অনেকদিন ধরে ব্লগ লেখা হয়না, কিছু ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করোতে চাচ্ছিলাম।
১/ বিডিয়ার বিদ্রোহের পর, ক্যাডেট কলেজ ব্লগের উদ্যোগে আমরা সবাই রাইফেলস স্কোয়ারের সামনে একত্রিত হয়েছিলাম শহীদদের জন্য। দেশের বর্তমান বড় একটা ঝামেলা হল টিপাই-মুখ বাধ।
আমরা কি এ ব্যাপারে কিছু করতে পারিনা!!! সবাইকে একসাথে নিয়ে কি কোথাও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করোতে পারিনা!!
যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এত ব্লগ, এত ফোরাম কিন্তু টিপাই-মুখ নিয়ে ফেসবুক বাদে কোথাও তেমন কিছু দেখতে পেলামনা। আর ২০ বছর পর কিন্তু আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের মত অপরাধী হয়ে যাবো, যদি আমরা টিপাই-মুখ নিয়ে কিছু না করি।
সত্য কথা বলতে আমি জানিনা কিভাবে কি সম্ভব, কিন্তু আমরা সবাই যদি এক হই কিছু না কিছু বের হয়ে আসবে, আমাদের সাথে দেশের মানুষ যোগদান করবে। ১ তারিখ ভারতীয় পণ্য বয়কট করা হয়েছে, আসুন এটা একদিন না হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে করার চেষ্টা করি,।
অন্য দেশকে এটাক করলে করলে আমরা ইহুদি-নাসারাদের খাবার, জিনিস পত্র বয়কট করি, আর নিজেদের দেশকে এতবার অপমান করলো তাপরও কি আমাদের কিছু করার থাকবেনা?
২/ ৩ জন ক্যাডেট বর্তমানে অসুস্থ তাদের নিয়ে কিছু করা যেতে পারে, কারণ তিনজনের নিশ্চয় প্রচুর টাকা লাগবে। কি করা যাবে বুঝিনা, ফেসবুকে দেখলাম ঝগড়া করতেছে ক্যাডেটদের গ্রুপ গুলাতে, একটার এন্টি গ্রুপও বের হয় গেছে দেখলাম। আমরা যারা বিদেশে আছি তারা হয়তোবা অল্প কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করোতে পারবো, আর ফেসবুক ব্লগে লেখালেখি করোতে পারবো। আমি মনে করি এই ব্যাপারে ভালো কিছু করা যেতে পারে। বিভিন্ন কনসার্ট-ফাংশন এর মাধ্যমে।
দেখা যাক কি হয়।
শতভাগ সহমত এবং সমর্থন জানাচ্ছি নাজমুলকে।
যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এত ব্লগ, এত ফোরাম কিন্তু টিপাই-মুখ নিয়ে ফেসবুক বাদে কোথাও তেমন কিছু দেখতে পেলামনা।
এক্ষেত্রে বলতে হবে তুমি খুব একটা খেয়াল করে দেখি না; আমি বেশ কিছু ব্লগ এবং ফোরামেই এসংক্রান্ত আলোচনা দেখেছি। এমন কী আমাদের সিসিবিতেই এ নিয়ে ব্লগ এসেছে, তুলনামূলক আলোচনা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সাথে তুলনা করবো না; কিন্তু এর বিরুদ্ধে আমরা যদি অন্তত নৈতিক প্রতিবাদটুকুও সফলভাবে না জানাতে পারি, পরবর্তী জেনারেশনের কাছে আমরা অপরাধী হয়েই থাকবো।
ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না লুমজান; আমাদের নিজেদের মানুষগুলো অসুস্থ্য; তাদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হলো কীভাবে? এন্টি গ্রুপ কি উনাদের সাহায্য না করার পক্ষে? ফেসবুক গ্রুপগুলোতে নাই; তাই বুঝে উঠতে পারলাম না। 😮
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাইয়া আমার লেখা ঠিক ভাবে আমি বুঝাইতে পারিনাই বোধহয়, আমি বলতে চাইতেসিলাম যে, টিপাইমুখ নিয়ে ঠিক সেরকম কোনো কিছু দেখিনাই বলেই এই কথা বললাম।
আপনি ওই ক্যাডেট গ্রুপে নাই শুকরিয়া আদায় করেন।
এত গ্রুপ মেজাজ খারাপ কর
ক্যাডেট কলেজের যাবতীয় ইউনিটি গেট টুগেদার আর পিকনিকে শুরু হয় এবং সেখানেই শেষ।
আমি আমার বাইরের বন্ধুদের দেখছি বিভিন্ন সময় সবাই এক হয়ে চমৎকার কিছু করতে। ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরা দুই এক জন হয়তো সেই সব কাজে থাকছে, কিন্তু আমরা নিজেরা এক হয়ে ভাল কিছু করতে এখন পর্যন্ত দেখলাম না।
ফেসবুকে অনেক গ্রুপকে দেখি, শীতের সময় ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে কাপড় সংগ্রহ করে, সেগুলো উত্তরবঙ্গের জেলা গুলোতে দিয়ে আসছে।
আমার ঢাবির কিছু বন্ধুদের দেখলাম এই বিজয় দিবসে সুবিধাবঞ্চিত কিছু বাচ্চাদের এক বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে, এর পর সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটা ছবি দেখছে। এরা শেষ কোন স্পন্সর পায় নাই। নিজেরাই পকেটের টাকা খরচ করে, সব কিছু করেছে।
সিসিবির ব্যানারেও বেশ কিছু ভাল কাজ আগে হয়েছে। আশা করছি, এই ব্যাপারগুলো জারি থাকবে।
আর দিনশেষে আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গাটুকুকে আমরা কেউই কিন্তু অস্বীকার করতে পারবো না।
নাজমুল ভালো লিখছিস।
আসলেই সেইরকম কিছু হয় নাই।
মির্জাপুরের রাজা (৯১-৯৭) কিছু করার চেষ্টা করতেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
অনেকেই গওহর রিজভীরে সহ অন্যেরে গালি দিয়া দায়িত্ব পালন করতেছে। তা না কইরা আমাদের সবাই রে জানাতে হবে, জানতে হবে টিপাইমুখের ফল কি হবে।
ঢাবির ল র যে চেয়ারম্যান সে এতদিন টিপাইমুখ নিয়া সোচ্চার ছিল কিন্তু সাইদীর পক্ষে কথা বইলা সে তার সমস্ত বিশ্বাসযোগ্যতা হারাইছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তিনি তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর কারনে টিপাইমুখ বাধেঁর ফলাফল নিশ্চয়ই উলটে যায় নাই। আমিতো দুই দিন আগেও বাংলাভিশনে তার কথা শুনলাম, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে। সেখানে তো তিনি স্পষ্টই বললেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সপক্ষে।
যা হোক রাজীব ভাই, কিছু বিষয়ে পুরো জাতির ঐক্যমতে পৌছানো দরকার। তা হলো জাতীয় স্বার্থ। আর যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই ঐক্যমত হওয়া উচিত এবং সংজ্ঞাটাকেও সার্বজনীন করা উচিত। যুদ্ধাপরাধ যেই করেছে তারই শাস্তির দাবী করি যথার্থ তথ্য এবং সাক্ষ্য-প্রমানের ভিত্তিতে।
রাজীব ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন, যুদ্ধাপরাধের সংজ্ঞানুযায়ী যেহেতু বিজয়ী-বিজিত নির্বিশেষে সকলেই অন্তর্ভুক্ত, রাজাকার-আলবদর-হানাদার বাহিনীর ব্যতীত কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে কি এই অভিযোগ সমর্থনযোগ্য?
আসিফ নজরুল সেই ব্যাক্তি যে কিনা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কাজগপাতি গায়েব করে দিছিল। সে তো সাইদীর পক্ষে কথা বলেছে, নাকি?
আর তোর প্রশ্নটা কি যথেষ্ট অপ্রাসঙ্গিক নয়?
অবশ্যই অনেক মুক্তিযোদ্ধারাও অনেক অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত ছিল। তার মানে কি আগে সেইসব মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করে তারপর মহান মহান সব রাজাকারদের বিচারের আওতায় আনতে হবে???
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমাদের দেশের মানুষের স্বভাবই হলো, কেউ যদি আত্মসমালোচনামূলক কিছু বলে আর তা নিজেদের স্বার্থে আঘাত হানে তাহলেই তার নানান কাহিনী বের হতে থাকে। আসিফ নজরুল স্যার তো আজকে থেকে টক শো, সভা সেমিনারে কথা বলেন না। এই অভিযোগ আরও আগে আসলো না কেন? ঐদিন কি বলছেন আমার জানা নাই, তবে উনি আইন বিশেষজ্ঞ, আর আইনের ব্যাপারই হচ্ছে অভিযুক্তের দোষকে যাচাই বা প্রমান করার জন্য বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্লেষন করা। এই বিশ্লেষনে কখনো অভিযুক্তের পক্ষে যুক্তি যাবে, কখনো বিপক্ষে। এখন অর্ধেক কথা শুনে যদি তার কথাকে সাঈদীর পক্ষে সাফাই গাওয়া বলে দেয়া হয়, তাহলে তা যে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত তা তো নিঃসন্দেহে বলা যায়। আর উনি সরকারের দোষ খুব প্রাঞ্জ্যলভাবে বর্ণনা করে যান বলেই কি উনার বিরূদ্ধে নথি গায়েব করে দেয়ার অস্পষ্ট অভিযোগ আসলো? কোন নথি, কার বিরূদ্ধে ছিল তা, কোথা থেকে সংগৃহীত এইসবের বালাই কিন্তু অভিযোগে পাওয়া যায় না। হাস্যকর সব অভিযোগ। যা হোক, আপনার ভাষ্যানুযায়ী মহান মহান রাজাকারদের বিচার কারো পরে করার কথা বলছি না, শুধু এইটুকুই বলতে চাই যে আত্মসমালোচনা করার অভ্যাস না থাকলে আর যা কিছুই হোক, আত্মসংশোধন হয় না, আত্মউন্নয়ন হয় না। এবং এই জাতির এইটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীরা। রাষ্ট্রপতির আসনে বসেছে খুনী।
তাই কি আজ আর সেই কথা বলা যাবে না!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কারো কাছে কি ডঃ গওহর রিজভীর ইমেইল বা কোনো কিছু আছে?
টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আমরা যে চিন্তিত সেটা তাকে জানাতে চাচ্ছিলাম।
আর তার কথা মতো এতে আমাদের জন্য ভালো কিছু থাকলে আমরা তো দশ বছর পরও শুরু করতে পারি।
ভারত যদিও আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র কিন্তু তারা দুষ্ট বন্ধু।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ