শনিবার সেনা সদরের এক ব্রিফিং এ ৭২ জন নিখোঁজ আছেন বলে জানানো হয়েছিল। সোমবারের ব্রিফিং-এ সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিনা ইবনে জামালী সংশোধিত নতুন তথ্য দেন। ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তরে ১৬৮ জন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন বলে ধরে নেয়ায় এই বিভ্রান্তি হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া অনেকের আত্মীয়-স্বজন খোঁজ করছিলেন, পর্যাপ্ত তথ্য না নিয়ে তাদেরকেও নিখোঁজ হিসেবে ধরা হচ্ছিল। পরে দেখা যায় তারা বিভিন্ন স্থানে আছেন। সাম্প্রতিক তথ্য মতে তাই:
– ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
– ১ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
– ২ জন সেনা কর্মকর্তার পত্নীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
– ৪০ জন সেনা কর্মকর্তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে
– ২ জন সেনা কর্মকর্তা নিখোঁজ আছেন
বিডিআর জওয়ান এবং সিভিলিয়ানদের ব্যাপারে এই ব্রিফিং এ কিছু বলা হয়নি। পূর্বে জানা গিয়েছিল, ৭ জন বিডিআর জওয়ান নিহত হয়েছেন। আর ৬ জন সিভিলিয়ান নিহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছিল, যার মধ্যে ১২ বছর বয়সের কাজের মেয়ে ও একজন রিকশাওয়ালাও ছিল।
যাদের নাম জানা গেছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে এখানে। প্রথমে পদমর্যাদা এবং পরে বর্ণমালার ক্রমানুসারে তালিকা করা হচ্ছে।
শহীদ
সোমবার সকাল ১০ টায় ৪৮ জন সেনা কর্মকর্তা, ১ জন সেনা কর্মকর্তার পত্নী ও ১ জন সৈনিকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এই ৫০ জনের নাম এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে:
০১. মেঃজেঃ শাকিল আহমেদ – বিডিআর এর ডিরেক্টর জেনারেল
০২. বেগম নাজনীন শাকিল
০৩. ব্রিঃজেঃ মোঃ আবদুল বারী – বিডিআর এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল
০৪. ব্রিঃজেঃ মোঃ জাকির হোসেন, এএমসি – সিসিবি-র সামিয়ার (৯৯-০৫) বাবা, সিসিআর-এর মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন। (কর্ণেল জাকির হোসেন), (গুড বাই আংকেল জাকির)
০৫. কর্নেল মুজিবুল হক – ইমরান (৯৭-০৩) ভাইয়ের মামা, মুজিবুল হকের বাসার ১২ বছর বয়সী কাজের মেয়েকেও হত্যা করেছে বিডিআর জওয়ানরা
০৬. কর্নেল মোঃ আনিসুজ্জামান
০৭. কর্নেল মোহাম্মদ মসীউর রহমান – জেসিসি, ১১তম ব্যাচ
০৮. কর্নেল কুদরত ইলাহী রহমান শফিক – জেসিসি, ১১তম ব্যাচ
০৯. কর্নেল মোহাম্মদ আখতার হোসেন – আরসিসি, ১২/৬৬১/কাসিম হাউস
১০. কর্নেল মোঃ রেজাউল কবীর
১১. কর্নেল নাফিজ উদ্দীন আহমেদ
১২. কর্নেল কাজী এমদাদুল হক
১৩. কর্নেল সামছুল আরেফিন আহাম্মেদ
১৪. কর্নেল মোহাম্মদ নকিবুর রহমান
১৫. কর্নেল কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন
১৬. কর্নেল মোঃ শওকত ইমাম
১৭. কর্নেল মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম
১৮. কর্নেল মোঃ আফতাবুল ইসলাম – আরসিসি (৭৭-৮৩), ১৪/৭৮৮ (বাড়ি ফেরা হলো না কর্নেল আফতাবের)
১৯. লেঃকঃ এনশাদ ইব্ন আমিন, আর্টিলারি – এফসিসি, ১৮তম ব্যাচ
২০. লেঃকঃ এনায়েতুল হক
২১. লেঃকঃ গোলাম কিবরিয়া এম নিয়ামতউল্লাহ – এমসিসি, ১২তম ব্যাচ/৬৫৪
২২. লেঃকঃ শামসুল আজম, ইএমই
২৩. লেঃকঃ মোঃ বদরুল হুদা, পদাতিক
২৪. লেঃকঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, এসি
২৫. লেঃকঃ মোঃ লুৎফর রহমান, আর্টিলারি – সিসিবি-র জিহাদের (৯৯-০৫) কাজিন, এমসিসি-র ১৫তম ব্যাচের কলেজ প্রিফেক্ট, ক্যা/নং-৮৯১; এসসিসি-র অ্যাডজুট্যান্ট ছিলেন (৯৬-৯৭)
২৬. লেঃকঃ মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান, অর্ডন্যান্স
২৭. লেঃকঃ কাজী রবি রহমান, এডিসি
২৮. লেঃকঃ লুৎফর রহমান খান
২৯. মেজর মিজানুর রহমান
৩০. মেজর মাহবুবুর রহমান, আর্টিলারি
৩১. মেজর মোঃ মকবুল হোসেন, পদাতিক
৩২. মেজর মোঃ আব্দুস সালাম খান
৩৩. মেজর হোসেন সোহেল শাহনেওয়াজ, পদাতিক – সিসিআর, ১ম ব্যাচ, ১ম কলেজ প্রিফেক্ট; সিসিবি-র আশিক (৯৬-০২) ভাইয়ের কাজিন, পিসিসি-র রাব্বি (৯২-৯৮) ভাইয়ের বড় ভাই, (মেজর শাহনেওয়াজ স্মরণে……)
৩৪. মেজর কাজী মোসাদ্দেক হোসেন, আর্টিলারি
৩৫. মেজর মোহাম্মদ সালেহ, পদাতিক
৩৬. মেজর মাহমুদ হাসান অপু, পদাতিক – এফসিসি, ২৬তম ব্যাচ; লাভলু ভাইয়ের (৭৪-৮০) ছোট ভাই ফয়েজ ভাইয়ের কলেজ ব্যাচমেট
৩৭. মেজর মুস্তাক মাহমুদ, আর্টিলারি
৩৮. মেজর মাহমুদুল হাসান, আর্টিলারি
৩৯. মেজর হুমায়ুন হায়দার, আর্টিলারি – এমসিসি, ১৭তম ব্যাচ/৯২১ (একজন হুমায়ুন হায়দার)
৪০. মেজর মোঃ আজহারুল ইসলাম, আর্টিলারি
৪১. মেজর মোঃ হুমায়ুন কবীর সরকার, পদাতিক
৪২. মেজর মোঃ খালিদ হোসেন, আর্টিলারি
৪৩. মেজর মোহাম্মদ মাকসুম-উল-হাকিম, আর্টিলারি – আরসিসি, ২০/১১২৫/খালিদ হাউস
৪৪. মেজর সৈয়দ মোঃ ইদ্রিস ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার্স – জেসিসি, ২২তম ব্যাচ
৪৫. মেজর মোঃ রফিকুল ইসলাম, এইসি
৪৬. মেজর মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন, অর্ডন্যান্স
৪৭. মেজর মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম সরকার, এসি
৪৮. মেজর মোস্তফা আসাদুজ্জামান, এসি – বিএমএ ৩৬ লং কোর্স
৪৯. মেজর এস এম মামুনুর রহমান
৫০. সৈনিক মোঃ জহুরুল ইসলাম
৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ৪৮ জনের নামই উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ৯ জন
১. কর্নেল গুলজার উদ্দীন আহমেদ – RAB এর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর (তিন মুঠো মাটির সাথে সমস্ত হৃদয়…)
২. মেজর আজিজ – আরসিসি, সিসিআর ও এমসিসি-র অ্যাডজুট্যান্ট ছিলেন; উনার ছেলে সিসিআর-এ পড়ে
৩. মেজর মাহবুব – বিসিসি (৮১-৮৭) (এলোমেলো স্মৃতিগুলো)
৪. মেজর মোবাশ্বের – সিসিআর, ৭ম ব্যাচ; ৯৯-০০ এ কক্সবাজারে ডিজিএফআই-এ কর্মরত ছিলেন
৫. ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার – সিসিসি (৯২-৯৮), নুসরাত জাহান বাঁধনের সঙ্গে তার বিয়ের তিন মাসও হয়নি (মাজহার ভাই, হায়দার ভাই………) (বন্ধু, সি ইউ এগেন) (বন্ধু…তোমায় মনে পড়ে)
৬. মেজর কাজী আশরাফ হোসেন
৭. লেঃকঃ আবু মূসা আইয়ুব কায়সার আহমেদ – এফসিসি, ২২তম ব্যাচ
৮. লেঃকঃ মঞ্জুর এলাহী
৯. মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম পলাশ – আরসিসি, ১৪/৭৬৩/তারিক হাউস
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী
# লেঃকঃ (অবঃ) দেলোয়ার হোসেন – সিসিবি-র এহসান (৮৯-৯৫) ভাইয়ের ফুপা
# লাভলী বেগম – এহসান ভাইয়ের ফুপি
(উনারা দুজন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে ডিজির বাসায় উঠেছিলেন।)
বিডিআর এর নন-কমিশন অফিসার ও সৈনিক
১. সুবেদার আবুল কাশেম
২. নায়েক সুবেদার বছির উদ্দিন
৩. ল্যান্স নায়েক মানিক
৪. সহকারী পরিচালক (এডি) খন্দকার আব্দুল আওয়াল
৫. সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম
সিভিলিয়ান
১. তারেক আজিজ – মোহাম্মদপুরের পিপপলস ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ডেসটিনি গ্রুপে কাজ করে নোয়াখালিতে তার পরিবারের জন্য টাকা পাঠাতো।
২. আমজাদ আলী – বিডিআর হাসপাতালে ঔষধ আনতে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার স্ত্রী রাশেদা অন্যের বাসায় রান্নার কাজ করে মাসে মাত্র ১,৮০০ টাকা উপার্জন করে
৩. হৃদয় হোসেন – মাত্র ১৩ বছর বয়সের এক সব্জি ফেরিওয়ালা। রাজা মিয়া ব্যাপারীর ৬ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। হৃদয়ের জন্য ইতিমধ্যে তাদের ৫০,০০০ টাকা খরচ হয়ে গেছে।
৪. কল্পনা – ১২ বছর বয়সের মেয়ে। কর্নেল মুজিবুল হকের বাসায় কাজ করতো।
৫. ফিরোজ
নিখোঁজ
১. মেজর আবু সৈয়দ গাজ্জালী দস্তগীর
২. ক্যাপ্টেন তানভির হায়দার নূর – সিসিসি (৯১-৯৭)
সূত্র:
– পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ ও নিখোঁজদের তালিকা: পূর্বের তালিকার মন্তব্যসমূহ
– নিখোঁজ কর্মকর্তা ৬ জন, ৭২ নয়: সেনা কর্তৃপক্ষ
– সোমবার দাফন হওয়া ৫০ জনের তালিকা – আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্ত
– The Dead
– Little care for them as they were killed, buried unceremoniously
ধন্যবাদ ভাইয়া, নিশ্চিতকরণের জন্য
১৮ জন এক্স-ক্যাডেট শহীদ হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ আছেন ২ জন-----
এফসিসি - ৩ জন শহীদ
জেসিসি - ৩ জন শহীদ
এমসিসি - ৩ জন শহীদ
আরসিসি - ৪ জন শহীদ, ১ জন নিখোঁজ
সিসিসি - ২ জন শহীদ, ১ জন নিখোঁজ
বিসিসি - ১ জন শহীদ
সিসিআর - ২ জন শহীদ
অত্যন্ত জরুরী তালিকা। ধন্যবাদ মুহাম্মদ।
নিখোঁজ
১. কর্নেল গুলজার উদ্দীন আহমেদ - RAB এর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর
২. লেঃকঃ মঞ্জুর এলাহী
৩. মেজর কাজী আশরাফ হোসেন
৪. মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম পলাশ - আরসিসি, ১৪/৭৬৩/তারিক হাউস
৫. মেজর আবু সৈয়দ গাজ্জালী দস্তগীর
৬. ক্যাপ্টেন তানভির হায়দার নূর - সিসিসি (৯১-৯৭)
কর্নেল গুলজার এর মৃতদেহ তাহলে পাওয়া যায়নি এখনো? তাঁর কার্যক্রম এবং অবদান সম্বন্ধে জানে এমন কেউ লিখলে খুব ভাল হতো। বিশেষত, জঙ্গী দমনে।
হত্যাকারীরা কিছু কিছু টার্গেট করা জিম্মি অফিসারকে জীবিতাবস্থায় অপহরণ করেও নিয়ে যেতে পারে পালিয়ে যাবার সময়। এই সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেয়া উচিত হবেনা। টার্গেট এর ভিত্তি হতে পারে সেই অফিসারের পূর্ববর্তী কার্যক্রম। অফিসারদের কাছ থেকে সে সব বিষয়ে ইন্টেলিজেন্স আদায় করাও এর লক্ষ্য হতে পারে। এভাবে ধরে নিয়ে এগোলেও দায়ী গোষ্ঠীর নাম উদঘাটনে কিছু সাহায্য হতে পারে।
সেক্ষেত্রে যেটা জরুরী তা হল এই ৬জন নিখোঁজ অফিসারের সেনাবাহিনী/RAB এর সার্ভিস রেকর্ডে কোন common pattern রয়েছে কিনা সেটা একটু খতিয়ে দেখা।
খুবই চিন্তার বিষয়। দুই দিনে তো কোন মরদেহই পাওয়া যায়নি। তাহলে কি এরা আসলেই জিম্মি আছেন? সময়ই বলে দেবে।
আসলেই ইনাদের মিলিটারি রেকর্ডে কমন প্যাটার্ন তলিয়ে দেয়া আছে। কর্নেল গুলজারের নিখোঁজ থাকাটা জিম্মি সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আমি শুনেছি কর্নেল গুলজার RAB এর প্রতিষ্ঠাতা ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর। কেউ কি কনফার্ম করতে পারো সেটা? এটা তো অত্যন্ত সেনসিটিভ পজিশন!
কর্নেল গুলজার RAB এর প্রতিষ্ঠাতা ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর... কনফার্ম
http://bdnews24.com/details.php?id=77402&cid=2
ধন্যবাদ এহসান। খুবই চিন্তার কথা!
মুহম্মদ কি কনফার্ম করতে পারবে? 2 জন মেজর আজিজ, ২ জনই আরসিসির, ১ জন নিখোঁজ আরেক জন এর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আমার যতদুর মনে পরে, আজিজ স্যার বলছিলেন তাঁর ডাকনাম পলাশ।
হুম,
আমি নিশ্চিত যে, আমাদের এডজুটান্ট আজীজ স্যারের পুরো নাম ছিল আজীজুল হাকীম পলাশ। আমি সে সময় জাহাঙ্গীর হাউসের হাউস প্রিফেক্ট ছিলাম। এছাড়াও আমার রুমের অবস্থানের কারণে তার সাথে প্রায় প্রতিদিন আমার দেখা/কথা হত।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সম্ভবত উনার নাম আহমেদ আজিজুল হাকিম, ডাক নাম পলাশ, আর সি সি, ১২ বি এম এ লং কোর্স, ইঞ্জিনিয়ার্স। ১৯৮৭ এ আমার কমিশন পাবার পর উনি ছিলেন প্রথম দেখা আর্মি অফিসার।কারন উনি আমাকে রিসিভ করেছিলেন। তখন উনি ছিলেন লেঃ এবং আমার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার। ১৯৯৬ তে সিসি আর এর রি ইউনিয়নের সময় উনাকে এ্যডজুটেন্ড হিসেবে দেখেছিলাম। আমার যতটুকু মনে পড়ে, তখন উনার ছেলেটি হয়েছে (কোলে) বা হয়নি, কিছুদিন পরেই হবে।
ভাই মুহাম্মদ, সম্ভব হলে কে কোন লং বা শর্ট কোর্সের অফিসার এবং কোন আর্মস বা সার্ভিসের লিখা থাকলে চিনতে সুবিধা হবে।
@ আরিফ, আর. সি. সি. এর একজন নিখোঁজ,
মেজর আজিজুল হাকিম (১৪/৭৬৩), কলেজে অবস্থান কাল: ১৯৭৭ - ১৯৮৩।
মৃতদেহ পাওয়া গেছে:
১. কর্নেল মোহাম্মদ আখতার হোসেন - (৭৫-৮১), ১২/৬৬১/কাসিম হাউস
২. কর্নেল মোঃ আফতাবুল ইসলাম - (৭৭-৮৩), ১৪/৭৮৮
৩. মেজর মোহাম্মদ মাকসুম-উল-হাকিম, আর্টিলারি - (৮৩-৮৯), ২০/১১২৫/খালিদ হাউস
সনাক্ত করা গেছে আরও দু'জনঃ
মেজর কাজী আশরাফ হোসেন
সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম
source:
http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=15371
কর্ণেল ডা. জাকির হোসেন মরনোত্তর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদোন্নতি পেয়েছেন। গতকাল জানাজায় তাকে ব্রিগেডিয়ার হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তার পদোন্নতির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে ছিল। তাই জানাজার আগেই রাষ্ট্রপতি তার পদোন্নতি ফাইলে সই করেন। রাতে পাঠানো আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও তাকে নতুন পদে অভিহিত করা হয়। এ নিয়ে আজ ডেইলি স্টার একটা প্রতিবেদনও করেছে।
মুহাম্মদ : সময় পেলেই তথ্যটা আপডেট করো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সামিয়ার বাবার খবরটা নিয়ে ডেইলি স্টারের লিংক
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
বিডিনিউস এ দেখলাম ডিএডি তৌহিদ সহ ৫ জন গ্রেফতার
আশা করি, শায়খ রহমান আর বাংলা ভাইয়ের মত এদেরকেও তথ্য আদায়+প্রকাশের আগেই হাপিস করে দেওয়া হবে না।
সেসময় ওদের কাছ থেকে পাওয়া (এবং না পাওয়া) তথ্যগুলো প্রকাশ হলে অনেক ধোঁয়াশাই কেটে যেত।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
হ্যাঁ, খবরটা দেখলাম। মামলা এবং আটক হওয়া বিদ্রোহীদের নিয়ে আলাদা লেখা আসা প্রয়োজন। এখন আমাদের এদিকে নজর রাখতে হবে। কেউ না কেউ একটা পোস্ট দেবেন আশাকরি...
ক্যাপ্টেন তানভির হায়দার নূর
ইনি কি '৭১ এর শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের একজন? someone please confirm.
গত দুদিন ধরেই একটা বিষয় ভেবে খুব খারাপ লাগছিল। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সিভিলিয়ানদের নিয়ে কেউ কিচ্ছু বলছে না। নীরবে নিভৃতে তাদের দাফন-কাফন হয়ে গেল, সরকার বা আর্মির পক্ষ থেকে কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করল না, পোস্ট মর্টেমের জন্য দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারগুলোকে আড়াই হাজার টাকা খরচ করতে হল, প্রিয়জনের লাশ সামনে রেখে পোস্ট মর্টেমের টাকা নিয়ে দরাদরি করতে হল। কেউ কিছু বলল না কেন...
আমরা মানুষেরা কেমন যেন হয়ে গেছি।
এই ফেরিওয়ালা, রিক্সাওয়ালাদের কোন অবলম্বন নেই। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু যেন করা হয়, সেটাই আমাদের দাবী...
ডেইলি স্টারের এই লেখাটা পড়তে অনুরোধ করছি সবাইকে:
Far away from spotlight: Little care for them as they were killed, buried unceremoniously
একদম মনের কথা বলেছ, এদের নিয়ে কেউ কিছু বলছে না।
আজিব দেশ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আরও একজন নিখোজ সেনা কর্মকর্তার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে৷ লেঃকঃ মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী। গতকাল বুধবার রাতে স্বজন ও সেনা কর্মকর্তারা ঢাকা মেডিকল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে শহীদ মঞ্জুর এলাহীর মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
তথ্যসুত্রঃ http://www.prothom-alo.com/index.news.details.php?nid=MjIzNDQ=
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বরিশালের মাহবুব ভাইকে নিয়ে লেখা এই লিঙ্কটা দিতে পার মূল লেখায়। মাহবুব , বিসিসি
সাপ্তাহিকের লিংকে ৪০৩ এরর দিচ্ছে 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মুহাম্মদ : তোমার নিখোঁজ তালিকা থেকে :
১. কর্ণেল গুলজার উদ্দীন আহমেদ - RAB এর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর
২. লেঃ কর্ণেল মঞ্জুর এলাহী
এই নাম দুটো নিহতের তালিকায় নাও।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
একটা ব্যক্তিগত কাজে কর্নেল গোলজার সাহেবের মুখোমুখি হতে হয়েছিল আমার, খুব অমায়িক ব্যবহার পেয়েছিলাম, ভুলব না কোন দিন।
এই রকম মৃত্যু পাওনা ছিল না তারও।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
যোগ করেছি। আচ্ছা, বাকি তিনজনকে কি এখনও পাওয়া যায়নি। কেউ নিশ্চিত জানেন। আমি পরীক্ষার কারণে নেটে তেমন একটা ঘাটাঘাটি করতে পারছি না।
বাকিদের খবর আমিও জানিনা। জানতে হবে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম পলাশ - আরসিসি, ১৪/৭৬৩/তারিক হাউস এর মৃতদেহ সনাক্ত হয়েছে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আকাশ,
তাহলে কি এই দুজন
১. মেজর আবু সৈয়দ গাজ্জালী দস্তগীর
২. ক্যাপ্টেন তানভির হায়দার নূর - সিসিসি (৯১-৯৭)
এখনো নিখোঁজ থেকে গেল?
তুমি কি নিশ্চিত করতে পারো?
ইউসুফ, (অ্যাডজুটেন্ট)? তোমার তথ্য কি?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমি যতটুকু জানি তারা এখনও নিখোজ।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কিভাবে সম্ভব? এদের পাওয়া যাবে না? চেষ্টা নিশ্চয়ই চলছে??
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
জ্বী ভাইয়া, চেষ্টা এখনো চলছে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
যতদূর জানি, এই দুজনের সাথে সংরক্ষিত মৃতদেহগুলির ডি এন এ ম্যাচিং হয়নি। রি-টেস্ট করানোর কথা - তার পরের খবর জানিনা।
মুহাম্মদ এবং মডারেটররা
এই পোস্টটা যেন সবসময় থাকে আমাদের সিসিবি এর প্রথম পাতায়, এখন যেভাবে আছে - যতদিন না প্রকৃত অপরাধীদের বিচার না হয়।
পোস্টটার সামনে একটা কাল ব্যাজ কি দেয়া যায়?
একমত
http://www.sachalayatan.com/konfusias/22983
সাত মাস হয়ে গেলো এখনো কিছু হয় নি। কি বিচিত্র এই দেশ!!!!!!!!!!!!!
মুহিব কিছু আশা করে ছিলি নাকি!!!
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙁
আসলেই এখনো কিছুই হলোনা উল্টা শুনলাম কিছু অফিসার কে বরখাস্ত করা হয়েছে 🙁
কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত
কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার