মুরাদ টাকলা- ইউনিক বিনোদন , ইউনিক ব্র্যান্ড ( পর্ব-০২)

ঈদের ব্লক বাস্টার ছবি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ছবি বিনে পয়সায় মুরাদ টাকলা পেজের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। ছবিতে বর্ষা ম্যাডামের নাম থাকে মেঘলা। তিনি একসময় স্যার অনন্ত জলিলকে সেল ফোনে ফোন দেন। ফোনের স্ক্রিনে বড় বড় অক্ষরে ভেসে আসে “Magla” এই মুহূর্তে প্রতিবারই হলের হাজার হাজার দর্শক মুরাদ টাকলা বলে চিৎকার করে ওঠেন।

দি ডেইলী স্টার তাদের রিভিউতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশেষ ভাবে। তারা লিখেছে-
The best bits of the movie were in the little details such as the “Murad Takla” moment when Ananta’s iPhone 5 displays Meghla’s name as “Magla”, or when Ananta answers the phone and says, “Hello Dabid?”

ডেইলি স্টারের মুভি রিভিউ এর লিঙ্ক পাবেন এখানে

প্রশ্ন: মুরাদ টাকলা নামটি কী মুরাদ নামক কোনো ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে? এর উৎপত্তি হল কেমন করে?
উত্তর: না। একদা আমাদের একজন এডমিনের নিকট জনৈক Joyonto Kumer লিখেছিলেন “Murad takla jukti diya bal, falti pic dicos kan! Lakapar kora kata bal, (অনুবাদ: মুরোদ থাকলে যুক্তি দিয়ে বল। ফালতু ছবি দিছস ক্যান? লেখাপড়া করে কথা বল)”।
এটি গত পর্বেও ছিল, অনেকেই সন্দেহ তুলেছেন, আসলেই কি কাহিনী সত্য? আসুন তাহলে পরিচিত হয়ে নেই জয়ন্ত কুমারের সাথে, যিনি আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন মুরাদ টাকলা সোসাইটিতে।

null

সেই থেকে Murad Takla নামটির উদ্ভব এবং যার বাংলা অর্থ আসলে “মুরোদ থাকলে।” সুতরাং, মুরাদ টাকলা নামটি মুরাদ নামক কোনো ব্যক্তিকে হেয় করে না। নীচের মিম দেখে সহজে বুঝতে পারবেন

null
চিত্র- আমরা কারা? মুরাদ টাকলা

মুরাদ টাকলা বিষয়ক প্রথম পর্ব পাবেন এখানে

ব্লগে মুরাদ টাকলা নিয়ে গবেষণাপত্র প্রথম পর্বে ব্যপক সাড়া পেয়ে দ্বিতীয় পর্বে হাত দিলাম। যারা এখনও ইংরেজি হরফে বিকৃত ভাষায় বাংলা লিখে চলছেন তাদের জন্য আমাদের সহানুভূতি রইল। কারণ-

null

আমরাও শোকে পাথর হয়ে গেছি। তবে শোকে বিহবল হয়ে আর লাভ নেই, চলুন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া শুরু করি, লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি পড়ছেন সেইটে আর মুখ্য নয়, যেখান থেকে যা ইচ্ছা পাশ করে ফেলি চলুন

null

রাশিয়ান কবি মায়াকোভস্কি এর কবিতা আছে, যেখানে তিনি প্রায় ৪৫ লাইনে একজন অপরূপা নারীর প্রশংসা করেছেন প্রকৃতি আর অনূভুতি মিশিয়ে, শেষ লাইনে এসে বলছেন, যদি সৌন্দর্য এর সাথে থাকত একটি মাথা তবে না হতে আরো অপরূপা। উপরের মন্তব্য চালাচালি দেখে আমি আবার মায়াকোভস্কি নিয়ে বসলাম। চলুন দেখি কে কোথায় পড়াশোনা করছে-

null

null

চলুন দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। হাভার্ড?

null

ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে কি কোন নদী আছে? চলুন গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেই। তবে কপালের ফ্যার কি খন্ডানো যায়? জীবন নিয়ে এই দর্শনের পর আর কি ঝাঁপ দেয়া যায়?

null

তাছাড়া আপনি চুড়ি দিয়েছেন প্রেমিকাকে, সেই চুড়ির কথা মনে করে প্রেমিকা আপনাকে মাত্রই মেসেজ দিয়েছে, চলুন ঝাঁপ না দিয়ে এখন আবার বাসায় ফিরে যাই

null

মন খারাপ করে বাসায় চলে আসলেন, অইদিকে আপনার পুচকে ছোট বোন আপনার প্রোফাইলে ঢুঁকে নিজের ছবি আপনার প্রোফাইল পিকচার করে রেখে দিয়েছে, অতঃপর ইনবক্সে-

null

ইনবক্স এর ধাক্কা সামলে নিউজ ফিডে আসলেন। বিরিয়ানীর প্রমোশন দেখে আগ্রহী হয়ে লাইক দিতে গেলেন, আর ঠিক তখনই-

null

আপনার মাথা ব্যথা বাড়াতে এবারে দেখুন কিভাবে খেতে হয় জামাইয়ের “কক” টিএসসিতে-

null

বন্ধুদের স্ট্যাটাসে লাইক দিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজে বাংলা আর ইংরেজি ভুলে যাবার কায়দা হয়ে গেল

null

পাঠক, কক কক করলেই কি মুরগী হয়? ঠিক ধরেছেন কখনই নয়।

null

এদিকে সিসিবি ব্লগার ও পুলিশ অফিসার মাশরুফ হোসেন উত্তরায় পুলিশ পেট্রোলিং করতে গিয়ে পেলেন ” পর্ন মিস্ত্রি”

null

এবারে আর পারছেন না, ওষুধ কি? ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করছে মুরাদ টাকলা পেইজ-

null

এদিকে ফেসবুক সহ, অফলাইন ও ব্লগে এসব টাকলামির জ্বালায় ব্লগার ও ফেসবুকারদের প্রান ওষ্ঠাগত। ব্লগার রায়হান রশীদ লেখেন –

অবশেষে বর্ণমালার প্রতিশোধ নিতেই যেন ‘মুরাদ টাকলা’ পেইজের জন্ম। স্রেফ হাস্যরসের বাইরেও এর পেছনে রয়েছে দুঃখের, হতাশার, বিমূঢ়তার ইতিহাস। একটু খুলে বলি। কম্পিউটারে এবং মোবাইল ফোনে যাতে প্রাণ খুলে বাংলায় লেখালিখি করা যায় তার জন্য গত দশ বছরে বহু টুল তৈরী হয়েছে। একটা বাদে বাকি সবগুলো টুলই বিনামূল্যের। দেশের তরুণ প্রোগ্রামাররা বাংলায় লিখবার অত্যন্ত সহজ সে সব ওপেন সোর্স টুল তৈরী করে অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছেন যাতে সবাই ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি অভ্র কিবোর্ড যা মেহেদী হাসান খান তৈরী করেছেন। এছাড়াও রয়েছে প্রভাত কিবোর্ড, ফোনেটিক, ইউনিজয় এরকম আরও রকমারী কিবোর্ড আর ইন্সটল করার মতো চমৎকার সব বর্ণমালার সফটওয়্যার। এই সব বাংলা কিবোর্ডগুলোর ব্যবহার এতোই সহজ যে এগুলোর কোনোটিই ভালভাবে আয়ত্ত করতে সপ্তাহখানেকের বেশী সময় লাগে না। এভাবে যখন থেকে কম্পিউটারে বাংলায় লিখে ভাব প্রকাশ সহজ হয়ে গেল তখন থেকেই যেন অনেকটা বিস্ফোরনের মতো করেই বাংলা ব্লগ আন্দোলন বেগবান হয়ে উঠলো, অল্প সময়ে গড়ে উঠলো অসংখ্য বাংলা ব্লগ, আর সেই সাথে অসংখ্য নতুন ব্লগার। যাহোক এ তো গেল ইতিহাসের কথা, কিছুটা প্রসঙ্গ থেকে সরে যাচ্ছিলাম, ফিরে আসি মূল কথায়। যা বলছিলাম, কাহিনী দুঃখের। বাংলায় লেখার এতো এতো সহজ উপায় থাকতেও কিছু মানুষ যেন পণ করেই বসেছিলেন তারা কোনোভাবেই বাংলা অক্ষরে বাংলা লিখবেন না। বিশুদ্ধ ইংরেজীতে কেউ যদি বাতচিত করতে চায় তাতে দোষের কিছু দেখি না, যে ভাষায় স্বচ্ছন্দ্য বোধ করবেন সে ভাষাতেই সবাই ভাব প্রকাশ করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। বিভ্রাট বেধে যায় যখন কেউ ইংরেজী হরফে বাংলা লেখার চেষ্টা করেন। বহুদিন এ ধরণের ইংরেজী হরফে লেখা বাংলা পড়তে পড়তে ভ্রুক্ুঞ্চন করেছি, দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি, প্রকৃত অর্থ ডিসাইফার করতে কিশোর পাশার মতো নিচের ঠোঁটে চিমটি কেটেছি, এমনকি মাথার চুলও ছিঁড়েছি। কেন ছিঁড়েছি, এবং আমার মতো বাকিরাও কেন ছিঁড়ে থাকতে পারেন তা উপলদ্ধি করতে হলে ‘মুরাদ টাকলা’ পেইজটিতে একবার ঢুঁ মেরে আসুন। সেই পাকিস্তান আমলে একসময় খাজা নাজীম উদ্দিন গংরা আমাদের উর্দু হরফে বাংলা লেখাতে চেয়েছিলেন, ফলাফল তাঁর এবং তাঁর জাত ভাইদের জন্য ভাল হয়নি। আজ বাংলা লেখা এতো সহজ হয়ে যাওয়ার পরও, পাঠকের সুবিধা অসুবিধার কথা বিবেচনা না করে, কেউ যদি এখনো শখ করে ইংরেজী হরফে বাংলায় লিখে চলেন তাহলে কি করতে ইচ্ছে করে বলুন?
একদিন বর্ণমালাও প্রতিশোধ নেয়। এবার বুঝুন মজা।

তাহলে কি বুঝলেন? এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বাংলা না লেখা রীতিমত অপরাধ। ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি কথাটি কখনই বলবেন না যদি না বাংলা লিখতে পারেন। আপনি সেই অধিকার হারিয়েছেন। সিনেমা ডাউনলোড করতে পারেন অথচ অভ্র বা বাংলা কি বোর্ড ডাউনলোড করতে পারেন না, লজ্জা থাকা উচিত কিছুটা হলেও।

লেখা বেলাইন হয়ে যাচ্ছে। চলুন লাইনে ফিরি। চলুন পরিচিত হই মেঘে ঢাকা চাঁদ এর সাথে-

null

সৌদি আরবে জব করা কনফিউজিং টাকলা

null

চলুন দেখি অনৈতিক টাকলা নিজের প্রেমিকা রেখে কিভাবে বন্ধুর প্রেমিকার সাথে দেখা করে বোর হয়েছে-

null

প্রেমিক টাকলা, লুল টাকলা, সেক্স নিয়ে ভাবা টাকলা অথবা প্রসংশায় মগ্ন টাকলারা কি করছে আসুন দেখে নেয়া যাক-

null

null

null

সিনেমা দেখে কেঁদে ফেলা টাকলা। কক-চোখ, ভুল বুঝবেন না।

null
বঙ্গানুবাদঃ কমন জেন্ডার মুভিটা দেখতে দেখতে অনেকক্ষণ কাঁদলাম। চোখ দিয়ে অনেক পানি পড়লো। হিজড়া সম্পর্কে ধারনাটা বদলে গেলো। নারী-পুরুষের মাঝে মানুষ আছে। আসুন আমরা সবাই তাদের সাথে ভালো আচরন করি। অল ফ্রেন্ডস, কমন জেন্ডার মুভিটা সবাই দেখবে।

হবে তবে বন্ধু? এবারে চলুন লাইক দিয়ে আসি-

null

লাইক নিয়ে দলাদলির কথা শুনেছেন? দলাদলি করার কি কোন প্রয়োজন আছে? আসুন লাইক নেবার নিরাপদ ব্যবস্থা শিখি। একজনের চাচার বাসায় আগুন লেগেছে তাতে আমাদের কি হয়েছে? চলুন লাইন দিয়ে এবারে জামাতে সেলিব্রেটি হই

null

চলুন পরিচিত হই একজন আত্মবিশ্বাসী ও বিয়ে পাগলা টাকলার সাথে। করবেন রিহানাকে কেউ বিয়ে? বিয়ে করে সালোয়ার কামিজ পরাতে ভুলবেন না কখনই-

null

টুইট দেখে বিয়ের শখ উবে গেছে? নো প্রবলেম, চলুন পার্টি করে আসি-

null

বুকের জমানো ব্যথা
কান্নার নোনা জলে
ঢেউ ভাঙে চোখের নদীতে
অন্যর হাত ধরে চলে গেছ দূরে…।
প্রিয়ার খোঁজ করার দিন শেষ, নয় কি? হট ও সেক্সি গার্লস পিক করার টাইম, ওয়েট এই গানটা যেন কে গেয়েছিল? গায়ক আসিফ। চলুন দেখি আসিফ ভক্তদের কি খবর-

null

এবারে কি ভাবছেন? সকল মুরাদ টাকলার ফাঁসি চাই? চলুন দেখি ফাঁসির কি দূরাবস্থা হয়ে আছে-

null

আর চাইবেন কোনদিন কারো ফাঁসি? চলুন দেখে নেই বড় গণতন্ত্র তথা পলাতক জাতীয়তাবাদী নেতা তারেক জিয়াকে নিয়ে ছোট ছোট শিবির সেনারা কি আপডেট দিচ্ছে- গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে ইন্টারপোল। এই বানান দেখলে সকল অফিসার, এজেন্ট নীরবে তাদের ব্যাজ আর পিস্তল জমা দিয়ে ভাঙ্গারির দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে বসে যাবে-

null

অথবা সরাসরিই দেখুন ছাগু টাকলা। যারা দাবী করছে মুক্তিযুদ্ধ আসলে হয়নি, অথবা বঙ্গবন্ধু জাতির পচা সন্তান-

null

ওইদিকে বইমেলায় চলছে বই মেলা। লেখকের বই দেখেছেন, যোনি কেউ দেখেছন? এবারে তাও দেখতে পাবেন

null

নারী বিদ্বেষী টাকলা কি ভাবছে চলুন দেখে নেই-

null
বঙ্গানুবাদ :::
নারীরা যত জাগ্রত হবে ততই নির্যাতিত হবে কারন যারা সভ্যতার অভিভাবক ছিলো তারা এখন অসভ্যতার অভিভাবক হয়ে পড়ছে, তাই।

মাথা ভোঁ ভোঁ করছে, চলুন একটি ধীর লয়ের গান শুনি- পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিনে

null

অথবা হেমলক বিষ এক পেয়ালা-

null
বঙ্গানুবাদ :
নিঝুম সন্ধ্যায়, পান্থ পাখিরা, বুঝিবা পথ ভুলে যায়।
অসাম গান

কেউ যখন থাকবে না তখন কি আপনি থেমে থাকবেন? পথ চলা বন্ধ করে দেবেন? এত খেয়ালী আর ইমোশনাল হলে কি জীবন চলবে বলুন? চলুন আমরা একলা পথ চলতে শিখি। জীবনে স্বাবলম্বী হবার দরকার আছে-

null

বাঙলার দামাল ছেলেদের কি আটকে রাখা যায়? ধন ধান্যে পুস্পে ভরা এই বসুন্ধরায় তো তাদেরই জয়গান রচনা করা হয়েছে শতাব্দী ধরে, নয় কি?

null

গানের এই অবস্থা দেখে কোন মিউজিশিয়ান কি চুপ করে বসে থাকতে পারেন বলুন? কখনই নয়, প্রতিবাদের ভাষা সরব, মুরাদ টাকলগুলো যাক নিপাত, বেসবাবা সুমন জানালেন সমর্থন-

null

জন্ম নিয়েছে কিছু বিকৃত রুচির মানুষ, মুরাদ টাকলা পেজের একটি গৌণ উদ্দেশ্য এদেরকে এক্সপোজ করে সবার সামনে তুলে ধরা, এবং এই ধরনের কুরুচিকর বক্তব্য থেকে অনলাইন মুক্ত রাখা। যেখানেই এদেরকে পাবেন তখনই লাথি মারুন।

null

লাথি নাম্বার দুই, পারভার্ট প্রজন্ম চিনে রাখুন-

null

ধর্মের অপব্যবহার রোধ এবং মানুষকে প্রতারিত হওয়া থেকে বিরত রাখতেও মুরাদ টাকলা পেজ সচেতন। এই যেমন একজন ঠগ বাটপার মানুষকে ছেলে হবার নিশ্চয়তা দিয়ে বসে আছে-

null

সবশেষে একটি রেপিং কাউন্টার। যে দেশে এমন কাউন্টার আছে সেই দেশে ভাষা ধর্ষন তথা ধর্ষন কিভাবে বন্ধ হবে আপনিই বলুন-

null

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ- সকল স্ক্রিনশট মুরাদ টাকলা পেইজ থেকে নেয়া হয়েছে। ফেসবুকে মুরাদ টাকলা সহ, টুইটারেও মুরাদ টাকলাকে আপনি ফলো করতে পারবেন। নিঃসন্দেহে একদল মেধাবী ছেলে-মেয়েরা এই পেজের পিছনে কাজ করে যাচ্ছে। ভাষার অপব্যবহার রোধ করতে এই পেজের ভূমিকা জোরাল।

( পর্ব চলবে)

পুনশ্চ- আসুন ভাষার প্রতি সম্মান দেখিয়ে মুরাদ টাকলাদের আমাদের জীবনে স্থান দেওয়া থেকে বিরত থাকি। কোন মুরাদ টাকলীয় প্রেমের প্রস্তাব পেলে ডিফেন্ড করুন। মুখের উপর বলে দিন- যারা সঠিক ভাবে বাংলা লিখতে পারে না তাদের ছায়া আমরা মাড়াতে চাই না।

মিম ছেলেদের জন্য-

null

মিম মেয়েদের জন্য-

null

মনে রাখবেন, ছেলে/ মেয়ের শারীরিক সৌন্দর্য থাকলেই মুরাদ টাকলাগিরি ঢাকা যায় না।

১৬,০৬৪ বার দেখা হয়েছে

৬৪ টি মন্তব্য : “মুরাদ টাকলা- ইউনিক বিনোদন , ইউনিক ব্র্যান্ড ( পর্ব-০২)”

  1. :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) =)) =)) =)) =)) =))

    ভাই এক একটা স্ক্রীন শট পড়ি আর হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাই । কিভাবে পসিবল ।

    রেপিং কাউন্টার আর পার্ভার্ট স্ক্রীন শট টা দেখে টাশকি খেয়ে গেলাম। আসলেই দেশে পারভার্ট দের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে । 🙁

    পোষ্টের জন্য :boss: :boss: :boss:

    জবাব দিন
  2. শাহরিয়ার (০৬-১২)

    প্রথম এবং আরেকটা ক্লাসিক পোস্ট। :boss: :boss:

    আপনারে মুরাদ টাকলারা মারতে আসবে। =))


    • জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •

    জবাব দিন
  3. সামিউল(২০০৪-১০)

    😀 =)) ::salute:: :gulli2:

    গোপন খবরে জানলাম, ফেবুর সব মুরাদ টাকলারা নাকি হামীম ভাইয়ের ফাঁসি চেয়ে বাংলা একাডেমি ঘেরাও এবং আমরণ অনশন কর্মসূচী হাতে নিচ্ছে...

    একটু সাবধানে থাকবেন।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    লেখা পরে পড়মু।
    কমেন্ট্গুলা পৈড়াই হাসি আসতেছে।
    বৌ বাসায় ফেরত আসছে।
    শরীর সুস্থ হয় নাই এখনো।
    তাই বেশি হাসি ঠিক হবে না।
    আগে এক গাল দিয়া হাসতে পারতাম।
    এখন মোটা আর গোল হয়ে যাওয়ায় আর এক গাল দিয়া হাসতে পারি না, পুরা মুখ ক্যালাইয়া যায়।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. চলমান এবং বাস্তব ঘটনা নিয়ে কেউ যে এই রকম দুর্দান্ত লেখা লিখতে পারে, এটা না পড়লে অতৃপ্তি থেকে যেত। এই লেখার প্রতিটা বাক্য পড়ে হাসি থামিয়ে রাখা মুশকিল :)) । দুর্দান্ত।
    :hatsoff:

    জবাব দিন
  6. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমি এতদিন মনে করতাম এটা বোধহয় কোন মানুষের নামে তৈরি পেজ... 🙁
    শুদ্ধ বাংলায় লেখা-লেখির জন্য এই হাস্যরসপূর্ণ যুদ্ধ চলুক... :thumbup:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  7. ইমরানুল হক

    এই বিনোদন অমোঘ। =)) মুঠোফোনের চুড়ি বিষয়ক চিরকুটটা ইউনিক ছিল। :)) পর্ব ৩ এর অপেক্ষায় থাকলাম। :boss:


    বিশ্ব মেতেছে আজ 'আগুন-ঝরা-ফাগুন'-এর উৎসবে। রক্তস্নানে তুষ্ট হৃদয়। প্রতিটি নিঃশ্বাসে শকুনের আনাগোনা অনবরত।

    জবাব দিন
  8. আপনার সাথে আমি একমত নই।দেশে এখনো বেশির ভাগ ইন্টেরনেট ব্যাবহারকারী মোবাইল ইউজার।অনেক ফোনেই বাংলা ফন্ট থাকেনা।তাই তারা বাধ্য হয়েই বাংলিশ লিখে।কাজেই যারা মোবাইল দিয়ে শুদ্ধভাবে বাংলিশ লিখে তাদেরটা আমি দোষের কিছু দেখিনা।তবে কম্পিউটার দিয়া যারা বাংলিশ লিখে তাদের জুতার বারি।

    জবাব দিন
  9. তাহমিনা শবনম (৮৪-৯০)

    লেখা অতীব সুন্দর হইসে।

    পইড়া হাসতেছিলাম।পুত্র জিগ্যেস করল,-হাসো কেন মা?আমি পড়ে দেখি?

    দুইজন মিল্যা পইড়া শেষ করলাম।

    ফলাফলঃপুত্রের বাপের বকা খাইলাম দুইজনে।

    শিক্ষাঃহাসি গিল্যা ফেলার অভ্যাস গৃহশান্তির নিয়ামক।


    আমি চোখ মেললুম আকাশে
    জ্বলে উঠলো আলো পূবে পশ্চিমে

    জবাব দিন
  10. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    আজকে গিয়ে পুরোটা পড়লাম! কমেন্ট সহকারে। মুঠোফোনে কমেন্ট দেখা যায় না। খালি পেটে হাসা অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটা ব্যাপার! বিলাতী কলিগদের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি এড়াতে পারলাম অবশেষে! =)) =))


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।