খেরোখাতা – মনের আলমারীতে সাজিয়ে রাখা ভালোলাগার পৃষ্টাগুলি (প্রথম কিস্তি)

১। ফ্লাশ-ব্যাক

ক্লাস থ্রী কি টুতে পড়ার সময় বাবা আমাদের জন্য একটা টুকটুকে লাল বল কিনে আনলেন। তিন নম্বর সাইজের মত বলটা, সারা গায়ে ছোট ছোট রাবারের ফুটকি। প্রথম রাতে বলটা মাথার কাছে নিয়ে ঘুমালাম। সে কি উত্তেজনা আমার ভিতরে। একটু পর পর ঘুম থেকে উঠে বলটা নেড়ে দেখতাম। পাড়ায় আমাদের দাম বাড়িয়ে দিল এই একটা বল। অনেক পরে, ক্লাস সিক্সে জিলা স্কুলে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডের বল দেখে বুঝেছিলাম আমার বাবা আমাকে একটা ছোট বাস্কেটবল কিনে দিয়েছিলেন সে সময়। তাতে কি? আমার অল্প বয়সের ঐ আনন্দটা আমি এখনও চোখ বুঝলেই অনুভূব করতে পারি।

ছোট বেলাতেই পাড়ার ফুটবল খেলাতে মোটামুটি নাম করে ফেলেছিলাম। তখন আমাদের পাড়া, পাশের পাড়া মিলে বেশ কটি ক্লাব। এরা আবার ফুটবল ম্যাচ ঠিক করত দূরের পাড়া গুলোর সংগে। নিয়ম ছিল প্রতি খেলোয়ার একটা করে মেডাল নিয়ে আসবে, টিনের মেডাল, দুই দল মেডাল একখানে জমা করে খেলতে নামবে। যারা জিতবে তারা সব মেডাল নিয়ে নেবে। বাবার কাছ থেকে প্রথম মেডালের পয়সা পেতে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টাকা দিয়েছিলেন মা। এর পরে অবশ্য আমার আর মেডাল কিনতে হয়নি। তবে একবার টেকনিক্যালের মাঠে খেলতে গিয়ে মারামারি বেধে গেল আমাদের সংগে বিপক্ষ দলের। ওরা আবার স্থানীয় দল। পালিয়ে পালিয়ে সুস্থ শরীরে বাসায় ফিরলাম, ফিরল আমার সংগে নিয়ে যাওয়া মেডালটাও। কি কারনে জানি, সেটা আমার প্রিয় মেডাল হয়ে গেল পরবর্তী মাস দুয়েকের জন্য। কারনে-অকারনে সময় পেলেই মেডালটা নেড়েচেড়ে দেখতাম।

ক্যাডেট কলেজে যাবার আগ পর্যন্ত মায়ের সংগে একই বিছানায় ঘুমাতাম। ক্যাডেটে চান্স পাবার পর বাবা-মার সবচেয়ে বড় টেনশন হয়ে গেল, “মাকে ছাড়া আমি কিভাবে ঘুমাবো”। কত ভাবে মা আমাকে বুঝায়, “বড় হলে আলাদা ঘুমাতে হয়, আলাদা বিছানায় থাকতে হয়, দেখ তোমার বড় ভাইয়ারা, তারা কি কেউ আমার সংগে ঘুমায়, তুমি এখন বড় হয়ে গেছ, তোমাকে আলাদা ঘুমাতে হবে”। বাবা কলেজে খোঁজ নেন, পাশ-বালিস দেয়া যাবে কিনা একটা। দেয়া যাবে না শুনে বাবা মার মন খারাপ হয়। আর আমি তো তখন একটা ঘোরের মাঝে, অজানা অচেনা জায়গায় যাবো, মাকে ছাড়া কোথাও থাকিনি আমি, একটা চাপা ভয়, উত্তেজনা আবার আনন্দও লাগে। আমি যে ক্যাডেটে ভর্তি হতে পেরেছি।

উত্তেজনা কিংবা অনেক বড় হয়ে গিয়েছি বলেই কিনা, কলেজে মাকে ছাড়া ঘুমাতে আমার একটুও কষ্ট হল না। দিব্যি ঘুম হল রাতে। প্রথম এগার দিন পরে যখন বাসায় আসলাম, কত গল্প তখন কলেজকে নিয়ে। রাতে মা আমার ঘুমানো ব্যবস্থা করলেন তার পাশে। এবার বেকেঁ বসলাম আমি। “আমি তো বড় হয়ে গেছি মা, একা ঘুমাতে পারি”। মায়ের সেই সময়ের অবাক হয়ে যাওয়া ছল ছল চোখ এখনো আমার চোখে ভাসে। সেই দিনের এই আমি, বুঝতেই পারিনি, তার সংগে ঘুমাবো না বলার পর মা কেন কেদেছিলেন।

খুব মজা হত যখন গ্রামে বেড়াতে যেতাম। আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেক গুলো আমের গাছ ছিল। গোপালভোগ, মিশ্রী ভোগ, ফজলি, ল্যাংড়া ছাড়াও আরও অনেক দেশি-বিদেশি নাম না জানা জাতের গাছ ছিল সেখানে। আমরা বাবার কাছে সব গাছের নাম জানতে চাইলে বাবা তার ছেলেদের নামে সেইসব নাম-না জানা গাছের নাম দিয়ে দিয়েছিলেন। এটা হল খোকন-ভোগ, এটা রোকন-ভোগ এটা রূপম-ভোগ। এবার শুরু হল আমাদের ভাইদের মধ্যে প্রতিযোগীতা, কার গাছে কত আম ধরে, কোন ভাইয়ের আমগুলো বেশি মিষ্টি। দেখা গেল শাহীন-ভোগের গাছে আম সবচেয়ে বেশি ধরলেও, জাত হিসেবে সবচেয়ে ভাল হচ্ছে রোকন-ভোগ। আর খোকন-ভোগ (বড়ভাইয়ের ডাকনাম) সবচেয়ে খারাপ, কি স্বাদে কি ফলনে। বড়ভাইয়াকে রাগানোর একটা মোক্ষম অস্ত্র হাতে পেলাম আমরা। আর রোকন-ভোগ সবচেয়ে ভালো দেখে ভাইয়ার “গর্বে মাটিতে আর পা পরেই না”। ভাইয়া, এই এত বছর পরেও এটা নিয়ে আমাদের মাঝে গর্ব করে বেড়ান। তবে বাবার সবচেয়ে প্রিয় ছিল গোপাল-ভোগের আম। শুধু বাবা না, দেখা গেল বাদুড়েরও খুব প্রিয় গোপাল-ভোগ। কেরোসিন টিনের বাক্স কেটে মাঝখানে ছোট একটা ইট বেধে ঝূলিয়ে দেয়া হল গোপাল-ভোগ গাছের মগডালে। মাঝরাতে আমাদের ঘুম ভেংগে যেত ঢং ঢং শব্দে। ঘরের আঙ্গিনাতেই ছিল এত্ত বড় দুটো তালের গাছ। পাকা তাল পড়ার শব্দটা চিনিয়ে দিয়েছিলেন বাবাই। সররররর, ধুপ। সন্ধ্যার পরে আমরা ভাইয়েরা শব্দ শুনে শুনে হিসাব করতাম কটা তাল পড়ল, রাতে যে মা কুড়াতে যেতে দিত না তাল তলায়। তাই গুনে গুনে রাখতাম আমরা। তাল কুড়াতে যেতাম সকালে।

ইস, কত্তদিন খড়ির চুলায় জ্বাল দেয়া গরম গরম তালের রস খাইনি।

তখনো গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছায়নি। মা কুপি জ্বালাতেন রান্নাঘরে, অন্য ঘরে জ্বলত হারিকেন, আর বৈঠক ঘরে হ্যাজাক। বাগানো ঘুরত জোনাকী। সন্ধ্যা হলেই কেমন এক ভূতুড়ে আবহ চলে আসত। চাঁদের আলোর নীচে খুব জমত ভুতের গল্প।

২। বর্তমান

আমার মেয়ে জিহান তখন ছোট। হাঁটি হাঁটি পা পা। আজব কারনে সে নিজে নিজেকে “দাদা” বলে সম্বোধন করে। কথা স্পষ্ট হচ্ছে-হয়নি একরকম অবস্থা। কি মনে করে একটা ছোট প্ল্যাষ্টিকের চেয়ার কিনে আনলাম ওর জন্য। ছোট্ট শরীরটাতে সে কি উত্তেজনা চেয়ারটা পেয়ে। রাতের বেলা ঘুমানোর সময় টেনে টেনে ওটা সে তার মাথার কাছে নিয়ে আসল দেখে ওর মা তো অবাক, “চেয়ার নিয়ে ঘুমাবে নাকি তুমি”?

আমি হাসি ওর কান্ড দেখে, হাসে আমার নিজের ফেলে আসা শৈশব।

জিহানকে সকাল বেলা স্কুলে নিয়ে যাই। বাসার কাছেই স্কুল, হেটে যেতে পাঁচ মিনিটের বেশি লাগে না। পৌনে আটটার দিকে বের হই, শুরু হয় জিহানের রাজ্যের গল্প। ওর রাজপুত্রের মোবাইল হারিয়ে গেছে, রাজার বাবা সকালে রুটি দিয়ে নাস্তা খাবে না বলেছে জন্য রাজার মা তাকে হাউ-মাউয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে থেকে শুরু করে তার নতুন কোন বন্ধু স্কুলে কান্না করে ফেলেছে, কোন টিচার বলেছেন বাংলাদেশকে (বাংলাদেশের পতাকাই তাদের কাছে পুরো বাংলাদেশ) দেখলেই সালাম দিতে হয় হাত তুলে এইসব গল্প শুনতে শুনতে বেশ কেটে যায় আমার সময়টুকু।

ঈদানীং কার জীবনে দিনের এই একটা সময়ের জন্য আমি খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি।

৬,২৬৩ বার দেখা হয়েছে

৬৬ টি মন্তব্য : “খেরোখাতা – মনের আলমারীতে সাজিয়ে রাখা ভালোলাগার পৃষ্টাগুলি (প্রথম কিস্তি)”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    শৈশব/কৈশোর দারুন সুখে কাটিয়েছেন। আমার সবসময়ই কেন যেন মনে হয়েছে অনেকগুলো ভাইবোন সহ বাংলাদেশের কোন মফস্বলের পাড়ার ছেলেবেলার তুলনা সারা দুনিয়ারই আর কোন সমাজে পাওয়া যাবেনা।
    ভার্সিটি কিংবা ক্যারিয়ারের শুরুর দিককার কথা আকারে ইংগিতে কয়েকবারই বলেছেন ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধময় বলেছেন। কিন্তু ছোট্ট জিহানের সাথে এখনকার জীবনটাও সুখময় আকছেন মনে হচ্ছে। 🙂
    সুখী হইতে মন্চায় ফয়েজ ভাই। রেসিপিটা কেউ কইতাছেনা 🙁


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    ফয়েজ ভাই,

    আপনার লেখা পড়ে বাড়ির কথা মনে পড়ল।

    ক্যাডেট কলেজে যাবার আগ পর্যন্ত মায়ের সংগে একই বিছানায় ঘুমাতাম।

    আমিও B-) , এমনকি ছোট একভাই একবোন থাকতেও 😀 ।

    ২০০৪'এর সেপ্টেম্বরে যখন প্রথম মাসের বেতন পেয়ে ফোন করে আম্মাকে জানালাম, বলেছিলেন যে আর টাকা নিব কি না। আমি উত্তর দিয়েছিলাম যে, আমি ত নিবোই না, আমার ছোট ভাই-বোনকেও আমি টাকা দিবো। শুনে আম্মা কেঁদেছিলেন খুব।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  3. রকিব (০১-০৭)
    ঈদানীং কার জীবনে দিনের এই একটা সময়ের জন্য আমি খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি।

    :dreamy: :dreamy:
    ছেলেবেলাটা সবসময়ই কেমন মোহ রেখে যায়। স্পর্শী লেখা।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  4. মায়ের সেই সময়ের অবাক হয়ে যাওয়া ছল ছল চোখ এখনো আমার চোখে ভাসে। সেই দিনের এই আমি, বুঝতেই পারিনি, তার সংগে ঘুমাবো না বলার পর মা কেন কেদেছিলেন।

    :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন
  5. ফয়েজ ভাই, আমি এখনো নিজেকে ব্লগে নতুন বলে মনে করি। নবীন আমার কাছে আপনার সমস্ত লেখাই আজ অবধি অসাধারণ লেগেছে...

    আপনার লেখা পড়ে বুকের ভিতরটা একটু কেমন যেন করে...
    আমার হৃদয়ের অনুভূতিগুলোকে আমি মোটেই শেপ দিতে পারিনা... প্রকাশ করতে গেলেই কেমন যেন বেড়াছেড়া লেগে যায়...... একজন মানুষকে আমি মনের কথা বলতে না পারায় সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল...

    আপনার লেখাগুলো আমাকে খুব নাড়া দিয়ে যায়... মায়ের ভালোবাসাকে এইভাবে নাটকীয় করে বলতে পারব না। কিন্তু মা কতই না ভালোবাসা দিয়ে সিক্ত করেন আমাদের প্রতিনিয়ত...যারা তাদের জীবিত পাই...

    আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা আপনাকে ভাইজান...

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)
      প্রকাশ করতে গেলেই কেমন যেন বেড়াছেড়া লেগে যায়

      বেড়াছেড়া লেখাই ব্লগে দিয়া দাও। তোমার বেড়াছেড়া লাগা মানে এই না যে লেখাটা বেড়াছেড়া হইছে , আর আমাদেরও বেড়াছেড়া লাগবে। কি কও তুমি?

      আর তাছাড়া বেড়াছেড়া লেখা পড়তেও মজা লাগে খুব।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  6. ১) আমি ছোটকালে টিম করে ফুটবল খেলছি কিন্তু কোনদিনই সেই টিমে ৫ জনের বেশী কেউ থাকেনাই.....আর সেটাও সপ্তাহে ১/২ বার....... বাইরে খেলার অভিজ্ঞতা বলতে এটাই...............

    ২) ক্লাস টু / থ্রি'র পর থেকেই আর বাপি-মামনির সাথে ঘুমাইনি......

    ৩) গ্রামে বেড়াতে গেছি বছরে একবার করে........ কিন্তু আম গাছ কোনটা আর কাঁঠাল গাছ কোনটা সেটাও আজো ঠিক করে চিনতে পারব বলে মনে হয়না...... অন্য গাছগুলো বাদ ই দিলাম....

    ৪) রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আম কুড়ানো হয়নি কোনদিন কিন্তু শিলাবৃষ্টির সময় অনেকবার শিল কুড়িয়েছি........

    ৫) তালের রস খাইনি কোনদিন

    উপরের সবকয়টা পয়েন্ট আপনার লিখা থেকে নোটিস করে লিখলাম......সবগুলোই আমার শৈশব থেকে নেয়া.... আপনি সম্ভবত পীরগন্ঞ্জে বড় হয়েছেন, তাইনা /??? আমি বড় হয়েছি রংপুর শহরে, যেখান থেকে আপনার বাড়ি মনে হয়না ৩০মিনিটের বেশি দূরত্বের......... কিন্তু আমাদের শৈশবে এত পার্থক্য........ অবাক করার মত....

    আমার শৈশব সাদামাটা........ আর আপনারটা বর্ণিল...... ভাগ্যবান আপনি 🙂

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      পীরগঞ্জ আমার দাদু বাড়ি। পীরগঞ্জ থেকে আরও ১০ মাইল ভিতরে, টুকুরিয়ার (কয়লা খনি) কাছাকাছি।

      ঠিক দাদু বাড়িতে বড় হয়েছি বলা যাবে না, তবে যাওয়া আসা হত, বছরের প্রায় দুইমাস থাকতাম দাদুবাড়ি, একবার আমের সময়, গরমের ছুটিতে, আরেকবার শীতের সময়, বার্ষিক পরীক্ষা হয়ে গেলে। কত যে মজার স্মৃতি আছে আমার গ্রাম কে ঘিরে। উপ্স.........।

      শৈশব তো শৈশব বোকা, এটা আবার সাদামাটা হয় নাকি, তুমিও খুজে পাবা নিশ্চয় আনন্দের অনেক কিছু, আরও একটু বড় হলে বুঝবা তখন। তোমরা তো এখনো ছোটই আছো বলতে গেলে............।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  7. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    এতো রকম আম খাইছেন ছোটবেলায়, অথচ 'রানীপছন্দ' আম খান নাই? আপনারে মাইনাস। :grr:

    এইটা আমার কথা না, আমাদের ইংরেজির শফিক স্যার ছিলো (আমরা ডাকতাম 'বাম্পার') উনি আমারে একবার my favorite fruits রচনায় 'রানীপছন্দ' আমের নাম না লেখায় ০ দিছিলেন। 🙁

    লেখা নিয়া কিছু বলতে হবে?
    খুব খারাপ যাচ্ছে দিনকাল। লেখাটা পইড়া একটু তরতাজা লাগতেছে। 🙂


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  8. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    ভাইয়া আপনার উপর বড়ই হিংসিত। আপনার ছোটবেলা এত মজার ছিল কেন? আমার ছোটবেলা আপনার মত ছিল না একেবারেই তবে কলোনী লাইফ ছিল বলে অন্যরকম মজা ছিল। শুরু করে দিব নাকি কলোনী লাইফ নিয়ে একটা সিরিজ।

    জবাব দিন
  9. তৌফিক

    জিহানের জন্য সমস্ত আদর। চাচা হিসাবে আমি কিন্তু পাড়াতো ভাতিজা ভাতিজির মাঝে বিরাট জনপ্রিয়। আমার দুর্ভাগ্য জিহানের কাছে জনপ্রিয় হইতে পারলাম না। 🙁

    জবাব দিন
  10. জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

    ফয়েজ ভাই,

    আপনার লেখা পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়। বয়স হয়েছে বলে, স্মৃতি খুব বেদনা দেয়। সবার থেকে দূরে আছি বলে, ব্যবধান আরো তীব্র হয়ে ফোটে। আপনার লেখা পড়লে তাই সবসময়ই চোখের মধ্যে বালু খচখচ করে।

    আপনি সব জায়গায় 'জায়গা মতো' খোঁচা দেন! আমি মুগ্ধ!

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      এই তোমারে পাইলাম, স্বীকার করলা যে আমাগো বয়স হইছে, আর দেখ, তোমার যে দোস্ত লিভারপুল লিভারপুল বইলা গলা ফাটায়, হে তো মানতেই চায় না বুড়া হইতেছে, 😀

      এই লেখাটা আনন্দ নিয়ে লিখেছি, তোমার চোখ যদি খচখচ করে তাইলে সেইটা আনন্দের খচখচানি হওয়া উচিৎ।

      থ্যাঙ্কু, এখন তো প্রোডাক্টিভ কোন কাজ করতে পারিনা, তাই লিখি।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  11. এহসান (৮৯-৯৫)

    এই খেলাটা আনন্দ নিয়ে লিখা তাই লেখাটা ভাল লাইগছে। আলহামদুলিল্লাহ টরেশ ভাল আছে। জ্বরও কমছে। আপনাদের বুড়া বুড়া Fantasy থুক্কু ফুটানী আমার মজা লাগে না হে 😛

    জবাব দিন
  12. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    আমার ছোটবেলা কাটছে শহরে। তাতে কি সময়টা বড় আনন্দময় ছিল। আমরা কাজিনরা নানান বান্দারামি করে দিন কাটাইতাম।

    পরের পার্ট নিয়ে কিছু কবার টাইম কি আসছে? ;;;

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।