১।
জানালার ধারে বসে আঁধফালি চাঁদটা দেখছি খানিকক্ষণ। রুমের সাথে সাথে রাস্তার বাতিগুলোও নিভে গেছে; সম্ভবত বৈদ্যুতিক গোলযোগ; একটু অবাক হবার মতোই বৈকি। উত্তর আমেরিকার এসব দেশগুলোতে লোডশেডিং প্রায় নেই বললেই চলে, অন্তত আমার ক্ষুদ্র প্রবাস জীবনে এমনটি এই প্রথম। ভালোই লাগছে, ঘুঁটঘুটে অন্ধকারের মাঝে বসে মেঘের আড়ালে চাঁদের লুকোচুরি খেলা; এভাবে যে অনেকটা কাল চাঁদের নরম আলোয় গা ভেঁজ়েনি। ফুড়ুৎ করেই মনটা আবার উড়াল দেয় পেছন পানে। ক্লাশ ইলেভেনে পড়ি। মামার বিয়েতে নানাবাড়িতে এক দঙ্গল খালাতো-মামাতো-পাড়াতো ভাইবোন জড়ো হয়েছিলাম। নানাবাড়ি থেকে বিশ মিনিটের পথ পেরুলেই পদ্মার এক উত্তাল শাখার দেখা মেলে। এক সন্ধ্যায় ঠিক হলো নদীর পাড়ে যাবো। হই হই রব তুলে দুজোড়া ভ্যানে চেপে প্রায় একগাদা লোকজন পাড়ি জমালাম। মাঝ রাস্তায় চায়ের দোকান থেকে জম্পেশ মালাই-চা আর গরম পেঁয়াজু। চলতি পথে দিদিদের গানের গলায় যেন জোয়ার নামলো। ঝিকিমিকি তারা আর ঝিঁঝিঁ পোকার গুনগুনানির সাথে মিলে সে অপূর্ব লহরী; না চাইলেও সময়টুকুর প্রেমে পড়ে যেতে হয়। তবে ভালো লাগার পর্ব যে আরেকটু বাকি ছিল তা বুঝিনি। নদীর পাড়ে যখন পৌছাই তখন প্রায় রাত আটটা বাজে। সবাই তীরে হেঁটে ফিরছে। আমি চুপ করে একটা ভ্যানে পিঠ চেপে আকাশের দিকে মুখ করে শুয়ে ছিলাম। পাড়ে ভেঙ্গে পড়া ঢেউয়ের আওয়াজ, আর চারপাশ ভাসিয়ে চলা চাঁদের আলোয় কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেলাম। ঘুরে ফিরে একটা গান মনে পড়ছিল, “চাঁদনী পসর রাতে যেন আমার মরণ হয়।”
আজকাল আর ওভাবে হারাবার সময় হয় না। সময়টা বদলে গেছে, হয়তোবা মানুষটাও।
২।
আজকে মায়ের সাথে কথা হচ্ছিল। গতকাল বৌদিমণির সাথে দেখা হয়েছে তাঁর। বাবা-মা ডাকতেন বৌদি, আর আমি তাই নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে কাটছাট করে সাজিয়েছিলাম বৌদিমণি। খুব ছোট্টটি তখন, বয়স দুই কিংবা আড়াই হবে। পাঁচতলা দালানের মুখোমুখি ফ্ল্যাটে থাকতাম আমরা আর এক নব-বিবাহিত দম্পতি। কর্তা পুলিশে চাকরী করেন; দিনের একটা বড় অংশ তাই তাকে বাইরেই কাটাতে হতো। আর তাই পাশের ফ্লাটের পুঁচকে ছেলেটাকে আদর করে তার দিব্যি সময় কাটতো। বাবা-মা দুজনেই সরকারী চাকুরিজীবী হওয়ায় আমি খালাতো বোন আর এক দুঃসম্পর্কের খালার হাতেই শৈশবের বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছি। সকালে স্বামীকে খাইয়ে, ঘরের কাজকর্ম সেরে বৌদিমণি হাজির হতেন আমাদের বাসায়। গুটিগুটি পায়ে প্রায় দৌঁড়ে এসে আমি বৌদিমণির কোলে ঝাপিয়ে পড়তাম। আদরের প্রাচুর্যটা স্মৃতিতে ততটা টাটকা নেই, মুখচ্ছবিটাও কিঞ্চিত অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে। হবেই বা না কেন; আজ প্রায় ষোল-সতের বছর কোন দেখা নেই। বদলির চাকুরীতে সপরিবারে বৌদিরা ঢাকার বাইরে চলে গিয়েছিলেন। আমি ক্লাস টেনে থাকতে একবার নাকি বাসায় এসেছিলেন, দেখা হয়নি। আজ অনেকদিন পর আবার পুরানো ধুলো ঝেড়ে ফিরে এলেন বৌদিমণি। মা বললো তিনি খুব করে আমার কথা জিজ্ঞেস করছিলেন; কেমন আছি, কি করছি, কতটা বড় হয়েছি। আমার সেই ভয়ানক রাগ আর একগুয়েমিপনাও তিনি ভুলে যাননি। দু’সন্তানের জননী হয়েও বহু পুরানো সেই এলেবেলে শিশুমুখটি তিনি ভুলে যাননি। বড়সড় কোন পুণ্য কখনো করেছি বলে তো মনে পড়ে না; জানি না এটা কোন অজ্ঞাত পুণ্যের প্রাপ্তি। যেখানেই থাকো বৌদিমণি, ভালো থেকো।
৩।
কৈশোরে (হয়তো আমি এখনো কিশোর) দারুন সব কল্পনার জাল বুনতাম। চিন্তার সুতোয় স্বপ্নঘুড়ি উঁড়িয়ে ঘুরে বেড়াতাম পৃথিবীর এগলি সেগলি। অ্যাডভেঞ্চারের নেশাটা রন্ধ্র কাঁপিয়ে তুললেও সময় এবং সুযোগ দুটো একসাথে জোড়া বাঁধেনি। মাঝে মধ্যে টম স্যয়ার পড়ে ভাবতাম একদিন আমিও হারাবো; শুধু মাত্র পৃথিবীটা দেখবার আশায় পাড়ী জমাবো অনেকটা দূর। সেভাবে হয়তো কিছুই হতো না; তবে ছুটকো চেষ্টা থাকতো। গ্রামের বাড়িতে গেলেই একা কিংবা কোন এক খালাতো ভাই বোনকে সাথে নিয়ে ছুট দিতাম। বেশ ক’বার হারিয়ে গিয়েছি; শেষতক নানার নাম বলে লোকজনকে জিজ্ঞেস করতেই তারা পথ দেখিয়ে দিতো। ঢাকায় এমন সুযোগ মিলতো না, তবুও মাঝে মাঝে উদ্দেশ্যহীন হাঁটবার স্বভাবটা অটুট ছিলো। আমি, ইমরান আর কখনো সেলিম- এই ক’জন মিলে একবার রামপুরা থেকে উট দেখে বাড়ী ফিরবার পথে নতুন রাস্তা আবিষ্কারের নেশায় অলিগলিতে ঢুকতে শুরু করলাম। দু’বার গরুর দাবড় খেলাম। বেচারা সেলিম তো নর্দমায় পড়ে নাকাল হলো। তবুও দমে যাইনি। জানি এটা নিতান্তই হাস্যকর। কিন্তু ইট পাথরের রাজধানীতে প্রাইমারী পড়ুয়া এক দঙ্গল ছেলের জন্য মাঝে মাঝে ঐটুকুই অনেক পাওয়া ছিল। টরন্টোতে আসবার পর প্রথম প্রথম আমার তেমন কোন পরিচিতজন কিংবা বন্ধু ছিলো না। আর তাই সময় কাটাতে; ক্লাশ শেষে বাসায় আসবার সময় বাস ভাড়াটা পকেটস্থ করে হাঁটতে শুরু করতাম। এক এক দিন একেক রাস্তা ধরে আসতাম। মাঝে মাঝে হাঁটতে গিয়ে নিজেও টের পেতাম না কোথায় চলে গিয়েছি। একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে; বন্ধুরা আজকাল মশকরা করে ডাকে চলমান জিপিএস। আমি এখন যেখানে থাকি, এ জায়গাটার নাম মর্নিংসাইড। শহরের একপ্রান্তে ছোট্ট নিরিবিলি পরিবেশ। বাসার চারপাশে বেশ বড়সড় বনজঙ্গল। হাসবেন না যেন; এই বনে হরিণ, রেকুন, এমনকি নেকড়েও নাকি আছে। যদিও হরিণ আর রেকুনটাই কেবল চোখে পড়েছে। মাঝে মাঝে হানা দেই; সন্ধ্যার আলো আঁধারিতে বয়ে যাওয়া ছোট জলধারা আর লাল-সবুজ গাছগুলো যেন ভালো লাগা, ভালোবাসা বুলিয়ে দিয়ে যায় চোখে মুখে। খানিকটা উত্তরে গেলে অন্টারিও লেকের তীর। নামে লেক হলেও সাইজে ছোটখাটো সাগরের থেকে কোন অংশে কম নয়, শুধু ঢেউটাই যা একটু শ্লথ। লেকের পাড়ে বসে একরাতে পূর্ণিমা দেখবার ইচ্ছে আছে। দেখি কবে পূরণ হয়। আজকাল নিজের টুকিটাকি ইচ্ছেগুলোকে পরিণত দেখবার চেষ্টা করছি। বলা তো যায় না ফট করে যদি মরে যাই, তবে যাতে আক্ষেপ করতে না হয়।
৪।
কাল আমার এখানে নাকি ঈদ; আসলে ব্লগের পোষ্টগুলো আর ফেসবুকে ইতিউঁতি করে উঁকি দেওয়া স্ট্যাটাসগুলো বাদে আর কোন কিছুতেও ঈদের গন্ধ পাচ্ছি না। আয়নায় নিজেকে দেখা ছাড়া আর কোনভাবেই জ্যান্ত গরু-ছাগল চোখে পড়ছে না। কাল সকালে নামায পড়েই ছুটতে হবে ভার্সিটিতে; একটা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে; মড়ার উপর খাঁড়ার ঘাঁ- ল্যাবও আছে। বেশ ভালোই ব্যস্ত থাকবো দিনটুকু। কে যেন সেদিন বলছিল, যত বড় হবে ঈদ নাকি তত ছোট হয়ে যায়। কথাটা বোধহয় খুব একটা ভুল না। আগে কোরবানীর ঈদ আসলেই পাড়ার পুঁচকেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। কে কতগুলো গরু দেখতে পারে; কপালগুণে যদি দুয়েকটা উট চোখে পড়ে যায় তাহলে তো পোয়াবারো। ঈদের দিন সকালবেলা সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল মায়ের হাতের রান্না ভুনা খিচুড়ি আর গরুর মাংস। কালও খাবো; তবে এবারে বাবাই রেঁধেছেন; সাথে সহপাঁচক এই অধম। খুব একটা মন্দ হয়নি। তবে মায়ের হাতের সেই ছোঁয়াটা বোধহয় পাবো না।
৫।
হুটহাট মন খারাপ হওয়াটা আমার বাতিকে নেই। তবে মাঝে মাঝে কেমন যেন এক নীলচে ছায়া আমাকে জাপটে ধরে বসে থাকে। হতাশ নই, কিন্তু ভালো লাগার বোধটাও যেন অসাড়তার গন্ধ ছড়ায়। আজকাল তাই ছায়া ঢাকা পড়লে খুব চুপ করে বসে মৃদু শব্দে গান চালিয়ে দেই। আজো শুনছি।
ঈদের দিন এত আজেবাজে কথা বলা ঠিক না। ধুচ্ছাই, দিলাম সব ঝেড়ে ফেলে। এবেলা ঘুমুতে যাই, সকালে আবার দৌড়ুতে হবে। সবার জন্য চমৎকার একখানা ঈদ কামনা করছি। তবে খাওয়াটা একটু সামলে; নচেৎ পরে আবার দৌড়াদৌড়ি পড়ে যাবে।
ঈদ মোবারক
সাবধানে। হানা দিতে গিয়ে আবার নেকড়ের নাস্তা হয়ে যাইস না।
অনেক অনেক ভালবাসা, আর অনেক অনেক ক্যাডবেরী। আপাতত নিজে কিনে খেয়ে নিস, দেশে আসলে পরে দেখা যাবে।
নেকড়ে তো হারিকেন দিয়ে খুঁজেও পাই নাই। দেখি চান্স পাইলে হরিণ দিয়া নাস্তা করমু। ক্যাডবেরীর জন্য থ্যাঙ্কু। 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ঈদ মোবারক... লেখা জব্বর হইছে, কিন্তু মন খারাপ টাইপ হবার কারনে দুই মিনিট লং আপ হয়া থাক।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সেলামী চাইলাম দিলেন ফ্রন্টরোল; এখন আবার লং আপ--- বৌদির কাছে বিচার দিলুম কিন্তু। 😛 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এই গানটা আমার অসম্ভব প্রিয় 🙁
আমারো 🙂
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আয়নায় নিজেকে দেখা ছাড়া আর কোনভাবেই জ্যান্ত গরু-ছাগল চোখে পড়ছে না
=)) =)) =)) =))
অফ টপিক-আমাদের এইখানে কালকে ঈদ।লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল রকিব।প্রবাস জীবনে তোর নিঃসঙ্গতা অল্প হলেও বুঝতে পারছি।মন খারাপ করিস না,দেশে আসলে আমি,তোর হইলেও হইতে পারে ভাবী,তার ছুট বোন আর তুই একসাথে তিন প্রহরের বিল দেখতে যামুনে।
মাস্ফ্যুদা পরে আবার ভুলে যাবেন না যেন। 😛 😛
অফটপিকঃ কয়টা গরু কোরবানী দিচ্ছেন?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ঈদ মুবারক ভাইয়া। তবে তুমি একলা না। দেশের বাইরে আমরা যারা থাকি তাদের কমবেশী সবারই এক অবস্থা। নিজের দেশের সাথে আসলে কোনো কিছুরই কোনো তুলনা হয় না।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা ভাইয়া। :hug:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মন খারাপ করিস না রে বেটা 🙁
ধুর্ছাই.......তরে কি কমু...নিজের মনই তো ঠিক নাই 🙁
রেজুদা, এখনো মন খারাপ করে আছেন?? 😕 😕
সকাল বেলা আপনার ফোন কিন্তু আমার মন ভালো করে দিয়ে গেছে।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
চমৎকার লেখা রকিব ...
কিন্তু তুমি দক্ষিণামেরিকা কবে গেলা বলো তো? 😀
কিংকং ভাই,রকিবের চায়ের ব্যবসা পুরাটাই তো দক্ষিন আমেরিকাতে!
আসলে দ.আফ্রিকার খেলা নিয়ে ভাবতেছিলাম; ফট কইরা উত্তর দিকের দিশা হারিয়ে ফেলছিলাম। :bash: :bash:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
=))
ইসসস আমার যদি ওরকম একটা বন থাকত।
রাঙ্গামাটিতে বাসা নেন বস,পাহাড় জঙ্গল সব পাইবেন 🙂
চিটাগাং-এ নিলে আরো ভালো। পাহাড় জঙ্গল সমুদ্র তিনটাই পাওয়া যাবে। 🙂
আমাদের এইখানে চলে আসো, সবি একসাথে পেয়ে যাবা 🙂
গানটা দারুন লাগছে :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি গাই নাই... সত্যি কইলাম। 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অন্তহীন ছবিটাতে আমার সবচেয়ে প্রিয় গান "যাও পাখি বল "। অবশ্য ছবিটার সব কয়টা গানই সুন্দর। "আমার ভিনদেশী তারা" গানটা খুব মন খার মুহূর্তের গান!!
কোরবানী ঈদে এখন কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করে না, শুধু ঘুমাতে ইচ্ছা করে। 🙁
ঈদ মোবারক রকিব।
জন্যঃ খার
পড়ুনঃ খারাপ
ফাটাফাটি দুইখান বোরিং ক্লাশ কইরা আসলাম একটু আগে। এইবার ঘুম দিমু। আসেন ভার্চুয়াল কোলাকুলিটা সাইরা নেই :hug: :hug: ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:hug: :hug:
ঈদ মোবারক 😀 🙁
ঈদ মোবারক ভাইয়া। :hug:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
লেখা ভালো লেগেছে আর কিছু বলতে পারছি না। কারণ আমার প্রকৃতি কাঠখোট্টা স্বভাবের। নরম কতঘাগুলো বের হতে চায় না।
সালামী দেন। বেইলী রোড যামু।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
লেখাটা দারুন লাগলো ...... :clap: :clap: :clap:
আপনি মাঝখানে কই হারাইছিলেন? ভাতিজি কেমন আছে??
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ছোট্ট, কাছে থাকলে তোরে আদর কইরা দিতাম...মন খারাপ করছিস কেন, মা তো কয়েকদিন পর যাচ্ছেন ই...তখন তো তোর প্রতিদিন ই ঈদ...!!!
ঈদ মোবারক...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ঈদ মোবারক। আসলে আমার চেয়ে মায়ের মনই বেশি খারাপ। ফোনে গলা শুনেই বুঝে ফেলেছি। :(( :((
জুনাদা আমার সালামীটা কি মানি অর্ডার কইরা দিবেন?? 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বাপ মায়ের একমাত্র পোলা হবার অনেক সুবিধা। খালি কুরবানীর ঈদেই সব হিসাব ওলট পালট হয়ে যায়। কালকে সারা দিন যাবে গরুর ঠ্যাং নিয়া দৌড়াদৌড়ি করতে করতে। ভাবতেই মেজাজটা বিলা হয়ে যাইতেসে। :grr:
সেই হিসেবে আমার অন্তত এই একটা কারণে তোরে হিংসা হইতেসে 😛
মনে হয় বড় হয়ে গেসি। জাস্ট ফ্রেন্ড পরের কথা, ফ্রেন্ডদের কাছ থেকেই আজকে তেমন কোন এসএমএস পাইনাই। 🙁
মন খারাপ করিসনা রকিব। মন খারাপ করা মানে সময়ের অপচয়। সব আশা একসাথে পূর্ণ হয়না। হাতের কাছে যা আছে সেটা নিয়েই খুশি থাক। তুই তোর এলাকার যে বর্ণনা দিলি আমার ব্যাপক লোভ লাগতেসে। আমার আশেপাশে এমন থাকলে পড়াশুনা বাদ্দিয়া তো পুরা জাংগল বয় হয়ে যাইতাম। 🙂
আর লেখা ভাল হইসে সেইটা না বললে কি মন খ্রাপ করবি আবার ? :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমি একবার চিন্তা করার ট্রাই দিলাম, জিহাদ ভাই একটা পাকানো দড়ি নিয়া ছোট্ট সাইজের প্যান্ট সদৃশ বস্ত্র পরিধান করিয়া ইয়াআআআআআউউউ শব্দ করিয়া ঝুলিয়া ঝুলিয়া এগাছ সে গাছে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন 😮 😮 । মন্দ না ;;) ;;)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:khekz:
রকিব, তুমি মনে হয় বদর হাউসের? তোমার লেখা পড়ে মন টা খারাপ হয়ে গেল, অনেক অনেক সুন্দর লিখেছো ।।
জ্বি ভাইয়া আমি বদর হাউসের। আপনারা যেবার চলে গেলেন, সেবারই আমরা কলেজে ঢুকলাম। যদি ভুল না করে থাকি তবে আপনি হলেন সিডিএমপি আতিক ভাই। কেমন আছেন ভাইয়া??? 😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হম্ ঠিক বলেছো।ওই যে তুমি যেমন আছ কানাডা তে আমি ঠিক তেমন আছি, :(( তোমার ত তাও বাবা মা থাকেন 🙁 তুমি আসলেই খুব সুন্দর করে লিখেছ , পড়ে খুব খুব ভাল লাগল।।
ব্যাপোক ভালো হইছে লেখাটা্্্্্্্্ না, খুবই খারাপ হইছে। মন খারাপ করে দিছে খুব।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ঐ
:(( :(( :((
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এই পিচ্চি এখনই মন খারাপ করিস ক্যান এতো! সামনে মন খারাপ করার লাইগ্যা সারাজীবন পইরা আছে।
সুযোগ পাইলে চলে আসিস। বান্দরবানে আমার একটা বাঙ্কার আছে। একলগে মজা করুম
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাইয়া, সালামী দিলেন না তো!!! :grr: :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সালামী
দিলাম 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মন খারাপ হয়ে গেল লেখা পড়ে।
:boss: :boss:
আরে ধুরু !!! সব্বাই দেখি মন খারাপ করার কথা বলে। আচ্ছা পরের পোষ্টে মন ভালো করার ব্যবস্থা করবো।
আছিস কেমন?
ঈদ মোবারক।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ছোট্ট তোর লিখা পড়ে অনলাইন হইতেই হলো, 🙁
আমিতো ভুলেই গেছি আজকে ঈদ, নয়ত রাতেই ফোন পাইতি।
কিরে ভাইয়া মন খারাপ ক্যান? তুই একা থাকলে বলতাম চলে আয় আমাদের কাছে।
আমার বাসার পাশেইও কিন্তু বন জঙ্গল আর লেইক, যদিও সেই নামেই লেইক কিন্তু সাগরের'ই একটা অংশ। সামারে এলে তোরে নিয়ে বেড়াতে যাবো। শরের মধ্যেই মনে হবে জঙ্গলে আছিস।
মন খারাপ করিস না, আমিতো ভুলেই গেছি কখন দেশে ঈদ করেছি সবার সাথে।
ফোন দিস, কথা হবে। 🙂
দি আমার সালামি তো দিলা না। 😡 😡
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ঐ এত্ত বড় অপবাদ দিলি, :chup:
পুরাটাই একাই মাইরা দিলি? ;)) দাদারে কইয়া দিমু? ;;)
ফুন দিস নাই ক্যান? :duel:
ঈদে এই লেখাটা সবচেয়ে ভাল লাগল রকিব।
😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ওরে রকিব চমতকার লেখা মাইরি। তা ভিডিওটা কার করা, চন্দ্রবিন্দুর অফিসিয়াল? অফিসিয়াল হলে নামাবো (আনলিমিটেড নেট না থাকায় এই কিপটামি 😀 )
আবিরদা এটা অফিসিয়ালটা না, ইউটিউবে খুঁজে পাইনি। এটা অন্তহীন সিনেমাটা থেকে নেয়া।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ঘুমাস না ক্যালা ??
৩ টা বাজে :chup:
লেখা মোটামুটি ভাল হইছে।
মন খারাপ কইরা আর কি হবেরে ভাই, মরতে তো একদিন হইবোই
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু ভাইয়া।
ঠিক বলছেন। এই জন্য আর মন খারাপ করা বাদ দিছি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
একটু দেরীতে হলেও উপস্থিত! 🙂
খুব দারুণ লিখেছিস। :clap: :clap:
সবচেয়ে ভালো লাগলো তোর আত্মউপলব্ধি দেখে
এইসব পুরানো বস্তাপচা জিনিস উল্টাচ্ছেন ক্যান??? বুঝছি, সিসিবি একটু স্লো যাচ্ছে। 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এই অসাধারণ লেখাটা মিস হলো কেম্নে!!!! 🙁 🙁 🙁
ঠিক এই রকম লেখাই আমার পছন্দ। অসাধারণ........অসাধারণ :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
থ্যাঙ্কু ভাইয়া। আসলে এইসব হইলো টুথপেস্ট টাইপ পোষ্ট (কপিরাইটঃ তারকা ব্লগার তৌফিক ভাই); আপনার মতো যদি একখান গল্প লিখতে পারতাম। :dreamy: :dreamy:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..