কলেজ থেকে বের হয়ে আর্মি কোচিং ছাড়া কিছু করিনাই, একমাত্র ইচ্ছা আর্মিতে যাওয়া। বাবা মা এর মতো আমারও ইচ্ছা আর্মিতে যাওয়া।
কিন্তু আইএসেসবি তে লাল কার্ড পাওয়ার পর দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেল, কি করবো বুঝতেসিনা, কোথায় ভর্তি হবো জানিনা। ভাইয়াদের কাছ থেকে শুনলাম জাপানে এশিয়ান প্যাসিফিক ভার্সিটীতে অনেক ভাইয়া আছে, ওখানে ট্রাই করা শুরু করলাম। কিছু ভাইয়া বললো এটার আশায় বসে থাকলে সমস্যা হবে ঢাবির জন্য ট্রাই করো আমার তখন আর পড়ালেখায় মন নাই। ডি ইউনিটে পরীক্ষা দিলাম কিছুই পারলাম না। বি ইউনিটে পরীক্ষা দিতে গেলাম না। সারাদিন ফার্মগেটে বসে থাকতাম। একদিন ফার্মগেটে বসে ছিলাম একজন পরিচিত ভাইয়া বললো ইউকে তে যাবার জন্য। আমি পাত্তা দিলাম না তেমন, বাসায় এসে আম্মাকে বলতে আম্মা রাজি। ২/৩ দিনের মাঝে একজন কন্সাল্টেন্ট এর সাথে দেখা করতে গেলাম। ২০/২৫ দিনের মাঝে মেডিকেল দিলাম টিউসন ফী এর টাকা দিলাম মানে একদম রেডি ইউকে তে যাবার জন্য। কিন্তু স্পন্সরতো নাই। কি করা যায় স্পন্সর কিনলাম। ভিসার জন্য দাড়ালাম, এবং রিফিউজড হলাম। কারণ স্পন্সর পূর্বে আরো ৪ জনকে স্পন্সর করেছে। এর মাঝে আমার সাথে আমাদের ব্যাচ এর অনেকে এসে একসাথে ফাইল জমা দিলো বাধন ভাইকে(আমাদের কন্সাল্টেন্ট) ভদ্রলোক আমাদের ঘুরাতে ঘুরাতে জীবন শেষ করে দিল। আমাকে আপিল করতে হলো। আমি, ফরহাদ(সিসিআর), তুষার(বিসিসি), সালেকীন(এসসিসি), ভিকি(এফসিসি) আমাদের ব্যাচ এর আরো কয়েকজন ছিল। সবাই একে একে রিফিউজড আমরা সারাদিন বারিধারায় বাধন ভাই এর অফিসে বসে থাকতাম। বাসায় সমস্যা কোথাও ভর্তি না হওয়ার জন্য সারাক্ষণ আব্বা আম্মা বকাবকি করতো। আত্মীয় স্বজনরা এক কথাই বার বার বলতো ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়ে এসেও কোথাও ভর্তি হতে পারলোনা। তারপর সালেকিন তার্কীর একটা স্কোলারশীপ পেয়ে গেলো তার কিছুদিন পর আমার ভিসা হলো। একে একে সবাই আশা ছেড়ে দিল, তারা বুঝে গেলো বাধন ভাই মিডেল ইস্টে লেবার পাঠানোর মতোই আমাদের ইউকে পাঠাবে। সবাই কোথাও না কোথাও ভর্তি হয়ে গেল। য়ামি চিন্তা করলাম পরেরবার ঢাবিতে পরীক্ষা দিব। কিন্তু এত টাকা নষ্ট হবে আর অনেক কথা চিন্তা করেই আমার আসতে হল ইউকে তে।(এর মাঝে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল আর্থিক, মানুষিক, শারিরীক ও। ওই ব্যাপার গুলো আর তুলতে চাইনা। আমি এই লেখাগুলোতে লন্ডণ এর বাংলাদেশীদের কথাই লেখবো)
লন্ডণে আমি আসি ৯ই নভেম্বার। গালফ এয়ার লাইন্স এ করে হিথরো এয়ারপোর্ট। এয়ারপোর্টে নেমে ইমিগ্রেশান এ আসলাম। আমাদের যাদের ব্রিটিশ পাসপোর্ট নাই তারা আলাদা লাইনে দাড়ালাম। আমার ডাক পড়লো, গেলাম এক শাদা মহিলার কাছে। চিন্তা করলাম মহিলা মানুষ মন নরম থাকবে। পাসপোর্ট চাইলো দিলাম, তারপর কলেজের কাগজ পত্র দেখালাম, ভাবলাম সমস্যা আর কিছু নাই। কিন্ত মহিলা বললো “তুমি তো আগে একবার রিফিউজ হয়েছো”, আমি বললাম, হ্যা। উনি তখন আমার আগের সাবমিশন করা ফাইল নেটে বা অন্য কোথাও থেকে দেখলো। তারপর বললো “তুমি প্রথমে এল এল বি কোর্সে ছিলা এখন হোটেল ম্যানেজমেন্ট এ কেন??” আমি যা সত্য তাই বললাম। বললাম যে “আমাকে বলা হয়েছে কলেজে আসার পর আমার সাবজেক্ট চেঞ্জ করে দেয়া হবে”। উনি বললো “না তুমি হোটেল ম্যানেজমেন্ট এ ভিসা পেয়েছ এখন আবার সাব্জেক্ট চেঞ্জ করবা ক্যান। তোমাকে ঢুকতে দেয়া হবেনা আমি এখনই ভিসা ক্যান্সেল করে দিচ্ছি নেক্সট ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরে যাও”। আমি ওনাকে বুঝালাম, “দেখেন আমি পড়তে আসছি, অনেক টাকা খরচ করেছি এখন ফেরত যাবার কথা বলবেননা”। উনি বললো “না আমি এখন ভিতরে যাবো, আমার সিনিয়র এর সাথে কথা বলে তোমাকে জানাবো।“ ১৫/২০ মিনিট বসে আছি, কিন্তু কেউ আসেনা। ৩০/৩৫ মিনিট পরে উনি আসল,
বললো “যদি ল পড়তে চাও তাহলে তোমাকে ঢুকতে দেয়া হবেনা কারণ তুমি ভিসা এনেছ হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর জন্য”। আমি বললাম আচ্ছা আমি ল পড়বোনা(তখন আমি অনেক কিছু ভাবার চেষ্টা করলাম কোথাও ভর্তি হলাম না সবখানে পরীক্ষা শেষ, এত টাকা, আত্মীয় স্বজন আরো আনেক কিছু)। উনি বললো “ ওয়েট করো দেখি কি বলে ভেতর থেকে”। আরো ২০/২৫ মিনিট, উনি আসলো এবং জানালো “তোমাকে সুজোগ দেয়া হলো, কিন্তু আমরা তোমার উপর নজর রাখবো”
আমি সম্মতি দিয়ে ধন্যবাদ বলে চলে আসলাম।
ব্যাগ নিতে গিয়ে দেখি শুধু আমার ব্যাগ পড়ে আছে আর সবাই চলে গেছে। আবার চিন্তা হলো ৪ কার্টুন সিগেরেট আছে সাথে সমস্যা হবেনা তো ??
কিন্তু না কেউ চেক করলোনা ভালোভাবেই বের হলাম।
এখন আমাদের কলেজের রাজিব ভাইকে ফোন দিতে হবে, আমি ভাইয়ার ওখানে গিয়ে উঠবো। ভাইয়াকে ফোন দিব কিন্তু আমার কাছে কোনো কয়েন নাই।
কি করি, একটা দোকানে গিয়ে বললাম সবচেয়ে কম দামি কিছু কিনতে চাই। সে বললো “এক পাউন্ডের তালা কেনার জন্য” গিয়ে দেখি এক পাউন্ডের কিছু নাই। বললাম ভাই আমারতো কয়েন লাগবে তার জন্য আসছি। ভদ্রলোক বললো, সে পুরা ১০ পাউন্ড এর কয়েন দিতে পারবেনা একটা ৫ পাউন্ডের নোট বাকি ৫টা কয়েন দিবে। আমি বললাম, “তাই হবে দ্যান।“
তারপর ভাইকে ফোন দিলাম, ভাই আমিতো আসছি।
ভাই বললো, দাড়া আমি দেখি কাজ থেকে আসতে পারি কিনা। আমি তারপর ১ পাউন্ড দিয়ে ১০ মিনিট নেট ব্রাউজ করলাম। আহসান ভাইকে অনলাইনে পাবার পর বললাম বাসায় জানানোর জন্য।
আবার রাজীব ভাইকে ফোন দিলাম। ফোন ভয়েস মেইল এ ঢুকে গেলো।
আমি অপেক্ষা করতে করতে কফি আর বিস্কুট খেলাম। বাইরে গিয়ে সিগেরেট খেতে গিয়ে বুঝলাম ঠান্ডা কাকে বলে। আমি যে ড্রেস পড়ে টি এস সি যাই সেটা পড়েই লন্ডণে আসছি এমনকি জুতা কিংবা কেডস ও না। যাস্ট সেন্ডেল পড়ে।
আমার কয়েন সব শেষ হয়ে গেলো। তারপর মানুষ এর কাছে মিস কল দিব বলে মোবাইল চাইলাম। অনেকবার ভাইয়া কে ফোন দিলাম। ভাইয়া বললো কি করি বলতো আমারেতো আসতে দিতেসেনা।
আমি বললাম “ভাই আপনার কাজ শেষ কখন??”
ভাই বললো, ১টা।
ঘড়িতে তখন সাড়ে ১০টার মতো। আমি বললাম “ভাই আমি এয়ারপোর্টে আছি আপনি কাজ শেষ করে আসেন”। ভাই বলে “আরে নাহ এতক্ষণ কি কইরা সম্ভব?? দাড়া আমাদের কলেজের সাইফুল আসে আমাদের ব্যাচ এর ওরে বলি ওর আজকে কাজ নাই। তুই একটা ফোন ম্যানেজ কর যেখানে আমি কল করতে পারবো”। আমি এক মেয়ের কাছে খুইলা বললাম কাহিনী। সে আমারে তার মোবাইল দিয়া বললো কল দাও মিস কল দিতে হবেনা আমি বললাম, ঠিক আছে । একটু পর আমি ফোন দিলাম ভাই বললো সাইফুল ভাইকে সে এই নাম্বার দিয়ে দিবে সাইফুল ভাই এসে যোগাযোগ করবে। সাইফুল ভাই আসলো এসে আমাকে নিয়ে গেলো। তারপর একটা টিউব ইস্টেশণে এসে রাজিব ভাইকে পেলাম উনি আমাকে নিয়ে ৭৫,জেটল্যান্ড স্ট্রীট এ নিয়ে আসলেন।
(চলবে…।) 😕
নাজমুল চালায়ে যা লেখাটা। কেন যেন মনে হচ্ছিল পুরো ঘটনাগুলো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
🙂
ইনশাল্লাহ চালায়া যাব
চালায়ে যা নাজমুল । নিজের কথা মনে পরতেছে ।
ইনশাল্লাহ 🙂
খুব কষ্ট লাগলো। এইচ এস সি এর রেজাল্ট আশানুরুপ ভালো না হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষাগুলোর আগে মোটামুটি ভয়াবহ জেদ চেপে গিয়েছিলো ভালো কোথাও ভর্তি হতে পারার জন্যে। এইজন্যে ভর্তি হতে আলহামদুলিল্লাহ সমস্যা হয়নি। কিন্তু এই হতাশার ব্যাপারটা কিছুটা অনুভব করেছিলাম ফাইনালের পরে যখন বেশ কয়েক মাস বেকার ছিলাম তখন। তারপরেও তোমার এই হতাশার অনুভুতির সাথে সেটার তুলনা চলে না। ভালো ভাবে লেখা পড়া করো। আর মোটামুটি সময় করে এই সিরিজ চালায়ে যাও। তোমার কলমে দেখি যুক্তরাজ্য কেমন দেখায়।
জ্বী ভাইয়া লিখে দেখি কেমন দেখায় 🙂
কিমুন আসোস? তোর লাইগ্যা কিছু ফ্রী ভাউচার রাক্সিলাম, টাইম কইরা লইয়া জাইস, আমি কামলা লইয়া বিয়াপক ব্যাস্ত।
লিখা ভালা হইসে, 9th bergholt avenue নামে আমি ও একটা দিব কিনা ভাবছি।
ভাইরে দেখি কিভাবে যোগাযোগ করা যায় ভাউচার তো নিতে হবে এটলিস্ট 😀
লিখে ফেলেন 😀
ভাই, কিমুন আছেন??
আপ্নের কাহিনী পইড়্যা আমার নিজের কথা মনে পইড়্যা গেল। আমারে মা'য়ে দেশ ছাইড়্যা বিদেশের দিকে তাকাইতে নিষেধ কইর্যা দিসিলো এক্কেরে ( যখন আমার ভর্তি রেডি সুইডেনে...) তারপরে মেলা কাউয়্যা কেচাল কইর্যা জিবন্টাই চেঞ্জ হইয়্যা গেল। ( ঢা। বি তে ১৮০ তম হইয়্যা অইহানে না পড়াটা......... ইত্যাদি) আর পরের কাহিনী তো আপ্নে জানেন (নাকি ভুলি গেসেন)।
নেক্সট এপিসোড কবে, তাড়াতাড়ি নামান।
ইংল্যান্ডের ঠান্ডা কেমুন? জানবার মঞ্চায়।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
তোমার নিজের গল্পের নেক্সট এপিসোড কবে?? x-( x-(
কিবরিয়ার মত একটা ডজার ওয়ার এ্যান্ড পিস পইড়া শেষ করছে তোর বিশ্বাস হয় ?
আমার মনে আসে তুমি আমারে বলসিলা 🙂
কিন্তু এখন কই ভর্তি হইসো সেটা বলনাই বা ভুলে গেসি 🙁
মন খারাপ হয়ে গেল নাজমুল। এত কষ্ট করে গেছ, এখন ইনশাল্লাহ ভালো করে লেখাপড়া করবা।
চালায়ে যাও সিরিজ, তোমার অনুভূতিগুলো বুঝার চেষ্টা করি।
দোয়া করবেন
খুব কষ্ট লাগলো নাজমুল।এতো অল্প বয়ষে অনেক কঠিন পথ পারি দিয়েছ।
খুব সাহসী ছেলে তুমি।
দোয়া করবেন ভাবি
মান রাখিস বাসার সবার। মন দিয়ে পড়া লেখা করিস।
ঐ
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
রিবিন ভাই আপনার জন্য কিন্তু ওয়েট করতেসি আপনি আসলে বিলিভ ইট ওর নট এর মিউজিয়ামে যাব মনে আছে ??
ভালো হচ্ছে, চালায় যা।
পারলে ছবিসহ দিস...
হুম্ম ভালো ছবির কালেকসন আছে দিয়ে দিব
চালিয়ে যা!!
জ্বী ভাই
ওনেক দিন আপনার সাথে কথা বলা হয়না
লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিস।
তাড়াতাড়ি দিব সমস্যা নাই
লেগে থাক, সফলতা আসবেই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
দোয়া করবেন ভাইয়া 🙂
:clap:
মামা, কষ্টের মাত্র শুরু, সামনে লম্বা পথ পরে রইছে।
'miles to go before we sleep'......লেখা সুন্দর হইছে। চালাইয়া যাও। :clap:
তুমি একটা দাও লেখা।
তোমার উনি কে নিয়া 😀
খুব সহজে বোধ হয় আমরা কষ্টকর দিক গুলো বলতে পারি । তোর লেখা পড়ে যেটা ভালো লাগলো তা হল সস্তা আবেগ অনেক কম । B-)
আর বাংলা ভাষায় তুই কি রেনেসা আনতে চাস নাকি ? না চাইলে বানান গুলা চেক কর । 😛
😕
ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে 😉
কিরে িি, লেখা খুব ভালো লিখছোস।শত স্ট্রাগল করলেও ক্যাডেটদের একটা গুন আছে তারা হারেনা কখনো-চিপাচাপা দিয়া কেমনে কেমনে ঠিকই সারভাইভ কইরা যায়... :boss: কিপ ফাইটিং!
এই কারণেই তো ঠিক আসি 😀
মহাপুরুষদের কাহিনীর শুরু এভাবেই হয়। সাবাস বেটা ব্যঘ্র শাবক। চালায়ে যা। :boss: :boss: :boss:
😕
কি বলেন ভাই তাহলে চালাইয়া যাই 😀
সাবাশ ব্যাটা ... 😀
লেখা ভাল হইতেছে ... চলুক ... উরাধুরা
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ইনশাল্লাহ ভাই 🙂
লেখা ভালো হইছে.....দেশের জন্য,....বাসার জন্য খারাপ লাগতে পারে....তখন ওই কষ্ট গুলার কথা মনে করিস....দেখবি সব ঠিক হইয়া যাইব.....
ইনশাল্লাহ দোস্ত দোয়া করিস 🙂
ভাল্লাগলো। ক্যাডেট পারেনা এমন কোনো কাজ নাই। সুন্দর একটা সমাপ্তির প্রত্যাশায় রইলাম।
দেখি ভাইয়া দিতে পারি কিনা চেষ্টা করবো 🙂
ভালো হৈতেসে ... চালায় যাও।
চলবে ভাইয়া 🙂
কাহিনি পড়ে মন খারাপ হলো, আশা কষ্টের ফলাফল একদিন পাবি, তবে লেগে থাকতে হবে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অফটপিকঃ কলেজে থাকতে অনেককেই দেখতাম আর্মিতে যাবে বলে পড়াশোনায় তেমন আগ্রহ দেখাতো না, বের হয়ে অন্য কোথাও ভর্তি হবার জন্য প্রস্তুতিও নেয় না, কোন ভাবে আর্মি মিস হয়ে গেলে এদেরকে বেশ বিপদে পড়ে যেতে হয়। ব্লগে এখন অনেক প্রেজেন্ট ক্যাডেটকেই দেখা যায়। এ ব্যাপারে আমরা তাদেরকে সচেতন করতে পারি।
বেশ কিছুদিন আগে ব্লগে সদ্য কলেজ থেকে বের হওয়া দের জন্য ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং এর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সেটা মনে হয় আবার শুরু করা যাতে পারে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আর্মি বা নন-আর্মি,পড়াশোনাটা দুই জায়গাতেই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আমি নিজে ভুক্তভোগী।আশা করি প্রেজেন্ট ক্যাডেটরা এ ব্যাপারে সচেতন থাকবে।
আমরা ব্লগ থেকে যারা যেই খানে আছি সেই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবো আশা করি তাহলে যারা কলেজ থেকে বের হবে তাদের সমস্যা হবেনা 🙂
৫ তারা না দাগায়া পারলাম না রে...ক্যামন জানি মনে হইলো স চক্ষের সামনে দেখতাছি...চালায়া যা...জটিল হইতাছে :thumbup:
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
আমরা যারা দেশে থাকি তাদের কাছে বিদেশে যাওয়াটা একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার।যারা বিদেশে যায় তাদের কাছে প্রত্যাশাও থাকে অনেক।কিন্তু আমরা ভুলে যাই বিদেশে যাওয়ার পিছনে সবারই একটা গল্প থাকে এবং দু একটা ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশই কষ্টের।
কষ্ট করে প্রিয় দেশ থেকে গিয়েছ, তার প্রতিদান একদিন তুমি পাবেই, নাজমুল। :boss:
ও, একটা কথা। একটু ছোট ছোট প্যারায় লিখলে পড়তে একটু সুবিধা হয়। 😀
পরের পর্ব গুলোতে দিচ্ছি ভাইয়া 🙂
:clap: পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই (সম্পাদিত)
দিয়ে দিলাম এখন দেখি কখন ব্লগে আসে 🙂
জীবন থেকে নেওয়া --- শেষটা সুন্দর দেখতে চাচ্ছি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
দোয়া করবেন আপু 🙂
এক্কেবারে সাবলীল লেখা। যেন সবকিছু চোখের সামনেই ঘটছে। দোয়া রইল তোর জন্য। জীবনের টের্গেট ঠিক রাখিস।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
য়ামার জন্য দোয়া করবেন ভাইয়া 🙂
জয়টা তোমারই হোক।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ইনশাল্লাহ 🙂
তুই ব্যাটা আত্নজীবনী লেখা শুরু করলি যে, পথ অনেকটাই বাকি আছে! 🙂
ব্যাপার না, কষ্ট কখনো বিফলে যায় না।
ধন্যবাদ ভাইয়া 😀
একটা শাদা মহিলার কাছে ধোকা খাইয়া আবার আরেকটা মহিলার কাছে সব খুলে বলা(এইটা শাদা ছিল কিনা বুঝলাম না) রিস্কি গেম।এই রকম গেম ক্যাডেটরাই খেলতে পারে।সাবাস :boss:
তবে এইটার মন ত নরমই মনে হইল।অনেক মন খারাপ হল তোর কাহিনী শুনে।চালিয়ে যা,পারবি আমার বিশ্বাস। বিডি'তে বসেই ত আমার অনেক ড্রামাটিক কাহিনী আছে।ইনশাল্লাহ ইউ শ্যাল ওভারকাম। :thumbup: