর পরে আর যেতে পারছে না।
> আর টানেলের যে কথা বলছ, নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ, তা হচ্ছে পটেন্সিয়াল বেড়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসলে। প্রথমতঃ বিবর্তনবাদের জন্যে এইটা কোন কাজে লাগবে না। শিম্পাঞ্জী থেকে মানুষ হয়ে আবার শিম্পাঞ্জী হলে ত আর লাভ হলো না। আর দ্বিতীয়তঃ এইটাও নির্ভর করে কত চিকন (স্পেস এ) তোমার ব্যারিয়ার এবং আরো কিছু উপাদানের উপরে। তুমি চাইলে আমি অনলাইনে এর উপরে লেকচার নোটের লিংক দিতে পারি।
যাইহোক, তুমি চিন্তা কর। তোমার মত আমিও সব বিষয়ে দক্ষ নই। কিন্তু জানতে আগ্রহী।
আমার কথা হচ্ছে আপনি কি করতে চাচ্ছেনঃ
১।বিবর্তনবাদ কে ভুল প্রমান করা
নাকি
২। প্রজাতির উতপত্তি স্রস্টা ছাড়া সম্ভব না এটা প্রমান করা।
যদি প্রথমটা হয়ে থাকে তাহলে আমার কিছু কৌতুহল আছে।যেহেতু বিবর্তনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আমি জানি না তাই আমার সাধারন কৌতুহল থেকে বলছিঃ
১।আপ্নার দাবিটি কি?বিবর্তন এবসুলিঊটলি ইনভ্যালিড?
যদি হয়ে থাকে তাহলে প্রজাতিগুলো কিভাবে আসল,
কেন বিভিন্ন ফসিলে আমরা আমরা পরিচিত প্রানীদের কিছুটা অন্যরকম অবয়ব পাই
কেন আমরা জোর করে প্রজাতির মাঝে পরিবর্তন আনতে পারি?(যদি প্রজাতিগুলো পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে)
কেন সরিসৃপ এবং পাখির মাঝামাঝি ফসিল দেখি?
পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতে পারা অপেক্ষাকৃত ছোট মস্তিস্কের প্রানীগুলো কারা ছিল?
আমার শরীরে এপেন্ডিক্স আছে কেন,ওটা তো তৃনভোজী প্রানীদের থাকার কথা?
তিমির কংকালে অনাবশ্যক দুটো হার কেন পেছন দিকে দেখতে পাই,যদি সে সারাজীবনই পানিতে থাকে তাহলে কোথায় হাটার জন্যে তার পা দরকার হয়েছিল?
আর্থোপোড রা আগে এত বড় বড় ছিল,মেরুদন্ডীরা ছিল ছোট। কেন?
কেন বয়স অনুসারে ফসিল সাজালে ধীরে ধীরে জটিলতর প্রানীদের দেখা যায়?
ছাগলের আকৃতিতে কেন ছিল আমদের ঘোড়া?
এই প্রশ্নগুলোর সায়েন্টেফিক উত্তর জানতে চাচ্ছি।
আর যদি দ্বিতিয়টি হয়ে থাকে তাহলে আমার কোন মন্তব্য নেই সেটা সায়েন্টিফিক আলোচনা নয়।
আরেকটি সাধারন প্রশ্ন ছিলঃ
আপনার কনক্লুশান না আসলে কি? বিবর্তন একটি ভুল তত্ব? এর সকিছুই ভুল নাকি আংশিক ভুল? আংশিক ভুল হলে কতটুকু ভুল? আমি এই ফীল্ডে জ্ঞানের অভাব আছে তাই সহজ ভাবে বললে খুশি হব।
আর আমার ঐ মোটিভ ছিল কোন প্রাকৃতিক ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে না পারলে সেটা অলৌকিক বলা কি বিজ্ঞান সম্মত কি না?
অফঃ
আসলে কোয়ান্টাম টানেলিং এর মত প্যাচাইনা জিনিস কম কথায় বলতে গিয়ে আমি প্যাচিয়ে ফেলেছি 😀 😀
সময় করে আমি কি বুঝাতে চেয়েছিলাম সেটা বলে যাব।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
তোমার মন্তব্য দিয়ে অভিভুত করলে হোসেন। তারপরও আমি বলবো বিবর্তনের সবচেয়ে বড় প্রমান গুলোই আসে মলিক্যুলার বায়োলজি ও গেনেটিক্স থেকে, কেমিস্ট্রিই প্রমান করে বিবর্তন। আমি জাহিদ ভাই এর পোস্টটার বিরধিতা করছি এই কারণেই যে উনি এইগুলর কোনোগুলোই আমলে না এনেই শুধু বিবর্তনের প্রমান এনেছেন ক্রোমোজমাল ফিউসান আর ফসিল রেকর্ড, খুবই ভেইগ ভাবে দেখিয়েছেন ফসিল রেকর্ড এ গ্যাপ যেটা কিনা খুবই স্বাভাবিক আর গ্রস জেলেরালাইজেইশন করে বলেছেন "শিম্পাঞ্জীর দুইটা ক্রোমোজম জোড়া লেগে আমাদের একটি ক্রোমোজম হয়েছে", জেতা কিনা ভুল, এবং খুবই মিসলিডিংলি বলেছেন বর্তমানে বিবর্তনের অবস্থান করুণ, কোন বিজ্ঞানীই আর এরসঙগে একমত পোষণ করেন না যা পুরোপুরিই অসত্য। এইজন্যেই "ক্রেডেন্সিয়ল জাল" যেই ফ্রেইজটা সমালোচনার সৃষ্টি করতে পারে সেটা আমি বলেছি, তবে আমার এটা বলার অর্থ ছিল, "আপনি যা দাবি করছেন তা প্রমান করার জন্য আপনার যতটুকু প্রমান থাকা দরকার তা আপনার নাই, তারপরও যদি থাকতো সেটা প্রমান করত না আপনার প্রস্তাবিত উপায়ে যীবের সৃষ্টি। absence of evidence is not evidence of absence. আপনি যা বলছিলে তা এমন ভাবে বলেছিলেন যেন এটাই বর্তমা্নে সায়েন্টিফিক কম্যুনিটির মতামত, যেটা বলতে পারি সত্য নয়, ফলে মানুষ মিসলেড হচ্ছিল। আপনি যদি এভাবেও বলতেন যে "আমি জানি সায়েন্টিফিক কম্যুনিটি এর বিরোধিতা করে তারপরও আমি বলবো বিবর্তন মিথ্যা" আমার অভিযোগ থাকত না। আশা করি ব্যাপারটা বুঝে থাকবেন।
জাহিদ ভাইয়ের বিবর্তনবাদ এ রিভিউ এক এর কমেন্টে আমার একটা লিস্ট আছে দেখে নিও, আরও যে যে কারণে আমাদের নিস্চিত হতে হয় বিবরতন ছাড়া এর কোনো ব্যাখ্যা নাই।
১) কোন সায়েন্টিফিক কমিউনিটি বিরোধিতা করে?
২) আর বিরোধিতা করলে আমার আবার আলাদা করে মিথ্যা বলার প্রয়োজন কি?
আমি যখন একটা সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করি, আমার পূর্ণ অধিকার আছে তাকে পর্যালোচনা করার, তাকে ভুল বলার বা সঠিক বলার। সঠিক নিয়মগুলো হচ্ছে, আমি তাকে রেফারেন্স করব এবং আমার যুক্তি তুলে ধরব। অন্যকারো যুক্তি, যা আমার আগে প্রকাশিত, আমার জানা থাকলে তাকেও রেফারেন্স করব। আর আমি যদি সরাসরি ঐ সূত্রের মতামত তুলে ধরি তাহলে ত আমার ক্রেডিট নেয়ার সুযোগই নাই। আমাকে অবশ্যই রেফারেন্স দিতে হবে। হুবহু উঠালে কোটেশন চিহ্ন দিতে হবে। সুতরাং ক্রেডেন্সিয়াল জালিয়াতির সংগাটা আবার দেখ।
বাংলাদেশের জেলাগুলোর বিবর্তনের যে রুপক তুলে ধরেছিলাম, তাতে একটা ইঙ্গিত ছিল। জেলাগুলোকে বিবর্তিত হয়ে আবির্ভাব হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা যায়, কিন্তু এটাতো জান যে তা হয়নি। কেউ একজন ভাগ করেছে।
শিম্পাঞ্জির ক্রমোজম কিন্তু বিবর্তনবাদীরাই তাদের যুক্তির পক্ষে ব্যবহার করত।
হোসেন,
একটা স্থল প্রানী হঠাৎ খাবারের জন্যে পানিতে নামল আর আস্তে আস্তে সে বিবর্তিত হয়ে পানিতেই থাকা শুরু করে দিল, ব্যাপারটা আমি হজম করতে পারিনা। এত বৈরী একটা পরিবেশে খাপ খাওয়ানো কঠিন। তুমি পারলে, তিমি মাছের বিবর্তন কত মিলিয়ন বছরে হয়েছে বলে বিবর্তনবাদীরা মনে করেন তার সংখ্যাটা আমাকে দিও।তারপরে আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনায় যেতে পারি।
আমি আপনাকে বলতে পারি তিমি মাছের ইভল্যুশন সম্পর্কে। তবে সেটা বোঝার জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে ট্যাক্সোনমি, ফাইলোজেনি, মর্ফলজি, ক্লেইড, ট্যাক্সা সম্পর্কে, এবং সময়টা কিভাবে মাপা হয় তা বুঝতে জানতে হবে মলিক্যুলার ক্লক সম্পর্কে, উইকিপিডিইয়া দেখে নিন। ক্যাটেসিয়া ওর্ডারের প্রাচীনতম ফ্যামিলি প্যাকেসিটেডাই এর অর্গানিজমরা বসবাস করতো আজ থেকে ৫০ মিলিয়ল বছর আগে। ৫০ মিলিয়ল বছর কত সময় ভাবতে পারেন? এক পা হাঁটাকে যদি ধরেন মানুষের একটা জেনেরেইশনের সমান সময় বা এক পা হেঁটে আপনি যদি ৭৫ বছর যান তাহলে ৫০ মিলিয়ল বছর যেতে হলে আপনাকে হাঁটতে হবে এখান (ঢাকা) থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত, এবং আমি ক্রিয়েইশনিস্টদের মত এই নাম্বারগুলা বানাই না, অংকটা নিজে করে দেখতে পারেন চাইলে। http://palaeo.gly.bris.ac.uk/Palaeofiles/whales/archaeoceti.htm
হোসেন,
প্যাচাইছো তো কি হইছে, পরে আবার জট ছুটাবা। ইচ্ছা করে তো আর প্যাচাও নাই, তাই যথেষ্ট।
বিবর্তন পুরাপুরি বাদ দিই নাই আমি। তুমি কষ্ট করে আর্টিকেলটা আবার পরে। আমার বড়ই উপকার হয়। বার বার টাইপ করা লাগে না। তুমি চাইলে আমি একদিন ফোন করতে পারি। অথবা মেসেঞ্জার এ কথা বলতে পারি।
আমার এখন মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা। কয়েকটা কাজের মৃত্যুদাগ (ডেডলাইন) আছে। সামনে আবার পুলসিরাতের পুল পার হইতে হবে মে তে। সুতরাং, মুখের কথায় কাজ সারতে পারলে আমি বাঁচি।
ভালো থেকো।
ব্যাপারটা আমি আপনাকে বলতে পারি, তবে এটা বোঝা আপনি যতটা সহজ মনে করছেন আসলে তা না। আপনাকে প্রথমে জানতে হবে বিবরতন কিভাবে কাজ করে, আপনি যেভাবে ভাবছেন বিবর্তন এভাবে করে না। আপনাকে মেকানিজম জানতে হবে, ডিটেইল্স জানতে হবে, আমি আপনাকে বলবো আপনি মাস তিনেক পড়াশুনা করুন, আপনি দেখুন মুটেইশন, সিলেক্সন, জেনেটিক ড্রিফ্ট ও জিন ফ্লো সম্পর্কে। এরা হচ্ছে মেকানিজম যেভাবে বিবর্তন কআজ করে, বলতে পারেন বিবর্তনের আলিফ বা তা সা। আপনার বিবর্তন ধারণা ঠিক হচ্ছেনা কেননা আপনি ধরে বসে আছেন বিবর্তন একটি ইন্ডিভিজ্যুয়ল লেভেলের ঘটনা আসলে তা নয়, এই চারটি সংগা জানলে আপনি বুঝবেন যে বিবর্তন একটি পপুলেইশন লেভেলের ঘটনা।
আপনাকে বলেছিলাম "কি আর বলবো" এর রিপ্লাই লিখছি, সেটা সিসিবি সেন্সর করে তাই দিতে পারিনি, এটা এখানে পাবেন। http://ccb111.blogspot.com/
জাহিদ ভাই, আপনার এই "হঠাৎ" শব্দের মধ্যেই সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি লুকিয়ে আছে। হঠাৎ করে কিছু হয়নি। বিবর্তনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা না করে আপনি সবসময় বলছেন: হঠাৎ করে এইটা হয়েছে তারপর হঠাৎ করে ওইটা হয়েছে। এটা তো সবাইকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিচ্ছে।
আর অর্ণব ভাই, আপনি যদি মনে করেন আপনার লেখা সিসিবি-তে দিলে সিসিবি-র পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশংকা আছে, কিংবা মডারেটররা যদি সেটা প্রকাশ করতে রাজি না হন তাহলে আপনি এই সাইটে সেগুলো প্রকাশ করতে পারেন:
http://bigganpuri.wordpress.com/
ওয়ার্ডপ্রেসে অ্যাকাউন্ট থাকলে বলেন আমি আপনাকে অ্যাড করে নিচ্ছি। আর না থাকলে একটা অ্যাকাউন্ট করে ফেলেন। তারপর আমি আপনাকে বিজ্ঞানপুরীতে যোগ করে নেব।
অর্ণব,
ধন্যবাদ সংখ্যাটার জন্য। ৫০ মিলিয়ন অনেক বড় সংখ্যা তা বুঝতে পারছি। মানুষ আর শিম্পাঞ্জির বিবর্তন হতে সময় লেগেছিল ৫ মিলিয়ন বছর। তার দশগুন। অথচ পরিবর্তনের মাত্রাটা কিন্তু অনেক বেশি।
তুমি যেহেতু জান, একটা ছোট কাজ করলে আমরা অনেক উপকৃত হই। একটা টেবিলে (Table) কয়েকটা মেজর আর মাইনর বিবর্ধনের সময়টা লিপিবদ্ধ করলে আমরা তুলনা করতে পারতাম।
অগ্রিম ধন্যবাদ।
আপনার এই তথ্য সঠীক নয়। মানুষ ও শিম্পাঞ্জীর বিবর্তন বলতে আপনি কোনো প্রেসাইজ বৈজ্ঞআনিক সেন্স প্রকাশ করছেন না। আমাদের এবং শিম্পাঞ্জির লাইন অফ ডিসেন্ট আলাদা হয় ৬মিলিয়ন বছর আগে। আর বিবরতন বলতে আপনি কি থেকে কিসের বিবরতন বোঝাচ্ছেন তাও জানা দরকার। আপনাকে এটা বোঝানো অসম্ভব যতক্ষণ না আপনি জানছেন ট্রেইট, মর্ফ, ক্লেইড ও ট্যাক্সা সম্পর্কে। আপনি প্লিজ একটিবার উইকিপিডিয়াতে দেখুন ট্যাক্সোনমি, ফাইলোজেনি এবং মর্ফোলজির পার্থক্য। লাস্ট কমন আন্সেস্টর, প্রজেনি, স্পিসিয়েইশন, লাইন অফ ডিসেন্ট, মেন্ডেলিয়ান ইনহেরিটেন্স এই ধারণাগুলো কাছাকাছি এবং কনফ্যুজিং, আপনার প্রেসাইজলি এগুলো জানা দরকার। আপনি যা যুক্তির কথা বলছেন তা সবই ১৫০ বছর পুরনো এবং রিফিউটেড, তা না হলে বিবর্তন এতদিনে সায়েন্টিফিক কম্যুনিটিতে ভুল প্রমানিত হত।
তোমার উক্তি আরেক পোষ্টের,
তোমরাই বল, এক জীবের থেকে আরেক জীব বিবর্তিত হয়েছে এসেছে। আবার এমন সব কথা বল যার আগা-মাথা আমি কিছুই বুঝিনা। Pakicetids বিবর্তিত হয়ে তিমি হয়েছে, তাই জানতাম। শিম্পাঞ্জি আর মানুষের যদি কমন আন্সেস্টর থাকেও, তার থেকে মানুষ হতে তো ~৫ মিলিয়ন লেগেছে।(প্লীজ ৫ আর ৬ নিয়ে এত প্যাচায়ো না, তোমার কথা বোঝার লেভেলে থাকলে আমি হয়তো ঠিক বলতে পারতাম, তোতা পাখির মত বুলি আওড়ানো শিখি নাই, সুতরাং আমার অপারগতা বোঝার চেষ্টা কর।) যে সময়ে তাদের লিনিয়েজ আলাদা হয়েছে, তার পর থেকে মানুষের যে পূর্বপুরুষ ছিল, তার (পূর্বপুরুষের) থেকে আজকের এই অবস্থায় আসতে ~৫ মিলিয়ন বছর লেগেছে। আর তিমি মাছ, কুকুর সদৃশ একটা প্রানী থেকে ৫০ মিলিয়ন বছরে চলে আসল! এমনকি বিবর্তনবাদী লোকেরা জানেন এটা অপ্রত্যাশিত দ্রুত ভাবে বিবর্তিত হয়েছে। যাইহোক, আমি আর উতসাহী না এই সব জানতে, অন্তত তোমার কাছ থেকে না।
আমি যে গাধা, তা না। কিন্তু তোমার কথা বুঝতে এত ঝামেলা হচ্ছে কেন সেটাই আমার মাথায় ঢুকছে না। আমি দুনিয়ার বাঘা বাঘা ইউনিভার্সিটির, বাঘা বাঘা লোকের কাছে, বাঘা বাঘা বিষয়ে কোর্স করলাম, খারাপ তো করলাম না। এমনকি বিবর্তনবাদি অন্যলোকের কথাও আমি ভালোই বুঝি। তুমি যদি সহজ করে বুঝাতে না পার, তাহলে না পারবে তুমি যে সঠিক তা প্রমান করতে, না পারবে অন্যলোক যে ভুল, তা প্রমান করতে।
বিজ্ঞান এত কঠিন না। সবকিছুর সহজ ব্যাখ্যা আছে, দিতে জানতে হয়।
আমি হাল ছাড়ছি।
টিং... টিং... টিং... টিং... দা উইনার ইজ...
ভাল থেকো।
ওহ... বিবর্তনকে সবসময় 'মিথ্যা প্রমানিত হত' যে কথাটা বল সেটা না বলাই বোধহয় উত্তম। বিবর্তন এখন সত্যই প্রমানিত হয়নি। তোমরা শুধু ব্যাখ্যা দেও। প্রমান দাঁড় করাতে পারনি এখন। জীব ক্রমানুসারে সৃষ্ট হলেও তুমি পর পর সাজিয়ে বলতে পার, একটা থেকে আরেকটা এসেছে। যা আদৌ যৌক্তিক নয়।
বিবর্তনবাদ একটা ব্যাখ্যা, প্রমান না।
প্রমান ছাড়া কোন ব্যাখ্যা বিজ্ঞনে দেওয়া সম্ভব না। এজন্যেই কেরো মন গড়া কথা বিজ্ঞান নয় কখনও। সাইন্টিফিক জার্নালের পিয়ার রিভিউ প্রক্রিয়া এটাই নিশ্চিত করে যেন প্রমান বা সাপোরটিং এভিডেন্স নেই এমন কোন ব্যাখ্যা প্রকাশিত না হয়।
কেউই বলছে না সেটা, এটা আপনার স্ট্রম্যান।
আপনি যদি মলিকিউলার বায়োলজি এবং জেনেটিক্স বুঝে থাকেন কখনও, তাহলে এই মত থেকে সরে আসবেন। কেন একবার গুগোলে সারচ দিচ্ছেন না evidence in support of evolution লিখে। আমরা ল্যাব্রেটরিতে স্পেসিয়েইশন করে নতুন স্পেসিস বানিয়েছি; পপুলেইশন ছোট করে, সিলেক্সন প্রেসার বাড়িয়ে অ্যাডাপ্টেশনের মাধ্যমে সম্পুর্ণ একটী নোতুন অর্গান ডেভেলপ করেছি, মলিকিউলার পরযায়ে জেনেছি কিকরে পান্ডা, চিতাবাঘ জেনোমে হোমোজাইগোসিটি বেড়ে বেড়ে বিলুপ্তি ভরটেক্সে ঢুকেছে। বিবরতনের তিনটি প্রেডিকশনই আমরা ল্যাবে রিপ্রজিউস করতে পারি মলিকিউলার ডেফিনাইশন ও রেজোলেউশনে। নেইচারের ওয়েবসাইট বলছে কি কি ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট ইম্পেরিক্যালি এবং রিপ্রজিউসেবলি প্রমান করেছে বিবরতন। http://www.nature.com/nature/newspdf/evolutiongems.pdf এছেড়াও দেখুন টক অরিজিনের এইটা http://www.talkorigins.org/faqs/faq-speciation.html
আর বিবরতনের বিরোধিতা করে এমন সায়েন্টিফিক পেইপের কেন একটিও নেই এই প্রশ্নের কোন উত্তরও কিন্তু দেননি আপনি।
একটা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ছাত্রকে যা বুঝতে ছয়মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় তা আপনি এক বসাতেই বুঝে যাবেন না কারণ, এটা বুঝার আগে আপনাকে বুঝতে হবে আরও কয়েকশো সংজ্ঞা, ল্য এবং প্রিন্সিপল যার জন্য আপনার সময় দরকার।
কোথা থেকে পেলেন এটা?
এটাই বা কোথা থেকে পেলেন।
এটা নেইচার এ পাবলিশড একটা পেইপারের সরাসরি কোট যেই পেইপারটাও কিনা আমি আপনাকে পাঠিয়েছিলাম। একটা পেইপর পড়তে আমার ১০ থেকে ২০ বার উইকি বা বায়োকেম দেখা লাগে, আপনি এখানে যতগুলো জীনিষের সংজ্ঞা আছে তা জেনে নিলে দেখবেন আপনিও বুঝছেন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Evolution_of_whales
Pakicetids দেখতে কি তোমার মত? কেন ভান ধর?
তাহলে কখন তারা আলাদা হয়েছে?
ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলামের ব্যাখ্যা প্রমান ছাড়া দাড় করানো হয়েছিল। চোখের যে ব্যাখ্যা তোমরা দাড় করাও, তার পক্ষে শুধু কম্পিউটার সিমুলেশনের রেজাল্ট আছে এবং তা শুরু হয় আলো সেন্স করতে পারে এমন একটা অঙ্গ থেকে। প্রমান এগুলোকে বলে না। এবং সিমুলেশনের প্যারামিটার পছন্দ করার ব্যাপার আছে এবং অনেক কিছু অভার-এস্টিমেট বা আন্ডার-এস্টিমেট করার সুযোগ আছে।
প্রমান এভাবে হয় না। এগুলো ব্যাখ্যা।
তোমাকে কে বলেছে আমি wiki সার্চ দিয়ে পড়িনা।
সম্পুরণ ভুল, শকিংলি ভুল। কোথায় আপনার সেই পিয়ার রিভিউড পেইপর যা বিবরতনের বিরধীতা করে? আবার দেন তো রেফরেন্সগুলো আমরা দেখি। লুসি যে শুধুই গোরিলা? আপনি বলতে চাচ্ছেন এটা আপনি পেয়েছেন পিয়ার রিভিউড জারনালে? বললেই হলো?
লুসি একটি অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফ্রেন্সিস যা কিনা হোমিনিডাই ফ্যামিলির, হোমিনিনাই সাবফ্যামিলির একটি স্পিসিস, কেউ কখনো একে হোমিনিনি ও গোরিলিনি ট্রাইবের কমন এ্যান্সেস্টর দাবী করেনি, শিম্পাঞ্জীর সাথে আমেদের লাইন অফ ডিসেন্ট স্প্লিট হওয়ার ৩ মিলিয়ন বছর পরও অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফ্রেন্সিস ছিল এক্সটেন্ট। অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফ্রেন্সিস শুধুই মানুষের এ্যান্সেস্টর। শিম্পাঞ্জী ও মানুষের লাস্ট কমন এ্যান্সেস্টর ড্রায়োপিথেকাস (its not yet confirmed with molecular evidences as dna sample can not be extracted from specimens more than 7000 years old. nanderthal dna was an exception though)।
আমাদের ও শিম্পাঞ্জীর জেনোম ৯৮.৫% আইডেন্টিকল। জীনের অপ্রত্যাশিত অমিল বলতে কি বোঝাচ্ছেন?
অর্ণব,
দুঃখিত। একি কথা বার বার বলার মত সময় আমার এখন নাই। জার্নাল আর্টিকেল গুলো আগেও ছিল, এখন আছে নিচের লিঙ্কে আপলোড করা।
http://sites.google.com/site/zahidur/
zip ফাইল গুলো নামিয়ে এর মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় ফাইলটি খুঁজে নিও। আমার জানা মতে, সব জার্নাল আর্টিকেলই রিভিউড। একটা দুইটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে, কিন্তু আমার জানা নাই।
লুসির ব্যাপারে নিচের ভিডিওটা দেখতে পার।
http://www.youtube.com/watch?v=b4_UMbDi7x0
যাইহোক, আর্টিকেলটাই বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
শিম্পাঞ্জির ক্রমোজমের পেপারগুলোও আছে।
আমি অন্যদের প্রতি তেমন আচরণ করি, যেমন আমি তাদের কাছ থেকে আশা করি। আশা রাখি বুঝতে পারছ।
এইধরণের একটা মন্তব্যের পরও এটা চালিয়ে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা হয় আমি সত্যিই সিসিবির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান।
এডু/মডূ দের অনুরোধ করবো - সিসিবি তে এটাকে বাড়তে না দেওয়ার জন্য...
আপনি যেটা করছেন এখন সেটা হচ্ছে এসেন্সিয়্যলি সেন্সরশিপের পক্ষে অ্যাডভোকেইসি, বলাই বাহুল্য যেটা কিনা খুবই শোচনীয়। এটা প্রসংসাযোগ্য যে আপনি সিসিবির ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছেন, এবং আমরা দেখছি ভেবে ভেবে আপনি সিসিবির ভবিষ্যত রক্ষার একটি যুগান্তকারী পন্থাও আবিষ্কার করে ফেললেন, সেটা কি? ড্রাকোনিয়ান সেন্সরশিপ। আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি এই কারণে যে এই পর্যন্ত যেই কয়টি filthy little proponent of draconian censorship সিসিবিতে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে, প্রতিবারই তারা ফ্রী-স্পিচ প্রপোনেন্টদের চরম বিরোধীতার সম্মখীন হয়েছে। আমি আশা করবো আপনি আর যাই করুণ মানুষের কালেক্টিভ গনতান্ত্রিক মুল্যবোধের বিপক্ষে স্ট্যান্ড নিবেন না। ভালো থাকবেন।
আমি বিজ্ঞানের ছাত্র নই,তবে দর্শন বুঝতে পারি।এবং এই পোস্টটি পড়ে খুব আনন্দ পাচ্ছি।বিতর্ক টা যেন শেষ না হয়।চলুক।
অর্ণব,
ভাল লাগল তোমার লেখা পড়ে।
ভালো সময়েই মানবাধিকারের কথা বলেছ। গতকাল আমার এক প্রাক্তন কলিগের কাছ থেকে ইমেইল পেলাম। আসলে এখনই আমাদের মানবাধিকার রক্ষার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। কার কাছ থেকে এসেছে গোপন রাখলাম, বিশ্বাস করা না করা যার যার নিজের কাছে...
Dear all,
It is a personal mail to you. Probably, you know that in July 2006 Ehsanul Islam Sadeki was hijacked by FBI in Bangladesh. He is still in the custody of FBI in USA. His father is very close friend of my father. He is collecting 100,000 signatures to forward it to the UN human rights organization and present US president. It is a genuine case. I am sending the hard copy of the signature sheet. Please forward your cooperation. Thanks.
তোমার সাথে আমিও আছি এই প্রকল্পে। শুধু মুসলমানেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, ব্যাপারটা মাথায় রেখ।
আন্ডারগ্রাডুয়েট আর গ্রাডুয়েট লেভেলের পড়াশোনার একটু ফারাক আছে। প্রথমটা আন্ডারগ্রাউন্ডের ভিত্তি(!) শক্ত করে। একবার তা শক্ত হলে বিষয়গুলো ধরতে সময় লাগে না। তুমিও বুঝবে, ভেব না। দুই সপ্তাহে লিখেছি মানে এই না, যে এই দুই সপ্তাহেই আমার সব পড়াশোনা।
ওহ, একটা কথা। মহিলাদের আলাদা করে ইঙ্গিত কর না। ইসলামে পুরুষদেরও একি শাস্তি। আর, আমরা কারন ছাড়া শুধুমাত্র সন্দেহের বশে, বিচারের অধিকার ব্যতিরেখে লোকজনকে বছরের পর বছর আটকে রাখি না, শাস্তিও দেই না। তোমার প্রিয় পশ্চিমা দেশ গুলো যা করে।
সবশেষে,
তুমি দয়া করে কথা গুলো একটু চিন্তা করে বলো।
জাহিদ ভাই আপনার সবগুলো লেখা পরলাম .অব্সলুতেলি বৃল্লিয়ান্ট.হাটস অফ to ইউ .আপনার আরেকটা কথার সাথে আমি একমত যে দেশের বাইরে আসলে মানুষ যদি ধর্ম নিয়ে জানার try করে তাহলে অনেক কন্ফুসিওন দূর হয়ে যায় .থানক ইউ