একেবারে সাদা… ধবধবে সাদা… টিভিতে যেসব বিজ্ঞাপন দেখায় তার চেয়েও মনে হয় সাদা একটা পোষাকে এক তরুনী আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে একটু ব্যবধানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, রিক্সার জন্য অপেক্ষামান। ধাক্কাটা ওর কাছ থেকেই খেয়েছি। শারীরিক ভাবে সে এতটা সমর্থ নয় যে আমাকে ধাক্কা মেরে বসিয়ে দিবে, এ ধাক্কা মনস্তাত্বিক। এ্যাঞ্জেল এসে মানুষের সামনে দেখা দিলে মনে হয় মানুষ এই মাপের একটা ধাক্কা খেতো। তবে সেটাও এত বেশী হৃদয়স্পর্শী হত কিনা আমার সন্দেহ।
অনেক সুদর্শনাকেই তো দেখলাম জীবনে; কই, কেউ তো আমাকে এত জোরে ধাক্কা দিতে পারেনি। আমার অবচেতনে এক ধরনের বিশেষ কৌতুহলের জাগরণ টের পেলাম। লক্ষ্য করতে লাগলাম মেয়েটিকে: ডিটার্জেন্ট এর বিজ্ঞাপন করার মত সাদা রং-এর সালোয়ার কামিজ, পিঠের নীচ পর্যন্ত লম্বা সিল্কের মত মোলায়েম চুল ব্যান্ড দিয়ে মাথার কাছে একজোট করে বাঁধা, তাই তারা কানের দুলজোড়াকে আড়াল করেনি। বিকাল বেলায় খুব সুন্দর বাতাস হয় আজকাল, সেই বাতাসে তারা দু’জন অল্প অল্প দোল খাচ্ছে। আমার জায়গায় কোন কবি থাকলে হয়তো এখন এই দৃশ্যটাকে নিয়ে একটা প্লট বানাতো। তার কল্পনায় অবশ্য চুল খোলা থাকত এবং তখন সেটাই বাতাসে উড়তো। আমি এত কল্পনাপ্রবণ নই, বিশেষ করে মেয়েদের বেলায় তো ছিলাম-ই না কোনকালে। কিন্তু একি ধাক্কা! এ যে আমাকে কল্পনায় ভাসিয়েই ছাড়বে।
আরেক ঝলক চেহারাটা দেখার অভিলাসে তাকে ডাকলামঃ
“আপু শোনো”…
সে একটু খুঁজে শব্দটার উৎপত্তিস্থল, তারপর তাকায়। আমি আরেকটা ধাক্কা থেকে নিজেকে কোনমতে সামলে নিয়ে দৃষ্টিপাত করলাম। সময় মাত্র কয়েক সেকেন্ড, তার পরই তো কি শুনানোর জন্য ডাকলাম সেটার ব্যাখ্যায় চলে যেতে হবে। এর মধ্যেই ভাল করে চেহারাটা দেখে নেওয়া দরকার। মস্তিস্কে এড্রেনালিন ফ্লো বেড়ে গেল – দুনিয়াটা বুলেট-টাইম স্লো-মো’ করে দিয়ে, চোখদুটিকে হাই ডেফিনিশন মোডে সেট করে আমি আরো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তার মুখশ্রী দেখতে লাগলাম।
উৎসুক দু’টি চোখের এই চাহনি কে কিসের সাথে তুলনা করা যায় আমি ভেবে পাইনা। তারা একই সাথে শান্তি আর দৃঢ়প্রত্যয়ের এক অভূতপূর্ব সমন্বয়! সেই চোখজোড়ার উপরে হঠাৎ বেশি আলোতে বের হওয়ায় কিঞ্চিত কুঞ্চিত ভ্রু-দ্বয় চোখের ভাষাকে যেন করে দিয়েছে আরেকটু তীব্র। কিন্তু তার ঠোঁটে চাপা অথচ একটু যেন দ্বিধান্বিত হাসির অভিব্যক্তি সেই তীব্রতাকে একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে ঠেকিয়েছে। ওষ্ঠদ্বয় দেখে আমার সেই মুহুর্তে ক্যাটরিনা কাইফ-এর কথা মনে হতে লাগল – বলিউডের এই মেয়ে এমনি এমনি সেরা ঠোঁটের এ্যাওয়ার্ড পায়নি; তাদের সেরা হবার গুণ রয়েছে যথেষ্ট! কিন্তু এটা মনে পড়ল না যে ক্যাটরিনা কাইফের কি এই মেয়েটির মত ঠোঁটের নীচে চিবুকের বায়ে ছোট্ট ওরকম কোনো তিল আছে? না থাকলে তো সৌন্দর্য পরিপূর্ণ হয়না! এজন্যই তো ওটাকে বলা হয় ‘বিউটি স্পট’।… বিউটি স্পট শব্দটা মাথায় উঁকি দিয়ে যেতে না যেতেই আরেকটা ঝলকানি টের পেলাম, যদিও সেটা চোখে সর্ষেফুল দেখানোর জন্য কোনোভাবেই শক্তিশালী নয়, তবে আমার মনযোগ আকর্ষণের ক্ষমতাটুকু অন্ততঃ সেটিতে ছিল। সে আর কিছুই নয়, তার গলায় পরা চিকন একটি সোনালী চেইন — ‘বিউটি বোন্স’-এ এলিয়ে থাকা একটি অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল অংশবিশেষ বিকেলের রোদে চিকচিক করছে। … বুঝতে পারছি না, তার সবকিছু আমার কাছে এত ফ্ল্যাশি লাগছে কেন; নাকি এটা আমার ব্রেইনে অতিরিক্ত এ্যাড্রেনালিনের প্রবাহজনিত কারণে চোখের সম্ভব-নয়-এমন সংবেদনশীলতা’র স্তরে উদ্ভাবিত অসঙ্গতি?
চোখের সামনে ছেড়ে রাখা কয়েকটি চুল কানের পিছনে সরিয়ে আমার দিকে তার [হয়তো] মনযোগী হবার ভঙ্গিটি আমার ধ্যানভঙ্গ ঘটালো। জিজ্ঞেস করলামঃ
“তোমার নাম-টা জানতে পারি?” …
উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি, আর দেখতে পাচ্ছি তার ভ্রু-জোড়া কুঞ্চিত অবস্থা থেকে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। ভাল লক্ষণ, নাকি ঝড়ের আগের থমথমে নীরবতা… মনে একটু সংশয়ের আবির্ভাব হল। কখনো কোন মেয়েকে এভাবে আউট-অফ-নো’হোয়্যার এসে এই জাতীয় প্রশ্ন করিনি আগে। মেয়েদের সাথে পরিচয় হয়েছে কোনো না কোনো কাজের থ্রু-তে; হয়তো কোনো ওয়ার্কশপে, নাহলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনে, অথবা কোন গ্রুপ আড্ডায় যেখানে অন্য বন্ধুরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। নিজে থেকে এভাবে আগানোর নজীর আমার জীবনে এই প্রথম, তাই এর আফটারম্যাথ কি হবে সেটা নিয়ে মনে কি একটা বস্তু যেন হুটোপুটি খেতে লাগল।
to be continued…
🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
১ম হইয়া আনন্দিত?
হুমম, তবে ১ম হইতে হইতে বোর হয়ে যাচ্ছি 🙁
লেখা চরম হইছে, তবে মূলা তো ভাল জায়গায় ঝুলাইছ... তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ছাড়
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কি হইছিলো ভাই পরে???
😀 😀 😀
তাড়াতাড়ি জানান ভাই...
লগে কিছু টিপস দিয়েন...
ফ্রি আর কি !!
(ছোট ভাইদের উন্নয়নে )
আপু শোনো-দিলি তো ইজ্জতটা মাইরা-এখন যদি তরে ভাইয়া কয় তাইলেই তো শ্যাষ 🙁
কামরুল ভাইয়ের ভাইজান থিউরি কাজে লাগতে পারে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
'ভাইয়া'তে যদি নায়কের আপত্তি না থাকে তাহলে তো সমস্যা হবার কথা না।
বুঝলাম না, 'আমি' কইত্থেইকা আইলাম!!!!
x-( x-( x-( x-( x-(
এতো ছোট ছোট পর্ব কেনো ???
ছোট মরিচে ঝাল বেশি তাই...
দারুণ চলছে :thumbup: :thumbup: :thumbup:
আবার মূলা ঝুলানোয় :(( :((
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাল্লাগতাসে। দ্রুত লিখ। এত ছোট ক্যান???
বানাইতে টাইম লাগে তাই ছোট করেই দিয়া দিই।
চিন্তা কইরেন না সাইজ আস্তে আস্তে বাড়তেসে... 🙂
পুরা টিভির সিরিয়াল। ১৫ মিনিট করে পর্ব। এইগুলা কার থেকে শিখলা। আহারে কেউ ধাক্কা দিল না।
হ... মাঝে মাঝে কমার্শিয়াল (নাকি সিসিবি-শিয়াল?!?) ব্রেক দিমু দেইখেন। হুটহাট করে খুটখাট পোস্ট, আগের বারের মত।
ভাল লাগিতাছে............।। আগাও.........।।